× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
The Governor of Bangladesh Bank is Ahsan H Mansoor
google_news print-icon

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হচ্ছেন আহসান এইচ মনসুর


বাংলাদেশ-ব্যাংকের-গভর্নর-হচ্ছেন-আহসান-এইচ-মনসুর
ড. আহসান এইচ মনসুর। ফাইল ছবি
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পদ থেকে সরে যাওয়া আবদুর রউফ তালুকদারের স্থলাভিষিক্ত হবেন আহসান এইচ মনসুর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হচ্ছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।

এ অর্থনীতিবিদ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পদ থেকে সরে যাওয়া আবদুর রউফ তালুকদারের স্থলাভিষিক্ত হবেন আহসান এইচ মনসুর।

বাংলাদেশ ব্যাংকে একের পর এক বিক্ষোভ আর পদত্যাগের দাবির প্রেক্ষাপটে অবশেষে পদত্যাগ করেন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। এর আগে একজন ডেপুটি গভর্নর ও চারজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেন আন্দোলনকারী ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

ব্যাংক বন্ধের দিন হলেও শুক্রবার দুপুরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান আবদুর রউফ তালুকদার।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে যাননি আবদুর রউফ তালুকদার। গভর্নর বাসভবনেও তিনি ছিলেন না।

আরও পড়ুন:
ব্যাংক খাতে ১৫ বছরে লোপাট ৯২ হাজার কোটি টাকা
নতুন গভর্নর আসা পর্যন্ত দায়িত্বে নুরুন নাহার
বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর নিয়োগ দ্রুতই: অর্থ উপদেষ্টা
ব্যাংক থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ তোলা যাবে ২ লাখ
ইসলামী ব্যাংকের আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি, পাঁচজন আহত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
World Bank South Asia Vice President in Dhaka

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঢাকায়

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের লোগো। ছবি: ক্লিন পিএনজি
এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার বেশির ভাগই অনুদান বা রেয়াতি ঋণে।

দুই দিনের সফরে বুধবার ঢাকায় এসেছেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।

সফরকালে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরসহ সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম সারির উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম বিশ্বব্যাংক।

এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার বেশির ভাগই অনুদান বা রেয়াতি ঋণে।

বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) সহায়তায় বড় কর্মসূচি চলমান।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে: বিশ্বব্যাংক
বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ মিলবে ১১০ কোটি ডলার, ৫ চুক্তি
অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য ৩ হাজার ২১০ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশের ঋণ-জিডিপি অনুপাত ভারত পাকিস্তানের চেয়ে কম
উন্নয়ন ধরে রাখতে আর্থিক খাতে সংস্কার জরুরি: বিশ্বব্যাংক

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
ISDB will give 400 to 500 million dollars to Bangladesh

বাংলাদেশকে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার দেবে আইএসডিবি

বাংলাদেশকে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার দেবে আইএসডিবি আইএসডিবির লোগো। ছবি: বাসস
বৈঠক শেষে প্রশ্নের জবাবে নাসিস সুলাইমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমসিপিএসের অংশ হিসেবে এ পরিকল্পনার আওতায় আগামী তিন বছরের জন্য ৪০০  থেকে ৫০০ কোটি ডলার সহায়তা দেয়া হবে।’ 

ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইএসডিবি) ২০২৪-২৬ সালে তার সদস্য দেশ অংশীদারত্ব কৌশলের (এমসিপিএস) অংশ হিসেবে তিন বছরের জন্য বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশকে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলারের সামগ্রিক সহায়তা দেবে।

আইএসডিবির আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান মুহাম্মদ নাসিস সুলাইমান মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন।

ওই বৈঠক শেষে প্রশ্নের জবাবে নাসিস সুলাইমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমসিপিএসের অংশ হিসেবে এ পরিকল্পনার আওতায় আগামী তিন বছরের জন্য ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার সহায়তা দেয়া হবে।’

