× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে দ্বিমুখী চাপ শিক্ষামন্ত্রী
google_news print-icon

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে দ্বিমুখী চাপ: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-খোলা-নিয়ে-দ্বিমুখী-চাপ-শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সব প্রচেষ্টা আছে। যেকোনো সময় চাইলে খুলে দেয়া যায়। যারা আন্দোলন করে যাচ্ছেন খুলে দেয়ার জন্য, তাদের মধ্যে সবার মতামত প্রতিফলিত হয় না। অনেক অভিভাবক সেখানে কথা বলতে পারেন না। আমার কাছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার থেকে বন্ধ থাকার মেসেজ বেশি আছে।’

করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে নাকি বন্ধই থাকবে, এ বিষয়ে দ্বিমুখী চাপের কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ১৩ জুন খুলে দেয়ার চেষ্টা থাকলেও খুলে দেয়ার মেসেজ থেকে বন্ধ রাখার মেসেজ বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে স্মরণসভায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সব প্রচেষ্টা আছে। যেকোনো সময় চাইলে খুলে দেয়া যায়। যারা আন্দোলন করে যাচ্ছেন খুলে দেয়ার জন্য, তাদের মধ্যে সবার মতামত প্রতিফলিত হয় না। অনেক অভিভাবক সেখানে কথা বলতে পারেন না। আমার কাছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার থেকে বন্ধ থাকার মেসেজ বেশি আছে।

‘আমাদের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সংক্রমণ শতকরা ৫ ভাগের নিচে না নামলে খুলে দেয়া অনুচিত হবে। তবে আমরা অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। দিন দিন সেটা আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে।’

দেশে করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।

২৩ মে থেকে স্কুল-কলেজে খোলার কথা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা ছিল ২৪ মে। কিন্তু দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার। আরও এক দফা বাড়িয়ে ১২ জুন পর্যন্ত করা হয়।

এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সশরীরে ও অনলাইনে নেয়ার অনুমতি-সংবলিত একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এই চিঠি পাওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, আবাসিক হল না খোলার শর্তে স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের সম্মতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটগুলো সশরীরে পরীক্ষা নিতে পারবে। এ ব্যাপারে প্রস্তুতিও চলছে।

চলমান পরিস্থিতিতে একাডেমিক লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার সুপারিশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেকোনো উপায়ে তাদের পরীক্ষা নিয়ে নেব। সেটা অনলাইনে হোক বা ক্লাসে উপস্থিত হয়ে। সেখানে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়া হবে। আমরা অনুমতি দিয়েছি। কেউ যেন আটকে না থাকে, সে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।’

এ সময় উন্নত বিশ্বের উদাহরণও টানেন শিক্ষামন্ত্রী। জানান, উন্নত বিশ্ব একবার খুলে দেয়ার চেষ্টা করেছে আবার সংক্রমণ বাড়লে বন্ধ করে দিয়েছে। যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা খুবই কম ও স্বাস্থ্যবিধি ষোলো আনা মানা হয়, তারাও খুলতে পারেনি।

‘আমাদের দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি সেখানে আমরা পরিকল্পনা করছি কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করতে পারব। আমাদের সব প্রস্তুতি আছে।’

ভিড় করে মানুষের ঈদযাত্রার উদাহরণ টেনে দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারবার অনুরোধ করেছিলেন আমরা যেন একটু সতর্ক হই। কিন্তু সেটা সবাই করেননি। ঈদযাত্রার কারণে সেই সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। আমরা চাই ১৩ জুন খুলে দেয়ার চেষ্টা করব।

‘আমি তারপরও বলতে চাই, অনেক জায়গা থেকে চাপ আছে। অনেক ধরনের আন্দোলনের ডাক আছে কিন্তু সেটি বৃহত্তর ছাত্রসমাজ বা অভিভাবক আছেন তাদের মতামত প্রতিফলিত করেন না। আমার কাছে খুলে দিন এ-সংক্রান্ত মেসেজ কম আছে। নানা জায়গায় শুনেছি অনেক আন্দোলনের কথা বলা হচ্ছে। তবে আন্দোলনের মুখে জনগণের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারি না।’

