করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে নাকি বন্ধই থাকবে, এ বিষয়ে দ্বিমুখী চাপের কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ১৩ জুন খুলে দেয়ার চেষ্টা থাকলেও খুলে দেয়ার মেসেজ থেকে বন্ধ রাখার মেসেজ বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে স্মরণসভায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সব প্রচেষ্টা আছে। যেকোনো সময় চাইলে খুলে দেয়া যায়। যারা আন্দোলন করে যাচ্ছেন খুলে দেয়ার জন্য, তাদের মধ্যে সবার মতামত প্রতিফলিত হয় না। অনেক অভিভাবক সেখানে কথা বলতে পারেন না। আমার কাছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার থেকে বন্ধ থাকার মেসেজ বেশি আছে।
‘আমাদের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সংক্রমণ শতকরা ৫ ভাগের নিচে না নামলে খুলে দেয়া অনুচিত হবে। তবে আমরা অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। দিন দিন সেটা আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে।’
দেশে করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।
২৩ মে থেকে স্কুল-কলেজে খোলার কথা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা ছিল ২৪ মে। কিন্তু দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার। আরও এক দফা বাড়িয়ে ১২ জুন পর্যন্ত করা হয়।
এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সশরীরে ও অনলাইনে নেয়ার অনুমতি-সংবলিত একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
এই চিঠি পাওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, আবাসিক হল না খোলার শর্তে স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের সম্মতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটগুলো সশরীরে পরীক্ষা নিতে পারবে। এ ব্যাপারে প্রস্তুতিও চলছে।
চলমান পরিস্থিতিতে একাডেমিক লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার সুপারিশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেকোনো উপায়ে তাদের পরীক্ষা নিয়ে নেব। সেটা অনলাইনে হোক বা ক্লাসে উপস্থিত হয়ে। সেখানে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়া হবে। আমরা অনুমতি দিয়েছি। কেউ যেন আটকে না থাকে, সে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।’
এ সময় উন্নত বিশ্বের উদাহরণও টানেন শিক্ষামন্ত্রী। জানান, উন্নত বিশ্ব একবার খুলে দেয়ার চেষ্টা করেছে আবার সংক্রমণ বাড়লে বন্ধ করে দিয়েছে। যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা খুবই কম ও স্বাস্থ্যবিধি ষোলো আনা মানা হয়, তারাও খুলতে পারেনি।
‘আমাদের দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি সেখানে আমরা পরিকল্পনা করছি কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করতে পারব। আমাদের সব প্রস্তুতি আছে।’
ভিড় করে মানুষের ঈদযাত্রার উদাহরণ টেনে দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারবার অনুরোধ করেছিলেন আমরা যেন একটু সতর্ক হই। কিন্তু সেটা সবাই করেননি। ঈদযাত্রার কারণে সেই সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। আমরা চাই ১৩ জুন খুলে দেয়ার চেষ্টা করব।
‘আমি তারপরও বলতে চাই, অনেক জায়গা থেকে চাপ আছে। অনেক ধরনের আন্দোলনের ডাক আছে কিন্তু সেটি বৃহত্তর ছাত্রসমাজ বা অভিভাবক আছেন তাদের মতামত প্রতিফলিত করেন না। আমার কাছে খুলে দিন এ-সংক্রান্ত মেসেজ কম আছে। নানা জায়গায় শুনেছি অনেক আন্দোলনের কথা বলা হচ্ছে। তবে আন্দোলনের মুখে জনগণের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারি না।’
শিক্ষাব্যবস্থায় নানা সীমাবদ্ধতার কথাও তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী। বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুলে দিতে চাই। আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। আশা করি, আমরা খুলতে পারব। খোলার পরও আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে যে পরিমাণ শেখ হাসিনা সরকার ভাবে তা অন্য কেউ ভাবে না। তাদের স্বাস্থ্যরক্ষায় আমরা সব সময় সজাগ আছি।’
আরও পড়ুন:বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা।
সোমবার বিকালে অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরের খেলার মাঠ থেকে মিছিলটি বের করা হয়। উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক নজরুলের নেতৃত্বে হাজারো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিবাদ মিছিলটি অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরের বাজার প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তিযোদ্ধা ভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে নিজামুল হক নজরুল ছাড়াও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জুবায়ের হাসান ইয়ামিন বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, বিগত ১৭ বছর আমরা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা যখন হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়েছি, তখন বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ফজলুর রহমান যোগ্য অভিভাবকের মতো আমাদের পাশে থেকেছেন, খোঁজখবর রেখেছেন।
জামায়াত-এনসিপি’র ষড়যন্ত্রের কাছে যদি ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, আমরা অষ্টগ্রাম-ইটনা-মিঠামইনের বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঘরে বসে থাকবো না। আমরা সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে আমাদের নেতাকে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বের করে নিয়ে আসবো। বক্তারা আরো বলেন, এডভোকেট ফজলুর রহমান একজন সৎ, নির্ভীক ও আদর্শবান রাজনীতিক। জামায়াত ও এনসিপি’র একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানকে হেয় করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু তাদের এই মিথ্যা অপপ্রচার ও কুৎসা রটনা অতীতের মতো এবারও ব্যর্থ হবে। গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াইরত একজন পরীক্ষিত রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে অপচেষ্টা চালিয়ে লাভ হবে না। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দ ফজলুর রহমানের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।