জ্বালানি তেল কেনার জন্য আইএসডিবি গ্রুপের বাণিজ্য অর্থায়নকারী শাখা ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) বাংলাদেশকে ঋণ দেয়ার সীমা বাড়ানোর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে সুলাইমান বলেন, ‘অবশ্যই এটি সরকারের সাথে সার্বিক আলোচনার একটি অংশ।’

আগামী কয়েক বছরে বাংলাদেশে আইটিএফসির সহায়তাসহ সংস্থাগুলোর সহায়তা ঠিক করার জন্য আইএসডিবির এমসিপিএসকে বিশদ কাঠামো তৈরি করতে হবে। আইএসডিবির আঞ্চলিক হাবের প্রধান বলেন, ‘সুতরাং আমরা প্রকৃতপক্ষেই বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত কিছু সমস্যা সমাধানের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তা করার অপেক্ষায় রয়েছি।’

আইএসডিবি গ্রুপের হস্তক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। সরকারও সার্বিক সম্পৃক্ততার জন্য ব্যাংকের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। বিশেষ করে, কীভাবে অধিকতর সহায়তা করে এগিয়ে যাওয়া যায়, সে ব্যাপারে আমরা আইটিএফসির সঙ্গে আলোচনা করব।’

আইএসডিবি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখবে উল্লেখ করে সুলাইমান বলেন, ‘আইএসডিবির কৌশল এবং সরকারের অগ্রাধিকার বিবেচনা করে আমরা আশা করছি, অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গেও সম্পদ ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে সক্ষম হব।’

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যেহেতু আইএসডিবি বাংলাদেশের একটি বহুপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী, তাই তারা বাংলাদেশকে স্বাস্থ্য খাত, সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ ইত্যাদিতে প্রকল্পে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামাঞ্চলের সড়ক পুনর্নির্মাণে সহায়তা করার জন্য সরকার তাদের অনুরোধ করেছে। তারা এরই মধ্যে সিলেটে এ বিষয়ে একটি জরিপ করেছে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে তারা (আইএসডিবি) ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামাঞ্চলের রাস্তা পুনর্নির্মাণে আমাদের সহায়তা করবে। তারা ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য খাত, সেতু নির্মাণ ও ভৌত অবকাঠামোতে আমাদের সহায়তা করছে।’

জ্বালানি তেল ক্রয়ে সহায়তার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আইএসডিবি অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিদ্যমান সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য সম্ভাবনাগুলো অন্বেষণ করবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের আমাদের তহবিল সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করেছি এবং তারা সম্ভাবনাগুলি মূল্যায়ন করবে। এটি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ডিসেম্বরে আইএসডিবি বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে কিছুই বলা যাবে না।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘জেদ্দাভিত্তিক ঋণদানকারী সংস্থাটি দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে। কারণ তারা প্রকল্পগুলোর জন্য দেশের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সহায়তা প্রদান করবে।

‘সামগ্রিকভাবে আইএসডিবি আমাদের সহায়তা দেবে।’

এমসিপিএস সম্পর্কে তিনি জানান, সরকার সম্ভাব্য প্রকল্পগুলো মূল্যায়ন করবে। তারপর আইএসডিবি সেগুলোকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বিবেচনা করবে।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো সহায়তা দেবে জার্মানি
বাংলাদেশকে ২০২.২৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা সমন্বয় সেল
ফেনীতে নিহত ১১ জনের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে অনুদান যুবদলের
আক্রান্ত হলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Cashier of Agrani Bank disappeared with Tk 75 lakh from the vault

ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার

ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজার শাখায় এই অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত দীপংকর ঘোষ ওই শাখার অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত। তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামের বলাই ঘোষের ছেলে।

চাঁদপুরে অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন ব্যাংকটির ক্যাশিয়ার। মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজার শাখায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ব্যাংকটির ওই শাখার ব্যবস্থাপক ইউসুফ মিয়া সোমবার বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় মামলা করেছেন।

অভিযুক্ত দীপংকর ঘোষ ছেংগারচর বাজার শাখার অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত। তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামের বলাই ঘোষের ছেলে।

