× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে কবে জানে না কেউ
google_news print-icon

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কবে জানে না কেউ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-খুলবে-কবে-জানে-না-কেউ
স্কুল প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের এমন উচ্ছ্বাস কবে ফিরবে। ছবি: সাইফুল ইসলাম
মাউশির মহাপরিচালক গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমরা তো স্কুল খোলার তারিখ অনেকবার পরিবর্তন করেছি। কিন্তু পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে আমরাও পরিবর্তন হই। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত আগের মতোই আছে। এখন পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা।’

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সরকারের সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ২৩ মে খোলার কথা রয়েছে স্কুল-কলেজ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে না আসায় প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে।

২৩ মে স্কুল-কলেজ খুলবে কি না, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউই। এতে অনিশ্চয়তায় রয়েছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বলছে, করোনা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে তারা।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সব রেডি করে বসে আছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আমরা খুলব। স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত এখনও আগের মতোই আছে।

‘আমরা তো স্কুল খোলার তারিখ অনেকবার পরিবর্তন করেছি। কিন্তু পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে আমরাও পরিবর্তন হই। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত আগের মতোই আছে। এখন পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা।’

করোনা পরিস্থিতির জন্য গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা নিতে পারেনি সরকার। পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয় এসএসসি ও জেএসসির ফলের ভিত্তিতে। তবে এ বছর এ পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে চায় না সরকার।

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, স্কুল-কলেজ খোলার পর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাদের পাঠ্যক্রম শেষ করার কথা রয়েছে।

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ৬০ দিন এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ৮৪ দিনের সংক্ষিপ্ত পাঠ্যক্রম প্রস্তুত করার কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে মাউশির মহাপরিচালক বলেন, ‘এসএসসি-এইচএসসির ক্ষেত্রে আগের মতোই সিদ্ধান্ত আছে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করার পর আমরা পরীক্ষার আয়োজন করব।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এরই মধ্যে শিক্ষা বোর্ডগুলো পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে। পরীক্ষা সংক্রান্ত সব প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। তবে স্থগিত রয়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ।

গত ৭ এপ্রিল শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বর্ধিত করে নতুন সময়সূচি জানিয়ে দেয়া হবে।

শিক্ষা বোর্ডের সূচি অনুযায়ী, প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা এসএসসি পরীক্ষা। তবে করোনার কারণে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যাহত হলো এ উদ্যোগ।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চলতি বছরের জুনের শেষে এসএসসি এবং জুলাই-আগস্টে এইচএসসি পরীক্ষা হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছিলেন। সেই লক্ষ্যে ২৩ মে থেকে স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা আসে।

গত বছরের মার্চে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ।

এ বছরের শুরুর দিকে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে ২২ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক নির্দেশনা দেয়।

এতে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল-কলেজগুলোকে ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়। সে সময় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় স্কুল-কলেজ খুলবে ৩০ মার্চ।

মার্চে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে সরকার ঘোষণা দেয় ঈদের পর ২৩ মে খোলা হবে স্কুল-কলেজ।

আরও পড়ুন:
ঈদের আগে খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি পুনর্বিবেচনা হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনা বাড়লে নাও খুলতে পারে স্কুল-কলেজ
রমজানেও খোলা স্কুল-কলেজ
স্কুল-কলেজ খুলছে ৩০ মার্চ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Former UP member injured in BSF firing in Lalmonirhat

লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য আহত

লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য আহত আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন গুলিবিদ্ধ সাইফুল ইসলাম নান্নু। ছবি: নিউজবাংলা
ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গরু পাচার করতে সন্ধ্যার পর তালুক দুলালী বড় মালদি সীমান্ত এলাকার ২১ নম্বর পিলার সংলগ্ন কাঁটাতারের বেড়ার পাশে যান গরু ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম নান্নুসহ কয়েকজন। এ সময় বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুড়লে সাইফুল ইসলাম নান্নু গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে উপজেলার লোহাকুচি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সাইফুল ইসলাম নান্নু নামের সাবেক এক ইউপি সদস্য আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালী বড় মালদি এলাকায় অবস্থিত ২১ নম্বর পিলার সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৯টার দিকে আহত সাইফুল ইসলামকে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান বিজিবির সদস্যরা।

