× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
দায় মারজানের পদাবনতির সিদ্ধান্ত ভুয়া চিঠিতে সামিয়া
google_news print-icon

দায় মারজানের, পদাবনতির সিদ্ধান্ত ভুয়া চিঠিতে: সামিয়া

দায়-মারজানের-পদাবনতির-সিদ্ধান্ত-ভুয়া-চিঠিতে-সামিয়া
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে সামিয়া রহমান। ছবি: সাইফুল ইসলাম
সামিয়া বলেন, ‘অ্যালেক্স মার্টিন নামে যার মেইল ধরে আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছে, সেই অ্যালেক্স মার্টিন নামে কেউ নেই। শিকাগো জার্নালের এডিটর ক্রেইগ ওয়াকার আমাকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন যে এই নামে কেউ শিকাগো জার্নালে কাজ করেন না।’

গবেষণায় চুরির দায়ে পদাবনতির সাজাকে অন্যায় বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান। তার দাবি, শিকাগো জার্নালের যে চিঠির ভিত্তিতে এই সাজা দেয়া হয়েছে, সেটি ভুয়া।

যে লেখার কারণে এই শাস্তি দেয়া হয়েছে, সেটার দায় তার নয়। অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের দায় এটি।

মারজান বর্তমানে বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন।

পদাবনতির সাজা দেয়ার এক মাস পর সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন সামিয়া, যিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোরে চাকরি করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান।

গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর গত ২৮ জানুয়ারি সামিয়া রহমান ও মারজানকে সাজা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।

সামিয়াকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে নামিয়ে দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে মারজানের পদোন্নতি আটকে দেয়া হয়েছে। তিনি প্রভাষক হলেও শিক্ষা ছুটি শেষে দেশে ফেরার পর পদোন্নতি পেয়ে যেতেন। কিন্তু তাকে আরও দুই বছর প্রভাষক পদে চাকরি করতে হবে।

এই ব্যবস্থা নেয়ার পর সামিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার হয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তার বাবা। জানিয়েছেন, তার মেয়ে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।

‘দায় মারজানের’

সামিয়া যে গবেষণার কারণে শাস্তি পেয়েছেন তার সহলেখক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানকে তিনি ২০১৩ সালে আইডিয়া দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন।

বলেন, ‘মারজান আমার ছাত্র ছিল। আমি তাকে ১২ থেকে ১৩টি আইডিয়া দিয়েছি। সে একটি আইডিয়া নিয়ে এটা লিখেছে। আমি তার এই লেখার সঙ্গে কোনোভাবে সম্পৃক্ত নই, এটা প্রমাণে উঠে এসেছে।

‘২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সোশ্যাল সায়েন্স জার্নালে আমার আর সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের নামে প্রকাশিত ‘‘A New Dimension in Colonialism and Pop Culture: A Case Study of the Cultural Imperialism" প্রবন্ধটি শিকাগো জার্নালে প্রকাশিত হয়। সেখানে মিশেল ফুঁকোর ‘‘The Subject and Power" বই থেকে কিছু অংশ চুরি করায় সেই জার্নালের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যালেক্স মার্টিন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।’

লেখাটি তার নয় দাবি করে সামিয়া বলেন, ‘যে লেখাটি আমি লিখিনি, জমা দিইনি; আইডিয়া দেয়া আর গবেষণা এক বিষয় নয়। ডিন অফিসে আমার কাছ থেকে লেখার কোনো হার্ড বা সফট কপি জমা দেবার কোনো প্রমাণ তদন্ত কমিটি, ট্রাইব্যুনাল পর্যন্ত পায়নি। রিভিউয়ারের কপিও আমার কাছে আসেনি।’

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মারজান এর আগেও সামিয়ার এই বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন, লেখাটি শেষবার গেছে সামিয়ার হাত ধরেই। এখানে বরং তার দায় নেই।

সামিয়ার দাবি, ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি (সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের) ডিন অফিসে গিয়ে লেখাটি প্রত্যাহারের আবেদন জানান। এই আবেদনের কপিও তদন্ত কমিটির কাছে জমা দেয়া হয়েছিল। সে সময়ের উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বিষয়টি সিন্ডিকেটে তোলার কথাও বলেছেন বারবার।

‘শিকাগো জার্নালের চিঠি ভুয়া’

শিকাগো জার্নালের যে চিঠির কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই তদন্ত করেছে, সেটিকেই ভুয়া দাবি করেন সামিয়া। তার দাবি, চার বছর ধরে তিনি মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার।

যে মেইলের সূত্র ধরে তদন্ত হয়েছে, সেটিকেও ভিত্তিহীন দাবি করেন সামিয়া। বলেন, ‘যে ব্যক্তি মেইল করেছেন, তার কোনো অস্তিত্ব কেউ এখন পর্যন্ত দেখাতে পারেননি।’

কীভাবে বুঝলেন, সেই চিঠি ভুয়া?