শিক্ষাব্যবস্থায় নানা সীমাবদ্ধতার কথাও তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী। বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুলে দিতে চাই। আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। আশা করি, আমরা খুলতে পারব। খোলার পরও আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে যে পরিমাণ শেখ হাসিনা সরকার ভাবে তা অন্য কেউ ভাবে না। তাদের স্বাস্থ্যরক্ষায় আমরা সব সময় সজাগ আছি।’

আরও পড়ুন:
স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা আসতে পারে বুধবার
স্কুলের প্রধান শিক্ষক এখন চা বিক্রেতা
খুলছে না বিশ্ববিদ্যালয়-কওমি
কিন্ডারগার্টেন-প্রাথমিকেও বাড়ল ছুটি
খুলছে না স্কুল-কলেজ, বাড়ল ছুটি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Dhaka today has the fourth highest pollution in the world this month

ঢাকায় আজ এ মাসের সর্বোচ্চ দূষণ, বিশ্বে চতুর্থ

ঢাকায় আজ এ মাসের সর্বোচ্চ দূষণ, বিশ্বে চতুর্থ

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় আবারও জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এতে ঢাকা আজ চতুর্থ শহর হিসেবে অবস্থান করছে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ার-এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বায়ু মান সূচক (AQI) দাঁড়িয়েছে ১৫৯, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে পড়ে।

তালিকায় শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর (AQI 311), এরপর ভারতের দিল্লি (AQI 222), ও কলকাতা (AQI 198)। ঢাকার ঠিক নিচে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (AQI 159)।

আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে আইকিউএয়ারের ঢাকার গড় বায়ুমান ১৯৩। এই মান অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

রাজধানীতে চলতি মাসে বায়ুর মান এতটা খারাপ হয়নি। বায়ুর মান ২০১ হলে তাকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। আজ অবশ্য নগরীর দু-একটি স্থান আছে, যেখানে বায়ুর মান খুব অস্বাস্থ্যকর। মোট আটটি স্থানে বায়ু অনেক বেশি দূষিত।

বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের অবস্থা নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সেই সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

নগরীর ৮ এলাকায় দূষণ বেশি

নগরীর আট এলাকায় দূষণ পরিস্থিতি বেশ খারাপ। এসব এলাকার মধ্যে শীর্ষে আছে পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ি, স্কোর ২৫৫। এই মানকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়।

বাকি সাত এলাকা হলো বে’জ এজ ওয়াটার (১৯৩), কল্যাণপুর (১৯৩), দক্ষিণ পল্লবী (১৯৩), গোরান (১৯১), ইস্টার্ন হাউজিং (১৮৩), গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (১৭১) ও শান্তা ফোরাম (১৬৮)।

আজ ঢাকা ও অন্য শহরগুলোর যে বায়ুমান, এর পরিপ্রেক্ষিতে নগরবাসীর জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে আইকিউএয়ার। এর মধ্যে আছে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরে যেতে হবে, জানালা বন্ধ রাখতে হবে, ঘরের বাইরে ব্যায়াম যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। আর যেসব এলাকায় বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর, সেসব এলাকায় অবশ্যই বাড়ির বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে।

মন্তব্য

শিক্ষা
The Chief Justice asked for an explanation for granting a large number of bails

বিপুল সংখ্যক জামিন দেয়ায় ব্যাখ্যা চাইলেন প্রধান বিচারপতি

বিপুল সংখ্যক জামিন দেয়ায় ব্যাখ্যা চাইলেন প্রধান বিচারপতি

বিপুল সংখ্যক আসামির জামিন দেয়ায় হাইকোর্টের তিন বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে জুলাই-আগস্টের একটি হত্যা মামলার আসামি আব্দুল হক প্রামাণিকের জামিন শুনতে বিব্রতবোধ করেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্ট বিভাগের এ তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি জাকির হোসেন।

