খুলনা অঞ্চলে লবণাক্ততামুক্ত সুপেয় পানি সরবরাহে ১৫ কোটি ডলারসহ তিন প্রকল্পে ২৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার ঋণ-অনুদান দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা।
গতকাল সোমবার নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং এ সম্পর্কিত চুক্তিতে সই করেন।
খুলনা শহরের সুবিধাবঞ্চিত বাসিন্দাদের জন্য পানি সরবরাহ পরিষেবা সম্প্রসারণ এবং শুষ্ক মৌসুমে টেকসই পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ভূগর্ভস্থ পানির লবণাক্ততা মোকাবিলায় ঋণ দেবে এডিবি। ঋণের পরিমাণ ১৫ কোটি ডলার। ঋণের পাশাপাশি এই প্রকল্পে ৪ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবে সংস্থাটি।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, প্রকল্পটি জলবায়ু-সহনশীল এবং টেকসই সমাধান প্রবর্তনের মাধ্যমে খুলনা শহরের ভূ-পৃষ্ঠের পানির রূপান্তরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রকল্পটি ১৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন মানুষকে নির্ভরযোগ্য, নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ করবে, বিদ্যমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন করবে। খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) ২০৫০ সাল পর্যন্ত চাহিদা মেটাতে পরিকল্পিত একটি সিস্টেমের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়গুলোতে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি পরিষেবা সম্প্রসারণ করবে।
তিনি বলেন, শুষ্ক মৌসুমে উৎসের পানির লবণাক্ততা মোকাবিলায় প্রকল্পটি জলবায়ু-সহনশীল এবং টেকসই সমাধান প্রবর্তন করবে। মূল উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে স্মার্ট পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা গ্রহণ, তত্ত্বাবধান নিয়ন্ত্রণ এবং ডেটা অর্জন সিস্টেমের সম্প্রসারণ। খুলনা শহরের সুবিধাবঞ্চিত বাসিন্দাদের জন্য পানি সরবরাহ পরিষেবা সম্প্রসারণ এবং শুষ্ক মৌসুমে টেকসই পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ভূগর্ভস্থ পানির লবণাক্ততা মোকাবিলায় এই ঋণের অর্থ ব্যবহার করা হবে। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বিদ্যুৎ বিতরণ নেটওয়ার্কের মান, দক্ষতা, নির্ভরযোগ্যতা এবং টেকসইয়ের জন্য ৯ কোটি ১ লাখ ডলার দেবে এডিবি।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, বিদ্যুৎ বিতরণ নেটওয়ার্কে উন্নত স্মার্ট প্রযুক্তির একীভূতকরণের মাধ্যমে টেকসই ও ডিজিটাল রূপান্তর পরিচালনা করা হবে। প্রকল্পটি এই অঞ্চলের মানুষের উপকারে আসবে। এটি জলবায়ু-সহনশীল অবকাঠামোকে শক্তিশালী করবে, গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ-সুবিধা এবং জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সৌর ব্যাকআপ সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে দুর্যোগ প্রস্তুতি বৃদ্ধি করবে। দুর্বল সম্প্রদায়ের জন্য বিদ্যুৎভিত্তিক জীবিকার সুযোগ তৈরি করবে-বিশেষ করে প্রত্যন্ত নদীতীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী নারী এবং প্রান্তিক মানুষের জন্য। এই উদ্যোগ সুবিধাবঞ্চিত উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের ক্ষমতায়নের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে আঞ্চলিক বৈষম্যগুলোও মোকাবিলা করবে।
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা সম্প্রদায় ও স্থানীয়দের সহায়তা করার জন্য এডিবি ৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার অনুদান দেবে এডিবি।
এ বিষয়ে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষ এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের স্থিতিশীলতা এবং জীবিকার সুযোগ জোরদার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। একই সঙ্গে ক্যাম্পের বাসিন্দা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি করতে পেরেও আমরা খুশি। এই নতুন সহায়তা জরুরি সহায়তা প্রকল্পের অধীনে আমাদের পূর্ববর্তী সহায়তা এবং এর অতিরিক্ত অর্থায়নের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। ২০১৮ সাল থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি এবং স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়ের উপকারের জন্য এই অনুদন ব্যবহার করা হবে।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তি জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে গৃহীত ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম (FICGS)-এ অংশ নিতে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি; বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে একটি অংশীদারত্বমূলক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে ক্ষুদ্র আমানতধারী যেমন ১০/৫০/১০০ টাকার অ্যাকাউন্ট হোল্ডার, প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষক, স্বল্প আয়ের পেশাজীবী, স্কুল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টধারী শিক্ষার্থী, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীরা সহজে ঋণ সুবিধা পাবেন। প্রথাগত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় জামানতের ঘাটতিজনিত কারণে যারা এতদিন ঋণ নিতে সমস্যায় পড়তেন, এ স্কিম তাদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কম ঝুঁকিতে ঋণ দিতে পারবে, কারণ যোগ্য ঋণের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্যারান্টি দেবে। এতে দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।
আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনের কনফারেন্স রুমে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি ডিপার্টমেন্ট এর নির্বাহী পরিচালক মো. শওকাতুল আলম এর উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমইএসপিডি বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ নাজমুল হক ও কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) কিমিয়া সাআদত নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর ও বিনিময় করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি ডিপার্টমেন্টর অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ ইমাম হোসেন; অতিরিক্ত পরিচালক জোবায়দা আফরোজ; কমিউনিটি ব্যাংকের হেড অব কর্পোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মোঃ আরিফুল ইসলাম; হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডি’স কো-অর্ডিনেশন টিম মো: মামুন উর রহমান; হেড অব এসএমই অ্যান্ড এগ্রিকালচার শরিফ হাসান মামুনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ব্ধতন কর্মকর্তারা।
মাঠ পর্যায়ের সম্পৃক্ততা বাড়াতে এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করতে নীলফামারী অঞ্চলের জন্য এজেন্ট মিট ২০২৫ আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে অংশ নিয়েছে নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার এজেন্ট ব্যাংকিং পার্টনাররা। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিকাশে ব্যাংকের এই ধারাবাহিক উদ্যোগ এজেন্ট ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের মতবিনিময়ের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের (এফআইডি) পরিচালক মো. ইকবাল মহসীন এবং যুগ্ন-পরিচালক পিনাকী রঞ্জন সরকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব অল্টারনেট ব্যাংকিং চ্যানেলস নাজমুর রহিম, হেড অব এজেন্ট ব্যাংকিং মো. নাজমুল হাসান, আঞ্চলিক প্রধান, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, এসএমই ব্যাংকিং প্রতিনিধিসহ ব্যাংকটির এজেন্ট ব্যাংকিং টিমের অন্যান্য সদস্যরা।
দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে মতবিনিময়, এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের হালনাগাদ তথ্য, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নির্ধারণ এবং মাঠ পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মকর্তারা এজেন্টদের বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন, যাতে তাঁরা দেশের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য আর্থিক সেবার পরিসর আরও বিস্তৃত করতে উদ্বুদ্ধ হন। অনুষ্ঠানে প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে অসামান্য অবদান রাখা সেরা পারফর্মিং এজেন্টদের ডায়মন্ড, প্লাটিনাম ও গোল্ড ক্যাটাগরিতে স্বীকৃতি ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আয়োজনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব অল্টারনেট ব্যাংকিং চ্যানেলস নাজমুর রহিম বলেন, “শহরকেন্দ্রিক প্রচলিত ব্যাংকিং সেবার বাইরে গিয়ে দেশের প্রতিটি প্রান্তিক অঞ্চলে আর্থিক সেবা পৌঁছে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজেন্ট মিটের মতো এমন উদ্যোগের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক সবার জন্য প্রযুক্তিনির্ভর ও গ্রাহককেন্দ্রিক আর্থিক সেবা নিশ্চিতের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছে।”
ব্যাংকের প্রযুক্তি সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ, সুরক্ষিত ও সুবিধাজনক ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা খুব সহজেই অ্যাকাউন্ট খোলা, টাকা জমা দেওয়া, লোন নেওয়া ও রেমিটেন্সের টাকা উত্তোলন করতে পারছেন।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ১০০টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
“গ্রাহকের আস্থায়, উন্নয়নের পথচলায়” এই শ্লোগানে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেডের শাখা নতুন ঠিকানায় যাত্রা শুরু করেছে। জুমাইরাহ ফেয়ারমন্ট ট্রেড সেন্টারে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সুমন্ত কুমার সাহা। প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মকবুল হোসেন। ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক এ.কে.এম রিয়াজুল বাহারের সার্বিক নির্দেশনায় অনুষ্ঠিত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন।
কানাডিয়ান ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে “তরুণদের জন্য আর্থিক স্বাক্ষরতা” ব্যানারে এক সেমিনারের আয়োজন করে পদ্মা ব্যাংক পিএলসি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী পদ্মা ব্যাংক ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছে, যা দেশের তরুণ সমাজের মাঝে আর্থিক সচেতনতা গড়ে তোলার ব্যাপারে ব্যাংকের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে সাইবার সিকিউরিটি ও নকল নোট সনাক্তকরণ সহ নানান গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক খুটিনাটি বিষয় সম্পর্কে অবগত করা হয় সেমিনারে। তাছাড়া অর্থ ব্যবস্থাপনা, বাজেট তৈরী, সঞ্চয়, বিনিয়োগ এবং ঋণ পরিশোধের মতো সিদ্ধান্তগুলো সঠিকভাবে নিতে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে সহযোগীতা করাই ছিল এই সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য।
