দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছে বিশেষ অফার। এখন গ্রাহকেরা প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রিপশনে পাচ্ছেন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। পাশাপাশি প্যান্ডাপ্রো ব্যবহারকারীরা খাবার অর্ডারে সর্বোচ্চ ১৭৫ টাকা পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
এই সুবিধা দিতে ফুডপ্যান্ডা চালু করেছে দুটি বিশেষ ক্যাম্পেইন– ‘প্যান্ডাপ্রো ফ্ল্যাশ সেল’ এবং ‘ডিলনাও’।
সেপ্টেম্বর ৯ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রিপশনে থাকছে অর্ধেক দামের অফার। এ সময়ে এক বছরের সাবস্ক্রিপশন পাওয়া যাবে মাত্র ২৯৯ টাকায় এবং ছয় মাসের সাবস্ক্রিপশন মাত্র ২৪৯ টাকায়। প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রাইবাররা নির্দিষ্ট মূল্যসীমার উপর অর্ডারে ফ্রি ডেলিভারি, খাবার ও গ্রোসারি অর্ডারে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। পাশাপাশি ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ‘ডিলনাও’ ক্যাম্পেইনে খাবার অর্ডারে মূল্যছাড় ১২৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৭৫ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে।
এছাড়া, ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে প্যান্ডাপ্রো সাবস্ক্রাইবার নন এমন গ্রাহকরাও নির্দিষ্ট রেস্টুরেন্টের নির্দিষ্ট খাবার অর্ডারে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
প্যান্ডাপ্রো ফুডপ্যান্ডার সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক একটি প্রোগ্রাম। যার মাধ্যমে গ্রাহকেরা ফ্রি ডেলিভারি, এক্সক্লুসিভ অফার ও বিভিন্ন ক্যাম্পেইনে বিশেষ ছাড় উপভোগ করতে পারেন।
ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের মার্কেটিং ডিরেক্টর প্রাসুন জাদোন বলেন, “আমরা চাই আরও বেশি গ্রাহক যেন ফুডপ্যান্ডা থেকে সাশ্রয় করতে পারেন। তাই তাদের প্রতিদিনের অর্ডারে বৈচিত্র্য আনার ও সাশ্রয় দেওয়ার লক্ষ্যেই এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
ফুডপ্যান্ডা সম্পর্কে:
ফুডপ্যান্ডা এশিয়া প্যাসিফিকের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম। সুবিধামতো ও দ্রুততম সময়ে গ্রাহকদের কাছে খাবার, গ্রোসারি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ অন্যান্য জিনিস পৌঁছে দিতে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে ফুডপ্যান্ডা। অভিনব প্রযুক্তি ও সুদক্ষ পরিচালনার সমন্বয় এবং রিটেইল পার্টনারদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কুইক-কমার্সে (কিউ-কমার্স) নেতৃত্ব দিচ্ছে ফুডপ্যান্ডা। খাবার ডেলিভারি দেয়ার লক্ষাধিক অপশন ছাড়াও অন-ডিমান্ড পণ্য ডেলিভারি সুবিধা প্রদানে রয়েছে প্যান্ডামার্ট ক্লাউড স্টোর। সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, বাংলাদেশ, লাওস, কম্বোডিয়া এবং মায়ানমার- এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ১০টি বাজারে ফুডপ্যান্ডার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ফুড ডেলিভারি ইন্ডাস্ট্রিতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ডেলিভারি হিরো’র একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ফুডপ্যান্ডা।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: www.foodpanda.com
মিডিয়া যোগাযোগ- আফিফা সুলতানা, লিড, পাবলিক রিলেশনস, ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ, মোবাইল- ০১৭৯৯৯৮৭৫৩৬।
টানা দ্বিতীয়বারের মতো সুপারব্র্যান্ডস ‘বেস্ট টিভি ব্র্যান্ড’ পুরস্কার পেয়েছে স্যামসাং টিভি। টেলিভিশন তৈরিতে ধারাবাহিক উৎকর্ষের জন্য ব্র্যান্ডটিকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আজ রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক গালা ইভেন্টে এ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সৃষ্টিশীল ভাবনার সমন্বয়ে টেলিভিশন তৈরির অভিজ্ঞতার কারণে বাংলাদেশের গ্রাহকদের কাছে বর্তমানে স্যামসাং টিভি রয়েছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। গ্রাহক জনপ্রিয়তার কারণেই টানা ১৯ বছর ধরে বৈশ্বিক টিভি বাজারে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে স্যামসাং। এই জনপ্রিয়তা ও সাফল্যের ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো সুপারব্র্যান্ডসের ‘বেস্ট টিভি ব্র্যান্ড’ স্বীকৃতি লাভ করেছে ব্র্যান্ডটি।