মন্তব্য

শিক্ষা
A missile attack on Brussels will wipe Moscow off the map

ব্রাসেলসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলে মস্কোকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলব

ব্রাসেলসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলে মস্কোকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলব

রাশিয়া যদি বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, তবে পাল্টা হামলা চালিয়ে মস্কোকে “মানচিত্র থেকে মুছে দেবে” ন্যাটো। এমন কড়া হুঁশিয়ারিই দিয়েছেন বেলজিয়ামের প্রতিরক্ষামন্ত্রী থিও ফ্রাঙ্কেন।

একইসঙ্গে ইউরোপে ৬০০টি এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

সোমবার বেলজিয়ান দৈনিক ডি মর্গেন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্রাঙ্কেন বলেন, “যদি (রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির) পুতিন ব্রাসেলসের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে, আমরা মস্কোকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলব।”

ন্যাটোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ইউরোপে যেসব সংশয় দেখা দিয়েছে, তা তিনি গুরুত্বহীন বলে মন্তব্য করেন।

ফ্রাঙ্কেন বলেন, “ইউরোপে আমেরিকান সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাত এতটাই প্রবল যে সেটা অবিশ্বাস্য। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র শতভাগ ন্যাটো মিত্রদের পাশে থাকবে। ব্রাসেলসে ক্রুজ মিসাইল হামলা? এটা তো বোঝাই যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে কেউই দ্বিধা করবে না। পুতিনও এটা জানেন।”

তবে তিনি সতর্ক করে দেন, রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে ছোট করে দেখার ভুল যেন কেউ না করে।

তার ভাষায়, “রাশিয়া এখন তার সামরিক সক্ষমতা অনেক বাড়িয়েছে। তাদের যুদ্ধ অর্থনীতি এখন ন্যাটোর সব দেশ মিলে যত গোলাবারুদ তৈরি করে, তার চারগুণ উৎপাদন করছে। অথচ ইউরোপের এখনো কোনো কেন্দ্রীয় সামরিক কমান্ড নেই।”

ফ্রাঙ্কেন বলেন, “রাশিয়া ইউক্রেনে সমস্যায় পড়েছে কারণ তারা পুরো পশ্চিমা বিশ্বের বিপক্ষে লড়ছে। ইউক্রেনীয়রা আমাদের অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অর্থ দিয়েই যুদ্ধ চালাচ্ছে, নইলে অনেক আগেই তারা পরাজিত হতো।”

আগামীদিনের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ফ্রাঙ্কেন বলেন, পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে রাশিয়া ও চীনের যৌথ চ্যালেঞ্জের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

তিনি বলেন, “চীন চায় ইউক্রেনের যুদ্ধ যতদিন সম্ভব চলুক, কারণ এতে পশ্চিমা বিশ্ব দুর্বল হবে। চীন বিপুল পরিমাণে রাশিয়ার কাঁচামাল কিনছে, অস্ত্র সরবরাহ করছে, আর রাশিয়ায় উত্তর কোরীয় সৈন্য পাঠানোকেও তারা ভালো চোখে দেখছে।”

ফ্রাঙ্কেন আরও বলেন, “রাশিয়া নিকট ভবিষ্যতে বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোতে বড় আক্রমণ করবে বলে মনে হয় না। কারণ, সেগুলো ন্যাটো সদস্য। খুব শিগগিরই ইউরোপে ৬০০টি এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান মোতায়েন হবে। রাশিয়ানরা এগুলোকে ভয় পায়, কারণ তাদের পক্ষে এগুলো শনাক্ত করা সম্ভব নয়।”

মন্তব্য

শিক্ষা
Teachers Controversial Comment Sparks Midnight Protest in Rabi

শিক্ষকের ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য, রাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ

শিক্ষকের ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য, রাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ আল মামুনের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মধ্যরাতে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১১টায় বিশ্বিবদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে তারা এই বিক্ষোভ শুরু করেন।

অধ্যাপক মামুন তার ফেসবুকে রাকসু হল সংসদের নারীদের শপথ গ্রহণের ছবি দিয়ে লেখেন ‘এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আমি এন্ডর্স করছি। কাল আমি এরকম ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পরে ও হাতে নিয়ে ক্লাসে যাবো। পরবো টু-কোয়াটার, আর হাতে থাকবে মদের বোতল। মদ তো ড্রাগ না! মদ পান করার লাইসেন্সও আমার আছে! শিবির আইসেন, সাংবাদিকরাও আইসেন!’

তার এই পোস্টের পরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। পরবর্তীতে তিনি পোস্টটি ডিলিট করে দেন। এরপরই শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভের ডাক দেন। হল থেকে শিক্ষার্থীরা জোহা চত্বরে জড়ো হন। তারপর সেখান থেকে পশ্চিমপাড়ায় মেয়েদের হলগুলোর সামনে দিয়ে বিক্ষোভ নিয়ে যান তারা। এ সময় হল থেকে অন্য মেয়েরাও যুক্ত হন বিক্ষোভে।

এ সময় তারা ‘মামুনের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘মামুনের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না, ‘মদখোরের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘তোমার আমার পরিচয়, হিজাব হিজাব’, ‘রাবিয়ানদের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

মন্তব্য

শিক্ষা
Freight train hit by truck in Chittagong

চট্টগ্রামে মালবাহী ট্রেনে ট্রাকের ধাক্কা

চট্টগ্রামে মালবাহী ট্রেনে ট্রাকের ধাক্কা

চট্টগ্রামের সাগরিকা এলাকায় মালবাহী একটি ট্রেনে ধাক্কা দিয়েছে চালবোঝাই একটি ট্রাক। এতে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে ট্রাক, লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেন। দুর্ঘটনার ফলে মালবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে নগরীর সাগরিকা স্টেডিয়াম রেলগেইট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ভোরে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালবাহী ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। সাগরিকা এলাকায় পৌঁছালে একটি ট্রাক সিগন্যাল না মেনে ট্রেনের ইঞ্জিনে সজোরে আঘাত করে। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন উল্টে যায়।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ট্রাক ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে মালবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। লাইনটি শুধু মালবাহী ট্রেন ও কনটেইনার পরিবহনের জন্য ব্যবহার হয়। এতে যাত্রীবাহী কোনো ট্রেন চট্টগ্রামে সমস্যা হচ্ছে না। ট্রেনটি উদ্ধারের কাজ চলছে।’

মন্তব্য

শিক্ষা
July Charter Implementation Commission recommendations submitted today

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কমিশনের সুপারিশ জমা আজ

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কমিশনের সুপারিশ জমা আজ

সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই সুপারিশ হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে সোমবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয় কমিশনের সমাপনী বৈঠক। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এতে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ সহ ৬ সদস্য ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। অন্য সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নেও সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কমিশন সদস্যরা।

এসময়, কমিশন গঠনের পর থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদান পর্যন্ত সমস্ত ডকুমেন্ট, আলোচনার ভিডিও, অডিও, ছবি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

গত ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। এতে বিএনপি-জামায়াতসহ প্রথম ধাপে ২৪টি রাজনৈতিকদল ও জোট এতে স্বাক্ষর করেন। এর ২ দিন পরে জাতীয় জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে গণফোরাম।

তবে এখনও সই করেনি এনসিপিসহ কয়েকটি বাম দল। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক বসে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য কাজ করেছে- উল্লেখ করে কমিশন সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আইন বিশেষজ্ঞ, বিচারপতি, শিক্ষাবিদসহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে।’

মন্তব্য

শিক্ষা
100000 Skilled Worker Recruitment Progress in Japan

জাপানে এক লাখ দক্ষ কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিসিসি প্রতিনিধিদলের বৈঠক
জাপানে এক লাখ দক্ষ কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি

বাংলাদেশ থেকে এক লাখ দক্ষ কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি জানাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে জাপানের ব্যবসায়িক ফেডারেশন ‘ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভস’ (এনবিসিসি)।

সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা যমুনায় এনবিসিসির ২৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

সমঝোতা স্মারক ও নিয়োগ পরিকল্পনা

‘ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভস’ হলো ৬৫টিরও বেশি কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত একটি জাপানি ব্যবসায়িক ফেডারেশন। সম্প্রতি সংস্থাটি বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (MoI) স্বাক্ষর করেছে, যার লক্ষ্য জাপানে বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীদের প্রশিক্ষণ, সার্টিফিকেশন ও কর্মসংস্থানের জন্য একটি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা।

এই চুক্তির আওতায় আগামী পাঁচ বছরে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম (TITP) এবং স্পেসিফাইড স্কিলড ওয়ার্কার্স (SSW) কর্মসূচির অধীনে এক লাখের বেশি কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, সমঝোতা স্মারকের আওতায় প্রথম ধাপে আগামী বছর দুই হাজার দক্ষ কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। পরবর্তী ধাপে ২০২৭ সালে ছয় হাজার এবং ২০২৮ সালে ১৮ হাজার কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

এর মধ্যে নির্মাণ, সেবা, এভিয়েশন, গার্মেন্টস ও কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে গাড়িচালক, অটোমোবাইল ও রিসাইক্লিং খাতেও দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়বে বলে প্রতিনিধি দল জানায়।

প্রশিক্ষণ কার্যক্রম

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যে খুলনা ও গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সম্ভাব্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এনবিসিসির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইতোমধ্যেই কেন্দ্র দুটি পরিদর্শন করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে কর্মীদের প্রশিক্ষণে কোনো ঘাটতি আছে কি না জানতে চান। জবাবে এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা বলেন, “আমি গত মার্চ মাসে ট্রেনিং সেন্টার দুটি পরিদর্শন করেছিলাম। এবার এসে অবাক হয়েছি—সাত মাসের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা খুবই সন্তুষ্ট। আমরা আশাবাদী, আগামী বছরই দুই হাজার দক্ষ কর্মী নিয়োগ দিতে পারব।”

তবে তিনি প্রশিক্ষকদের ভাষাগত দক্ষতা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

ভাষা প্রশিক্ষণ ও নারীদের অংশগ্রহণ

ভাষাগত দক্ষতা অর্জনকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এর জন্য ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়া যেতে পারে। জাপান থেকে শিক্ষকরা অনলাইনে ক্লাস নেবেন। পাশাপাশি, জাপান থেকে প্রশিক্ষকদের এনে এখানে প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা যেতে পারে।”

তিনি বাংলাদেশের নারীদের পরিশ্রম ও পারদর্শিতার প্রশংসা করে বলেন, “কেয়ারগিভিং সেক্টরে বাংলাদেশের নারীরা অনন্য। ভাষাগত দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পেলে তারা জাপানের কেয়ারগিভিং সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “প্রথমে কিছুটা কঠিন মনে হলেও একবার প্রশিক্ষণ পেলে বাংলাদেশের মেয়েরা নিজেরাই অন্যদের শেখাতে পারবে। একবার যাওয়া শুরু হলে অন্যরাও উৎসাহ পাবে।”

এনবিসিসি প্রতিনিধিরা জানান, আগামী কয়েক বছরে জাপানে ৪ লাখের বেশি দক্ষ নার্সের প্রয়োজন হবে। তাই বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি নার্স নিয়োগের বিষয়টি তারা বিবেচনা করছেন।

সরকারের উদ্যোগ

বৈঠকে উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, সরকার জাপানে কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করছে। এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করা হবে। তিনি জানান, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে জাপানে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনে একটি বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে