২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বেশ কিছু পণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এর ফলে দাম কমতে পারে কৃষি যন্ত্রপাতি, উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ, ১৫ আসনের কম মাইক্রোবাস, ক্যানসারের ওষুধ, বিস্কুট, কনটেইনার, কোল্ড রোল, উড়োজাহাজের ইঞ্জিন, হট রোল, হোমমেড বিস্কুট, টার্বো ইঞ্জিনের। এর বাইরে কমতে পারে যক্ষা নিয়ন্ত্রণের ওষুধ, কেক, মিষ্টি, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপারের দাম।
দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের
প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেট, ই-সিগারেট, লিফট ও এসক্যালেটর, এলপিজি সিলিন্ডার, ওয়াশিং মেশিন, সিমেন্ট, আমদানিকৃত মোবাইল ফোন, বাইসাইকেলের যন্ত্রাংশের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া খেজুর, কাজুবাদাম, গ্লাস, ইলেকট্রিক ওভেন, ব্লেন্ডার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, জুসার, রাইস কুকার, প্রেশার কুকার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, রাউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ইয়ার ফোন, সিসিটিভি মনিটর, প্রজেক্টর, ডিজিটাল ওয়াচ, সফটওয়্যার, ইলেকট্রিক প্যানেল, প্লাস্টিক টেবিলওয়্যার, আলুমিনিয়ামের বাসনপত্র, সানগ্লাস, পেনড্রাইভ, এসএসডি কার্ড, সিসিটিভি মনিটর, রেফ্রিজারেটর, টিস্যু পেপার, টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইড, বলপয়েন্ট কলম, ফেসওয়াশ, পলিপ্রপাইলিং ফিল্ম, টুনা-স্যালমন জাতীয় আমদানিকৃত মাছ, স্যানিটারি সামগ্রী, স্বর্ণের বার ও আমদানিকৃত মোটরসাইকেলের দাম বাড়তে পারে।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ৫ হাজার ৩০৮ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। শস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি উৎপাদন খাতে বেশ ঋণ নিয়েছেন কৃষকরা। আলোচিত সময় কৃষকের ঋণ পরিশোধও সন্তোষজনক। এ সময় আগের নেয়া ঋণ কৃষক ফেরত দিয়েছেন ৫ হাজার ২৫১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষক ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতি করেন না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অপ্রত্যাশিত ক্ষতি ছাড়া ঋণের কিস্তি কৃষকের বকেয়া থাকে না। যার কারণে এ খাতে বিতরণ করা ঋণের খেলাপির হার অনেক কম, কিছু ক্ষেত্রে নেই বললেই চলে। যেখানে বৃহৎ শিল্প গ্রুপের বড় ঋণে খেলাপির হার কয়েক গুন বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত বিতরণ করা মোট কৃষিঋণের স্থিতি ৫৩ হাজার ২৩০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৮৭ কোটি টাকা বকেয়া। সার্বিকভাবে কৃষি খাতে ঋণখেলাপির হার ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৩ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে কৃষকদের সবচেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছে বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি)। এই দুই মাসে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৮৫৩ কোটি টাকা। এর পরই রয়েছে বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। ব্যাংকটি এ সময়ে বিতরণ করেছে ৪৮৮ কোটি টাকার ঋণ। এ ছাড়া বিদেশি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ৩৯৭ কোটি টাকা, ইসলামী ব্যাংক ৩৫৩ কোটি এবং ব্র্যাক ব্যাংক ২২৩ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য ঠিক করেছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর কৃষিঋণের লক্ষ্য ছিল ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা।
কম সুদে কৃষকদের হাতে ঋণ পৌঁছাতে এবার ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থার (এমএফআই) ওপর বেসরকারি ব্যাংকের নির্ভরশীলতা আরও কমিয়ে আনা হচ্ছে। আর এ জন্য ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্তত ৫০ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা এতদিন ছিল ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া কৃষিঋণের কত অংশ কোন খাতে দিতে হবে, তাও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের জন্য প্রণীত কৃষিঋণ নীতিমালায় বলা হয়, ভবনের ছাদে বিভিন্ন কৃষি কাজ করা একটি নতুন ধারণা। বর্তমানে শহরাঞ্চলে যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত বাড়ির ছাদে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ফুল, ফল ও শাকসবজির যে বাগান গড়ে তোলা হয়, তা ছাদবাগান হিসেবে পরিচিত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্ক (শাখা, উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং, দলবদ্ধ ঋণ বিতরণ) ও ব্যাংক-এমএফআই লিংকেজ ব্যবহার করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ হতে হবে। আগে তা ছিল ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া মৎস্য খাতে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১৩ শতাংশ ও প্রাণিসম্পদ খাতে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে বলা হয়।
