× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Dream of a Blue Economy Sustainable use of fisheries resources
google_news print-icon

একটি ব্লু ইকোনমি'র স্বপ্নঃ মৎস্য সম্পদের টেকসই ব্যবহার

একটি-ব্লু-ইকোনমির-স্বপ্নঃ-মৎস্য-সম্পদের-টেকসই-ব্যবহার

ব্লু ইকোনমি বা নীল অর্থনীতি কেবল সমুদ্রকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে নিয়ে আসার একটি গতানুগতিক ধারণা নয়; এটি মানবজাতির জন্য সমুদ্রের সম্পদ ও সেবাকে টেকসই, সমতাভিত্তিক এবং পরিবেশবান্ধব উপায়ে ব্যবহারের একটি সামগ্রিক কৌশলগত দর্শন। ব্লু ইকোনমি'র মূল কথা হলো, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে গিয়ে যেন সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্য (Ocean Health) বিন্দুমাত্র বিঘ্নিত না হয়। এই দর্শনটি মৎস্য আহরণ থেকে শুরু করে শিপিং, উপকূলীয় পর্যটন, নবায়নযোগ্য সামুদ্রিক শক্তি এবং মেরিন বায়োটেকনোলজির মতো অ-প্রথাগত খাতগুলির সমন্বয়ে গঠিত। বাংলাদেশের মতো উপকূলীয় রাষ্ট্রের জন্য এটি একুশ শতকের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে, যেখানে বিশাল জলসীমা বিজয়ের পর আমরা সমুদ্রভিত্তিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। এই সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য আমাদের প্রয়োজন দ্রুত প্রথাগত চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে এসে, গভীর সমুদ্রের অফুরন্ত সম্ভাবনা এবং তার টেকসই ব্যবস্থাপনার দিকে মনোযোগ দেওয়া।

আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলের বিশাল জলরাশি এবং এর অন্তর্গত মৎস্য সম্পদ কেবল একটি অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি নয়, বরং এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। যখন আমরা ব্লু ইকোনমি'র (নীল অর্থনীতি) স্বপ্ন দেখি, তখন এর কেন্দ্রে থাকে এই অপার জলজ সম্পদের টেকসই ও দায়িত্বশীল ব্যবহার। মৎস্য সম্পদের এই টেকসই ব্যবস্থাপনা কোনো বিচ্ছিন্ন ধারণা নয়; এটি সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্য, উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা, এবং ভবিষ্যতের খাদ্য নিরাপত্তা—এই তিনের এক সুসংহত মেলবন্ধন। দেশের মোট জিডিপিতে (GDP) মৎস্য খাতের অবদান প্রায় ৩.৫৭% এবং কৃষিজ জিডিপিতে এই হার ২৫ শতাংশেরও বেশি। দেশের প্রায় ১.৯৫ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই খাতের উপর নির্ভরশীল, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ১২ শতাংশ। খাদ্য নিরাপত্তার দিক থেকে, আমাদের দৈনন্দিন প্রাণিজ আমিষের ৬০ শতাংশের বেশি আসে মাছ থেকে।

বর্তমানে, আমাদের মৎস্য খাত একটি দ্বিমুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন: একদিকে, ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর চাপ, অন্যদিকে, অতিরিক্ত মাছ ধরা (Overfishing) এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট পরিবেশগত অবনতি। যদি আমরা এই মূল্যবান সম্পদকে ভবিষ্যতের জন্য সুরক্ষিত রাখতে চাই, তবে গতানুগতিক মৎস্য আহরণ পদ্ধতি থেকে সরে এসে গভীর সমুদ্রের মৎস্য আহরণ এবং নিয়ন্ত্রিত জলজ চাষ (Aquaculture) এর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। কেবল উপকূলের কাছাকাছি মাছের ওপর নির্ভর না করে, আমাদের উচিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং গবেষণার মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে সম্পদের সন্ধান করা। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গভীর সমুদ্রে আমাদের প্রায় ৪০ হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি অর্থনৈতিক অঞ্চল অব্যবহৃত রয়ে গেছে। এর সঠিক ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, এবং আন্তর্জাতিক মানের ফিশিং ট্রলারের ব্যবহার, যা একইসাথে সমুদ্রে নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করবে।

