গেরুয়া গ্রামবাসীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের সংঘর্ষের সময় শুক্রবার রাতে প্রক্টর ফিরোজ উল হাসানের একটি মন্তব্য কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
একটি অনলাইন সংবাদপত্রে জাবি প্রক্টরের বরাত দিয়ে বলা হয়, তিনি ক্যাম্পাসের বাইরের শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নেবেন না।
এই মন্তব্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তবে ফিরোজ উল হাসানের দাবি, তিনি ‘ওভাবে’ বিষয়টি বলেননি। ক্যাম্পাসের বাইরে শিক্ষকেরা কতটা ভূমিকা রাখতে পারেন, সে বিষয়টিই তিনি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন।
নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি দাবি করেন, তার বক্তব্য ‘মিসকোট’ করা হয়েছে।
অনলাইনে ভাইরাল মন্তব্যের বিষয়ে শনিবার জাবি প্রক্টরের বক্তব্য জানতে চায় নিউজবাংলা। জবাবে তিনি বলেন, ‘বক্তব্যটি কমপ্লিটলি কল্পনাপ্রসূত। এ রকম বক্তব্য আমি কোথাও দিইনি। গতকাল (শুক্রবার) অনেকগুলো মিডিয়ায় আমি কথা বলেছি। কোথাও এই বক্তব্য আসেনি। তবে কয়েকটি অনলাইন মিডিয়া এমন বক্তব্য ছেপেছে। এটা খুবই দুঃখজনক। কম হলেও হাজার খানেক ফোন আমি গতকাল রিসিভ করেছি। আমি যদি শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব না-ই নিই তাহলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত আমি ওখানে কেন দাঁড়িয়ে থাকব।’
ভাইরাল বক্তব্যটি নাকচ করলেও ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় আমরা তো নানান রকম কথা বলি। হয়ত এমন হতে পারে যে, ক্যাম্পাসের বাইরে এসে আমরা কতটুকু রোল প্লে করতে পারি, কিংবা আমি যে গ্রামের মানুষকে ট্রেস করব- ওরা তো জানে না যে আমি প্রক্টর। ওরা তো আমাকেও ছাত্র মনে করতে পারে। হয়ত এমন আলোচনা হতে পারে যে, ওখানে গিয়ে আমরা গ্রামবাসীকে কীভাবে ফেস করব? ছাত্রদের আমরা যেভাবে ফেস করতে পারি, গ্রামের মানুষ কি সেটা বুঝবে? গ্রামের মানুষ আমাদের কেন সম্মান করবে।
‘সুতরাং আমরা এমন আলোচনা হয়ত করেছি যে, ওপারে গিয়ে আমরা ওখানকার জনগণকে কতটুকু ম্যানেজ করতে পারব। ওপারে আমাদের রোল কতটুকু ইফেক্টিভ হবে? তাদের আমরা কতটুকু কনভিন্স করতে পারব?’
গেরুয়াতে সহিংসতার পর প্রক্টরের ভূমিকা কী ছিল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শুরুতে আমি জানার চেষ্টা করেছি আসলে কী হয়েছে। যখন জানতে পারলাম শিক্ষার্থীদের আটকে রেখেছে এবং মারছে তখন আমি নিজেই গাড়ি চালিয়ে স্পটে গিয়েছি। আরেকজন অ্যাসিসটেন্ট প্রক্টর আমার সঙ্গে ছিল। অন্যদের ফোন করেছি গেরুয়াতে আসার জন্য। গিয়ে শুনলাম একজন শিক্ষার্থী সিরিয়াসলি আহত হয়েছে এবং তাকে আটকে রেখেছে। আমার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল ওই শিক্ষার্থীকে আগে উদ্ধার করা।’
ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক কোনো ঝামেলা তৈরি হলেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রক্টরের প্রতি শিক্ষার্থীদের অনাস্থা তৈরি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন জাবি প্রক্টর।
তিনি বলেন, আসলে প্রক্টর তো ছাত্রদের নিয়ে কাজ করেন। শিক্ষার্থীদের যেকোনো ধরনের ইস্যু আসলে প্রক্টরের সঙ্গে সম্পর্কটা চলে আসে। প্রক্টর তো একজন। বিশজন না। স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষার্থীদের কোনো ইস্যু আসলে কিংবা তাদের স্বার্থে আঘাত আসলে প্রক্টর যদি স্বার্থ সংরক্ষণ করতে না পারে তখন অভিযোগের আঙুল স্বাভাবিকভাবেই প্রক্টরের দিকে যায়।’
ফিরোজ উল হাসান দাবি করেন তিনি সব সময় শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেন। প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করেই তিনি নিজের দায়িত্ব পালন করেন।
শুক্রবারের ঘটনা প্রাথমিকভাবে সামাল দিতে প্রশাসনের কোনো ব্যর্থতা ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি।
‘আমরা সব সময় প্রশাসনের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করেছি। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েই আমরা সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি।’
ঘটনাস্থলে পুলিশ যেতে দেরি করার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সময়টা লেগেছে কারণ, উভয়পক্ষে যারা মুখোমুখি হয়েছিল তারা ছিল অসংখ্য। দুই পক্ষেই দুই-তিন হাজার করে। এত বড় একটা ক্রাউডকে ম্যানেজ করতে আসলে অনেক সময় লাগে। বিশজনের ক্রাউডকে ম্যানেজ করা অপেক্ষাকৃত সহজ হয়। যদিও শুরুর দিকে অনেকটা ম্যানেজ হয়েও গিয়েছিল। পরে যখন পুলিশের সহযোগিতায় ঝুঁকি নিয়ে আহত ছেলেটিকে আমরা উদ্ধার করে নিয়ে আসলাম, শিক্ষার্থীরা তখন আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।’
গেরুয়া গ্রামবাসীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংঘাতের কারণ কী জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, ‘আমি যতটুকু জানতে পেরেছি ক্রিকেট খেলা কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামের একটা ছেলের ঝামেলা হয়েছিল। এই প্রেক্ষাপটে উভয়পক্ষের মধ্যে একটা উত্তেজনা বিরাজ করছিল। হয়তো অন্য আরও কোনো ইস্যু আছে তাদের। এতগুলো ছেলেমেয়ে ওখানে থাকে। হয়ত কোনো না কোনোভাবে তাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে সমস্যা হচ্ছিল। সব মিলিয়ে হয়ত তারা সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের গ্রামে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার কথা জানান প্রক্টর ফিরোজ উল হাসান।
তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাস খোলা থাকলে আসলে খুব বেশি শিক্ষার্থী ওখানে থাকে না। সামান্য পরিমাণ থাকে। গণরুমে যারা থাকে তারা হয়ত একটু ভালো থাকার জন্য ওদিকে থাকতে চায়। আর আমরা গতকাল থেকেই পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় নিরাপত্তার বিষয়গুলোই আলোচনা করছি।
‘আমাদের শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রাইম কনসার্ন। সরকারের উচ্চপর্যায়েও আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি।’
আরও পড়ুন:বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে বুয়েট সংলগ্ন পলাশী গোলচত্বরে আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ আজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (আইসেস্কো)-এর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. রাহিল কামার আজ ৫ অক্টোবর ২০২৫ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এসময় একই সংস্থার ফাহমিদা ফাইজা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইসেস্কোর মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা প্রকল্প গ্রহণের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আইসেস্কো চেয়ার’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তাঁরা ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন খ্যাতিমান সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্ব ও নেটওয়ার্কিং গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করায় তিনি আইসেস্কো প্রতিনিধিদলের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫০০ টাকা বাড়ি ভাড়া বাড়ার প্রজ্ঞাপনকে প্রত্যাখ্যান করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট। একই সঙ্গে ২০ শতাংশ বাড়িভাড়ার দাবিতে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
জানা যায়, গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বাড়ানোর পরিপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি শাখার উপসচিব মোসা. শরীফুন্নেসা স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা শর্ত পালন সাপেক্ষে ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হলো।
এ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট সভাপতি এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।
নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ার একটি প্রজ্ঞাপন ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা এই প্রজ্ঞাপণের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি যে প্রজ্ঞাপনটি সঠিক। আমরা ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বাড়ার প্রজ্ঞাপনকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি আরো লিখেছেন, ১৩ আগস্ট এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের নেতাদের সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টার নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা মেডিক্যাল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপণের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাতাগার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের ২০ শতাংশ অনুযায়ী বাড়িভাড়ার ফাইল অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইেয়দ এ জেড মোরশেদ আলী।
এর আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য নিরসন, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও জাতীয়করণের দাবিতে গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রায় এক লাখ শিক্ষক-কর্মচারী মহাসমাবেশ করেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষায় এই উপমহাদেশে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অবদান উল্লেখযোগ্য। আমি একজন মাদ্রাসার ছাত্র হিসেবে গর্ববোধ করি।
বুধবার রাজধানীর বকশিবাজারে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশসহ এই উপমহাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার ঐতিহ্য শত বছরের পুরনো। যুগে যুগে এই শিক্ষাব্যবস্থা অনেক আধুনিকায়ন হয়েছে। সুশিক্ষার মাধ্যমে এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।
আ ফ ম খালিদ হোসেন আরো বলেন, বাংলাদেশে আলিয়া মাদ্রাসার মতো আড়াইশো বছরের ঐতিহ্য সম্ভবত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। আলিয়া মাদ্রাসা থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান বিশ্বাসসহ বহু আলেম-ওলামা বেরিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, এই উপমহাদেশে, মাদ্রাসা শিক্ষা না থাকলে ইসলামের ঐতিহ্য আদর্শ তমুদ্দিন কোন কিছুই বজায় রাখা সম্ভব হতো না। তাই সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় মাদ্রাসা শিক্ষার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা নিয়ে সমাজে ধর্মীয় মূল্যবোধের বিকাশ ঘটাতে হবে মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে। এই শিক্ষাকে ছোট করে দেখলে চলবে না। এর ঐতিহ্য শত বছরের।
উপদেষ্টা আরো বলেন, মাদ্রাসা হল আলেম-ওলামা তৈরীর কারখানা। বর্তমান সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রদেরকে প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করে বাস্তব জীবনে নিজেদের প্রতিভার বিকাশ করাতে হবে। তবেই জীবনে সফলতা সম্ভব।
তিনি বলেন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার বর্তমান শিক্ষার্থীদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।সূত্র : বাসস