আরও পড়ুন:দেশের বাজারে এক দরজা-বিশিষ্ট (সিঙ্গেল ডোর) অলরাউন্ডার মডেলের রেফ্রিজারেটর (ফ্রিজ) আনতে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।
ছোট পরিবার থেকে শুরু করে ব্যাচেলর, ফার্মেসি, হাসপাতাল, হোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, দোকনে ব্যবহার উপযোগী হবে ওয়ালটনের এ মডেলের রেফ্রিজারেটরটি বলে জানিয়েছেন ওয়ালটনের কর্মকর্তারা।
ওয়ালট কর্তৃপক্ষ জানায়, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে অত্যাধুনিক রেফ্রিজারেটর ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে তৈরি করা হচ্ছে ৫০ লিটার থেকে ২২৫ লিটার পর্যন্ত বিভিন্ন ধারণক্ষমতার সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ।
অন্যান্য মডেলের তুলনায় এই ফ্রিজের ব্যবহারযোগ্য জায়গা অনেক বেশি। এই ফ্রিজে নরমাল অংশ রয়েছে ৯০ শতাংশ এবং ডিপ অংশ ১০ শতাংশ। একই সাইজের রেগুলার ফ্রিজের তুলনায় ওয়ালটনের এই ফ্রিজ ৩০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘মাল্টিপারপাজ ইউজারের কথা বিবেচনা করে এই ফ্রিজের মডেল উদ্ভাবন করেছে ওয়ালটন। ১ থেকে ৪ জনের একটি ছোট পরিবার সাশ্রয়ী খরচে ব্যবহার করতে পারবেন এই মডেলের ফ্রিজ। পাশাপাশি ফার্মেসিতে ব্যবহারের জন্য এই ফ্রিজ খুব উপযুক্ত। ওষুধ সংরক্ষণের জন্য ফার্মেসিতে এই মডেলের ফ্রিজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজের মার্কেট শেয়ার প্রায় ৭৫ শতাংশ। এ অঞ্চলের বাজারে ব্যাপক পরিমান সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ রপ্তানি করেছে ওয়ালটন। এটিকে বলা চলে ওয়ালটনের সর্বোচ্চ রপ্তানিকৃত ফ্রিজের মডেল। আমাদের প্রত্যাশা, স্থানীয় বাজারেও ক্রেতাদের কাছে হট কেকে পরিণত হবে ওয়ালটন সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ।’
ওয়ালটন ফ্রিজের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগের প্রধান আজমল ফেরদৌস বাপ্পী বলেন, ‘সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে সিলভার ক্লিন++ প্রযুক্তি। যা ফ্রিজের খাবারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া অনুপ্রবেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ করে। এই ফ্রিজের কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হচ্ছে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব জ৬০০ধ রেফ্রিজারেন্ট ও অপটিমাইজড কুলিং সার্কিট। ফলে এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় ব্যাপক।
‘এই মডেলটি বিশেষ ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে। ফ্রিজের বডি স্ট্যান্ডে রয়েছে অনিয়ন ট্রে। এতে পেঁয়াজ, আলু সহজেই সংরক্ষণ করা যাবে। ওয়ালটন সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজের আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে এটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ইউএল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। ইউএল সার্টিফিকেট দ্বারা ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সেফটি স্ট্যান্ডার্ড নিশ্চিত করা হয়।’
তিনি আরও জানান, বাজারে বর্তমানে ওয়ালটনের রয়েছে ৪টিরও বেশি বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের ১০টির অধিক মডেলের সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ। এসব ফ্রিজের দাম পড়বে ১৪ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টিসহ এই ফ্রিজের কম্প্রেসারে ১২ বছরের গ্যারান্টি সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতারা। আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্টর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজের গ্রাহকরা দেশব্যাপী ৮৩টি সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন:শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২৩। সারা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের আনন্দ বাড়িয়ে দিতে মাস্টারকার্ড ও নগদ নিয়ে এসেছে দারুণ অফার। মাস্টারকার্ড থেকে নগদ ওয়ালেটে ৩৪৫০ টাকা বা তার বেশি অ্যাড মানি বা ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্ট করে গ্রাহক জিতে নিতে পারেন আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ খেলা দেখার টিকিট।