দীপংকর ঘোষ ২০১৯ সালে অগ্রণী ব্যাংকের মতলব উত্তর থানার ছেংগারচর বাজার শাখায় যোগদান করেন। তিনি ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজের পাশে একটি ভাড়া বাসায় একাকী থাকতেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার দীপংকর ঘোষ কর্মস্থলে না এলে তার মোবাইল ফোনে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক কল করেন। ফোনে দীপংকর ঘোষ বলেন, ‘বাবা অসুস্থ, আসতে দেরি হবে।’

ব্যাংক থেকে পরে আবারও দীপংকর ঘোষের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এক পর্যায়ে তার প্রকৃত অবস্থান জানার জন্য দীপংকরের স্ত্রী আঁখি সাহার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী দুপুর ১২টার সময় অফিসের উদ্দেশে ঢাকার বাসা ত্যাগ করেছেন।’

তবে বিকেল হয়ে গেলেও দীপংকর ব্যাংকে না যাওয়ায় ব্যাংকের ভল্ট খোলা সম্ভব হয়নি। পরে তার কার্যকলাপে সন্দেহ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক।

দীপংকর ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং ব্যাংকের ভল্টে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ যথাযথ আছে কি না তা যাচাইয়ের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ৩০ আগস্ট মতলব উত্তর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

১ সেপ্টেম্বর জিডির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মিস্ত্রি দিয়ে ভল্ট খোলা হয়। পরে গণনা করে ভল্টে ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮ টাকা ৭১ পয়সা পাওয়া যায়। তবে ক্যাশে এক কোটি দুই লাখ ৯৯ হাজার ৬৮ টাকা ৭১ পয়সা থাকার কথা ছিল। অর্থাৎ গণনার সময় ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা কম পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি লিমিটেড ছেংগারচর বাজার শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় মামলা করেছি। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে অডিট করে গেছেন। থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।’

মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সানোয়ার হোসেন জানান, ব্যাংকের ক্যাশিয়ার দীপংকর ঘোষ ও অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও থানার ওসি আরও জানান, অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে চার সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। বর্তমানে থানা ও ব্যাংকের উদ্যোগে ঘটনাটির তদন্ত চলছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Salman Rahman is freed from IFIC Banks new board

সালমান রহমানমুক্ত আইএফআইসি ব্যাংকে নতুন পর্ষদ

সালমান রহমানমুক্ত আইএফআইসি ব্যাংকে নতুন পর্ষদ সালমান এফ রহমান। ফাইল ছবি
আইএফআইসি ব্যাংকের আগের পরিচালনা পর্ষদ বুধবার ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন ছয় সদস্যের পর্ষদের নেতৃত্বে রয়েছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এমডি মেহমুদ হোসেন।

দেশের সমালোচিত ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক সালমান এফ রহমানকে সরিয়ে দেয়া হলো আইএফআইসি ব্যাংক থেকে। তার সময়ের পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান ফজলুর রহমান ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

আইএফআইসি ব্যাংকের আগের পরিচালনা পর্ষদ বুধবার ভেঙে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টি জানিয়েছে।

সালমানকে সরিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদও গঠন করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নতুন পর্ষদে চারজন স্বতন্ত্র পরিচালক ও দুজন প্রতিনিধি পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে। আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষা, ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করাসহ জনস্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নতুন ছয় সদস্যের পর্ষদের নেতৃত্বে রয়েছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এমডি মেহমুদ হোসেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশে এমনটি উল্লেখ করা হয়েছে।

নতুন পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হয়েছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মেহমুদ হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবতাদুল ইসলাম ও চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট কাজী মাহবুব কাশেম।

আর ব্যাংকটিতে ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ সরকারি শেয়ার থাকায় সরকারের দু’জন প্রতিনিধি পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা ও যুগ্ম সচিব মুহাম্মাদ মনজুরুল হককে সরকার মনোনীত প্রতিনিধি পরিচালক করা হয়েছে।

