× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
বছর জুড়ে ঘরবন্দি শিক্ষা
google_news print-icon

বছরজুড়ে ঘরবন্দি শিক্ষা

বছরজুড়ে-ঘরবন্দি-শিক্ষা
রাজধানীর ডেমরা এলাকায় নিম্ন আয়ের একটি পরিবারে লেখাপড়া করছে শিশুরা। ছবি: সাইফুল ইসলাম
শ্রেণিকক্ষ পাঠদান বন্ধ থেকেছে প্রায় বছরজুড়ে। এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি। দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এতটা বিপর্যয় আগে কখনও আসেনি।

করোনামহামারির কারণে নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ শিক্ষাঙ্গন। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় শিক্ষা কার্যক্রম।

সব মিলিয়ে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে। শিক্ষা কার্যক্রমের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শুরু হয় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম। তবে গ্রামাঞ্চলে এবং নিম্ন আয়ের সিংহভাগ শিক্ষার্থী ছিল এই কার্যক্রমের বাইরে।

অনিশ্চয়তায় পড়ে এসএসসি ও এইচএসসি মিলিয়ে প্রায় ২৫ লাখ শিক্ষার্থী। পরীক্ষা হবে কি হবে না– এমন অনিশ্চয়তায় অস্থির সময় পার করেছেন অভিভাবকেরাও।

বছরজুড়ে ঘরবন্দি শিক্ষা

শিক্ষা মন্ত্রণালয় শুরুতে নীরব থাকলেও পরে ধাপে ধাপে জানানো হয়, এবার হচ্ছে না প্রাথমিক থেকে শুরু করে জেএসসি-এইচএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা। এরপর দেখা দেয় ভর্তি জটিলতা। বছর শেষ হবার আগেই শুরু হয় নতুন শ্রেণিতে ভর্তির অনিশ্চয়তা। এসব শিক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়েই অটোপাস ও নতুন শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরাও। সারা বছর ছিল না নতুন কোনো চাকরির বিজ্ঞাপন, ছিল না নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ।

হতাশা শুরু হয় ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাতিলের মধ্য দিয়ে। এপ্রিলে হওয়ার কথা ছিল এ পরীক্ষা। করোনার কারণে ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলও স্থগিত রয়েছে।

গত বছর ডিসেম্বরে চীনে এই ভাইরাস দেখা দিলেও গত ৮ মার্চ প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের ঘোষণা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর পরেই শিক্ষার্থী ও অভিভাকদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাঙ্গন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীর বাড়িতেই পড়াশোনা করতে হয়। তবে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন পাঠদানের বাইরে ছিল। এমন পরিস্থিতে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

সরকারি ঘোষণার আগেই বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার লকডাউনের ঘোষণা দেয়ার আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি তোলেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। সরকার বা কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিলে একে একে অঘোষিতভাবে বন্ধ হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম।

অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এই ছুটি পাঁচ দফা বাড়িয়ে আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে। অবশ্য ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে না।

অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম

করোনাকালে শিক্ষার্থীরা যেন শিক্ষার বাইরে চলে না যায়, সে জন্য অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি সরকারি টেলিভিশন বিটিভি ও সংসদ টিভিতে অডিও-ভিজ্যুয়াল ক্লাস নেয়া হচ্ছে। তবে নিম্ন আয়ের পরিবারের শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সেবা বঞ্চিত হওয়ার কারণে শিক্ষায় বৈষম্য বেড়েছে বলে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের এক জরিপে দেখা গেছে, ৬৩ শতাংশ শিশু করোনাকালে শিক্ষার বাইরে রয়ে গেছে। বিশ্বব্যাংকের আরেক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থীর অনলাইনে ক্লাস করার সামর্থ্যই নেই।

বছরজুড়ে ঘরবন্দি শিক্ষা
রাজধানীর বন্ধ থাকা কদমতলী এলাকার রেঁনেসা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এক শিক্ষার্থী

