× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Entrepreneurs Will Lead Reaching Trillion Dollar Economy Ghulam Murshed
google_news print-icon

ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছাতে নেতৃত্ব দেবেন ব্যবসায়ীরা: গোলাম মুর্শেদ

ট্রিলিয়ন-ডলারের-অর্থনীতিতে-পৌঁছাতে-নেতৃত্ব-দেবেন-ব্যবসায়ীরা-গোলাম-মুর্শেদ
চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউতে সোমবার ‘ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির যাত্রায় বন্দর নগরীর তাৎপর্য’ শিরোনামের আলোচনা সভায় যোগ দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ (ডানে)। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে নিয়ে যাওয়া। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ীরা যাতে নেতৃত্ব দিতে পারেন, সে জন্য আমাদের প্যানেল কাজ করবে।’

বাংলাদেশকে ট্রিলিয়ন (এক লাখ কোটি) ডলারের অর্থনীতিতে উন্নীত করতে ব্যবসায়ীরা নেতৃত্ব দেবেন। এ জন্য ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির আগামী নির্বাচনে পরিচালক পদপ্রার্থী ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোলাম মুর্শেদ।

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউতে সোমবার রাতে এফবিসিসিআইয়ের (২০২৩-২৫) নির্বাচনকে সামনে রেখে এক আলোচনা সভা হয়। ‘ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির যাত্রায় বন্দর নগরীর তাৎপর্য’ শিরোনামে আলোচনা সভার আয়োজন করে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেল।

এতে যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গোলাম মুর্শেদ ওই মন্তব্য করেন।

গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে নিয়ে যাওয়া। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ীরা যাতে নেতৃত্ব দিতে পারেন, সে জন্য আমাদের প্যানেল কাজ করবে।’

‘বিজ্ঞ, প্রবীণ ও নতুনদের নিয়ে আমাদের প্যানেল সাজানো হয়েছে। এ প্যানেল নির্বাচিত হলে আমরা এফবিসিসিআইয়ে নতুন ধারা দেখতে পাব।’

ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি বাস্তবায়নের জন্য কীভাবে কাজ করবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্যানেলে ২৩ জন রয়েছেন। তাদের সবাই বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করেন। আমি ওয়ালটনের এমডি হিসেবে একটি সেক্টরে কাজ করি। অন্যরা অন্যদের সেক্টর নিয়ে কাজ করবেন। আমরা যদি ভালোভাবে কাজ করি, ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি বাস্তবায়ন খুব কঠিন হবে না।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘আগেও বলেছি, আমাদের প্যানেলে সব খাতের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। এদের মধ্যে চাল, ডাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সেক্টরেরও ব্যবসায়ীরা রয়েছেন। আমরা সবাই মিলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করব, মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয়। এফবিসিসিআইয়ের কাজটা হচ্ছে, দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখা এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখা।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্যানেলে নতুন যারা আছে, তারা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সবাই দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য কাজ করার আগ্রহ নিয়ে এখানে এসেছি। বাংলাদেশে সাড়ে চার কোটি ব্যবসায়ী আছেন। সবার জন্য আমরা কাজ করব। ব্যবসা ও জনগণ একে অপরের সঙ্গে জড়িত। কাউকে ছেড়ে কাউকে চিন্তা করা যাবে না। ব্যবসা যখন ভালো থাকবে জনগণ ভালো হবে। জনগণ বাঁচলে ব্যবসা বাঁচবে।’

আরও পড়ুন:
শ্যামলীতে ওয়ালটন মোবাইলের ব্র্যান্ড শপ ‘এ জে টেলিকম’
ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক শিল্প মেলা এটিএস এক্সপো শুরু ১০ আগস্ট
ঈদের কেনাকাটার তালিকায় ওয়ালটনের ফ্রিজ
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে উপহার পেলেন নতুন গাড়ি
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের টাইটেল স্পন্সর ওয়ালটন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
The price of onion is increasing hour by hour in Chittagong

চট্টগ্রামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম!

