প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রের সংখ্যা কেন কমে যাচ্ছে, তার কারণ জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি, টিউশন ফি, ভর্তিসহায়তা ও চিকিৎসা অনুদান বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে রোববার সকালে এমন জবাব চান তিনি।
অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকসহ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষায় সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ বাড়াতে ছাত্র-ছাত্রী উভয়ের জন্য বর্ধিত হারে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। ফলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জেন্ডার সমতা অর্জন করায় বাংলাদেশ বিশ্বে প্রশংসা অর্জন করেছে।
‘এখানে মেয়েদের সংখ্যা বেশি, ছেলেদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এটা যেন না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। আমাদের জেন্ডার সমতাটা একটু অন্য রকম হয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেক স্কুলে দেখা যায়, মেয়ে শিক্ষার্থী বেশি হয়ে যাচ্ছে, ছেলেরা কমে যাচ্ছে। তবে ছেলেরা কেন কমে যাচ্ছে, এটা আমাদের দেখা দরকার।
‘এ বিষয়টা অবশ্যই একটু নজরে দেবেন সকলে। আমরা মনে করি, অভিভাবক, শিক্ষক সকলকেই এটা দেখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে স্নাতক পর্যায়ের ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ কোটি ৬৩ লাখ ৮৮২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বাবদ ৮৭ কোটি ৪৩ লাখ ৭৭ হাজার ৪০০ টাকা এবং ভর্তি সহায়তা বাবদ ১২৩ শিক্ষার্থীকে ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের আর্থিক অনুদান বাবদ ৪ শিক্ষার্থীকে ২ লাখ টাকাসহ ৮৭ কোটি ৫২ লাখ ৫৫ হাজার ৪০০ টাকা বিতরণ করা হয়।
শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা দিতে নির্দেশ
স্কুল-কলেজের কার্যক্রম শুরু করতে দ্রুত শিক্ষক-কর্মচারীদের করোনাভাইরাসের টিকা দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘কোভিডের জন্য এখন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। এটা একটা কষ্টকর ব্যাপার। তবে আমরা আশা করছি যে, আগামী ৩০ মার্চ আমরা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে সক্ষম হব।
‘ইতিমধ্যে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর যত শিক্ষক-কর্মচারী যারা আছে সকলকেই টিকা নিতে হবে। এর জন্য ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি। টিকা সবাইকে দেয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে বলেও জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘আর ইউনিভার্সিটি বা কলেজে ডব্লিউএইচও এর নির্দেশ মোতাবেক যে বয়স পর্যন্ত টিকা নেয়া যাবে না তার উপরের বয়সের যারা, সেসব শিক্ষার্থীকেও টিকা দেয়া হবে। কাজেই সকলেই সুরক্ষিত থাকুক এটাই আমরা চাই।’
শিক্ষা খরচ নয়, বিনিয়োগ
দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে শিক্ষার কোনো বিকল্প দেখছেন না প্রধানমন্ত্রী। আর এ কারণেই শিক্ষাকে খরচের পরিবর্তে বিনিয়োগ হিসেবে দেখেন বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ করতে হলে অবশ্যই শিক্ষা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
‘জাতির পিতার চিন্তা আদর্শ নিয়েই আমরা চলি। শিক্ষার খরচকে আমরা খরচ মনে করি না, বিনিয়োগ মনে করি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিনিয়োগ।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা যে স্বীকৃতি পেয়েছি এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে।
‘ধরে রাখার জন্যই দরকার শিক্ষার প্রসার এবং উপযুক্ত দক্ষ নাগরিক। আমরা সেই দক্ষ ও উপযুক্ত নাগরিক গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।’
শিক্ষার উন্নয়নে সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘আমাদের যারা বিত্তশালী তারাও এগিয়ে আসবেন। নিজ নিজ এলাকা বা নিজ স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যে যেখানে পড়াশোনা করেছেন, সে সেখানে উন্নয়নে মনোযোগী হবেন।
‘যেখান থেকে লেখাপড়া শিখে আজ বিত্তশালী হয়েছে সেই জায়গাগুলির প্রতি যদি সবাই যত্নশীল হয়, তাহলে মনে হয় আর সমস্যা হয় না।’
এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শিক্ষার প্রসারে নেয়া নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। সমালোচনা করেন বিএনপি-জামায়াত সরকারের।