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, শিক্ষার্থীদের ৮৬ শতাংশ ও অভিভাবকদের ৭৪ শতাংশ সংসদ টিভির বিষয়ে জানেন না। জরিপে অংশ নেয়া ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থী সংসদ টেলিভিশনের পাঠদান দেখেছে। বাকি ৫৭ শতাংশ এই টিভি বা অনলাইন ক্লাসের বাইরে থেকে গেছে।

শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম’ (বিইআরএফ)-এর একটি জরিপে দেখা যায়, শহরাঞ্চলে ৯৪ শতাংশ পরিবার সংসদ টিভিতে ক্লাসের কথা জানে। তবে ক্লাসে অংশ নেয় মাত্র ১১ শতাংশ।

এমন প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দেশের সরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ভর্তি কার্যক্রম অনলাইন করা হচ্ছে।

পরীক্ষা বাতিল শিক্ষার্থীদের অটোপাস

করোনার কারণে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জেএসসি আর এসএসসির ফলের ভিত্তিতে দেয়া হচ্ছে এইচএসসির ফল। আর বাতিল করা হয়েছে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা। করোনা পরিস্থিতির এখনও কোনো উন্নতি নেই, দ্বিতীয় ঢেউ নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে আরেকটি এসএসসি পরীক্ষার সময় এগিয়ে আসছে। সেই সঙ্গে আসছে পরের বছরের এইচএসসি পরীক্ষার সময়ও। সেসব পরীক্ষা কি অনুষ্ঠিত হবে, নাকি এবারও স্থগিত হবে এ বিষয়েও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা শঙ্কায়।

করোনায় কর্মহীন ২০ লাখ শিক্ষক

করোনার কারণে ৫০ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০ লাখ শিক্ষকের অনেকের ভাগ্যে নেমে এসেছে অনিশ্চয়তা। দেশ জুড়ে ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেনের ১০ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর আয় নেই নয় মাস ধরে। তাদের অনেকে পেশা পরিবর্তন করেছেন। কেউ হয়েছেন দোকানি, কেউ ফেরিওয়ালা, কৃষক।

একই অবস্থায় দিন কাটছে ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের। সরকারি হিসাবে সারাদেশে চার হাজার ৩১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২১ হাজার শিক্ষক থাকলেও বাস্তবে মাদ্রাসার সংখ্যা অনেক বেশি। সরকারি কোনো অনুদান না পাওয়া এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পরিস্থিতিও কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের মতো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা

করোনা মহামারিতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা নিতে সম্মতি জানিয়েছে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নপত্র। মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান– তিনটি শাখায় পরীক্ষা নেয়া হবে। তবে কবে নাগাদ পরীক্ষা নেয়া হতে পারে তা করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

২০১৯ এবং ২০২০ সালে যারা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছেন, তাদের সবাই ভর্তি পরীক্ষার অংশ নিতে পারবেন। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার দুই ফলাফল মিলে মানবিক বিভাগে মোট জিপিএ-৬, বিজ্ঞানে জিপিএ-৭, বাণিজ্যে বিভাগের ন্যূনতম জিপিএ-৬ দশমিক ৫ পয়েন্ট লাগবে। তবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৩ পয়েন্ট এর থাকতে হবে।

দেশে বর্তমানে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয় ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এগুলোতে মোট আসন সংখ্যা ৬০ হাজার।

হল না খুলে পরীক্ষা নেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দেয়। ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ইউজিসি সদস্যরা মিলে এই সিদ্ধান্ত নেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন সেমিস্টারের পরীক্ষাও নেয়া যাবে। তবে এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো বন্ধ রাখার সুপারিশ করে ইউজিসি।

আরও পড়ুন:
করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত স্কুল বন্ধ: প্রধানমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারিতে খুলতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
জুনে এসএসসি, জুলাইয়ে এইচএসসির পরিকল্পনা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘ছুটির মধ্যে ছুটি’
বয়স জটিলতা: ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে ভোগান্তি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Bengali New Year in Mahasamarohe Jabi