দুর্দান্ত ইমেজ, অধিকতর উজ্জ্বল ডিসপ্লে ও সিনেমা-গ্রেড নিখুঁত রঙের সমন্বয়ের কারণে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত স্যামসাংয়ের টিভি। ব্র্যান্ডটির নতুন ভিশন এআই প্রযুক্তি স্মার্ট টিভির অভিজ্ঞতায় এনেছে আমূল পরিবর্তন। সিনেমা, খেলা দেখা বা গেমিং, যেকোন কনটেন্ট এখন আরও প্রাণবন্ত ও বাস্তবসম্মতভাবে উপস্থাপন করছে স্যামসাং টিভি।
শুরু থেকেই ব্র্যান্ডের ইমেজ ধরে রেখে ক্রেতাদের হৃদয় জিতে নেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছে স্যামসাং। এর স্বীকৃতি হিসেবে ২০২৩ সালে প্রথমবার সুপারব্র্যান্ডস থেকে ‘বেস্ট টিভি ব্র্যান্ড’ পুরস্কার লাভ করে। টানা দ্বিতীয়বারের মতো সুপারব্র্যান্ডস’র এ স্বীকৃতি স্যামসাংয়ের অর্জনে আরও একটি পালক হিসেবে যুক্ত হলো।
এ বিষয়ে স্যামসাং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকসের ডিরেক্টর ও হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর বলেন, “এই খাতে শীর্ষ টিভি ব্র্যান্ড হিসেবে স্যামসাং এর এ ধারাবাহিক অর্জনে আমরা গর্বিত। পরপর দুইবার সুপারব্র্যান্ডসের ‘বেস্ট টিভি ব্র্যান্ড’ স্বীকৃতি আমাদের জন্য বিশেষ গর্বের, কেননা এই স্বীকৃতি বাজারে আমাদের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করবে। একইসাথে, এ স্বীকৃতি ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের আশ্বস্ত করেছে যে তারা সেরা ব্র্যান্ডই বেছে নিচ্ছেন। আমরা এই অর্জন যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে বাজারে আমাদের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
উল্লেখ্য, ব্র্যান্ড মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান সুপারব্র্যান্ডস বিশ্বব্যাপী ৯০টি দেশে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৯৪ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে ব্র্যান্ড সাফল্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছে সুপারব্র্যান্ডস। বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের বিশেষজ্ঞ ও স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে গঠিত প্যানেল (যেটা ব্র্যান্ড কাউন্সিল নামে পরিচিত) জটিল যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সুপারব্র্যান্ডগুলোকে নির্বাচিত করে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গালা ইভেন্টে পরের দুই বছরের জন্য সুপারব্র্যান্ডসের প্রকাশনা উন্মোচন করা হয়। প্রতিটি সুপারব্র্যান্ডের সাফল্যের গল্প জায়গা পায় সুপারব্র্যান্ডসের এই বিশেষ প্রকাশনায়, যা বিজ্ঞাপন, মার্কেটিং, ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ও মিডিয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য একটি বহুল আকাঙ্ক্ষিত বই।
দেশের ৪৯টি শীর্ষস্থানীয় ও আস্থাভাজন ব্র্যান্ডকে সম্মাননা জানিয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশ ২০২৫–২৬ এর গালা আয়োজন। সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই দ্বিবার্ষিক আয়োজনে দেশের কর্পোরেট অঙ্গনের শীর্ষ নির্বাহী, ব্যবসায়িক প্রতিনিধি ও শিল্পপতিদের উপস্থিতিতে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত মর্যাদাপূর্ণ এই সম্মাননাটি প্রদান করা হয়। এ সময় সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশে ২০২৫-২৬ শীর্ষক প্রকাশনাটির প্রচ্ছদও উন্মোচন করা হয়।
সুপারব্র্যান্ডস ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাধীন ব্র্যান্ড মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান। একটি ব্র্যান্ড তখনই সুপারব্র্যান্ড হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে যখন ব্র্যান্ডটি বিশেষত খাতে সর্বোচ্চ সুনাম অর্জন করে এবং ভোক্তাদের কাছে আলাদা আস্থা তৈরি করে। সুপারব্র্যান্ডস মর্যাদা বাজারে একটি ব্র্যান্ডের অবস্থান শক্তিশালী করে এবং নেতৃত্বের স্বীকৃতি নিশ্চিত করে।
সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশ ২০২৫–২৬ নির্বাচনের কাজ করেছে একটি বিশেষত ব্র্যান্ড কাউন্সিল। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এই কাউন্সিল প্রতিটি ব্র্যান্ডকে ২০ নম্বরের স্কেলে মূল্যায়ন করেছে। মানদণ্ড ছিল—ব্র্যান্ডের ঐতিহ্য, ক্যাটেগরি প্রাসঙ্গিকতা, গুণগত মান, কার্যকারিতা সম্পর্কে ভোক্তার আস্থা, এবং ভোক্তার মনে উপস্থিতি (টপ অব মাইন্ড এওয়্যারনেস)। সর্বোচ্চ স্কোর পাওয়া ব্র্যান্ডগুলোই সুপারব্র্যান্ডস মর্যাদা অর্জন করেছে।
গালা অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশনস কোম্পানি বাংলাদেশ (প্রা:) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ বিন তাজ নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন: “বাংলাদেশে সুপারব্র্যান্ডস নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত কঠোর মানদণ্ড মেনে সম্পন্ন হয়েছে। একাধিক ধাপে মূল্যায়নের মাধ্যমে কেবল সেইসব ব্র্যান্ডকেই নির্বাচন করা হয়েছে, যারা ধারাবাহিকতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও প্রাসঙ্গিকতায় নিজেদের আলাদাভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে। তারাই শেষ পর্যন্ত সুপারব্র্যান্ডস মর্যাদা অর্জন করেছে।”
স্বাগত বক্তব্যে সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন “সুপারব্র্যান্ড হলো এমন একটি স্বীকৃতি যেটির প্রতি মানুষ আস্থা রাখে, শ্রদ্ধা করে এবং গর্ব অনুভব করে। এই ব্র্যান্ডগুলো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে আস্থা অর্জন করেছে এবং মূল্যবোধের মাধ্যমে নিজেদের আলাদা করেছে। আজকের এই আয়োজনে আমরা সেইসব ব্র্যান্ডকে সম্মান জানাচ্ছি, যারা এই আস্থা অর্জন করেছে এবং শিল্পে নতুন মানদণ্ড তৈরি করছে।”
আসন্ন সুপারব্র্যান্ডস বইতে প্রতিটি স্বীকৃত ব্র্যান্ডের ইতিহাস, যাত্রা ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হবে। বইটি বিজ্ঞাপন, বিপণন, ব্র্যান্ড ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা ও গণমাধ্যমের পেশাজীবীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স।
বিশ্বব্যাপী ১৯৯৪ সাল থেকে সুপারব্র্যান্ডস ৯০টি দেশে প্রায় ৪৫,২২১টি ব্র্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ৬৪৫টিরও বেশি বই প্রকাশ করেছে। এযাবতকালীন ৫টি আয়োজনে বাংলাদেশেও সুপারব্র্যান্ডস এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে, যেখানে এমন ব্র্যান্ডগুলোকে সম্মান জানানো হয় যারা আস্থা, গুণমান ও স্বকীয়তার প্রতীক।
ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স শিল্পে অনবদ্য সাফল্যের জন্য টানা তৃতীয়বার আন্তর্জাতিক সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করলো টেক জায়ান্ট ওয়ালটন। ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে দীর্ঘ সময় ধরে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা প্রদান করে গ্রাহকদের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জনের মাধ্যমে শীর্ষ অবস্থান বজায় থাকায় এ স্বীকৃতি পেলো ওয়ালটন। লন্ডনভিত্তিক বিশ্বখ্যাত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান সুপারব্র্যান্ডস ওয়ার্ল্ডওয়াইডের প্রতিনিধি সংস্থা ‘সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশ’ ২০২৫-২৬ সালের জন্য ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স ক্যাটাগরিতে ওয়ালটনকে এ স্বীকৃতি দিয়েছে।
এই নিয়ে টানা তিনবার ছয় বছরের জন্য মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ডস এর সম্মাননা পেয়েছে বাংলাদেশী একমাত্র গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এর আগের শেষ দুইটি আয়োজনে ২০২০-২১ এবং ২০২৩-২৪ সালের জন্যও সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশ স্বীকৃতি পেয়েছিলো ওয়ালটন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশ ২০২৫-২৬ গালা ইভেন্টে ওয়ালটনকে এ সম্মাননা দেয়া হয়। সুপারব্র্যান্ডসের ট্রফি ও সনদ গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম।
সেসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মফিজুর রহমান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং বিজনেস কো-অর্ডিনেটর তানভীর আঞ্জুম এবং চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ।
‘সুপারব্র্যান্ডস’ যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যারা বিশ্বের ৯০টিরও বেশি দেশে শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোকে তাদের আস্থা, গ্রহণযোগ্যতা ও উৎকর্ষের ভিত্তিতে সম্মাননা প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশে এ পুরস্কার দেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও সম্মানজনক ব্র্যান্ডগুলোকে প্রদান করা হয়।
দেশের সেরা ভোজ্যতেলের ব্র্যান্ড রূপচাঁদা আবারও সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড এর সম্মাননা পেল। এটি রূপচাঁদার পঞ্চম ধারাবাহিক স্বীকৃতি। এই অর্জন রূপচাঁদার দীর্ঘদিনের সুনাম, ভোক্তার আস্থা এবং ভোজ্যতেল শিল্পে নেতৃত্বের প্রমাণ বহন করে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫- এ রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রূপচাঁদা-সহ অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোকে সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এই অর্জন রূপচাঁদার প্রতি ভোক্তাগণের আস্থা এবং গুণগত মান ধরে রাখার প্রতিশ্রুতিকে আরও একবার প্রমাণ করল।
দীর্ঘদিন ধরে রূপচাঁদা শুধু ভোজ্যতেল নয়, বরং এক নির্ভরযোগ্য নাম হয়ে আছে দেশের লাখো পরিবারের কাছে। ভোক্তাদের আস্থা ও ভালোবাসার কারণেই ধারাবাহিকভাবে সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে আসছে ব্র্যান্ডটি।
এই সাফল্য আবারও প্রমাণ করে, দেশের সবচেয়ে আইকনিক ভোজ্যতেলের ব্র্যান্ড হিসেবে রূপচাঁদার অবস্থান অটল। ভোক্তার আস্থা ও ভালোবাসা নিয়েই রূপচাঁদা এগিয়ে চলেছে আর নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে “স্বাস্থ্যকর প্রতিটি ফোঁটা।”
আবারও বাড়তে পারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম। বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ভোজ্যতেলের দাম লিটারে আরও ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, কোম্পানিগুলো তেলের দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটা অনেক বেশি।
বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আজ রোববার এ বিষয়ে বৈঠক ডেকেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এদিন বিকেল ৩টায় এ বৈঠক হতে পারে বলে এক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সরকার মনে করে প্রতি লিটারে ১০ টাকা বাড়ানো আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। ব্যবসায়ীদের এই প্রস্তাব সরকারের পক্ষ থেকে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সাধারণত এ ধরনের পর্যালোচনাগুলো করে থাকে। পর্যালোচনা শেষে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।
জানা গেছে, দেশের ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এ দফায় সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছে সেটা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। এটা আমরা পর্যালোচনা করছি, তারপর তাদের সঙ্গে সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১,২০০ ডলার ছুঁয়েছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে ১৮-২০ শতাংশের মতো তেলের দাম বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে পাম অয়েলেরও। যে কারণে এই দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মালয়েশিয়ার ভ্যাভ প্রোডাকশনস এসডিএন বিডি এবং বাংলাদেশের ব্রেভ হর্স ভেঞ্চারস লিমিটেড একটি গুরুত্বপূর্ণ যৌথ উদ্যোগ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই সহযোগিতার মাধ্যমে অ্যানিমেশন, সৃজনশীল কনটেন্ট প্রযোজনা ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে একসাথে কাজ করবে দুই প্রতিষ্ঠান। গত শুক্রবার দ্য ওয়েস্টিন ঢাকায় স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয় ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার মোহদ সুহাদা বিন উসমান। দুই দেশের কর্পোরেট, সরকারি ও শিক্ষা খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