এলাকাবাসী জানান, ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গরু পাচার করতে সন্ধ্যার পর তালুক দুলালী বড় মালদি সীমান্ত এলাকার ২১ নম্বর পিলার সংলগ্ন কাঁটাতারের বেড়ার পাশে যান গরু ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম নান্নুসহ কয়েকজন। এ সময় বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুড়লে সাইফুল ইসলাম নান্নু গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সঙ্গীরা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোহাকুচি বিজিবি ক্যাম্পের টহল দলকে খবর দিলে তারা আহত সাইফুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

৪৮ বছর বয়সী সাইফুল ইসলাম নান্নু তালুক দুলালী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য।

এ বিষয়ে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক বিক্রম চন্দ্র বলেন, ‘আহত সাইফুল ইসলাম নান্নুকে পিঠের নিচে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসে বিজিবি। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।’

বিজিবি লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে একজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। তবে নাম ঠিকানা এখনও জানতে পারিনি।’

আরও পড়ুন:
অভয়নগরে গুলিতে ৩ আওয়ামী লীগ নেতা আহত
সাইফুলের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের রাবার বুলেটে দুই বাংলাদেশি আহত
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, দুজন আহত
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

মন্তব্য

শিক্ষা
Loadshedding is likely to increase if the heat wave continues

তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে লোডশেডিং বাড়ার শঙ্কা

তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে লোডশেডিং বাড়ার শঙ্কা
বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে সরবরাহ পর্যন্ত ঘাটতি থাকায় দেশে ব্যাপক লোডশেডিং হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও লোডশেডিংয়ে ধুঁকছে দেশ।

বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে সরবরাহ পর্যন্ত ঘাটতি থাকায় দেশে ব্যাপক লোডশেডিং হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও লোডশেডিংয়ে ধুঁকছে দেশ।

দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে সন্ধ্যার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বাড়তে পারে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার দাপ্তরিক তথ্যে দেখা যায়, সোমবার গ্যাস সরবরাহ ২ হাজার ৩৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে মঙ্গলবার ২১০ মিলিয়ন ঘনফুট বেড়ে ২ হাজার ৫৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট হয়েছে।

তারপরও বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের বিশাল ঘাটতি রয়ে গেছে। এর ফলে বেশ কয়েকটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে।

সরকারি সূত্র জানায়, শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রটি ১২শ’ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের পূর্ণ উৎপাদন ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। কিন্তু পূর্ণ সক্ষমতায় ফিরলেও কেন্দ্রটি উৎপাদন করে মাত্র ৬শ’ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

শেভরনের এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা এখন ১২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে সক্ষম। কিন্তু সরকার বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে পুরো সরবরাহ পাচ্ছে না। সে কারণেই ক্ষেত্রটি ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে।’

পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারাও বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে পুরো সরবরাহ না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বলেছে তাদের আর গ্যাসের প্রয়োজন নেই।

কর্মকর্তারা জানান, দেশের সর্ববৃহৎ গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা ৩ এপ্রিল তিন দিনের রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়ায় যায় এবং যথাসময়ে উৎপাদনে ফিরে আসে।

মহেশখালীর দুটি এলএনজি টার্মিনালের এক হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট সক্ষমতার বিপরীতে ৯৭২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ায় জাতীয় গ্রিডে আমদানি করা এলএনজির সরবরাহও বেড়েছে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্যে দেখা যায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে সরবরাহ পর্যন্ত ঘাটতি থাকায় দেশে ব্যাপক লোডশেডিং হচ্ছে।