মহাসমারোহে জবিতে বাংলা বর্ষবরণ

মহাসমারোহে জবিতে বাংলা বর্ষবরণ উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে জবি ক্যাম্পাস থেকে সকাল সাড়ে নয়টায় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। ছবি: নিউজবাংলা
জবি উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করতে পারি। পারিবারিকভাবেই নারী-পুরুষের সমতা, নারীকে মানুষ ভাবার মানসিকতার শিক্ষা দিতে হবে, নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে লিখতে হবে, বলতে হবে।’

মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রকাশনা প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে মহাসমারোহে বাংলা বর্ষবরণ পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাড়ম্বরে পালিত হয় বাংলা নববর্ষ-১৪৩১।

বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে জবি ক্যাম্পাস থেকে সকাল সাড়ে নয়টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার ঘুরে ভিক্টোরিয়া পার্ক হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসে।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, জবি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করেন।

মহাসমারোহে জবিতে বাংলা বর্ষবরণ

মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া ‘রিকশাচিত্র’কে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন/ মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘের মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ শোভাযাত্রায় স্থান পায়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটির আয়োজনের দায়িত্বে ছিল চারুকলা অনুষদ।

আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সকাল সোয়া দশটার দিকে আলোচনা সভা শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়া সত্ত্বেও সীমিত অবকাঠামো ও স্বল্প পরিসর নিয়েও সকলের সহযোগিতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যায়ের মূল প্রাণ হচ্ছে শিক্ষার্থী। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা তুলে ধরতে পারছে।

‘পশ্চিমবঙ্গ, পূর্ববঙ্গ, পূর্ব পাকিস্তান ও তারপর বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্য। বঙ্গবন্ধুর এই অবদান যেন আমাদের নতুন প্রজন্ম তাদের চিন্তা চেতনায় ধারণ করতে পারে।’

মহাসমারোহে জবিতে বাংলা বর্ষবরণ

তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করতে পারি। পারিবারিকভাবেই নারী-পুরুষের সমতা, নারীকে মানুষ ভাবার মানসিকতার শিক্ষা দিতে হবে, নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে লিখতে হবে, বলতে হবে।’

আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সভাপতি প্রমুখ।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও বিকেলে জবি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠির পরিবেশনা এবং জবি ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ব্যান্ড সংগীত পরিবেশিত হয়।

মহাসমারোহে জবিতে বাংলা বর্ষবরণ

এ সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলে আনন্দে নেচে গেয়ে উদ্বেলিত ও উৎফুল্ল হয়ে বর্ষবরণকে আনন্দবহ করে তোলেন।

প্রকাশনা প্রদর্শনী

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহিদ রফিক ভবনের নীচতলায় দিনব্যাপী ‘প্রকাশনা প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ, জার্নাল, সাময়িকী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বার্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ স্থান পায়।

মন্তব্য

শিক্ষা
Eid reunion of 2011 batch at Saitshaila High School

সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১১ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী

সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১১ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী ঈদের পরদিন সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
ঈদুল ফিতরের পরদিন সকাল ১১টায় গান-বাজনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে নানা অনুষ্ঠান। দুপুরে ছিল ভুরিভোজের আয়োজন। বিকেলে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ-২০১১ এর শিক্ষার্থীরা দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ঈদুল ফিতরের পরদিন শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল ১১টায় গান-বাজনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে নানা অনুষ্ঠান। দুপুরে ছিল ভুরিভোজের আয়োজন। বিকেলে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান।

সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১১ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম হোসেন। ছবি: নিউজবাংলা

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম হোসেন। সভাপতিত্ব করেন নবগঠিত বিদ্যালয় পরিচালনা অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মাহবুব উল আলম খান।

আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষিকা রেহেনা জাহান খান, সিনিয়র শিক্ষকমণ্ডলী এবং সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনেকে।

