একসময়ে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে দাপটের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে তৎকালীন ফারমার্স ব্যাংক। ২০১৩ সালে লাইসেন্স পাওয়া ব্যাংকটি বাণিজ্যিক কার্যক্রমে এসে একের পর এক ঘটনার জন্ম দেয়। ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা মিলে উদীয়মান ব্যাংকটিকে যেন গলা চেপে ধরেছিল।
আওয়ামী লীগ সরকারের অল্প সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম খা আলমগীর ফারমার্স ব্যাংককে ব্যবহার করেছেন টাকা কামানোর মেশিন হিসেবে। তার সময়ে প্রদান করা প্রায় প্রতিটি ঋণ খেলাপি হয়ে পড়াই প্রমাণ করে কতটা লুটপাটের নেশায় মেতেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই নেতা।
ব্যাংক লুটপাট করে একের পর সমালোচনা আর গ্রাহকদের টাকা দিতে না পারায় একসময় তাকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ফারমার্স ব্যাংক নিয়ে বিশেষ তদন্ত করে। যেখানে বের হয়ে আসে কীভাবে জালিয়াতি করে ম খা আলমগীর ও তার ঘনিষ্ঠজন তৎকালীন ইসি কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ওরফে বাবুল চিশতী ব্যাংকটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ৯ জানুয়ারি ২০১৮ এবং ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখের অনুসন্ধান ও তদন্ত প্রতিবেদনের কপি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওইসব প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে করে উল্লেখ করা হয়েছে, কীভাবে ম খা আলমগীর ও বাবুল চিশতী ঋণ জালিয়াতিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে ব্যাংকটিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
ইতোপূর্বে দুদকের করা মামলায় সাজা ভোগ করছেন বাবুল চিশতী। অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে আত্মগোপনে রয়েছেন ম খা আলমগীর। এর পরের ঘটনার সঙ্গেও পরিচিত দেশের মানুষ। এমন অবস্থায় মৃতপ্রায় ফারমার্স ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে দেয়া হলো ‘পদ্মা ব্যাংক’।
ব্যাংকটিকে বাঁচাতে এগিয়ে এল রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো। সেখানে তাদের মালিকানা প্রায় ৭০ শতাংশ। যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিনের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাতকে করা হলো ব্যাংকটির চেয়ারম্যান। নতুন নামে শুরু করা পদ্মা ব্যাংকে যে কোনো রকমের ঋণ দেওয়াও ছিল পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
ব্যাংকটিকে দুরবস্থা থেকে বের করে আনতে ঋণের টাকা উদ্ধারে পুরোনো ঋণ গ্রহীতাদের কাছে ছুটতে থাকেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা। অনেক ক্ষেত্রে ঋণ আদায় না করতে পেরে মামলাও করেছে পদ্মা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। মোটাদাগে ব্যাংকটিকে রুগ্ন দশা থেকে বের করে আনতে তখনকার চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কর্মকর্তারা ছিলেন অত্যন্ত তৎপর।
সম্প্রতি পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত-এর বিরুদ্ধে দুষ্ট চক্র চক্রান্ত শুরু করেছে। ‘উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপিয়ে কোনো একটি মহল নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে উঠেপড়ে লাগে। ব্যাংকের ঋণ বিতরণ ও জালিয়াতির ঘটনার সঙ্গে অহেতুক তাকে জড়ানোর জন্য নানা চেষ্টায় লিপ্ত হয় তারা। নামসর্বস্ব কিছু পত্রিকায় ভিত্তিহীন ও অমূলক রিপোর্ট তৈরি করে ছাপানো হয়। সেসব রিপোর্টে নানা অসঙ্গতি রয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডকে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন ব্যাংকটির শীর্ষ কর্মকর্তারা।
ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত চেয়ারম্যান থাকার সময়ে ব্যাংকটির ঋণ বিতরণই ছিল বন্ধ। পদ্মা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ‘পদ্মা ব্যাংক নামকরণ করার পর থেকে পুরোপুরি বন্ধ ছিল ঋণ বিতরণ কার্যক্রম।’ তাহলে ব্যাংকটি এই সময়ে কীভাবে মুনাফা করেছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ওই সময়টা আমাদের জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমরা ঋণ দিতে পারিনি তবে এফডিআর করে ব্যাংকের খরচ উঠানোর চেষ্টা করা হতো।’
নাফিজ সরাফাতের সময়ে কোনো ঋণ বিতরণ কিংবা জালিয়াতি হয়েছে কি না প্রশ্ন করা হলে তার উল্টো প্রশ্ন ‘যে সময়ে ঋণ বিতরণ বন্ধ সে সময়ে কী করে টাকা নয়ছয় করা সম্ভব?’
