ইনস্ট্যান্ট ক্যাশ এফজেডই’র মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিতে ক্যাশ রেমিট্যান্স প্রেরকদের মধ্যে ডিজিটাল ড্রয়ের মাধ্যমে প্রতি কর্মদিবসে একটি করে মোট ৪৩টি ওয়াশিং মেশিন উপহার দেয়া হবে।
এ ছাড়াও এ ক্যাম্পেইনে ৩ সদস্যের একটি পরিবারকে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা বিমান টিকিটসহ দুই রাত হোটেলে অবকাশযাপনের মেগা পুরষ্কার প্রদান করা হবে।
আগামী ২০ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে অফারটি চলবে ১৯ অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে প্রধান অতিথি হিসেবে ইসলামী ব্যাংক-ইনস্ট্যান্ট ক্যাশ রেমিট্যান্স উৎসবের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন ইনস্ট্যান্ট ক্যাশ এফজেডই-এর চিফ বিজনেস অফিসার অঞ্জলি মেনন। ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, জে.কিউ.এম. হাবিবুল্লাহ, এফসিএস ও মো. আলতাফ হুসাইন এবং ইনস্ট্যান্ট ক্যাশ এফজেডই’র কান্ট্রি ম্যানেজার মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. নাইয়ার আজম, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার ও আবুল ফায়েজ মুহাম্মাদ কামালউদ্দিন, ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরী এবং ইনস্ট্যান্ট ক্যাশ বাংলাদেশ অফিসের ফারহানা ইসলাম খান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ঊধ্বর্তন নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ব্যাংকের সকল জোনপ্রধান, শাখাপ্রধান ও উপশাখা ইনচার্জ ও রেমিট্যান্স কর্মকর্তাবৃন্দ ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা জানান, ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে রেমিট্যান্স আহরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। দেশে অর্জিত রেমিট্যান্সের এক-তৃতীয়াংশ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে আহরিত হয়। সারাবিশ্বে রেমিট্যান্স আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। দেশের প্রায় দেড় কোটি মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করে এ রেমিট্যান্স সংগ্রহ করছে।
ইসলামী ব্যাংকের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১৫২টি রেমিট্যান্স সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের চুক্তি রয়েছে। প্রবাসীগণ এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বল্প খরচে, দ্রুত ও নিরাপদে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ প্রেরণ করতে পারেন। এছাড়া দ্রুত রেমিট্যান্স সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউজের সঙ্গে এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস) স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ব্যাংকের একদল দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল ২৪ ঘণ্টা নিরলস কাজ করছেন। সারা দেশে ব্যাংকের ৩৯৪টি শাখা ও ২৩৬টি উপশাখা, ২৬৯৭টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট ও ৬ হাজার সিআরএম/এটিএম বুথের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের জন্য রেমিট্যান্স গ্রহণকে সহজতর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:আধুনিক ব্যাংকিং সেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে সোমবার সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আদাচাকী এজেন্ট আউটলেটের উদ্বোধন করা হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মশিউর রহমান জেহাদ অনলাইন মাধ্যমে উক্ত আউটলেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউস সামাদ ও সামি করিম, প্রধান কার্যালয়ের ইভিপি ও জেনারেল সার্ভিসেস ডিভিশনের প্রধান জুলফিকার আলি খান, ভিপি ও মার্কেটিং ডিভিশনের প্রধান ইমতিয়াজ আহমেদ সিদ্দিকী, ভিপি ও ব্রাঞ্চ অপারেশন ডিভিশনের প্রধান আহমেদ শোয়েব, এসএভিপি ও এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশনের প্রধান এ, কে, এম নূরুল আফসার, প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, শাখা ব্যবস্থাপক ও ব্যাংকের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাসহ আমন্ত্রিত সম্মানিত অতিথি ও