দেশের ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও জিএসটি গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি কমিটির (২০২০-২০২১) সচিব প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীরা ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। যেসব শিক্ষার্থীর ন্যূনতম যোগ্যতা থাকবে, তারা সবাই প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। এরপর প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল ও চূড়ান্ত আবেদন শেষে আগামী ১৯ জুন এ ইউনিটের (বিজ্ঞান), ২৬ জুন বি ইউনিটের (মানবিক) ও ৩ জুলাই সি ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা হবে। এ পরীক্ষা দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে চলবে ১টা পর্যন্ত।
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে জিএসটি (সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) গুচ্ছভুক্ত ২০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটিমাত্র ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির সুযোগ পাবেন। ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে উল্লেখিত যেকোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে ভর্তি হতে পারবেন।
প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার শাখা (বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য) অনুযায়ী একটিমাত্র ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। দুটি পর্যায়ে আবেদন করতে হবে, প্রাথমিক আবেদন ও চূড়ান্ত আবেদন (প্রাথমিক আবেদনের ভিত্তিতে চূড়ান্ত আবেদনের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হলে)।
ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশিকায় বলা হয়, প্রাথমিকভাবে আবেদন করা শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে প্রতিনিটি ইউনিটে চূড়ান্ত আবেদনের জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচিত হবেন। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছয়টি মানদণ্ড ক্রমানুসারে ব্যবহার করে প্রাথমিক আবেদনকারীদের মেধাক্রম প্রস্তুত করা হবে। প্রতিটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ দেড় লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
বিজ্ঞান শাখায় মেধাক্রম প্রস্তুতে ছয়টি মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে–এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ; এসএসসি ও এইচএসসির মার্কস; এইচএসসির পদার্থের জিপিএ; এইচএসসির পদার্থের মার্কস; এইচএসসির রসায়নের জিপিএ; এইচএসসির রসায়নের মার্কস।
অন্যদিকে বাণিজ্য ও মানবিক শাখায় মেধাক্রম প্রস্তুতে ছয়টি মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে– এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ; এসএসসি ও এইচএসসির মার্কস; এইচএসসির বাংলার জিপিএ; এইচএসসির বাংলার মার্কস; এইচএসসির ইংরেজির জিপিএ; এইচএসসির ইংরেজির মার্কস।
প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের ফলাফল ও চূড়ান্ত আবেদন পরবর্তী সময়ে ভর্তির সব তথ্য ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেয়া হবে।
গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রাথমিক আবেদনে শিক্ষার্থীদের কোনো ফি দিতে হবে না। যেসব শিক্ষার্থী ২০১৯ বা ২০২০ সালে এইচএসসি/আলিম ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, তারাই আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীর বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৮.০, বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭.৫ এবং মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭.০ থাকতে হবে। তবে প্রত্যেক শাখার বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে।
শুধু এ বছরের জন্যই গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ ও ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। আগামী বছর থেকে পূর্ববর্তী বছরের পাস করা অর্থাৎ সেকেন্ড টাইমার শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্য থেকে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের ফলাফল ২৩ এপ্রিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজের মাধ্যমে জানানো হবে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একযোগে যতজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ রয়েছে, মেধার ভিত্তিতে ততজন শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত আবেদন করার সুযোগ দেয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে বাছাই করা শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ৫০০ টাকা জমা দিয়ে ২৪ এপ্রিল থেকে ২০ মে তারিখের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীরা ১ জুন থেকে ১০ জুনের মধ্যে এডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। সব পরীক্ষা নির্দিষ্ট কেন্দ্রে একযোগে দুপুর ১২টায় শুরু হবে।