রোববার ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানির প্রগতি সরণীতে কানাডিয়ান ইউনির্ভাসিটির অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় সেমিনার। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পদ্মা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোঃ তালহা (চলতি দায়িত্বে)। বিশেষ অতিথি হিসেবে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কানাডিয়ান ইউনির্ভাসিটির ভিসি অধ্যাপক ড. এইচএম জহিরুল হক। এছাড়াও মীর শফিকুল ইসলাম সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং ও কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স এন্ড কমিউনিকেশন ডিভিশন-সহ দুই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর শতভাগ ডিজিটালাইজড হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান। তিনি সবাইকে প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে থাকার আহ্বান জানান। গত শনিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর নেভী কনভেনশনে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ) এর উদ্যোগে প্রথমবারের মতো উদযাপিত বিশ্ব নৌদিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘দেশের মানুষ অনেক আগে থেকেই নদীকেন্দ্রিক বাণিজ্যে জড়িত।
সবাই মিলে দেশের মেরিটাইম সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াৎ হোসেনের সঞ্চালনায় নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহামুদুর মালেক প্রেরিত ভিডিও বার্তাও অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা হয়।
বিশ্ব নৌদিবস উদযাপন উপলক্ষে মেরিটাইম সেক্টরে সাহসী ভূমিকা এবং বিশেষ অবদানের জন্য দুটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। (ব্রেভারি অ্যাওয়ার্ড) পান সংগঠনের সদস্য ক্যাপ্টেন আমির মো. আবু সুফিয়ান, ক্যাপ্টেন মো. জহিরুল ইসলাম এবং ক্যাপ্টেন মো. ফারহান উল্লাহ আনসারি।
এছাড়া মেরিটাইম সেক্টরে এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড (এ্যক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড)-এ ভূষিত হন সংগঠনের অপর দুইজন সদস্য ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন আব্দুল কাদির এবং নৌপ্রকৌশলী মো. গোলাম সরওয়ার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইকেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমজাদ হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক কামরুল ইসলাম মজুমদার, পোর্টসার্ভ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাবেক পরিচালনা পর্ষদ সদস্য খায়রুল আলম সুজন, বিএমএমওএ এর সদস্যবৃন্দ, মেরিটাইম সেক্টরের অন্যান্য অংশীজন এবং নাবিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ। সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী এর সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব সমাপ্ত হওয়ার পর একক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ) বাংলাদেশি নাবিকদের প্রতিনিধিত্বকারী ট্রেড ইউনিয়ন এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এর অধিভুক্ত।
ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবির) নবনির্বাচিত কাউন্সিল সদস্য এম নূরুল আলম, এফসিএস-কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি। তিনি প্রিমিয়ার ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান।
এ উপলক্ষে প্রিমিয়ার ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানান ব্যাংকের চেয়ারম্যান ডাঃ আরিফুর রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. ফোরকান হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আবু জাফর, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার সৈয়দ আবুল হাশেম, এফসিএ, এফসিএমএ এবং ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে এম নূরুল আলমকে আন্তরিক অভিনন্দন জানানো হয় এবং আইসিএসবির উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে তার সফল নেতৃত্বের জন্য অগ্রিম শুভকামনা জানানো হয়।
রাজশাহীতে ট্রাফিক মামলার জরিমানা আদায় আরও সহজ ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে রাজশাহী জেলা পুলিশ এবং কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি জনাব মোহাম্মদ শাহজাহান, পিপিএম (বার), পিএইচডি এর উপস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর শেষে বিনিময় করেন রাজশাহী জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার জনাব ফারজানা ইসলাম এবং কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত।
এখন থেকে নগদ অর্থের পাশাপাশি কমিউনিটি ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং বিকাশের মাধ্যমে জরিমানা প্রদান করা যাবে। এতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আরও গতিশীল হবে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম; হেড অব কার্ড জনাব জাহির আহমেদ; হেড অব এডিসি ও হেড অব এমডি’স কো-অর্ডিনেশন টিম জনাব মোঃ মামুন উর রহমান; রাজশাহী মালোপাড়া উপশাখার ইনচার্জ জনাব আব্দুল আজিজসহ উর্ব্ধতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য