কৃত্রিম প্রজনন ও জলজ চাষের বৈপ্লবিক ভূমিকা (Revolutionary Role of Hatchery and Aquaculture) এই প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত জরুরি। অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় জলজ চাষের ক্ষেত্রে আমাদের কেবল রুই, কাতলা বা চিংড়ির মতো প্রচলিত প্রজাতির উপর নির্ভর না করে, উচ্চ মূল্যের সামুদ্রিক প্রজাতি (High-Value Marine Species) চাষের দিকে যেতে হবে। এটি ইতিবাচক যে, বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে, যার প্রধান কারণ হলো অভ্যন্তরীণ জলজ চাষে প্রায় ১১ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি। বায়োফ্লক (Biofloc) বা রিসার্কুলেটিং অ্যাকুয়াকালচার সিস্টেম (RAS)-এর মতো প্রযুক্তিগুলি ব্যবহার করে সীমিত জায়গায় মাছের উৎপাদন বহুগুণ বাড়ানো সম্ভব, যা একইসাথে পানির ব্যবহার কমায় এবং পরিবেশের উপর চাপ হ্রাস করে। এই পদ্ধতিগুলি গ্রামীণ অর্থনীতিকে মজবুত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে নতুন সুযোগ তৈরি করবে। মৎস্য রপ্তানি থেকে আমাদের বার্ষিক আয় বর্তমানে ৪,০০০ কোটি টাকারও বেশি, যা টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বহুলাংশে বাড়ানো সম্ভব।

টেকসই ব্যবহারের মূল ভিত্তি হলো তথ্য-ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা (Data-Driven Management)। কোথায়, কখন, এবং কতটুকু মাছ ধরা হচ্ছে—এই সমস্ত তথ্য নির্ভুলভাবে সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা অপরিহার্য। মৎস্য প্রজাতির প্রজনন সময়কালে কার্যকরভাবে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা এবং সংরক্ষিত সামুদ্রিক অঞ্চল (Marine Protected Areas) প্রতিষ্ঠা করা এই ব্যবস্থাপনার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এছাড়াও, ছোট পর্যায়ের জেলেরা যাতে আধুনিক সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ পায়, তা নিশ্চিত করা জরুরি। তাদের প্রথাগত জ্ঞানকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সঙ্গে একত্রিত করে একটি সহ-ব্যবস্থাপনা (Co-management) মডেল তৈরি করতে পারলে স্থানীয় পর্যায়ে সম্পদের অপচয় ও অবৈধ মাছ ধরা অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হবে। অবৈধ, অনিয়ন্ত্রিত ও অনথিভুক্ত (IUU) মৎস্য শিকার রোধ করা এখন সময়ের দাবি। এটি কেবল আমাদের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং পুরো ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। অত্যাধুনিক মনিটরিং ও নজরদারি ব্যবস্থা যেমন স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং (VMS) ব্যবহার করে মাছ ধরার নৌযানগুলোকে সার্বক্ষণিক তদারকির আওতায় আনাটাও জরুরি।

ব্লু ইকোনমি'র পরিপূর্ণ সুফল পেতে হলে সামুদ্রিক দূষণ রোধে কঠোর হতে হবে। প্লাস্টিক বর্জ্য, শিল্পকারখানার বর্জ্য এবং তেল নিঃসরণ আমাদের জলজ বাস্তুতন্ত্রের জন্য নীরব ঘাতক। সরকারকে এক্ষেত্রে আরও কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি উপকূলীয় শিল্পগুলিকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির দিকে যেতে উৎসাহিত করতে হবে। মৎস্য সম্পদ শুধু পেট ভরানোর উপায় নয়; এটি আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি, যা আমাদের জিডিপি'তে (GDP) উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের উপকূলীয় অবকাঠামোকে আরও সহনশীল করে তুলতে হবে এবং ম্যানগ্রোভ বন (যেমন সুন্দরবন) সুরক্ষার উপর জোর দিতে হবে, যা একদিকে মাছের প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে, অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূলকে রক্ষা করে।

