× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Moodys downgraded Bangladeshs credit rating by one step
google_news print-icon

বাংলাদেশের ঋণ মান এক ধাপ কমিয়ে দিয়েছে মুডিস

বাংলাদেশের-ঋণ-মান-এক-ধাপ-কমিয়ে-দিয়েছে-মুডিস
আন্তর্জাতিক ঋণমান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে উঁচু মাত্রার দুর্বলতা ও তারল্যের ঝুঁকি রয়েছে। একইসঙ্গে চলমান সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতাও প্রকাশ পেয়েছে।

বাংলাদেশের ঋণমান এক ধাপ কমিয়ে বিএ-৩ থেকে বি১-এ নামিয়ে দিয়েছে মুডিস। আন্তর্জাতিক ঋণমান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে উঁচু মাত্রার দুর্বলতা ও তারল্যের ঝুঁকি রয়েছে। একইসঙ্গে চলমান সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতাও প্রকাশ পেয়েছে।

মুডিস অবশ্য বাংলাদেশের জন্য তাদের পূর্বাভাস স্থিতিশীল রেখেছে। আবার স্বল্পমেয়াদি ইস্যুয়ার রেটিংয়ের ক্ষেত্রে ‘নট প্রাইম’ মান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

আন্তর্জাতিক ঋণমান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানটির বক্তব্য, পরিস্থিতি খানিকটা সহজ হলেও বাংলাদেশে ডলার সংকট চলমান। বিদেশি মুদ্রার মজুত কমে যাচ্ছে, যা দেশটির বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতির ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে। একইসঙ্গে আমদানির ক্ষেত্রে নানা ধরনের বাধা তৈরি হয়েছে, যার ফলে জ্বালানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সরকার আমদানি নিয়ন্ত্রণে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল তা পুরোপুরি প্রত্যাহার করেনি। একাধিক বিনিময় হার চালু এবং সুদের হার ঠিক করে দেয়ার মতো অপ্রচলিত যেসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, সেখান থেকেও দেশটি ফিরে আসেনি। এসব পদক্ষেপ বিভিন্ন ধরনের বিকৃতি ঘটাচ্ছে।

রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়া নিয়েও কথা বলেছে মুডিস। প্রতিষ্ঠানটির বক্তব্য, অর্থনীতির আকারের তুলনায় কম রাজস্ব আদায়ের ফলে সরকারের পছন্দসই নীতি গ্রহণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে টাকার অবমূল্যায়ন ও স্বল্প সময়ে অভ্যন্তরীণ ঋণের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে সুদ বাবদ সরকারকে আরও বেশি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে, যা তার ঋণ গ্রহণের সক্ষমতাকে দুর্বল করার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

মুডিস আশা করছে, বিদেশি অর্থায়ন বৈদেশিক ও রাজস্ব সংক্রান্ত চাপ কিছুটা কমাতে সাহায্য করবে। তবে মহামারির আগের তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রা পরিস্থিতি দুর্বল থাকবে এবং উঁচু মাত্রার ঋণের কারণে রাজস্ব পরিস্থিতি দুর্বল হবে।

মুডিস মনে করছে, যেসব রাজস্ব সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে, সেগুলোর বাস্তবায়ন হতে অনেক বছর লেগে যাবে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির পূর্বাভাস স্থিতিশীল রাখার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুডিস বলেছে, দেশটি কম সুদে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অর্থায়ন ও সহায়তা পেয়ে যাচ্ছে। ফলে বৈদেশিক ও রাজস্ব খাতে চাপ হালকা হবে।

মুডিস মনে করে, বাংলাদেশের ঋণভার অন্যান্য দেশের তুলনায় মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে এবং কম সুদে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঋণ নেয়ায় বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
90 percent of Sylhets hotel motel bookings are over
তিন দিনের ছুটিতে ঢল নামবে পর্যটকের

