একসময়ে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে দাপটের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে তৎকালীন ফারমার্স ব্যাংক। ২০১৩ সালে লাইসেন্স পাওয়া ব্যাংকটি বাণিজ্যিক কার্যক্রমে এসে একের পর এক ঘটনার জন্ম দেয়। ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা মিলে উদীয়মান ব্যাংকটিকে যেন গলা চেপে ধরেছিল।
আওয়ামী লীগ সরকারের অল্প সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম খা আলমগীর ফারমার্স ব্যাংককে ব্যবহার করেছেন টাকা কামানোর মেশিন হিসেবে। তার সময়ে প্রদান করা প্রায় প্রতিটি ঋণ খেলাপি হয়ে পড়াই প্রমাণ করে কতটা লুটপাটের নেশায় মেতেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই নেতা।
ব্যাংক লুটপাট করে একের পর সমালোচনা আর গ্রাহকদের টাকা দিতে না পারায় একসময় তাকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ফারমার্স ব্যাংক নিয়ে বিশেষ তদন্ত করে। যেখানে বের হয়ে আসে কীভাবে জালিয়াতি করে ম খা আলমগীর ও তার ঘনিষ্ঠজন তৎকালীন ইসি কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ওরফে বাবুল চিশতী ব্যাংকটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ৯ জানুয়ারি ২০১৮ এবং ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখের অনুসন্ধান ও তদন্ত প্রতিবেদনের কপি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওইসব প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে করে উল্লেখ করা হয়েছে, কীভাবে ম খা আলমগীর ও বাবুল চিশতী ঋণ জালিয়াতিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে ব্যাংকটিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
ইতোপূর্বে দুদকের করা মামলায় সাজা ভোগ করছেন বাবুল চিশতী। অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে আত্মগোপনে রয়েছেন ম খা আলমগীর। এর পরের ঘটনার সঙ্গেও পরিচিত দেশের মানুষ। এমন অবস্থায় মৃতপ্রায় ফারমার্স ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে দেয়া হলো ‘পদ্মা ব্যাংক’।
ব্যাংকটিকে বাঁচাতে এগিয়ে এল রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো। সেখানে তাদের মালিকানা প্রায় ৭০ শতাংশ। যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিনের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাতকে করা হলো ব্যাংকটির চেয়ারম্যান। নতুন নামে শুরু করা পদ্মা ব্যাংকে যে কোনো রকমের ঋণ দেওয়াও ছিল পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
ব্যাংকটিকে দুরবস্থা থেকে বের করে আনতে ঋণের টাকা উদ্ধারে পুরোনো ঋণ গ্রহীতাদের কাছে ছুটতে থাকেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা। অনেক ক্ষেত্রে ঋণ আদায় না করতে পেরে মামলাও করেছে পদ্মা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। মোটাদাগে ব্যাংকটিকে রুগ্ন দশা থেকে বের করে আনতে তখনকার চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কর্মকর্তারা ছিলেন অত্যন্ত তৎপর।
সম্প্রতি পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত-এর বিরুদ্ধে দুষ্ট চক্র চক্রান্ত শুরু করেছে। ‘উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপিয়ে কোনো একটি মহল নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে উঠেপড়ে লাগে। ব্যাংকের ঋণ বিতরণ ও জালিয়াতির ঘটনার সঙ্গে অহেতুক তাকে জড়ানোর জন্য নানা চেষ্টায় লিপ্ত হয় তারা। নামসর্বস্ব কিছু পত্রিকায় ভিত্তিহীন ও অমূলক রিপোর্ট তৈরি করে ছাপানো হয়। সেসব রিপোর্টে নানা অসঙ্গতি রয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডকে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন ব্যাংকটির শীর্ষ কর্মকর্তারা।
ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত চেয়ারম্যান থাকার সময়ে ব্যাংকটির ঋণ বিতরণই ছিল বন্ধ। পদ্মা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ‘পদ্মা ব্যাংক নামকরণ করার পর থেকে পুরোপুরি বন্ধ ছিল ঋণ বিতরণ কার্যক্রম।’ তাহলে ব্যাংকটি এই সময়ে কীভাবে মুনাফা করেছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ওই সময়টা আমাদের জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমরা ঋণ দিতে পারিনি তবে এফডিআর করে ব্যাংকের খরচ উঠানোর চেষ্টা করা হতো।’
নাফিজ সরাফাতের সময়ে কোনো ঋণ বিতরণ কিংবা জালিয়াতি হয়েছে কি না প্রশ্ন করা হলে তার উল্টো প্রশ্ন ‘যে সময়ে ঋণ বিতরণ বন্ধ সে সময়ে কী করে টাকা নয়ছয় করা সম্ভব?’
