× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ফের বাড়ল
google_news print-icon

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ফের বাড়ল

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে-ছুটি-ফের-বাড়ল
রাজধানীর বন্ধ থাকা কদমতলী এলাকার রেঁনেসা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এক শিক্ষার্থী। ছবি: নিউজবাংলা
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (কওমি ছাড়া) চলমান ছুটি ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (কওমি ছাড়া) চলমান ছুটি ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ছিল। সেই ছুটি এবার ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

করোনার কারণে গত বছর বাতিল হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা, অষ্টম শ্রেণি সমাপনী জেএসসি পরীক্ষা। স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষাও নেয়া হয়নি।

তবে কওমি মাদ্রাসা খোলা আছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্তসাপেক্ষ ক্লাস ও পরীক্ষার অনুমতি দেয়া আছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্লাস হচ্ছে অনলাইনে। যদিও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এই সুযোগের বাইরে রয়ে গেছে।

শিক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম অব বাংলাদেশের (বিইআরএফ) এক জরিপ বলছে, শহর এলাকায় ৩৭ শতাংশ শিশু অনলাইনে কোনো ক্লাসই করেনি। গ্রাম এলাকার পরিস্থিতি আরও খারাপ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সেশন চার্জ নিয়ে আদেশ স্থগিত
স্কুলে টিউশন ছাড়া আর কোনো ফি নয়
স্কুল কলেজে ছুটি আরও বাড়ল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Health care is provided free of charge between 4000 students and guardians in Anwara

আনোয়ারায় ১ হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মাঝে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান

আনোয়ারায় ১ হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মাঝে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান

আনোয়ারা উপজেলায় লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং কর্ণফুলীর উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।

রোববার সকালে উপজেলার রায়পুর গাউছিয়া হাশেমীয়া আলিম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পে মাদ্রাসার এক হাজারের অধিক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জন্য বিনা মূল্যে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়।

সেবার মধ্যে ছিল রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ডায়াবেটিস পরীক্ষা, চক্ষু পরীক্ষা, ক্যান্সার সচেতনতা ও প্রাথমিক পরীক্ষা এবং ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াবিষয়ক পরামর্শ।

অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সোলাইমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের জেলা গভর্নর লায়ন মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ অপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রথম সহকারী জেলা গভর্নর লায়ন মো. কামরুজ্জামান লিটন, দ্বিতীয় সহকারী জেলা গভর্নর লায়ন মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং কর্ণফুলীর সভাপতি লায়ন মো. ইকবাল হোসেন সুমন, রায়পুর গাউছিয়া হাশেমীয়া আলিম মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি লায়ন মোহাম্মদ ফয়সাল মিয়া।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের জেলা গভর্নর লায়ন মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ অপু। তিনি বলেন, লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বব্যাপী ২১২টি দেশে মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও আমরা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করছি। এ স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি তারই অংশ। পাশাপাশি আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়। এই ধরনের সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

শিক্ষা
In the city of Comilla

কুমিল্লা নগরীতে ভোরের আলোয় ছিনতাই আতঙ্ক

কুমিল্লা নগরীতে ভোরের আলোয় ছিনতাই আতঙ্ক

কুমিল্লা নগরীর শান্ত ভোর মুহূর্তেই পরিণত হচ্ছে ছিনতাই আতঙ্কে। শহর পুরোপুরি ঘুম থেকে জাগার আগেই সকালের পথচারী ও বিভিন্ন পেশাজীবীরা পড়ছেন ছিনতাইকারীদের খপ্পরে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরের ফাঁকা সড়ককে টার্গেট করছে ছিনতাইকারীরা। মোটরসাইকেলে এসে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মুহূর্তেই লুটে নিচ্ছে সর্বস্ব। কখনো কখনো তারা টার্গেট করা ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহতও করছে। এতে নগরবাসীর মধ্যে তীব্র উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. মঈনুল ইসলাম ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পথে একটি সিএনজিতে উঠতেই তিনি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। সিএনজির ভেতরে থাকা দুই ব্যক্তি ছুরি ধরে মঈনুলের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং আঘাত করে আহত করে। থানায় গেলেও আশানুরূপ সহযোগিতা পাননি তিনি। শুধু একটি মোবাইল ফোন হারানোর সাধারণ ডায়েরি করতে বলা হয়। এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো ছিনতাইকারীরা ধরা পড়েনি।

