করোনাভাইরাস মহামারিতে এক বছরের বেশি সময় বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সন্তানের শিক্ষাজীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। স্কুলে যাওয়ার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে আছে শিক্ষার্থীরাও। বিশেষ করে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের ‘গৃহবন্দি’ শিক্ষার্থীরা। সরকারও সচেষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি করোনার চলমান পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে নাকি বন্ধই থাকবে, এ বিষয়ে দ্বিমুখী চাপের কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি আরও জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৩ জুন খুলে দেয়ার চেষ্টা থাকলেও খুলে দেয়ার মেসেজ থেকে বন্ধ রাখার মেসেজ বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে নিউজবাংলা কথা বলেছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, শিক্ষক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে।
মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অধিকাংশ ১৩ জুন স্কুল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষে নন। তারা বলছেন, করোনা সংক্রমণের ন্যূনতম ঝুঁকি থাকা অবস্থায় ‘টেস্ট কেস’ হিসেবে স্কুল খোলা সঠিক হবে না। কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার ক্ষতি মেনে নেয়া কষ্টকর। কিন্তু সে ক্ষতি পোষাতে তাদের জীবনের ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না।
এদিকে মাসের পর মাস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে প্রায় সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্ডারগার্টেনের উদ্যোক্তারা পড়েছেন মহাসংকটে। তারা চাইছেন, যত দ্রুত সম্ভব স্কুল খুলে দেয়া হোক। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি হয়নি।
রাজধানীর বন্ধ থাকা কদমতলী এলাকার রেঁনেসা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এক শিক্ষার্থী। ছবি: নিউজবাংলা
অভিভাবকরা বলছেন, বেসরকারি স্কুলগুলো আর্থিক সংকটে পড়েছে। তাই তারা দ্রুত স্কুল খোলার পক্ষে। শিশুদের শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা নিচ্ছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু বেশির ভাগের সেদিকে নজর নেই। আর সরকারি বিদ্যালয়ে অনলাইনে শিক্ষার ব্যবস্থা করা যায়নি নানা কারণে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে আর্থিক সংকটে পড়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল। প্রতিষ্ঠানটি গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে ঈদের ছুটির আগে ১২ তারিখের মধ্যে চলতি মাসের বেতন চাওয়া হয় অভিভাবকদের কাছে। এ নিয়ে তুমুল প্রতিক্রিয়া হয়। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বেতন দেননি।
১৩ জুন স্কুল খুলতে পারে, এমন খবরে এই স্কুলের অভিভাবক ফোরাম অনলাইনে তীব্র সমালোচনা করেছে।
‘আমরা ভিকারুননিসা পরিবার’ নামে একটি ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ১২ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে ১৫ দিন, ৩০ দিন করে সময় না বাড়িয়ে আপাতত ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো দরকার বলে মনে করি।’
এমন বক্তব্যে সমর্থনের পাশাপাশি অনেক অভিভাবক স্কুল খোলা নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেছেন।
মিজানুর রহমান নামের এক অভিভাবক লিখেন, ‘করোনা মহামারি চলাকালে যেসব অভিভাবক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সম্মতি দেবেন, তারা মূর্খ, পাগল, বিকৃত মনমানসিকতার পিতা-মাতা।’
মিরপুরের একটি বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলের দুই শিক্ষার্থীর বাবা কাওসার চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় বাচ্চারা অস্থির হয়ে গেছে। ওদের আর বাসায় আটকে রাখা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কিন্তু করোনার যে খবর শুনছি, তাতে ওদের স্কুলে পাঠানোর সাহস করছি না। বেঁচে থাকলে পড়ালেখা করতে পারবে। আগে করোনা যাক, তারপর স্কুল খুলুক।’
আরেক অভিভাবক সাজিয়া আফরিন বলেন, ‘বাচ্চাদের জন্য ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত স্কুলে পাঠাব না। সবকিছু মেনে নিলেও বাচ্চার ক্ষতি মানতে পারব না।’
অভিভাবকদের অনেকে বলছেন, পরিস্থিতি ও প্রয়োজন বিবেচনায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। তবু সেখানে টিকাদানসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। মাধ্যমিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত আরও দেরিতে নেয়াটাই যুক্তিযুক্ত হবে।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান এম ইকবাল বাহার চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এক বছরেরও বেশি সময় আমাদের স্কুলগুলো বন্ধ। সামনে কবে খুলবে আমরা তা-ও জানি না।
‘সারা দেশে ৬০ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মধ্যে করোনার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। ধার-দেনা করে অনেক দিন চলেছি। কিন্তু এখন কেউ ধার দিতেও রাজি নন। আমরা কীভাবে বেঁচে আছি সেটা বলে বোঝানো যাবে না।’
এম ইকবাল বাহার বলেন, ‘কিছুদিন আগেও সরকার আমাদের স্কুল খুলে দেবে বলে শুনেছিলাম। সে সময় আমরা ধার-দেনা করে স্কুলগুলো সংস্কার করে খোলার প্রস্তুতি নিলাম। কিন্তু স্কুল খুলল না। তখন থেকেই মূলত আমরা শেষ হয়ে গেছি।
‘তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব স্কুলগুলো খোলার ব্যবস্থা করুন। স্কুলে করোনা মোকাবিলায় আমরা সব ধরনের চেষ্টা করব।’