তিনি বলেন, ‘২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা সরকার গঠন করে সবচেয়ে বেশি উদ্যোগ নিয়েছিলাম যে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে। এ জন্য নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একটি প্রকল্প আমরা হাতে নিই। সেখানে আমরা আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিক বা মসজিদ- ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষার ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এমনকি বিভিন্ন এনজিওকেও আমরা কাজে লাগাই, বয়স্কদের শিক্ষা দেয়ার জন্য।
‘আমাদের এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল একেকটা জেলাকে নিরক্ষরমুক্ত ঘোষণা করা হবে। সেখানে ৪৫ বছরের নিচে বয়স যাদের কেউ যদি নিরক্ষর থাকে, তাকে সাক্ষরজ্ঞান দেয়া হবে। সে প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করতে শুরু করি এবং শুভ ফলও আমরা পেতে শুরু করি। অনেক জেলায় তখন অল্প সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতামুক্ত ঘোষণা করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘এর কারণে ইউনেসকোর পক্ষ থেকে আমরা একটা পুরস্কারও পাই। আবার সেই পুরস্কারের টাকা দিয়ে আমরা বৃত্তি দেয়ার ব্যবস্থা করি। আমরা যখন সরকার গঠন করি মাত্র ৪৫ ভাগ ছিল সাক্ষরতার হার। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সেটা ৬৫ দশমিক ৫ ভাগে উন্নীত করতে সক্ষম হই।
‘আমাদের দুর্ভাগ্য হলো ২০০১-এ আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। বিএনপি-জামায়াত জোট আসল। আমাদের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিল।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়বার যখন আমরা সরকার গঠন করি, আমরা পুনরায় উদ্যোগ নেই। সেই সময়েই এই ট্রাস্ট ফান্ড করবার একটি পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। সেখানে এই কথাটা আমি লিখেছিলাম সরকার বদল হলেও যেন কেউ এটা বন্ধ করতে না পারে।
‘কারণ আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল। অনেকগুলো গণমুখী কাজ আমরা নিয়েছিলাম হাতে। বিএনপি সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। এ জন্য এখন থেকে যাই করি, চেষ্টা করি যে সরকার বদল হলেও যেন এগুলো বন্ধ না হয়, সে প্রচেষ্টা আমাদের সবসময় রয়েছে।’
প্রথম মেয়াদে সরকারে এসে সারা দেশে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা সেই সাথে সাথে সারা দেশে শিক্ষার প্রসার ঘটানোর ব্যবস্থাও নেই। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় ছিল, বিজ্ঞান শিক্ষায় মানুষের তেমন একটা আগ্রহ ছিল না। আমরা ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের জন্য আইন পাস করি, কাজও শুরু করি।
‘এর মধ্যে গোপালগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ বিএনপি বন্ধ করে দেয়। ১২টার মধ্যে দুটো আমরা শেষ করেছিলাম। একটি দিনাজপুরের হাজী দানেশ এবং পটুয়াখালীর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এ দুটিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার আমার নির্দেশনা ছিল, যেটা কৃষির ওপর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা দেবে এবং গবেষণা হবে।’
শিক্ষায় বিনিয়োগের মাধ্যমে দক্ষ মানবশক্তি সৃষ্টিই সরকারের লক্ষ্য বলে জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষা প্রসারে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি স্কুল স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ এবং প্রতিটি জেলায় একটি করে সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে।
‘অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমরা প্রত্যেক জেলায় করে দিচ্ছি যাতে ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের চোখের সামনে থেকে পড়াশোনা করতে পারে। আর এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমরা বহুমুখী করে দিচ্ছি। যেমন টেক্সটাইল করছি, ডিজিটাল করছি, আমাদের প্রত্যেক বিভাগে একটি করে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ও আমরা করে দিচ্ছি। ফ্যাশন ডিজাইন থেকে শুরু করে অর্থাৎ আধুনিক যুগে কী কী ধরনের বিষয় লাগে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কিন্তু আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞান-প্রযুক্তি শিক্ষা বা কারিগরি শিক্ষা এটাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে, শুধু দেশে না বিদেশেও।
