কোনো ব্যাংক বা ব্যাংকের সহায়ক কমিটির চেয়ারম্যান ওই ব্যাংকের ফাউন্ডেশন বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন না বলে নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়েছিল, যারা এসব পদে বহাল রয়েছেন তাদের ৩০ জুনের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।
২০২২ সালে একটি সার্কুলারের মাধ্যমে এ নির্দেশনা জারি করেছিল আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আরও একটি সার্কুলার জারি করে নির্দেশনায় কিছুটা শিথিলতা এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের সার্কুলারে জানানো হয়, কোনো ব্যাংকের চেয়ারম্যান বা পরিচালক সেই প্রতিষ্ঠানের দেশের বাইরে থাকা এক্সচেঞ্জ হাউজ ও মানি ট্রান্সফারসহ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের পদে থাকলে তাদের জন্য এ শর্ত শিথিল হবে। অর্থাৎ শুধু দেশের বাইরের এক্সচেঞ্জ হাউজ ও মানি ট্রান্সফারসহ সহযোগী প্রতিষ্ঠানে বহাল থাকলে গত বছরের দেয়া সার্কুলার তার জন্য প্রযোজ্য হবে না।
২০২২ সালের ১১ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে জানানো হয়, ব্যাংকের চেয়ারম্যান বা পর্ষদ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাহী কমিটি, নিরীক্ষা কমিটি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি ওই ব্যাংকের সহযোগী বা ব্যাংকের অর্থায়নে গঠিত ও পরিচালিত কোম্পানি বা ফাউন্ডেশনের পরিচালক হতে পারবেন না। কোনো ব্যক্তি এমন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকলে তাকে ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। পরে এ সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, রেমিট্যান্স আহরণে চ্যালেঞ্জ ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবিলায় যথাযথ অভিজ্ঞতা ও দক্ষ লোকের অভাবে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠোনা নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের বাইরে ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ হাউজ বা মানি ট্রান্সফার অপারেটর ও ফাইন্যান্স কোম্পানি হিসেবে স্থাপিত সাবসিডিয়ারি কোম্পানির পরিচালনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থার নীতিমালা বা বিধিনিষেধ অনুসরণীয় হয়ে থাকে। এ মুহূর্তে বহির্বিশ্বে যুদ্ধাবস্থা চলমান থাকায় রেমিট্যান্স আহরণসহ বিদেশে কার্যরত এক্সচেঞ্জ হাউজ ও মানি ট্রান্সফার অপারেটর এবং ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালনা করার ক্ষেত্রে আগের চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
‘এ কারণে পরিচালনা সংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবিলায় যথাযথ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ঘাটতির কারণে বিদেশস্থ সাবসিডিয়ারি কোম্পানির পরিচালনা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, যা ব্যাংকের আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা সৃষ্টির কারণ হতে পারে।’
নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বলছে, ‘ব্যাংক-কোম্পানির অর্থায়নে গঠিত ও পরিচালিত ফাউন্ডেশনের জন্য বরাদ্দ করা অর্থের সদ্ব্যবহারের লক্ষ্যে ওই প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রয়োজন, যা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আয়-ব্যয়, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া আবশ্যক।’
এমন অবস্থায় দেশের বাইরে ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ হাউজ বা মানি ট্রান্সফার অপারেটর এবং ফাইন্যান্স কোম্পানির সুষ্ঠু পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি হিসেবে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি এবং ব্যাংকের অর্থায়নে গঠিত ও পরিচালিত ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদ ও গভর্নিং বডি, যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, তারা ওই পদে থাকতে পারবেন।
অন্যান্য সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, পরিচালক বা সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে আগের নির্দেশনা পরিপালনীয় হবে। আগের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
আরও পড়ুন:১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৪০তম সভা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, গুলশান-১, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মুঃ ফরীদ উদ্দীন আহমদ। সভায় পর্ষদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম জাহীদ, জনাব মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সর্বজনাব শফিউদ্দিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ ইকবাল কার্যপোলক্ষ্যে সভায় যোগদান করেন। সভায় ব্যাংকের ব্যবসা বাণিজ্য, আমানত ও রেমিট্যান্স সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ আদায়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
জনতা ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান ১৫ জুন রোববার জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজ ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত ২৫ (পঁচিশ) দিন ব্যাপী ফাউন্ডেশন কোর্স ফর অফিসার্স (ব্যাচ ০৫/২০২৫) শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন করেন। উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে জনতা ব্যাংকের ৫০ জন সিনিয়র অফিসার অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজের ডিজিএম-স্টাফ কলেজ ইনচার্জসহ অন্যান্য নির্বাহী ও অনুষদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
৪ জুন’২৫ রোজ বুধবার ময়মনসিংহ শহরে জনতা ব্যাংক পিএলসি. টাউন হল মোড় শাখা (পূর্ব নাম মহিলা শাখা) নতুন ভবনে স্থানান্তর উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান। ময়মনসিংহ এরিয়া অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক মোঃ জাহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খালেক ও স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান খান। এ সময় ব্যাংকের অন্যান্য নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ০২ জুন, সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি।
জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম ও মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহসভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
জনতা ব্যাংক পিএলসি’র ফরিদপুর বিভাগীয় শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন ৩০ মে’২৫ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আশরাফুল আলম। ফরিদপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের ইনচার্জ মোঃ সহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে ফরিদপুর বিভাগের এরিয়া প্রধানগণ ও অন্যান্য নির্বাহীবৃন্দ এবং শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
ইসলামী ধারার ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হওয়ার যে খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এই ধারার ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান শুক্রবার (৩০ মে) দেওয়া এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে ৬টি দুর্বল ব্যাংক একীভূত হয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসছে। ৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৫টি ইসলামী ধারার ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি জানান, ‘এনবিএল প্রচলিত ধারার ব্যাংক। ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো সংস্কারের সঙ্গে এনবিএল সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এর আগে, একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আহসান এইচ মনসুর জানান, নানা অনিয়ম ও ঋণ জালিয়াতির কারণে দুর্বল হওয়ায় ছয়টি ব্যাংককে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো একীভূত করে সাময়িক সময়ের জন্য সরকারি মালিকানায় নেওয়া হবে।
পরবর্তীতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হবে এই মর্মে নানা সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে- যা সঠিক নয় বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ ছাড়া, একীভূত হওয়ার পর সাময়িক সরকারি মালিকানার সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবশেষ ২৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে বিএফআইইউর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে গভর্নর জানান, ‘একীভূতকরণের আগেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর ওপর সরকার মালিকানা প্রতিষ্ঠা করবে। এতে আমানতকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ তারা একটি অধিকতর শক্তিশালী ব্যাংকের অংশ হয়ে যাবেন। তবে মোট কতটি ব্যাংক একীভূত হবে এ ব্যাপারে এখনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
গভর্নর জানান, সব দুর্বল ব্যাংক একবারে একীভূত হবে না। প্রথম দফায় কয়েকটি ব্যাংক একীভূত হবে। পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় বাকি দুর্বল ব্যাংক নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জনতা ব্যাংক পিএলসি এর মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ মজিবর রহমান গত শনিবার (২৪/০৫/২০২৫) জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজ, ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত ০৬ কর্মদিবস ব্যাপী ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট কোর্স (ব্যাচ ০১/২৫) শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন করেন।
উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে জনতা ব্যাংকের অফিসার থেকে সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার পর্যায়ের ২৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজের ডিজিএম-স্টাফ কলেজ ইনচার্জসহ অন্যান্য নির্বাহী ও অনুষদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
মন্তব্য