× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে লাভ কী হলো
google_news print-icon

অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে লাভ কী হলো

অ্যাসাইনমেন্ট-দিয়ে-লাভ-কী-হলো
‘অতি উত্তম’, ‘উত্তম’, ‘ভালো’, ‘অগ্রগতি প্রয়োজন’ - এই চার ধরনের মন্তব্য লিখে শেষ হয়েছে অ্যাসাইনমেন্টের মূল্যায়ন। শিক্ষকরা বলেছেন, এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পড়াশোনার দূরত্ব কিছুটা দূর হয়েছে। এটুকুই উপকার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সারা দেশে বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে যে ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ নেয়া হয়েছে, তাতে শিক্ষার্থীদের তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে মনে করছেন অভিভাবকেরা।

আবার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন অনেক বিদ্যালয় আছে, যেখানে অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতির কোনো প্রভাব পড়েনি।

নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয়েছে দেশের কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকদের। ‘অতি উত্তম’, ‘উত্তম’, ‘ভালো’, ‘অগ্রগতি প্রয়োজন’—এই চার ধরনের মন্তব্য লিখে শেষ হয়েছে অ্যাসাইনমেন্টের মূল্যায়ন।

অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, সারা বছর শিক্ষা কার্যক্রম থেকে মোটামুটি দূরে ছিল শিক্ষার্থীরা। অ্যাসাইনমেন্টের ফলে তারা শিক্ষার সঙ্গে অল্প সময়ের জন্য সংযুক্ত হলেও সেটা কাঙ্ক্ষিত কোনো ফল দিতে পারেনি।

শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, সারা বছর স্কুলগুলো বন্ধ ছিল। অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সাথে যুক্ত হতে পেরেছে। এই পদ্ধতির পরবর্তী ধাপে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে সুবিধা হবে।

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের একজন শিক্ষার্থী টানা এক মাস ধরে অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে জমা দিয়েছে স্কুলে। স্কুল থেকে কিছু ভুল দেখিয়ে আবার তাকে সংশোধনের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আবার তা স্কুল জমা নিয়েছে।

অ্যাসাইনমেন্ট করে আদৌ কোনো ফল আসেনি মন্তব্য করে ওই শিক্ষার্থীর মা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার মনে হয় না ওদের তেমন কোনো অগ্রগতি হবে। ওরা তো সারাবছর পড়াশোনার বাইরে ছিল। হঠাৎ করে বলা হলো অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হবে। কিন্তু এতে তো ওদের এক বছরের ঘাটতি পূরণ হয়নি। বরং ওদের বেশি করে ক্লাসের উপর গুরুত্ব দেয়া উচিত ছিল।’

অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়ার পর স্কুল থেকে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওরা তো জমা দিয়েছে। এরপর আবার ফেরত দিয়ে নিয়ে নিয়েছে। এভাবে সারা বছরের এত বড় ঘাটতি অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে কাভার করা সম্ভব নয়। এখন আবার ওদের নতুন বই দিয়েছে। ২০ দিন পার হয়ে গেলেও নতুন ক্লাসের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’

তবে অ্যাসাইনমেন্টের ফলে ঢাকার স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের সুবিধা হয়েছে বলে মনে করেন আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক ওহিদুজ্জামান।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা সারাবছর একরকম পড়াশোনা থেকে আলাদা ছিল। অ্যাসাইনমেন্ট অনেকটা তাদের সেই দূরত্ব কমিয়ে দিয়েছে। অ্যাসাইনমেন্টে যদিও কোনো নম্বর দেয়া হয়নি, তবে তাদের মধ্যে চর্চ্চাটা চালু হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি জানি যে সারা দেশে হয়ত অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতি সব জায়গায় ফলপ্রসূ হয়নি। তবে রাজধানীর স্কুলগুলোর ক্ষেত্রে অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতি অনেক বেশি কার্যকর। শিক্ষার্থীদের যে ঘাটতিগুলো রয়েছে, তা আমরা জানতে পেরেছি। আর সেই অনুযায়ি আমরা পরবর্তী শ্রেণিতে ব্যবস্থা নিতে পারব।’