‘আমাদের এ জন্য আরও বেশি প্রয়োজন, আমরা ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি, সেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে। সেখানে অনেক টেকনিক্যাল লোক লাগবে। দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হবে। সেই জনশক্তিই আমরা সৃষ্টি করতে চাই।’
আরও পড়ুন:বুধবার, ২০শে আগষ্ট, ২০২৫, সকাল ১১ টায় বিশেষ অতিথিদের নিয়ে আরবী ভাষা ও সংস্কৃতির উপর এক প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান উদযাপন করলো এমারেল্ড ইন্টারন্যশনাল স্কুল ঢাকা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনজন সম্মানিত অতিথিকে স্কুলের ম্যানেজমেন্ট টিম এবং প্রধান উপদেষ্টা জনাব এম এম রনক (Mr. M M Ronok) ফুলের তোড়া ও তাদের নামের ইসলামিক ক্যালিওগ্রাফি দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের লিবীয় দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান জনাব আব্দালফাত্তাহ এ. এ. খিতরেশ (Mr. Abdalfattah A. A. Khitresh)। তার সঙ্গে ছিলেন চৌধুরী লেদার অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ইমরান চৌধুরী (Mr. Imran Chowdhury) এবং বিজনেস ইন বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জনাব রাজিব (Mr. Rajib)।
শিক্ষার্থীরা আজ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের মেধার ও আরবী ভাষায় লব্ধ জ্ঞানের এক মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী দিয়ে অতিথিদের মুগ্ধ করে। এমারেল্ড এর শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী ও সাবলীল আরবি কথোপকথনের মাধ্যমে তাদের ভাষার দক্ষতা প্রদরশীত হয়, যা দর্শকদের মন ভুলিয়ে দেয় এবং তাদের ভাষা কার্যক্রমের সাফল্য EISD তুলে ধরে। নতুন প্রজন্ম থেকে আলোকিত ও সপ্রতিভ শিক্ষার্থী তৈরি করে বিশ্বকে আত্মবিশ্বাসী ও মুসলিম নেতৃত্ব দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি EISD স্কুল দিয়েছে, আজকের তাদের পরিবেশনা তারই একটি প্রমাণ।
শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা শেষে, অতিথিদেরকে মধ্যাহ্নভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়, যেখানে তারা স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে আরও গভীরভাবে মতবিনিময় করার সুযোগ পান। এই অনুষ্ঠানটি কেবল সংস্কৃতি এবং ভাষার উদযাপনই ছিল না, বরং শিক্ষাবিদ ও পেশাদার জগতের মধ্যে এক অর্থপূর্ণ চিন্তাধারার আদান-প্রদানও ছিল।
ইআইএসডি-তে আরবি সপ্তাহের সাফল্য একটি সামগ্রিক শিক্ষা পদ্ধতিকে তুলে ধরে, যা শিক্ষা, নৈতিকতা এবং ইসলামী সংস্কৃতির সমন্বয় সাধন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এই প্যানেল ঘোষণা করেন।
প্যানেল থেকে ভিপি পদে (সহ-সভাপতি) নির্বাচন করবেন আবিদুল ইসলাম খান, জিএস পদে (সাধারণ সম্পাদক) শেখ তানভীর বারী হামিম এবং এজিএস পদে (সহকারী সাধারণ সম্পাদক) তানভীর আল হাদী মায়েদ।
প্যানেল থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচন করবেন আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে এহসানুল ইসলাম, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক পদে চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা।
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. মেহেদী হাসান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদে আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পদে চিম চিম্যা চাকমা, ছাত্র পরিবহন বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. সাইফ উল্লাহ (সাইফ) নির্বাচন করবেন।
গবেষণা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পদে ১৫ জুলাইয়ে আহত সানজিদা আহমেদ তন্বীর সম্মানে খালি থাকবে বলে জানিয়েছেন রাকিব।
সমাজসেবা সম্পাদক পদে সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. আরকানুল ইসলাম রূপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদে আনোয়ার হোসাইন এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. মেহেদী হাসান মুন্না নির্বাচিত হবেন।
এছাড়া সদস্যপদের জন্য প্যানেল থেকে নির্বাচন করবেন মো. জারিফ রহমান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান, মো. হাসিবুর রহমান সাকিব, মো. শামীম রানা, ইয়াসিন আরাফাত আলিফ, মুনইম হাসান অরূপ, রঞ্জন রায়, সোয়াইব ইসলাম ওমি, মেহেরুন্নেসা কেয়া, ইবনু আহমেদ, সামসুল হক আনান এবং নিত্যানন্দ পাল।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন ১০ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ জন শিক্ষার্থী। গত ৩০ জুলাই থেকে শুরু হওয়া আবেদনের সময় শেষ হওয়ার কথা ছিল ১১ আগস্ট। তবে পরে বাড়িয়ে দেওয়া হয় ১৫ আগস্ট রাত ৮টা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যেই আবেদন জমা পড়ে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ।
