× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
স্কুল খোলা নিয়ে চাপ আছে উদ্বেগও
google_news print-icon

স্কুল খোলা নিয়ে চাপ, আছে উদ্বেগও

স্কুল-খোলা-নিয়ে-চাপ-আছে-উদ্বেগও
দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাসে শিশুদের এমন উচ্ছ্বাস যেন স্মৃতি হয়ে গেছে। ছবি: নিউজবাংলা
‘আমরা ভিকারুননিসা পরিবার’ নামে একটি ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ১২ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে ১৫ দিন, ৩০ দিন করে সময় না বাড়িয়ে আপাতত ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো দরকার বলে মনে করি।’ এমন বক্তব্যে সমর্থনের পাশাপাশি অনেক অভিভাবক স্কুল খোলা নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেছেন।

করোনাভাইরাস মহামারিতে এক বছরের বেশি সময় বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সন্তানের শিক্ষাজীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। স্কুলে যাওয়ার জন্য উদ্‌গ্রীব হয়ে আছে শিক্ষার্থীরাও। বিশেষ করে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের ‘গৃহবন্দি’ শিক্ষার্থীরা। সরকারও সচেষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি করোনার চলমান পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে নাকি বন্ধই থাকবে, এ বিষয়ে দ্বিমুখী চাপের কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি আরও জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৩ জুন খুলে দেয়ার চেষ্টা থাকলেও খুলে দেয়ার মেসেজ থেকে বন্ধ রাখার মেসেজ বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে নিউজবাংলা কথা বলেছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, শিক্ষক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে।

মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অধিকাংশ ১৩ জুন স্কুল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষে নন। তারা বলছেন, করোনা সংক্রমণের ন্যূনতম ঝুঁকি থাকা অবস্থায় ‘টেস্ট কেস’ হিসেবে স্কুল খোলা সঠিক হবে না। কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার ক্ষতি মেনে নেয়া কষ্টকর। কিন্তু সে ক্ষতি পোষাতে তাদের জীবনের ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না।

এদিকে মাসের পর মাস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে প্রায় সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্ডারগার্টেনের উদ্যোক্তারা পড়েছেন মহাসংকটে। তারা চাইছেন, যত দ্রুত সম্ভব স্কুল খুলে দেয়া হোক। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি হয়নি।

স্কুল খোলা নিয়ে চাপ, আছে উদ্বেগও

রাজধানীর বন্ধ থাকা কদমতলী এলাকার রেঁনেসা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এক শিক্ষার্থী। ছবি: নিউজবাংলা

অভিভাবকরা বলছেন, বেসরকারি স্কুলগুলো আর্থিক সংকটে পড়েছে। তাই তারা দ্রুত স্কুল খোলার পক্ষে। শিশুদের শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা নিচ্ছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু বেশির ভাগের সেদিকে নজর নেই। আর সরকারি বিদ্যালয়ে অনলাইনে শিক্ষার ব্যবস্থা করা যায়নি নানা কারণে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে আর্থিক সংকটে পড়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল। প্রতিষ্ঠানটি গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে ঈদের ছুটির আগে ১২ তারিখের মধ্যে চলতি মাসের বেতন চাওয়া হয় অভিভাবকদের কাছে। এ নিয়ে তুমুল প্রতিক্রিয়া হয়। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বেতন দেননি।

১৩ জুন স্কুল খুলতে পারে, এমন খবরে এই স্কুলের অভিভাবক ফোরাম অনলাইনে তীব্র সমালোচনা করেছে।

‘আমরা ভিকারুননিসা পরিবার’ নামে একটি ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ১২ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে ১৫ দিন, ৩০ দিন করে সময় না বাড়িয়ে আপাতত ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো দরকার বলে মনে করি।’

স্কুল খোলা নিয়ে চাপ, আছে উদ্বেগও

এমন বক্তব্যে সমর্থনের পাশাপাশি অনেক অভিভাবক স্কুল খোলা নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেছেন।

মিজানুর রহমান নামের এক অভিভাবক লিখেন, ‘করোনা মহামারি চলাকালে যেসব অভিভাবক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সম্মতি দেবেন, তারা মূর্খ, পাগল, বিকৃত মনমানসিকতার পিতা-মাতা।’