প্রধান শিক্ষক এখন খেলনার দোকানি
মোহাম্মদপুরের আদাবরে অবস্থিত গ্রিন লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে। জীবন চালাতে স্কুলের গেটের মুখে শিশুদের প্লাস্টিকের খেলনার দোকান সাজিয়ে বসেছেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক নুর আক্তার ডলি।
কেমন আছেন জানতে চাইলে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘কোনো রকমে বেঁচে আছি ভাই। কিন্তু কত দিন বেঁচে থাকব জানি না। এই খেলনার দোকান থেকে যা আয় করি, সেটা দিয়ে কোনো রকমে পেট চালাই। কিন্তু স্কুল চালাতে পারি না। প্রতি মাসে স্কুলের ভবন ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ও পানির বিল দিতে হয়।
‘ধার-দেনা আর গ্রামের সম্পত্তি বেচে এত দিন চালিয়ে এসেছি। এখন আর পারছি না। আর কিছুদিন দেখব। তারপর সব ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়া ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।’
করোনার কারণে ডলির মতো অসংখ্য শিক্ষক এখন আছেন অনিশ্চয়তায়।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে প্রায় ৬০ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে প্রায় এক কোটি ছাত্র-ছাত্রী। শিক্ষক আছেন ১০ লাখ, যার মধ্যে ২০ শতাংশ স্থায়ীভাবে অন্য পেশায় চলে গেছেন।
শিক্ষকদের পক্ষ থেকে স্কুল খুলে দেয়ার দাবি জোরালো হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে। তবে প্রাপ্তবয়স্ক ছাত্র-ছাত্রীদের টিকার আওতায় এনে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খোলা যেতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ও করোনাবিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের পর সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আমরা যে ধারণা করেছি, সেটার ভালো করে ফলোআপ নিয়ে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তাড়াহুড়া করলে হবে না। শিক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন সংক্রমণের হার এবং মৃত্যুর সংখ্যা কম দেখেই কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না। কারণ, শীতকালেও আমাদের সংক্রমণের হার কম ছিল। কিন্তু তখন দেশে লকডাউন ছিল না। এখনও লকডাউন চলছে। আবার সংক্রমণের হারও শীতকালের চেয়ে বেশি।
‘আমরা এখনও বুঝতেই পারছি না কেন আমাদের সংক্রমণের হার ওঠানামা করছে। আমার ধারণা, শীতকালে এমনিতেই আমরা অনেক দেশি ফ্লুতে (জ্বর, সর্দি, কাশি) আক্রান্ত হই। হয়তো এসব ফ্লুর মধ্যে বিদেশি ভাইরাস করোনা আমাদের বেশি আক্রান্ত করতে পারেনি।’
এই ভাইরোলজিস্ট বলেন, ‘তাই আমাদের আগে ভালো করে গবেষণা করতে হবে, কেন আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণ কখনো কম, কখনো বেশি হচ্ছে। গবেষণার সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক ডা. বেনজির আহমেদ মনে করেন, প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া উচিত। তবে কম বয়স্কদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে আরও একটু পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজ আমাদের আরও অনেক আগেই খুলে দেয়া উচিত ছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং প্রাপ্তবয়স্ক ছাত্র-ছাত্রীদের টিকার আওতায় এনে এটা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি আমরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতাম তাহলে সংক্রমণ হয়তো বাড়ত না। আবার ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষাজীবনও ব্যাহত হতো না।’
বেনজির আরও বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব প্রাপ্তবয়স্ক ছাত্র-ছাত্রীদের টিকার আওতায় এনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। তবে কম বয়স্ক ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর একটু পর্যবেক্ষণ করে খোলা উচিত হবে।’
আরও পড়ুন:ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতে অবস্থান করছেন তিনি। তবে অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে দেশ ও বিদেশে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন মিটিং এ যুক্ত হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানি দিতে দেখা গেছে হাসিনাকে।
এদিকে ২০২৪ সালের শেষভাগে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত একটি জুম বৈঠককে কেন্দ্র করে এই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা গড়ে ওঠে। ২০২৪ সালে ১৯ ডিসেম্বর ওই ভার্চুয়াল সভায় দেশ ও বিদেশ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়।
সিআইডির ফরেনসিক ও গোয়েন্দা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ওই সভায় অংশগ্রহণকারীরা অন্তর্বর্তীকালীন বৈধ সরকার উৎখাতের আহ্বান, গৃহযুদ্ধ উসকে দেয়ার পরিকল্পনা এবং পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনার ঘোষণা দেন।
এই তথ্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হলে, ২০২৫ সালের ৪ মার্চ মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে সিআইডিকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার তদন্ত ও অভিযোগ দায়েরের অনুমতি প্রদান করে। পরবর্তীতে ২৭ মার্চ রমনা থানায় সিআর মামলা নং-২২২/২০২৫ দাখিল হয়, যার ধারাগুলো- বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১২১, ১২১(ক), ১২৪(ক)।
