গত ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ৫জি পরিষেবা চালু করা হয়েছে; ফলে কানেক্টিভিটি সুবিধা এবং স্মার্টফোন অভিজ্ঞতায় বড় পরিবর্তন আসছে। ফাইভজি সেবা স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করবে বলে আশাবাদী এই খাত সংশ্লিষ্টরা। ফাইভজি উন্নত সংযোগ এবং নেটওয়ার্ক প্রদান করে, এ কারণে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এখন এই উন্নত নেটওয়ার্কের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ স্মার্টফোন ব্যবহারে আরও আগ্রহী। ফাইভজি’র পূর্ণ সুবিধা গ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য, স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলো ফাইভজি-সমর্থন করে এমন ডিভাইস নিয়ে আসছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য উন্নত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ডিজিটাল পরিষেবা গ্রহণ করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
তবে, এক্ষেত্রে সবার থেকে এগিয়ে আছে টেকনো। ব্রান্ডটি সবসময় এর ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেয়। অসাধারণ ফিচারসহ টেকনো ক্যামন ৪০ প্রো ৫জি ডিভাইসটি ইতোমধ্যে দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ফলে, ব্যবহারকারীরা এখন টেকনো ডিভাইসের মাধ্যমে ফাইভজি নেটওয়ার্কের পূর্ণ সুফল উপভোগ করতে পারবেন।
এছাড়া, ক্যামন ৪০ সিরিজে রয়েছে অত্যাধুনিক এআই ফিচার, শক্তিশালী ক্যামেরা সিস্টেম এবং সাশ্রয়ী মূল্যে প্রিমিয়াম ডিজাইনের অপূর্ব সমন্বয়। ফ্ল্যাশস্নাপ প্রযুক্তি, আন্ডারওয়াটার (পানির নিচে) ফটোগ্রাফি এবং প্রোডাক্টিভিটি (উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক) টুলসের মতো অসাধারণ উদ্ভাবনের মাধ্যমে, ক্যামন ৪০ প্রো এবং ক্যামন ৪০ প্রো ফাইভজি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় যোগ করবে নতুন মাত্রা।
টেকনো ক্যামন ৪০ প্রো ফাইভজি
মিড-রেঞ্জের বাজেটের স্মার্টফোনের বাজারে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ডিভাইস আসছে, কিন্তু সব ডিভাইস আপনার কাজের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। বিশেষ করে, এই ফাইভজি’র যুগে আপনার প্রয়োজন হবে এই প্রযুক্তি সমর্থন করে এমন একটি ফোন। যেমন ধরুন – টেকনো ক্যামন ৪০ প্রো ফাইভজি। এই ফোনটি মূলত যারা ক্যামেরা ও স্মুথ পারফরম্যান্সকে অগ্রাধিকার দেন, তাদের জন্য একেবারে উপযুক্ত। আধুনিক ডিজাইনের এই ফোনটি বাজারে তিনটি আকর্ষণীয় রঙে পাওয়া যাচ্ছে— গ্যালাক্সি ব্ল্যাক, এমেরাল্ড লেক গ্রীন ও গ্লেসিয়ার হোয়াইট। ডিভাইসটির স্লিম ও হালকা গঠন (মাত্র ৭.২৯ মিমি পুরু) ফোনটিকে ব্যবহার ও বহনের ক্ষেত্রে করে তোলে অত্যন্ত আরামদায়ক।
এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১৫ অপারেটিং সিস্টেমে, সাথে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৭৩০০ আল্টিমেট চিপসেট। এর সাথে রয়েছে ৮জিবি ফিজিক্যাল র্যাম এবং ৮জিবি এক্সটেন্ডেড র্যাম, অর্থাৎ মোট ১৬জিবি র্যাম ও ২৫৬জিবি স্টোরেজ—যা মাল্টিটাস্কিং ও হাই-এন্ড গেমিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত। ফোনটির অন্যতম বড় আকর্ষণ হলো এর বিশাল ৬.৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রেজোলিউশন ১০৮০x২৪৩৬ পিক্সেল এবং চমকপ্রদ ১৪৪হার্জ রিফ্রেশ রেট। ফলে আপনি যেকোনো ধরণের স্ক্রলিং, ভিডিও দেখা বা গেমিং করার সময় উপভোগ করতে পারবেন সুপার স্মুথ ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স।
ক্যামেরা পারফরম্যান্স দিক থেকেও এই ফোনটি অন্য অনেক ফোনের থেকে ভালো। এর ১/১.৫৬” সেন্সর সাইজ এবং ওআইএস (অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন) সমৃদ্ধ ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন রিয়ার ক্যামেরা রাতের অন্ধকারেও পরিষ্কার ছবি তুলতে সক্ষম। সঙ্গে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স, যা গ্রুপ ফটো বা প্রাকৃতিক দৃশ্য ধারণে কার্যকর। সেলফি ক্যামেরাটিও কোনো অংশে কম নয়—এতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা, সাথে অটোফোকাস, যা নিশ্চিত করে স্পষ্ট ও ডিটেইলড সেলফি এবং ভিডিও কল।
