× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
How Mkha and Babul Chishti looted Farmers Bank
google_news print-icon

ম খা আর বাবুল চিশতী যেভাবে লুটপাট করে ফারমার্স ব্যাংক

ম-খা-আর-বাবুল-চিশতী-যেভাবে-লুটপাট-করে-ফারমার্স-ব্যাংক
মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মাহবুবুল হক ওরফে বাবুল চিশতী। কোলাজ: নিউজবাংলা
ঋণ কেলেঙ্কারির কারণে বাবুল চিশতী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা করেছে দুদক। তবে ম খা আলমগীর তখন প্রভাবশালী থাকায় শুধু চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দিয়েই চুপ হয়ে যান নিয়ন্ত্রকরা। সপরিবারে দেশের বাইরে অবস্থান করা ম খা আলমগীরকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবি ব্যাংক খাত-সংশ্লিষ্টদের।

সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ওরফে বাবুল চিশতীর ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাটের কারণে নতুন প্রজন্মের ব্যাংকটি ধ্বংস হয়েছে যায়। সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের সেই প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখতে তৎপর হতে দেখা যায়, তবে ম খা আলমগীরের ক্ষেত্রে ছিল ব্যতিক্রম। তিনি ও তার ঘনিষ্ঠ মাহবুবুল হক ওরফে বাবুল চিশতী মিলে উদীয়মান ব্যাংকটিকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল। নামে-বেনামে ঋণ, ব্যবস্থাপনা কমিটিকে তোয়াক্কা না করে ঋণ অনুমোদন, নামমাত্র প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সেসব হিসাবে কোটি কোটি টাকা হস্তান্তর, ঋণ অনুমোদন হওয়ার আগেই টাকা সরবরাহ, ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের কমিশন, শেয়ার বাণিজ্য- এমন শত শত অভিযোগ উঠে এসেছে খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনে।

যদিও ব্যাংকটির শুরুর গল্পটা ছিল আশায় ভরা। ২০১৩ সালে তৎকালীন সরকার চতুর্থ প্রজন্মের কয়েকটি ব্যাংকের লাইসেন্স প্রদান করে। যাদের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন ধারায় আধুনিক ব্যাংকিং করে উদাহরণ তৈরি করা। ফারমার্স ব্যাংকের মূলত উদ্দেশ্য ছিল দেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে ঋণ প্রধান ও কৃষিকে আধুনিকায়ন করতে ভূমিকা রাখা। ক্ষমতাসীন সরকারের অল্প সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে দেওয়া হয় ব্যাংকটির লাইসেন্স। কার্যক্রম শুরু হলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। পাশাপাশি ইসি কমিটির চেয়ারম্যান বানানো হয় তার ঘনিষ্ঠ মাহবুবুল হক ওরফে বাবুল চিশতীকে। যারা দুজন মূলত অনিয়মের নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত তৈরি করে ব্যাংকটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসেন। নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্য পরিচালকরা থাকলেও তাদের তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না ব্যাংক কার্যক্রমে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে তাদের মধ্যেও কেউ কেউ অনিয়মে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।

শুধু তা-ই নয়, ব্যাংকটিতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দলের রিপোর্ট বলছে, ২০১৭ সালে ৮৫ জন কর্মকর্তা নিয়োগে প্রায় প্রতিটির ক্ষেত্রে তখনকার চেয়ারম্যানের সুপারিশ ছিল। অনেক প্রার্থীর বায়োডাটায় ‘চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর চিশতী’ বড় করে লেখা ছিল বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষকদের নজরে আসে। এইচ আর কর্তৃক লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে তবে তা শুধুই নামমাত্র। কয়েকটি পরীক্ষায় কোনো নম্বর দেয়নি এইচ আর। বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক দল বলছে, এইচ আর পলিসি ছিল শুধু খাতা-কলমে, যার কোনো প্রয়োগ ছিল না।

প্রধান অফিসের পাশাপাশি শাখা অফিসগুলোতেও নিজেদের লোক বসিয়ে সুপারিশের ঋণ অনুমোদন করাতেন এই চক্র। গুলশান শাখায় কয়েকটি ঋণের ক্ষেত্রে দেখা যায় কোনো ‘সেংশন লেটার’ ছাড়াই শুধু চেয়ারম্যানের সুপারিশে বড় বড় ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে। ২০১৭ সালে গুলশান শাখা-সহ বেশ কয়েকটি শাখা থেকে আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্টে ৪০ কোটি, ১২ কোটি ৪৫ লাখ, ৯ কোটি ১৫ লাখ, ১০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা প্রদান করা হলেও কোনোটির ক্ষেত্রেই ব্যবস্থাপনা কমিটি ‘লোন সেংশন’ করেনি। একই বছরের অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখে ৪০ কোটি টাকার ঋণ বর্ধিতকরণের জন্য চেয়ারম্যান ও এমডি ফরমাল সুপারিশ করলেও তার আগেই ঋণটি প্রদান করা হয়। যেখানে কোনো প্রকার ব্যাংকিং নিয়মের তোয়াক্কা করা হয়নি।