ভিকারুননিসা নূন স্কুলের মূল ‘প্রভাতি’ শাখার প্রধান মহসীন তালুকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকার আমাদের যেটা বলেছিল যে, অ্যাসাইনমেন্টে কোনো গ্রেডিং নম্বর থাকবে না। তাদের প্রাক-প্রস্তুতি কেমন বা কোথায় ঘাটতি আছে, সেগুলো আমরা মার্ক করে রেখেছি। আমরা খাতায় লিখে দিয়েছি তাদের কী কী ঘাটতি আছে। আমরা পরবর্তী ক্লাসে তাকে হয়ত সেই বিষয়ে একটু দেখব।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বাচ্চারা অ্যাসাইনমেন্টগুলো খুব যত্ন সহকারে করেছে। যদিও সারা দেশে এমন অনেক স্কুল আছে, যেখানে প্রযুক্তির অভাবে তারা অ্যাসাইনমেন্ট জমা নিতে পারেনি, তবে আমরা এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে। আমরা আগেই বলেছি বাচ্চাদের ওপর কোনো প্রেসার দেয়া যাবে না।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘সরকার আবার অ্যাসাইনমেন্ট দেয়ার পরিকল্পনা করছে। আমরা এই পদ্ধতি ধরে রাখতে চাই।’

তবে ঢাকার বাইরে অনেক স্কুলে জমা পড়েনি অ্যাসাইনমেন্ট। আবার মূল্যায়ন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষকেরা।
অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে লাভ কী হলো

সিলেটের বিয়ানিবাজার উপজেলার আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের প্রায় ৬শ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মোবাইল ফোন নম্বার জানা না থাকায় অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেয়ার নির্দেশনায় বিপাকে পড়েন তারা।

তিনি বলেন, ‘এলাকার মসজিদ ও মন্দিরে চিঠি পাঠানো থেকে শুরু করে মসজিদ থেকে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়ার জন্য মাইকে ঘোষণা দেয়ানো হয়। শিক্ষকরাও বিভিন্ন বাড়িতে এ তথ্য জানান। তাতেও সবার কাছে তথ্য পৌঁছেনি। আবার অনেকে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে আগ্রহও দেখায়নি। যেহেতু অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়ার সাথে ফলের কোনো সম্পর্ক ছিলো না, তাই বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই এটি জমা দেয়নি।’

সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির উদ্দিন খান জানান, অনেক বিদ্যালয়ে ৫০ শতাংশের মতো অ্যাসাইনমেন্ট জমা পড়েছে।

অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনার আলোকেই আমরা মূল্যায়ন করেছি। শিক্ষার্থীদের লেখার উপর ভিত্তি করে আমরা “অতি উত্তম”, “উত্তম”, “ভালো”, “অগ্রগতি প্রয়োজন” – এরকম চারটি ক্যাটাগরিতে মূল্যায়ন করেছি।’

বরিশালের হিজলার বিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মেধা-মনন বোঝা যায়নি। কারণ অনলাইনে উত্তরপত্র ছড়িয়ে পড়ায় দুর্বল শিক্ষার্থীদের লেখাও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভালো হয়েছে। নেট থেকে বের করে কপি করেছে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। এ কারণে যে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়া হয়েছে, সেটা দিয়ে মেধা মূল্যায়নটা কষ্টকর।

তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের কনভিন্স করেছি যে, অ্যাসাইনমেন্ট জমা না দিলে শ্রেণিতে উত্তরণ করা হবে না। এতে আশানুরূপ অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।’

তবে অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতি নতুন বছরে শিক্ষার্থী ধরে রাখতে সহায়ক হয়েছে বলে মনে করেন রাজশাহীর বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকেরা।

বেশিরভাগ প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যোগাযোগ ছিল না শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। স্কুলের সাথেও প্রায় বিচ্ছিন্ন ছিল শিক্ষার্থীরা। অ্যাসাইনমেন্ট আসার পর ধীরে ধীরে যোগাযোগ বেড়েছে।