দেড় মাস আগে কক্সবাজার ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে একইভাবে ছিনতাইয়ের শিকার হন কালীপদ দেবনাথ ও তার বন্ধু পলাশ দে। সালাউদ্দিন মোড়ে অস্ত্রের মুখে তাদের কাছ থেকেও মোবাইল ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। থানায় অভিযোগ করা হলেও সেই চক্রও এখনো ধরা পড়েনি।

গত কয়েক মাস ধরে নগরীতে ভোর হলেই এমন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। থানায় ও গণমাধ্যমে এসব বিষয়ে নিয়মিত মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ আসছে। তবে অনেকেই ঝামেলা এড়াতে ঘটনাগুলো গোপন রাখছেন।

নগরীর ঠাকুরপাড়া বিসিক এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান, ভোর হলেই ঠাকুরপাড়া ও রানীরবাজার এলাকার বিভিন্ন মোড়ে ছিনতাইকারীরা ওৎ পেতে থাকে। রিকশায় বা হেঁটে যাতায়াতকারী কাউকে দেখলেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয় তারা।

সম্প্রতি পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে ছিনতাইয়ের একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রোববার রাত সোয়া ৩টার দিকে মোটরসাইকেলে আসা তিন ছিনতাইকারী এক অটো রিকশা যাত্রীর মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে।

৭ আগস্ট ভোরে টমছম ব্রিজ সংলগ্ন কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার পাশে এক মাদ্রাসার শিক্ষক ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। দুর্বৃত্তরা তার কাছ থেকেও নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এর আগে, ৪ আগস্ট ভোরে শাসনগাছা এলাকায় চান্দিনার বাসিন্দা ইব্রাহীম একইভাবে ছিনতাইয়ের শিকার হন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে নগরীতে কুড়িটির বেশি ছিনতাইকারী গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। এদের অধিকাংশই মাদকাসক্ত। মাদকের টাকা জোগাড় করতেই তারা ছিনতাইয়ে জড়াচ্ছে। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে।

এদিকে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরার বেশিরভাগই অকার্যকর। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এসব ক্যামেরা মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মহিনুল ইসলাম স্বীকার করেছেন- নগরীতে ছিনতাই বেড়েছে এবং ছিনতাইকারী ধরা পড়েছেও। তিনি জানান, গত এক বছরে ৪০ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য, গাড়ি ও কার্যকর সিসিটিভি না থাকায় টহল জোরদার করা যাচ্ছে না। লজিস্টিক সহায়তা বাড়ানো গেলে ছিনতাই প্রতিরোধে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হতো।

মন্তব্য

শিক্ষা
Coast Guard recovered the body of two teenagers missing in the boat in Rupganj in Narayanganj

নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ২ কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড

নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ২ কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড

রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ শুক্রবার বিকাল ৫ টায় নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ থানাধীন তারাবো ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি নৌ দুর্ঘটনা ঘটে। বাল্কহেডের সাথে নৌকার সংঘর্ষের ফলে ৮ জন মাদ্রাসার ছাত্রসহ নৌকাটি নদীতে ডুবে যায়। অতঃপর ৮ জনের মধ্যে ৬ জন জীবিত উদ্ধার হলেও ২ জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। উক্ত বিষয়টি জনৈক এক ব্যক্তি কোস্ট গার্ড কে অবগত করে।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড স্টেশন পাগলা কর্তৃক একটি উদ্ধারকারী দল অতি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান আরম্ভ করে। পরবর্তীতে আজ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ শনিবার বিকাল ৫ টায় কোস্ট গার্ড উদ্ধারকারী দল নিখোঁজ ২ কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করে।

তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকৃত মৃতদেহ ২ টি অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ডেমরা নৌপুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

মন্তব্য

শিক্ষা
Lalon Emperor Farida Parveen fell asleep in the grave of parents in Kushtia

কুষ্টিয়ায় মা-বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন

কুষ্টিয়ায় মা-বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন

কুষ্টিয়ার পৌর কবরস্থানে বাবা মায়ের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ‘লালন সম্রাজ্ঞী’ খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। ফরিদা পারভীনের শেষ ইচ্ছানুযায়ী তাকে কুষ্টিয়ায় তার বাবা মায়ের কবরে দাফন করা হয়েছে।

কুষ্টিয়ায় মা-বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন

রবিবার এশার নামাজের শেষে রাত সাড়ে ৮টায় কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানের জানাযার স্থানে জানাযা শেষে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