হবিগঞ্জের মাধবপুরে র্যাব-৯, সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প, হবিগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল উপজেলার চারাভাঙ্গা এলাকা থেকে ৫৩ কজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক কারবারিকে আটক করেছে। রোববার রাত ১১ টায় উপজেলার চারাভাঙ্গা মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হল উপজেলার উত্তর সুরমা গ্রামের মৃত আবু শামার ছেলে শাহাব উদ্দিন(৩৫) একই উপজেলার গোয়ালনগর গ্রামের মৃত শিরু মিয়ার ছেলে মাসা মিয়া (৩৮),। এসময় মাদক পরিবহন ব্যবহৃত ১টি প্রাইভটকার জব্দ করা হয়। সোমবার সকালে মাদকসহ তাদের মাধবপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। র্যাব ৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ একেএম শহিদুল ইসলাম জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে,তারা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। শাহাবুদ্দিন (৩৫) ও মাসা মিয়া (৩৮) তারা দুজন ৫৩ কজি গাঁজা বিক্রয়র উদ্দেশ্যে নিজ নিজ হেফাজতে রেখেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে পরস্পর যোগসাজসে আর্থিকভাব লাভবান হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয় মাধবপুর সীমাÍবর্তী এলাকা হতে অভিনব কায়দায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা ও গাঁজার গুড়া এনে হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন জায়গায় মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান,র্যাবের হাতে মাদক সহ আটক দু,ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা শেষে আদালতের নির্দেশে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বরগুনার আমতলী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ব্লক পাড় এলাকায় পায়রা নদীতে গোসল করতে নেমে সজল (২২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তিন ঘণ্টা অভিযানের পর তার মরদেহ উদ্ধার করেন ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে সজল গোসল করার জন্য নদীতে নামেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন । অনেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে স্থানীয়রা বিষয়টি থানায় জানায়। খবর পেয়ে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে এবং দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর তার মরদেহ উদ্ধার করেন ।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে জানাই। তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন । তিনি আরও বলেন এটি একটি মর্মান্তিক দূর্ঘটনা, ছেলেটি সাঁতার জানতো না। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
চট্টগ্রাম বোয়ালখালীতে অনুমোদন ও নিবন্ধন ছাড়াই মরিয়ম নূর দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রে বিধিবহির্ভূতভাবে প্রসূতিদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলার অলি বেকারি এলাকার রেসিডেন্স ভবনের দ্বিতীয় তলায় কক্ষ ভাড়া নিয়ে গড়ে উঠে এ দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রটি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে ওই দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
এ সময় মরিয়ম নূর চিকিৎসা কেন্দ্রে অনুমোদন ও নিবন্ধন ছাড়াই প্রসূতিদের প্রেসক্রিপশনে ঔষধ লেখার প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসব অপরাধের দায়ে মরিয়ম নূর দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রের রোকেয়া বেগমকে (৪৮) এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত এই ধরণের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য আদেশ দেয়া হয়।
অভিযানে আদালতকে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতি ও তার মেডিকেল টিম। উপস্থিত ছিলেন বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান ও থানা পুলিশের একটি দল।
বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণে উদ্ভাবনী প্রতিভার খোঁজ এবং তাদের দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর ফার্ম মেশিনারী এন্ড পোস্টহারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (এফএমপিই) বিভাগ এর আয়োজনে সোমবার বারি’র এফএমপিই বিভাগের সেমিনার কক্ষে কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা (এফএমডি) প্রকল্প এর আওতায় “কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণ ও বিকাশ কার্যক্রমের অগ্রগতি” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট, সিমিট বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা ইনস্টিটিউ, ইন্টারন্যাশনাল পটেটো সেন্টার, এসিআই মটরস, মেটাল এগ্রো, উইগ্রো এগ্রি-ফিনটেক, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবকগন অংশগ্রহণ করেন।
বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ আতাউর রহমান। এছাড়াও বারি’র বিভিন্ন কেন্দ্র/আঞ্চলিক কেন্দ্র/উপ-কেন্দ্র/বিভাগ/শাখার সিনিয়র বিজ্ঞানীবৃন্দ এবং বারি’র সাবেক মহাপরিচালক ও পরিচালকবৃন্দ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় প্রকল্পের কার্যক্রমের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এফএমপিই বিভাগ) ও প্রকল্প পরিচালক (এফএমডি) ড. মো. নূরুল আমিন। কর্মশালায় প্রদর্শিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এফএমপিই বিভাগ) ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হক।