রাজশাহী কলিজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরজাহান বেগম বলেন, ‘আমাদের স্কুলের প্রায় ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়েছে। এগুলো আমরা যথাসময়ে মূল্যায়ন করে সেগুলো আবার তাদের কাছে ফেরত দিয়েছি। তাদের দেখা শেষে এগুলো আবারও আমরা জমা নিয়ে রেখেছি। নির্দেশনা মোতাবেকই আমরা মূল্যায়ন করেছি।’
অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে লাভ কী হলো

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে, আমরা তার একটা নির্দেশনা আগে থেকে দিয়ে দিয়েছিলাম।’

এই মূল্যায়নের ফলে কী সুবিধা পাবে শিক্ষার্থীরা, তার উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটির মাধ্যমে তাদের শিক্ষণ ঘাটতি পূরণ হবে। তাদের কোথায় কোথায় ঘাটতি আছে, সেটি ধরা পড়বে। পরবর্তী শ্রেণিতে এই ঘাটতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হবে।’

অনেক স্কুলে অ্যাসাইনমেন্ট জমা পড়েনি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা সেসব স্কুলকে আরও সময় দিব। শিক্ষকরা যাতে সময় নিয়ে লেখানোর ব্যবস্থা করে সেই সময় দেয়া হবে।’

এটার নিদির্ষ্ট কোনো সময় নতুন করে বেঁধে দেয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না। তবে এটা শেষ করতে হবে।’

প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন বরিশালের তন্ময় দাস, সিলেটের দেবাশিষ দেবু, রাজশাহীর আহসান হাবিব অপু।

আরও পড়ুন:
করোনায় আরও ২০ মৃত্যু
করোনায় মৃত্যু ৮ হাজার ছাড়াল
টিকা নিয়ে ভয় নেই, আমি নেব: জাফরুল্লাহ
দেশে আরও ১৫ জনের করোনায় মৃত্যু
করোনাভাইরাসের টিকা: ৫০ হাজার ডোজ নওগাঁয়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
It may rain but the heat will not decrease

বৃষ্টি হয়তো হবে, তবে গরম কমবে না

বৃষ্টি হয়তো হবে, তবে গরম কমবে না তীব্র গরমে একটু স্বস্তির জন্য নগরীতে গাছের নিচে বসে আছেন এক ব্যক্তি। ফাইল ছবি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

কদিন ধরেই তীব্র গরম। দেশের কোথাও মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে, তবে গরম অবশ্য কমছে না। আবহাওয়া আপাতত এমনই থাকবে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এতে বলা হয়, একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

অধিদপ্তর বলছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আগামী পাঁচ দিনের পূর্বভাসে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ প্রায় একই রকম থাকতে পারে। আবহাওয়ায় তেমন পরিবতর্তন আসবে না।

মন্তব্য

শিক্ষা
An ongoing burn may continue for 72 hours

চলমান দাবদাহ ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে

চলমান দাবদাহ ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে গরমে পানিতে নামা শিশুর উচ্ছ্বাস। ফাইল ছবি
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।’

দেশে চলমান দাবদাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শুক্রবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় এ কথা জানায়।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

‘জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।’

৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলেছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।

তাপপ্রবাহ বা দাবদাহের বিষয়ে বলা হয়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে ৬ বিভাগে
দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি ঝরতে পারে ঢাকাসহ চার বিভাগে
বিস্তৃত হতে পারে ঢাকাসহ ৬ বিভাগের দাবদাহ
বইছে তাপপ্রবাহ, নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা
মেঘ মেঘ করবে, হতে পারে বৃষ্টিও

মন্তব্য

শিক্ষা
There are 1786 valid candidates in the first phase upazila elections

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে এক হাজর ৭৮৬ জন। মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল, আর বৈধতা পেয়েছে এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থীর।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এরপর প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Will take help of Indian institutions for anti disinformation training Minister of State for Information