গ্রাহকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও বিশ্বস্ত ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক দেশব্যাপী স্বকীয়তা বজায় রেখে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে শাখা, উপশাখা ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট সম্প্রসারণ করবে বলে অনুষ্ঠানে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, ‘শ্রম আইনের সংশোধন ও বেজা আইনের মাধ্যমে শ্রম অধিকারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রকে এ অগ্রগতির চিত্র জানানো হবে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সোমবার শ্রমসংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা নিয়ে অনুষ্ঠিত বিশেষ আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে তপন কান্তি ঘোষ এ কথা বলেন।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘শ্রম অধিকারের ইস্যুতে বাংলাদেশের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে নতুন শ্রমনীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে- বিশ্বব্যাপী শ্রম পরিবেশের আরও উন্নতি হোক। বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।’
সভায় পররাষ্ট্র, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘কারও দয়ায় নয়, পণ্যের গুণগত মান, আন্তর্জাতিক চাহিদা ও শ্রমিক অধিকার রক্ষা করেই তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দ্বিবার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের শ্রম আইনে শ্রম অধিকারের যেসব বিষয় আছে, তার মধ্যে বেশ কিছু পরিপালন করা হয়েছে। তবে তারা চায় আরও অগ্রগতি হোক।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতে নতুন ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা হয়েছে; জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এ ছাড়া শ্রমিক কল্যাণে আরও কী করা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘ইইউ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশের কিছু শর্ত ছিল। শ্রম আইন ও বেজা আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে চাওয়া ছিল, তা অনেকটাই পূরণ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে তিনবার শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে।’
সূত্র জানায়, সভায় কর্মক্ষেত্রে শ্রমমান, শ্রম আইন বাস্তবায়নের অগ্রগতি, শ্রম অধিকার ও ন্যায্য মজুরি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
টেকসই করপোরেট নিশ্চিত করার স্বার্থে জবাবদিহিতার অনুশীলন এবং অন্তযোগাযোগ বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
রোববার বিকেল ৩টায় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) অডিটোরিয়ামে ‘টেকসই করপোরেট ও জবাবদিহিতা অনুশীলন’বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা এ মতামত দেন। সেমিনারটি সিইউবি ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েলিংটন ও সিইউবির বিশিষ্ট শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইউবির বোর্ড অফ ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। সভাপতিত্ব করেন সিইউবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. গিয়াস ইউ আহসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত সেমিনারে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আজকের এত সুন্দর এই আয়োজনের জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই ডিএসই-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. এ টি এম তারিকুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েলিংটনের সিনিয়র লেকচারার ড. আইনুল ইসলাম ও ড. ইয়িনকা মোসেসসহ উপস্থিত সম্মানিত অতিথিদের।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের এই অংশগ্রহণ এবং মূল্যবান বক্তব্য উপস্থিত লেকচারার ও শিক্ষার্থীদের অবশ্যই টেকসই করপোরেট ও জবাবদিহিতা অনুশীলনের জন্য দারুণ ভূমিকা রাখবে। গ্লোবালাইজেশনের এ যুগে এমন আয়োজন সত্যি একে অন্যের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়ানোর পাশাপাশি আন্তসম্পর্কগুলোও বৃদ্ধি করবে। এমন সেমিনারের ফলে আপনাদের দক্ষতা এবং জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে এ খাতে টেকসই উন্নয়নও করানো সম্ভব হবে।’