মিরপুরের একটি বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলের দুই শিক্ষার্থীর বাবা কাওসার চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় বাচ্চারা অস্থির হয়ে গেছে। ওদের আর বাসায় আটকে রাখা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কিন্তু করোনার যে খবর শুনছি, তাতে ওদের স্কুলে পাঠানোর সাহস করছি না। বেঁচে থাকলে পড়ালেখা করতে পারবে। আগে করোনা যাক, তারপর স্কুল খুলুক।’

আরেক অভিভাবক সাজিয়া আফরিন বলেন, ‘বাচ্চাদের জন্য ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত স্কুলে পাঠাব না। সবকিছু মেনে নিলেও বাচ্চার ক্ষতি মানতে পারব না।’

অভিভাবকদের অনেকে বলছেন, পরিস্থিতি ও প্রয়োজন বিবেচনায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। তবু সেখানে টিকাদানসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। মাধ্যমিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত আরও দেরিতে নেয়াটাই যুক্তিযুক্ত হবে।

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান এম ইকবাল বাহার চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এক বছরেরও বেশি সময় আমাদের স্কুলগুলো বন্ধ। সামনে কবে খুলবে আমরা তা-ও জানি না।

‘সারা দেশে ৬০ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মধ্যে করোনার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। ধার-দেনা করে অনেক দিন চলেছি। কিন্তু এখন কেউ ধার দিতেও রাজি নন। আমরা কীভাবে বেঁচে আছি সেটা বলে বোঝানো যাবে না।’

এম ইকবাল বাহার বলেন, ‘কিছুদিন আগেও সরকার আমাদের স্কুল খুলে দেবে বলে শুনেছিলাম। সে সময় আমরা ধার-দেনা করে স্কুলগুলো সংস্কার করে খোলার প্রস্তুতি নিলাম। কিন্তু স্কুল খুলল না। তখন থেকেই মূলত আমরা শেষ হয়ে গেছি।

‘তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব স্কুলগুলো খোলার ব্যবস্থা করুন। স্কুলে করোনা মোকাবিলায় আমরা সব ধরনের চেষ্টা করব।’

প্রধান শিক্ষক এখন খেলনার দোকানি

মোহাম্মদপুরের আদাবরে অবস্থিত গ্রিন লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে। জীবন চালাতে স্কুলের গেটের মুখে শিশুদের প্লাস্টিকের খেলনার দোকান সাজিয়ে বসেছেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক নুর আক্তার ডলি।

কেমন আছেন জানতে চাইলে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘কোনো রকমে বেঁচে আছি ভাই। কিন্তু কত দিন বেঁচে থাকব জানি না। এই খেলনার দোকান থেকে যা আয় করি, সেটা দিয়ে কোনো রকমে পেট চালাই। কিন্তু স্কুল চালাতে পারি না। প্রতি মাসে স্কুলের ভবন ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ও পানির বিল দিতে হয়।

‘ধার-দেনা আর গ্রামের সম্পত্তি বেচে এত দিন চালিয়ে এসেছি। এখন আর পারছি না। আর কিছুদিন দেখব। তারপর সব ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়া ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।’

স্কুল খোলা নিয়ে চাপ, আছে উদ্বেগও
স্কুলের গেটের মুখে শিশুদের প্লাস্টিকের খেলনার দোকান সাজিয়ে বসেছেন প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক নুর আক্তার ডলি। ছবি: নিউজবাংলা

করোনার কারণে ডলির মতো অসংখ্য শিক্ষক এখন আছেন অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে প্রায় ৬০ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে প্রায় এক কোটি ছাত্র-ছাত্রী। শিক্ষক আছেন ১০ লাখ, যার মধ্যে ২০ শতাংশ স্থায়ীভাবে অন্য পেশায় চলে গেছেন।

