চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডিগামী কন্টেইনার ট্রেন চলাচল ২৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ১৮ জুলাই থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে ৮০০ ধারণক্ষমতার স্থলে প্রায় ২৩শ’ কন্টেইনার আটকে রয়েছে।
দ্রুত কন্টেইনার ট্রেন চালু না হলে ধারণ সক্ষমতা ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে কখন কন্টেইনার ট্রেন চালু হবে তা কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বন্দরের আইসিডি ইয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতা ৮শ’ টিইইউএস কন্টেইনার। কিন্তু বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের আইসিডি ইয়ার্ডে ২৩শ’ টিইইউএস কন্টেইনার জমা হয়েছে।
বহির্নোঙ্গরে আরও ঢাকার আইসিডিগামী কন্টেইনার জাহাজ বার্থিংয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। ঢাকা আইসিডিগামী আমদানি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছলে আইসিডি ইয়ার্ডে কনটেইনার সংরক্ষণ কঠিন হয়ে পড়েছে। মূলত ওভারওয়েট ওয়াগন স্বল্পতার কারণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইসিডিয়ামী কন্টেইনার ঢাকা আইসিডিতে পাঠানো না গেলে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন। বাজারে কন্টেইনারে আমদানি করা পণ্যের দাম বৃদ্ধির ঝুঁকি তো আছেই।
চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক অপারেশনাল কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে কন্টেইনার জট তৈরির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর থেকে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। গত ২ আগস্ট এই সংকট নিরসনে বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেনডেন্টকে দেয়া ওই চিঠিতে বন্দরের আইসিডি ইয়ার্ডে সম্ভাব্য অচলাবস্থা কাটিয়ে কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে রেলওয়ের পক্ষ থেকে কন্টেইনার ট্রেনের জন্য ইঞ্জিন বৃদ্ধির অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি ২০ ফুটের ওভারওয়েট কন্টেইনার পরিবহনে সক্ষম ওয়াগন সরবরাহকরণসহ দৈনিক ন্যূনতম ২০০ টিইইউএস ওয়াগন সরবরাহ করতে বিশেষ অনুরোধ করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষে টার্মিনাল ম্যানেজার (কন্ট্রোল) অতীব জরুরি এই চিঠি দেন রেলওয়েকে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বাভাবিক সময়ে রেলওয়ে প্রতিদিন দুই জোড়া ট্রেন চট্টগ্রাম বন্দর-ঢাকা আইসিডিতে কন্টেইনার পরিবহন করতো। দুটি ট্রেনে করে প্রতিদিন বন্দর থেকে পণ্যবাহী কনটেইনার ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঢাকা থেকে দুটি ট্রেনে করে খালি কনটেইনার ও রপ্তানিমুখী কন্টেইনার পরিবহন করতো।
বন্দর থেকে দুটি ট্রেনে প্রতিদিন ১০০ থেকে প্রায় ১২০টি কন্টেইনার নিয়ে যাওয়া হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্দরের জট কমাতে হলে প্রতিদিন দুশটির বেশি কন্টেইনার পরিবহন জরুরি হলেও বন্দরের অনুরোধ রাখতে পারবে না বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘বন্দর থেকে কন্টেইনার ট্রেন চালু করতে আমরা রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। আমাদের অপারেশনাল কাজে বিঘ্ন ঘটছে। বন্দরে চট্টগ্রাম বন্দরের আইসিডি ইয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতা ৮শ’ টিইইউএস কন্টেইনার। সেখানে প্রায় ২৩শ’ টিইইউএস কন্টেইনার জমা হয়েছে। বন্দর থেকে কন্টেইনার খালাস নিতে বুধবারও আমরা রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিটিং করেছি।’
বিষয়টি জানতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেনডেন্ট মো. শহিদুল ইসলামকে একাধিবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
তবে রেলওয়ে সূত্র জানায়, ট্রেন চালানো শুরু হলে সেটি দ্রুত স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা রেলের রয়েছে। আপাতত রেলের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে রাষ্ট্রীয় উচ্চমহল থেকে নির্দেশনা ছাড়া ট্রেন চালানো ও কন্টেইনার ট্রেন বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, অর্থনীতি ও দেশের স্বার্থে পুলিশ, বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় ১ আগস্ট থেকে শুধু কনটেইনার পরিচালনা করে রেলওয়ে। বর্তমানে দেশীয় পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন স্টেশন এলাকায় ট্রেন, কোচ, ইঞ্জিন ও রেলের সম্পদের ওপর আঘাত আসছে। এ অবস্থায় রেল ও পণ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন রেলের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করছে, দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে এমনিতে দেশের অর্থনীতি সংকটের মধ্যে পড়েছে। এর মধ্যে বন্দরে আমদানি হওয়া কন্টেইনার আইসিডিতে নিয়ে যেতে বিলম্ব হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। এমতাবস্থায় রেলপথের বাড়তি নিরাপত্তা দিয়ে হলেও অন্তত কন্টেইনারবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করাটা জরুরি।
আরও পড়ুন:দেশের অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে সব সংকট সমাধানে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজিএমইএ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম।