এই স্বপ্ন কেবল মাছ ধরার পরিমাণ বাড়ানো নয়; এটি আমাদের সমুদ্রকে সুস্থ রাখা, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা, এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সমৃদ্ধ জলজ উত্তরাধিকার রেখে যাওয়ার অঙ্গীকার। আর এই অঙ্গীকার পূরণের চাবিকাঠি নিহিত আছে মৎস্য সম্পদের ভারসাম্যপূর্ণ এবং দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপনার মধ্যে, যেখানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং নীতিগত দূরদর্শিতা একত্রে কাজ করবে।

লেখক:

সাকিফ শামীম

ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার
ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ল্যাবএইড গ্রুপ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
In September inflation increased to 5 percent

সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮.৩৬ শতাংশে

সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮.৩৬ শতাংশে

দেশের বাজারে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে সবজির দাম বেড়েছে হু-হু করে- যেখানে ১০০ টাকার কাঁচামরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। আলু ছাড়া প্রায় সব ধরনের সবজিই ক্রেতার নাগালের বাইরে। ভালো বোরো ফলন সত্ত্বেও চালের দামও প্রত্যাশা অনুযায়ী কমেনি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত সর্বশেষ ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) অনুসারে, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে, যা গত আগস্টে ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ, এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ০.০৭ শতাংশ পয়েন্ট।

মূল্যস্ফীতি ৮.৩৬ শতাংশ মানে হলো- ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে যে পণ্য ১০০ টাকায় কেনা যেত, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে সেটির জন্য গুণতে হয়েছে ১০৮ টাকা ৩৬ পয়সা।

বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছিল। অথচ চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে। এই লক্ষ্য অর্জনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রহণ করেছে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি। তবুও লক্ষ্য পূরণ কঠিন হয়ে পড়েছে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন।

সিপিআই বিশ্লেষণে দেখা যায়, সেপ্টেম্বরে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যা আগস্টে ছিল ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। একই সময় খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ, যা এক মাস আগে ছিল ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ, দুই খাতেই পণ্যমূল্য বেড়েছে।

গ্রাম ও শহরের তুলনায় দেখা গেছে, গ্রামাঞ্চলে জীবনযাত্রার ব্যয় শহরের চেয়ে বেশি বেড়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে গ্রামীণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশে, যেখানে শহরাঞ্চলে তা ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। গ্রামে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দাম বৃদ্ধির চাপ সবচেয়ে বেশি পড়েছে।

গ্রামাঞ্চলে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে শহরে খাদ্য খাতে ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ।

তুলনামূলকভাবে দেখা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে। অর্থাৎ, আগের বছরের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কমেছে ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ।

এর আগের বছর ২০২৩ সালে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ- খাদ্যে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর ২০২২ সালে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ, যেখানে খাদ্যে ছিল ৯ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে এখনো বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ। বর্তমানে ভারতে মূল্যস্ফীতি ২ দশমিক ৭ শতাংশ, পাকিস্তানে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ, নেপালে ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ, আফগানিস্তানে ২ দশমিক ২ শতাংশ, মালদ্বীপে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ভুটানে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বিশ্ববাজারে খাদ্যদ্রব্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও দেশীয় বাজারে সরবরাহ ব্যয়, পরিবহন খরচ ও বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The central bank bought more than and 10 million at auction

নিলামে আরও ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

নিলামে আরও ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ডলারের দাম ধরে রাখতে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিলামের মাধ্যমে আরও ১০ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার (১০৪ মিলিয়ন ডলার) কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৮টি ব্যাংক থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর চলতি বছর জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার কিনেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।

ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ডলারের দরে এক রকম স্থিতিশীলতা জরুরি। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কিনছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ডলার না কিনলে বৈদেশিক মুদ্রাটির দর পড়ে যেত।

আর ডলারের দর বেড়ে যাওয়া যেমন অর্থনীতির জন্য ভালো নয়, তেমনি কমে যাওয়াও ভালো নয়।

বর্তমানে নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার কেনার জন্য রেমিট্যান্স প্রেরক ও রপ্তানিকারকরা সুবিধা পাচ্ছেন। আর বাংলাদেশ ব্যাংকও এ দুই সূচকের প্রবাহ ইতিবাচক রাখার জন্যই নিলামের মাধ্যমে ডলার কিনছে। অন্যদিকে ডলার কেনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ-ও বাড়াচ্ছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
BGMEA and DBPs strategic cooperation to increase transparency in the garment industry