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা হারানোর পর এবার প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদেও নিয়োগের ক্ষমতাও হারাচ্ছে পরিচালনা পর্ষদ বা ‘গভর্নিং বডি’ ও ‘ম্যানেজিং কমিটি’।
এসব পদে সরকারের তদারকিতে নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হবে। কোনো প্রক্রিয়ায় বা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে তা নির্ধারণে কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ তথ্য জানান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান পদে নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া নিয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘সিদ্ধান্ত একটা হয়েছে, আগে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ পদগুলোতে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি নিয়োগ দিত, এখন এ পদগুলোতে সরকার নিয়োগ দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটা কমিটি করে দিয়েছে। কমিটি এটা নির্ধারণ করবে, এ পদগুলোতে কোন আদলে নিয়োগ দেবে, কারা করবে, এনটিআরসিএ করবে না, অন্য কেউ করবে কোনটাই এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
এ কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনটিআরসিএ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করছেন বলেও তুলে ধরেন তিনি।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ সব পদে নিয়োগে কোন নীতিমালা বা নিয়ম অনুসরণ করা হবে তা এ কমিটি নির্ধারণ করবে।’
আপাতত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক ও প্রভাষক পদে প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশ করার দায়িত্ব এনটিআরসিএ এর হাতে থাকলেও প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহকারী প্রধান ও কর্মচারী পদে নিয়োগের ক্ষমতা ছিল পরিচালনা পর্ষদের হাতে।
গত সোমবার প্রকাশিত এক পরিপত্রে বেসরকারি স্কুল ও কলেজের কর্মচারী পদে নিয়োগ সুপারিশ কমিটির সভাপতি পদ থেকে ‘গভর্নিং বডি’ ও ‘ম্যানেজিং কমিটি’ সরিয়ে ডিসিদের এ দায়িত্ব দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ের নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া নিয়ে জানাতে এ কর্মশালা আয়োজন করে এনটিআরসিএ।
কর্মশালায় এনটিআরসিএ সদস্য এরাদুল হক, মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, পরিচালক তাসনিম জেবিন বিনতে শেখ, সংস্থাটির সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক ও সংবাদকর্মীরা অংশ নেন।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ডিবেট ক্লাব আয়োজিত “জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫”-এর গ্র্যান্ড ফিনালে ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আজ সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাকুল হায়দার হলে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরিদ আহমদ সোবহানীর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম হায়দার।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মো. শামসুল হুদা, রেজিস্ট্রার ড. আবুল বাশার খান, ডিবেট ক্লাবের কো-অর্ডিনেট ও আইন বিভাগের লেকচারার মেহেরবা সাবরিন, এবং ক্লাবের সভাপতি আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিত ইবনে মাহমুদ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দসহ অসংখ্য শিক্ষার্থীর উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
৩২ টি কলেজের অংশগ্রহণে ইন্টার-কলেজ প্রতিযোগিতার ফাইনাল-এ সরকারি বাংলা কলেজ ও সরকারি বিজ্ঞান কলেজ মুখোমুখি হয়। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ বিজয়ী হয় এবং সরকারি বাংলা কলেজ রানার আপের গৌরব অর্জন করে। এ পর্বে সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী ইমন আহমেদ।
অন্যদিকে, ২৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে ইন্টার-ইউনিভার্সিটি প্রতিযোগিতার ফাইনাল-এ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) এর মধ্যে লড়াই হয়। এই প্রতিযোগিতায় বুটেক্স বিজয়ী হয় এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি রানার আপ হয়। এ পর্বের সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আলভি সালমান।
আয়োজকরা জানান, এ প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের তরুণ প্রজন্মকে যৌক্তিকতা, মুক্তচিন্তা ও নেতৃত্বের চর্চায় অনুপ্রাণিত করা।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং শিল্পখাতের অংশীজনদের যৌথ সহযোগিতায় কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) নতুন পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ চালু করবে।
বাংলাদেশের তরুণদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করাই বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন উদ্যোগের লক্ষ্য।
এ লক্ষ্যে রোববার ঢাকায় এক হোটেলে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা এবং শিল্পখাতের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
কোইকা'র পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ অংশীদারিত্ব বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে। শিল্পখাতের অভিজ্ঞতা এবং বিএমইটি-এর নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে এ কর্মসূচি প্রাসঙ্গিক ও ফলপ্রসূ কারিগরি প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করবে।
মন্তব্য