চট্টগ্রামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম! ছবি: সংগৃহীত
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ‘দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর নির্ভর করে। তারা একেক সময় একেক অজুহাতে দাম বৃদ্ধি করেন। এখন বলছেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করেছে বলে দাম বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে যেসব পেঁয়াজ আছে, সেগুলো তো দুই সপ্তাহ আগে আমদানি করা। প্রশাসনের উচিত অভিযান পরিচালনা করে পেঁয়াজের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য যাচাই করা।’

চট্টগ্রামে পেঁয়াজের বাজারে আগুন। চলছে চরম নৈরাজ্য। বেপরোয়া সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ঘণ্টায় ঘণ্টায় দাম বাড়ছে। ২৪ ঘণ্টায় কেজিতে বেড়েছে ১৩০ টাকা। দেশি ও আমদানি করা দুই ধরনের পেঁয়াজের দামই বেড়েছে।

শনিবার পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা। আগের দিন ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। তারপরও বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে পেঁয়াজ।

জানা গেছে, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে ভারত। এ ঘটনার জেরে দেশের বাজারে একদিনের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

পেঁয়াজের এমন অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ভোক্তারা। তারা বলছেন, ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ বাজার ঠিক রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা এটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে রীতিমতো নৈরাজ্য শুরু করেছে। তারা এক কেজি পেঁয়াজে ১৩০ টাকা পর্যন্ত মুনাফা করছেন।

অপরদিকে ব্যবসায়ীরা অজুহাত দিচ্ছেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করার কারণে বাজারে ব্যবসায়ীদের হাতে তেমন পেঁয়াজ নেই। যেহেতু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম, তাই বাজার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এজন্য পাইকাররা দেশি পেঁয়াজ ছাড়ছে না। রিয়াজুদ্দিন বাজারেও ভোরে যে দাম ছিল, সকাল ৯টায় তা কেজিতে ৭০/৮০ টাকা বেড়ে গেছে।

কাজির দেউরি বাজারের ব্যবসায়ী হাবিব মিয়া বলেন, ‘ভারত রপ্তানি বন্ধ করেছে এমন খবরের কারণে পাইকারদের কাছ থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় কিনছি।’

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ছাড়া দেশি পেঁয়াজ তেমন একটা নেই। ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তাই তাদের দেশেও পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রন দেশটি রপ্তানিও বন্ধ করে দিয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের বাজারে দাম বাড়ছে।

ভোক্তারা বলছেন, ভারত মাত্র রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এ অবস্থায় দেশের বাজারে এখনই দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।

চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ আড়ত বন্ধ। তারা বলছে যে আড়তে পেঁয়াজ নেই। অথচ প্রতিটি আড়তে পেঁয়াজ আছে। তারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে।

যে গুটিকয় আড়ত বিক্রি করছে তা-ও চড়া দামে।

বর্তমানে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি। অথচ দুদিন আগেও তা বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। অপরদিকে খুচরা বাজারে একদিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়। সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়। অর্থাৎ একদিনেই কেজিতে দাম বেড়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের এক আড়তদার বলেন, বর্তমানে খাতুনগঞ্জে যেসব পেঁয়াজ রয়েছে সেগুলো বাজার পর্যন্ত আসতে খরচ পড়েছে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা। কিন্তু ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পরপরই প্রতি কেজিতে ৮০-৯০ টাকা মুনাফা করছেন আমদানিকারকরা।

নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার, কাজির দেউরি বাজার, বহদ্দারহাট, চকবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বাজারেই পেঁয়াজ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। শনিবার প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। কোনো দোকানেই এর কমে পেঁয়াজ বিক্রি হয়নি। অনেক দোকানে পেঁয়াজই নেই।

বহদ্দারহাটে বাজার করতে আসা মামুন মিয়া বলেন, ‘বাজারে দেশি পেঁয়াজ ২৪০ টাকা কেজির নিচে নেই। আর ভারতের পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজি। দুদিন আগেও দেশি পেঁয়াজ কিনলাম ১২০ টাকা করে। রাতের মধ্যেই বেড়ে গেল ১২০ টাকা। এটা কেমন কথা! দেশি পেঁয়াজের কেজি ২৫০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। এভাবে হলে আমরা কীভাবে চলবো?’