২০১৫ সাল থেকে আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন সালমান এফ রহমান। তার ছেলে সায়ান রহমানও ব্যাংকটির পরিচালক ও ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে সরকার পরিবর্তনের পরপরই তিনি বাদ পড়েন।

ব্যাংকটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সালমান এফ রহমান নামে-বেনামে ও কৌশলে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বন্ড ও সুকুক ছেড়ে টাকা তুলেছেন ব্যাংক ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে।

আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যন্ত প্রভাবশালী এই উপদেষ্টা নিজে জাতীয় সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। কয়েক দিন পর পুলিশ তাকে রাজধানী ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আরও পড়ুন:
সালমান এফ রহমান ও পরিবারের হিসাব জব্দের নির্দেশ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
A record of 2 lakh 11 thousand crores in defaulted loans

খেলাপি ঋণে রেকর্ড, ছাড়াল ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা

খেলাপি ঋণে রেকর্ড, ছাড়াল ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে দেশের ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। সবশেষ এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৯ হাজার কোটি টাকার বেশি।

দেশের ব্যাংক খাতের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে খেলাপি ঋণ। এই ফোঁড়ার ব্যথা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। নামে-বেনামে ঋণ প্রদান আর ফেরত না দেয়ার সংস্কৃতি ভোগাচ্ছে পুরো ব্যাংক খাতকে। অবশ্য সব ব্যাংকের ক্ষেত্রে বাস্তবতা এটি নয়। তবে পুরো খাতের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে খেলাপি ঋণ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে দেশের ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। এটা দেশের সব ব্যাংকের প্রদেয় ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ দেশের ৬৪টি ব্যাংক মিলে যত ঋণ দিয়েছে তার সাড়ে ১২ ভাগের বেশি খেলাপি হয়ে পড়েছে।

শঙ্কার বিষয় হলো, খেলাপি হয়ে পড়া এসব ঋণের অর্থ ফেরত আসার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। অর্থনীতিবিদরা বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও খেলাপির সংস্কৃতি থেকে ব্যাংক খাত বেরিয়ে আসতে পারছে না। তাদের ধারণা, খেলাপি হয়ে পড়া ঋণের অর্থের বড় অংশই দেশের বাইরে পাচার হয়ে গেছে।

সদ্য পদত্যাগ করা আওয়ামী লীগ সরকারের নানামুখী ব্যর্থতার মধ্যে অন্যতম এই ব্যাংকের খেলাপি ঋণ। একের পর এক ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়া আর ঋণ জালিয়াতি বন্ধ করতে না পারার ব্যর্থতা আওয়ামী লীগ সরকারের বড় দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, গত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে লোপাট হয়েছে প্রায় ৯২ হাজার কোটি টাকা। আর সেই অর্থ ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না সংস্থাটির গবেষকরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি।

তিন মাস আগে মার্চ প্রান্তিকে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিলো ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে খেলাপি ঋণ ছিলো এক লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি। অর্থাৎ চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৯ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর এই সময়টাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন আবদুর রউফ তালুকদার।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।

জানা গেছে, এসব খেলাপি ঋণ নিয়ে যারা দেশের বাইরে অর্থ পাচার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের সম্পদের খোঁজে কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইতোমধ্যে পাচারের অর্থ পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন দেশকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট- বিএফআইইউ। পাশাপাশি এসব ঋণখেলাপির দেশের ভেতরের সম্পদ জব্দে জোর চেষ্টা চলছে বলেও জানা গেছে। এসব অর্থ আত্মসাৎকারীরর বিদেশে থাকা সম্পদ ফিরিয়ে আনতে সরকারও জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিএফআইইউ থেকে জানা গেছে, আর্থিক খাতের বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান এস আলম, সামিট, বসুন্ধরা, বেক্সিমকো, ওরিয়নসহ অনেক গ্রুপের তথ্য চেয়ে একাধিক দেশে চিঠি দেয়া হয়েছে। আর সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ‍যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশে।

