বিয়েসহ অন্যান্য বেশ কিছু অনুষ্ঠানের জন্য অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইন থাকলেও তার প্রয়োগ না হওয়ায় প্রতিনিয়ত কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
অন্যদিকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ সাধারণ মানুষের অনেকেই আইনটি সম্পর্কে জানেন না।
১৯৮৪ সালের অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, দেশের যেকোনো সেন্টারে বিয়ে, জন্মদিন, আকিকা বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান করতে হলে অনুমতি নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে অতিথি ১০০ বা তার কম হলে সরকারকে কোনো ধরনের রাজস্ব দিতে হয় না। এর বেশি হলেই জনপ্রতি ২৫ টাকা হারে রাজস্ব দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু প্রয়োগের অভাবে কেউই মানছে না এই আইন।
শুধু তাই নয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতিও নিতে দেখা যায় না।
জানতে চাইলে ফেনী পৌরসভার প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মোহাম্মদ আবুজর গিফরী নিজেই তেমন কিছু জানেন না বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘রাজস্ব দেওয়া তো দূরের কথা, গত ১৫ বছরে কেউ অনুমতির জন্যই আসেনি। এ রকম আইন জেলা প্রশাসকের অফিসে থাকতে পারে। আমাদের আছে কি না, খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।’
ফেনীতে গত বছর ৯ হাজার ৮৫৩টি বিয়ে হয়। প্রতিটি বিয়ে অনুষ্ঠানে গড়ে তিন শতাধিক অতিথি অংশ নেন বলে জেলা শহরের বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার সংশ্লিষ্টরা জানান।
পারিবারিক, সামাজিক, অভিজাত রেস্তোরাঁ ও জেলার প্রায় অর্ধশতাধিক কমিউনিটি সেন্টারে বিয়েসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এ ছাড়াও শতাধিক অতিথি নিয়ে ঘরোয়া ও কমিউনিটি সেন্টার বা কনভেনশন হলে আয়োজন হয়ে থাকে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক অনেক অনুষ্ঠান।
ফেনী সদর কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাঈদ খান বলেন, ‘আমরা নিয়মিত সরকারকে ভ্যাট দিয়ে থাকি। তবে অতিথির সংখ্যা ও করের বিষয়টি অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষ দেখবে।’
সম্প্রতি স্মৃতি কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, দুই পাশে দুটি বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে পাঁচ শতাধিক অতিথির আপ্যায়ন চলছে।
অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী কনের বাবার (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) কাছে অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ১০০ অতিথির বেশি হলে জনপ্রতি ২৫ টাকা করে রাজস্ব দেওয়ার বিধান রয়েছে জানালে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানান।
ফেনী গ্র্যান্ড সুলতান কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল বলেন, ‘প্রতিনিয়ত নানা রকম অনুষ্ঠান হলেও কাউকে রাজস্ব দিতে ও নিতে দেখিনি।’
ফেনী জেলার কোথাও অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োগ নেই। আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় সরকার প্রতি বছর বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে। তা ছাড়া আইনটি সম্পর্কে জনসচেতনতার অভাবে আপ্যায়নে অতিথির সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিযোগিতামূলকভাবে।
১৯৮৪ সালের ৩০ আগস্ট অতিথি আইন চালু করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সে সময় এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১০০ জনের অধিক অতিথি আপ্যায়ন করতে হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা প্রশাসন বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বা সিটি, পৌর প্রশাসকের লিখিত অনুমোদন নিতে হবে। ১০০ জনের অতিরিক্ত প্রতি জনের জন্য ২৫ টাকা হারে আপ্যায়ন ফি জমা দিতে হবে।
এ আইন অমান্যকারীকে অতিরিক্ত প্রত্যেক অতিথির জন্য ১০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।