চাক্তাই আড়তদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। ভারতের বাজারেও পেঁয়াজের সংকট রয়েছে। সেখানেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণা দেয়ায় এখানে দাম বাড়ছে।’

তিনি দাবি করেন, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়ানো বা কমানোর ব্যাপারে আড়তদারদের কোনো হাত নেই। আমদানিকারকরা যে দামে বিক্রি করতে বলেন সেই দামেই আড়তদাররা বিক্রি করেন।’

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ‘দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর নির্ভর করে। তারা একেক সময় একেক অজুহাতে দাম বৃদ্ধি করেন। এখন বলছেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করেছে বলে দাম বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে যেসব পেঁয়াজ আছে, সেগুলো তো দুই সপ্তাহ আগে আমদানি করা। প্রশাসনের উচিত অভিযান পরিচালনা করে পেঁয়াজের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য যাচাই করা এবং সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেয়া।’

গত কিছুদিন ধরেই দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থির। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের খুচরা দর সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু এ দরে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায়নি। পরে সরকার পেঁয়াজ আমদানি উন্মুক্ত করে দিলেও পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

আরও পড়ুন:
বেনাপোলে অস্থির পেঁয়াজের বাজার
সাংবাদিক দেখে পালালেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা
পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে আজ ভোক্তা-অধিকারের অভিযান
অসময়ের বৃষ্টিতে ফরিদপুরে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি
দামে লাগাম টানতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Onion traders ran away after seeing the journalist

সাংবাদিক দেখে পালালেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা

সাংবাদিক দেখে পালালেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের দেখে দোকান বন্ধ করে চলে যান পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। ছবি: নিউজবাংলা
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, ‘ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পর পরই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করেছে। আমরা সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে অভিযান চালাচ্ছি।’

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের ঘোষণার পর আকস্মিকভাবে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।

উত্তরের জেলা দিনাজপুরে এক দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে এক দিনের ব্যবধানে দেশি জাতের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা।

এ দিকে বাজারে সাংবাদিকদের দেখে দোকান বন্ধ করে চলে যাচ্ছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।

শনিবার সকাল ১১টায় দিনাজপুর শহরের সবচেয়ে বড় বাজার বাহাদুর বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। কয়েকজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর কাছে পেঁয়াজের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা একে একে দোকান বন্ধ করে চলে যান।

এমনকি কেউ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি। দোকান বন্ধ করার সময় কয়েকজন বলেন, ‘দোকান বন্ধ করে রাখব, তারপরও পেঁয়াজ বিক্রি করব না।’

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার সকালে ওই বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি এবং দেশি জাতের পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছি, কিন্তু ভারত থেকে আমদানি বন্ধের ঘোষণার পর পরই এই বাজারে ভারতীয় ও দেশি জাতের পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে।

এই বাজারে শনিবার সকালে ভারতীয় পেঁয়াজ ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশি জাতের পেঁয়াজ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ দিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয় দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। আমদানি বন্ধের ঘোষণার পর পরই স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে আকস্মিকভাবে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।

স্থলবন্দরে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০ টাকা কেজি দরে, কিন্তু আমদানি বন্ধের ঘোষণার পর শনিবার সকালে এই বাজারে পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে।

পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় হাট-বাজারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, ‘ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পর পরই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করেছে। আমরা সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে অভিযান চালাচ্ছি। যে সকল অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন:
টাঙ্গাইলের বাজারে বেড়েই চলেছে আলু-পেঁয়াজের দাম
খাতুনগঞ্জে অস্থিরতা, পেঁয়াজ কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা
৩৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কেনা যাবে টিসিবির কার্ডে
ভারতীয় পেঁয়াজের দাম এক দিনে বাড়ল ১০ টাকা
আরও ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
ADB is giving 400 million dollars for climate development

জলবায়ুর উন্নয়নে ৪০ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি

জলবায়ুর উন্নয়নে ৪০ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি
ম্যানিলাভিত্তিক আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংকটি বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ, যেখানে বার্ষিক গড় ক্ষতি প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। এই ঋণ হলো ৭০০ মিলিয়ন ডলার জলবায়ু স্থিতিস্থাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রথম সাবপ্রোগ্রাম।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) জলবায়ুকেন্দ্রিক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন অর্জনের জন্য প্যারিসে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা, ২০২৩-২০৫০ এবং জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) ২০২১ হালনাগাদ বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য ৪০০ মিলিয়ন বা ৪০ কোটি ডলার নীতিভিত্তিক ঋণ (পিবিএল) অনুমোদন করেছে।

শুক্রবার এই অনুমোদন দেয়া হয় বলে ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

ম্যানিলাভিত্তিক আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংকটি বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ, যেখানে বার্ষিক গড় ক্ষতি প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। এই ঋণ হলো ৭০০ মিলিয়ন ডলার জলবায়ু স্থিতিস্থাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রথম সাবপ্রোগ্রাম।