পোশাকশিল্পে স্বচ্ছতা বাড়াতে বিজিএমইএ ও ডিবিপির কৌশলগত সহযোগিতা

পোশাকশিল্পে স্বচ্ছতা বাড়াতে বিজিএমইএ ও ডিবিপির কৌশলগত সহযোগিতা

বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনার্স (ডিবিপি) একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদারিত্বে আবদ্ধ হয়েছে।

এই অংশীদারিত্বের মূল লক্ষ্য হলো- ‘ডিজিটাল ফ্যাক্টরি পাসপোর্ট (ডিএফপি)’ নামে একটি যুগান্তকারী ব্যবস্থা চালু করা। এটি হবে এআইচালিত একটি ইএসজি (পরিবেশগত, সামাজিক ও সুশাসন) কমপ্লায়েন্স ফ্রেমওয়ার্ক, যা দেশের পোশাক খাতের কমপ্লায়েন্স প্রক্রিয়াকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এটি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা বাড়াবে এবং বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।

এ বিষয়ে গত রোববার উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ এবং ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনার্সের মধ্যে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি ভিদিয়া অমৃতখান, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা, পরিচালক মজুমদার আরিফুর রহমান এবং পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল।

ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনার্সের পক্ষ থেকে ছিলেন নাবিল চৌধুরী ও হায়দার আনওয়ার।

এই ডিজিটাল ফ্যাক্টরি পাসপোর্ট একটি সমন্বিত ডিজিটাল টুল হিসেবে কাজ করবে, যা কারখানার তথ্য ব্যবস্থাপনা ও রিপোর্টিং প্রক্রিয়াকে সুবিন্যস্ত করবে। বিশেষ করে পোশাক কারখানার সকল তথ্য, যেমন- উৎপাদন প্রক্রিয়া, পরিবেশগত প্রভাব, শ্রমিকের নিরাপত্তা ও কল্যাণ এবং সাপ্লাইচেইনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডেটাগুলোকে এক জায়গায় নিয়ে আসবে। ফলে বিভিন্ন ক্রেতা ও সংস্থার জন্য বারবার অডিট বা নিরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা কমবে এবং টেকসই কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণে দক্ষতা বাড়বে।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘আমাদের পোশাকশিল্পের টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ডিজিটাল রূপান্তর ও উদ্ভাবন অপরিহার্য।’

তিনি বলেন, বিজিএমইএ ও ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনার্সের এই অংশীদারিত্ব পোশাকশিল্পে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন ও প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে বিজিএমইএর চলমান প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

সর্বোপরি, একটি মানসম্মত ও এআইচালিত পদ্ধতি প্রদানের মাধ্যমে এই উদ্যোগটি কারখানাগুলোকে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের শর্ত পূরণে সহায়তা করবে এবং বৈশ্বিক সোর্সিং হাব হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থানকে ভবিষ্যতে আরও সুরক্ষিত করবে।

ডিজিটাল ব্রিজ পার্টনার্সের প্রতিনিধিরা ডিজিটাল সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশের এই শিল্পকে আরও বেশি দক্ষতা ও স্বচ্ছতা অর্জনে সহায়তা করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bangladesh Bank facilitates foreign transactions for SME entrepreneurs

এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বৈদেশিক লেনদেন সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক

এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বৈদেশিক লেনদেন সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য বৈদেশিক লেনদেন প্রক্রিয়া আরও সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে নিবন্ধিত এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক ক্রেডিট, ডেবিট অথবা প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার করে বছরে সর্বোচ্চ তিন হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত বিদেশে পাঠাতে পারবে।

গত রোববার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিবেচনায় বৈদেশিক লেনদেন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও কার্যকর করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রচলিত ব্যাংকিং চ্যানেলের পাশাপাশি কার্ডের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিশোধের সুযোগ তৈরি করাই এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।

সার্কুলার অনুযায়ী, প্রতিটি নিবন্ধিত এসএমই প্রতিষ্ঠান তাদের মনোনীত কর্মকর্তার নামে রিফিলযোগ্য আন্তর্জাতিক কার্ড অথবা ‘এসএমই কার্ড’ নিতে পারবে।