প্রসঙ্গত, ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের সাইটশৈলা গ্রামে বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। এটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও সময় পরিক্রমায় প্রয়োজনের তাগিদে এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Professor Fazlul Halim Chowdhurys 28th death anniversary today

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১ আগস্ট বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির কুমিল্লা জেলার কুঞ্জ শ্রীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল আজিজ চৌধুরী একজন শিক্ষাবিদ, মাতা আফিফা খাতুন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের বাবা অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৯ এপ্রিল)।

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান নিয়ে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৫১ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৫৬ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ইউনেস্কো দিল্লির বিজ্ঞান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ফলিত রসায়ন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির সভাপতি।

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১ আগস্ট বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির কুমিল্লা জেলার কুঞ্জ শ্রীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল আজিজ চৌধুরী একজন শিক্ষাবিদ, মাতা আফিফা খাতুন।

বরেণ্য এ অধ্যাপকের মেয়ে হয়েছেন বাবার মতো গুণী। অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মন্তব্য

শিক্ষা
Time to collect admit card is nearing its end
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় শেষের পথে

প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় শেষের পথে ফাইল ছবি।
সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিজেদের আইডিতে প্রবেশ করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পাশাপাশি তাদের আসন বিন্যাসও দেখতে পারবেন।

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিজেদের আইডিতে প্রবেশ করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পাশাপাশি তাদের আসন বিন্যাসও দেখতে পারবেন।

এছাড়াও যেসব ভর্তিচ্ছুর ছবি বা সেলফি কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন অনুযায়ী আপলোড করা হয়নি, তাদেরকেও সোমবারের মধ্যে সংশোধিত ছবি বা সেলফি আপলোডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার সোমবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।

উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার বলেন, ‘২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের সুযোগ আজই (সোমবার) শেষ হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ২৩ মার্চ এটি উন্মুক্ত করা হয়।

‘যেসব আবেদনকারীর ছবি বা সেলফি অথবা উভয়টি জিএসটির ফটো গাইডলাইন অনুযায়ী গৃহীত হয়নি, তারা সোমবার রাত ১০টার মধ্যে অবশ্যই জিএসটির ফটো গাইডলাইন অনুসরণ করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ছবি বা সেলফি অথবা উভয়টি আপলোড সম্পন্ন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে। না হলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না।’

উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

এ বছর প্রায় ২১ হাজার আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬। এবার প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে গড়ে ১৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার (এ ইউনিট-বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার (বি ইউনিট-মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার (সি ইউনিট-বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং অন্য দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষার সব তথ্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে (https://gstadmission.ac.bd) পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন:
ঢাবিতে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চয়তায় সাইফুল
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় চার ইউনিটে প্রথম যারা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল ঘোষণা
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ বৃহস্পতিবার
বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

মন্তব্য

শিক্ষা
HC orders BUET rabbi to return hall seat

বুয়েটের রাব্বীকে হলের সিট ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

বুয়েটের রাব্বীকে হলের সিট ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট। ফাইল ছবি
বুয়েটের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছে।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর হলের সিট ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

সোমবার এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছে।

এর আগে রোববার ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রিটে বুয়েটের উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে ইমতিয়াজের হলে সিট ফেরত দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। সোমবার ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ নিজেই রিটের পক্ষে শুনানি করেন।

জানা যায়, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বুয়েট ক্যাম্পাসে ২৭ মার্চ বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে নেতা-কর্মীদের একটি দল প্রবেশ করে। এর প্রতিবাদে ২৯ মার্চ বেলা আড়াইটা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে বুধবার মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেনকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল (আবাসিকতা) বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

পরে ২৯ মার্চ রাতে বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদারের নির্দেশে ইমতিয়াজ হোসেনের হলের আসন বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন বুয়েটের রেজিস্ট্রার মো. ফোরকান উদ্দিন।