বৈঠকে বিজিএমইএ নেতারা বিএনপির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী গার্মেন্ট শিল্পে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। তবে সব জায়গায় তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপির স্থানীয় নেতাসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা সার্বক্ষণিক আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। কোথাও কোথাও তারা পাহারা দিচ্ছেন।’
তারা বলেন, ‘বিএনপির স্থানীয় নেতারা আমাদের জানিয়েছেন যে দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তারা গার্মেন্টস শিল্প রক্ষায় এগিয়ে এসেছেন।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম ব্যবসায়ীদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং গার্মেন্টস শিল্পের নিরাপত্তা জোরদারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে কথা বলবেন বলে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন।
এ সময় বিজিএমইএ নেতাদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে সব সংকট সমাধানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক বাণিজ্য উপদেষ্টা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিজিএমইর সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব, সহ-সভাপতি রকিবুল আলম, পরিচালক শোভন ইসলাম, নুরুল ইসলাম ও আবসার হোসেন, সাবেক সভাপতি এস এম ফজলুল হক, কাজী মুনির, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, আবুল কালাম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:বিকল্প নতুন কোনো পদ্ধতি চালু না হওয়া পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, সোমবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠক করেন। বৈঠকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সার্বিক বিষয় ও চলমান কার্যক্রম অর্থ উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করা হয়। উপদেষ্টার সম্মতিতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম যেভাবে চলছে, সেভাবেই চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সোমবার একটি বৈঠক করেছেন। এ সময় স্কিম সম্পর্কে উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। স্কিমটি যেভাবে চালু আছে সেভাবেই চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বার্তা সংস্থাটিকে বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন বিষয়ে আমরা সামনের দিকে কী করব, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমাদের যে চারটি স্কিম রয়েছে সেগুলো এবং সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। এখন পর্যন্ত আমরা কী করেছি সে সম্পর্কে তাকে অবহিত করেছি। তার আলোকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।’
তিনি আরও বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশনের কার্যক্রম আমরা অব্যাহত রাখব। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নতুন কোনো স্কিম ঘোষণা না করি, এই স্কিমগুলো যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে।’
পেনশন স্কিমের চাঁদা বিনিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ১১৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। সম্পূর্ণই সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।’
দেশের সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়।
গত বছরের ১৭ আগস্ট সাবেক প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন। প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা- প্রাথমিকভাবে এই চারটি স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন চালু হয়। পরে সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামে নতুন স্কিম চালুর ঘোষণা দেয়া হয়।
গত ১ জুলাই থেকে এই স্কিম কার্যকর হয়। তবে শিক্ষকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিল করা হয়। সে হিসেবে বর্তমানে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা এই চারটি স্কিম চালু রয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে চাঁদা পরিশোধ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন তিন লাখ ৭২ হাজার ৯৪ জন। আর তাদের জমা দেয়া চাঁদার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২৩ কোটি ৫৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১১৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
এদিকে পেনশন স্কিমে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন দরিদ্ররা, যাদের বার্ষিক আয় সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা। এই আয়ের মানুষদের জন্য চালু করা হয়েছে সমতা স্কিম। এই স্কিমের মাসিক চাঁদার পরিমাণ এক হাজার টাকা। এর মধ্যে ৫০০ টাকা স্কিম গ্রহণকারী দেবেন এবং বাকি ৫০০ টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত এই স্কিমে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দু’লাখ ৮৫ হাজার জন। আর জমা পড়া চাঁদার পরিমাণ ৪০ কোটি ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সম্পন্নকারীদের ৭৭ শতাংশই দরিদ্র মানুষ।
অর্থ মন্ত্রণালয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পেনশন স্কিমে নিবন্ধন কাজের গতি অনেকটাই কমে গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হলে এবং সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে যখন প্রচারণা চালাবে তখন গতি আবার আগের পর্যায়ে চলে আসবে। নিবন্ধনের হারও অনেক বাড়বে।
বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারতীয় লাইন অফ ক্রেডিট (এলওসি) প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এগুলো অব্যাহত থাকবে বলে পুনর্ব্যক্ত করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘এগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এবং আমরা এগুলো অব্যাহত রাখব।’