আপ্যায়নকারী নির্ধারিত জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি অ্যাক্ট ১৯১৩-এর আওতায় সার্টিফিকেট মামলা করার বিধান রয়েছে।
এ ছাড়াও আইন অমান্যকারীর কাছে থেকে শাস্তিমূলক মাশুল আদায় এবং আইনের প্রয়োগের জন্য খাদ্য অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর নিযুক্ত ক্ষমতা সব গেজেটেড কর্মকর্তার মতো দেওয়া হয়।
এরপর ২০০২ সালের ৮ এপ্রিল এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিয়ে, ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে ১৫০ জন পর্যন্ত অতিথি বিনা মাশুলে আপ্যায়ন করা যাবে। ১৫১ জন থেকে এক হাজার জন পর্যন্ত মাথাপিছু ২০ টাকা ও তদূর্ধ্ব ক্ষেত্রে মাথাপিছু ১০ টাকা হারে মাশুল ধার্য করা হয়েছে। এ আদেশ অমান্যকারীকে দ্বিগুণ হারে জরিমানা করা হবে বলে আইনে বলা হয়।
এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে উল্লিখিত বিভাগগুলোর প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিটি থাকবে। তবে ওরশ, ধর্মসভা, চেহলাম ও শ্রাদ্ধের ক্ষেত্রে এ আদেশ কার্যকর হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আইনটি থাকলেও তার কার্যকারিতা বা প্রয়োগ নেই। আমরা শিগগিরই আইনটি পড়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক এনেছে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড রিভো। অত্যাধুনিক ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার সম্পূর্ণ গ্রাফিন ব্যাটারি পরিচালিত এই ইলেকট্রিক বাইকের উদ্বোধন ঘোষণা করেন রিভো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ভেন নি।
ফিচার
সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। বাইকটির ইকো মোডে গতি ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং একবার চার্জে এটি ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।
অন্যদিকে স্পোর্ট মোডে সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং এক চার্জে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।
সি৩২ ইলেকট্রিক বাইকে উন্নত ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার গ্রাফিন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পাঁচ শতাধিক চার্জিং সাইকেল সাপোর্ট করে এবং প্রতিটি পূর্ণ চার্জে মাত্র ২.০৮ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে।
ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে ১০.৬ ঘণ্টা সময় নেয়, যা রাতে চার্জ দিয়ে দিনব্যাপী ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।
নিরাপত্তা এবং আরামকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে রিভো সি৩২। এতে রয়েছে সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক সিস্টেম, যা সর্বোচ্চ স্টপিং পাওয়ার নিশ্চিত করে।
ফ্রন্ট ও রিয়ার হাইড্রোলিক সাসপেনশন থাকার ফলে রাইডাররা মসৃণ ও আরামদায়ক রাইড উপভোগ করতে পারেন। এমনকি অপ্রশস্ত বা অসমান রাস্তাতেও।
রাতে নিরাপদ যাত্রার জন্য সি৩২-এ রয়েছে পূর্ণ এলইডি লাইটিং সিস্টেম, যার মধ্যে এলইডি হেডলাইট, টেইললাইট এবং টার্ন সিগন্যাল অন্তর্ভুক্ত।
রিভো সি৩২ শুধু শক্তিশালী পারফরম্যান্সই দেয় না, এটি ডিজাইনেও বেশ কার্যকর। ১৪০ কেজি ওজনের মজবুত অথচ হালকা ফ্রেম এবং সামনে ও পিছনে ৯০/৮০-১২'' ভ্যাকুয়াম টায়ার যুক্ত বাইকটি দুর্দান্ত গ্রিপ এবং স্থিতিশীলতা প্রদান করে।
২০৫ এমএম পর্যন্ত গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স থাকায় এটি যেকোনো ধরনের রাস্তার জন্য উপযোগী। সিট বাকেটে ২৪ লিটার স্টোরেজ স্পেস রয়েছে, যা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র বহনের জন্য আদর্শ।
ব্যবহারকারীবান্ধব ডিজাইন এবং আরামের সমন্বয়ে এটি শহরের যাতায়াতকারী এবং দূরপাল্লার রাইডারদের জন্য একটি পারফেক্ট পছন্দ।
এখন থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যে বাংলাদেশের সব শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে।
সি৩২ যাতায়াতকে সহজ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব করতে উন্নত প্রযুক্তি, শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করছে, যা প্রতিদিনের যাত্রীদের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতন রাইডারদের জন্য আদর্শ হতে পারে।