শিক্ষকদের পক্ষ থেকে স্কুল খুলে দেয়ার দাবি জোরালো হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে। তবে প্রাপ্তবয়স্ক ছাত্র-ছাত্রীদের টিকার আওতায় এনে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খোলা যেতে পারে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ও করোনাবিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের পর সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আমরা যে ধারণা করেছি, সেটার ভালো করে ফলোআপ নিয়ে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তাড়াহুড়া করলে হবে না। শিক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এখন সংক্রমণের হার এবং মৃত্যুর সংখ্যা কম দেখেই কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না। কারণ, শীতকালেও আমাদের সংক্রমণের হার কম ছিল। কিন্তু তখন দেশে লকডাউন ছিল না। এখনও লকডাউন চলছে। আবার সংক্রমণের হারও শীতকালের চেয়ে বেশি।

‘আমরা এখনও বুঝতেই পারছি না কেন আমাদের সংক্রমণের হার ওঠানামা করছে। আমার ধারণা, শীতকালে এমনিতেই আমরা অনেক দেশি ফ্লুতে (জ্বর, সর্দি, কাশি) আক্রান্ত হই। হয়তো এসব ফ্লুর মধ্যে বিদেশি ভাইরাস করোনা আমাদের বেশি আক্রান্ত করতে পারেনি।’

এই ভাইরোলজিস্ট বলেন, ‘তাই আমাদের আগে ভালো করে গবেষণা করতে হবে, কেন আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণ কখনো কম, কখনো বেশি হচ্ছে। গবেষণার সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক ডা. বেনজির আহমেদ মনে করেন, প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া উচিত। তবে কম বয়স্কদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে আরও একটু পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজ আমাদের আরও অনেক আগেই খুলে দেয়া উচিত ছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং প্রাপ্তবয়স্ক ছাত্র-ছাত্রীদের টিকার আওতায় এনে এটা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি আমরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতাম তাহলে সংক্রমণ হয়তো বাড়ত না। আবার ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষাজীবনও ব্যাহত হতো না।’

বেনজির আরও বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব প্রাপ্তবয়স্ক ছাত্র-ছাত্রীদের টিকার আওতায় এনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। তবে কম বয়স্ক ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর একটু পর্যবেক্ষণ করে খোলা উচিত হবে।’

আরও পড়ুন:
স্কুল-কলেজ খুলতে প্রস্তুতির নির্দেশ
৩০ মার্চই খুলছে স্কুল-কলেজ
স্কুলের ছাদ ঢালাইয়ে নিম্নমানের খোয়া, বন্ধ করল জনতা
স্কুল খুলছে কবে, অপেক্ষায় রাখল সরকার
মে মাসে এসএসসি পরীক্ষার ইঙ্গিত মন্ত্রীর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
3 youths killed on the Chuadanga border

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১ যুবক নিহত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১ যুবক নিহত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (০২ জুলাই) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা সীমান্তে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত ইব্রাহিম বাবু (৩২) ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। ওই ঘটনায় পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি।

নিহতের পিতা নুর ইসলাম জানান, দুপুরে আমার ছেলেসহ ৪-৫ জন গরুর ঘাস কাটার জন্য সীমান্তের গালার মাঠে যায়। এ সময় অসাবধনতাবশত সীমান্তের ৭৯ নম্বর মেন পিলার পার হয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে সেখানকার ৩২ বিএসএফ হালদারপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা ২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় বাবু।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান গুলিবর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কয়েকজন স্বর্ণ চোরাকারবারির ওপর বিএসএফ গুলিবর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

শিক্ষা
2 arrests 

১৮ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেপ্তার 

১৮ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেপ্তার 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বিকালে শ্রীঘর বাজারের নজরুল ইসলামের দোকানের সন্মুখ থেকে ১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এ সময় আক্কাছ মিয়া (৩২) ও ছিদ্দিকুর রহমান (২১) নামের দুই মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়- সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ শ্রীঘর বাজারের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন কালে সন্দেহ জনক একটি সিএনজিকে থামিয়ে তল্লাশি করে। আক্কাছ মিয়া কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাঙ্গরা বাজার এলাকার মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে। ছিদ্দিকুর রহমান নবীনগর উপজেলার বড়াইল গ্রামের আতিকুর রহমানের ছেলে।

নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর ইসলাম জানান- এ ঘটনায় নবীনগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মন্তব্য