উপদেষ্টা এই প্রকল্পগুলো অগুরুত্বপূর্ণ মনে হওয়ার কোনো অবকাশ রাখেননি।
আলোচনাকালে ড. সালেহউদ্দিন ভারতীয় হাইকমিশনারকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।’
ভারতের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্বীকার করে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ড. সালেহউদ্দিন ভবিষ্যতে সহযোগিতার পারস্পরিক সুবিধার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সহযোগিতা বাড়বে এ প্রত্যাশায় রয়েছি।’
ভারতের বিদ্যমান তিনটি এলওসি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও বিতরণ চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং ভারতীয় পক্ষ এ বিষয়ে মতামত নিয়েছে।
ভারতকে প্রতিবেশী ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার উল্লেখ করে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, দুই দেশ তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় খুঁজছে।
ভারতের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরে ড. সালেহউদ্দিন জোর দিয়ে বলেন, এগুলো বাংলাদেশের চাহিদার আলোকে শুরু করা হয়েছে। যদিও কিছু বিতরণ সমস্যা রয়েছে, আমরা সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।’
ভবিষ্যতের জন্য ভারতীয় অর্থায়নের আওতায় নতুন প্রকল্পগুলোর সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমাদের যা আছে তা নিয়ে আমরা থেমে থাকব না। ভবিষ্যৎ প্রকল্প, সেগুলোর অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা চলছে।’
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার বিষয়টি স্বীকার করে এটি মোকাবিলা করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা।
তিনি আরও জানান, ভারতীয় হাইকমিশনার তাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে উভয় পক্ষেরই যেন সুবিধা হয় এমনভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আরও মানসম্পন্ন রপ্তানিকে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা চলছে।
বাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং গবেষণাগারের উন্নয়নে সহায়তা দিয়ে থাকে ভারত।
ভারত বাংলাদেশে তাদের কোনো এলওসি প্রকল্প বন্ধ করেনি জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘এই প্রকল্পগুলো চলমান এবং বিভিন্ন খাতে বিস্তৃত বড় উদ্যোগ। ঠিকাদাররা আবার কাজে ফিরবেন।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পৃক্ততার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ভার্মা বলেন, 'আমরা সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত রয়েছি এবং উপদেষ্টার সঙ্গে আমার বৈঠক তার প্রমাণ।’
প্রকল্প বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে হাইকমিশনার বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এগুলো সমাধান করা হবে।
ভারতীয় অর্থায়নে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেন হাইকমিশনার এবং এই প্রকল্পগুলো এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে জোর অঙ্গীকার জানান।
বাংলাদেশ ও ভারত এ পর্যন্ত তিনটি লাইন অফ ক্রেডিট চুক্তি সই করেছে। প্রথমটি ৮৬২ মিলিয়ন ডলারের, যা ২০১০ সালের আগস্টে সই হয়। দ্বিতীয়টি দুই বিলিয়ন ডলারের, যা ২০১৬ সালের মার্চে সই হয় এবং তৃতীয়টি সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের, যা ২০১৭ সালের মার্চে সই হয়।
আরও পড়ুন:দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রোধে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এসেছে ১৩ হাজার ৯১০ কেজি মুরগির ডিম।
এর আগে প্রথম ৬১ হাজার ৯৫০টি মুরগির ডিম আমদানি করা হয় গত বছরের ৫ নভেম্বর।
বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরীক্ষণ শেষ করে ডিমগুলো যত দ্রুত সম্ভব ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, আমদানি করা এসব ডিমের ইনভয়েস মূল্য ১১ হাজার ২৭২ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের মূল্য দশমিক ৫৬ ডলার। সে অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫ টাকা। এ ছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ ১ টাকা ৬৬ পয়সা যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৭ টাকার মতো।
ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলুশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই চালানে ১৩ হাজার ৯১০ কেজি ডিম আমদানি করেছে। এসব ডিম রপ্তানি করেছে ভারতের শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি ছাড়করণের জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কাগজপত্র দাখিল করেছে সিএন্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।
বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল ডিমের পরীক্ষণ সম্পর্কে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের কাগজপত্র পেয়েছি। এখানে ডিম পরীক্ষার কোনো যন্ত্রপাতি নেই। ভারতীয় সার্টিফিকেটের ওপর ভিত্তি করে এখান থেকে ডিমের ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে। তাছাড়া দৃশ্যমান কোনো সমস্যা থাকলে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার অথেলো চৌধুরী বলেন, ‘ডিমের চালানটি রোববার সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। ডিম আমদানির ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমসের ভ্যাট-ট্যাক্স রয়েছে। সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের পর পরীক্ষণ করা হবে। এরপর ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশাকে চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে।
সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক- বাণিজ্য সংগঠন) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, নিয়োগকৃত প্রশাসক চার মাসের (একশত বিশদিন) মধ্যে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে তা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন।
মূল্যস্ফীতি কমানোর বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে সরকারের এই উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। সূত্র: ইউএনবি
অর্থনীতিতে চাঁদাবাজির প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বার বার আহ্বান জানিয়েছি। এ বিষয়ে কখনোই নেতিবাচক অবস্থান নিইনি এবং অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘চাঁদাবাজি মোকাবিলা করা কেবল অর্থনৈতিক বা বাণিজ্য সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নয়, এর সঙ্গে রাজনৈতিক মূল্যায়ন এবং সামাজিক মূল্যবোধও জড়িত। যখন এক দল বেরিয়ে যায়, তখন অন্য দল অনিবার্যভাবে ওই শূন্যস্থানে চলে আসে। এই সমস্যাটি পুরোপুরি সমাধান করতে কিছুটা সময় লাগবে।’
আগস্টে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি আশা ব্যক্ত করেন, মূল্যস্ফীতির প্রবণতা নিম্নমুখী হওয়ায় জনগণের কাছে এই বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে।
‘মুদ্রাস্ফীতি পরিচালনা করা কেবল সরবরাহ বাড়ানোর চেয়ে আরও বেশি কিছু প্রয়োজন। এটি বিভিন্ন সম্পর্কিত কারণগুলো তুলে ধরার সঙ্গে জড়িত।
ড. সালেহউদ্দিন আশ্বস্ত করে বলেন, ঘাটতি রোধে সয়াবিন তেল ও রাইস ব্র্যান অয়েলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
‘খুচরা দামও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমার অবস্থান হলো, ভোক্তাদের ওপর বাড়তি বোঝা চাপানো উচিত নয়।’
দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে কঠোরভাবে বাজার তদারকি করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেন ড. সালেহউদ্দিন।
সরকারের পদক্ষেপের সুষ্ঠু মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম রাতারাতি কমবে না।’
অতীতের মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা তুলে ধরে ড. সালেহউদ্দিন পূর্ববর্তী প্রশাসনের দায়িত্বজ্ঞানহীন অর্থ মুদ্রণের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ওই সিদ্ধান্তের কারণে মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে।
ইউএনডিপির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ইউএনডিপি চলমান প্রকল্পগুলোতে শুধু সহযোগিতাই অব্যাহত রাখছে না, বরং নতুন নতুন উদ্যোগেরও প্রস্তাব দিচ্ছে। ইউএনডিপি সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টা, বিশেষ করে সবুজ প্রযুক্তি খাতে সমর্থন এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের উত্তরণে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর অদূরে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে সোমবারও বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। অন্যদিকে আলিফ ভিলেজ লিমিটেড গ্রুপের তিনটি তৈরি পোশাক কারখানায় ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পরে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কমপক্ষে ৫০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।
ইউএনবি জানায়- বিক্ষোভ, ভাংচুর, লুটপাটের এ ঘটনায় শিল্পাঞ্চলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগে ১১ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল দিচ্ছেন সেনা, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।
হামলা-ভাঙচুরের শিকার তৈরি পোশাক কারখানাগুলো হলো- আশুলিয়া ইউনিয়নের টঙ্গাবাড়ি এলাকার আলিফ ভিলেজ লিমিটেডের আলিফ এমব্রয়ডারি ভিলেজ লিমিটেড, লাম মিম অ্যাপারেলন্স লিমিটেড ও লাম মিম অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড।
আলিফ ভিলেজ লিমিটেড গ্রুপের আশুলিয়া জোনের ম্যানেজার মো. রেফাই সিদ্দিক বলেন, ‘আজ (সোমবার) সকাল থেকেই কারখানায় প্রায় এক হাজার ৫০০ শ্রমিক কাজ করছিলেন। কিছু সময় পর মাস্ক পরা দুশ’ থেকে তিনশ’ লোক হঠাৎ করে তিনটি কারখানায় একযোগে হামলা করে। তারা কারখানাগুলোর মূল গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।’
তিনি বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা কারখানার ডিজিটাল মেশিন, কম্পিউটার, ফায়ার কন্ট্রোল প্যানেল, বিদ্যুতের সাব-স্টেশন, মেডিক্যাল সরঞ্জামাদি, সিসি টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, গার্ডেনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর করে। এছাড়াও কারখানা থেকে মূল্যবান পোশাক, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেল ও মেশিন লুট করে নিয়ে যায়।’
কারখানার ডিজিটাল মেশিনগুলো ভেঙে ফেলায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান রেফাই সিদ্দিক।
তিনি আরও বলেন, ‘ভাঙচুরে বাধা দেয়ায় কারখানার নিরাপত্তাকর্মীসহ ২০ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে হামলাকারী দুর্বৃত্তরা।’
অন্যদিকে হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল বাড়ানো, বকেয়া বেতনসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন তৈরি পোশাক কারখানা ইউফোরিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য