সামিয়া বলেন, ‘অ্যালেক্স মার্টিন নামে যার মেইল ধরে আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছে সেই অ্যালেক্স মার্টিন নামে কেউ নেই। শিকাগো জার্নালের এডিটর ক্রেইগ ওয়াকার আমাকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন যে, এই নামে কেউ শিকাগো জার্নালে কাজ করেন না।’

দাবি, প্রতিহিংসার শিকার

সামিয়ার দাবি, যে কমিটি তার বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে, সেটি প্রতিহিংসাপরায়ণ।

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ চার বছর তারা তদন্ত ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। প্রতিটি মিটিংয়ের পর যেচে পড়ে তদন্ত কমিটির দু-তিনজন সদস্য সাংবাদিকদের ডেকে আমার বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন তদন্ত শেষ হবার আগেই।’

তাকে শাস্তি দেয়ার উদ্দেশ্যে এমন করা হয়েছে উল্লেখ করে সামিয়া বলেন, ‘মারজান তদন্ত কমিটির কাছে লিখিতভাবে স্বীকার করেছে যে, সে জমা দিয়েছে। রিভিউয়ারের কপিও সেই নিয়েছিল এবং এটি তার অনিচ্ছাকৃত ভুল। অথচ তদন্ত কমিটি বলছে দালিলিক প্রমাণ নাকি অস্পষ্ট কে জমা দিয়েছে! মারজান নিজে তদন্ত কমিটির কাছে জমা দেয়া ও রিভিউ করার কথা লিখিতভাবে বলার পরও কেন দালিলিক প্রমাণ অস্পষ্ট বলে তদন্ত কমিটি? এ-সংক্রান্ত প্রমাণস্বরূপ মারজানকে দেয়া আমার মেইল পর্যন্ত তদন্ত কমিটির কাছে জমা দেয়া হয়েছিল। তদন্ত কমিটি সেক্ষেত্রেও নিশ্চুপ থেকেছে।’

তিনি বেশি সাজা পেলেও মারজানকে কম সাজা দেয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন সামিয়া।

তিনি বলেন, ‘আমি কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত না থেকেও আমাকে পদ অবনমন করা হয়েছে। আর মারজানের শুধু দুই বছর প্রমোশন আটকে রাখা হলো। আমাকে এই সময়ে দেশের বাইরে কোনো একাডেমিক কাজে যেতে দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আর সেখানে মারজানকে সুপারিশ করে আমেরিকাতে স্কলারশিপে পাঠানো হয়েছে।’

হুমকির কারণে মুখ বন্ধ

গবেষণাকাজে চুরির অভিযোগ আরও চার বছর আগের। সামিয়ার দাবি, তার ওপর হুমকি ছিল। এ কারণেই তিনি এত দিন এ নিয়ে কথা বলেননি।

নিজেকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নোংরা রাজনীতির শিকার’ দাবি করে এ বিষয়ে মুক্তি পেতে তিনি রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপও দাবি করেন।

সামিয়ার ভাষ্য, ২০১৭ সালে অভিযোগ ওঠার পর চার বছর তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হয়েছে যাতে তিনি গণমাধ্যমে কথা না বলেন। সে সুযোগে ষড়যন্ত্রকারীরা দিনের পর দিন তার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে গেছে।

চাকরি ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছিল জানিয়ে সামিয়া বলেন, ২০১৯ সালে তিনি বর্তমান উপাচার্য আখতারুজ্জামানের কাছে তদন্ত কমিটির দুইজন সদস্য পরিবর্তন করতে বলেছিলেন।

সেই দুইজন কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা আমি আজকে আপনাদের কাছে যে ডকুমেন্টস দিয়েছি, সেখানে উল্লেখ করা আছে।’

নথিতে সামিয়া জানান, ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর উপাচার্য বরাবর চিঠিতে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের বর্তমান ডিন সাদেকা হালিম ও উপ-উপাচার্য নাসরীন আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।

চার বছর চুপ থাকা প্রসঙ্গে সামিয়া রহমান বলেন, ‘গত চার বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের হুমকি-ধমকির চাপে ও তদন্তাধীন বিষয় বলে মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিলাম। তার সুযোগে ষড়যন্ত্রকারীরা দিনের পর দিন প্রপাগান্ডা চালিয়েছে আমার বিরুদ্ধে।’