গতকাল সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবারের আবেদনে বোর্ডভিত্তিক ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে—২ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৩ জন। মাদরাসা বোর্ডে আবেদন করেছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮২ জন শিক্ষার্থী। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকেও আবেদন পড়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক, ১ লাখ ২৯ হাজার ১৪ জন।
রাজশাহী ও যশোর বোর্ড থেকে যথাক্রমে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৩টি আবেদন জমা পড়েছে। চট্টগ্রাম বোর্ডে আবেদন ৯২ হাজার ১৬১, কুমিল্লা বোর্ডে ৯২ হাজার ৪৮৪, সিলেট বোর্ডে ৬২ হাজার ৩৭৯, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫১ হাজার ৮৭১ এবং বরিশাল বোর্ডে পড়েছে ৪০ হাজার ৬৩৪টি আবেদন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে আবেদন জমা পড়েছে ৩৮ হাজার ৬৮৭টি, আর বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচএসসি প্রোগ্রামে আবেদন করেছেন মাত্র ৭০১ জন।
দেশের ৯ হাজার ১৮১টি কলেজ ও মাদরাসায় একাদশ শ্রেণিতে আসন রয়েছে ২২ লাখের বেশি। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পর্যায়ে রয়েছে প্রায় ৯ লাখ আসন এবং সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিকে রয়েছে আরও ২ লাখ ৪১ হাজার আসন। সব মিলিয়ে একাদশ শ্রেণি ও সমমানের প্রতিষ্ঠানে মোট আসন রয়েছে প্রায় ৩৩ দশমিক ২৫ লাখ। অথচ এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন। ফলে ভর্তি নিয়ে শিক্ষার্থীদের তেমন কোনো চাপ নেই।
গত ২৪ জুলাই প্রকাশিত ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করেছেন পছন্দক্রম অনুযায়ী। এতে অটো মাইগ্রেশন সুবিধা প্রযোজ্য থাকবে। যারা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন, যোগ্য হলে তারাও আবেদন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, চলতি খ্রিষ্টাব্দসহ ধারাবাহিকভাবে পূর্ববর্তী দুই খ্রিষ্টাব্দে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ভর্তি হওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রকাশিত ষষ্ঠ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক সুপারিশের ফল চলতি সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি শেষ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
গতকাল রোববার এনটিআরসিএর সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র বলছে, ফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলেই দ্রুততম সময়ে সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হবে।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ষষ্ঠ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সুপারিশ প্রকাশের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া মাত্রই ফল প্রকাশ করা হবে।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ১৬ জুন ষষ্ঠ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে শূন্য পদ ছিল ১ লাখ ৮২২টি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফরম পূরণ ও ফি পরিশোধ করে সফলভাবে আবেদন করেন ৫৭ হাজার ৮৪০ জন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি প্রতিষ্ঠানে পছন্দ দিতে পেরেছেন।
২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে এনটিআরসিএ। তবে শুরুর ১০ বছর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির হাতে।
২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকার এনটিআরসিএকে সনদ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতাও দেয়।
এরপর পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করে এনটিআরসিএ।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদান করেছেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালযয়ের ৩১ জুলাই ২০২৫ তারিখের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে উক্ত পদে নিয়োগ দেয়া হয়। গত ০৭ আগস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজজের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানের কাছে তিনি যোগদানপত্র হস্তান্তর করেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল ২০০২ সালে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে বিভাগীয় প্রধান, সহযোগী ডিন এবং ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃতী সন্তান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং-এ এমবিএ ও বিবিএস সম্পন্ন করেছেন।