আরও পড়ুন:আলু রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। এ স্থলবন্দর দিয়ে নতুন করে আরও ১০৫ টন আলু গিয়েছে নেপালে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ৫৫৪ টন আলু নেপালে রপ্তানি করা হলো।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ১০৫ টন আলু নেপালে গেছে।
তিনি জানান, আলুগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এগুলো রপ্তানি করছে থিংকস টু সাপ্লাই ও ফাস্ট ডেলিভারি নামে দুটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে থিংকস টু সাপ্লাই ৪২ ও ফাস্ট ডেলিভারি ৬৩ টন রপ্তানি করে। এ ছাড়াও বন্দরটি দিয়ে হুসেন এন্টারপ্রাইজ, ক্রসেস এগ্রো, সুফলা মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং লোয়েড বন্ড লজিস্টিক নামের কয়েকটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানও নেপালে আলু রপ্তানি করছে।
উজ্জ্বল হোসেন বলেন, রপ্তানিকারকরা প্রয়োজনীয় নথিসহ অনলাইনে আবেদন করলে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। রপ্তানিকৃত আলুগুলো স্টারিজ এবং লেডিও রোজেটা জাতের।
বাজারে নতুন আসা স্মার্টফোন ‘অপো এ৫ প্রো’ রেকর্ড গড়া পারফরম্যান্স করেছে বলে জানিয়েছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি অপো।
কোম্পানিটি শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগের জেনারেশনের ডিভাইসের তুলনায় নতুন স্মার্টফোনটি ৪৫০ শতাংশ বেশি বিক্রয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা বাংলাদেশের বাজারে অপোর ধারাবাহিক সফলতার নির্দেশক। তাৎপর্যপূর্ণ এ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের বাজারে অপোর ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি এবং ব্রান্ডটির প্রতি গ্রাহকদের গভীর আস্থা ও আনুগত্যের প্রতিফলন।
অপো প্রতিনিয়ত স্মার্টফোন প্রযুক্তির অভিনব উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানিটির ‘অপো এ৫ প্রো’ ডিভাইসের ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। ফোনটি নিত্যদিনের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণে ভোক্তাদের আধুনিক ও উন্নত সব ফিচার ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে।
কোম্পানির কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া
বিজ্ঞপ্তিতে অপো এ৫ প্রোর বিক্রয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা ও একাধিক গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছে অপো।
ডিভাইসটির প্রথম দিনের বিক্রয়ের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে অপো বাংলাদেশ অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘এ সফলতা অপোর প্রতি বাংলাদেশি গ্রাহকদের আস্থা ও আগ্রহের বিষয়টিই সফলভাবে চিত্রিত করছে। তাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো অভিনব পণ্য উদ্ভাবন ও সেবা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
একটি বেসরকারি প্রকৌশল কোম্পানিতে চাকরিরত তারেক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ অপোর নতুন ডিভাইস নিয়ে তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, ‘অপো এ৫ প্রোর ওয়াটারপ্রুফ, ডাস্টপ্রুফ এবং শকপ্রুফ ফিচার আমার সবচেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
‘আমি এ রকম একটি টেকসই ও সহনশীল স্মার্টফোনের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছিলাম এবং আমার অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। স্মার্টফোনটি কিনতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।’
আরেক গ্রাহক শারমিন আক্তার বলেন, “ঈদের আগে আমি একটি মোবাইল কেনার কথা ভাবছিলাম। এ ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের দারুণ ডিজাইন ও উন্নত ফিচারগুলো আমার অগ্রাধিকারে ছিল।
“আমার মতে, বাজারের একই ঘরনার ফোনগুলোর মধ্যে এ বিষয়গুলোতে ‘অপো এ৫ প্রো’ই সেরা। ফোনটি পছন্দ করতে পেরে মনে হচ্ছে আমি সঠিক মোবাইলটিই বেছে নিয়েছি।”