সিলেটের হোটেল-মোটেলে ৯০ শতাংশ বুকিং শেষ

সিলেটের হোটেল-মোটেলে ৯০ শতাংশ বুকিং শেষ সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ে পর্যটকের ভিড়। ফাইল ছবি
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবির (সা.) ছুটি বৃহস্পতিবার। আর পরের দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে টানা তিনদিনের ছুটি পেতে যাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। আর এই ছুটিতে সিলেটে ঢল নামতে যাচ্ছে পর্যটকের। ইতোমধ্যে সিলেটের হোটেল-মোটেল, রিসোর্টগুলোর ৯০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে।

স্বাভাবিকভাবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেই সিলেটে ঢল নামে পর্যটকের। বাড়তি ছুটি পেলে তো কথাই নেই। পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে থাকে ভিড়ে ভিড়াক্কার চিত্র। তিনদিনের টানা ছুটি মিলে যাওয়ায় ব্যতিক্রম হচ্ছে না এবারও।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবির (সা.) ছুটি বৃহস্পতিবার। আর পরের দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে টানা তিনদিনের ছুটি পেতে যাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। আর এই ছুটিতে সিলেটে ঢল নামতে যাচ্ছে পর্যটকের। ইতোমধ্যে সিলেটের হোটেল-মোটেল, রিসোর্টগুলোর ৯০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে।

দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত জনপদ সিলেট। এখানকার হাওর, পাহাড়, ঝর্ণা, নদী দেখতে সারাবছরই ভিড় করেন পর্যটকরা। আর কোনো উৎসব বা দীর্ঘ ছুটিতে রীতিমতো পর্যটকের ঢল নামে। হোটেল-রিসোর্টগুলোতে কক্ষ খালি পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। জাফলং, বিছনাকান্দি, পাংথুমাই, লালাখাল, সাদপাথর এলাকা পর্যটকের পদভারে হয়ে ওঠে মুখর।

বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিনের ছুটির কারণে সিলেটে লাখো পর্যটকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন পর্যটন খাতের উদ্যোক্তারা।

সিলেটের হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী ও পর্যটন-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৫ দিন ধরেই বিভিন্ন মাধ্যমে সিলেটের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো বুকিং দিয়ে রাখছেন পর্যটকরা। ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশই বুকিং হয়ে গেছে। বিশেষত বড় হোটেল ও রিসোর্টগুলোর কোনো কক্ষ ফাঁকা নেই। কক্ষ ফাঁকা না থাকায় মঙ্গলবার অনেক পর্যটক ফোন করলেও তাদের ফিরিয়ে দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের দুটি রিসোর্টের সংশ্লিষ্টরা।

সিলেট বিভাগে ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই পর্যটকনির্ভর। এখানকার প্রধানতম পর্যটন কেন্দ্র জাফলং। জাফলংকে বলা হয় প্রকৃতি-কন্যা। ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়, ঝর্ণা ও পাহাড় থেকে নেমে আসা নদী, খাসিয়া পল্লী দেখতে সারা বছর ভিড় করেন পর্যটকরা।

জাফলংয়ের গুচ্ছগ্রাম এলাকার গ্রিন ভিউ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী বাবুল আহমদ বলেন, ‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার আমাদের রিসোর্ট খালি থাকে না। এবার একদিন বাড়তি ছুটি থাকায় সপ্তাহখানেক আগেই সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। ফলে এখন অনেকে ফোন করলেও তাদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।’

নগরের জিন্দাবাজার এলাকার হোটেল গোল্ডেন সিটির ব্যবস্থাপক মিষ্ঠু দত্ত বলেন, সারাবছরই আমরা এরকম বাড়তি ছুটি এবং উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকি। এরকম সুযোগে পর্যটকরা বেশি আসেন। তাছাড়া এখন সিলেটের আবাহাওয়াও অনুকুলে আছে। প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তাই এখন সিলেট ঘুরে বেড়ানোর উপযুক্ত সময়। আগামী তিনদিন সিলেটে প্রচুর পর্যটক থাকবেন বলে আশা করছি। ইতোমধ্যে আমাদের হোটেলের বেশিরভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।