কুষ্টিয়ায় মা-বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন

দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের জানাযায় অংশ নেন কবি চিন্তক ফরহাদ মজহার, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মাদ আরেফিনসহ কুষ্টিয়ার রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী, ললন ভক্ত, অনুরাগীসহ সাধারণ মানুষ।

এর আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাযা শেষে কুষ্টিয়ায় নিয়ে আসা হয় লোক সংগীতের বরেণ্যশিল্পী ফরিদা পারভিনকে।

কুষ্টিয়ায় মা-বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন

গত শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন।

১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়ায় জন্মগ্রহণ করেন ফরিদা পারভীন। গানে তাঁর যাত্রা শুরু হয় মাগুরা জেলায় মাত্র চার-পাঁচ বছর বয়সে, ওস্তাদ কমল চক্রবর্তীর কাছে। এরপর রাজশাহী বেতারে ১৯৬৮ সালে তালিকাভুক্ত নজরুল সংগীতশিল্পী হিসেবে যুক্ত হন।

কুষ্টিয়ায় মা-বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন

স্বাধীনতার পর কুষ্টিয়ায় বসবাসকালে তাঁর সংস্পর্শে আসে লালন সংগীত। ১৯৭৩ সালে মোকছেদ আলী সাঁইয়ের কাছ থেকে ‘সত্য বল সুপথে চল’ গানটি শেখার মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর লালনগীতির যাত্রা। এরপর খোদা বক্স সাঁই, ব্রজেন দাস, বেহাল সাঁই, ইয়াছিন সাঁই এবং করিম সাঁইয়ের কাছ থেকেও তিনি তালিম নেন।

বিদায় বেলায় ফরিদা পারভীন রেখে গেলেন স্বামী ও চার সন্তানকে। তবে তার গানের ভুবন ও লালনচর্চার উত্তরাধিকার বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে চিরকাল বেঁচে থাকবে।

মন্তব্য

শিক্ষা
To build a financial system that will have the opportunity to be entrepreneur Chief Advisor

উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ থাকবে এমন আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ থাকবে এমন আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের খিলজি রোডে ‘পিকেএসএফ’র নতুন ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ছবি : পিআইডি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানুষ কারো চাকরি করার জন্য জন্মায়নি, মানুষের জন্ম উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য। তাই দেশে এমন আর্থিক ব্যবস্থা আমাদের গড়ে তুলতে হবে যেন সবাই উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ পায়।

আজ রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের খিলজি রোডে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর নতুন ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘মানুষ কারো চাকরি করার জন্য আসে নাই। মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য। আমাদের আর্থিক ব্যবস্থাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে সবাই উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারে।’

তিনি বলেন, এখনকার প্রজন্ম আগের মতো নয়। এখন গ্রামের ছেলেমেয়েরাও অনেক কিছু বোঝে, জানে, নিজস্ব চিন্তাভাবনায় সমৃদ্ধ। কাজেই এদের জন্য এমন একটি আর্থিক ও সামাজিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে তারা নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করতে পারে, চাইলে এককভাবে কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি একটি কাঠামো তৈরি করতে পারি যেখানে মানুষ নিজের উদ্যোগ শুরু করতে পারবে, এমনকি চাইলে বিনিয়োগকারী হিসেবেও যুক্ত হতে পারবে—তাহলে এই পরিবর্তন বাস্তবায়ন সম্ভব।’

অধ্যাপক ইউনূস মনে করেন, যে কেউ চাইলে প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতে পারবে, আবার ইচ্ছা করলে ব্যক্তি উদ্যোগেও এগিয়ে যেতে পারবে। এমনকি কেউ চাইলে বিনিয়োগ সংগ্রহ করে নিজ এলাকায় উদ্যোগ পরিচালনা করতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সামনে অগ্রসর হতে চাই। পরীক্ষামূলকভাবে দেখা যেতে পারে কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ। কিন্তু ইতোমধ্যে কয়েক লাখ উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে, যাদের অনেকে ছেলে-মেয়ে মিলে দলগতভাবে কাজ করছে।’ তিনি বলেন, এই অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করে এর সম্প্রসারণ ঘটানো সম্ভব।