ফেনীতে কোটি টাকার মালপত্র জব্দ

ফেনীতে কোটি টাকার মালপত্র জব্দ

ফেনীর পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া সীমান্ত এলাকা থেকে কয়েকটি গরুসহ কোটি টাকার ভারতীয় মালপত্র জব্দ করেছে বিজিবি। বুধবার (০২ জুলাই) উপজেলাদ্বয়ের ভারত সীমান্ত এলাকায় এসব মালপত্র জব্দ করা হয়। বিজিবি জানায়, ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছিল বিজিবি। টহল দলকে দেখে চোরাকারবারিরা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে ভর্তি কার্টন ও কয়েকটি গরু রেখে পালিয়ে যায়। বিজিবি সদস্যরা মালপত্র ও গরুগুলো জব্দ করে। এসবের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। জব্দকৃত মালপত্র স্থানীয় কাস্টমসে জমা দেওয়া হয়েছে ।

ফেনীর ৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোশারফ হোসেন জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধসহ অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির অভিযানিক কর্মকাণ্ড ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Jhenaidah snake bite

ঝিনাইদহে সাপের কামড়ে কিশোরের মৃত্যু

ঝিনাইদহে সাপের কামড়ে কিশোরের মৃত্যু

ঝিনাইদহে সাপ নিয়ে খেলা করতে গিয়ে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল মাহাফুজুর রহমান (১৬) নামের এক কিশোরের। মঙ্গলবার (০১ জুলাই) রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের বিষয়খালীর কেশবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত কিশোর মাহাফুজুর রহমান ওই গ্রামের মত. মতিয়ার রহমান মতির একমাত্র ছেলে।

স্বজন ও বন্ধু সোহান জানায়, গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাছের একটি তালগাছ থেকে সোমবার (৩০ জুন) বিকালে মাহাফুজুর রহমান একটি সাপ ধরে টিফিন বাটিতে করে আটকে রাখে। যা পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে ওই তালগাছের কাছে গিয়ে সাপ নিয়ে খেলা করতে গিয়ে মঙ্গলবার (০১ জুলাই) তার হাতে ছোবল দিলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে ঝিনাইদহ হাসপাতালে ভর্তিরপর অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

মন্তব্য

শিক্ষা
Narsingdi

নরসিংদীতে ৭ জুয়ারি গ্রেপ্তার

নরসিংদীতে ৭ জুয়ারি গ্রেপ্তার

জুয়া খেলারত অবস্থায় শিবপুর মডেল থানা পুলিশ ৭ জুয়ারিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। বুধবার (০২ জুলাই) সকালে শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের লাখপুর বাজারের পাশে বাবুল নাজিরের কলাবাগানের ভেতর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- দৌলত হোসেন (৩৮) সাং-চরআলিনগর, খোরশেদ আলম (২৪) সাং-চরসিন্দুর, ফারুক (৪৫) সাং-হরিনারায়নপুর, আলামিন (৩৮) সাং-মানিকদী, মুকসিন (৪৪) সাং-শিমুলিয়া, সেলিম (৩৫) সাং-লাখপুর ও সুরুজ (৫২) সাং-লাখপুর। পুলিশ তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও জুয়া খেলার সরঞ্জামাদী উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে শিবপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃত: জুয়ারীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

বন কেটে গড়ে ওঠা জাহাজভাঙা কারখানায় ফের উচ্ছেদ

বন কেটে গড়ে ওঠা জাহাজভাঙা কারখানায় ফের উচ্ছেদ

জেলার সীতাকুণ্ডে সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মূল্যবান বনায়ন কেটে গড়ে ওঠা বিতর্কিত সেই জাহাজভাঙা কারখানাটিতে দ্বিতীয় দফায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। বুধবার (০২ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ যৌথভাবে এ অভিযান শুরু করে। এর আগে গত ২৫ জুন প্রথম দফায় উচ্ছেদ করে কারখানাটির স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। কারখানা এলাকায় গড়ে ওঠা আরও কিছু স্থাপনা এবং ভবনের অবশিষ্টাংশে বুধবার (০২ জুলাই) জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হয়েছে।