ড. ইকবাল মালয়েশিয়ার ইউসিসিআই ইউনিভার্সিটির অতিথি অধ্যাপক এবং তুরস্কের আনাদোলু ইউনিভার্সিটিতে এরাসমাস+ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। তিনি একজন প্রখ্যাত গবেষক। তার ৫০টিরও বেশি গবেষণা প্রবন্ধ স্কোপাস ও ওয়েব অব সায়েন্সে প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ ওপেন ইউনিভার্সিটির সাথে যৌথভাবে সার্ভিস মার্কেটিং বিষয়ে একটি পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করেছেন।
তিনি ডিআইইউ-এর ইউনুস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টার-এর পরিচালক হিসেবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও পাঠ্যক্রম উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তিনি নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এবং সোশ্যাল বিজনেস শিক্ষার অঙ্গনে একজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব, একাডেমিক সততা এবং উদ্ভাবনের প্রতি অঙ্গীকার তাকে বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যবসায় শিক্ষার ভবিষ্যত গঠনে একটি সম্মানিত শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু হবে আজ মঙ্গলবার থেকে। প্রতিটি মনোনয়ন ফরমের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা।
গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়টির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রার্থীরা ১২ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৯ আগস্ট, বিকেল ৩টা।
এতে আরও বরা হয়, প্রার্থীরা সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস থেকে এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল করতে পারবেন। একই সময়ে হল সংসদের মনোনয়নপত্র প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট হল রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সশরীরে সংগ্রহ ও দাখিল করতে হবে।
ডাকসু ও হল সংসদ আচরণ বিধিমালা-২০২৫ অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের সময় কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না এবং পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ বা জমা দেওয়া যাবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫-এর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরও তালিকায় বহিষ্কৃত ও মামলায় অভিযুক্ত কোনো শিক্ষার্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত থাকলে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, হলগুলোকে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত রাখার গত বছর নেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
শনিবার (৯ আগস্ট) ভোরে তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এ কথা বলেন। এর আগে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ঢাবিতে হল রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার(৮ আগস্ট) সকালে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে কমিটি ঘোষণা করার পর এই বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
২০২৪ সালের ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীরা হল প্রশাসনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বর্তমানে নিষিদ্ধ) নেতাকর্মীদের অপসারণ ও হলগুলোকে রাজনীতিমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বাধ্য করে।
রাত সাড়ে ১২টার বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে, ১-২-৩-৪, হল রাজনীতি আর নয়, স্বাধীনতা না দাসত্ব, স্বাধীনতা-স্বাধীনতা ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত হলো হল স্তরে কোনো ছাত্ররাজনীতির অনুমতি দেওয়া হবে না। তারা কেন্দ্রীয় স্তরে, মধুর ক্যান্টিনে এটি করতে পারে। এটাই ছিল বোঝাপড়া। তবে, আমরা কোনো ছাত্র সংগঠনকে 'আপনি এটি বাতিল করুন' বলতে বাধ্য করতে পারি না। আমরা জানিয়েছি, ১৭ জুলাই যা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তা বলবৎ থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে আজ প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির একটি সভা হবে। এরপর, যেসব ছাত্র সংগঠনের নাম উঠে এসেছে, তাদের সঙ্গেও আমাদের কথা বলব।’
মন্তব্য