পাঁচ মাসেই সিআইডির তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দাখিল করার পর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিচার শুরু হচ্ছে। আদালত আসামিদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকার্য পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত তিনটি প্রধান এজেন্ডা- সংস্কার, নির্বাচন ও বিচার বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার তদন্ত কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জন আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির রাষ্ট্রদ্রোহ সম্পর্কিত ধারায় (১২১/১২১ক/১২৪ক) অভিযোগপত্র দাখিল করেছে সংস্থাটি। এ মামলার বিচারকার্য শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-১৮, ঢাকায় মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আসামিদের অধিকাংশ অনুপস্থিত থাকায় আদালত জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ প্রদান করেন।
ফরেনসিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. রাব্বি আলমসহ দলটির কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পর্যায়ের বেশ কিছু প্রভাবশালী নেতার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে দেশে থাকা সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করে বিভিন্ন জেলা কারাগারে থাকা ৯১ জনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। বাকি ১৯৫ জন আসামি এখনো পলাতক বলে জানা গেছে।
গতকালকের শুনানিতে প্রধান আসামিসহ অধিকাংশ অভিযুক্ত আদালতে অনুপস্থিত থাকায়, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ‘প্রকাশ্য সমন ও গণবিজ্ঞপ্তি’ জারি করার আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে আসামিদের হাজির হতে আহ্বান জানানোর নির্দেশ দেন।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা অনুপস্থিত থাকলে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫১২ ধারার আওতায় অনুপস্থিতিতেই বিচার পরিচালনা করা হবে বলে আদালত উল্লেখ করেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন—রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হওয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও বিচারিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এটি যেমন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘বিচার ও দায়বদ্ধতা’ এজেন্ডার বাস্তব প্রতিফলন, তেমনি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনার দৃঢ় সঙ্কেতও।
রাজবাড়ীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদীতে মা ইলিশ ধরার অপরাধে ১১ জেলেকে আটক করেছে দৌলতদিয়া নৌপুলিশ। এ সময় ৪০ লাখ বর্গমিটার কারেন্ট জাল এবং ১৫ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা।
তিনি বলেন মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, মৎস্য কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উপস্থিতিতে গোয়ালন্দঘাট থানার পদ্মা নদীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ১১ জন জেলেকে মা ইলিশ ধরার সময় হাতেনাতে আটক করা হয়। একই সময়ে প্রায় ৪০ লাখ বর্গমিটার কারেন্ট জাল ও ১৫ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আটককৃত ১১ জন জেলের প্রত্যেককে ১৪ দিন করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজা প্রদান করেন। জব্দকৃত কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। মাছ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’। ১৬৭ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা শহর দুটি ভারতের।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য নেওয়া হয়েছে।
আইকিউএয়ারের দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম অস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ২৬০, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, বায়ুর মানের স্কোর ২২৪, তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা, স্কোর ১৬৮। ১৬৩ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে কাতারের রাজধানী দোহা। দূষিত বাতাসে শীর্ষ দশে থাকা অপর শহরগুলোর বাতাসের মানের স্কোর ১৫৭ থেকে ১৩৯ এর মধ্যে।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা ‘সহনীয়’ ধরা হয় বায়ুর মান। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠী’র (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। আর স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয় এবং ৩০১ এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় আগুনে পুড়ে যাওয়া কেমিক্যাল গোডাউন থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। এ অবস্থায় গোডাউনের পাশের রাইজিং ফ্যাশন নামের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের অনেকে এই কেমিক্যালের প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে শিয়ালবাড়ী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া ওই কেমিক্যাল গোডাউন থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুন নিভে গেছে।
এদিকে, কেমিক্যাল গোডাউনের পাশে অবস্থিত রাইজিং ফ্যাশন নামের একটি গার্মেন্টসের কর্মীরা সকালে কর্মক্ষেত্রে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কথা বলে জানা যায়, দুর্ঘটনার সময় কেমিক্যাল গ্যাসে পুরো গার্মেন্টস ভরে যায়। সকালে গার্মেন্টসে প্রবেশের পর একে একে কর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