তথ্য বলছে, এদিন বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৩ হাজার মেগাওয়াট এবং সন্ধ্যায় বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৫ হাজার মেগাওয়াট।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দিনের সর্বোচ্চ লোডশেডিং হয়েছে ৫০১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কারণ এ সময় দেশে ১২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছিল ১২ হাজার ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন যে তাপপ্রবাহ অপরিবর্তিত থাকলে সন্ধ্যার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন:
তীব্র লোডশেডিং, পানির সংকটে অতিষ্ঠ সিলেটবাসী
জনরোষ এড়াতে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কোপ গ্রামে
সিলেটে গ্রামের চেয়ে বেশি লোডশেডিং শহরে
এলএনজি টার্মিনালে ত্রুটি, দেশে ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং
গ্যাস সংকটে লোডশেডিংয়ের সতর্কতা

মন্তব্য

শিক্ষা
40 gold bars arrested from Maheshpur border 2

মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০টি স্বর্ণের বারসহ আটক ২

মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০টি স্বর্ণের বারসহ আটক ২ ছবি: নিউজবাংলা
আটককৃত স্বর্ণের ওজন ৪ কেজি ৬৩৩ গ্রাম বলে জানান ৫৮ বিজিবি মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সালাহউদ্দিন চৌধুরী।

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০টি স্বর্ণের বারসহ দুজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী পলিয়ানপুর সীমান্তের ছয়ঘরিয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- মহেশপুর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের ৫৩ বছর বয়সী মো. জসিম উদ্দিন ও ৪০ বছর বয়সী মো. হুমায়ন কবির।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ৫৮ বিজিবি মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে সোনা পাচার হচ্ছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করে বিজিবি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছয়ঘরিয়া নামক স্থানে মহেশপুর থেকে সীমান্তের দিকে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করা হয়।

তিনি জানান, ওই দুই ব্যক্তির শরীর তল্লাশি করে ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। আটককৃত স্বর্ণের ওজন ৪ কেজি ৬৩৩ গ্রাম বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় জসিম উদ্দিন ও হুমায়ন কবির নামের ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দিয়ে আসামিদের মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
পায়ুপথে স্বর্ণের ৬ বার, একজন আটক

মন্তব্য

শিক্ষা
I cant even say how I became a voter
ঠাকুরগাঁও চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচন

‘ভোটার কীভাবে হলাম নিজেও বলতে পারি না’

‘ভোটার কীভাবে হলাম নিজেও বলতে পারি না’ মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: নিউজবাংলা
ওই ভোটারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তার নিজস্ব কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে কি না? জবাবে তিনি জানান, তিনি একজন বাইক (মোটরসাইকেল) মেকানিক। তার নিজস্ব একটি প্রতিষ্ঠান আছে, কিন্তু প্রতিষ্ঠানের এখনও নামকরণও করা হয়নি।

হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার ক্রমিক নম্বর নিয়ে বুথ-৪ এ প্রবেশ করে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ব্যালট সংগ্রহ করলেন ভোটার। গোপন কক্ষে গিয়ে নিজের ভোট প্রদানও করলেন। ভোট দেয়া শেষে কক্ষের বাইরে গণমাধ্যমকর্মীরা ওই ভোটারের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি জানালেন, ‘ভোটার কীভাবে হলাম নিজেও বলতে পারি না।’

মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির নির্বাচনে ভোট দিয়ে এক তরুণ ভোটার নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

ঠাকুরগাঁও চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির ভোটার কীভাবে হওয়া যায়- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও জানি না কীভাবে ভোটার হলাম। আমাকে ফোনে নিশ্চিত করা হয়েছে যে আমি চেম্বারের একজন ভোটার, তাই ভোট দিতে এসেছি।’