যেসব কোম্পানিকে ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণ দেওয়া হতো, তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, বেশির ভাগের ব্যাংক হিসাব তার কিছুদিন আগে করা। অর্থাৎ ঋণ নেওয়ার জন্যই হিসাব খোলা হয়েছে। কাগজে-কলমে নানা রকমের ব্যবসার কথা বলা হলেও ঋণ নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে সিংহভাগ টাকা তোলা হতো নগদে। অর্থাৎ সেই টাকা কার অ্যাকাউন্টে বা কোথায় যাচ্ছে তা কেউ বলতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা মনে করেন এভাবে করে প্রচুর টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়েছে। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর দুটি অ্যাকাউন্টে ফারমার্স ব্যাংক থেকে ট্রান্সফার করা হয়েছিল মোটা অঙ্কের অর্থ। প্রথমটির নামে দেখা যায়, ফারিব অটো রাইস মিলস্, দ্বিতীয়টির নাম এসএনডি। তাদের দুটি হিসাবে স্থানান্তর করা হয় যথাক্রমে ৬ কোটি ২ লাখ ২০ হাজার ও ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। অবাক করা বিষয় হলো এই দুটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয় ২৭ নভেম্বর। অর্থাৎ যেদিন অ্যাকাউন্ট খোলা হয় সেদিনই ঋণের টাকা স্থানান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্টে আরও উঠে এসেছে বড় ঋণ গ্রহীতাদের মধ্যে বাবুল চিশতীর ভাই ও তার ছেলের কয়েকটি কোম্পানি ছিল- যেসব কোম্পানির নামে বিপুল অর্থ বের করে নেওয়া হয় ফারমার্স ব্যাংক থেকে। শুধু তা-ই নয় ভুয়া ও সাইনবোর্ড সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে মোটা কমিশনের বিনিময়ে বড় অঙ্কের লোন দিতেও কার্পণ্য করত না এই চক্র। ব্যাংকের শেয়ার দেওয়ার কথা বলেও কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই দুজনের বিরুদ্ধে। আমানতকারীদের অর্থ লুট করার উদাহরণও তৈরি করেছিলেন তারা।

ঋণ কেলেঙ্কারির কারণে বাবুল চিশতী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে ম খা আলমগীর তখন প্রভাবশালী থাকায় শুধু চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দিয়েই চুপ হয়ে যান নিয়ন্ত্রকরা। জানা গেছে, ম খা আলমগীর বর্তমানে সপরিবারে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তবে তাদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করার দাবি করছেন ব্যাংক খাত-সংশ্লিষ্টরা। ব্যাংক খাতে যেন আর কখনোই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিও তুলছেন ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন:
ফারমার্স ব্যাংক কেলেঙ্কারির হোতা ম খা আলমগীর ও বাবুল চিশতী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Accused of spreading private pictures against ex husband suicide of a girl by drinking poison

সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ছবি ছড়ানোর অভিযোগ, বিষ পানে আত্মহত্যা কিশোরীর

সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ছবি ছড়ানোর অভিযোগ, বিষ পানে আত্মহত্যা কিশোরীর প্রতীকী ছবি
নওগাঁ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফজলুল হক নয়ন বলেন, ‘(কিশোরীকে) বিষ পান করার পর বেশ কয়েক ঘণ্টা পর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চিকিৎসা প্রদান করেছি।পরবর্তীতে রাজশাহী বা বগুড়া নিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিলাম, তবে এখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।’

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার কারণে এক কিশোরী বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

প্রাণ হারানো কিশোরীর বয়স ১৭ বছর।

পরিবারের অভিযোগ, কয়েক মাস ধরে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিশোরীর ছবি ও ভিডিও ছড়াচ্ছিলেন তার সাবেক স্বামী হেলাল উদ্দিন সরদার (২৭)।

কিশোরীর বাবা জানান, আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় সোমবার রাতে অভিমান করে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে কিশোরী। পরে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দুইটার দিকে মারা যায় সে।