নগদ ও মাস্টারকার্ডের এই অফারের মাধ্যমে একজন গ্রাহক সহজেই জিতে নিতে পারেন আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ খেলা দেখার টিকিট। এর সাথে থাকছে প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ লেনদেনকারী গ্রাহকের জন্য ফ্ল্যাগ বিয়ারার প্রোগ্রাম ও মাস্টারকার্ড সোফা।
এ ছাড়া ক্যাম্পেইন শেষে মাস্টারকার্ড অ্যাড মানিতে সর্বোচ্চ লেনদেনকারী একজন ও মাস্টারকার্ড ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্টে একজন পাবেন ম্যাচ ডে এক্সপেরিয়েন্স ও বিয়ন্ড দ্য বাউন্ডারি টিকিট।
পাশাপাশি ক্যাম্পেইন চলাকালে নগদের মাধ্যমে মাস্টার কার্ডে সর্বোচ্চ বিল পেমেন্টকারী পাবেন মাঠে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সাথে সেলফি তোলার সুযোগ। এ ছাড়া মাস্টার কার্ড থেকে নগদে সর্বোচ্চ অ্যাড মানি করা গ্রাহক প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের সাথে সেলফি তোলার সুযোগ পাবেন।
ক্যাম্পেইনের বিষয়ে নগদের চিফ মার্কেটিং অফিসার সাদাত আদনান আহমেদ বলেন, ‘ক্রিকেট বিশ্বকাপের উন্মাদনায় নগদ ও মাস্টারকার্ড তাদের গ্রাহকদের জন্য দারুণ এই অফার চালু করেছে। ক্রিকেটপ্রেমী গ্রাহকেরা সহজে এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখার সুযোগ পেতে পারেন।’
এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে একজন ফুল প্রোফাইল নগদ গ্রাহক হতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পেইনের শর্ত মেনে লেনদেন করতে হবে। ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে নগদের ফেইসবুক পেইজ বা ওয়েবসাইটে নজর রাখতে পারেন গ্রাহক। ক্যাম্পেইনটি ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত। ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নির্বাচন করা হবে দ্বৈবচয়ন ভিত্তিতে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আরও পড়ুন:আবারও ডলারের দর বাড়িয়েছে দেশের ব্যাংকগুলো। এবার সব ক্ষেত্রেই ৫০ পয়সা করে বাড়ানো হয়েছে ডলারের দর।
সোমবার থেকে নতুন এই বিনিময় হার কার্যকর হচ্ছে।
বিদেশি মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) এক সভায় ডলারের দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত হয়।
সোমবার থেকে ব্যাংকগুলো ১১০ টাকায় ডলার কিনে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করছে। রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ে ডলারের দর ৫০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা হয়েছে। আর আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।
নতুন হার অনুসারে রপ্তানিকারক ও রেমিট্যান্স পাঠানো ব্যক্তিরা প্রতি ডলারে ১১০ টাকা পাবেন। এ ছাড়াও ব্যাংকগুলো আমদানিকারকদের কাছ থেকে ডলারপ্রতি ১১০ টাকা ৫০ পয়সা নেবে। ডলারের আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার ধরা হয়েছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের তুলনায় আমদানি বিল বেশি হওয়ায় দেশের রিজার্ভ কমে গেছে। তাই গত দেড় বছর ধরে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েই চলছে। এর আগে গত ৩১ আগস্ট ডলারের দর বাড়ানো হয়। সেবার পণ্য বা সেবা রপ্তানি ও প্রবাসী আয় কেনায় ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা, আমদানির জন্য নির্ধারণ করা হয় ১১০ টাকা।
এদিকে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটেও ডলারের দর ঊর্ধ্বমুখী। সোমবার এই বাজারে ১১৭ টাকা দরে ডলার বিক্রি হয়েছে। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে ১১৭ টাকা থেকে ১১৮ টাকায় ডলার কেনাবেচা হচ্ছে।
রোববার দেশের পাঁচটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে গভর্নর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে ডলার বাজার বা বিদেশি মুদ্রার বাজার সম্পর্কে নীতিগত কোনো পরিবর্তন আনবে না বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন যেভাবে ডলার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে, সেভাবেই চলতে থাকবে। তবে সময়ে সময়ে ডলারের দামে যেভাবে পরিবর্তন আনা হচ্ছে, সেই ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
সেই বৈঠকের পর আবার ডলারের দর বাড়ানো হলো।
গত বছরের মার্চে দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের যে সংকট শুরু হয়েছিল, তা এখনো কাটেনি। অনেক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, পণ্য আমদানিতে তারা চাহিদামতো ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছেন না।
