× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
রোকেয়ার নয়া ভিসি হাসিবুর
google_news print-icon

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া ভিসি হাসিবুর

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়া হাসিবুর রশীদ। ছবি: নিউজবাংলা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বুধবার এ আদেশ জারি করা হয়। ১৪ জুন থেকে নিয়োগের আদেশ কার্যকর হবে।

কলিমুল্লাহর পর রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বুধবার এ আদেশ জারি করা হয়। ১৪ জুন থেকে নিয়োগের আদেশ কার্যকর হবে।

হাসিবুর রশীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ২০২০ সালে তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা তাকে অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব অনিয়ম-দুর্নীতি ও অবিচার করা হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। এই বিষয়গুলোর তিনি সমাধান করবেন।’

উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর। তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্ত কমিটি।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয় কমিটি।

প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ১০ তলা ভবন ও একটি স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণকাজে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। এর জন্য উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই কমিটির প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।

ওই কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশে কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে করা হয় আরও একটি কমিটি।

তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ৪৫টি অভিযোগ ছিল। পরে সেগুলোর মধ্যে ২৯টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেয়া হয় এই কমিটিকে।

জনবল নিয়োগ, রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা অমান্য করে ক্যাম্পাসে ধারাবাহিক অনুপস্থিতি, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনা ধামাচাপা দেয়া, শিক্ষক ও জনবল নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে গত ১৪ মার্চ ক্যাম্পাসে যায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি।

৪৫টি অভিযোগ তুলে ধরে ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী বরাবর একটি চিঠি পাঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান। তার পরিপ্রেক্ষিতেই তদন্ত কমিটি করা হয়।

এই তদন্ত করায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির বিরুদ্ধে কলিমুল্লাহ বক্তব্য দেয়ায় গত ৪ মার্চ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করা হয়।

২০১৭ সালের ১৪ জুন নিয়োগ পাওয়া কলিমুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়েও যান না। এর প্রতিক্রিয়ায় ছাত্র-শিক্ষকরা নানা সময় নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। তবে কলিমুল্লাহর দাবি, উপাচার্য পদটি আবাসিক নয়। ফলে তাকে রংপুরে থাকতে হবে, এমন কোনো কথা নেই।

আরও পড়ুন:
অভিযুক্ত উপাচার্যদের শাস্তির সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন চায় টিআইবি
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপনের আহ্বান ঢাবি ভিসির
রাবি উপাচার্যের ২৫ অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে ইউজিসি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Aman is cultivating 3000 hectares in Shamnagar

শ্যামনগরে আমনের আবাদ হচ্ছে ১৭ হাজার হেক্টর

শ্যামনগরে আমনের আবাদ হচ্ছে ১৭ হাজার হেক্টর

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর। বর্ষা মৌসুমের শুরুতে কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় আমন আবাদ পিছিয়ে যায়। বর্তমানে বৃষ্টিপাতের পরিমান বেশি হওয়ায় আমন আবাদে ধানের পাতার সংকট পড়ায় আবার কিছুটা থেমে যায়।

উপজেলার আটুলিয়া মুন্সিগঞ্জ, ভূরুলিয়া, কাশিমাড়ী, কৈখালী, ঈশ্বরীপুর, নুরনগর, শ্যামনগর, গাবুরাসহ অন্যান্য ইউনিয়নে আমন ধান আবাদ হয়ে থাকে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে প্রকাশ, উপজেলায় আমন আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ১৬ হাজার ৮ শত কুড়ি হেক্টর। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৯ হাজার ২৬৬ মেট্রিকটন। এর মধ্যে উফসি আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ১৬ হাজার ১২৫ হেক্টর। চাউলে লক্ষ্যমাত্রা ৪৬হাজার ৭৮৪ মেট্রিকটন। হাইব্রিড আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৬৫০ হেক্টর। চাল উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৪শত পাঁচ মেট্রিক টন। স্থানীয় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫ হেক্টর। চালের লক্ষ্যমাত্রা ৭৭ মেট্রিক টন।

উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউপির ধানখালী গ্রামের আমন চাষি আব্দুল করিম বলেন আমন ধান রোপণ শেষ পর্যায়ে। শেষ মুহূর্তে বেশ বৃষ্টিপাতের কারণে ধানের বীজ বপন করতে না পারায় ধানের পাতার সংকট পড়ে যায়। আবাদচন্ডিপুর গ্রামের আমনচাষি আশিকুর রহমান বলেন আমন ধান রোপন শেষ পর্যায়ে। প্রথম দিকে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় আমন চাষ কিছুটা হলেও দেরি হয়।

আমনচাষি নকিপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম, বারসিকের কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ জোয়ারদ্দার বলেন স্থানীয় জাতের ধান চিনিকিনি, নারকেল মুছিসহ অন্যান্য জাতের ধান বিলুপ্তির পথে। কৃষকরা বলেন হাইব্রিড ধান চাষ বেশি লক্ষ্য করা যায়।

উপজেলায় কৃষকের প্রধান ফসল আমন আবাদ। আমন চাষকে ঘিরে কৃষকরা নতুন নতুন স্বপ্ন দেখে থাকেন। উপজেলায় আমন আবাদের পাশাপাশি বোরো ও আউস ধান আবাদ হয়ে থাকে। কৃষকদের তথ্য মতে ও উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী শ্যামনগরে লবন পানিতে চিংড়ি চাষের প্রাধান্য থাকলেও বোরো ধান, আমান ধানের আবাদ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী শ্যামনগরে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ২৯৫ হেক্টর। অর্জিত হয় ২ হাজার ৩১০ হেক্টর। এর মধ্যে উফসি জাতের অর্জন ছিল ১ হাজার ৫৭০ হেক্টর।

চলতি বছরে কৃষি অফিসের আয়োজনে ২ হাজার ৯০০ জন কৃষকদের মধ্যে প্রনোদনা দেওয়া হয় ধান বীজ ও সার। এর মধ্যে ঘূর্ণীঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৩০০ জন কৃষকের মধ্যে প্রণোদনা প্রদান করা হয়। প্রতি কৃষকের ৫ কেজি ধান বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়। বিতরণকৃত ধান বীজের মধ্যে ছিল ব্রি-৭৫, ব্রি-৮৭, বিনা-১৭, ব্রি ধান-৯৩ ও ৯৫ ও ব্রি-৪৯।

উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল হুদা দৈনিক বাংলাকে বলেন, প্রণোদনায় বিতরণকৃত ধান গুলি এই এলাকার উপযোগি জাত। এদের জীবনকাল ১২৫দিন। তিনি বলেন উপকূলের শ্যামনগর থেকে স্থানীয় জাতের ধান চিনি কানি, নারকেল মুছি,পাজাম ধান কৃষক পর্যায় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Rausans Bisic will go on gas

রাউজানের বিসিক চলবে গ্যাসে

রাউজানের বিসিক চলবে গ্যাসে

স্বপ্নছোঁয়া কর্মযজ্ঞে রাউজানের বিসিক নগরীর প্লটগুলোতে গ্যাসে উৎপাদন নিশ্চিত করা হচ্ছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে। কারণ বিদ্যুতের মাধ্যমে সব ধরনের উৎপাদন সম্ভব নয়। ‘বিসিক শিল্প নগরী রাউজান প্রকল্প’ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ হওয়ার পথে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা এ প্রকল্প রাউজানকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে তুলবে এমন ধারণা সরকারের।

সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে সম্পূর্ণ সরকারী অর্থায়নে। সরকার কর্মসংস্থান বাড়াতে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় ৯৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে গড়ে তুলছে রাউজান বিসিক শিল্প নগরী। এ পর্যন্ত প্রকল্পের প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। যদিও ২০২২ সালের জুনে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু অবকাঠামোগত উন্নয়ন শতভাগ শেষ না হওয়া ও দেশের অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে সময় বাড়িয়ে তা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।