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডিএসই-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড.এ টি এম তারিকুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েলিংটনের সিনিয়র লেকচারার ড. আইনুল ইসলাম ও ড. ইয়িনকা মোসেস, অধ্যাপক মুহাম্মদ জিয়াউল হক মামুন, পিএইচডি, প্রধান পরামর্শক, বোর্ড অফ ট্রাস্টি; এম নাসির উদ্দিন, পিএইচডি, অধ্যাপক/গবেষণা পরিচালক, এনআইসিইউ ফেলোশিপ, টেক্সাস এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটি।
সেমিনারে বক্তারা করপোরেট টেকসই এবং জবাবদিহিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। যেখানে ক্যাপিটাল মার্কেট, করপোরেট গভর্ন্যান্স, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং পরিবেশগত দায়বদ্ধতা সম্পর্কিত বিষয়গুলোর তথ্য ও উপদেশ তাদের বক্তব্যে উঠে আসে।
বক্তারা বলেন, ‘টেকসই করপোরেট কালচারের সঙ্গে টেকসই উন্নয়নও সম্পৃক্ত। আর উন্নয়ন মানে একটি দেশের জিডিপিতে অবদান রাখা এবং সেই দেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাওয়া। একেকটি প্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট, মডার্ন, এডুকেটেড, ভিশনারি, প্রো-অ্যাকটিভ- এককথায় সুযোগ্য কর্মীবাহিনী দিয়ে সাজাতে ও তাদের ধরে রাখতে হলে কোম্পানিকেই সবার আগে উদ্যোগী হতে হবে। ফলে টেকসই করপোরেট চর্চা লাগবে।’
তারা আরও বলেন, ‘করপোরেট কালচার ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ও প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে। এটি কোনো আইন পাস বা অফিস অর্ডার ইম্পোজ করার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় না। করপোরেট কালচারের অন্যতম বিষয় হলো প্রফেশনালিজম। বিজনেস গ্রোথ তো প্রতিষ্ঠান অবশ্যই চায়, কিন্তু সাসটেইনেবল গ্রোথ, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে কাজ করতে হবে। যার ফলে অবশ্যই টেকসই করপোরেট চর্চাটা লাগবে।’
সেমিনারে উঠে আসা মূল বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য টেকসই করপোরেট এবং জবাবদিহিতা কেবল সাধারণ শব্দ নয়, বরং একটি সমৃদ্ধ জাতির অপরিহার্য উপাদান। টেকসই অনুশীলন গ্রহণ করে এবং নৈতিক মান বজায় রেখে যে কোনো প্রতিষ্ঠান সবার জন্য আরও সমৃদ্ধ এবং ন্যায়পরায়ণ ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে বলে উপস্থিত বক্তারা মন্তব্য করেন।
এর আগে সেমিনারে আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং পরে তাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। সেমিনারে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
গ্রাহকের প্রতিদিনের লেনদেন আরও সহজ ও নিরাপদ করতে বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হলো বায়োমেট্রিক ‘ফেস আইডি’ ও ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ লগইন সুবিধা। পাশাপাশি, ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’, ‘রিকোয়েস্ট মানি’, ‘সেভিংস মার্কেটপ্লেস’ ও ভিসা কার্ড থেকে অ্যাড মানি করতে ‘ডিফল্ট’ কার্ড সেভ করার মতো আকর্ষণীয় সব নতুন ফিচারও যুক্ত হয়েছে ভার্চুয়াল অর্থ লেনদেনের জনপ্রিয় এই অ্যাপে।
বায়োমেট্রিক ‘ফেস আইডি’ ও ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ লগইন
এখন থেকে বারবার পিন বা গোপন নম্বর দিয়ে লগইন না করে বায়োমেট্রিক ‘ফেস আইডি’ বা ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ ব্যবহার করেও সহজ ও নিরাপদে লগইন করতে পারবেন বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারকারীরা। এতে পিন ভুলে যাওয়া কিংবা বেহাত হওয়ার বিড়ম্বনা যেমন থাকল না, তেমনি বাড়ল বিকাশ অ্যাপের নিরাপত্তাও।
গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপের লগইন স্ক্রিন অথবা প্রোফাইল থেকে এই সেবাটি চালু করতে পারবেন।