একজন শিক্ষার্থী কমপক্ষে ৫টি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচন/চয়েস করতে পারবেন। ২০১৯ সালের পাস করা শিক্ষার্থীরা বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্র হিসেবে চয়েস বা পছন্দ করতে পারবেন না। প্রয়োজনে পছন্দ করা নির্দিষ্ট কেন্দ্রের বাইরেও পরীক্ষা দিতে হতে পারে। জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য ভর্তি সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট (www.gstadmission.org ও www.gstadmission.ac.bd) পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:বিশ্বের অন্যতম জনবহুল রাজধানী ঢাকায় আজ সকালের বাতাসের মান কুয়েত সিটির চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ৬৬, যা ‘মাঝারি’ শ্রেণিভুক্ত। বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৩৮তম, যেখানে কুয়েত সিটি ৩৭তম স্থানে রয়েছে।
আজকের তালিকায় সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল বাহরাইনের মানামা (১৯৮), কাতারের দোহা (১৭৭) এবং আফগানিস্তানের কাবুল (১৭৪)।
বায়ুমানের একিউআই সূচক প্রতিদিনের বায়ু দূষণ পরিস্থিতি তুলে ধরে এবং একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা পরিষ্কার বা দূষিত এবং তার স্বাস্থ্যগত প্রভাব কী হতে পারে, সে বিষয়ে ধারণা দেয়।
একিউআই সূচক ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়। আর ৫০ বা তার কম হলে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
আগামীকাল (২৭ জুন) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ‘রথযাত্রা’ উপলক্ষে রাজধানীজুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
উৎসবের শান্তিপূর্ণ আয়োজন নিশ্চিত করতে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল, সোয়াট, গোয়েন্দা সংস্থা ও বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার এস এম সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, ‘রথযাত্রা যেন সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও নির্বিঘ্নভাবে উদ্যাপন করা যায়, সে লক্ষ্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
২৭ জুনের রথযাত্রা ও ৫ জুলাই পালিতব্য ‘উল্টো রথযাত্রা’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় জানানো হয়, নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে নগরজুড়ে বসানো হবে বিপুল সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা। মোতায়েন থাকবে ডিবি, সোয়াট, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও ট্র্যাফিক পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ডিবির একটি অংশ থাকবে সাদা পোশাকে, যারা গোটা আয়োজন পর্যবেক্ষণে রাখবে।
বাংলাদেশে রথযাত্রা মূলত জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হিসেবে পালিত হয়।
রাজধানীর স্বামীবাগ আশ্রম থেকে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) মূল রথযাত্রা অনুষ্ঠান আয়োজন করছে। এর পাশাপাশি শহরের রামসীতা মন্দির, শাঁখারীবাজার ও জগন্নাথ জিউ মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থানে এই উৎসবের আয়োজন করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ‘ঢাকায় রথযাত্রা একটি বড় শোভাযাত্রা। তাই সবার সতর্ক থাকা জরুরি।’
তিনি রথযাত্রা আয়োজকদের নির্ধারিত সময়ে শোভাযাত্রা শুরু ও শেষ করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘সব ধর্মীয় উৎসবে আমরা নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে এই আয়োজনও সফল হবে।’
রথযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে যে, আজান ও নামাজের সময় লাউড স্পিকার ব্যবহার না করা, নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা, ব্যাগ বা প্যাকেট বহন না করা ও সন্দেহজনক কিছু লক্ষ্য করলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানানো।
ডিএমপি’র যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সমন্বয় সভায় পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবি, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি ও রথযাত্রা উদ্যাপন কমিটির নেতারা।
জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা (লিগ্যাল এইড)-এর মাধ্যমে সরকারি খরচায় ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩০১ মামলায় আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত লিগ্যাল এইড-এর মাধ্যমে আইনি সহায়তার বিস্তারিত তথ্য এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিগ্যাল এইড-এ মে-২০২৫ পর্যন্ত ১২ লাখ ২৬ হাজার ১৯ জনকে আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংস্থাটির অধীনে সরকারি খরচায় এই সময়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২৯ হাজার ১৬৮ জন, দেশের ৬৪ জেলার লিগ্যাল এইড অফিসের ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৯৯২ জন এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম শ্রমিক আইনি সহায়তা সেলের মাধ্যমে ২৯ হাজার ৩৩১ জনকে আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
সরকারি আইনি সহায়তায় জাতীয় হেল্প লাইন কল সেন্টারের (টোল ফ্রি- ১৬৪৩০) মাধ্যমে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৮ জনকে সেবা দেয়া হয়।
দেশে আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইনের’ অধীনে সরকারি খরচায় এ সেবা দেওয়া হয়। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের অধীনে জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
ময়মনসিংহ শহরের একটি মোবাইলের দোকান থেকে সম্প্রতি মালামাল লুটের ঘটনায় মামলা করেছেন একজন ব্যবসায়ী।
কোতোয়ালি মডেল থানা মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে মামলাটি গ্রহণ করে।
গত ২০ জুন মালামাল লুটের ঘটনার পর মামলা করতে গেলেও শুরুতে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন আতিকুর রহমান খান।
এ ব্যবসায়ীর ভাষ্য, হারুন টাওয়ার নামের যে মার্কেটে তার দোকান, সেখানকার মালিক গোলাম আম্বিয়া হারুনের প্রভাবে এতদিন মামলা নেয়নি কোতোয়ালি মডেল থানা।
কী আছে মামলার এজাহারে
আতিকুর রহমান খান কোতোয়ালি মডেল থানায় মার্কেট মালিক হারুনসহ ১০ থেকে ১২ জনের নামে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আতিকুর ২০০৬ সালের এপ্রিল থেকে ময়মনসিংহ শহরের ৭ নম্বর সি কে ঘোষ রোডে হারুন টাওয়ারের নিচ তলায় ‘সাঈম টেলিকম’ নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। তিনি আট লাখ টাকায় ৫ নম্বর দোকানটির পজেশন কেনেন। এ ছাড়া চুক্তির শর্ত অনুযায়ী নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করেন।
এতে বলা হয়, ১৮ জুন মার্কেট মালিক হারুন জানান, ১৯ জুন হারুন টাওয়ারের নিচতলার সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সে কথা অনুযায়ী তিনি দোকানটি বন্ধ রাখেন। পরবর্তী সময়ে ১৯ জুন তিনি জানতে পারেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ দিয়ে মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। এ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি মার্কেটে গিয়ে হারুনের দেখানো মতে ১৩টি দোকানের উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু দেখেন।
ব্যবসায়ীর এজাহারে উল্লেখ করা হয়, উচ্ছেদের বিষয়ে হারুনের সঙ্গে কথা বললে তাকে জানানো হয়, যারা নিয়মিত ভাড়া দিচ্ছেন, তাদের দোকান উচ্ছেদ করা হবে না এবং তিনি যেন বাড়িতে চলে যান। সে কথা অনুযায়ী তিনি বাড়িতে চলে যান, কিন্তু পরের দিন ২০ জুন মাগরিবের নামাজের পর তিনি খবর পান, হারুনসহ অভিযুক্তরা তার দোকানের সব মালামাল নিয়ে যাচ্ছেন। এ খবরের ভিত্তিতে তিনি মার্কেটের সামনে গিয়ে মালামাল নিয়ে যেতে দেখেন।
তার অভিযোগ, মার্কেটের সামনের কলাপসিবল গেটের তালা বন্ধ করে মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় বাইরে থেকে ডাকাডাকি করলেও কর্ণপাত করেননি অভিযুক্তরা। তারা গেটও খোলেননি। এ ছাড়া অভিযুক্তরা দোকান মালিককে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চলে যেতে বলেন।
আতিকুর রহমান খান উল্লেখ করেন, ২০ জুন বিকাল ৩টা থেকে তার দোকানের শাটার, সাইনবোর্ড ও আসবাবপত্র ভাঙচুর শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রকাশ্যে মালামাল নিয়ে যান অভিযুক্তরা। এসব পরিস্থিতি দেখে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
দোকান থেকে মোবাইল, এক্সেসরিজ, আসবাবপত্রসহ মোট ৮৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫৩ টাকার মালামাল চুরির অভিযোগ করেন স্বত্বাধিকারী আতিকুর রহমান খান।
এ ছাড়া হারুনসহ অন্যরা দোকান ভাড়া পরিশোধের রসিদ, তিনটি ব্যাংকের চেকবই, বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তিপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন এ ব্যবাসয়ী।
