গ্রাহকের আস্থায় দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকা সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আফজাল করিম বলেছেন, সেবায়ও সবার ওপরে থাকতে চায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি।
দেশের সর্ববৃহৎ ব্যাংকের এমডি মনে করেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
এক সাক্ষাৎকারে সোনালী ব্যাংকের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ এ ব্যাংক কর্মকর্তা।
২০২৩ সালে সোনালী ব্যাংক পিএলসি পরিচালন মুনাফা করে ৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। এ তথ্য অনেকেরই জানা।
দেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় ব্যাংক মুনাফা করবে সেটাকেও অনেকে স্বাভাবিক ভাবতে পারেন, তবে শেষ হওয়া বছরে সোনালী ব্যাংকের উন্নতির গল্পটা ছিল অবাক করার মতো।
পরিচালন মুনাফা যেখানে আগের বছর ছিল ২ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা, বছরের ব্যবধানে তা বেড়েছে ১ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা, শতকরা হিসাবে যা ৫৬ শতাংশেরও বেশি।
শুধু এই একটি অর্জনই নয়, গত বছর শেষে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকটির ঋণ বিতরণ ছাড়ায় এক লাখ কোটি টাকার ঘর, যেখানে প্রবৃদ্ধি ১৯ শতাংশ।
এ বছর প্রথম ব্যাংক হিসেবে সোনালী ব্যাংক নিজের দখলে নিয়েছে দেড় লাখ কোটি টাকার আমানত।
যার নেতৃত্বে একের পর এক এমন অভাবনীয় অর্জন সম্ভব হয়েছে, তিনি ব্যাংকটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম। ২০২২ সালের আগস্টে সোনালী ব্যাংকের দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি ছিলেন বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও সেবার মানোন্নয়নের মাধ্যমে ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল করতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সোনালী ব্যাংক ব্যাপকভাবে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, জনসাধারণকে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধকরণে বিভিন্ন ধরনের আমানত প্রোডাক্ট প্রবর্তন করা হয়েছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ঘটিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে শিল্প প্রকল্প ঋণ, আমদানি-রপ্তানি ঋণ, কৃষিঋণ, ক্ষুদ্র ব্যবসা ঋণ, এসএমই ঋণসহ বিভিন্ন ঋণ স্কিমের মাধ্যমে তাদের সহায়তা প্রদান করে আসছে ব্যাংকটি।
বিচক্ষণ এ ব্যাংকার মনে করেন, সম্ভাবনাময় খাতে ঋণ বিতরণ আর পুরোনো খেলাপি ঋণ উদ্ধার হলেই কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে যাওয়া সহজ হবে। এ জন্য তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন সিএসএমই খাতে।
গ্রাহককে সবচেয়ে আধুনিক সেবা দিতে পুরো টিম কাজ করছে জানিয়ে আফজাল করিম বলেন, এরই মধ্যে অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে ঘরে বসেই গ্রাহক প্রায় সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছেন, যার পরিসর আরও বাড়ানো হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটালাইজড সেবা দিতে কোনোভাবেই পিছিয়ে নেই। সার্ভিস যদি অটোমেটেড হয়, সার্ভিস যদি ডিজিটালাইজড হয়, সেখানে গ্রাহক হয়রানি ও ভোগান্তি থাকে না। গ্রাহক যদি লম্বা লাইনে না দাঁড়িয়ে ঘরে বসেই সেবা পায়, তাহলে সে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।’
ই-সেবা
সোনালী ই-ওয়ালেট, ই-সেবার মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাহকদেরও আধুনিক সেবা দেয়া হচ্ছে জানিয়ে সোনালী ব্যাংকের এমডি বলেন, ই-ওয়ালেট এখন পর্যন্ত এক লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে।
তার ভাষ্য, গ্রাহকের আস্থার দিক থেকে যেহেতু সোনালী ব্যাংক সবার চেয়ে এগিয়ে, তাই আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিয়ে তাদের আস্থার মূল্য দিতে চায় ব্যাংকটি।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু বেসরকারি ব্যাংকেই আধুনিক সেবা পাওয়া যায়, সাধারণ মানুষের এই ধারণা বদলে দিতে কাজ করছেন।
শিক্ষাগত জীবনে প্রকৌশলী হিসেবে ব্যাকিং সেক্টরে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিগত চিন্তা এবং এর সর্বোচ্চ প্রয়োগ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনি অন্যদের থেকে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বেসরকারি ব্যাংক স্মার্ট সেবাতে এগিয়ে রয়েছে, আমরা পিছিয়ে রয়েছি, এটা বলার সুযোগ নেই।’