ক্যামন ৪০ প্রো ফাইভজি ফোনের ব্যাটারি লাইফও বেশ ভালো। ফোনটিতে রয়েছে ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, যা আপনাকে সহজেই পুরো একদিনের বেশি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। এর সঙ্গে রয়েছে ৪৫ ওয়াট সুপার চার্জিং সাপোর্ট, যা অল্প সময়ের মধ্যে ডিভাইসকে চার্জ করতে সাহায্য করে। সাউন্ড সিস্টেমেও রয়েছে বিশেষত্ব—ডুয়াল স্পিকার ও ডলবি অ্যাটমস প্রযুক্তি সমর্থিত হওয়ায় এর অডিও কোয়ালিটি আরও স্পষ্ট ও প্রাণবন্ত। এছাড়াও, ফোনটিতে রয়েছে ইনফ্রারেড রিমোট কন্ট্রোল, যা দিয়ে আপনি বাসার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
সব মিলিয়ে, টেকনো ক্যামন ৪০ প্রো ফাইভজি এমন একটি ডিভাইস যা ডিজাইন, ডিসপ্লে, ক্যামেরা ও পারফরম্যান্স—সব দিক থেকেই ব্যবহারকারীর প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম। আর এই দারুণ সব ফিচার থাকা সত্ত্বেও এর ৮/২৫৬জিবি ভ্যারিয়েন্টের মূল্য মাত্র ৩৪,৯৯৯ টাকা। এই ফোন দেশের সব টেকনো অনুমোদিত আউটলেটে এখন পাওয়া যাচ্ছে।
টেকনো ক্যামন ৪০ প্রো
মাঝারি বাজেটের স্মার্টফোনের বাজারে টেকনো আবারও দেখিয়ে দিল, প্রিমিয়াম ফিচার পেতে হলে মোটা অঙ্ক খরচ করতেই হবে—এই ধারণা ভুল। টেকনো ক্যামন ৪০ প্রো এমন একটি স্মার্টফোন যা আধুনিক ডিজাইন, স্মার্ট পারফরম্যান্স ও ইনোভেটিভ ক্যামেরা ফিচারের মাধ্যমে নতুন মানদণ্ড সেট করেছে। বিশেষ করে যারা ছবি তোলা ও স্মার্ট ইউজার এক্সপেরিয়েন্সে গুরুত্ব দেন, তাদের জন্য ফোনটি হতে পারে সেরা পছন্দ।
প্রথমেই চোখে পড়ে এর কার্ভড অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যা ক্যামন ৪০ প্রো ডিভাইসে যোগ করেছে প্রিমিয়াম লুক ও অনুভূতি। এই ডিসপ্লেটির ১৪৪হার্জ রিফ্রেশ রেট থাকার ফলে ব্যবহারকারীরা পাবেন অত্যন্ত মসৃণ স্ক্রলিং ও ইন্টারঅ্যাকশন সুবিধা, যা সাধারণত উচ্চমূল্যের ফোনেই দেখা যায়। শুধু তাই নয়, এই ফোনটি আইপি৬৮/৬৯ সনদপ্রাপ্ত ডাস্ট ও ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট, অর্থাৎ এটি ধুলো এবং পানির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষিত। ফলে, আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি বা পানির নিচে ছবি তোলা এখন আর কোনো কল্পনা নয়—ক্যামন ৪০ প্রো ডিভাইসের মাধ্যমে এখন সেটি খুব সহজেই করা সম্ভব।
ফোনটির ফ্রন্ট ক্যামেরা সেকশনে রয়েছে একটি ৫০ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা, যা চমৎকারভাবে ডিটেইলস ক্যাপচার করে এবং প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল ছবি তুলতে সক্ষম। রিয়ার ক্যামেরা সিস্টেমে শক্তিশালী ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে; এতে আরও রয়েছে উন্নত ইমেজ প্রসেসিং এবং আন্ডারওয়াটার ক্যামেরা অপ্টিমাইজেশন, যা এই ফোনটিকে অন্য সব ফোনের থেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে রেখেছে।
এই ফোনের আরেকটি ব্যতিক্রমী ও কার্যকর ফিচার হলো ওয়ান-ট্যাপ ফ্ল্যাশস্নাপ প্রযুক্তি। এই ফিচার ব্যবহার করে খুব দ্রুতগতির ও মুভিং সাবজেক্টের ছবি স্পষ্টভাবে তোলা যাবে। এটি একটি গেম-চেঞ্জিং ফিচার, যা ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতাকে করে তুলবে আরও সহজ এবং উপভোগ্য।
টেকনো ক্যামন ৪০ প্রো শুধু ক্যামেরা কিংবা ডিজাইনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ফোনটিতে যুক্ত হয়েছে অসংখ্য এআই-চালিত স্মার্ট টুলস, যা ব্যবহারকারীর দৈনন্দিন কাজকে করে তুলবে আরও সহজ, দ্রুত এবং কার্যকর। যেমন: যেমন— এআই ফুল-লিংক কল অ্যাসিস্ট্যান্ট, এআই স্টুডিও (এআই ইরেজার ২.০, এআই ইমেজ এক্সটেন্ডার, এআই শার্পনেস প্লাস, এআই পারফেক্ট ফেস, এআইজিসি পোট্রেট ২.০), এআই প্রোডাক্টিভিটি ফিচার (এআই রাইটিং, এআই ট্রান্সলেট, এআই সার্কেল সার্চ) এবং এআই ডকুমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট।