জানতে চাইলে হারুন টাওয়ারের মালিক গোলাম আম্বিয়া হারুন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তোলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ঘটনার কথা শুনেছি। একটি মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
ভারতীয় নাগরিককে জুলাই যোদ্ধা বানিয়ে অপপ্রচার শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)’র ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।
বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধানে শনাক্ত হয় যে, ভারতীয় নাগরিককে জুলাই যোদ্ধা বানিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক করে দেখা যায় যে, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিওটিতে হুইল চেয়ারে বসা এই ব্যক্তি কোনো জুলাই যোদ্ধা নন। রোগীর ছদ্মবেশে থাকা ওই ব্যক্তি একজন ভারতীয় নাগরিক। তার নাম নজরুল হক।
গত ১৭ মার্চ ভারতের কলকাতা থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন রোগীর ছদ্মবেশে থাকা নজরুল হক নামের এক ভারতীয় নাগরিক। সে সময় তার কাছ থেকে মদ ও কসমেটিকস উদ্ধার করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে ওই ঘটনার ভিডিওকে আহত জুলাই যোদ্ধার কাছ থেকে এয়ারপোর্টে মদ উদ্ধারের ঘটনার ভিডিও দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
বাংলাদেশে চলমান গুজব, ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ ও জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের যেন ভোগান্তির শেষ নেই। টাকা দিয়ে হাসপাতালের সরকারি ওষুধ নেওয়া, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠানো, কমিশন বাণিজ্য, হুইলচেয়ার বাণিজ্য ও প্রথমে সাপ্লাই নেই বলে রোগীকে ওষুধ না দেওয়াসহ নানা অনিয়মের চিত্র দেখা গেছে। এসব কারণে সঠিক চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে বিপাকে রয়েছেন রোগীরা।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে এসব অভিযোগ পাওয়া যায় অহরহ।
এদিকে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনীর একটি দল। এ সময় তারা সরকারি ওষুধ বিক্রি এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রোগীকে দেওয়ার অভিযোগে মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ড বয় হরষিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
হরষিতের কাছ থেকে সরকারি ওষুধ কিনে বিপাকে পড়া সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া এলাকার মোহাম্মদ আলী বলেন, ঈদের পরদিন আমার স্ত্রীকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করালে ডাক্তার প্রেসক্রিপশন করে দিয়ে বলেন, এ ওষুধ সাপ্লাই নেই, বাহিরে থেকে নিয়ে আসেন। আমি প্রথম থেকেই সব ওষুধ বাহির থেকেই নিয়ে আসছিলাম, হঠাৎ এক ওয়ার্ড বয় বলল চাচা ওই ওষুধটা বাহিরের থেকে কত টাকা করে কিনছেন? আমি বললাম ৮৫০ টাকা। পরে সে ওষুধ ৫০০ টাকায় ওয়ার্ড বয় আমাকে।
মোহাম্মদ আলী বলেন, চারটা ওষুধ আমার স্ত্রীর শরীরে পুশ করলে জ্বালা যন্ত্রণার অনুভব করে এবং তার জ্বর আসে। পরে জানা যায় ওষুধগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ।
এদিকে, সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে ওষুধ বিক্রির কথা স্বীকার করে মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ড বয় হরষিত বলেন, আমি ছয়-সাত মাস আগে হাসপাতালে ডাস্টবিন থেকে কয়েকটি ওষুধ কুড়িয়ে পাই। সুযোগ বুঝে এখন ওষুধগুলো বিক্রি করেছি।
এদিকে হরষিতের কাছ থেকে কেনা ছয়টি ওষুধের অবশিষ্ট দুটি ওষুধে দেখা গেছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মেয়াদ শেষ।
আব্দুল গফুর নামে একজন বলেন, টাকা ছাড়া এখানে কোনো কাজই হয় না। রোগীর যদি কোনো পরীক্ষা করতেই হয় টাকা দিতে হয়। এরপর হুইল চেয়ারে যদি টয়লেটে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে ১০০ টাকা করে দিতে হয়। টাকা নিয়েই সব কাজ করে তাহলে এটি সরকারি হাসপাতাল হলো কিভাবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন বেলাল বলেন, আমরা এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মেডিকেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিটিং করেছি। হাসপাতালে ডাক্তাররা ঠিকমতো ডিউটি না করা, গাড়ির গ্যারেজে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ করেছি। ওষুধ থাকবে হাসপাতালের স্টোরে। যেখান থেকে সুষ্ঠুভাবে রোগীর হাতে পৌঁছাবে। সেই ওষুধ কীভাবে ওয়ার্ড বয়ের মাধ্যমে বিক্রি হলো এটার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. কুদরতে খোদা বলেন, ওষুধ বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনারা রোগীর লোককে একটু বলেন, আমার কাছে একটা অভিযোগ দিতে। তাহলে যে এ কাজ করেছে তাকে আউট করে দেব।