যে সময়ে ফারমার্স ব্যাংককে জালিয়াতির মাধ্যমে ধ্বংস করা হয় তখন ওই ব্যাংকের সঙ্গে চৌধুরী নাফিজ সরাফাত কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। অথচ তার নাম জড়িয়ে বানোয়াট ও কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। এটা সাংবাদিকতার নীতিমালার চরম লঙ্ঘন।
একটি পত্রিকার রিপোর্টে দুদকের কর্মকর্তাদের বরাত দেওয়া হলেও তাতে কারও নাম উল্লেখ নেই। যেসব ঋণের নামে জালিয়াতির কথা বলা হয়েছে, তার সঙ্গেও নাফিজ সরাফাতের নেই ন্যূনতম কোনো যোগসূত্র। রিপোর্টের এক জায়গায় লেখা হয়েছে, ১৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সফটওয়্যার কিনতে নাফিজ সরাফাত একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছে। যেখানে সফটওয়্যারের দামই ১৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা, সেখানে সেই প্রতিষ্ঠান ৮ কোটি টাকা ঘুষ দেবে এমন যুক্তি হয়তো শিশুদের কাছেও হাস্যকর মনে হবে।
নাফিজ সরাফাতকে ব্যবসায়িকভাবে হয়রানি করতেই কোনো গোষ্ঠী এমন কাজ করেছে বলে মনে করেন আর্থিক খাত-সংশ্লিষ্টরা। কুচক্রী মহল তাদের উদ্দেশ্য সাধনে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানকে উস্কে দিতে এমন রিপোর্ট করেছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। কেউ কেউ ঈর্ষান্বিত হয়ে তার সুনাম ও ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে তৎপরতা শুরু করেছে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হয়েছে। পেছনের ব্যর্থতা ভুলে নতুন করে এগিয়ে যেতে প্রত্যয়ী ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তবে যাদের জন্য ব্যাংকটির এই দুর্দশা পোহাতে হয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি দেশের অবকাঠামো এবং জ্বালানি খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং লাখো মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে উন্নত করার লক্ষ্যে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন:১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৪০তম সভা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, গুলশান-১, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মুঃ ফরীদ উদ্দীন আহমদ। সভায় পর্ষদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম জাহীদ, জনাব মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সর্বজনাব শফিউদ্দিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ ইকবাল কার্যপোলক্ষ্যে সভায় যোগদান করেন। সভায় ব্যাংকের ব্যবসা বাণিজ্য, আমানত ও রেমিট্যান্স সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ আদায়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
জনতা ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান ১৫ জুন রোববার জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজ ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত ২৫ (পঁচিশ) দিন ব্যাপী ফাউন্ডেশন কোর্স ফর অফিসার্স (ব্যাচ ০৫/২০২৫) শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন করেন। উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে জনতা ব্যাংকের ৫০ জন সিনিয়র অফিসার অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজের ডিজিএম-স্টাফ কলেজ ইনচার্জসহ অন্যান্য নির্বাহী ও অনুষদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
৪ জুন’২৫ রোজ বুধবার ময়মনসিংহ শহরে জনতা ব্যাংক পিএলসি. টাউন হল মোড় শাখা (পূর্ব নাম মহিলা শাখা) নতুন ভবনে স্থানান্তর উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান। ময়মনসিংহ এরিয়া অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক মোঃ জাহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খালেক ও স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান খান। এ সময় ব্যাংকের অন্যান্য নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ০২ জুন, সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি।
জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম ও মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহসভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
জনতা ব্যাংক পিএলসি’র ফরিদপুর বিভাগীয় শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন ৩০ মে’২৫ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আশরাফুল আলম। ফরিদপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের ইনচার্জ মোঃ সহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে ফরিদপুর বিভাগের এরিয়া প্রধানগণ ও অন্যান্য নির্বাহীবৃন্দ এবং শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
ইসলামী ধারার ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হওয়ার যে খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এই ধারার ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান শুক্রবার (৩০ মে) দেওয়া এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে ৬টি দুর্বল ব্যাংক একীভূত হয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসছে। ৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৫টি ইসলামী ধারার ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি জানান, ‘এনবিএল প্রচলিত ধারার ব্যাংক। ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো সংস্কারের সঙ্গে এনবিএল সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এর আগে, একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আহসান এইচ মনসুর জানান, নানা অনিয়ম ও ঋণ জালিয়াতির কারণে দুর্বল হওয়ায় ছয়টি ব্যাংককে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো একীভূত করে সাময়িক সময়ের জন্য সরকারি মালিকানায় নেওয়া হবে।
পরবর্তীতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হবে এই মর্মে নানা সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে- যা সঠিক নয় বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ ছাড়া, একীভূত হওয়ার পর সাময়িক সরকারি মালিকানার সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবশেষ ২৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে বিএফআইইউর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে গভর্নর জানান, ‘একীভূতকরণের আগেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর ওপর সরকার মালিকানা প্রতিষ্ঠা করবে। এতে আমানতকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ তারা একটি অধিকতর শক্তিশালী ব্যাংকের অংশ হয়ে যাবেন। তবে মোট কতটি ব্যাংক একীভূত হবে এ ব্যাপারে এখনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
গভর্নর জানান, সব দুর্বল ব্যাংক একবারে একীভূত হবে না। প্রথম দফায় কয়েকটি ব্যাংক একীভূত হবে। পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় বাকি দুর্বল ব্যাংক নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জনতা ব্যাংক পিএলসি এর মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ মজিবর রহমান গত শনিবার (২৪/০৫/২০২৫) জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজ, ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত ০৬ কর্মদিবস ব্যাপী ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট কোর্স (ব্যাচ ০১/২৫) শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন করেন।
উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে জনতা ব্যাংকের অফিসার থেকে সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার পর্যায়ের ২৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজের ডিজিএম-স্টাফ কলেজ ইনচার্জসহ অন্যান্য নির্বাহী ও অনুষদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
মন্তব্য