কয়েক দিন আগে ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন। এ ছাড়া অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে সেবা দিয়ে যে আয় ও মুনাফা করেছে, তা-ও নিজ দেশে নিতে পারছে না।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়।
পরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এর পর থেকে এই দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে এই দুই সংগঠন।
তবে এবিবি ও বাফেদার এই সিদ্ধান্ত অনেক ক্ষেত্রেই মানেনি ব্যাংকগুলো। অনেক ব্যাংক এই দুই সংগঠনের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়েও বেশি দামে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করেছে। এজন্য কয়েক দফায় কয়েকটি ব্যাংককে সতর্ক করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন:প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জন্য বিনা মূল্যে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রকল্প পরিচালনা করছে জহির স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং মিলস (জেডএসআরএম) ও বেসরকারি সংস্থা সম্ভাবনা।
এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের বিনা মূল্যে স্বল্পমেয়াদি হস্তশিল্প ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেবে সম্ভাবনা।
মঙ্গলবার ওই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ এবং প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সহযোগী প্রতিষ্ঠান জেডএসআরএমের চেয়ারম্যান হাসান উদ্দিন আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম রাজন ও মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট সামিমা হক।
প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে জেডএসআরএমের সহযোগিতায় ঢাকার ৪০ জন এবং পাবনা জেলার ৪০ জনসহ মোট ৮০ জন নারীকে ব্লক-বাটিক এবং হস্তশিল্পবিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা তাদের অভিজ্ঞতা ও কাজের প্রয়োজনীয়তার কথা ব্যক্ত করেন।
এ প্রকল্প সম্পর্কে জেডএসআরএমের চেয়্যারম্যান হাসান উদ্দিন আহমেদ জানান, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে একসঙ্গে কাজ করলে এগিয়ে যাবে দেশ। তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের কাজের অগ্রগতিকে সাধুবাদ জানান এবং আরও উন্নতমানের ও বাণিজ্যিকভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।
এ প্রকল্প সম্পর্কে জেডএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম রাজন বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করতে নারীদের অবদান অনস্বীকার্য। এখনকার নারীরা ঘরে-বাইরে সমান হারে কাজ করছে। জেডএসআরএম নারীদের এ অবদানকে সম্মান জানিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের অনুপ্রেরণা জোগাতে কাজ করে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি প্রকল্পে কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সম্ভাবনার প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল ইসলাম এ প্রকল্প সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে তাই নারীর ভূমিকা অসামান্য। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখাতে এবং নারীর সমতা আনতে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘নারীদের স্বাবলম্বী করার মতো অলাভজনক, কিন্তু উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করায় জেডএসআরএমকে সাধুবাদ জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীদের স্বাবলম্বী করতে ও নারী দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করে অনিন্দিত নারী দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র। সম্ভাবনার পরিচালনায় দেশের খ্যতিমান যুব প্রশিক্ষকদের অংশগ্রহণে ও দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় প্রতিষ্ঠানটি নারীদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।
‘বস্তিবাসী ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন, সেলাই প্রশিক্ষণ, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, শিশুর শিক্ষাবিষয়ক সচেতনতা প্রদান, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ সুবিধাবঞ্চিত নারীদের স্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কাজ করছে অনিন্দিত নারী।’
অবৈধ হুন্ডি বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স ধারাবাহিকভাবে কম আসছে। চলতি সেপ্টেম্বরের প্রথম ২২ দিনে (১ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ৪ কোটি ৭৯ লাখ ডলার।