এডিবি জানায়, এই ঋণ বাংলাদেশকে তার জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা শক্তিশালী করতে, কম কার্বন অর্থনীতিতে রূপান্তর করতে, এর গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করতে এবং সরকারের জলবায়ু কর্মে মূলধারার লিঙ্গ সমতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করবে।

এডিবির প্রিন্সিপাল পাবলিক ম্যানেজমেন্ট ইকোনমিস্ট আমিনুর রহমান বলেন, ‘জলবায়ুর প্রভাব বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচনকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। জলবায়ু কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে অর্থায়ন প্রয়োজন। বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এডিবি এই অঞ্চলের জলবায়ু ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশকে তার প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই কর্মসূচি জলবায়ু অর্থায়নকে একীভূত করার জন্য একটি সক্ষম প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতিগত পরিবেশ তৈরি করবে, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এজেন্ডায় জলবায়ু কর্মকাণ্ডকে অগ্রাধিকার দেবে এবং কৃষি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবহন ও অবকাঠামো, নগর উন্নয়ন এবং জ্বালানিসহ জলবায়ু-সমালোচনামূলক খাতে সংস্কার বাস্তবায়নে সরকারকে সহায়তা করবে।’

এ ছাড়া সম্প্রতি কপ২৮-এ উদ্বোধন হওয়া ‘বাংলাদেশ জলবায়ু ও উন্নয়ন অংশীদারত্ব’ কার্যকর করতে এই কর্মসূচি সরকারকে নিবিড়ভাবে সহায়তা করবে।

এটি সরকারি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সম্পদ বরাদ্দকরণের ক্ষেত্রে জলবায়ু অগ্রাধিকারকে মূলধারায় আনা এবং সবুজ বন্ড ও টেকসই আর্থিক নীতির মাধ্যমে জলবায়ু অর্থায়নের গতিশীলতা সমর্থন করে।

সেক্টরাল পর্যায়ে প্রোগ্রামটি স্মার্ট জলবায়ু এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপক কৃষি চর্চাকে উৎসাহিত করে। বিশেষ করে যেগুলো নারী কৃষকদের পক্ষে সৌর সেচ পাম্পগুলোর অভিযোজন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো নকশা ও পরিকল্পনা প্রবর্তন এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের অভিযোজনের জন্য নিয়ন্ত্রক কাঠামো ও গণপরিবহন বহরে বৈদ্যুতিক বাসের প্রবর্তন করে।

এ ছাড়াও, বন্যা কমাতে নগর পৌরসভার জন্য জলবায়ু সহনশীল শহরের কর্ম পরিকল্পনা এবং উন্নত নিষ্কাশন ব্যবস্থার প্রচারে সহায়তা করে এডিবি।

২০২১ সালের অক্টোবরে এডিবি ঘোষণা করেছে, এটি ২০১৯ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত তার উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোতে জলবায়ু অর্থায়ন ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে দেয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়িয়েছে। এটি নতুন জলবায়ুভিত্তিক প্রযুক্তির অভিগম্যতাকে প্রসারিত করবে এবং জলবায়ু অর্থায়নের দিকে ব্যক্তিগত পুঁজিকে সঞ্চয় করবে।

আরও পড়ুন:
আগামী অর্থবছর বাংলাদেশের জন্য ভালো বছর হবে
রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ২৬.১ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bashundhara Cup Golf Tournament is going on in colorful arrangements

বর্ণিল আয়োজনে চলছে বসুন্ধরা কাপ গলফ টুর্নামেন্ট

বর্ণিল আয়োজনে চলছে বসুন্ধরা কাপ গলফ টুর্নামেন্ট চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে বৃহস্পতিবার শুরু হয় দুই দিনব্যাপী টুর্নামেন্ট। ছবি: সংগৃহীত
এবিজি বসুন্ধরার পরিচালক মোস্তফা আজাদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘গলফের সঙ্গে অনেক দিন ধরে আছে বসুন্ধরা। আমাদের টি স্পোর্টস আছে। যদি আমরা গলফের কনটেন্ট টেলিকাস্ট করতে পারি, তাহলে বেশি মানুষ উৎসাহিত হবে। আমরা এশিয়ান গলফ টুর্নামেন্ট করেছি কুর্মিটোলায়।’