পিকেএসএফ-এর জন্ম ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকিয়ে ইউনূস বলেন, এর সূচনা হয়েছিল অনেকটা ঘটনাচক্রে। ‘বিশ্বব্যাংক ২০ কোটি টাকা দিচ্ছিল, তা নিয়ে নানা পর্যায়ে চিঠিপত্র চালাচালি হচ্ছিল। আমি বলেছিলাম, এই চিঠিগুলো সংরক্ষণ করা হোক, এগুলো ইতিহাস। এই টাকা ঘিরেই সরকার, পরিকল্পনা কমিশন, দাতা সংস্থা—সবাই মিলে মতবিনিময় করেছে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ পর্যন্ত নিজে তাতে যুক্ত হয়েছেন।’

ড. ইউনূস বলেন, এই ২০ কোটি টাকা না এলে পিকেএসএফ হয়তো গঠিত হতো, কিন্তু এভাবে হতো না। তিনি জানান, সেসময় গঠন করা হয় একটি কমিটি, যার সভাপতি হন তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী এবং আমি নিজে সদস্য হই। প্রস্তাবনার ভিত্তিতে একটি নাম ঠিক হয়—পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।

অধ্যাপক ইউনূস জানান, প্রাথমিকভাবে পিকেএসএফ যে উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল, তা সময়ের সঙ্গে আরও বিস্তৃত হয়েছে। তবে বিভিন্ন সময় কাঠামোগত ও নীতিগত চ্যালেঞ্জ এসেছে। বিশেষ করে মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) এর-সঙ্গে কিছু দূরত্ব তৈরি হয়েছে, যেটা দূর করা জরুরি।

তিনি বলেন, ‘আমরা তো মাইক্রোক্রেডিট দিচ্ছি না। আমরা অংশীদার হই উদ্যোক্তার সঙ্গে। তাই এই কাঠামোকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, এখন সময় এসেছে এমন একটি আর্থিক কাঠামো দাঁড় করানোর, যেখানে প্রতিষ্ঠান নয়, ব্যক্তি উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে হবে। ‘আমরা ব্যবসার পার্টনার হতে চাই। কেউ যদি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আসে, আমরা তার সঙ্গে অংশীদার হব। শুধু ঋণ নয়—সোজা বিনিয়োগ। সে যদি পাঁচ লাখ টাকা চায়, আমরা দেব। তবে বিনিময়ে আমাদের শেয়ার থাকবে।’

এই মডেলে উদ্যোক্তা সফল হলে ধীরে ধীরে পুরো মালিকানা নিজের হাতে নিতে পারবে—এই ধারণার ভিত্তিতে তিনি একটি কাঠামো প্রস্তাব করেন, যেটি যৌথ মালিকানা থেকে সম্পূর্ণ মালিকানায় রূপান্তরযোগ্য।

তিনি বলেন, ‘সে যদি ভালো করে, তাহলে আমাদের অংশ ক্রয় করে নিয়ে নিতে পারবে। আমরা চাই সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে সহায়তা করতে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তালিকা করে রাখিনি, কিন্তু বহু রকমের উদ্যোক্তা গড়ে উঠেছে। প্রযুক্তি এখন বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা প্রত্যেক ব্যক্তিকে বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত করতে পারি। সে যে পথেই যেতে চায়, সেই সুযোগ করে দিতে হবে।’

বর্তমান আইন কাঠামো যে প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠেছিল তা আজকের বাস্তবতায় অনেকাংশে প্রয়োজনীয়তা হারিয়েছে এমন মন্তব্য করে ইউনূস বলেন, ‘৮০ দশকের যে আইন, তা আজকের উদ্যোক্তা ব্যবস্থার সাথে খাপ খায় না। বিশেষ করে পিকেএসএফ-এর নিজস্ব আইন, সেটাকে সংস্কার করে সম্প্রসারিত করা যেতে পারে। নানামুখী কর্মসূচি সংযোজনের সুযোগ আছে।’

তিনি বলেন, ‘এই ভবনের যাত্রা হোক পিকেএসএফ-এর নতুন দিগন্তের সূচনা। দীর্ঘ ৩৫ বছরের যাত্রায় যা অর্জিত হয়েছে, তা একটি শক্ত ভিত। এখন সময় এসেছে বড় পরিসরে যাওয়ার।’

তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘টাকার কোনো অভাব হবে না। আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের ওপর আস্থা আছে। আমরা যদি একটি সমন্বিত ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেম দাঁড় করাতে পারি, তাহলে সত্যিকারের উদ্যোক্তা তৈরির যে স্বপ্ন—তা বাস্তবায়ন সম্ভব।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ,পিকেএসএফ পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য