ভালো পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে ক্যামন ৪০ প্রো ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়েছে হেলিও জি১০০ আনলিমিটেড প্রসেসর, যা নিরবচ্ছিন্ন মাল্টিটাস্কিং ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের জন্য উপযোগী। এছাড়া, ফোনটি ৬০ মাস পর্যন্ত ল্যাগ-ফ্রি পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে সক্ষম। আরও আছে ৮জিবি ফিজিক্যাল র্যাম ও ৮জিবি ভার্চুয়াল র্যাম এবং ২৫৬জিবি স্টোরেজ, যা গেমিং, ভিডিও এডিটিং বা ভারী অ্যাপ ব্যবহারের সময় কোনও সমস্যা সৃষ্টি করবে না। সাথে থাকছে ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং, যা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ নিশ্চিত করে।
এছাড়া, এই ফোন ডিএক্সওএমএআরকে স্মার্ট চয়েস লেবেল অর্জন করেছে, ফলে এর ক্যামেরার কোয়ালিটি নিয়ে কোনো সংশয় থাকার সুযোগ নেই। এতোসব অসাধারণ ফিচার থাকা সত্ত্বেও ফোনটির দাম মাত্র ২৭,৯৯৯ টাকা।
সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণসংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা করছে সরকার। কিন্তু আসন্ন বোরো মৌসুমে এ নীতিমালার বাস্তবায়নে সরকারের সিদ্ধান্ত ডিলারদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, যার কারণে দেশে সারের সংকট আরও প্রকট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এ নীতিমালার বাস্তবায়ন পেছানোর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ)।
একইসঙ্গে সার ডিলারদের কমিশন বাড়িয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে সার ডিলার ও আমদানিকারকদের এই সংগঠন।
বুধবার ধানমণ্ডির সীমা ব্লোসম টাওয়ারের একটি কনফারেন্স রুমে এক মতবিনিময় সভা ও সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এতে সারাদেশের ডিলারদের উপস্থিতিতে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন আহমেদ।
কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সারের ডিলার নিয়োগের নতুন নীতিমালা করে ইউনিয়ন ভিত্তিক নতুন ডিলার নিয়োগ করা হবে, যা এই সময়ের জন্য বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নয়। কারণ, বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী একজন ডিলারকে একটি গুদাম ও একটি বিক্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করতে হয়। কিন্তু নতুন নীতিমালা অনুযায়ী একজন ডিলারকে ৩টি বিক্রয়কেন্দ্র এবং একটি গুদাম পরিচালনা করতে হবে। এতে করে ডিলারদের পরিচালনা ব্যয় তিন গুণ বেড়ে যাবে। কিন্তু কমিশন আগের মতো প্রতি কেজিতে ২ টাকা থাকবে। এতে করে সার সরবরাহে সংকট তৈরি হতে পারে।
তিনি বলেন, এখন হুট করে এ নীতিমালা হলে সারের সরকারি দামে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, পরিবহন খরচ এবং নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কারণে কোনোভাবেই ডিলারশিপ ব্যবসাটি আর কার্যকর থাকবে না। আর এখন নতুন করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঠিক সময় নয়। কারণ, বর্তমানে মিনি পিকসিজন এবং সামনে বোরোর ভরা মৌসুম আসন্ন। এই মৌসুমে নতুন নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে গেলে মাঠে এক ধরনের অরাজকতা তৈরি হতে পারে।
জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে ডিলারশীপ প্রথা চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিটি উপজেলায় এবং পরবর্তীতে ২০০৯ সালে জারিকৃত ডিলার নিয়োগ ও নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়নের ডিলাররা সারাদেশে সুষ্ঠুভাবে সার সরবরাহ করে আসছে। সারাদেশে সব মিলিয়ে ১০ হাজার ৮০০ জন ডিলার এবং প্রায় ৪৫ হাজার খুচরা বিক্রেতা রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নাম ও লোগো ব্যবহার করে ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার ভুয়া প্রলোভন দেখাচ্ছে একটি প্রতারক চক্র। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত মঙ্গলবার (এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এই সতর্কতা জারি করে)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ ও ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল’-এর নাম ও লোগো ব্যবহার করে https://dbbloan.com, https://bblloan.com ও https://www.bdloan71.com নামের কিছু ভুয়া ওয়েবসাইট ও অ্যাপ চালানো হচ্ছে। এসব প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক বা আইএমএফ–এর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