এদিকে, প্রকল্প পরিচালনার জন্য অবকাঠামো নির্মাণও প্রায় শেষ। আগামী বছরের জুনে ছোট বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রকল্পের ভেতরে কর্মসংস্থান হবে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কর্মজীবির। আর বাহিরেও এ প্রকল্পকে ঘিরে আরো প্রায় ৮ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রকল্পের তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর একনেকে অনুমোদন পাওয়া এ প্রকল্পটি ৩৫ একর ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত করার অনুমতি পেয়েছে। প্রতি একর ভূমির মূল্য পড়েছে প্রায় ৬৭ লাখ ৫২ হাজার ৫৪২ টাকা। ৩৫ একর ভূমির মোট মূল্য প্রায় ২৩ কোটি ৬৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭১ টাকা। পরিকল্পনা কমিশন হতে ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এবং শিল্প মন্ত্রণালয় হতে একই বছরের ৪ মার্চ প্রথম সংশোধনীর অনুমতি পেয়েছিল। ১৮৪টি শিল্প প্লটের মধ্যে ১৪৮টি শিল্প ই্উনিট তৈরী করা হবে। প্রকল্পের অঙ্গভিত্তিক প্রাক্কলন ব্যয় হচ্ছে রাজস্ব খাতে ১৬৩ দশমিক ৯৮ লাখ টাকা, মূলধন খাতে ৮ হাজার ৮৪৫ দশমিক ৪২ লাখ ফটাকা, প্রাইস কন্টিজেন্সি খাতে ১৭৯ দশমিক ৯০ লাখ টাকা, ফিজিক্যাল কন্টিজেন্সি খাতে ১৭৬ দশমিক ৭০ লাখ টাকাসহ মোট ৯ হাজার ৩৬৬ লাখ টাকা এ প্রকল্পের মোট ব্যয়।

এ ব্যাপারে বিসিকের চট্টগ্রামস্থ জেলা কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বলেন, এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল উদ্যোক্তাদের শিল্প প্লটের বর্ধিত চাহিদা পূরণ করা। এক্ষেত্রে ১৪৮টি শিল্প প্লটের জন্য অবকাঠামোগত সুবিধাগুলো তৈরি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। আরো জানা গেছে, প্রকল্পে বিদ্যমান খালের উভয়দিকে প্রায় সাতশ’ ফুট দীর্ঘ রিটেইনিং ওয়াল দেয়া হয়েছে মাটি ভাঙ্গন রোধে। পুরো প্রকল্প জুড়ে দেয়া হচ্ছে সীমানা প্রচীর। বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) প্রায় এক কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। গ্যাস লাইনের জন্য সাড়ে তিন কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডকে (কেজিডিসিএল)। প্রশাসনিক ভবনে একজন কর্মকর্তার অধীনে ৮ জন কর্মচারী কাজ করবে।

এ প্রকল্পে ‘এ’ ক্লাস প্লট ৩২ হাজার বর্গফুটের ১৮টি, ‘বি’ ক্লাস ১৭ হাজার ৬০০ বর্গফুট পরিমাপের ২টি, ‘সি’ ক্লাস প্লটগুলো ১১ হাজার ২০০ বর্গফুটের ১৭টি এবং স্পেশাল ক্যাটাগরির আওতায় রয়েছে ৬ হাজার ৪২৩ বর্গফুট থেকে ১৫ হাজার ৬৪৪ বর্গফুট পরিমাপের ২৮টি প্লট। প্রকল্পে প্রবেশের জন্য ৪০ ফুট প্রশস্ত এপ্রোস সড়ক তৈরি করাসহ প্রত্যেকটি প্লটের সামনে ৩০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা থাকবে।

মন্তব্য

শিক্ষা
In Srimangal 3 bottles of foreign alcohol were arrested

শ্রীমঙ্গলে ৪৬ বোতল বিদেশি মদসহ যুবক গ্রেপ্তার

শ্রীমঙ্গলে ৪৬ বোতল বিদেশি মদসহ যুবক গ্রেপ্তার

শ্রীমঙ্গলে ৪৬ বোতল বিদেশি মদসহ মো. হাবিব উল্লাহ (৩২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে এসআই দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম শ্রীমঙ্গল-হবিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তরসুর এলাকার কৈশর হাজী মার্কেটের সামনে চেকপোস্ট পরিচালনা করে।

চেকপোস্ট পরিচালনাকালে একটি নম্বরবিহীন সিএনজি অটোরিকশা থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। এসময় যাত্রী বসার সিটের পিছন থেকে একটি কাগজের কার্টুন ও সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় রাখা বিভিন্ন ব্রান্ডের ৪৬ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।

শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, ‘গ্রেপ্তারকৃত হাবিব উল্লাহ শ্রীমঙ্গলের টিলাগাঁও (হুগলিয়া) গ্রামের আজিম মোল্লার ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে এবং শুক্রবার তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’

মন্তব্য

শিক্ষা
The army special operation was arrested in Rupganj with weapons and drugs in Rupganj

সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান রূপগঞ্জে অস্ত্র ও মাদকসহ ৩ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান রূপগঞ্জে অস্ত্র ও মাদকসহ ৩ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও অস্ত্রসহ তিন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মাছিমপুর এলাকায় ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মাছিমপুর এলাকার আরশু মিয়ার ছেলে রাসেল, ব্রাহ্মণগাঁও এলাকার মনির হোসেনের ছেলে রাজন মিয়া এবং শাওন মিয়া। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থেকে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল বলে জানা গেছে।

সেনাবাহিনী জানায়, অভিযানের সময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে একটি পিস্তলের গুলি, একটি শর্টগানের গুলি, ৪৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪৯ বোতল ফেনসিডিল ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অস্ত্র ও মাদক স্থানীয় চক্রের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হতো।

রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর হাতে আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।

জানা যায়, ওই অভিযানে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে রাসেল, রাজন ও শাওনের কারণে মুড়াপাড়া ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভয়ের পরিবেশ বিরাজ করছিল। তারা নিয়মিত মাদক ব্যবসা চালাত এবং প্রতিপক্ষকে দমাতে অস্ত্র ব্যবহার করত। সেনাবাহিনীর অভিযানে তাদের গ্রেপ্তারের ফলে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে বলে স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন।

প্রশাসন জানিয়েছে, রূপগঞ্জে সকল জায়গা জুড়ে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

শিক্ষা
3 members of the smuggling cycle on the Teknaf border are detained

টেকনাফ সীমান্তে পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য আটক

টেকনাফ সীমান্তে পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য আটক

কক্সবাজারের টেকনাফে সাগর পথে মানব পাচারের সময় বিশেষ অভিযানে পাচারকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সেসময় মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে মানব পাচারের একটি বড় প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)।

বিজিবি জানায়, দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি মানব পাচার ও মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে তারা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গত বুধবার গভীর রাতে বিজিবির অভিযানে ৮০ জন পাচারের ব্যর্থ করে দিয়ে পাঁচ পাচারকারীকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, সৈয়দ আলম (২৯), পিতা এখলাছ মিয়া

মো. আব্দুল্লাহ (২২), পিতা ইয়াহিয়া, মো. রিদুয়ান হোসেন (২০), পিতা ইউনুস আলী, মো. নুরুল আফসার (২০), পিতা কেফায়েত উল্লাহ, মো. আ. হাকিম (৪০), পিতা মৃত দিল মোহাম্মদ। সকলের বাড়ি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরি এলাকার মিঠাপানিরছরায়।

টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান, ‘মানবতা ও দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্তে মাদক ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ আসামিকে স্থানীয় থানায় মামলা রুজু করে হস্তান্তর করা হয়েছে ‘

তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা মানব পাচার চক্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তবে চক্রের আরও কয়েকজন সক্রিয় সদস্য পালিয়ে গেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন, সাইফুল (৪০), মোস্তাফা ওরফে গোরাইয়া (২০), নুর আলম (৩০) ও সামসু (৪৫)।

চলতি বছর এ পর্যন্ত টেকনাফ ব্যাটালিয়নের বিশেষ অভিযানে ৪৭জন মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। এখনও অন্তত ২১ জন আসামি পলাতক রয়েছে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Six Bangladeshis detained while traveling to India through Sharsha border

শার্শা সীমান্ত দিয়ে ভারত যাওয়ার সময় ৪ জন বাংলাদেশি আটক

শার্শা সীমান্ত দিয়ে ভারত যাওয়ার সময় ৪ জন বাংলাদেশি আটক

শার্শা গোগা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় ৪ জন নারী পুরুষ কে আটক করেছে বিজিবি। শুক্রবার সকালে সীমান্ত এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় কোন পাচারকারীকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।

