নতুন বিনিয়োগকারী আসছেন না পুঁজিবাজারে। পুরনোরাও বিনিয়োগ নিয়ে শঙ্কায়। অনেকে আছেন বিনিয়োগ খোয়ানোর যন্ত্রণায়। দিন দিন শেয়ারবাজারবিমুখ হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
দেশের পুঁজিবাজারে ২০১৫ সালের জুন মাসের শেষে বিনিয়োগকারী ৩১ লাখ ৯৫ হাজার ছাড়িয়েছিল। বর্তমানে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১৭ লাখ ৫৬ হাজার। সে হিসাবে গত ৮ বছরে বিনিয়োগকারী কমেছে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার বা ৪৫ শতাংশ।
বিনিয়োগকারীদের এমন বাজার-বিমুখতার পেছনে পুঁজিবাজারের প্রতি তাদের অনাস্থাই প্রধানত দায়ী বলে মনে করছেন বাজার-বিশ্লেষকরা। এছাড়া শেয়ার নিয়ে কারসাজি, রেগুলেটরদের হুটহাট সিদ্ধান্তসহ বেশ কিছু সমস্যার কারণে বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এসব সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পুঁজিবাজারে কখনোই বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়বে না বলে মনে করছেন তারা।
তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কর্তৃপক্ষ বলছেন অন্য কথা। তারা বলছেন, আইপিওতে (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) প্রত্যাশিত মুনাফা না পাওয়ায় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমেছে। এ ছাড়া দীর্ঘ মন্দায় থাকায় অনেকে পুঁজিবাজার থেকে বেরিয়ে গেছে।
ডিএসই বলছে, ২০১৫ সালের মাঝামাঝিতে প্রায় বত্রিশ লাখ বিনিয়োগকারী ছিল। মূলত আইপিওকে কেন্দ্র করে এত বেড়েছিল। কিন্তু আইপিওতে প্রত্যাশিত লাভ না পাওয়ায় বিও সংখ্যা কমতে থাকে। অবশ্য অনেকে লোকসানে পড়ে পুঁজিবাজার ছেড়েছেন। তবে তাদের সংখ্যাও কম না।
লোকসানে পড়ে পুঁজিবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন সেগুনবাগিচায় বসবাসকারী বিনিয়োগকারী সুমাইয়া মেরি। বর্তমানে ব্যাংক কর্মকর্তা। রয়েল ক্যাপিটালের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হোল্ডার তিনি, বিনিয়োগ করেন পুঁজিবাজারে ৩ লাখ টাকা। তিনি বলেন, ২০১০ সালের মাঝামাঝিতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে লাভেই ছিলাম। কিন্তু ওই বছর ধসে আমার পুঁজির ৩০ শতাংশ হারিয়েছি। এরপর বাজার থেকে বের হয়নি। ভেবেছি উত্থান-পতন থাকবে। অপেক্ষা করেছি উত্থানের। লোকসান কমাতে ব্যাংক শেয়ারের প্রতি নজর দিয়েছি। পরে হাতে ধারণ করা ৭৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রয় করে ব্যাংকের শেয়ার কিনেছি। কিন্তু ব্যাংকের শেয়ার কিনেও লোকসান বৃত্ত কমাতে পারিনি। পরে দিশেহারা হয়ে ২০২৯ সালে বাজার থেকে বেরিয়ে এসেছি। বের হওয়ার সময় ২ লাখ নিয়ে বের হয়েছি।
মতিঝিলে কথা হয় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক হুমায়ুন রশিদের সঙ্গে। তিনি প্রাইম সিকিউরিটিজের বিওহোল্ডার ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে কয়েক ধাপে মোট ৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার একটা স্মার্ট বিনিয়োগ জায়গা। সহজে বিনিয়োগ করে ভালো মুনাফা করা যায়। এটা ভেবেই ২০১৪ সালে পুঁজিবাজার বিনিয়োগ করি। প্রথম ভালো করি। এক বছরের মধ্যেই ২০ শতাংশ লাভের মুখ দেখেছি। মায়ের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে পরে আরো বিনিয়োগ করি। সেই টাকা দিয়ে বেশকিছু ভালো কোম্পানির শেয়ার কিনি। এতে আমার সর্বনাশ শুরু হলো। এরপর থেকে লোকসান গুনতে হলো। ২০১৯ সালের আমার পুঁজির ২৮ শতাংশ লোকসান গুনতে হয়। পরে এই তালিকা আরও বড় হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে হারানোর চাপ না নিতে পেরে ৩১ শতাংশ পুঁজি হারিয়ে বের হয়ে আসি ২০২২ সালের শেষ দিকে। পুঁজিবাজার বিনিয়োগ করে পুঁজি হারিয়ে রেব হয়ে এসেছে আবিদা, মনজুরুলসহ অনেক বিনিয়োগকারী।
কথা হয় চাকরিজীবী জোবায়দা আন্জুমানের সঙ্গে। তিনি লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের বিওহোল্ডার। কয়েক ধাপে ছয় লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। সম্প্রতি কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার কিনে বর্তমানে পুঁজির ২২ শতাংশ হারিয়ে বসে আছেন তিনি। ভাবছেন লোকসানেই বিক্রি করে বের হবেন। কিন্তু হতে পারছেন না। ফ্লোর প্রাইস আরোপের কারণে তার হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না। তার ধারণ করা কোম্পানির ৭০ শতাংশ শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে।
পুঁজি হারিয়ে ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে এ রকম অগণিত বিনিয়োগকারী। এরকম হারানোর শত কষ্ট সহ্য করে নীরবে সুযোগ পেলেই বাজার ছাড়ছেন। কেন ছাড়ছেন, তাদের কথা শোনার সময় হয় না নিয়ন্ত্রকদের। তারা (নিয়ন্ত্রক) এখন দেশের বিনিয়োগকারীদের হারিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারী খুঁজছেন। কিন্তু পুঁজিবাজারের এমন পরিস্থিতি ঠিক করার কথা ভবছেন না। নিয়ন্ত্রকরা বিদেশে গিয়ে রোড শো করছেন বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে। কিন্তু দেশি বিনিয়োগকারীদের ফিরিয়ে আনতে গঠনমূলক কর্মকাণ্ড নেই তাদের। পুঁজিবাজারে প্রতি নিয়ন্ত্রকদের এ ধরনের বৈরী আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাজার থেকে বেরিয়ে আসা বিনিয়োগকারীরা। বলছেন, গত আট বছরে ১৪ লাখের বেশি বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজার থেকে বেরিয়ে এসেছে। এখনো বের হচ্ছে। সবাই কষ্ট পেয়ে বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু এসবে টনক নড়ছে না শেয়ারবাজার রেগুলেটরদের।