তার কাছে আরও জানতে চাওয়া হয়, তার নিজস্ব কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে কি না? জবাবে তিনি জানান, তিনি একজন বাইক (মোটরসাইকেল) মেকানিক। তার নিজস্ব একটি প্রতিষ্ঠান আছে, কিন্তু প্রতিষ্ঠানের এখনও নামকরণও করা হয়নি।

প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা না হলে ট্রেড লাইসেন্স কীভাবে হলো বা আদৌ ট্রেড লাইসেন্স হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি আর কোনো জবাব না দিয়ে সরে পড়েন।

ভোট দিয়ে বের হচ্ছিলেন লিমন নামের আরেক ভোটার। তিনি জানান, সদর উপজেলার নারগুণ থেকে তিনি এসেছেন ভোট দিতে। তার ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

ট্রেড লাইসেন্স আছে কি না এবং কী প্রক্রিয়ায় ভোটার হলেন- জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি৷ এ সময় তাকে ক্যামরার সামনে কথা বলতে না করেন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্যানেলের এক প্রার্থী।

ভোট দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন দুলালি ইসলাম। তিনি জানান, তার মামা একটি হিমাগারের ম্যানেজার। তিনিই তাকে ভোটার হতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ‘দুলালি ফার্মেসী’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে তার।

চেম্বারের ভোটার হতে প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন মনে নেই।’

এদিকে ভোটের একদিন আগে সোমবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে ৭ কারণ উল্লেখ করে ঠাকুরগাঁও চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দুটি প্যানেলের মধ্যে আলমগীর-মুরাদ ও সুদাম প্যানেল ভোট বর্জন করে। এ সময় প্রার্থীরা নির্বাচনের অনিয়ম, ভোটার তালিকা নিয়ে অসঙ্গতিসহ নানা কারণ উল্লেখ করেন।

‘ভোটার কীভাবে হলাম নিজেও বলতে পারি না’
ভোটের আগের রাতে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জন করে আলমগীর-মুরাদ ও সুদাম প্যানেল। ছবি: নিউজবাংলা

এর আগে, গত ১৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে ভোটার তালিকা সংশোধন ও নির্বাচনের তারিখ পেছানোর জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন জানিয়েছিল প্যানেলটি। সে সময় ভোটের মাঠে থাকার কথা জানালেও অবশেষে ভোটের আগের রাতে তারা ভোট বর্জন করেন। ফলে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই অংশ নিয়েছে দুলাল-বাবলু ও আরমান প্যানেল।

চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির নির্বাচন নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিত্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

জাতীয় তেল গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ঠাকুরগাঁও সদস্য সচিব মো. মাহবুব আলম রুবেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ ঠাকুরগাঁও চেম্বারের ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, আমরা দেখছি এখানে সাধারণ শ্রমিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ভোটার হয়েছেন। অনেকেই আছেন যারা কোনো ব্যবসার সঙ্গেই জড়িত না।

‘তাহলে অন্য যে প্যানেলটি অভিযোগ করেছে- নিরপেক্ষ ভোটার তালিকা হয়নি। সেটার প্রমাণ আমরা পাচ্ছি। এই নির্বাচনে ব্যবসায়ীরা তাদের সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছেন।’

ভোটারদের প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি নির্বাচনি বোর্ডের আহ্বায়ক ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘ভোটার তালিকা নিয়ে বেশ কিছু প্রার্থী অভিযোগ করছেন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর অভিযোগ আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট জানানোর সুযোগ ছিল। নির্ধারিত সময়র মধ্যে করা আপিলগুলো নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আপিল নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পর অভিযোগ করায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু দীর্ঘ বছর যাবৎ ঠাকুরগাঁও চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির কমিটি ছিল না, তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে চেম্বারের প্রশাসনের দায়িত্ব দিয়েছিল। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আছে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।’

আরও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনের ভোটার খুঁজে পেতে হয়রানির অভিযোগ