শিক্ষা
How many more days of rain will be the window weather office

বৃষ্টি আরও কত দিন থাকবে জানাল আবহাওয়া অফিস

বৃষ্টি আরও কত দিন থাকবে জানাল আবহাওয়া অফিস

মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে ঢাকাসহ সারাদেশে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এই বৃষ্টি আরও এক সপ্তাহ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে সারা দেশে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টি আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত চলতে থাকতে পারে। এরপর আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে থাকবে। তিনি আরও বলেন, এই সময়ে বৃষ্টিপাত কোথাও কমবে আবার বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে সরে গিয়ে বর্তমানে তেলেঙ্গা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে।

আজ রোববার সকাল ৯টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় রাজধানী ঢাকায় বাতাস দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

আজ রোববার সন্ধ্যা ৬ টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে। আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে।

ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় দক্ষিণ বা পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে ভারী বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।

সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত।

আজ রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ইশ্বরদীতে; ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সিলেটে; ২৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ে চট্টগ্রামে দেশের সর্বোচ্চ ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া রাঙামাটিতে ৮৭, সন্দ্বীপে ৮০ এবং তেঁতুলিয়ায় ৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Shardi Durga Puja will be celebrated seamlessly Home Advisor

শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নেই উদযাপিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নেই উদযাপিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এ বছরও শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নেই উদযাপিত হবে।

তিনি আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন।

দুর্গাপূজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবারও ভালোভাবে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। সবার সহযোগিতায় উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপিত হবে।

তিনি আরও বলেন, ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো ছিলো। এটা নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন ছিলো না। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি চলছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কোর কমিটির সভায় দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দু-একটি নির্বাচন হয়ে গেল, এসব বিষয়েও একটু আলোচনা হয়েছে। পুলিশের প্রশিক্ষণ এবং আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ছিনতাই, চুরি-ডাকাতিরোধসহ সীমান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে পূজা এবং ফরিদপুরের দুটি ইউনিয়ন নিয়ে যে সমস্যা, সে বিষয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন,সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ফরিদপুরের দুই ইউনিয়নের কারণে বিভিন্ন জেলার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ফরিদপুরে দুটি ইউনিয়ন আগে যে সংসদীয় আসনে ছিল, সেখান থেকে অন্য আসনে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এটা নির্বাচন কমিশন করেছে। যুক্তি-তর্কের সবকিছু শোনার পর তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা নিয়েই এলাকার লোকজনের মধ্যে একটা ক্ষোভ চলছে।

তিনি বলেন, এটা নিয়ে আসলেই যদি তাদের ক্ষোভ থাকে, তাহলে সেটা যথাযথ চ্যানেলে জানানো প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই দুটি ইউনিয়নে কতজন লোক আর কতজন ভোটার? অথচ তারা লাখ লাখ লোককে জিম্মি করে রেখেছে। এটা কোনো অবস্থায় বরদাশত করা হবে না। তারা যদি আজকের মধ্যে এটা সমাধান না করে, তাহলে আমরা আইন প্রয়োগ করে সড়ক ক্লিয়ার করবো।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কারাগারে কিছু সমস্যা আছে, এখানেও সংস্কার দরকার। বন্দিদের মধ্যে যাদের অনেক বয়স হয়ে গেছে, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, আমরা চাচ্ছিলাম লাইফটাইম সাজা তো ৩০ বছর, সেটা কমিয়ে কত করা যায়, যুক্তিযুক্ত একটা করে, যারা বয়স্ক হয়ে গেছে তাদের যাতে ছাড়ার ব্যবস্থা করা যায়।

বয়সটা কত নির্ধারণ করা হবে, এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করিনি। আলোচনার ভিত্তিতে মেয়েদের ক্ষেত্রে হয়তো ২০ বছর করে দিতে চাচ্ছি। ছেলেদের ক্ষেত্রে হয়তো আরও একটু বেশি হতে পারে।

তিনি বলেন, আবার কতগুলো স্পেসিফিক আছে, তার বয়সটা কত। যে ১৮ বছরে অপকর্ম করেছে, ২০ বছর পর তাকে ছেড়ে দিলে তখন তো তার বয়স ৩৮ বছর হয়। সে হয়তো এসে আবার অপকর্ম করতে পারে। এ বিষয়গুলো দেখা হবে, তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে আমরা একটু বেশি লিবারেল।

মন্তব্য

p
উপরে