পুঁজিবাজার প্রাণশক্তি হলো বিনিয়োগকারী জানিয়ে বাজার বিশ্লেষক ও অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ১৮ কোটি জনগণের মধ্যে পুঁজিবাজারে সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী, যা অতি নগণ্য।
পুঁজি হারিয়ে পুঁজিবাজার ছেড়েছেন বা ছাড়ছেন, এটা শুনতে খারাপ লাগছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা কেন বাজার ছাড়ছেন এটা রেগুলেটরদের গভীরভাবে ভাবতে হবে। তাদেরই বের হওয়ার কারণ চিহ্নিত করতে হবে। তার সমাধানে সকল প্রকার কাজ করতে হবে। কারণ পুঁজি হারিয়ে দেশি বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন, এটা বাইরে গেলে বিদেশি বিনিয়োগ আসার পথ রুগ্ণ হয়ে পড়বে। তখন দেখা যাবে, এত অর্থ খরচ করে রোড শো কোনো কাজেই লাগবে না।
বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি জানিয়ে ডিএসইর চিফ অপারেটিং অফিসার সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, যেকোনো বিষয়ে আমরা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা করছি। কোনো সমস্যা হলে দ্রুত সমাধান করছি। পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আরও বলেন, আইপিওর কারণে অনেকেই বিও করতেন। এখন আইপিওতে আগের মতো লাভ পায় না। সে কারণে ওই বিওগুলো নিরুৎসাহী হয়ে ঝরে গেছে। বর্তমান বাজারের গভীরতা বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থাও বাড়ছে।
বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা কথা জানিয়ে সাইফুর রহমান বলেন, দিন দিন পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগকারী কমছে। আবার অনেক বিনিয়োগকারী বাজারে বিনিয়োগ না করে পর্যবেক্ষণ করছে।
বিশ্বে অর্থনীতির মন্দা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেই মন্দার প্রভাব আমাদের পুঁজিবাজারে পড়েছে। এ ছাড়া রেগুলেটরদের বেঁধে দেয়া ফ্লোর প্রাইস আরোপে অনেক বিনিয়োগকারীকে শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
শিগগিরই ফ্লোর প্রাইস বন্ধ জরুরি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এটি বন্ধের ব্যাপারে বিএসইসিকে পরামর্শসহ অনুরোধ করেছি। এ ব্যাপারে লিখিত চিঠি দিয়েছি। কিন্তু বিএসইসি তা কর্ণপাত করেনি। তারা (বিএসইসি) বলছে, সময় হলে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেবে। কিন্তু কবে তুলবে, সে বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা নেই।
বিনিয়োগকারী বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছেন জানিয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজর স্পর্শকাতর। এটাতে নানা ঝুঁকি আছে। আমরা সেসব ঝুঁকি এড়িয়ে কীভাবে বিনিয়োগ করবেন সেই বিষয়ে কর্মশালা করছি। আমরা এক্সপার্ট দিয়ে পুঁজিবাজারের ঝুঁকি বিষয়ে যাবতীয় জ্ঞান দিয়ে আসছি বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্টদের। বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা আগের চেয়ে বাজার প্রসঙ্গে ভালো বোঝেন।
বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে বিএসইসি নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারের দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করেছে। সেই অনুসারে কাজও করেছে। বর্তমান বাজারে শক্তিশালী ভিত তৈরি হয়েছে। কেউ কিছু করে পার পাবে না এখন। বাজারে গভীরতা বেড়েছে। আশা করছি, বিনিয়োগকারীরা তার ফল পাবে। সামনে বিনিয়োগকারী আস্থা আরও বাড়বে।
আইপিও কারণে অতীতে অনেকেই বিও খুলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এখন তারা বেশি লাভ করতে পারছেন না আইপিও থেকে। এতে সেইসব বিনিয়োগকারী কমে গেছে। এ ছাড়া বড় ধস, বিশ্বমন্দা, করোনা নানা কিছুর কারণে পুঁজিবাজারে প্রভাব পড়েছে। এতে বিনিয়োগকারী কিছুটা বিনিয়োগ ক্ষেত্রে নিরুৎসাহী হয়ে ভাটা পড়তে পারে। একই প্রসঙ্গে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারে স্বার্থে ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয়েছে। মন্দা কাটলে এটা তুলে নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা ও আস্থা বৃদ্ধিতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছি। অনেক কাজ শেষ করেছি। এটা চলমান প্রক্রিয়া। এখন পুঁজিবাজারের ভিত আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। পুঁজিবাজারের মূলধন সাড়ে সাত লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সূচকও ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। লেনদেনও হাজার কোটি টাকার ঘরে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য