সেবাটি চালু করতে লগইন স্ক্রিন অথবা গ্রাহকের প্রোফাইল থেকে বায়োমেট্রিক অপশনে ক্লিক করে পরের ধাপে পিন দিয়ে বায়োমেট্রিক লগইন চালু করতে হবে। এরপর থেকে প্রতিবার লগইন করতে আর পিন দিতে হবে না। ডিভাইসে সেট করা ‘ফেস আইডি’ অথবা ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ ব্যবহার করেই গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। প্রয়োজনমতো গ্রাহক আবার অ্যাপের প্রোফাইল থেকে ‘ফেস আইডি’ বা ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ সেবাটি বন্ধও করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, বিকাশ অ্যাপের এই সেবাটি শুধুমাত্র ক্লাস ৩ বায়োমেট্রিক নিরাপত্তা সম্বলিত ডিভাইসে উপভোগ করা যাবে। নতুন কোনো ডিভাইস থেকে লগইন করলে, পিন পরিবর্তন করলে, বিকাশ অ্যাপে পিন লক হয়ে গেলে বা অ্যাপ আন-ইন্সটল করলে সেবাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে সেবাটি আবার চালু করতে হবে।
এ ছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে বায়োমেট্রিক লগইন চালু করার এক বছর পর আবার নতুন করে সেবাটি চালু করে নিতে হবে।
গ্রুপ সেন্ড মানি
এই সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী কয়েকজনকে একসঙ্গে টাকা পাঠাতে পারবেন।
টাকা পাঠাতে প্রথমে অ্যাপের হোম স্ক্রিন থেকে ‘সেন্ড মানি’ অপশনে গিয়ে ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ আইকনে ক্লিক করতে হবে। এখানে গ্রুপের সদস্য যারা হবেন তাদের নম্বর বা নাম সিলেক্ট করে, গ্রুপের একটি নাম দিয়ে নতুন গ্রুপ তৈরি করতে হবে। এরপর টাকার পরিমাণ লিখে পরবর্তী ধাপে পিন দিয়ে সম্মতি দিলেই গ্রুপের সবার কাছে টাকা পৌঁছে যাবে।
গ্রুপে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে গ্রাহক চাইলে সবাইকে সমপরিমাণ টাকা পাঠাতে পারবেন অথবা কোন সদস্য কত টাকা পাবেন- সেটাও নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। একটি গ্রুপে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৭ জন সদস্য রাখা যাবে। একবার গ্রুপ সেন্ড মানি করার কমপক্ষে ১০ মিনিট পর পরের লেনদেনটি করা যাবে।
গ্রাহকরা অ্যাপের সেন্ড মানি অপশন থেকে গ্রুপের নাম ও সদস্যদের তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন। ইনবক্সে গিয়ে ‘লেনদেনসমূহ’ অথবা বিকাশ মেন্যুর ‘স্টেটমেন্ট’ থেকে কে কত টাকা পেল- সেটা দেখা যাবে।
রিকোয়েস্ট মানি
বিকাশ গ্রাহক প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য যে কোনো বিকাশ গ্রাহকের কাছে টাকা চাইতে ইন-অ্যাপ রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারবেন।
গ্রাহকরা অ্যাপের হোম স্ক্রিন থেকে ‘রিকোয়েস্ট মানি’ আইকনে ট্যাপ করে সেন্ড মানি রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারবেন।
এক্ষেত্রে এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ জনকে (ব্যক্তি রিকোয়েস্ট এবং গ্রুপ রিকোয়েস্ট মিলিয়ে) রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারবেন। এক দিনে সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা রিকোয়েস্ট করা যাবে। যে কোনো রিকোয়েস্টের সর্বনিম্ন পরিমাণ ১০০ টাকা হতে হবে।
রিকোয়েস্ট মানি-এর ক্ষেত্রে কোনো অতিরিক্ত চার্জ প্রযোজ্য হবেনা।
সেভিংস মার্কেটপ্লেস
বিকাশ অ্যাপে সেভিংস স্কিম খোলা এবং সহজেই কিস্তি জমা দেয়ার সুবিধা পাওয়া যাবে এই নতুন সেবার মাধ্যমে।
নির্ধারিত তারিখে কিস্তির টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেয়ার পাশাপাশি এখন থেকে ঢাকা ব্যাংক ও আইডিএলসি-এর সেভিংস স্কিম নেয়া গ্রাহকরা তাদের মিস হয়ে যাওয়া কিস্তির টাকাও সহজে পরিশোধ করতে পারবেন। এ ছাড়া সেভিংসের পরিমাণ, কিস্তি জমা দেয়ার নোটিফিকেশন, মিস হয়ে যাওয়া কিস্তির তালিকা, সেভিংস ম্যাচিউর হওয়ার সময়সহ আরও বিভিন্ন সুবিধা থাকছে এ সেবায়।
‘ডিফল্ট’ কার্ড সুবিধা
ভিসা কার্ড থেকে বিকাশে অ্যাড মানি করার ক্ষেত্রে এখন আর বারবার কার্ডের তথ্য দেয়ার প্রয়োজন নেই। গ্রাহকরা নিজের পছন্দের ভিসা কার্ডটি ‘ডিফল্ট’ কার্ড হিসেবে নির্ধারণ করে রাখতে পারবেন।
ডিফল্ট কার্ড নির্ধারণ করতে অ্যাপের হোম স্ক্রিনের ‘অ্যাড মানি’ অপশন থেকে ‘কার্ড টু বিকাশ’-এ গিয়ে ‘ভিসা’ সিলেক্ট করতে হবে। পরের ধাপে অ্যাড মানি করার জন্য নম্বরটি প্রবেশ করাতে হবে বা কন্টাক্ট লিস্ট থেকে সিলেক্ট করতে হবে। এরপর কার্ডের তথ্য দিয়ে অ্যাড মানি করার পর কার্ডটি ডিফল্ট কার্ড হিসেবে নির্ধারণ করে নিতে হবে। তারপর থেকে অ্যাড মানি করার সময় ডিফল্ট কার্ডটি স্ক্রিনের নিচে দেখা যাবে।