বন কেটে গড়ে ওঠা জাহাজভাঙা কারখানায় ফের উচ্ছেদ

উচ্ছেদের পাশাপাশি সীতাকুণ্ডের ছলিমপুর এলাকার তুলাতলী মৌজার জায়গাটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃক্ষরোপণ শুরু করেছে বন বিভাগ। বিভিন্ন প্রজাতির দুই হাজার গাছ লাগানো হবে ওই স্থানটিতে। প্রথম দফায় সেখানে দুই হাজার বিভিন্ন গাছের চারা রোপণ করা হবে। সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।

সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, অবৈধ জাহাজভাঙা কারখানাটি উচ্ছেদের পাশাপাশি সেখানে আমরা বৃক্ষরোপণ শুরু করেছি। এ জন্য চারা এনেছে বন বিভাগ। এ ছাড়া কারখানার অবশিষ্ট অংশটিতে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হয়।’ এই উচ্ছেদ অভিযানে সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মামুন ও উপকূলীয় বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক আবুল কালাম আজাদ, রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। রেঞ্জ কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ঝাউ, করঞ্জা ও হিজল- এই তিন প্রজাতির দুই হাজার গাছের চারা এনেছি। এখানে লাগানো হচ্ছে। এর আগে এখানে প্রায় পাঁচ হাজার গাছ ধ্বংস করেন জাহাজভাঙা কারখানার লোকজন।’

জেলা প্রশাসনই বনের জায়গাটিতে জাহাজভাঙা কারখানা স্থাপনের জন্য দুবার ইজারার অনুমতি দিয়েছিল। আপত্তির পর আবার ইজারা বাতিল করা হয়। কোহিনূর স্টিল নামে এই কারখানা স্থাপন করেছিলেন আবুল কাসেম নামের এক ব্যক্তি। তিনি ‘রাজা কাসেম’ নামে পরিচিত।

বন কেটে গড়ে ওঠা জাহাজভাঙা কারখানায় ফের উচ্ছেদ

বন বিভাগ সূত্র জানায়, তুলাতলী মৌজায় বন বিভাগের ২০ ধারায় নোটিফিকেশনকৃত বনাঞ্চল রয়েছে। ইজারা চুক্তিতে কাগজে-কলমে সলিমপুর মৌজা দেখানো হলেও মূলত তুলাতলী মৌজায় বিতর্কিত এই ইয়ার্ড গড়ে ওঠে। বন বিভাগ বারবার এ ইজারায় আপত্তি জানিয়ে আসছিল। আপত্তি উপেক্ষা করে তখনকার জেলা প্রশাসকেরা একই ভূমি দুবার রাজা কাসেমকে ইজারা দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে প্রথম ৭ দশমিক ১০ একর ভূমি শিপইয়ার্ডের জন্য ইজারা পায় কাসেমের বিবিসি স্টিল। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) আইনি পদক্ষেপ নেয় এই ইজারার বিরুদ্ধে; কিন্তু তুলাতলী মৌজাটি বনাঞ্চল হওয়ায় উচ্চ আদালত ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি ইজারা চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করেন। পরে আর ইজারা চুক্তি নবায়ন করেনি জেলা প্রশাসন।

বিবিসির নামে ইজারা বাতিল হওয়ার পর কাসেম তার স্ত্রী কোহিনূর আকতার নতুন করে একই জায়গায় জমি ইজারার আবেদন করেন। আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হয় কোহিনূর স্টিল। এরপর ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কোহিনূর স্টিলের নামে সীতাকুণ্ডের উত্তর সলিমপুর মৌজা দেখিয়ে পাঁচ একর বনভূমি ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন।

এ নিয়ে ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘কৌশলে’ বন ইজারার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আবার ২০২৩ সালের ৮ জুন ‘চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদারতায় ইয়ার্ডের পেটে ৫ হাজার গাছ’ শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। চুক্তির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে ২০২৩ সালে জেলা প্রশাসন সীতাকুণ্ডের কোহিনূর স্টিল নামের ওই জাহাজভাঙা কারখানার ইজারা বাতিল করেছিল। উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে হাইকোর্টে প্রতিবেদনও দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এরপর বিভাগীয় কমিশনার বরাবর ইজারা চুক্তি বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করেন কোহিনূর স্টিলের মালিক আবুল কাসেম। ইজারা ফিরে পেয়ে কারখানাটিতে ফের জোরেশোরে কাজ শুরু করা হয়। সীতাকুণ্ডের সলিমপুর এলাকার তুলাতলী মৌজায় কোহিনূর স্টিল নামের ইয়ার্ডটির অবস্থান। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় বাতিল হওয়া ইজারা ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেয় ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে। এরপর কাসেম আবার ওই জায়গায় কাজ শুরু করেছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন।