নতুন ডিভাইসের ফিচার
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অপো এ৫ প্রো’ বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন, যেটি আইপি৬৬, আইপি৬৮ এবং আইপি৬৯ রেটিং অর্জন করেছে। ডিভাইসটি পানি, ধুলা ও যেকোনো ধরনের শক থেকে সুরক্ষিত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোবাইলটির অনন্য স্থায়িত্ব।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মোবাইলটিতে সংযুক্ত আছে মিলিটারি গ্রেডের ইমপ্যাক্ট রেজিস্ট্যান্স প্রযুক্তি। পাশাপাশি ডিভাইসের মাদারবোর্ড থার্মাল কনডাকটিভিটি বৃদ্ধি করে এবং আগের জেনারেশনের স্মার্টফোনের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সক্ষমতা প্রদান করে। মোবাইলটি এক হাজার বেন্ডিং টেস্টও উতরে গেছে। অর্থাৎ প্রতিদিনের যেকোনো পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে এটি ব্যবহার উপযোগী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্মার্টফোনটি নান্দনিক ফটোগ্রাফির জন্য অনন্য। এতে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই সংবলিত উন্নত ফিচার। ডিভাইসটিতে এআই ইরেজার ২.০ ব্যবহার করে সহজেই ছবিতে থেকে অপ্রয়োজনীয় বস্তু মুছে ফেলা যায়। এআই রিফ্লেকশন রিমুভার ব্যবহার করে অযাচিত রিফ্লেকশন সরিয়ে দেওয়া যায়।
এ ছাড়া এআই আনব্লার ফিচার ব্লারি বা অস্পষ্ট ছবিকে আরও স্পষ্ট করে তুলতে সাহায্য করে।
দাম
অপো জানায়, দেশজুড়ে রিটেইল স্টোর এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্মার্টফোনটি ২৩ হাজার ৯৯০ টাকায় ৮জিবি+২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে।
বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে অপোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তান থেকে চালবোঝাই আরও দুটি জাহাজ।
এক দিনের ব্যবধানে দুটি জাহাজ বন্দরে পৌঁছায়।
এবার এসেছে ৪৮ হাজার ৭৫০ টন আতপ ও সিদ্ধ চাল। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আসে ২৬ হাজার ২৫০ টন এবং ভারত থেকে আসে ২২ হাজার ৫০০ টন চাল।
চট্টগ্রাম বন্দরের সাইলো জেটি ও কাফকো-সংলগ্ন জেটিতে এই দুই জাহাজ নোঙর করে বলে শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেন খাদ্য অধিদপ্তরের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা।
পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজটি শুক্রবার চট্টগ্রাম সাইলো জেটিতে বার্থিং করেছে জানিয়ে তিনি জানান, জাহাজ এমভি মারিয়ম গত ১১ মার্চ ২৬ হাজার ২৫০ টন আতপ চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে।
অন্যদিকে ১২ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে ভারতের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিম। জাহাজটি শুক্রবার কাফকো সংলগ্ন জেটিতে বার্থ করে।
এ জাহাজ থেকে ২২ হাজার ৫০০ টন বাসমতি নয় এমন সিদ্ধ চাল আনা হয়েছে।
পাকিস্তানের জাহাজ এমভি মারিয়মে আসা চালের নমুনা সংগ্রহ শেষে ভৌত বিশ্লেষণ সম্পন্ন হয়েছে মন্তব্য করে জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা জানান, এ চালের খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আসা জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিমের চালগুলোর নমুনা সংগ্রহ করা শেষ হয়েছে।
এর আগে বুধবার ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১৭ হাজার ৮০০ টন আতপ চাল এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ২১ হাজার ৮০ টন সিদ্ধ চাল কেনা হয়েছে।
গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আরও ৬ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানি করা হয়।
আরও পড়ুন:জনপ্রিয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অপো’ পবিত্র রমজান মাসে গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ‘ঈদ মেগা গিফট ক্যাম্পেইন’ ঘোষণা করেছে।
১৩ মার্চ থেকে শুরু হয়ে সারা দেশে অপোর আউটলেটগুলোতে বিশেষ এ ক্যাম্পেইন চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।
ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের চাহিদা উপযোগী দারুণ সব ডিল ও অফার উপভোগ করতে পারবেন।