খুলনা ব্যাটালিয়ন ২১বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার পিবিজিএম, পিএসসি, ইঞ্জিনিয়ার্স জানান গোপন সংবাদে জানতে পারি পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া কিছু লোক সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাবে। এমন সংবাদে ভিত্তিতে গোগা ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্তের কাছ থেকে তাদেরকে আটক করেন।

ওই সময় ৪টি মোবাইল ও ১টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দিয়ে শার্শা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

আটকরা হলো মো. মিঠু মোল্লা (৩২), পিতা-মো. কামরুল মোল্লা, গ্রাম বর্ণিমালাধরা, পোস্ট সিদ্ধারপুর, থানা অভয়নগর, জেলা যশোর, মো. মিজানুর সরদার (৪৫), পিতা মৃত আহমদ সরদার, গ্রাম পাতালিয়া, পোস্ট সিদ্ধারপুর যশোর, মোছা শাপলা খাতুন (২৩), পিতা মো. সরোয়ার বিশ্বাস, গ্রাম বলডাঙ্গা কাজিপুর, পো রাজারহাট, থানা কোতোয়ালি, জেলা যশোর ও সুমি আক্তার (২৪), পিতা রতন খলিফা, গ্রামঃ চরখোলা, পোস্টঃ নাজিরপুর, থানাঃ নাজিরপুর, জেলাঃ পিরোজপুর।

মন্তব্য

শিক্ষা
Privatecars push on the carvadvan standing in Mirsarai killed parents

মীরসরাইয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কার্ভাডভ্যানে প্রাইভেটকারের ধাক্কা, বাবা-মেয়ে নিহত

মীরসরাইয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কার্ভাডভ্যানে প্রাইভেটকারের ধাক্কা, বাবা-মেয়ে নিহত

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ডভ্যানে পেছন থেকে আসা বেপরোয়া গতির প্রাইভেটকার ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে বাবা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। হতাহত ব্যক্তিরা একটি প্রাইভেটকার করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম শহর ও কক্সবাজার বেড়াতে যাচ্ছিলেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মীরসরাইয়ের ঠাকুরদীঘি বাজার এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেনে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন, ঢাকার উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা গোলাম সারোয়ার (৪৩) ও তার তিন বছর বয়সের মেয়ে মুসকান। একই দুর্ঘটনায় গোলাম সারোয়ারের স্ত্রী উম্মে সালমা (৩৩), ছেলে ইমতিয়াজ আহমেদ (৯), গাড়িচালক গিয়াস উদ্দিন (৩০) ও সাগর (৩০) নামের এক সহকর্মী আহত হয়েছেন। গোলাম সারোয়ার একটি আসবাব তৈরির প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক ছিলেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

মীরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দলনেতা সাহ্লাঞো মারমা জানান, সকালে ঠাকুরদীঘি বাজারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনের পাশে থামিয়ে় রাখা একটি কাভার্ডভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয় চট্টগ্রামমুখী কালো রঙের প্রাইভেটকার। দুর্ঘটনায় প্রাইভেটকারটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। এছাড়া চারজনকে উদ্ধার করে মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর আহত দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত গোলাম সরোয়ারের স্ত্রী উম্মে সালমা বলেন, ‘কাভার্ডভ্যানটির পেছনে ধাক্কা দেওয়ার পর বিকট শব্দে আমি অচেতন হয়ে পড়েছিলাম। হাসপাতালে জ্ঞান ফেরার পর জানতে পারি, আমার স্বামী ও তিন বছরের মেয়েটা আর বেঁচে নেই। আমার ছেলেটাও আহত হয়েছে, সে ঢাকার একটি মাদরাসায় পড়ে। একটি দুর্ঘটনা আমার সাজানো সংসারটি তছনছ করে দিল।’

মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজু সিংহ বলেন, আহত চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে গিয়াস উদ্দিন ও সাগর নামের দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উম্মে সালমা ও তার ছেলে ইমতিয়াজ আহমেদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক বোরহান উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন দুটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মাইক্রোবাসটির চালক চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

মন্তব্য

p
উপরে