কিশোরীর বাড়ি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মালশন গ্রামে। অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন সরদারের বাড়ি একই উপজেলার আঁকনা গ্রামে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আঁকনা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী হেলাল উদ্দিন সরদারের সঙ্গে একই এলাকার মালশন গ্রামের ওই কিশোরীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সাত মাসের মাথায় কলহের জেরে গত ৭ জুলাই তাদের বিয়েবিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকেই হেলাল ফেসবুকে একটি আইডি খুলে সেখানে তার সাবেক স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতে থাকেন।

পরিবার ও স্থানীয়রা আরও জানায়, শুধু ফেসবুকই নয়, হোয়াটস অ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন হেলাল। এমনকি সাবেক স্ত্রীর হোয়াটসআ্যপে এসব ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে তাকে উত্যক্ত করেন তিনি। পরে কিশোরী তার ব্যবহৃত ফোনটি ভেঙে ফেলেন।

ঘটনাটি পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে অভিমান করে সোমবার রাত আটটার দিকে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে কিশোরী। পরে পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে রাত দুইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

কিশোরীর বাবা বলেন, “আমার মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকেই হেলাল নানাভাবে বিরক্ত ও উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তার নামে ফেসবুক আইডি খুলে নানা রকম ছবি ও ভিডিও পোস্ট করত। আমার মেয়েকেও হোয়াটসঅ্যাপে সেসব দিয়ে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে বলত, ‘তোর জীবন শেষ করে দিব।’ এসব জানাজানি হলে আমার মেয়ে সবার অজান্তে ঘরে বিষ খায়।

“হাসপাতালে নিয়ে আসার পর মেয়েটা মারা যায়। এসব ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে আমার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। অপমান ও অভিমানে মেয়েটা আত্মহত্যা করেছে। হেলালসহ যারাই জড়িত থাক, তাদের সবার কঠিন শাস্তি চাই। আমরা থানায় মামলা করব।’

এদিকে ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন সরদারের পরিবারের লোকজন। গ্রামের বাড়ি আঁকনাতে গিয়েও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

অভিযুক্ত মালয়েশিয়াপ্রবাসী হেলালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফজলুল হক নয়ন বলেন, ‘(কিশোরীকে) বিষ পান করার পর বেশ কয়েক ঘণ্টা পর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চিকিৎসা প্রদান করেছি।

‘পরবর্তীতে রাজশাহী বা বগুড়া নিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিলাম, তবে এখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার ওসি তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘মালশন গ্রামের একজন বিষ পান করে। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

‘যেহেতু নওগাঁ সদর হাসপাতালে মারা গেছেন, যার কারণে সদর থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব।’

আরও পড়ুন:
ভিডিও কলে নববধূর, পরে প্রবাসী প্রেমিকের আত্মহত্যা: পুলিশ
নওগাঁয় ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা: তিনজন আটক
নওগাঁয় পৃথক ঘটনায় শিশুসহ চারজনের প্রাণহানি
ঘরে দম্পতির মরদেহ, পাশে চিরকুট 
নওগাঁয় এক মাস ধরে অবরুদ্ধ ৯ পরিবার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Sajek is open to tourists after more than a month

এক মাসের বেশি সময় পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত সাজেক

এক মাসের বেশি সময় পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত সাজেক পাখির চোখে সাজেক। ছবি: নিউজবাংলা
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করেছে প্রশাসন। এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই। খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো মঙ্গলবার থেকে উন্মুক্ত হবে। ফলে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক ভ্রমণ করতে পারবেন।’

দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় পর মঙ্গলবার থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির সাজেকের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করেছে প্রশাসন। এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই।

‘খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো মঙ্গলবার থেকে উন্মুক্ত হবে। ফলে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক ভ্রমণ করতে পারবেন।’

এর আগে গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক দফায় সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। এতে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় সাজেকে পর্যটকদের প্রবেশ।

সাজেক কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সাজেকে মোট ১২০টি রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকশূন্য থাকার কারণে রিসোর্ট-কটেজের অধিকাংশ কর্মচারী সাজেক ছেড়ে চলে গেছেন।

এ ছাড়া সহিংসতার জেরে ৮ অক্টোবর খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলার সব পর্যটন কেন্দ্র গমনে বিরত থাকার অনুরোধ জানায় প্রশাসন।

পর্যটন কেন্দ্র উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘এখানকার পর্যটন খাতের সঙ্গে অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ থাকায় এ খাতে অনেকে বেকার হয়ে পরেছে। পর্যটন চালু হওয়ায় খাত সংশ্লিষ্টদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।’

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে খাগড়াছড়ি জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। সাজেকে যেহেতু খাগড়াছড়ি জেলা সড়ক হয়ে যেতে হয়, সে ক্ষেত্রে মঙ্গলবার থেকে সাজেকেও পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন।’