এই সব অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশনের সময় ব্যবহারকারীর নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল, ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ নানা সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে করে সাধারণ মানুষ আর্থিক প্রতারণার শিকার হতে পারেন বা আইনি ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া জনসাধারণের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া বা দেওয়ার উদ্দেশে অনলাইন বা অফলাইন যেকোনো প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা আইনত দণ্ডনীয়।
পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন, ২০২৪-এর ১৫(২) ধারা অনুযায়ী, এই ধরনের প্রতারণার জন্য কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
সাধারণ জনগণকে এ ধরনের ভুয়া ওয়েবসাইট ও অ্যাপে কোনো ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান বা আর্থিক লেনদেন না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। এবার ভরিতে ৬ হাজার ৯০৬ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৯ হাজার ১০১ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। যা দেশের ইতিহাসে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ দাম।
বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। আজ বৃহস্পতিবার থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৯ হাজার ১০১ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫ টাকা ও ৯৪ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭১ হাজার ৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৩০১ টাকা।
এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এদিকে, বুধবার বিশ্ববাজারে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্বর্ণের দাম আউন্স প্রতি ৪ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। বছরের শুরু থেকে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা ধারাবাহিকভাবে স্বর্ণে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চলেছেন। ফলে এর দাম এই পর্যন্ত ৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
এদিকে ফ্রান্সে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বাজারে অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন এবং প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে পদত্যাগ করে আগাম নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
অনিশ্চিত সময়ে ঐতিহ্যগতভাবে ‘নিরাপদ আশ্রয়’ হিসেবে বিবেচিত স্বর্ণ বুধবার আউন্স প্রতি ৪,০০৬.৬৮ ডলারে পৌঁছায়। যদিও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ডলার অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে শক্ত অবস্থান বজায় রেখেছে। রূপার দামও নিজস্ব রেকর্ডের কাছাকাছি অবস্থান করছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কিছু অংশের বন্ধ হয়ে যাওয়া বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ আরো বাড়িয়েছে। কারণ, এরফলে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্য-বিশেষ করে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত-প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে, যা ফেডারেল রিজার্ভের নীতিনির্ধারণে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।
অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ব্যাংকের বিশ্লেষক টেলর নাগেন্ট লিখেছেন, ‘স্বর্ণের দামের দ্রুত উত্থানকে সমর্থন করছে এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) এ বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রয়, বিশেষ করে চীনের শক্তিশালী চাহিদা। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মুদ্রাস্ফীতি অনিশ্চয়তা স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ আরো বাড়িয়েছে।’
অন্যদিকে, স্বর্ণবাজারে ব্যস্ততার মধ্যেও এশিয়ার শেয়ার বাজারগুলো তুলনামূলকভাবে নিস্তেজ ছিল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খাতে অতিরিক্ত বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যদিও এআই-নির্ভর প্রবৃদ্ধি অনেক সূচক ও কোম্পানিকে রেকর্ড উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
সরকার দেশের কর ব্যবস্থাকে আরো স্বচ্ছ, প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যবসাবান্ধব করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। তিনি বলেন, রাজস্ব প্রশাসনে শৃঙ্খলা ও দক্ষতা আনার লক্ষ্যে ডিজিটালাইজেশন এবং কর আইন সংস্কার শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বুধবার আগারগাঁওয়ে এনবিআর কার্যালয়ে ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি) এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিট দ্যা বিজনেস শীর্ষক অংশীজন সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, আয়কর আইন ২০২৩-এর ইংরেজি সংস্করণ মুদ্রণের জন্য সরকারি প্রেসে পাঠানো হয়েছে, কাস্টমস আইন প্রযুক্তিগত পর্যালোচনায় রয়েছে এবং ভ্যাট আইনও চূড়ান্ত পর্যায়ে। ‘খুব শিগগিরই তিনটি প্রধান কর আইন- আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট- ইংরেজিতে অফিসিয়ালভাবে প্রকাশিত হবে,’ তিনি বলেন।
রহমান বলেন, কর ফেরত প্রদানের প্রক্রিয়া সহজ করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ‘গত বছর আমরা করদাতাদের নগদ ফেরত দিতে পারিনি, এবার তা বাস্তবায়নের পথে আছি,’ তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, আগামী বছর থেকে করপোরেট ট্যাক্স রিটার্ন সম্পূর্ণ অনলাইনে জমা দিতে হবে, যা স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। ‘তথ্য বিকৃতি বা পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে না- এতে দেশে একটি স্বচ্ছ কর সংস্কৃতি গড়ে উঠবে,’ এনবিআর চেয়ারম্যান মন্তব্য করেন।
রহমান জানান, চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে রাজস্ব আদায় ২০ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে গত বছর প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৩ শতাংশ।
এনবিআর শিগগিরই ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (NSW) সিস্টেমে দ্বৈত কর চুক্তি (DTA) সম্পর্কিত সার্টিফিকেট ইস্যু প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ডিজিটাল করবে বলে তিনি জানান। ‘এখন পর্যন্ত সিঙ্গেল উইন্ডোর মাধ্যমে ৬ লাখ ২৫ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট ও পারমিট ইস্যু হয়েছে, যার ৮০ শতাংশ জমার এক ঘণ্টার মধ্যে দেওয়া হয়,’ তিনি যোগ করেন।
অনিয়মের বিষয়ে সতর্ক করে রহমান বলেন, ‘অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি করদাতাদের হয়রানির বিরুদ্ধেও শূন্য সহনশীলতার (জিরো টলারেন্স) অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
ন্যায্য শুল্ক মূল্যায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি অবশ্যই লেনদেনের প্রকৃত মূল্যের ভিত্তিতে হতে হবে। স্ফীত লক্ষ্যমাত্রা বা অতিরিক্ত আদায়ের কোনো প্রয়োজন নেই।’
তিনি উপসংহারে বলেন, ‘একটি আধুনিক, ন্যায্য ও প্রযুক্তিনির্ভর কর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা সরকারের আস্থা, ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা ও করদাতাদের সন্তুষ্টি একসঙ্গে নিশ্চিত করতে চাই।’