এ বছর অপো ভোক্তাদের জন্য ‘মেগা’ লটারি অফার ঘোষণা করেছে। এতে অংশ নিয়ে ক্রেতারা ১ লাখ টাকা সমমূল্যের গৃহস্থালি উপকরণ (হোম অ্যাপ্লায়েন্স), অপো প্যাড, অপো ওয়াচ অথবা ‘বাই ১, গেট ওয়ান ১’, ডিল উপভোগ করতে পারবেন।
এ ছাড়াও অপো সব ক্রেতার জন্যই বিশেষ ও নিশ্চিত উপহারের ঘোষণা দিয়েছে, যাতে করে সবাই এ আনন্দের ভাগিদার হতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু মডেলের স্মার্টেফোন কিনেও গ্রাহকরা উপহারের ভাগিদার হতে পারবেন। যেমন- ‘রেনো১২এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ হুডি, ‘রেনো১৩এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ ব্যাগ এবং নতুন বাজারে আসা ‘এ৫ প্রো’র সঙ্গে ‘অপো সুপার শিল্ড কার্ড’ পাবেন তারা।
অপো বাংলাদেশ, অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “আমাদের গ্রাহকদের সেরা সেবা দিতে অর্থাৎ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধিতে অপো প্রতিনিয়ত অভিনবভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোন উপভোগের মাধ্যমে এই ঈদে তারা অসাধারণ সব পুরস্কার জিতে নিতে পারবেন। ‘এ৫ প্রো’র উন্মোচন এবং মেগা গিফট ক্যাম্পেইনের এই ঘোষণা ভোক্তাদের রমজান উদযাপনে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। অপোভক্তদের সঙ্গে এই বিশেষ উপলক্ষ যুক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
একটি অনলাইন লটারির মাধ্যমে মেগা গিফট লটারির বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে এবং তা অপো এ৩এক্স, এ৬০, রেনো সিরিজ এবং নতুন লঞ্চ হওয়া অপো এ৫ প্রোসহ বিভিন্ন ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
এ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্রেতাদের নিকটস্থ অপো আউটলেট পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
আকর্ষণীয় ঈদ অফার ও অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh এবং ওয়েবসাইটে website https://www.oppo.com/bd/।
আরও পড়ুন:দেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দুটি ইলেকট্রিক বাইক এনেছে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘রিভো।
‘এ১০’ এবং ‘এ১২’ নামের মডেলগুলো সাধারণ ক্রেতাদের দৈনন্দিন যাতায়াতে নতুন মাত্রা দেবে বলে মনে করে কোম্পানিটি।
রিভোর ভাষ্য, উভয় বাইকই দৃষ্টিনন্দন, টেকসই। সেই সঙ্গে এগুলোতে রয়েছে অসাধারণ ব্যাটারি পারফরম্যান্স।
রিভোর ‘এ১০’ মডেলের ন্যূনতম দাম ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা। ‘এ১২’ মডেলের বাইক পাওয়া যাবে ৯৯ হাজার ৯০০ টাকায়। বাইক দুটি একবার চার্জে ৬৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারবে।
রাজধানীর মোহাম্মাদপুরে অবস্থিত শোরুমে শনিবার সন্ধ্যায় নতুন বাইক দুটি উন্মোচন করেন রিভো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ‘ভেন নেইল’।
ওই সময় তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ রূপান্তরের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চাই মানুষ আরও টেকসই ও সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক যানবাহনের মাধ্যমে তাদের দৈনন্দিন যাতায়াত সহজতর করুক।
“‘এ১০’ এবং ‘এ১২’-এর উদ্বোধন আমাদের ক্রমাগত উদ্ভাবন ও উন্নতির প্রতিফলন। আমরা সবসময় আমাদের পণ্য উন্নত করছি, যেন গ্রাহকরা সর্বোচ্চ সুবিধা পান।”
রিভো জানায়, রিভো ‘এ১০’ তরুণদের জন্য আদর্শ, আধুনিক ডিজাইনের একটি বৈদ্যুতিক বাইক, যেটি সম্পূর্ণ গ্রাফিন ব্যাটারি এবং একবার চার্জে ৬৫-৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। এই বাইকের সর্বোচ্চ গতি ৩৫ কিমি/ঘণ্টা, যা নিরাপদ ও আরামদায়ক যাতায়াত নিশ্চিত করে।
এ ছাড়া রিভোর ‘এ১২’ বাংলাদেশে চালু হওয়া ‘এ০১’ মডেলের একটি উন্নত সংস্করণ। পেশাদার ও করপোরেট ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি এ মডেলে রয়েছে ৬০ ভোল্ট/২৬ অ্যাম্পিয়ার আওয়ার সম্পূর্ণ গ্রাফিন ব্যাটারি এবং ১০০০ ওয়াট মোটর।
এ বাইকের সর্বোচ্চ গতি ৪৭ কিমি/ঘণ্টা। আর একবার চার্জে এটি চলতে পারবে ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য