প্রাথমিকভাবে এই কার্ডে সর্বোচ্চ ৬০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত লোড করা যাবে, যা বৈধ অনলাইন খরচ পরিশোধের জন্য ব্যবহৃত হবে। তবে কার্ড লেনদেন ও সরাসরি রেমিট্যান্স- এই দুটি ক্ষেত্র মিলিয়ে বছরে মোট বৈদেশিক লেনদেনের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ তিন হাজার মার্কিন ডলার। এই অর্থ আন্তর্জাতিক সেমিনার, সম্মেলন, প্রযুক্তিগত সহায়তা ফি, ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ব্যয় মেটাতে ব্যবহার করা যাবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান কেবল একটি অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকের মাধ্যমে এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। শাখা পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন নিতে হবে।

লেনদেনের সময় ব্যাংকগুলোকে প্রচলিত নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। উৎস কর, ভ্যাট ও অন্যান্য শুল্ক আদায়ের পাশাপাশি গ্রাহক যাচাই, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ এবং বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ সংক্রান্ত সব নীতিমালা মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bangladesh Bank has directed the agreement with 12 international organizations

১২টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার
১২টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য এবং কয়েকটি বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর নামে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে ১২টি আন্তর্জাতিক সম্পদ পুনরুদ্ধার ও ল-ফার্মের সঙ্গে নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট (এনডিএ) চুক্তি করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে সোমবার অনুষ্ঠিত এক সভায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের উপস্থিতিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ওমর ফারুক খান বাসসকে বলেন, ‘ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক আইন ও সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় পাচার হওয়া অর্থের উৎস অনুসন্ধান ও ফেরত আনার কাজে যুক্ত হবে।’

তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়ায় প্রশাসনিক ও আইনি সহায়তা দেবে।

তিনি আরও বলেন, ‘নেতৃত্বদানকারী হিসেবে কিছু ব্যাংক অন্যদের সঙ্গে কনসোর্টিয়াম গঠন করে এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করবে। চুক্তি সম্পন্ন হলে পুনরুদ্ধারকৃত অর্থ কীভাবে জমা দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করা হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার প্রাথমিকভাবে পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দেশের ১১টি শিল্পগোষ্ঠীকে শনাক্ত করেছে। যার মধ্যে নাসা ও এস আলম গ্রুপের নাম রয়েছে।

ওমর ফারুক খান বলেন, ‘আমরা নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্টের (এনডিএ) আওতায় এসব সম্পদ পুনরুদ্ধার সংস্থার সঙ্গে কাজ করব। কিছু প্রাথমিক আলোচনাও শুরু হয়েছে।’

জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি অর্থপাচারের অভিযোগে যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে তাদের মধ্যে রয়েছে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর প্রতিষ্ঠান আরামিট গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো, সিকদার গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, ওরিয়ন, জেমকন, নাবিল ও সামিটসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

অভিযোগ অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ শেষ পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের উপকারে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, এসব গোষ্ঠীর মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের উপকৃত করেছে বলে ধারণা করা হয়।

মন্তব্য

স্বর্ণের দামে রেকর্ড, ভরি দুই লাখ ছাড়াল

স্বর্ণের দামে রেকর্ড, ভরি দুই লাখ ছাড়াল

দেশের বাজারে প্রথমবারের মতো দুই লাখ টাকায় উঠেছে দাম। নতুন করে প্রতি ভরিতে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) দাম বেড়েছে তিন হাজার ১৫০ টাকা। এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ বিক্রি হবে দুই লাখ ৭২৬ টাকায়। আজ মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে নতুন এ দর কার্যকর হবে।

সোমবার রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাম বৃদ্ধির তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি দাম বেড়ে এক লাখ ৯১ হাজার ৬০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি দাম এক লাখ ৬৪ হাজার ২২৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি দাম এক লাখ ৩৬ হাজার ৪৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৮১১ টাকা।