রেমিট্যান্সে প্রতি ডলারের জন্য এখন ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। সে হিসাবে এই ২২ দিনে এসেছে ১১ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা। প্রতিদিনে এসেছে ৫২৫ কোটি টাকা; কিন্তু হুন্ডিতে এক ডলারের বিনিময়ে দেয়া হচ্ছে ১১৭ থেকে ১১৮ টাকা। ফলে দফায় দফায় টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ানোর পরও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়ছে না, উল্টো কমছে।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে ১৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল গত ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি (১.৯৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৬ কোটি ৩৬ লাখ ডলার বা ৬৯৪ কোটি টাকা। চলতি মাসের ২২ দিনে যে রেমিট্যান্স এসেছে, মাসের বাকি ৮ দিনে সেই হারে এলে মাস শেষে মোট রেমিট্যান্সের অঙ্ক ১৪৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলারে গিয়ে ঠেকবে। সে হিসাবে আগস্টের চেয়েও সেপ্টেম্বরে কম রেমিট্যান্স আসবে। আর সেটা হবে দেড় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে ডলারের দর বাড়ায় সাম্প্রতিক সময়ে হুন্ডি আরও বেড়ে গেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ভয়-আতঙ্কে রোববার কার্ব মার্কেটে ডলার বেচাকেনা বন্ধই ছিল বলা যায়। খুবই গোপনে দু-একটি লেনদেনের খবর পাওয়া গেছে, প্রতি ডলার ১১৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত এক মাস ধরে খোলাবাজারে ১১৬ থেকে ১১৮ টাকায় ডলার বেচাকেনা হচ্ছে।
ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ যা পাওয়া যায়, হুন্ডির মাধ্যমে পাঠালে তার চেয়েও ৫ থেকে ৬ টাকা বেশি পাওয়া যায়। সে কারণেই সবাই হুন্ডির দিকে ঝুঁকছে বলে জানিয়েছেন জনশক্তি রপ্তানিকারক ও অর্থনীতিবিদরা।
গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ২ দশমিক ২০ বিলিয়ন (২২০ কোটি) ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে, যা ছিল একক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক রেমিট্যান্সপ্রবাহে ধসের কারণে রিজার্ভও কমছেই।
গত ৭ সেপ্টেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-আগস্ট মেয়াদের ১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধের পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গ্রস’ হিসাবে রিজার্ভ নেমে আসে ২৭ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্যে দেখা যায়, রোববার আইএমএফের বিপিএম ৬ হিসাবে রিজার্ভ আরও কমে ২১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গ্রস’ হিসাবে রিজার্ভ নেমেছে ২৭ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে। গত ১২ জুলাই থেকে আইএমএফের কথামতো রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ‘গ্রস’ হিসাবের পাশাপাশি বিপিএম ৬ পদ্ধতি অসুসরণ করেও রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা মজুত থাকতে হয়। সবশেষ গত জুলাই মাসে পণ্য আমদানিতে বাংলাদেশের ৫ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। সে হিসাবে বর্তমানের ২১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে চার মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশকে উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি আখ্যা দিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসেফ আল দুহাইলান বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
সৌদি আরবের ৯৩তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেয়া বার্তায় তিনি এ আগ্রহের কথা জানান বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির রোববারের প্রতবেদনে জানানো হয়েছে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘(বাংলাদেশের) বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি আরবের নামী অনেক কোম্পানি ও বিনিয়োগকারী।’
সৌদির জাতীয় দিবস ২৩ সেপ্টেম্বর। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নিজেদের জাতীয় দিবস উদযাপন করবে সৌদি দূতাবাস।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে বাড়ি, স্কুল, মসজিদ, এতিমখানা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুরক্ষার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র, হাসপাতাল, সেতু ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সৌদি আরব।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি সফর ও দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে বৈঠক এবং সৌদির বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।
সৌদি দূত আরও বলেন, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক শক্ত বন্ধনের ওপর প্রতিষ্ঠিত দুই দেশের সম্পর্কের মূল গভীরে প্রোথিত।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য