মন্তব্য

শিক্ষা
Clash between Jubo League leader and councilor group in Natore kills 1

নাটোরে যুবলীগ নেতা ও কাউন্সিলর গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১

নাটোরে যুবলীগ নেতা ও কাউন্সিলর গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১ নাটোর পৌর কার্যালয় চত্বরে মঙ্গলবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।সিহাব হোসেন শিশির (ডানে)। ছবি: নিউজবাংলা
ঠিকাদারির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষের এই ঘটনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান হিরু এবং একই ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসুকে আটক করা হয়েছে।

ঠিকাদারি কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে নাটোর পৌরসভা চত্বরে যুবলীগ নেতা হাসানুর রহমান হাসু ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরু গ্রুপের সংঘর্ষে সিহাব হোসেন শিশির নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় হাসানুর রহমান হাসু আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষ ও নিহত হওয়ার এই ঘটনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান হিরু এবং একই ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসুকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত সিহাব হোসেন শিশির শহরের মল্লিকহাটি মহল্লার মোজাহার আলীর ছেলে ও কাউন্সিলর হিরুর সমর্থক।

নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, দুপুরে পৌরসভার দ্বিতীয় তলায় ঠিকাদারি কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে কাউন্সিলর হিরু ও হাসুসহ দুই গ্রুপের কয়েকজনকে নিয়ে পৌর মেয়র উমা চৌধুরী আলোচনা করছিলেন। এ সময় পৌরসভা চত্বরে দুই গ্রুপের সমর্থকদের কথাকাটাকাটি শুরু হয়। হাসু গ্রুপের সমর্থকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশিরের গলায় আঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরু ও ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রহমান হাসুকে আটক করেছে। ঘটনায় জড়িত বাকিদের আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Syndicate behind Chasiks 20 Ghat Khas collection

চসিকের ২০ ঘাটে ‘খাস কালেকশন’, নেপথ্যে সিন্ডিকেট

চসিকের ২০ ঘাটে ‘খাস কালেকশন’, নেপথ্যে সিন্ডিকেট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন কর্ণফুলীর একটি ঘাটে যাত্রী পারাপার। ছবি: নিউজবাংলা
উচ্চ আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকায় পহেলা বৈশাখে ২০ ঘাটের ইজারা হয়নি। আর এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে চসিকের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা ইজারালোভী সিন্ডিকেটকে সহায়তা করছেন। আর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

কর্ণফুলীর সল্টগোলা-ডাঙারচর ঘাটসহ ২০টি নদী পারাপার ঘাট ইজারা না হওয়ায় নামমাত্র ‘খাস কালেকশন’ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বিরুদ্ধে। এতে করে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

চসিক রাজস্ব শাখার কর্মকর্তারা স্থানীয় পর্যায়ের পুরনো ইজারাদারদের সঙ্গে আঁতাত করে খাস আদায়ে উঠেপড়ে লেগেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার মেয়রের নামও ভাঙাচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চসিকের এসব ঘাট দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ যাত্রীসহ পণ্য আনা-নেয়া করা হয়। ঘাটগুলো নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকায় ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে ২০ ঘাটের ইজারা দেয়া সম্ভব হয়নি।

ঘাট ইজারা না হওয়াটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে চসিকের রাজস্ব শাখা ‘খাস কালেকশন’ আদায়ের দিকে হাঁটছে। এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা সরকারি অর্থ হাতিয়ে নিতে ইজারালোভী সিন্ডিকেটকে সহায়তা করছেন। খাস কালেকশনের নামে রাজস্ব আদায় কম দেখানোর সুযোগ তৈরি করছেন তারা।

চসিকের ২০ ঘাটে ‘খাস কালেকশন’, নেপথ্যে সিন্ডিকেট
একটি ঘাটে ইজারাদারের টোল আদায়ের ঘর। ছবি: নিউজবাংলা