একইসঙ্গে জানানো হয়, সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশ দেয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এদিকে ১ এপ্রিল বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নেই বলে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেয়। ২০১৯ সালে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করে তা স্থগিত করে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন:
বুয়েটের ছাত্রলীগমনা ২১ শিক্ষার্থীর প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি
রাজনীতিমুক্ত বুয়েটের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ছাত্রদলের সংহতি প্রত্যাখ্যান করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা
‘হত্যার হুমকি’ পাচ্ছেন বুয়েটের ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীরা, উপাচার্যের কাছে আবেদন
প্রধানমন্ত্রীকে বুয়েট শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি, প্রয়োজনে আইন সংশোধনের অনুরোধ

মন্তব্য

শিক্ষা
Distribution of Chhatra Leagues Eid materials among the needy

অসহায়-ছিন্নমূলদের মাঝে ছাত্রলীগের ঈদ সামগ্রী বিতরণ

অসহায়-ছিন্নমূলদের মাঝে ছাত্রলীগের ঈদ সামগ্রী বিতরণ

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে অসহায়-ছিন্নমূল ৭০০ পরিবারের মাঝে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু। পুরো রমজান মাসজুড়ে অসহায়-ছিন্নমূল মানুষের মাঝে সেহেরি বিতরণ করছেন তিনি।

রোববার ওই ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ উপলক্ষে সজল কুন্ডু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুরকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আবহমানকাল থেকে এখানে সব ধর্মের মানুষ একত্রে বসবাস করছে। এই সম্প্রীতি আমাদের জাতিগত ঐতিহ্য। 'ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই উক্তি আজ দেশের সর্বমহলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে ধর্মীয় উৎসব পালন করছে। আমাদের মাঝে কোনো ভেদাভেদ নাই। সবসময় আমাদের এই ভাতৃত্বের বন্ধন অটুট থাকবে।

তিনি আরও বলেন, যেকোনো সংকটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। আগামী ২০৪১ সালের উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Distribution of Eid gifts among street children in DU

ঢাবিতে পথশিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ

ঢাবিতে পথশিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সুইমিংপুল সংলগ্ন মাঠে বিতরণের এ আয়োজন করা হয়। আয়োজন শেষে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখে মনে হচ্ছে নতুন কাপড় তাদের ঈদের খুশি এনে দিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে থাকা ভাসমান সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের পক্ষ থেকে এই উপহার বিতরণ করেছেন।

শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সুইমিংপুল সংলগ্ন মাঠে বিতরণের এ আয়োজন করা হয়। আয়োজন শেষে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখে মনে হচ্ছে নতুন কাপড় তাদের ঈদের খুশি এনে দিয়েছে।

ঈদ উপহার পেয়ে টিএসসির এক সুবিধাবঞ্চিত শিশু রাব্বি বলেন, আমাদের সবাইকে অনেক সুন্দর সুন্দর কাপড় দিয়েছে। অনেক খুশি লাগছে আমার। এবার ঈদের দিন এই পাঞ্জাবিটা পরে ইদ করবো আমি৷

এই আয়োজনের দায়িত্বে থাকা শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম বাসেত বলেন, প্রত্যেক বাগান মালিই তার বাগানের ফুলগুলোর যত্ন করে। ওরা আমাদের বাগানের ফুল, আমাদের প্রত্যেকেরই উচিৎ ওদের যত্ন নেয়া। আমাদের সভাপতি শয়ন ভাই সবসময় ওদের খোঁজ খবর রাখেন।

এসময় সেখানে অন্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি জয়নাল আবেদিন, রেজাউল করিম রিয়াদ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক মাউনজিরা বিশ্বাস সুরভী, নাট্য ও বিতর্ক উপসম্পাদক সাইফ আকরাম, মানবসম্পদ উপসম্পাদক মিজানুর রহমান, গণযোগাযোগ উপসম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ তিতাস প্রমুখ।
মনিরুল

মন্তব্য

p
উপরে