খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন।
রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজির অধ্যাপক মাহমুদ হোসেন চার বছরের জন্য এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তিনি দায়িত্ব নেবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
২৯ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হয়। সেই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদটি শূন্য ছিল। প্রায় চার মাস পর সেই পদে নিয়োগ পেলেন মাহমুদ হোসেন।
মাহমুদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ১২তম উপাচার্য। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হিসেবে তিনি দ্বিতীয়।
১৯৭২ সালের ২২ আগস্ট বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার মধ্য কচুবুনিয়া গ্রামে জন্ম মাহমুদ হোসেনের। ১৯৯৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স থেকে বনবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানগ্রোভ ইকোলজির ওপর স্নাতকোত্তর এবং ২০০৪ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি পান তিনি।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাগুলোর লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা পর্যায়ে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষা চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত।
তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। পরীক্ষার কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫টি আর কক্ষের সংখ্যা ৮ হাজার ১৮৬টি।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাগুলোর লিখিত পরীক্ষা হচ্ছে শুক্রবার।
জেলা পর্যায়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত সব ধরনের সামগ্রী এরই মধ্যে জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা সম্পাদনের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। পরীক্ষার কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫টি আর কক্ষের সংখ্যা ৮ হাজার ১৮৬টি।
পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ০২৫৫০৭৪৯৬৯ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন:সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাগুলোর লিখিত পরীক্ষা হবে শুক্রবার।
জেলা পর্যায়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত সব ধরনের সামগ্রী এরই মধ্যে জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা সম্পাদনের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। পরীক্ষার কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫টি আর কক্ষের সংখ্যা ৮ হাজার ১৮৬টি।
পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ০২৫৫০৭৪৯৬৯ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন:৪১তম বিসিএসের নন ক্যাডার থেকে সবমিলিয়ে ৩ হাজার ১৬৪ জনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের রোল নম্বর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। কোন পদে কতজন নিয়োগ পাচ্ছেন তা-ও জানানো হয়েছে এই তালিকায়।
এর আগে গত ৩ আগস্ট প্রকাশ করা হয় ৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ৫২০ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে সবচেয়ে বেশি ৮৮৮ জনকে সুপারিশ করা হয় শিক্ষা ক্যাডারে। এছাড়া প্রশাসন ক্যাডারে ৩২৩, পুলিশে ১০০, পররাষ্ট্রে ২৫, স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন ১০৮, ডেন্টিস্ট ১৭১, কৃষি ক্যাডারে ২৩০, বন ক্যাডারে ৩৬, পশুসম্পদ ক্যাডারে ৭৬, তথ্য ক্যাডারের তিন পদে ৩৮, কর ক্যাডারে ৬০ ও অন্যান্য ক্যাডারে ৪৬৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
তখন নন ক্যাডারে ৯ হাজার ৮২১ জন প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশ করে পিএসসি।
৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর। তাতে আবেদন পড়ে চার লক্ষাধিক। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতে প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করে পিএসসি। তাতে উত্তীর্ণ হওয়া ২১ হাজার ৫৬ জন উত্তীর্ণ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।
২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
গত বছরের ১০ নভেম্বর ওই লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। তাতে উত্তীর্ণ হন ১৩ হাজার প্রার্থী। সবশেষে মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয় চলতি বছরের ২৬ জুন।
বিভিন্ন দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন খুকৃবির (খুকৃবি) ৩০ জন শিক্ষক। এর মধ্যে রয়েছেন ২৩ জন বিভাগীয় প্রধান, চারজন হল প্রাধ্যক্ষ এবং তিনজন আইকিউএসি সেলের প্রধান।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে শিক্ষক সমিতির কাছে তারা নিজেদের পদত্যাগের বিষয়টি অবহিত করেন। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগপত্রগুলো জমা দিতে যান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি থেকে সবার পদত্যাগপত্র নিয়ে আসা হয়েছিল। এতগুলো পদত্যাগপত্র নিতে ঝামেলা হওয়ায় একটি ফরোয়াডিং লেটার দিয়ে পদত্যাগপত্রগুলো পাঠাতে বলা হয়েছে।’
মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকরা। এ নিয়ে শিক্ষকদের দ্বিতীয় দফা আন্দোলন শুরু হয়। এর আগে গত অক্টোবরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা দ্রুত পাওয়ার দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলন করেছিলেন তারা। এবার শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
শিক্ষকদের দাবি, খুকৃবির চলমান সঙ্কট নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুস্পষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পাঠানো হয়। ওই নির্দেশনা মেনে নিয়েছিলেন শিক্ষকরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ওই নির্দেশনা হুবহু না মেনে নিজেদের মত করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ৩৮ জন শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে গেছে।
খুকৃবির শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক বিদ্যুৎ মাতুব্বর বলেন, ‘৩২ জন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না মানায় বিভিন্ন পদের ৩০ জনই শিক্ষক সমিতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ওই পদত্যাগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে- এমন অভিযোগে ৭৩ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তের প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশনা দেয়া হয়। গত জুন মাসে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে নিয়োগের ব্যাপারটি পুনরায় তদন্ত করার জন্য আবেদন করেন শিক্ষকরা। আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ৬ নভেম্বর পুনরায় তদন্তের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ওই নির্দেশনা পরিপালন করে অগ্রগতি প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার মধ্যে ছিল- খুকৃবির প্রথম ও সাবেক উপাচার্য মো. শহীদুর রহমান খানের ছেলে-মেয়েসহ ৬ স্বজনের নিয়োগ বাতিল করা। এর মধ্যে একজন শিক্ষক এবং ৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন।
নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের জন্য আগের যে নির্দেশনা ছিল তার মধ্যে শুধু সাবেক উপাচার্যের মেয়ে ছাড়া সবার ক্ষেত্রে তা স্থগিত করা হয়। তবে নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত বাতিল হলেও ২৪ শিক্ষকের পদোন্নতি স্থগিত ও এক শিক্ষকের পদোন্নতি বাতিল, একজন শিক্ষকের পদাবনতি করা হয়। আর অন্য ৪৬ জন শিক্ষক ও ৩ কর্মচারীর নিয়োগের বিষয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়।
যে ২৪ জন শিক্ষকের পদোন্নতি স্থগিত রাখা হয়, তার মধ্যে রয়েছেন ২০ জন প্রভাষক ও ৪ জন সহকারী অধ্যাপক। ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর জার্নালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আর্টিকেলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কমপক্ষে একটি আর্টিকেল প্রথম লেখক হিসেবে প্রকাশ না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ওই ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনা পুরোপুরি পরিপালন করার দাবি করছেন শিক্ষকরা।
খুকৃবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনা পরিপালনের জন্য তা সিন্ডিকেটের ১৪তম সভায় তোলা হয়। গত ১৮ নভেম্বর ওই সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় যাদের চাকরি বাতিলের কথা বলা হয়েছিল তারা উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন। এ কারণে ওই ব্যাপারটি নিয়ে সিন্ডিকেট সভায় কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। নির্দেশনার অন্য দুটি সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেট সভা নিজেদের মতো করে নিয়ে মন্ত্রণালয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খুকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম হলো, কোনো কিছু পাস করতে হলে তা সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার মধ্যে চারটি ধারা ও চারটি উপধারা ছিল। যে নির্দেশনায় চাকরি বাতিলের কথা বলা হয়েছিল, মামলা থাকায় সেখানে সিন্ডিকেট সদস্যরা কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। দুটি নির্দেশনা বাদে অন্য সবগুলো নির্দেশনা হুবহু পরিপালন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুল আলমের পদাবনতির ব্যাপারটিতে তদন্তের জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কারণে তিনি সব শিক্ষকদের বুঝিয়ে পদত্যাগে উদ্বুদ্ধ করেছেন।’
খুকৃবির প্রথম উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মো. শহীদুর রহমান খান বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। তার চার বছর মেয়াদে অনুমোদন পাওয়া ৪৪৭ পদের মধ্যে ছেলে-মেয়ে, শ্যালক, ভাতিজাসহ ৪২৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ বাড়াতে চার বছরে পাঁচ অনুষদের ৪৩ বিভাগ চালু করা হয়।
নিয়োগে অনিয়ম দেখে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সিন্ডিকেটের পাঁচ সদস্য। চিঠিতে তারা লিখেছিলেন, ‘খুকৃবিতে নিয়োগের শুরু থেকেই অস্বচ্ছতা ও আত্মীয়করণ দেখা যাচ্ছে। বিষয়টির যথাযথ তদন্ত করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টিকে অদক্ষ জনবল ও আত্মীয়করণের হাত থেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।’
নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ২০২০ সালের নভেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত কমিটি করে ইউজিসি। এক বছরের বেশি সময় পর তদন্ত কমিটি ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৩ আগস্ট উপাচার্যের ছেলে-মেয়েসহ ৯ স্বজন ও ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। এর আগে অনিয়ম হওয়ায় কয়েক দফা নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি।
আরও পড়ুন:ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দায়িত্বরত দুই আনসার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চবির ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ইনস্টিটিউটে দায়িত্ব পালন করা ওই দুজনকে বহিষ্কার করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন মো. আশিকুর রহমান ও মো. আনিসুর রহমান।
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা কমান্ড্যান্ট এএইচএম সাইফুল্লাহ হাবিব।
এ বিষয়ে ছাত্রীরা অভিযোগপত্রে লেখেন, আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ইনস্টিটিউটের ২০২১-২২ সেশনের ছাত্রী। সম্প্রতি আমাদের কয়েকজন ছাত্রী ফরেস্ট্রিতে কর্মরত নিরাপত্তাকর্মী দ্বারা ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছি।
অভিযোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তারা (অভিযুক্ত দুই আনসান সদস্য) অপ্রস্তুত অবস্থায় মেয়েদের ছবি তোলেন, ইচ্ছাকৃত মেয়েদের ওয়াশরুমে বসে থাকেন, ফরেস্ট্রির রাস্তায় মেয়েদের দিকে বাজেভাবে তাকান, মেয়েদের দেখলে শিস দেন, গান গায় এবং ডিউটি বাদ দিয়ে একাডেমিক ভবনে ঘোরাফেরা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম মুরাদ বলেন, ‘ছাত্রীরা অভিযোগ দিয়েছে কিছুদিন আগের একটা অনুষ্ঠানে ছাত্রীদের অনুমতি ছাড়া তারা (অভিযুক্ত দুই আনসান সদস্য) ছবি তুলেছেন৷
‘এ ছাড়া তাদের একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে লেডিস ওয়াশরুমের আশেপাশে দেখেছে৷ এটা নিয়ে আজ ছাত্ররা দুই আনসার সদস্যকে আটকিয়ে রেখে আমাদের খবর দেয়। ছাত্রীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে দুই আনসার সদস্যকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করে জেলা কমান্ড্যান্ট বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির চট্টগ্রাম জেলা কমান্ড্যান্ট এএইচএম সাইফুল্লাহ হাবিব বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের চবি থেকে প্রত্যাহারপূর্বক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট দিলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার গণিতের প্রশ্ন ফাঁস করে বিক্রি করার দায়ে ইমাম হোসেন টুটুল নামের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র হালদার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।
ইমাম হোসেন টুটুল টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের ১১ নম্বর দক্ষিণ বর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
এ বিষয়ে অবিভাবক রিনা বেগম ও কুমকুম বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ২৩ নভেম্বর দুপুরে চারুকারু পরীক্ষা শেষ হয়। এরপর শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুল তার মোবাইল নম্বর কাগজে লিখে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে অভিভাবকদের ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন। আমরা কয়েকজন অভিভাবক ওই নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করি। তখন ৫ শ’ টাকা থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে গণিতের প্রশ্ন পাওয়া যাবে বলে টুটুল স্যার আমাদের প্রস্তাব দেন। কয়েকজন টাকা দিয়ে পরীক্ষার আগের দিন সন্ধ্যায় (২৫ নভেম্বর) গণিতের প্রশ্ন নেন ওই শিক্ষকের কাছ থেকে। কিন্তু শিক্ষকের এ ধরনের কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে আমরা কয়েকজন মিলে এ সংক্রান্ত কয়েকটি কল রেকর্ড টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমরান শেখ ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠিয়ে দেই।’
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমরান শেখ বলেন, ‘আমরা ২৫ নভেম্বর রাতেই টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল-মামুন ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাই। পরে ওই রাতেই ইউএনও এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শে ওই তিন শ্রেণির গণিত প্রশ্ন পরিবর্তন করা হয় বলে আমরা জানতে পারি।’
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘গত ২৬ নভেম্বর নতুন প্রশ্নে ৩ নম্বর ক্লাস্টারের ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ওই ক্লাস্টারভূক্ত ২৬টি বিদ্যালয়ে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছিল।’
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার পর ইউএনও এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিক তদন্তে প্রশ্ন বিক্রির সত্যতা মিলেছে। তাই সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ধারা ২০১৮-এর ৩ (বি) ধারায় অভিযুক্ত করে শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুলকে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।’
এ বিষয়ে জানতে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুলের মোবাইল নম্বরে বারবার কল করা হলেও তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য