গ্রাহক চাইলে অ্যাপ থেকেই কার্ডের তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন।
সর্বশেষ যুক্ত এই সেবা ও ফিচারগুলোর পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্সের পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংসসহ নানা সেবা ব্যবহার করছেন।
গ্রাহকবান্ধব সেবার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে নিরন্তর উদ্ভাবন অব্যাহত রেখেছে বিকাশ।
আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা নিয়ে জামালপুরের কয়ড়া বাজার শাখার আওতাধীন রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের ২২তম মাদারগঞ্জ উপশাখা উদ্বোধন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপশাখাটির উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদারগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওবায়দুর রহমান বেলাল, মাদারগঞ্জ পৌর মেয়র মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির ও মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ময়মনসিংহ বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন খাঁ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জামালপুরের জোনাল ম্যানেজার ও ডিজিএম মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন।
সাভারের হেমায়েতপুর আলমনগরে অবস্থিত টাইগার্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের একাদশ কনভেনশন উপলক্ষে ১ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার ২০২৩-২০২৫ মেয়াদি কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে জয় লাভ করেন ড. বোরহান বুলবুল, সেক্রেটারি জেনারেল পদে অ্যাডভোকেট মো. অলি আহাদ এবং ট্রেজারার পদে মোহাম্মদ মাসুদ।
এ ছাড়াও ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে নির্বাচিত হয়েছেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে জিয়াউল হক সাগর, ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নাজির মোহাম্মদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি পদে সালেকুল ইসলাম, অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি পদে মো. সফিকুল ইসলাম, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি সাবিনা ইয়াসমিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মো. তারিকুল ইসলাম রিপন, দপ্তর সম্পাদক পদে মো. আবুল কালাম আজাদ।
সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে বাঁধন আহাম্মেদ, শিক্ষা সম্পাদক পদে মো. আফাজ উদ্দিন, ক্রীড়া সম্পাদক রুহুল আমিন, ধর্ম সম্পাদক পদে শামসুল হক রাহমানী, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে আনোয়ার হোসেন আনু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আলী, স্বাস্থ্য সম্পাদক পদে সুজন চন্দ্র দাস, ক্লাব সম্পাদক পদে ফরহাদ হোসেন তালুকদার, কার্যনির্বাহী সদস্য-১ পদে মো. আল-আমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য-২ পদে রুহুল আমিন হাফিজ।
নির্বাচন পরিচালনা করেন টাইগার্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের প্রাণ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম জিতু, কনভেনশন চেয়ারম্যান লায়ন নজরুল ইসলাম সিকদার, কনভেনশন সেক্রেটারি লায়ন আক্কাস আলী।
একাদশ কনভেনশনের শুভ উদ্বোধক ও প্রাণ-প্রতিষ্ঠাতা জাহাঙ্গীর আলম জিতু বলেন, ‘‘বন্ধুত্ব, সেবা, আনন্দ ও নেতৃত্ব’-এই মূলমন্ত্র নিয়ে ২০০৩ সাল থেকে সামাজিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পথচলা শুরু করে টাইগার্স ক্লাব। ক্লাব বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশ ও দেশের বাহিরে প্রশংসা পাচ্ছে, যা আমাকে অভিভূত করছে। আমি বিশ্বাস রাখি, ক্লাব সংশ্লিষ্টরা তাদের যুগোপযোগী কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্লাবকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেবে।’’
ওই সময় আহ্বায়ক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা জাকির হোসেন ও আহ্বায়ক আবদুল মান্নান আকাশ বক্তব্য রাখেন।