২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৬৮৩ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ২৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৭২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্সে ৩ হাজার ৯০০ ডলার ছাড়িয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬ অক্টোবর স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৯২৯.৯১ ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে ডিসেম্বর ডেলিভারির মার্কিন স্বর্ণ ফিউচার ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়ে এবং দাঁড়ায় ৩ হাজার ৯৫৪.৭০ ডলারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইয়েনের দুর্বলতা, মার্কিন সরকারের অচলাবস্থা এবং ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা বাড়িয়েছে। কেসিএম ট্রেডের বিশ্লেষক টিম ওয়াটারার বলেন, কম সুদের পরিবেশে স্বর্ণই সবচেয়ে লাভজনক বিনিয়োগ।

২০২৪ সালে স্বর্ণের দাম ২৭ শতাংশ বেড়েছিল, চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণ ক্রয়, এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডের চাহিদা, ডলারের দুর্বলতা এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ভূমিকা রেখেছে।

অন্য মূল্যবান ধাতুর বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। সোমবার স্পট সিলভার ৪৮.৫৩ ডলার, প্লাটিনাম ১,৬২৩.৮৮ ডলার এবং প্যালাডিয়াম ১,২৭৫.৬৫ ডলারে পৌঁছেছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Honors AI Smart Living Innovation Hub Alpha Flagship Store inaugurated

অনারের ‘এআই স্মার্ট লিভিং ইনোভেশন হাব’ আলফা ফ্ল্যাগশিপ স্টোরের উদ্বোধন

অনারের ‘এআই স্মার্ট লিভিং ইনোভেশন হাব’ আলফা ফ্ল্যাগশিপ স্টোরের উদ্বোধন

শেনজেন বে মিক্সসি-তে আলফা গ্লোবাল ফ্ল্যাগশিপ স্টোরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে বৈশ্বিক এআই ডিভাইস ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠান অনার। নতুন এ স্টোরটিকে ‘এআই স্মার্ট লিভিং ইনোভেশন হাব’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, সৃজনশীলতা ও সংস্কৃতির সমন্বয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
২০২৫ সালের এমডব্লিউসি বার্সেলোনাতে একটি স্মার্টফোন ব্র্যান্ড থেকে বৈশ্বিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্পন্ন ডিভাইস ইকোসিস্টেমে রূপান্তরের রূপরেখা তুলে ধরে অনার। তার ধারাবাহিকতায়, শেনজেন বে মিক্সসি -তে ফ্ল্যাগশিপ স্টোরের উদ্বোধন প্রতিষ্ঠানটির দূরদর্শী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এ উদ্যোগ উন্মুক্ত ও সহযোগিতামূলক এআই ইকোসিস্টেমের প্রতি অনারের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
শেনজেন বে’র শান্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই স্টোরটির নকশা করা হয়েছে। নকশায় উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে সম্পূর্ণরূপে মানব-কেন্দ্রিক পরিবেশের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। সেই সাথে স্টোরের লে-আউট সাজানো হয়েছে দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্বের জায়গা থেকে, যেখানে স্মার্ট ভ্রমণ থেকে শুরু করে বিনোদন, সবক্ষেত্রে বিভিন্ন এআইনির্ভর অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।
স্টোরটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ইয়োইয়ো জোন। এটি অনারের এআই অ্যাসিস্ট্যান্টকে ঘিরে চারটি মূল থিমে সাজানো হয়েছে; এআই লাইফস্টাইল, এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট, এআই কনটেন্ট ক্রিয়েশন ও এআই কম্প্যানিয়নশিপ। এর উন্নত ভিজ্যুয়াল পার্সেপশন, মেমোরি ও টাস্ক এক্সিকিউশন ক্ষমতা বাস্তবিকই ব্যক্তিকেন্দ্রিক এআই অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য আকর্ষণ হল স্টোরটির এআই ইন্সপিরেশন ক্যাফে। এখানে প্রযুক্তিবিদ, সৃজনশীল ব্যক্তি ও দর্শনার্থীরা কফির কাপে চুমুকের সাথে মতবিনিময় করতে পারবেন।
স্টোরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনার বিভিন্ন অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে নানা ধরনের উপভোগ্য পারফরমেন্সের আয়োজন করে।

মন্তব্য

p
উপরে