তৎকালীন সরকারের সুনজরে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রভাব খাটিয়ে অর্থ পাচারের পুরো চিত্র বের করতে চেষ্টা চলছে বলেও জানা গেছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গণমাধ্যমে দেয়া নিজের বক্তব্যে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নামে-বেনামে কত টাকা পাচার করেছে তা হিসাব করা হচ্ছে।

এরই মধ্যে দেশের অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র তৈরি করতে কমিটি করে দিয়েছে সরকার। ওই কমিটি দেশের ব্যাংক খাতের পুরো চিত্র জাতির সামনে তুলে ধরবে বলে জানিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে খেলাপি ঋণের পুরো চিত্র উঠে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
14 billion Tk defaulter detained at Ansarul Airport

১৪ শ’ কোটি টাকার ঋণখেলাপি আনসারুল বিমানবন্দরে আটক

১৪ শ’ কোটি টাকার ঋণখেলাপি আনসারুল বিমানবন্দরে আটক আনছারুল আলম চোধুরী। ছবি: সংগৃহীত
ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আনছারুল আলম চৌধুরী সকাল সাড়ে ৮টায় ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে দুবাই যাওয়ার জন্য শাহ আমানত বিমানবন্দরে আসেন। খেলাপি ঋণ থাকায় পুলিশ তাকে আটক করে। তিনি এস আলম গ্রুপের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

দুবাই পালানোর সময় এক হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণখেলাপি আনছারুল আলম চোধুরী নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। তিনি চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আনছার ট্রেডিংয়ের মালিক।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে পতেঙ্গা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন শাখার ওসি মো. তাহইয়াতুল ইসলাম।

আটক ব্যক্তি চট্টগ্রামের উপজেলার কোয়েপাড়া এয়াকুব আলী চৌধুরী বাড়ির মফিজুল আলম চৌধুরীর ছেলে।

ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আনছারুল আলম চৌধুরী সকাল সাড়ে ৮টায় ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে দুবাই যাওয়ার জন্য শাহ আমানত বিমানবন্দরে আসেন। খেলাপি ঋণ থাকায় পুলিশ তাকে আটক করে। তিনি এস আলম গ্রুপের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আনছারুল আলম চৌধুরীর নামে ইসলামী ব্যাংকে এক হাজার ৩০ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। এছাড়া জনতা ব্যাংক থেকে ৩৪০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে এই দুই ব্যাংকেই তিনি মোট এক হাজার ৩৭০ কোটি টাকার ঋণখেলাপি।

আরও পড়ুন:
ওসমানী বিমানবন্দর থেকে আওয়ামী লীগের দুই নেতা আটক
যশোর জেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক ভারতে পালানোর সময় বেনাপোলে আটক
কক্সবাজারের সাবেক এমপি বদি চট্টগ্রামে আটক
সীমান্তে রাসিক কাউন্সিলর, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ আটক চার
হাছান মাহমুদ ঢাকায় বিমানবন্দরে আটক

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
FSIBs new board removes S Alams influence

এস আলমের প্রভাবমুক্ত করে এফএসআইবিতে নতুন পর্ষদ

এস আলমের প্রভাবমুক্ত করে এফএসআইবিতে নতুন পর্ষদ
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (এফএসআইবি) এস আলম গ্রুপের দখলমুক্ত করার পর নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মান্নানকে।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (এফএসআইবি) এস আলম গ্রুপের দখলমুক্ত করার পর নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রোববার বেসরকারি খাতের ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একইসঙ্গে পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়ে পরিচালনা পর্ষদের নতুন বোর্ড গঠন করে দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে এস আলম গ্রুপের দখলে থাকা আরও একটি ব্যাংক মুক্ত হয়েছে।

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুল মান্নানকে এফএসআইবি চেয়ারম্যান করা হয়েছে।

বাকি চার স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক আজিজুর রহমান, উত্তরা ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল কুদ্দুস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষক সাইফুল আলম ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট রাগিব আহসান।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়। সবশেষ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আরও পড়ুন:
এবার এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হলো সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংকে পর্ষদ ভেঙে পাঁচ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ
ভেঙে দেয়া হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ: গভর্নর

মন্তব্য

p
উপরে