আকাশযানে ব্যবহৃত জ্বালানি জেট ফুয়েলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে বাংলাদেশি ক্রেতার ক্ষেত্রে প্রতি লিটার ৯৬ দশমিক ৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯ দশমিক ২৯ টাকা করা হয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে দেশি ও বিদেশি ক্রেতার থেকে প্রতি লিটার শূন্য দশমিক ৬৩৩৩ ডলার থেকে বাড়িয়ে শূন্য দশমিক ৬৫৪৫ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ভাড়া কিছুটা বেড়ে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
নতুন এই দর বুধবার রাত ১২টা থেকে কার্যকর হয়েছে।
এর আগে বুধবার নতুন এই দাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। দাম বাড়ানোর আগে বিইআরসির কার্যালয়ে একটি গণশুনানি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, বিপিসি প্রতিব ছর প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন জেট ফুয়েল আমদানি করে থাকে, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোর চাহিদা পূরণে ব্যবহৃত হয়।
এছাড়া দেশীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কনডেনসেট পরিশোধনের মাধ্যমে সীমিত পরিমাণে জেট ফুয়েল উৎপাদন করে বিপিসিকে সরবরাহ করেন।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। মোট ৩৯৯টি কোম্পানির ১৮ কোটি ২৯ লাখ ৩৫ হাজার ৪৮৪টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট হাতবদল হয়েছে। যার আর্থিক পরিমাণ দাঁড়ায় ৬১১ কোটি ৮৭ লাখ ৪৬ হাজার ১৫০ টাকা।
ডিএসইতে মোট বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২০ হাজার ১,২৭ কোটি ৪৯ লাখ ৭৭ হাজার ৯১৩ টাকা। যা গত মঙ্গলবারের চেয়ে এক হাজার ৯৫৫ কোটি ৪৮ লাখ ৩২ হাজার ৩০৫ টাকা কম। গত মঙ্গলবার বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২২ হাজার ৮২ কোটি ৯৮ লাখ ১০ হাজার ২১৮ টাকা।
ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৩৯.১৪ পয়েন্ট কমে ৫,৩৩৭.৮৬ পয়েন্টে দাঁড়ায়। ডিএস-৩০ সূচক ১৩.৪২ পয়েন্ট কমে ২,০৫১.৫৪ পয়েন্টে এবং শরিয়াহ সূচক (ডিএসইএস) ১২.৩৭ পয়েন্ট কমে ১,১৪৯.১৮ পয়েন্টে নেমে আসে।
লেনদেনকৃত কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৫টির, কমেছে ২২১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের পরিমাণে শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- সিভিও পেট্রোলিয়াম, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ওরিয়ন ইনফিউশন, সোনালি পেপার, কে অ্যান্ড কিউ, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স এবং সিম টেক্স।
দরবৃদ্ধির শীর্ষে রয়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, গ্রীণ ডেল্টা, সিম টেক্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, সিভিও পেট্রোলিয়াম, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইন্ট্র্যাকো রি-ফুয়েলিং এবং তাক্কাফুল ইন্স্যুরেন্স।
দরপতনের শীর্ষে রয়েছে ইউনিয়ন ব্যাংক, এসআইবিএল, এক্সিম ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, এনবিএল, পিপলস লিজিং, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট ফিন্যান্স, কে অ্যান্ড কিউ এবং প্রিমিয়ার লিজিং।
রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল এক্সপো-২০২৫’ শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতের অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পের সর্বশেষ উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শনের লক্ষ্যে ইকো এক্সপো এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এই প্রদর্শনীটি এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন বাংলাদেশের পোশাকশিল্প স্থিতিশীল ও শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে।
এই এক্সপোর মাধ্যমে শিল্প বিশেষজ্ঞ, উদ্ভাবক এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার এক অনন্য সুযোগ তৈরি হবে।
এক্সপোতে চীন ছাড়াও অন্যান্য দেশ থেকে শীর্ষস্থানীয় প্রস্তুতকারকরা তাদের উদ্ভাবনী পণ্য প্রদর্শন করবেন। এতে অত্যাধুনিক ফাইবার, সুতা, টেকসই ফেব্রিক, ট্রিমস, অ্যাকসেসরিজ, ডাইস্টাফ এবং পোশাকসহ বিভিন্ন ধরনের টেক্সটাইল ও পোশাকের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রদর্শিত হবে।
মন্তব্য