‘প্লে গলফ লিভ লং’ স্লোগানকে সামনে রেখে বর্ণিল আয়োজনে চলছে বসুন্ধরা কাপ গলফ টুর্নামেন্ট।

আয়োজনের দ্বিতীয় দিনেও গলফারদের সমাগমে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে গলফ ক্লাবে।

চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে বৃহস্পতিবার শুরু হয় দুই দিনব্যাপী এ টুর্নামেন্ট।

এ উপলক্ষে নয়নাভিরাম গলফ ক্লাব এলাকাটি দৃষ্টিনন্দন সাজে সাজানো হয়েছে।

বেলুন উড়িয়ে টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবিজি বসুন্ধরার পরিচালক মোস্তফা আজাদ মহিউদ্দিন।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন ৭ এডিএ ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া, কর্নেল ইমরুল, অবসরপ্রাপ্ত মেজর এমদাদুল ইসলাম, নির্বাহী কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. মোকাদ্দেস হোসেন, রুবাইয়াত তানভীরসহ অনেকে।

এবিজি বসুন্ধরার পরিচালক মোস্তফা আজাদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘গলফের সঙ্গে অনেক দিন ধরে আছে বসুন্ধরা। আমাদের টি স্পোর্টস আছে। যদি আমরা গলফের কনটেন্ট টেলিকাস্ট করতে পারি, তাহলে বেশি মানুষ উৎসাহিত হবে। আমরা এশিয়ান গলফ টুর্নামেন্ট করেছি কুর্মিটোলায়।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের সঙ্গে আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হচ্ছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছি। চট্টগ্রামে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব।’

তিনি বলেন, ‘আজকের পরিবেশ গলফের জন্য ভালো। বেশি রোদ নেই।’

এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নিতে সিনিয়র, লেডি ও জুনিয়র গ্রুপে ২৩১ জন গলফার নিবন্ধন করেছেন।

সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, চট্টগ্রামের এরিয়া কমান্ডার এবং ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের সভাপতি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবিজি বসুন্ধরার পরিচালক মোস্তফা আজাদ মহিউদ্দিন।

এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবিজি বসুন্ধরা ও পকেটের পৃষ্ঠপোষকতায়।

আরও পড়ুন:
ওয়ার্ল্ড বিজনেস আউটলুক অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এ পুরস্কার জিতল বসুন্ধরা হাউজিং
কেএসআরএম নবম গলফ টুর্নামেন্ট সম্পন্ন
বসুন্ধরা গ্রুপে চাকরি, স্বর্ণ শোধনাগারে কাজ
নারী এক্সিকিউটি নেবে বসুন্ধরা গ্রুপ, রয়েছে অনেক সুবিধা
এইচএসসি পাশে কম্পিউটার অপারেটর নেবে বসুন্ধরা গ্রুপ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
India bans onion exports to curb prices

দামে লাগাম টানতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

দামে লাগাম টানতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের দোকানে স্তূপ করে রাখা পেঁয়াজের বস্তা। ফাইল ছবি
ভারতজুড়ে বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি পেঁয়াজের গড়মূল্য ছিল ৫৭ দশমিক ১১ রুপি। এ দর এক বছর আগের এ সময়ের তুলনায় ৯৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি।

আগামী বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনের আগে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৪ সালের মার্চ নাগাদ এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেইন ট্রেডের (ডিজিএফটি) বৃহস্পতিবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পেঁয়াজ রপ্তানি নীতি ‘অবাধ’ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, নিষেধাজ্ঞা শুক্রবার কার্যকর হলেও তিনটি শর্তে পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে।

এতে বলা হয়, প্রজ্ঞাপন জারির আগে জাহাজে বোঝাইকৃত পেঁয়াজ; পরিবহন মূল্য পরিশোধ, পেঁয়াজ বোঝাইয়ের জন্য জাহাজের ভারতের বন্দরে আগমন ও প্রজ্ঞাপনের আগে জাহাজগুলোর রোটেশন নম্বর বরাদ্দ এবং প্রজ্ঞাপনের আগে পেঁয়াজের চালান কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর ও নিবন্ধিত হলে পণ্যটি রপ্তানি করা যাবে।

ভারতজুড়ে বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি পেঁয়াজের গড়মূল্য ছিল ৫৭ দশমিক ১১ রুপি। এ দর এক বছর আগের এ সময়ের তুলনায় ৯৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি।