আইনি সহায়তা দেবেন তুরিন আফরোজ

সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ উপস্থিত ছিলেন। তিনি সামিয়া রহমানের হয়ে আইনি বিষয়ে কাজ করবেন।

তিনি বলেন, তারা একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই বিষটি নিয়ে উপাচার্য থেকে শুরু করে আচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে জানাবেন।

সামিয়া রহমানকে ফাঁসানো হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘একটা ভুয়া মেইলের ভিত্তি ধরে তার বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহসহ সামিয়া রহমানের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
ভয়ে ৪ বছর মুখ খুলিনি: সামিয়া
সংবাদ সম্মেলনে আসছেন সামিয়া

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Five more bodies in the country

দেশে আরও পাঁচজনের শরীরে করোনা শনাক্ত

দেশে আরও পাঁচজনের শরীরে করোনা শনাক্ত

রবিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে কারো মৃত্যু হয়নি। এই সময়ের মধ্যে পাঁচ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৪৭ জনে। আর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ জনে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ২০ শতাংশ। মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এ নিয়ে করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৬ জনে।

মন্তব্য

শিক্ষা
The chief adviser to the country left for London

লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আমিরাতের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, এই সফরে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’।

সফরসঙ্গী হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।

এ ছাড়া, দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন করে পুনরুজ্জীবিত এবং অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গড়ার লক্ষ্যে এই সফর অনুষ্ঠিত হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সফর। প্রধান উপদেষ্টা ৯ জুন ঢাকা থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন এবং ১৪ জুন দেশে ফিরবেন।’

মন্তব্য

শিক্ষা
Extra precautions with passengers from India
করোনা সংক্রমণ

ভারত থেকে আগত যাত্রীদের নিয়ে বাড়তি সতর্কতা

ভারত থেকে আগত যাত্রীদের নিয়ে বাড়তি সতর্কতা

সম্প্রতি ভারতে করোনায় সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে দেশটিতে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৪৯১ জনে পৌঁছেছে। তাই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আগাম সতর্কতা হিসেবে ভারত থেকে যেসব রুটের ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে, সেসব ফ্লাইটের সব যাত্রী স্ক্রিনিং শুরু করেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে ভারতের চেন্নাই, কলকাতা, দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই থেকে ঢাকায় ফ্লাইট আসে। এই ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ গণমাধ্যমকে জানান, পার্শ্ববর্তী দেশে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও জোরদার করা হয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা। গত ২ জুন থেকেই বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। ভারত থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত সংখ্যত মাস্ক এবং পিপিই রাখা হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট থেকে আগত যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রবেশপথে বসানো হয়েছে থার্মাল স্ক্যানার।

বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত নির্দেশনা ও সতর্কতা প্রচারও চলছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এ সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলো কার্যকর থাকবে।

ভারতের স্বাস্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে কেরালায়। সেখানে বর্তমান সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯৫৭ জন। অপরদিকে গুজরাটে এই সংখ্যা ৯৮০ জন, পশ্চিমবঙ্গে ৭৪৭ জন, দিল্লিতে ৭২৮ জন কর্ণাটকে ৪২৩ জন এবং মহারাষ্ট্রে ৬০৭ জন।

সতর্কতার অংশ হিসেবে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ এবং শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মন্তব্য

শিক্ষা
Bhola Coast Guard and police separately arrested a drug businessman

ভোলায় কোষ্টগার্ড ও পুলিশের পৃথক অভিযান, এক মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার

ভোলায় কোষ্টগার্ড ও পুলিশের পৃথক অভিযান, এক মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার

ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ও সামান্দা ইউনিয়নে বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড ভোলা বেইস ও পুলিশের সমন্বয়ে পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে ২৭৪ পিছ ইয়াবা ও ১৫ গ্রাম গাঁজা সহ এক মাদককারবারী কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার মধ্যরাত ৩টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলা সদর উপজেলার সামান্দা ইউনিয়নে সামান্দা গ্রাম থেকে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৫ শত টাকা মূল্যের ২৭৪ পিস ইয়াবা ও ১৫ গ্রাম গাঁজা এবং নগদ ১২ হাজার ৮ শত ৪৫ টাকা সহ মাদক ব্যাবসায়ী আব্বাস (৩৮) কে গ্রেফতার করা হয়।

পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য আসামীকে জব্দকৃত সকল আলামত সহ ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড দক্ষিণ জোন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ড। উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং চোরাচালান রোধে অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। সীমান্তে চোরাচালান রোধে কোষ্টগার্ড কতৃক ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Delivery in Daulatpur Delief in Caesarean Delivery

দৌলতপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় সিজারিয়ান ডেলিভারিতে প্রসূতির মৃত্যু

দৌলতপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় সিজারিয়ান ডেলিভারিতে প্রসূতির মৃত্যু তারাগুনিয়া ক্লিনিক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারিয়ান ডেলিভারির সময় আখি খাতুন (২২) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে এবং দ্রুত লাশ দাফনের পরামর্শ দেন।

নিহত আখি খাতুন উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের পূর্ব কবিরাজ পাড়া গ্রামের ইমনের স্ত্রী।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৮ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আখিকে প্রথমে থানার মোড় এলাকার ‘আলসেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল’-এ নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগীর জটিল অবস্থা বুঝে উন্নত পরীক্ষার পরামর্শ দেন। তবে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, আলসেফা হাসপাতালের পরামর্শ উপেক্ষা করে তারাগুনিয়া ক্লিনিকের দালালদের প্ররোচনায় তাকে সেখানে নেওয়া হয়।

নিহতের মা ও খালা জানান, তারাগুনিয়ার আবুলের ক্লিনিকে (তারাগুনিয়া ক্লিনিক) নেওয়ার পর কয়েকজন চিকিৎসক আখিকে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য নিয়ে যান। সিজার শেষ করে বেডে আনার পর থেকেই রোগীর অবস্থা অস্বাভাবিক ছিল। চিকিৎসকরা একপর্যায়ে তার পেটে চাপাচাপি করে, পরে অবস্থার অবনতি দেখে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন, কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা আখিকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবার আরও বলেন, ক্লিনিকেই আঁখি মারা গিয়েছে কিন্তু ক্লিনিক মালিক দায়ভার এড়াতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড এর নাটক করে।

পরে মৃতদেহ আবার ক্লিনিকে ফেরত আনা হয় এবং মৃতের পরিবার ও এলাকাবাসী ক্লিনিকের সামনে হট্টগোল করে ও ক্লিনিক ভাঙচুরের চেষ্টা করলে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার বাড়িতে ডেকে নিয়ে টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করেন এবং রাত ৮ টার সময় দাফন সম্পন্ন করা হয়।

ঘটনার বিষয়ে ওই দিন ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্স চালক ফারুক হোসেন বলেন, "আমাকে ক্লিনিক থেকে রোগী গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, রোগী মারা গেছে। এরপর তারা জোরাজুরি করে ইসিজি করেন ও সদর হাসপাতাল থেকেই ডেট সার্টিফিকেট নিয়ে আবার ক্লিনিকে ফিরিয়ে আনা হয়।"

সিজারিয়ান অপারেশনে অংশ নেওয়া চিকিৎসকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে, ক্লিনিক মালিকের ছেলে এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি তাশরিক সঞ্চয় ঘটনার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের ফোন করে নিরুৎসাহিত করেন। তিনি স্বীকার করেন, “রোগীর মৃত্যুর ঘটনা আমাদের ক্লিনিকে ঘটেছে।”

অন্যদিকে, আলসেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল’ থেকে রোগী কেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবিষয় ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যাবস্থাপক সুজন হোসেন জানান, “রোগীর শারীরিক সমস্যা বুঝতে পেরে আমরা উন্নত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দিই। তবে রোগীর স্বজনরা আমাদের পরামর্শ না নিয়ে অন্য ক্লিনিকে চলে যান।”

এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সিজারের ৬ ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত খাবার খাওয়া নিষেধ থাকলেও রোগী খাবার খেয়ে সেটা ডক্টরের কাছে গোপন রাখে যার ফলে সিজার পরবর্তী সমস্যা হয় ও রোগী মারা যায়।

মন্তব্য

শিক্ষা
The desired price did not match the skin due to inexperience
শিল্প উপদেষ্টা

অনভিজ্ঞতার কারণে চামড়া নষ্ট হয়েছে, মেলেনি কাঙ্ক্ষিত দাম

অনভিজ্ঞতার কারণে চামড়া নষ্ট হয়েছে, মেলেনি কাঙ্ক্ষিত দাম

অনভিজ্ঞতার কারণে অনেকে চামড়ায় দেরিতে লবণ দিয়েছেন। এতে করে চামড়া নষ্ট হওয়ায় এবং মান কমে যাওয়ায় অনেকে কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

আজ সোমবার সাভার চামড়া শিল্পনগরী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় চামড়ার দর কমে যাওয়া নিয়ে আড়তদার ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন।