ডলার সংকটের মধ্যে পরপর দুই মাসে রেমিট্যান্সের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি কিছুটা হলেও আশা জাগিয়েছে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম প্রবাসী আয় এসেছিল দেশে। যদিও তার পরের মাস অক্টোবরেই ইতিবাচক ধারায় ফিরে রেমিট্যান্স প্রবাহ। সে মাসে প্রবাসীরা দেশে মোট রেমিট্যান্স পাঠায় প্রায় ১৯৮ কোটি ডলার, যা তার আগের মাসের চেয়ে প্রায় ৪৮ শতাংশ বেশি।
সে সময় নভেম্বর ঘিরে প্রত্যাশা ছিল যে, রেমিট্যান্স ছাড়িয়ে যাবে ২ বিলিয়ন তথা ২০০ কোটি ডলারের বেশি। শেষ পর্যন্ত তা না হলেও কাছাকাছি এসেছে প্রবাসীদের পাঠানো আয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, সদ্য শেষ হওয়া নভেম্বরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ১৯৩ কোটি ডলার বা ১.৯৩ বিলিয়ন ডলার। বর্তমান ব্যাংক রেট হিসাবে যা প্রায় ২১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসাবে)।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে রেমিট্যান্সের পরিমাণকে সন্তোষজনক বলছেন ব্যাংকাররা। যদিও তা অক্টোবরের চেয়ে প্রায় পাঁচ কোটি ডলার কম।
বছরের দিক থেকে দেখলে প্রবৃদ্ধির পরিমাণটা উল্লেখযোগ্য। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৯.৫ কোটি ডলার। সেই হিসাবে বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে প্রায় ২১ শতাংশ।
বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে দফায় দফায় বাড়ছে প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের দাম। গেল কয়েক মাসে ব্যাংকগুলোতেও বেড়েই চলেছে ডলারের চাহিদা। রিজার্ভ থেকে কয়েক দফায় ডলার বিক্রি করেও তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
ডলার সংকটের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী পণ্য আমদানি কমাতে নানা পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে দেশের ব্যাংক খাতের অভিভাবকদের।
গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার আমদানি-রপ্তানির ঘাটতি মেটাতে এরই মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ ডলার সংকট কিছুটা কমে আসবে বলে এরই মধ্যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
ডলার সংকট কমানোর পাশাপাশি রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতেও বৈদেশিক মুদ্রা আসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে রিজার্ভ কমেছে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ নেমে এসেছে ২৫ বিলিয়নে। অন্যদিকে বিপিএম-৬ মেথডের হিসাবে রিজার্ভ নেমে এসেছে ১৯ বিলিয়নের ঘরে। এমন পরিস্থিতিতে ডলার সংকট কমানো ও রিজার্ভ শক্তিশালী করতে নীতি নির্ধারকরা তাকিয়ে রয়েছেন বাড়তি রেমিট্যান্স আর রপ্তানি আয়ের দিকে। পরপর দুই মাসে প্রায় ৪ বিলিয়নের কাছাকাছি রেমিট্যান্স আসাতে স্বস্তি পেতে পারেন তারা।
এদিকে নভেম্বরে প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে।
হিসাবে দেখা যায়, মোট ১৯৩ কোটি ডলারের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৭২ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার। অন্যদিকে বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫ কোটি ৩১ লাখ ডলার। এ ছাড়া ৫৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বৈদেশিক বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে।
একক ব্যাংক হিসেবে এ মাসেও সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে এককভাবে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৭ কোটি ২২ লাখ ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পূবালী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে প্রায় ১৪ কোটি ডলার।
এদিকে ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসা। অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এ ছাড়া সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালীর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে তিন কোটি ৪৩ লাখ ডলার।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য