আফজাল করিম বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংকের মতো বৃহৎ ব্যাংকও আমাদের সোনালী ই-সেবা পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস নিয়েছে। বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এখন আমাদের ই-সেবা নিচ্ছে।
‘শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই তাদের টিউশন ফি দিতে পারছে। বেসরকারি খাতের বেশ কয়েকটি ব্যাংক আমাদের সঙ্গে চুক্তি করে আমাদের সার্ভিস নিচ্ছে।’
ঋণ বিতরণ নিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি যখন আসি, তখন মোট ঋণ ছিল ৬৯ হাজার কোটি টাকা। সেখানে সিএসএমই খাত ছিল মাত্র ৭ শতাংশ। সেটা বর্তমানে হয়েছে ১৫ শতাংশ।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আমরাও মনে করি, এসএমই ঋণ দিলে পুরো অর্থনীতি পরিবর্তন হবে। এ খাতে রিকভারিও যথেষ্ট ভালো। খেলাপির প্রবণতা খুব কম।’
মূলধন ঘাটতি শূন্যে নামানোর আশা
ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি শূন্যে নামানোর আশাবাদ ব্যক্ত করে মেধাবী এ ব্যাংকার বলেন, ‘বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা, যা কয়েক বছরের মধ্যে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া ব্যাংকটির নেট ইন্টারেস্ট আয় গত বছর হয়েছে ৮২৬ কোটি টাকা, যেখানে প্রায় ৩০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তবে অর্জনে সন্তুষ্ট না হয়ে পুরোনো খেলাপি কমিয়ে আনা ও নতুন খেলাপি রোধ করতেই সবচেয়ে বেশি নজর দেয়া হচ্ছে।’
সোনালী ব্যাংক দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বিনা খরচে, দ্রুততম সময়ে ও নিরাপদভাবে রেমিট্যান্স পাঠাতে ‘সোনালী এক্সচেঞ্জ মোবাইল অ্যাপ’ চালু করেছে ব্যাংকটি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডলার-সংকট বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ তৈরি করছে, বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। তবে দেশে যেভাবে রেমিট্যান্স আসছে, তা অব্যাহত থাকলে এ সংকট দ্রুত কেটে যাবে।
রেমিট্যান্স টানতে কোনো কোনো ব্যাংক ডলারের বাড়তি দাম দিচ্ছে, যা মোটেও কাম্য নয় বলে মনে করেন তিনি।
মূল্যস্ফীতি কমাতে ব্যাংকগুলোর ভূমিকা জোরদারের কথাও বলেন মো. আফজাল করিম। তার মতে, ডলারের দর বাড়লে তাতে আমদানি খরচ বাড়বে, যার প্রভাবে বাড়বে মূল্যস্ফীতি। এ জন্য ডলারের দরে ব্যালেন্স রাখতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে অর্থবছরের শেষ দিন আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সব ব্যাংকের শাখাগুলোতে ব্যাংকিং লেনদেন চলবে।
সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৩০ জুন সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। তিনি বলেন, গত অর্থবছরের চেয়ে এবার বেশি রাজস্ব আদায় হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।
সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে নারী কেলেং্কারীসহ দুর্নীতি, অর্থপাচার, শেয়ার কারসাজি ও যৌন হয়রানিসহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন ব্যাংকের এক গ্রাহক
গতকাল বুধবার (২৫ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এসব অভিযোগ তুলে লিখিত আবেদন জমা দেন শিমুল সর্দার নামে এক গ্রাহক। একই অভিযোগে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং আর্থিক খাত বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার কাছেও চিঠি পাঠিয়েছেন।
দুদকে দেওয়া ১০ পাতার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আলমগীর কবির দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ— তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নামে-বেনামে ঋণ দিয়েছেন, চলতি ঋণের সুদ মওকুফ করেছেন এবং অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে একক সিদ্ধান্তে ঋণ অনুমোদন করেছেন। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে বর্তমানে সাউথইস্ট ব্যাংকের হাজার কোটি টাকার আমানত ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবির ব্যাংকটির অর্থ সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনায় একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেছিলেন। ব্যাংকের প্রতিটি বড় সিদ্ধান্ত—যেমন নতুন শাখা খোলা, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, বুথ বসানো, সফটওয়্যার কেনা ইত্যাদিতে তার একক নিয়ন্ত্রণ ছিল। এসব কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই ছিল তার আত্মীয়স্বজন বা ঘনিষ্ঠজনদের মালিকানাধীন।
সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন অভিযোগকারী। অভিযোগে বলা হয়, আলমগীর কবির একাধিক নারী কর্মকর্তাকে নিজের অফিসে ডেকে নিয়ে তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করেছেন। এসব ঘটনার কিছু প্রমাণ ইতোমধ্যে ভুক্তভোগীদের কাছে রয়েছে এবং তারা আইনগত পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি নিজের পছন্দের কিছু নারীকে ব্যাংকের অধীনস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘গ্রিন স্কুল’ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড’-এ চাকরি দিয়েছেন বলেও অভিযোগে জানান।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, শেয়ার কারসাজির অভিযোগে আলমগীর কবিরকে ইতোমধ্যে ১২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে সাউথইস্ট ব্যাংকের ২৩২ কোটি টাকা বে লিজিংয়ে বিনিয়োগ করা হয়, যা বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৪-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড বর্তমানে আর্থিকভাবে এতটাই দুর্বল যে, প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকের পাওনা ফেরত দিতে পারছে না।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বে লিজিংয়ের পুঞ্জীভূত লোকসান দাঁড়ায় ১৭২ কোটি টাকায়। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান চেয়ারম্যান সুরাইয়া বেগম—যিনি আলমগীর কবিরের স্ত্রী—তাঁর মাধ্যমে ব্যাংকটির সঙ্গে বে লিজিংয়ের লেনদেন ‘ব্যাংকসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে লেনদেন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এতে করে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ২৭ (১-খ) ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আলমগীর কবির ব্যাংকের ফাউন্ডেশন ও শিক্ষা বিভাগের তহবিল থেকেও অর্থ তুলে এনে বে লিজিংয়ে সরবরাহ করেছেন। ব্যাংকের মেয়াদি আমানত ও কলমানির অর্থ আটকে আছে ওই প্রতিষ্ঠানটিতে। বারবার চিঠি পাঠিয়েও কোনো অর্থ ফেরত পায়নি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। শুধু মূলধন নয়, প্রতিষ্ঠানটি সুদও পরিশোধ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ২৯ তম বার্ষিক সাধারন সভা ২৪ জুন ২০২৫ইং তারিখে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০২৪ইং সালের নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন এবং ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব মোস্তফা কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীর পরিচালক মিসেস বিউটি আক্তার, ব্যারিষ্টার হাসান রাজিব প্রধান, জনাব মনজুর মো: সাইফুল আজম এফসিএমএ, মিসেস তাহমিনা বিনতে মোস্তফা, জনাব তায়েফ বিন ইউসুফ, মিসেস তানজিমা বিনতে মোস্তফা, জনাব ওয়াশিকুর রহমান, জনাব তানভীর আহমেদ মোস্তফা , মিসেস সামিরা রহমান, মিসেস তাসনিম বিনতে মোস্তফা, জনাব মোঃ বেলায়েত হোসেন ভূইয়া, জনাব মোহাম্মদ সাইদ আহমেদ রাজা এবং মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সানা উল্লাহ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা শেখ বিল্লাল হোসেন এফসিএ, কোম্পানীর অডিটর এ.কে.এম. আমিনুল হক এফসিএ, সিনিয়র পার্টনার মেসার্স এ.হক এন্ড কোং চাটার্ড একাউন্টেন্টস এবং আবদুর রহিম মিয়া, এফসিএ, পার্টনার মেসার্স ইসলাম জাহিদ এন্ড কোং, চাটার্ড একাউন্টেন্টস, মোঃ ফিরোজুল ইসলাম সিনিয়র এক্সিঃ ভাইস প্রেসিডেন্ট (অর্থ ও হিসাব) ও কোম্পানী সচিব মো: মাসুদ রানা এবং কোম্পানীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার সভায় সংযুক্ত ছিলেন।
মেঘনা ব্যাংক পিএলসি’র ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২৩ জুন ২০২৫, সোমবার রাজধানীর মহাথালীতে অবস্থিত ম্যাডোনা টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের সম্মানিত চেয়ারপার্সন মিসেস উজমা চৌধুরী।
বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান জনাব তানভীর আহমেদ, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মো. আলী আক্তার রেজভী, এফসিএ এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ মামুনুল হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক জনাব রজব আলী, জনাব এম. নজরুল ইসলাম এবং জনাব হাবিবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব কাজী আহ্সান খলিল এবং ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি সচিব জনাব সজিব কুমার সাহা, এফসিএ এবং ব্যাংকের সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ।
সভায় ব্যাংক নিজেদের পরিষেবা বৃদ্ধি, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি প্রচারণা, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
সম্প্রতি সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. বরিশাল জেলায় অবস্থিত বিভিন্ন স্কুল থেকে আগত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকদের নিয়ে লিড ব্যাংক হিসেবে ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা এর নির্দেশনায় “স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স-২০২৫” আয়োজন করেছে।
উক্ত কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ইমতিয়াজ আহমেদ মাসুম, নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), বাংলাদেশ ব্যাংক, বরিশাল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আবিদুর রহমান চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি., জনাব মোঃ আলী হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক, ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা, জনাব মোঃ হারুনুর রশিদ, জেলা শিক্ষা অফিসার, বরিশাল এবং সম্মানিত অতিথি জনাব মোঃ মাহাবুব-উল আলম, উপপরিচালক, ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা।
উক্ত কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন সাউথইস্ট ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ রাশেদুল আমিন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে উক্ত কনফারেন্সে জাহানারা ইসরাইল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বরিশাল থেকে রাবিয়া কামাল (দশম শ্রেণী) এবং বরিশাল জেলা স্কুল, বরিশাল থেকে মোঃ হাসনাইন বিন কবির (দশম শ্রেণী) বক্তব্য রাখেন।
উক্ত কনফারেন্সে বরিশাল জেলার ৪৫ টি তফসিলী ব্যাংকের ৪৫ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে ১৮০ জন শিক্ষার্থী ও ৪৫ জন শিক্ষক এবং অতিথি সহ সর্বমোট ৩৫০ জন অংশগ্রহণ করেন। কনফারেন্সে বক্তারা শৈশব থেকেই সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও দায়িত্বশীল অর্থ ব্যবস্থাপনার অভ্যাস গড়ে তোলা ও আধুনিক ব্যাংকিং প্রযুক্তির সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচিত করানোর লক্ষ্যে স্কুল ব্যাংকিং এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়াও স্কুল ব্যাংকিং এর উপর নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী, র্যালী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কনফারেন্সের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৪০তম সভা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, গুলশান-১, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মুঃ ফরীদ উদ্দীন আহমদ। সভায় পর্ষদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম জাহীদ, জনাব মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সর্বজনাব শফিউদ্দিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ ইকবাল কার্যপোলক্ষ্যে সভায় যোগদান করেন। সভায় ব্যাংকের ব্যবসা বাণিজ্য, আমানত ও রেমিট্যান্স সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ আদায়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
জনতা ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান ১৫ জুন রোববার জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজ ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত ২৫ (পঁচিশ) দিন ব্যাপী ফাউন্ডেশন কোর্স ফর অফিসার্স (ব্যাচ ০৫/২০২৫) শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন করেন। উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে জনতা ব্যাংকের ৫০ জন সিনিয়র অফিসার অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজের ডিজিএম-স্টাফ কলেজ ইনচার্জসহ অন্যান্য নির্বাহী ও অনুষদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য