এই খাস কালেকশনকে রাজস্ব ফাঁকির কৌশল হিসেবে অভিহিত করেছে পাটনিজীবী একাধিক সমিতি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু’জন পুরনো ইজারা ব্যবসায়ী বলেন, খাস কালেকশনে টাকা আদায় কম দেখানো গেলে পরবর্তী বছরের ইজারা মূল্য কমানোর আইনগত পথ সৃষ্টি হয়। এছাড়া একাধিকবার খাস কালেকশনে পরের বছর আইনগত ঝামেলা এড়িয়ে কম টাকায় ইজারা নিতে পারেন ব্যবসায়ীরা। এভাবেই কিছু অসৎ কর্মকর্তার কারসাজিতে কয়েক বছর পর পর গুরুত্বপূর্ণ ঘাটগুলোর ইজারা মূল্য কমে যায় এবং সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়।

তারা বলেন, এই পদ্ধতিতে সরকারি কোষাগারে নামমাত্র অর্থ জমা হলেও বড় অংকের টাকা চলে যাবে চসিক সিন্ডিকেটের পকেটে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে এ বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হবে চসিক কিংবা সরকার।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, হাইকোর্ট বিভাগের রিট (১৫১৬৩/২৩) পিটিশনের কারণে এবার বাংলা ১৪৩১ সনে চসিক নিয়ন্ত্রণাধীন ঘাটগুলোর ইজারা স্থগিত রয়েছে। ঘাটে ঘাটে আবার কানাঘুষাও চলছে যে এসব চসিকেরই কৌশল। কেননা এতে কপাল খুলে যায় একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা ও চসিক-সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটের।

চসিকের নিয়ন্ত্রণাধীন ঘাটগুলো হলো- পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাট, সল্টগোলা ঘাট, বাংলাবাজার ঘাট, নয়ারাস্তা পাকা পুলঘাট, সদরঘাট, ফিশারীঘাট, নতুনঘাট, এয়াকুব নগর লইট্যা ঘাট, পতেঙ্গা ১৪ নংম্বর ঘাট ও গুচ্ছগ্রাম ঘাট, ১১ নম্বর মাতব্বর ঘাট, ১২ নম্বর তিনটিংগা ঘাট, ৭ নম্বর রুবি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ঘাট, ৯ নম্বর বিওসি ঘাট, অভয় মিত্র ঘাট, চাক্তাই খালের পাশে পানঘাট থেকে গাইজ্জের ঘাট, পতেঙ্গা চাইনিজ ঘাট, বাকলিয়া ক্ষেতচর ঘাট, চাক্তাই ঘাট ও চাক্তাই লবণ ঘাট।

চসিকের ২০ ঘাটে ‘খাস কালেকশন’, নেপথ্যে সিন্ডিকেট

চলতি বছরে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘাটের সম্ভাব্য ইজারা মূল্য ছিল- পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাট ২ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সল্টগোলা ঘাট ৫৭ লাখ ৩২ হাজার ১০০ টাকা, বাংলাবাজার ঘাট ২৪ লাখ ৪ হাজার ৬০০ টাকা, সদরঘাট ২১ লাখ ৯৭ হাজার ১২৪ টাকা, ফিশারি ঘাট ২৪ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা, পতেঙ্গা ১৪ নম্বর ঘাট ও গুচ্ছগ্রাম ঘাট ৪২ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা, ১১ নম্বর মাতব্বর ঘাট ৮৭ লাখ ৩২ হাজার ৪০০ টাকা এবং ৯ নম্বর বিওসি ঘাট ৩৫ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা।

হিসাব করলে দেখা যায়, পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাটের সম্ভাব্য ইজারা মূল্যের সঙ্গে ২০ শতাংশ ভ্যাট যোগ করলে মোট ইজারা দাঁড়ায় ৩ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এতে দৈনিক কিস্তি পড়ে ৮৮ হাজার ৬০২ টাকা। অনুরূপভাবে সল্টগোলা ঘাটের দৈনিক কিস্তি ১৮ হাজার ৮৪৫ টাকা।