ভ্যাভ প্রোডাকশনস সঙ্গীত, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও প্রতিভা বিকাশে দক্ষ, আর ব্রেভ হর্স ভেঞ্চারস অ্যানিমেশন, এআই ও ফিনটেক সমাধানে বিশেষজ্ঞ। যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠান আঞ্চলিক সংস্কৃতিকে বিশ্ববাজারে তুলে ধরতে এবং নতুন বাজার উন্মোচনে কাজ করবে। ভ্যাভ প্রোডাকশনসের পরিচালক আন্দ্রেয়া লাউ লি লিং বলেন, ‘এই অংশীদারিত্ব শুধু দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নয়, বরং মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের সৃজনশীল শিল্পের মধ্যে একটি সেতু।’
ব্রেভ হর্স ভর্স ভেঞ্চারসের চেয়ারম্যান এমডি জাহাঙ্গীর মিয়া যোগ করেন, ‘আমরা প্রযুক্তি ও সৃজনশীলতাকে একত্রিত করে বিশ্বমানের কনটেন্ট তৈরি করব।’ এই উদ্যোগ মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের সৃজনশীল খাতে নতুন যুগের সূচনা করবে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (ডিআইএস) আজ শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে রূপায়ণ সিটি উত্তরায় গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান ২০২৫ আয়োজন করে। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক যাত্রার গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সমাপ্তি এবং একই সাথে নতুন জীবনের সূচনাকে কেন্দ্র করে এ আয়োজন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খাঁন, রূপায়ণ গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান মাহির আলী খান রাতুল , ড্যাফোডিল গ্রুপের সিওও - ড. ইমরান হোসেন, ডেপুটি ডিরেক্টর, ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমুনিকেশন - সামিহা খান, ডি আই এস এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ- শাহানা খান, অধ্যক্ষ, নাজাহ সালাওয়াত এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে পদ অলংকৃত করার জন্য উপস্থিত ছিলেন— জনাব ম্যাক্সিম রাইম্যান, কান্ট্রি এক্সাম ডিরেক্টর, ব্রিটিশ কাউন্সিল, (ঢাকা, বাংলাদেশ), জনাব শাহীন রেজা- কান্ট্রি ডিরেক্টর, অক্সফোর্ড এ-কিউ-এ, (বাংলাদেশ এবং নেপাল), সারওয়াত মাসুদা রেজা- কান্ট্রি লিড (বাংলাদেশ), ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট। আরও উপস্থিত ছিলেন মাহবুবুর রহমান, সিইও রূপায়ণ সিটি এবং অন্যান্য সম্মানিত অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের কর্মসূচির মধ্যে ছিল আনুষ্ঠানিক বক্তব্য, শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের চিন্তাধারা উপস্হাপন এবং এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার সনদ প্রদান। ডিআইএস উত্তরা ক্যাম্পাসের প্রিন্সিপাল নাজাহ্ সালাওয়াতের ভাষ্যমতে,
“গ্র্যাজুয়েশন শুধুমাত্র শিক্ষাজীবনের একটি ধাপ নয়; এটি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার প্রস্তুুতি এবং বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এ মুহূর্ত শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের জন্য গৌরবময়, যা দীর্ঘ পরিশ্রম, দিকনির্দেশনা ও ভবিষ্যতের আলোকিত সম্ভাবনার প্রতীক।”
শিক্ষাগত উৎকর্ষ ও নৈতিক মূল্যবোধ বিকাশে দীর্ঘদিনের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্রতিবছরের মতো এ বছরও গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানকে অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ও বহুল প্রতীক্ষিত আয়োজনে পরিণত করেছে। রূপায়ণ সিটি উত্তরার মনোরম পরিবেশ এ অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এই অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জীবনে এক স্মরণীয় মাইলফলক হয়ে থাকবে এবং অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতিফলন ঘটাবে। শিক্ষার্থীরা নতুন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার পথে যাত্রা শুরু করবে এ বিশেষ দিনটিকে সারথী করে।
মন্তব্য