ইউটিউবে ভিডিও দেখে নওগাঁয় কালো সৈনিক পোকা বা ব্ল্যাক সোলজারস ফ্লাই নামের একটি পোকা থেকে লার্ভা উৎপাদন করে সাফল্য পেয়েছেন আহসান হাবিব নামে উদ্যোক্তা। এ পোকার লার্ভা মাছের বিকল্প খাবার হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি বিক্রি করে প্রতি মাসে আয় করছেন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। মাছের খাবারের বিপল্প হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় এই পোকা চাষে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয়দের। উদ্যোক্তা আহসান হাবিব সদর উপজেলার তিলেকপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত উলিপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, আহসান হাবিব পেশায় একজন কৃষক। কৃষি কাজের পাশাপাশি তিনি পুকুরে মাছ চাষ করতেন। বাজারে যখন মাছের খাবারের মূল্য বৃদ্ধি তখন খরচ কমাতে বিকল্প পথ খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে ইউটিউব ভিডিও দেখে কালো সৈনিক পোকা বা ব্ল্যাক সোলজার চাষের আগ্রহ হয়। পরিকল্পনা করেন এই পোকা চাষের। ২০২৪ সালে খামার সম্প্রসারণে পিকেএসএফ এর কারিগরি সহযোগিতায় মৌসুমি আরএমটিপি প্রকল্প তাকে সহায়তা দেন। এরপর কালো সৈনিক পোকা বা ব্ল্যাক সোলজারস ফ্লাই বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে সাফল্য পান। মাসে এখন তার খামারে ২৫০ থেকে ২৬০ কেজি লার্ভা উৎপাদন হয়। নিজের পুকুরে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি বিক্রি করে থাকেন। এলাকায় তিনি পোকা চাষি হাবিব নামে পরিচিত।
কালো সৈনিক পোকা বা ব্ল্যাক সোলজারস ফ্লাই মূল পোকাগুলো একটি জালের মধ্যে, দিনের বেলায় আলো-বাতাস আসে এমন জায়গায় রাখা হয়। পোকাগুলো প্রজনন সম্পন্ন করার পর সেখানে কাঠের স্তরের মধ্যে ডিম পাড়ে। সেই ডিমগুলো হ্যাচিং করে ফোটানোর কিছুদিন পর আলাদা করে অন্য জায়গায় রাখা হয়। এরপর সেখান থেকে তৈরি হয় লার্ভা। এসব লার্ভা উৎপাদন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বাসা বাড়ি, হোটেল-রেস্তোরাঁ উচ্ছিষ্ট খাবার, পচনশীল ফলমূল অথবা শাকসবজি। এসব পচনশীল আবর্জনা সংরক্ষণ করে সেটির প্রক্রিয়াজাত করা হয়। তারপরও সেখানে জন্ম নয় এসব লার্ভা। এসব পোকা মাছের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার। ব্যাপক প্রোটিনসমৃদ্ধ হওয়ায় মাছের বিকল্প খাবার হিসেবে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এটি ব্যবহারে যেমন উৎপাদন বাড়বে তেমন কমবে খরচে উৎপাদনে। শুধু লার্ভা উৎপাদনে নয় আবর্জনা ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে দূষণ কমাতে সহায়ক ভৃমিকা রাখছে এমন উদ্যোগ।
স্থানীয় মাছ চাষি রফিকুল ও রাজা বলেন, আমাদের নিজেদেরই পুকুর আছে। বাজার থেকে খাবার কিনে মাছে চাষে খরচ বেশি হয়। লাভবান হওয়া যায় না। কিন্তু কম খরচে উচ্ছিষ্ট খাবার থেকে কালো সৈনিক পোকা বা ব্ল্যাক সোলজারস থেকে লার্ভ তৈরি করে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করলে লাভবান হওয়া যাবে। চিন্তাভাবনা করেছি আহসান হাবিরের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে এরকম একটি উদ্যোগ নিবো।
মৌসুমি আরএমটিপি প্রকল্পের মনিটরিং কর্মকর্তা আব্দুর রউফ পাভেল বলেন, উন্নয়ন সংস্থা মৌসুমির মাধ্যমে জেলায় এই প্রথম আগ্রহী মাছ চাষিদের মাধ্যমে কালো সৈনিক পোকা চাষের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চাষিদের মাছ চাষে অধিক লাভবান করতে ও ভোক্তাদের মাঝে বিষমুক্ত মাছ পৌছে দিতেই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীতে এই প্রকল্পটি আরো বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
নওগাঁ সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো: বায়েজিদ আলম বলেন, এই পোকার খাবার হচ্ছে ফেলে দেওয়া বাড়ির উচ্ছিষ্ট, ময়লা আর আবর্জনা। ফেলে দেয়া এই ডাস্টগুলো রিসাইকেল হতে যে ক্ষতিকর গ্রীণ হাউজ গ্যাস নি:সরণ ঘটে সেই গ্যাসও এই পোকা শোষণ করে। মাছ চাষি ও ভোক্তাদের মাঝে এই পোকার উপকারি দিক সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি সরকারি ভাবেও এই পোকা চাষের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় গবেষণার মাধ্যমে ফিডের মতো করে এই পোকার পাউডার তৈরি করে বাজারজাত করতে পারলে চাষিদের মাছ চাষে খরচ কমার পাশাপাশি দেশের ভোক্তাদের কাছে বিষমুক্ত মাছ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হতো। এছাড়াও আবর্জনা ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে দূষণ কমাতে সহায়ক ভৃমিকা রাখবে।
মন্তব্য