যে সময়ে ফারমার্স ব্যাংককে জালিয়াতির মাধ্যমে ধ্বংস করা হয় তখন ওই ব্যাংকের সঙ্গে চৌধুরী নাফিজ সরাফাত কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। অথচ তার নাম জড়িয়ে বানোয়াট ও কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। এটা সাংবাদিকতার নীতিমালার চরম লঙ্ঘন।
একটি পত্রিকার রিপোর্টে দুদকের কর্মকর্তাদের বরাত দেওয়া হলেও তাতে কারও নাম উল্লেখ নেই। যেসব ঋণের নামে জালিয়াতির কথা বলা হয়েছে, তার সঙ্গেও নাফিজ সরাফাতের নেই ন্যূনতম কোনো যোগসূত্র। রিপোর্টের এক জায়গায় লেখা হয়েছে, ১৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সফটওয়্যার কিনতে নাফিজ সরাফাত একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছে। যেখানে সফটওয়্যারের দামই ১৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা, সেখানে সেই প্রতিষ্ঠান ৮ কোটি টাকা ঘুষ দেবে এমন যুক্তি হয়তো শিশুদের কাছেও হাস্যকর মনে হবে।
নাফিজ সরাফাতকে ব্যবসায়িকভাবে হয়রানি করতেই কোনো গোষ্ঠী এমন কাজ করেছে বলে মনে করেন আর্থিক খাত-সংশ্লিষ্টরা। কুচক্রী মহল তাদের উদ্দেশ্য সাধনে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানকে উস্কে দিতে এমন রিপোর্ট করেছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। কেউ কেউ ঈর্ষান্বিত হয়ে তার সুনাম ও ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে তৎপরতা শুরু করেছে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হয়েছে। পেছনের ব্যর্থতা ভুলে নতুন করে এগিয়ে যেতে প্রত্যয়ী ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তবে যাদের জন্য ব্যাংকটির এই দুর্দশা পোহাতে হয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি দেশের অবকাঠামো এবং জ্বালানি খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং লাখো মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে উন্নত করার লক্ষ্যে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন:রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে অর্থবছরের শেষ দিন আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সব ব্যাংকের শাখাগুলোতে ব্যাংকিং লেনদেন চলবে।
সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৩০ জুন সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। তিনি বলেন, গত অর্থবছরের চেয়ে এবার বেশি রাজস্ব আদায় হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।
সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে নারী কেলেং্কারীসহ দুর্নীতি, অর্থপাচার, শেয়ার কারসাজি ও যৌন হয়রানিসহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন ব্যাংকের এক গ্রাহক
গতকাল বুধবার (২৫ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এসব অভিযোগ তুলে লিখিত আবেদন জমা দেন শিমুল সর্দার নামে এক গ্রাহক। একই অভিযোগে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং আর্থিক খাত বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার কাছেও চিঠি পাঠিয়েছেন।
দুদকে দেওয়া ১০ পাতার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আলমগীর কবির দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ— তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নামে-বেনামে ঋণ দিয়েছেন, চলতি ঋণের সুদ মওকুফ করেছেন এবং অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে একক সিদ্ধান্তে ঋণ অনুমোদন করেছেন। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে বর্তমানে সাউথইস্ট ব্যাংকের হাজার কোটি টাকার আমানত ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবির ব্যাংকটির অর্থ সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনায় একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেছিলেন। ব্যাংকের প্রতিটি বড় সিদ্ধান্ত—যেমন নতুন শাখা খোলা, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, বুথ বসানো, সফটওয়্যার কেনা ইত্যাদিতে তার একক নিয়ন্ত্রণ ছিল। এসব কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই ছিল তার আত্মীয়স্বজন বা ঘনিষ্ঠজনদের মালিকানাধীন।
সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন অভিযোগকারী। অভিযোগে বলা হয়, আলমগীর কবির একাধিক নারী কর্মকর্তাকে নিজের অফিসে ডেকে নিয়ে তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করেছেন। এসব ঘটনার কিছু প্রমাণ ইতোমধ্যে ভুক্তভোগীদের কাছে রয়েছে এবং তারা আইনগত পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি নিজের পছন্দের কিছু নারীকে ব্যাংকের অধীনস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘গ্রিন স্কুল’ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড’-এ চাকরি দিয়েছেন বলেও অভিযোগে জানান।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, শেয়ার কারসাজির অভিযোগে আলমগীর কবিরকে ইতোমধ্যে ১২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে সাউথইস্ট ব্যাংকের ২৩২ কোটি টাকা বে লিজিংয়ে বিনিয়োগ করা হয়, যা বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৪-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড বর্তমানে আর্থিকভাবে এতটাই দুর্বল যে, প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকের পাওনা ফেরত দিতে পারছে না।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বে লিজিংয়ের পুঞ্জীভূত লোকসান দাঁড়ায় ১৭২ কোটি টাকায়। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান চেয়ারম্যান সুরাইয়া বেগম—যিনি আলমগীর কবিরের স্ত্রী—তাঁর মাধ্যমে ব্যাংকটির সঙ্গে বে লিজিংয়ের লেনদেন ‘ব্যাংকসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে লেনদেন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এতে করে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ২৭ (১-খ) ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আলমগীর কবির ব্যাংকের ফাউন্ডেশন ও শিক্ষা বিভাগের তহবিল থেকেও অর্থ তুলে এনে বে লিজিংয়ে সরবরাহ করেছেন। ব্যাংকের মেয়াদি আমানত ও কলমানির অর্থ আটকে আছে ওই প্রতিষ্ঠানটিতে। বারবার চিঠি পাঠিয়েও কোনো অর্থ ফেরত পায়নি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। শুধু মূলধন নয়, প্রতিষ্ঠানটি সুদও পরিশোধ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ২৯ তম বার্ষিক সাধারন সভা ২৪ জুন ২০২৫ইং তারিখে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০২৪ইং সালের নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন এবং ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব মোস্তফা কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীর পরিচালক মিসেস বিউটি আক্তার, ব্যারিষ্টার হাসান রাজিব প্রধান, জনাব মনজুর মো: সাইফুল আজম এফসিএমএ, মিসেস তাহমিনা বিনতে মোস্তফা, জনাব তায়েফ বিন ইউসুফ, মিসেস তানজিমা বিনতে মোস্তফা, জনাব ওয়াশিকুর রহমান, জনাব তানভীর আহমেদ মোস্তফা , মিসেস সামিরা রহমান, মিসেস তাসনিম বিনতে মোস্তফা, জনাব মোঃ বেলায়েত হোসেন ভূইয়া, জনাব মোহাম্মদ সাইদ আহমেদ রাজা এবং মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সানা উল্লাহ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা শেখ বিল্লাল হোসেন এফসিএ, কোম্পানীর অডিটর এ.কে.এম. আমিনুল হক এফসিএ, সিনিয়র পার্টনার মেসার্স এ.হক এন্ড কোং চাটার্ড একাউন্টেন্টস এবং আবদুর রহিম মিয়া, এফসিএ, পার্টনার মেসার্স ইসলাম জাহিদ এন্ড কোং, চাটার্ড একাউন্টেন্টস, মোঃ ফিরোজুল ইসলাম সিনিয়র এক্সিঃ ভাইস প্রেসিডেন্ট (অর্থ ও হিসাব) ও কোম্পানী সচিব মো: মাসুদ রানা এবং কোম্পানীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার সভায় সংযুক্ত ছিলেন।
মেঘনা ব্যাংক পিএলসি’র ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২৩ জুন ২০২৫, সোমবার রাজধানীর মহাথালীতে অবস্থিত ম্যাডোনা টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের সম্মানিত চেয়ারপার্সন মিসেস উজমা চৌধুরী।
বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান জনাব তানভীর আহমেদ, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মো. আলী আক্তার রেজভী, এফসিএ এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ মামুনুল হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক জনাব রজব আলী, জনাব এম. নজরুল ইসলাম এবং জনাব হাবিবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব কাজী আহ্সান খলিল এবং ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি সচিব জনাব সজিব কুমার সাহা, এফসিএ এবং ব্যাংকের সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ।