এভাবে প্রতিটি ঘাটে দৈনিক ১০ হাজার থেকে ৮৮ হাজার টাকার মতো ইজারা আদায় হওয়ার কথা। কিন্তু অতি কৌশলে চসিকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে দৈনিক মাত্র ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার নামমাত্র মূল্যে খাস কালেকশন আদায়ের প্রক্রিয়া নিচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

অভয় মিত্র ঘাটের খাস কালেকশনকারী মো. আবুল জানান, দৈনিক দু’হাজার টাকা হিসাবে তিনি এই ঘাট নিয়েছেন। বাংলাবাজার ঘাটের লোকমান দয়াল জানান, দৈনিক সাড়ে ৫ হাজার টাকায় তিনি এই ঘাট দেখাশোনা করছেন।

চসিক নীতিমালায় ঘাট ইজারা কিংবা খাস আদায়ে সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধিত স্থানীয় পাটনিজীবী সমিতিকে ঘাট পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু খাস আদায়ের জন্য স্থানীয় পাটনিজীবী সমিতিগুলো মেয়রের কাছে ধর্না দিয়েও সাড়া না পায়নি। অনন্যোপায় হয়ে তারা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন কিংবা মানববন্ধন কর্মসূচির চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানা গেছে।

সল্টগোলা ডাঙ্গারচর পাটনিজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাম্পান মাঝিরা সাম্পান চালিয়ে বউ-বাচ্চা নিয়ে দুমুঠো ডাল-ভাত খেতে চাই। আমরা চাই কেউ আমাদের পেটে লাথি না মারে। টোল কিংবা খাস কালেকশন যে আদায় করবে করুক, আমরা এই ঘাটের মাঝি; আমরা যাত্রী পারাপার করতে চাই।

‘বর্তমানে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে খাস কালেকশন দিচ্ছি। এখনও চসিক থেকে কেউ আসেনি। আমরা সরকারি রেজিস্ট্রেশনধারী পাটনিজীবী সমিতি। কিন্তু বাইরের কিছু লোক ঘাট দখলের পাঁয়তারা করছে ঘাটে চাঁদাবাজি করার জন্য। আমরা এসব হতে দেব না।’

বেশিভাগ ঘাটের ইজারাদার আব্দুল শুক্কুর প্রকাশ তেল শুক্কুর বলেন, ‘আমরা কয়েকটি ঘাটের খাস কালেকশন করতেছি। ১৫ দিন পর পর সিটি করপোরেশনে টাকা দিতে হয়।’

চসিকের ২০ ঘাটে ‘খাস কালেকশন’, নেপথ্যে সিন্ডিকেট

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কিছু পাটনিজীবী সমিতি মিলে হাইকোর্টে রিট করে স্টে-অর্ডার করেছে; যাতে ইজারা টেন্ডার বন্ধ থাকে। সে কারণে ঘাটগুলোর ইজারা বন্ধ রয়েছে। আমরা ডকুমেন্টস সংগ্রহ করছি। শিগগিরই রিট শুনানি করে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর বর্তমানে ঘাটগুলো বিভিন্নজনকে বিভিন্নভাবে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এস্টেট শাখা ভালো বলতে পারবে।’

চসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা সাব্বির রাহমান সানি বিশেষ ট্রেনিংয়ে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে চসিকের সহকারী এস্টেট অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমাদের আইন শাখা কাজ করছে। শিগগিরই হাইকোর্টের স্টে-অর্ডারটি ব্যাকেট করা হবে। তারপর ঘাটগুলোর টেন্ডার কল করা হবে। বর্তমানে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব লোকজন ঘাটগুলো দেখাশোনা করছে। আর সল্টগোলা ডাঙারচর ঘাটে লোকজন গেছে।’

চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (সিআরও) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ মানতে হবে। কিছু করার নেই। খাস কালেকশনে ঘাট চলছে। যেহেতু আদালতের নির্দেশে স্থগিত ইজারা। রিট শুনানির জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। কিন্তু এভাবে খাস কালেকশন চলতে থাকলে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আসবে না সেটাও সত্য।’