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আরাফাত বলেন, ‘অপপ্রচার রোধে ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে। তারা কীভাবে কাজ করে, তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রক্রিয়া-পদ্ধতি বিনিময় জানা-বোঝার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে আমরা তাদের কাছ থেকে সহায়তা নেব।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যেসব কো-অপারেশন আছে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

‘যেহেতু বিটিভি ইন্ডিয়াতে দেখানো হয়, সেহেতু দুই ঘণ্টার এ চাংক আমরা ধীরে ধীরে দুই, তিন, চার ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়াব। আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করতে চাচ্ছি, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে। এর বাইরেও বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করতে। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন নিয়ে ইনস্টিটিউশন আছে, তাদের সঙ্গে কোলাবরেশন করা, বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ও ট্রেনিং করা।’

‘সম্প্রতি মুজিব শিরোনামের যে সিনেমাটি সহ-প্রযোজনা হয়েছে, এমন অন্য কোনো সিনেমায় সহ-প্রযোজনার সুযোগ আছে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে’- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

ভারতের সিনেমা যেহেতু বাংলাদেশের বাজারে চলে সেহেতু বাংলাদেশেরও ভালো মানের সিনেমা ভারতে চালানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দর্শককে জোর করে কিছু দেখানো যায় না। বাজারে কোনো জিনিসের চাহিদা থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাবে-আসবে। সিনেমা যেহেতু প্রোডাক্ট, সেহেতু ভারতের বাজারে দর্শক থাকলে অবশ্যই যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও কো-অপারেশনের সুযোগ আছে, সেসব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমি মনে করি- বাংলাদেশ এ বিষয়ে বেশি লাভবান হবে। কারণ ভারতের ফিল্মে, টেলিভিশনে বা অন্যান্য জায়গায় যে অভিজ্ঞতা আছে, তা আমরা যত বেশি নেয়ার চেষ্টা করা যায়। দেশের উন্নয়নের জন্য এসব জরুরি।’

আরও পড়ুন:
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বিএসসিএলের টিআরপি সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন
অবৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটরদের কপাল পুড়ছে

মন্তব্য

শিক্ষা
Protecting motherland is our main duty Army Chief

মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য: সেনাপ্রধান

মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য: সেনাপ্রধান বৃহস্পতিবার বিআইআইএসএস মিলনায়তনে সেমিনারে বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধে লড়াই করাই শেখে না, বরং জাতীয় স্বার্থে কীভাবে যুদ্ধ প্রতিরোধ বা এড়াতে হয় তা-ও জানে। আমরা সঠিক পথেই আছি এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবো না।’

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি অর্জনে অবদান রাখতে এবং দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবকিছু করছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘ডিফেন্স ডিপ্লোমেসি: স্ট্র্যাটেজি ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সূত্র: ইউএনবি

সেনাপ্রধান বলেন, ‘মাতৃভূমিকে রক্ষা করা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য এবং আমরা তার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা সবকিছুই করছি।’

বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতির বাণী ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নে আমরা সবকিছু করছি।’

জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রেখে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘কূটনীতি যেকোনো ধরনের জাতীয় স্বার্থ অর্জনের প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।’

বেসামরিক শক্তির সহায়তায় সেনাবাহিনী কীভাবে দেশে গঠনমূলক কর্মকাণ্ড, দেশ-বিদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘যেখানেই সুযোগ আছে, তা প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ, আমরা সুযোগ গ্রহণ করি এবং বাংলাদেশের স্বার্থে সবকিছু করি।’

সামরিক কূটনীতির কথা বলতে গিয়ে জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আরও সম্পদ ও বাজেট বরাদ্দ করে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমরা জানি কীভাবে এটা করতে হয়। কিন্তু আমাদের এটা করার সামর্থ্য থাকা উচিত।’

মিয়ানমার ইস্যু প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের কেউ কেউ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং এখানে নিজেদের সমস্যায় ফেলার ঝুঁকি রয়েছে।

‘এক বন্ধুকে খুশি করার জন্য আমরা আরেক বন্ধুর বিরোধিতা করতে পারি না। বেশকিছু বিষয় রয়েছে যা আমাদের খেয়াল করতে হবে। এসব ঘটনার প্রভাবও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং আমরা সঠিক পথেই রয়েছি।’

জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, দূর থেকে চালানো যায় এমন কিছু যানবাহন দেশেই তৈরি হচ্ছে যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য বেশ উপকারে আসবে। আগে এসব যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হতো। তাই এখন আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধে লড়াই করাই শেখে না, বরং জাতীয় স্বার্থে কীভাবে যুদ্ধ প্রতিরোধ বা এড়াতে হয় তা-ও জানে। আমরা সঠিক পথেই আছি এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবো না।’

একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সামরিক বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। এটি তারা কখনও ভুলে যায় না এবং এ কাজে সবসময় তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

‘উদ্দেশ্য রাতারাতি পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু সক্ষমতা রাতারাতি পরিবর্তন হয় না। আজ আপনি আমার বন্ধু, আগামীকাল বন্ধু না-ও হতে পারেন। কিন্তু জাতীয় স্বার্থ, মাতৃভূমি রক্ষায় আমাদের সক্ষমতা থাকতে হবে- পররাষ্ট্রনীতির এই আদেশ আমাদের সবার জন্য সমান।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার ও মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান।

আরও পড়ুন:
পাহাড়ের পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত কম্বিং অপারেশন চলবে: সেনাপ্রধান
পেশাগত দক্ষতা দিয়ে সেনাবাহিনী বিদেশেও সুনাম অর্জন করেছে: সেনাপ্রধান
কাতার সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
আমিরাত সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন সেনাপ্রধান

মন্তব্য

শিক্ষা
BGB Director General inspects Naikshyongchari border

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। ছবি: নিউজবাংলা
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী চাকঢালা বিওপি পরিদর্শনকালে মিয়ানমার থেকে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের পালিয়ে আসার স্পটগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। একইসঙ্গে সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন তিনি।

বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন শেষে বিজিবি কার্যালয় পরিদর্শন করেন। দুপুরে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া প্রতিবেশী দেশটির জান্তা বাহিনীর সদস্যদের খোঁজখবর নেন তিনি।

পরে তিনি ১১ বিজিবির অধীন চাকঢালা বিওপি (বর্ডার অবজারবেশন পোস্ট) পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মিয়ানমার থেকে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের পালিয়ে আসার স্পটগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজার রিজিয়ন কমন্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলমসহ বিজিবি রামুর সেক্টর ও অধীনস্ত বিজিবি ব্যাটালিয়নে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র জোন কমন্ডার ও অধিনায়ক লে. কর্নেল সাহল আহমদ এসিসহ বিজিবির কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন শুরু
মিয়ানমার সীমান্তে যাচ্ছেন বিজিবি মহাপরিচালক

মন্তব্য

শিক্ষা
Remand of 53 persons granted in two cases in Bandarban

বান্দরবানে দুই মামলায় ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর

বান্দরবানে দুই মামলায় ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর বৃহস্পতিবার বান্দরবানে আদালতে নেয়ার পথে কেএনএফ সদস্যরা। ছবি: নিউজবাংলা
আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার দুই মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।

বান্দরবানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রুমা থানার দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি এক নারীকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদসহ মামলায় ৫৭জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

আদালতে আসামি পক্ষে একাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার জিআর মামলা নং- ৪ ও ৭ মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।

এর আগে বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় ১৮জন নারী ও ৩৯জন পুরুষ বন্দিকে দুটি গাড়িতে করে আদালতে হাজির করা হয়। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটের ঘটনায় তাদেরকে রুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে বান্দরবানে চলমান যৌথ অভিযানে সন্দেহভাজন আর‌ও একজনকে আটক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৬জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
রুমার সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় কুকি-চিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত
স্বর্ণ উদ্ধারের মামলায় নভোএয়ারের গাড়িচালক রিমান্ডে
সিনেমায় অনুপ্রাণিত হয়ে কেনা অস্ত্র দিয়ে ছাত্রকে গুলি করেন রায়হান
যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদ রিমান্ডে

মন্তব্য

p
উপরে