কর্মশালার অংশ হিসেবে পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনাগুলির বিভিন্ন নতুন ভাবনা উপস্থাপন করেন। এসময় কৃষি ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী সনাতন যন্ত্রপাতি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। একইসাথে, প্রকল্পের আওতায় উদ্ভাবিত আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও কার্যকর পদ্ধতিগুলোর প্রদর্শনীও অনুষ্ঠিত হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নতুন ধারণা সৃষ্টি ও প্রযুক্তি স্থানান্তরে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অনুষ্ঠানে প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন সময়ে উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ থেকে সেরা দশ উদ্ভাবকগনকে সনদ, ক্রেস্ট ও পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান এর সভাপতিত্বে আজ রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক শ্রম মান বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শ্রম সচিব বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ৩৬টি কনভেনশন ও একটি প্রটোকল অনুমোদন করেছে। আইএলও সংবিধান অনুযায়ী, অনুমোদিত ও অননুমোদিত উভয় ধরনের সনদের প্রয়োগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা সকল সদস্য রাষ্ট্রের জন্য বাধ্যতামূলক। এই কমিটি আইএলও কনভেনশন ১৪৪-এর বাধ্যবাধকতার আলোকে বাংলাদেশ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনে মালিকপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর মতামত, পরামর্শ ও সুপারিশ নিশ্চিত করবে।
সচিব আরও উল্লেখ করেন যে, আইএলও এর ১১টি কনভেনশন (C-01, C-14, C-19, C-81, C-89, C-100, C-106, C-111, C-118, C-138, MLC-2006) নিয়ে আলোচনা করা হয়। এগুলোর মধ্যে C-81 (শ্রম পরিদর্শন), C-100 (নারী ও পুরুষের সমান পারিশ্রমিক), C-111 (কর্মসংস্থান ও পেশায় বৈষম্য) এবং C-138 (ন্যূনতম কাজের বয়স) বিষয়ক চূড়ান্ত প্রতিবেদন আইএলও সংবিধানের ২২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে খুব দ্রুত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার জেনেভাস্থ প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে।
সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধি নিরান রাজমুঠান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, ইমপ্লোয়ার্স ফেডারেশন এর প্রতিনিধি , ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি , বেপজা প্রতিনিধি , NCCWE এর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গবাদিপশু পালন প্রোটিন ঘাটতি নিরসন, মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা এবং জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। অথচ অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে চারণভূমির হ্রাস হচ্ছে, ফলে মহিষের মতো মূল্যবান সম্পদ ক্ষতির মুখে পড়ছে।
আজ সকালে বরিশাল ক্লাবে অনুষ্ঠিত “উপকূলীয় এলাকার মহিষের চারণভূমি ও উন্নয়নের সমস্যা এবং সমাধান” শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা ২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ বাফেলো এসোসিয়েশন, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজিইউএস) এবং কোস্টাল ভেট সোসাইটি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, সঠিক নীতি নির্ধারণ ও আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের মাধ্যমে এখনো অনেক চরাঞ্চল রক্ষা করা সম্ভব। মহিষ পালন বাড়াতে পারলে জাতীয়ভাবে মাংস ও দুধ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা যাবে।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মহিষের চারণভূমি দ্রুত কমে যাচ্ছে। অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণ এবং এমনকি সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলায় বৃহৎ গরুর বাথান ভরাট করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিও উঠছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি প্রশ্ন তোলেন, শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের উদ্দেশ্যে গরুর বাথান ধ্বংস করা দেশের সামগ্রিক কল্যাণে কতটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে? তিনি আরও বলেন, মহিষের স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয় বিবেচনায় উপকূলীয় এলাকায় স্পিডবোটভিত্তিক ভেটেরিনারি ক্লিনিক স্থাপন করা প্রয়োজন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে গবাদিপশুর চারণভূমি কমে যাওয়া এবং খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মহিষসহ অন্যান্য গবাদিপশুর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ ও টেকসই চারণভূমি উন্নয়ন অপরিহার্য। পাশাপাশি মহিষের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাতীয়ভাবে মাংস ও দুধ উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানান তারা।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বাফেলো এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ওমর ফারুক।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং, পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, জিজিইউএস-এর নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, স্হানীয় খামারীরা কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।
মন্তব্য