মন্তব্য

শিক্ষা
The whole family got lost while bringing relief tins
ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১৪

ত্রাণের টিন আনতে গিয়ে হারিয়ে গেল পুরো পরিবার

ত্রাণের টিন আনতে গিয়ে হারিয়ে গেল পুরো পরিবার বাসের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষে নিহতদের স্বজনদের আহাজারি। ছবি: নিউজবাংলা
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবারের জন্য ত্রাণ হিসেবে কয়েক বান্ডিল টিন সহায়তার বরাদ্দ আনেন মিলন। মঙ্গলবার পিকআপে করে নিজের পরিবারের সদস্য ও আশপাশের গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে সেই টিন আনতে যাচ্ছিলেন ফরিদপুরে। পথে দুর্ঘটনায় স্ত্রী, দুই শিশু পুত্রসহ চিরতরে হারিয়ে গেলেন তিনি।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তারা মিয়ার সন্তান রাকিবুল ইসলাম মিলন চাকরি করতেন ঢাকায় সচিবালয়ে লিফটম্যান হিসেবে।

সম্প্রতি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবারের জন্য ত্রাণ হিসেবে কয়েক বান্ডিল টিন সহায়তার বরাদ্দ আনেন মিলন। মঙ্গলবার সকালে একটি পিকআপে করে নিজের পরিবারের সদস্য ও আশপাশের গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে সেই টিন আনতে যাচ্ছিলেন ফরিদপুরের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে। কিন্তু ত্রাণের সেই টিন আর আনা হলো না মিলনের।

পথিমধ্যে বাসের সঙ্গে তাদের বহনকারী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে মিলন ছাড়াও তার স্ত্রী সুমি বেগম, দুই শিশু সন্তান আবু রায়হান ও আবু সিনান রুহানসহ ১৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিলনের মা খুড়িয়া বেগম। এ দুর্ঘটনায় মিলনের নানী শাশুড়ি মর্জিনা বেগমও প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি একই গ্রামের ওহাব মোল্লার স্ত্রী।

এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ মর্গে আনা হলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

বোয়ালমারীর ছত্রকান্দা গ্রামটি আলফাডাঙ্গা উপজেলার সীমান্তঘেঁষা। তাদের ডাকঘর এই আলফাডাঙ্গাই। এ তথ্য জানিয়ে রাকিবুল ইসলাম মিলনের মামাতো ভাই নুরুজ্জামান খসরু বলেন, ‘কয়েকটি দরিদ্র পরিবারের জন্য ত্রাণের টিনের ব্যবস্থা করে সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে মিলন। সকালে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। তার আগে গত রাতে সবশেষ কথা হয়েছিল তার সাথে। বলেছিল, ত্রাণের টিনগুলো বুঝিয়ে দিয়ে ওই পথেই চলে যাবে ঢাকা। কিন্তু এটিই তার শেষ যাওয়া হয়ে গেল।’

খসরু জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা তারা মিয়ার তিন ছেলের মধ্যে রাকিবুল ইসলাম মিলন ছিলেন মেঝো। তার বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম একজন স্কুল শিক্ষক। আর ছোট ভাই হাবিবুর রহমান মাস্টার্স পাস করে আলফাডাঙ্গা সদরে ফোন-ফ্লেক্সির দোকান করেন।

আট বছর আগে আলফাডাঙ্গার বানা ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের রোকায়েশ মোল্লার মেয়ে সুমিকে বিয়ে করেন মিলন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুরের কানাইপুরের দিগনগর এলাকায় বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হন।

আরও পড়ুন:
ফরিদপুরের দুর্ঘটনার যেসব কারণ জানা গেল
ফরিদপুরে পিকআপে বাসের ধাক্কায় নিহত ১৩

মন্তব্য

p
উপরে