মন্তব্য

শিক্ষা
Parki beach area demanding construction of rapid embankment

দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি পারকি সমুদ্র সৈকত এলাকায়

আরো তীব্র হচ্ছে ভাঙন
দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি পারকি সমুদ্র সৈকত এলাকায়

পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে মিনি কক্সবাজার খ্যাত চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পারকি সমুদ্র সৈকত এলাকায় লুসাই পার্ক পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এই ভাঙন রোধে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে পর্যটন শিল্পে বিরুপ প্রভাব পড়বে।
বর্তমানে সৈকতে তীব্র ঢেউয়ের প্রভাবে বীচের আশেপাশের বেড়িবাঁধ, পুকুরপাড়, পার্ক, দোকানপাট ভেঙে যাচ্ছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে একসময় পুরো বীচটি সাগরে বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা, এদিকে পারকি বীচ রক্ষায় পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বর্ণ হক।

ঘুরে দেখা যায়, বীচের দক্ষিণ পাশের প্রায় ঝাউগাছ বিলীন হয়ে গেছে। যে কয়েকটি বাকি আছে সেগুলোও বেঁকে গেছে। বীচের এইপাশের ডোবায় ডুকছে সাগরের পানি। ভেঙে গেছে লুসাই পার্কের সীমানা বেড়িবাঁধ, বিলীন হয়ে গেছে স্থানীয়দের তৈরি করা বেড়িবাঁধ। সাগর গর্ভে চলে যাচ্ছে বীচের পাশে ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গা। বীচের সামনে কোনো প্রতিবন্ধক না থাকায় সাগরে ঢেউয়ের তীব্রতা পৌঁছে যাচ্ছে বীচে গড়ে উঠা দোকানপাট-স্থাপনায়।
স্থানীয় প্রবীণ কয়েকজন ব্যক্তি জানায়, কর্ণফুলীর মোহনায় পাকিস্তানের আমলে ২টিপাথরের বাঁধ ছিলো, বন্দরের নব্যতা বাড়ানোর জন্য ফ্রি ড্রেজিং এর ফলে আনোয়ারা সাইডে দেয়ালটি ভেঙে যায় যার কারণে সাগরে ঢেউ সরাসরি বীচে আঘাত করছে।
পারকি সমুদ্র সৈকতে আসা রিফাত হোসেন নামের এক পর্যটল জানান, দিনদিন পারকি সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য কমে যাচ্ছে, এখন ঢেউয়ের কারণে বাঁধ, গাছ, দোকানপাট ভেঙে যাচ্ছে। এসব রক্ষায় সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সৈকতের লুসাই পার্কের স্বত্বাধিকারী মো. আকবর বলেন, আমরা লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে পারকি সমুদ্র সৈকতে ব্যবসা করছি,আমার লুসাই পার্কের বাঁধ ভেঙে গেছে, এখানে পর্যটন কমপ্লেক্স নির্মাণ হচ্ছে, রয়েছে সরকার-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। তাই এসব রক্ষার্থে বীচ এরিয়ায় বাঁধ দেওয়া প্রয়োজন।

পারকি বীচ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. কাশেম বলেন, শত শত ব্যবসায়ীরা পারকি বীচকে ঘিরে নিজেদের রুজিরোজগারের ব্যবস্থা করছেন, পানির স্রোত এবং ঝাউগাছ ভেঙে পড়ে আমাদের দোকানপাটের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এই বীচটা আমাদের সম্পদ এটি আমাদের রক্ষা করতে হবে।

বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ও আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানানো হবে।

পারকি বীচ রক্ষায় পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বর্ণ হক বলেন,পারকি বীচ থেকে টানেল পর্যন্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিষয়ে পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে তবে এখনো তা কাগজেকলমে পাশ হয়নি। এটার জন্য স্থানীয়দের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে ভূমিকা রাখতে হবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

p
উপরে