তিনি আরও জানান, এক মাস পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ খাতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ১৫ কোটি টাকার।

আরও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের তিন সদস্যকে গুলি করে হত্যা
শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা, খাগড়াছড়ি সদরে ১৪৪ ধারা জারি
সাজেকে আটকে পড়া ১৪০০ পর্যটককে উদ্ধার
খাগড়াছড়িতে সব হত্যার বিচারের আশ্বাস তথ্য উপদেষ্টার
অবরোধে সাজেকে আটকা পড়েছেন ১৪শ’ পর্যটক

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
More than 1600 complaints in the Missing Commission 

গুম কমিশনে ১ হাজার ছয় শর বেশি অভিযোগ 

গুম কমিশনে ১ হাজার ছয় শর বেশি অভিযোগ  প্রতীকী ছবি/মোয়াতানা ফর হিউম্যান রাইটস
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।’

গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারিতে এক হাজার ছয় শর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।’

কমিশনের সম্মেলনকক্ষে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুসরণ করেনি। গুমের সঙ্গে কারা সংশ্লিষ্ট, সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গুমের সঙ্গে বাহিনীর কতজন সদস্য সংশ্লিষ্ট, প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেই সংখ্যাটা এখনও বলা যাবে না। ৭ তারিখ থেকে বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে। আমরা সমন ইস্যু করে দিয়েছি। প্রথম দিন সাতজনকে ডাকা হয়েছে। তারপর তিনজন, সাতজন, পাঁচজন এভাবে চলতে থাকবে।

‘এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ডিজিএফআইয়ের সদস্য রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ডিজিএফআই, র‍্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডি, পুলিশ তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।’

আরও পড়ুন:
‘ঢাকা কাচ্চি ডাইন’-এ রক্তমাখা মাংস, অতঃপর
হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গুমের শিকার সাবেক সেনা কর্মকর্তার
গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জানানোর সময় বাড়ল
ইউএনওকে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন মদনের কৃষক লীগ নেতা
শ্রম-সংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Death of a young man who was stabbed in Munshiganj

মুন্সীগঞ্জে ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জে ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক শুভ বেপারি (২৩)। ছবি: নিউজবাংলা
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে পরিবারের অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে ছুরিকাঘাতে আহত যুবক শুভ বেপারির (২৩) মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সোমবার রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে গত শনিবার রাত ১২টার দিকে রামগোপালপুর এলাকায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন ওই যুবক।

নিহত শুভ মিরকাদিমের কালিন্দীপাড়া এলাকার মুকুল বেপারীর ছেলে।

তার বাবা মুকুল বেপারি ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ‘শনিবার রাতে আমাদের সাথে বাড়িতেই অবস্থান করছিল শুভ। তখন স্থানীয় নাজমুল নামে একজনকে কয়েকজন আটকে রেখেছে, এ রকম খবর পেয়ে আমার ছেলে রামগোপালপুর চিশতী বাড়ির সামনে যায়। সেখানে ফয়সাল নামের একজন তাকে ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে।

‘পরে ছুরিকাঘাতের খবর পেয়ে আমরা উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিই। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলে মারা যায়। ওর পেটে ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে কাপড়ের ব্যবসা করত। কারও সাথে শত্রুতা নাই।

‘কারা, কী কারণে এ ঘটনা ঘটাল, আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে পরিবারের অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
গভীর রাতে ঘরে ঢুকে গুলি করে নারীকে হত্যা
ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে গরুচোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা 
সুনামগঞ্জ শহরে নিজ বাড়িতে মা-ছেলে খুন, ঘাতক ‘শনাক্ত’
খুলনায় আলোচিত জাহিদ হত্যা মামলায় পাঁচজনের ফাঁসি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Allegation of misappropriation of farmers allocation money That agriculture officer transferred

কৃষকের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ: সেই কৃষি কর্মকর্তা বদলি

কৃষকের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ: সেই কৃষি কর্মকর্তা বদলি সুমন কুমার সাহা ২০২৩ সালের ১৭ মে থেকে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। ছবি: নিউজবাংলা
বদলি হওয়া কৃষি কর্মকর্তার নাম সুমন কুমার সাহা, যিনি ২০২৩ সালের ১৭ মে থেকে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। 

প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে বিল ভাউচার, কোথাও কোথাও নামমাত্র বাস্তবায়ন, কোথাও আবার কৃষকের ফসলি জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রদর্শনী দেখিয়ে বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠা কৃষি কর্মকর্তাকে বদলি করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে এ বদলি করা হয়।