সভায় ব্যাংক নিজেদের পরিষেবা বৃদ্ধি, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি প্রচারণা, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
সম্প্রতি সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. বরিশাল জেলায় অবস্থিত বিভিন্ন স্কুল থেকে আগত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকদের নিয়ে লিড ব্যাংক হিসেবে ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা এর নির্দেশনায় “স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স-২০২৫” আয়োজন করেছে।
উক্ত কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ইমতিয়াজ আহমেদ মাসুম, নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), বাংলাদেশ ব্যাংক, বরিশাল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আবিদুর রহমান চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি., জনাব মোঃ আলী হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক, ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা, জনাব মোঃ হারুনুর রশিদ, জেলা শিক্ষা অফিসার, বরিশাল এবং সম্মানিত অতিথি জনাব মোঃ মাহাবুব-উল আলম, উপপরিচালক, ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা।
উক্ত কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন সাউথইস্ট ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ রাশেদুল আমিন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে উক্ত কনফারেন্সে জাহানারা ইসরাইল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বরিশাল থেকে রাবিয়া কামাল (দশম শ্রেণী) এবং বরিশাল জেলা স্কুল, বরিশাল থেকে মোঃ হাসনাইন বিন কবির (দশম শ্রেণী) বক্তব্য রাখেন।
উক্ত কনফারেন্সে বরিশাল জেলার ৪৫ টি তফসিলী ব্যাংকের ৪৫ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে ১৮০ জন শিক্ষার্থী ও ৪৫ জন শিক্ষক এবং অতিথি সহ সর্বমোট ৩৫০ জন অংশগ্রহণ করেন। কনফারেন্সে বক্তারা শৈশব থেকেই সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও দায়িত্বশীল অর্থ ব্যবস্থাপনার অভ্যাস গড়ে তোলা ও আধুনিক ব্যাংকিং প্রযুক্তির সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচিত করানোর লক্ষ্যে স্কুল ব্যাংকিং এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়াও স্কুল ব্যাংকিং এর উপর নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী, র্যালী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কনফারেন্সের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৪০তম সভা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, গুলশান-১, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মুঃ ফরীদ উদ্দীন আহমদ। সভায় পর্ষদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম জাহীদ, জনাব মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সর্বজনাব শফিউদ্দিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ ইকবাল কার্যপোলক্ষ্যে সভায় যোগদান করেন। সভায় ব্যাংকের ব্যবসা বাণিজ্য, আমানত ও রেমিট্যান্স সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ আদায়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
জনতা ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান ১৫ জুন রোববার জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজ ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত ২৫ (পঁচিশ) দিন ব্যাপী ফাউন্ডেশন কোর্স ফর অফিসার্স (ব্যাচ ০৫/২০২৫) শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন করেন। উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে জনতা ব্যাংকের ৫০ জন সিনিয়র অফিসার অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজের ডিজিএম-স্টাফ কলেজ ইনচার্জসহ অন্যান্য নির্বাহী ও অনুষদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য