আদিলুর জানান, এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৮ হাজার পিস চামড়া এসেছে শিল্পনগরীতে। ঢাকায় আছে সাড়ে ৭ লাখ পিস।

চলতি বছর ৩০ হাজার টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনোভাবেই যাতে চামড়া না পঁচে বা দাম পড়ে না যায় তাই সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত লবণ সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও অনভিজ্ঞতার কারণে কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে, যদিও এর পরিমাণ কম। যাদের চামড়া নষ্ট হয়েছে এবং মান কমে গেছে তারা দাম কম পেয়েছেন।’

তিনি দাবি করেন, ‘চামড়ায় লবণ দেওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। অনেকেই দেরিতে লবণ দিয়েছেন, যার প্রভাব চামড়ার মানে পড়েছে। ফলে দামও কমেছে অনেক ক্ষেত্রে। তবে সরকারের তৎপরতার কারণে এ বছর খুব অল্পসংখ্যক চামড়াই নষ্ট হয়েছে।’

এ ছাড়া, গবাদি পশুর ল্যাম্পি স্কিন রোগের কারণে চলতি বছর ৩০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে বলেও উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

মন্তব্য

শিক্ষা
In Jhenaigati the people of the bunch of sacrifice got the meat of sacrifice after that time

ঝিনাইগাতীতে ১ যুগ পর কোরবানির মাংস পেলো গুচ্ছগ্রামের মানুষ

ঝিনাইগাতীতে ১ যুগ পর কোরবানির মাংস পেলো গুচ্ছগ্রামের মানুষ গোমড়া গুচ্ছগ্রামে এক যুগ এবং কান্দুলী গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা গত ৬ বছর ধরে কুরবানীর মাংস পায়নি। ছবি: নিউজবাংলা

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর দুটি গুচ্ছগ্রাম - গোমড়া ও কান্দুলীর বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে কুরবানীর মাংস থেকে বঞ্চিত ছিল। গোমড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা এক যুগ এবং কান্দুলী গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা গত ৬ বছর ধরে কুরবানীর মাংস পায়নি। তবে এবার ‘দৈনিক বাংলাদেশের খবর’ পত্রিকায় বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয় সংগঠন ও দাতাদের উদ্যোগে এই দুটি গ্রামের মানুষ কোরবানির মাংস পেয়েছে।

গোমড়া গুচ্ছগ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা আঙ্গুরী বেগম (৭০) বলেন, ‘১২ বছর ধরে আমরা কোরবানির মাংসের স্বাদ পাইনি। এবার রক্তসৈনিক ফাউন্ডেশন আমাদের জন্য গরু দিয়েছে। আল্লাহ তাদের ভালো রাখুন।’

গুচ্ছগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকার অনেক গরিব মানুষ আছে যারা কোরবানি দিতে পারে না। এই উদ্যোগ আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। আমরা সংগঠনটির কাছে কৃতজ্ঞ।’

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘গুচ্ছগ্রামের দুঃস্থ মানুষেরা দীর্ঘদিন ধরে কোরবানির মাংস থেকে বঞ্চিত ছিল। স্থানীয় সংগঠন ও দাতাদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমরা সামাজিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে কাজ করে সবাইকে কোরবানির মাংসের আওতায় আনার চেষ্টা করব। আমাদের বিভাগীয় কমিশনার স্যারও গোসত পাঠাচ্ছেন। যদি কোনো অসহায় মানুষ কোরবানির মাংস না পেয়ে থাকে, আমরা নিশ্চিত করব যেন তারা গোসত পায়।’

পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন সংগঠনটি বিষয়টি নজরে নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। সংগঠনের সভাপতি রাজিয়া সামাদ ডালিয়া গোমড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের জন্য একটি গরু কোরবানির ব্যবস্থা করেন।

অন্যদিকে কান্দুলী গুচ্ছগ্রামে শাহ অলি উল্লাহ ইসলাম সেন্টার বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে এবং অরফান শেল্টার ফাউন্ডেশন, যুক্তরাজ্যের আর্থিক সহায়তায় একটি গরু কোরবানি দেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, গত ৬ বছর ধরে এই গ্রামে কুরবানীর মাংস বণ্টন হয়নি। এবার দাতাদের সহযোগিতায় গ্রামবাসী মাংস পেয়ে খুশি।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে ঝিনাইগাতীর দুটি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন পর কুরবানীর মাংস পেয়ে আনন্দিত। স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন কুরবানীর মাংস থেকে বঞ্চিত না হয়।

মন্তব্য

p
উপরে