রাইজিং ফ্যাশনের কর্মী মো. আল আমিন বলেন, কেমিক্যাল গোডাউনের বিষাক্ত গ্যাসে গার্মেন্টস ভরে ছিল। আমরা সকালে যখন কাজ করতে আসলাম, তখন কেমিক্যাল রিয়েকশনে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এসময় রাইজিং ফ্যাশন নামের ওই গার্মেন্টসের সামনে কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা যায়। তাদের কাউকে কাউকে বাড়ি ফিরে যেতে দেখা যায়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, আগুন লাগার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মৃত ব্যক্তিরা বিষাক্ত ধোঁয়া ও গ্যাসে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন আহত ও দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ১২টির বেশি ইউনিট। ভবনটিতে রাসায়নিক থাকায় এবং প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে ভেতরে প্রবেশ করে উদ্ধার কাজ চালাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের বেশ বেগ পেতে হয়।
দুর্নীতিগ্রস্ত কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচনে মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি অপরাধ ও দুর্নীতির সঙ্গে রাজনীতির যোগসূত্র থাকে। শীর্ষ পর্যায়ে দুর্নীতি রেখে সামগ্রিকভাবে দেশকে ভালো করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সততা আনতে পারলেই দেশের দুর্নীতি দমনে পরিবর্তন আসবে। আমরা জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে সৎ লোককে চাই।
গতকাল মঙ্গলবার দুদকের সম্মেলনকক্ষে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক) সদস্যদের এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি মনোনয়ন না পায়, এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন বেচাকেনা বন্ধ করতে হবে। এটি যদি বন্ধ না করা যায়, তাহলে দুর্নীতি কখনোই নির্মূল হবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে বহু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে প্রায় সর্বস্বান্ত করে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। এসব দুর্নীতির তদন্ত দুদক ভয়ভীতিহীনভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ পলাতক দুর্নীতিবাজদের দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশসহ বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরানো কঠিন হলেও দুদকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এ বিষয়ে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন দুদক সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম, মহাপরিচালক আবদুল্লাহ-আল-জাহিদ এবং আবু হেনা মোস্তফা জামান।
চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাসদের সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ২৩ অক্টোবর। এছাড়া ইনুর সঙ্গে তার আইনজীবীর তিন দিন দুই ঘণ্টা করে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
ইনুর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। ইনুর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাজনীন নাহার।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ রয়েছে হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফসহ চারজনকে আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জড়িত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য আসামি চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত ১৪ আগস্ট মামলায় শেখ হাসিনাসহ মোট ২৮৬ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই আদেশ দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জন ও অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রুজু করে সিআইডি। বিষয়টি সিআইডি থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সিআইডি জানায়, মামলা রুজুর পর সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সার্ভার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্য সংগ্রহ এবং ফরেনসিক বিশ্লেষণ কার্যক্রম শুরু করে সিআইডি। পাশাপাশি সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় সকল সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করে। এভাবে পাঁচ মাসেরও কম সময়ে শেখ হাসিনাসহ মোট ২৮৬ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে সিআইডি।
সিআইডি আরও জানায়, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর জুমে একটি মিটিং করে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামের একটি অনলাইন প্লাটফর্ম। সেখানে অংশগ্রহণ করেন দেশ ও বিদেশ থেকে অনেকেই। সিআইডি জনাতে পারে, ওই মিটিংয়ে বর্তমান সরকারকে উৎখাতের আহ্বান, গৃহযুদ্ধ সৃষ্টির পরিকল্পনা এবং পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠার ঘোষণাসহ রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য রয়েছে। এসব তথ্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের কাছে অভিযোগ দায়েরের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত মার্চে সিআইডিকে অনুমতি দেয়।
এসব তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষার জন্য পাঠালে সেখানে শেখ হাসিনা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. রাব্বি আলমসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের এই রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পায়। অন্যান্য মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য সিআইডি বিজ্ঞ আদালতকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার মাধ্যমে মোট ৯১ জনের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করে। এছাড়া বাকি ১৯৫ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।
গতকাল মামলাটির শুনানি ধার্য ছিল। অধিকাংশ আসামি অনুপস্থিত থাকায় আদালত জাতীয় পত্রিকাতে বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারিক আদালতে বিচারকার্য পরিচালিত হওয়ার আদেশ দেন।
মন্তব্য