এ আদেশের এক কপি এসেছে এ প্রতিবেদকের হাতে।

কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদও বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বদলি হওয়া কৃষি কর্মকর্তার নাম সুমন কুমার সাহা, যিনি ২০২৩ সালের ১৭ মে থেকে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় কর্মরত ছিলেন।

এ কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে গত ২ নভেম্বর ‘উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম। এরপর ৩ নভেম্বর তাকে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

তাড়াইল উপজেলায় পাঁচটি প্রকল্পে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুমন সাহা প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষি কর্মকর্তার দাবি, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের সব উপকরণ বিতরণ করেন তিনি। যদিও তার এমন দাবি নাকচ করেছেন সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তাদের ভাষ্য, কোনো প্রদর্শনীর বরাদ্দের পরিমাণ জানেন না তারা।

আরও পড়ুন:
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বরাদ্দের টাকায় অনিয়মের অভিযোগ
১৬ বছরে বঞ্চিত ২৫শ’ কর্মকর্তার ‘সুবিধা’ চেয়ে আবেদন
কাঁকরোলের গ্রাম ঝিনাইগাতীর ‘গোমড়া’
তাড়াইলে বজ্রপাতে প্রাণ গেল জেলের
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Crores of taka and 11 iPhones were seized from the house of the former additional secretary

সাবেক অতিরিক্ত সচিবের বাসা থেকে কোটি টাকা ও ১১ আইফোন জব্দ, গ্রেপ্তার

সাবেক অতিরিক্ত সচিবের বাসা থেকে কোটি টাকা ও ১১ আইফোন জব্দ, গ্রেপ্তার সাবেক অতিরিক্ত সচিব আমজাদ হোসেন খান ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়ে আসা হয়। ছবি: সংগৃহীত
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাতে উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টরের ৩৩ নম্বর বাড়িতে যৌথবাহিনী ওই অভিযান চালায়। এ সময় বাসাটি থেকে নগদ এক কোটি সাড়ে ৯ লাখ টাকা, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা, ১১টি আইফোন এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মূল্যবান ঘড়ি জব্দ করা হয়। পরে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজধানীর উত্তরায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন খানের বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ এক কোটি টাকা ও ১১টি আইফোন জব্দ করে যৌথ বাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমজাদ হোসেন ও তার ছেলেকে।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাতে উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টরের ৩৩ নম্বর বাড়িতে যৌথবাহিনী ওই অভিযান চালায়।

সোমবার সকালে উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ১০টায় যৌথবাহিনী পরিচালিত অভিযানে বাসাটি থেকে নগদ এক কোটি সাড়ে ৯ লাখ টাকা, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা, ১১টি আইফোন এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মূল্যবান ঘড়ি জব্দ করা হয়। পরে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কর্মরত অবস্থায় অবসরে যান আমজাদ হোসেন খান। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুর সদরে।

আরও পড়ুন:
পোশাক শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত
সাবেক এমপির ছেলের শ্বশুরালয় থেকে কোটি টাকা ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার
চার দিনে ৫৩ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২৫
অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অপারেশন শুরু হচ্ছে বুধবার রাতে
শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতার চেষ্টা রোধে রাত থেকে যৌথ অভিযান

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Investigation proceedings against Shahidul Alam suspended
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলা

শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত

শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় এফআইআর ও তদন্ত কার্যক্রম বাতিল চেয়ে শহিদুল আলমের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও মো. রিয়াজ উদ্দিন খান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দিয়েছে।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ২০১৮ সালে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।

এফআইআর ও তদন্ত কার্যক্রম বাতিল চেয়ে শহিদুল আলমের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও মো. রিয়াজ উদ্দিন খান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দিয়েছে।

আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন ও আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান।

আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের আগস্টে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হয়। একই বছরের অক্টোবর মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়। নতুন আইনে বলা হয়েছে, আগের আইনের ৫৭ ধারার যে মামলাগুলোর তদন্ত শেষ হয়নি, বিচারের জন্য যায়নি বা বিচারাধীন না, সে মামলাগুলো আর চলবে না।

‘যেহেতু শহিদুলের বিরুদ্ধে মামলাটি তখন পর্যন্ত তদন্তনাধীন ছিল তাই এ মামলা আর চলতে পারে না। আদালত শুনানি শেষে রুল ও স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।’

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে ধানমন্ডির বাসা থেকে তুলে নেয় পুলিশ। এরপর ‘উস্কানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলায় ৬ আগস্ট তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। একই দিন সিএমএম আদালতে তার জামিন আবেদন না-মঞ্জুর হয়। মামলায় ১০৭ দিন কারাভোগের পর শহিদুল আলম একই বছরের ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান।

মন্তব্য

p
উপরে