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীর আলাদা বার্তা নিয়ে দিল্লি যাচ্ছি না: পররাষ্ট্র সচিব
যে সাত কারণে পরাজয়ের গ্লানিতে ডুবল ভারত
তীরে এসে তরি ডুবল ভারতের, অস্ট্রেলিয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন
হেডের সেঞ্চুরি, জয়ের সুবাস পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
বিশ্বকাপ জিততে ২৪১ দরকার অস্ট্রেলিয়ার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Trade deficit reduced by 60 per cent due to non essential imports
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপের সুফল

অপ্রয়োজনীয় আমদানি বন্ধে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৬০ শতাংশ

অপ্রয়োজনীয় আমদানি বন্ধে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৬০ শতাংশ
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে আবদুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেয়ার পরই অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়। বিলাসি পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করে নির্দেশনা দেয়া হয় ব্যাংকগুলোকে। সেসব পদক্ষেপের সুফল মিলতে শুরু করেছে।

অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া পদক্ষেপের সুফল মিলতে শুরু করেছে। করোনা মহামারি আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের রেশ ধরে বিশ্বব্যাপী তৈরি হয় ডলার সংকট। বিশ্ব বাণিজ্যের বড় অংশই যেহেতু নিয়ন্ত্রণ হয় ডলারে, সেহেতু যুদ্ধ ও করোনা মহামারিকে পুঁজি করে বাড়তে থাকে মুদ্রাটির চাহিদা।

করোনা মহামারি-পরবর্তী বাংলাদেশেও বেড়ে যায় আমদানি চাহিদা। তাতে করে প্রয়োজন বাড়ে ডলারের। ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে দফায় দফায় বিক্রি করতে হয়েছে ডলার। ফলে দুই বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ নেমে আসে প্রায় অর্ধেকে।

তবে ডলার সংকট কিংবা রিজার্ভ কমে যাওয়ার দুশ্চিন্তা থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বিশেষ করে গভর্নর হিসেবে আবদুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেয়ার পরই অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমাতে নেয়া হয় বেশ কিছু পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিলাসি পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করে নির্দেশনা দেয় ব্যাংকগুলোকে। সেসব পদক্ষেপের সুফল মিলতে শুরু করেছে। আমদানি ও রপ্তানির ঘাটতি পূরণে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে তাদের নেয়া পদক্ষেপ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের চার মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ।

ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য বলছে, গেল চার মাসে বাণিজ্য ঘাটতি কমে হয়েছে ৩৮০ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিলো ৯৬২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছরের চার মাসের হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৬০ দশমিক ৫০ শতাংশ।

তবে অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে বাণিজ্য ঘাটতি, ১৮২ কোটি ডলার। অতি প্রয়োজনীয় জ্বালানি ও সার আমদানির প্রভাবে এটা বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাণিজ্য ঘাটতি কমার ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছে আমদানি নিয়ন্ত্রণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে দেশে মোট আমদানি হয়েছে ২ হাজার ২৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারের পণ্য। আগের অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে তা ছিলো ২ হাজার ৫৫১ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে চার মাসে আমদানি কমেছে ২০ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

অন্যদিকে একই সময়ে রপ্তানি থেকে মোট আয় এসেছে ১ হাজার ৬৪৬ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ছিলো ১ হাজার ৫৮৮ কোটি ডলার। অর্থাৎ রপ্তানিতে বড় কোনো প্রবৃদ্ধি না হলেও বেড়েছে প্রায় ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রপ্তানি বাড়ানো গেলে বাণিজ্য ঘাটতি আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি কোনো আমদানিকারক যেন পণ্যের বাড়তি দাম দেখিয়ে আমদানি করতে না পারে সেদিকেও রয়েছে কঠোর নজরদারি।

‘প্রতিটি ব্যাংককে আমরা সতর্কতার সঙ্গে আমদানির ঋণপত্র খুলতে বলেছি। আমদানিতে যেন কোনোভাবেই কোনো মিথ্যা তথ্য না আসে সেদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর নজরদারি করছে। শুধু তাই নয়, আমদানির আড়ালে যেন কোনোভাবেই অর্থ পাচার না হয় সেদিকেও আমাদের নজরদারি রয়েছে।’

তিনি জানান, বর্তমানে বিশ্ববাজারে আমদানি পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়া দাম বাড়তি মনে হলে তা সঙ্গে সঙ্গে থামিয়ে দেয়া হচ্ছে। এজন্য আমদানি কিছুটা কমে এসেছে।

আমদানি কমানোর প্রবণতা অব্যাহত থাকবে কিনা- এমন প্রশ্নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা কোনো ভুল দামে পণ্য আমদানি করতে দেবে না। আমার মনে হয় এতে আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে ঘাটতি কমে আসবে।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সার্বিক বাণিজ্য ঘাটতি কমে ৩ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এটা ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে ছিলো ১ হাজার ৭১৫ কোটি ডলার বা ১৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।

রেকর্ড পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি দেখা যায় ২০২০-২১ অর্থবছরে। করোনা মহামারি শুরুর প্রথম বছরে বাণিজ্য ঘাটতি সব রেকর্ড ভেঙে ছাড়িয়ে যায় ৩ হাজার ৩২৫ কোটি ডলারের ঘর। সে হিসাবে গত অর্থবছরে তার আগের বছরের চেয়ে প্রায় অর্ধেক হয় বাণিজ্য ঘাটতি। চলতি অর্থবছর শেষে তা আরও কমে আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। তবে এর প্রভাবে যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি কমে না আসে সেদিকে নজর দেয়ার পরামর্শ তাদের।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও দ্য ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অফ বাংলাদেশের (আইসিএবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হোসেন এফসিএ বলেন, ‘রিজার্ভের কথা চিন্তা করে আমদানি কমিয়ে আনতে হবে; সেটা ধীরে ধীরে হচ্ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকরা কাঁচামাল আমদানি করতে না পারলে রপ্তানিও কমে আসবে।’

তার পরামর্শ, আমদানির আড়ালে যেন অর্থ পাচার না হয় সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।

আরও পড়ুন:
চলতি মাসে রিজার্ভ আর কমবে না: বাংলাদেশ ব্যাংক
বিদেশি মুদ্রায় দেশের ব্যাংকে আমানত রাখার সুযোগ
ডলারের অবমূল্যায়ন বিচক্ষণ পদক্ষেপ: বাংলাদেশ ব্যাংক
রেমিট্যান্সের অর্থ দুই দিনের মধ্যে জমা করার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bashundhara Housing won the World Business Outlook Award 2023

ওয়ার্ল্ড বিজনেস আউটলুক অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এ পুরস্কার জিতল বসুন্ধরা হাউজিং

ওয়ার্ল্ড বিজনেস আউটলুক অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এ পুরস্কার জিতল বসুন্ধরা হাউজিং
এই পুরস্কারটি একটি আধুনিক এবং গতিশীল জীবনযাত্রার পরিবেশ তৈরির জন্য বসুন্ধরা হাউজিং-এর অবদানকে তুলে ধরে, যা ঢাকায় প্রথম পরিকল্পিত এবং একমাত্র রাজউক-অনুমোদিত আধুনিক স্মার্ট সিটি।

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ল্যান্ড ডেভেলপার, বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা হাউজিং জিতল মর্যাদাপূর্ণ ‘ওয়ার্ল্ড বিজনেস আউটলুক অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’। এই পুরস্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে বসুন্ধরা হাউজিং বাংলাদেশের সবচেয়ে উদ্ভাবনী ল্যান্ড ডেভেলপার কোম্পানি হিসেবে স্বীকৃতি পেল যা রিয়েল এস্টেট সেক্টরের জন্য নতুন একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

গত ২৫ নভেম্বর থাইল্যান্ডের ব্যাংককের কুইন্স পার্কের ম্যারিয়ট মারকুইস-এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এই পুরস্কারটি ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড প্রমোশন (ডিআইটিপি) থেকে তুলে দেন নাটিয়া সুচিন্দা এবং পুরস্কারটি গ্রহণ করেন জনাব বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধান (বিক্রয় ও বিপণন), বসুন্ধরা গ্রুপ।

এই পুরস্কারটি একটি আধুনিক এবং গতিশীল জীবনযাত্রার পরিবেশ তৈরির জন্য বসুন্ধরা হাউজিং-এর অবদানকে তুলে ধরে, যা ঢাকায় প্রথম পরিকল্পিত এবং একমাত্র রাজউক-অনুমোদিত আধুনিক স্মার্ট সিটি।

মন্তব্য

p
উপরে