তিনদিনের ছুটিতে সিলেটে লাখখানেক পর্যটক সমাগমের আশা প্রকাশ করেন সিলেটের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমাত নুরী জুয়েল। তিনি বলেন, ‘পর্যটকের ভিড় বাড়লে সংশ্লিষ্ট সবাই লাভবান হন। গাড়িচালক, নৌকার মাঝি, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মুদি দোকানি সবাই। ফলে আমাদের সবাইকে পর্যটকদের সমাদর করা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘আগামী তিনদিন সিলেটের হোটেল-মোটেলে ভালো ব্যবসা হলেও এবার পর্যটনের ভরা মৌসুমে পর্যটক সমাগমের আশা কম। কারণ নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে নির্বাচনী ডামাডোল ও রাজনৈতিক সহিংসতার শঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই হয়তো বেড়াতে বের হতে উৎসাহিত হবেন না।’

পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে কথা হয় ট্যুরিস্ট পুলিশের সিলেট রিজিওনের এসপি মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘সাপ্তাহিক ও বিভিন্ন ছুটির সময় সিলেটে পর্যটকের ভিড় থাকে। এসব দিনে পর্যটকদের নিরাপত্তায় এখানে বিশেষভাবে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আগামী তিন দিনও এর ব্যতিক্রম হবে না।

‘স্বল্পসংখ্যক জনবল নিয়েও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমরা পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে সচেষ্ট থাকব। প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নেয়া হবে।’

সিলেটের সবচেয়ে বেশি পর্যটন কেন্দ্র গোয়াইনঘাট উপজেলায়। জাফলং ছাড়াও দেশের দুর্লভ জলার বন রাতারগুল, পাথরের বিছানা বিছানো বিছনাকান্দি, স্বচ্ছ জলের লালাখাল, পাহাড়ি ঝর্ণার পাংথুমাইয়ের অবস্থান এই উপজেলায়ই। অবশ্য এখানকার খরস্রোতা নদীগুলোতে দুর্ঘটনায় পর্যটকের প্রাণহানি ঘটনাও ঘটে সবচেয়ে বেশি।

তবে পর্যটকদের সতর্ক করতে প্রশাসন তৎপর থাকবে জানিয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাঁতার না জানা কেউ যাতে পানিতে না নামেন এ ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবীরা প্রচার চালাবে।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Sailing on the Saint Martin route begins on Tourism Day

পর্যটন দিবসে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে

পর্যটন দিবসে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসিম আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে ৭ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বুধবার থেকে সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।’

কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ দীর্ঘ ৬ মাস ধরে। অবশেষে বিশ্ব পর্যটন দিবসে সেই স্থবিরতা কাটছে। বুধবার রুটটিতে পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে।

বিশ্ব পর্যটন দিবস সামনে রেখে মঙ্গলবার পরীক্ষামূলকভাবে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসিম আহমদের নেতৃত্বে পর্যবেক্ষণ দল ‘বার আউলিয়া’ নামের একটি জাহাজে করে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়।

পর্যবেক্ষণ দলের নেতৃত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসিম আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে ৭ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বুধবার থেকে সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

‘আজ (মঙ্গলবার) জেলা প্রশাসনের একটি দল পর্যবেক্ষণ করার জন্য সেন্টমার্টিনে যাত্রা করেছি। আমরা উভয়পাড়ের জেটিঘাট, নাফ নদের নাব্যতাসহ নানা বিষয়ের উপযোগিতা খতিয়ে দেখছি।’

চলতি বছরের ২০ মার্চের পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে চলতি মাসের ২৭ সেপ্টেম্বর জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন।

পর্যবেক্ষণ দলে থাকা কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) সিনিয়র সহ-সভাপতি হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘নাফ নদের নাব্য-সংকট ও নদীতে একাধিক বালুচর জেগে ওঠার উল্লেখ করে গত বছর পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এ বছর যথাসময়ে জাহাজ চলাচলের অনুমতি পাওয়ায় শুকরিয়া। পাশাপাশি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

পর্যবেক্ষণ দলে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব রায়হান উদ্দিন আহমেদ, পর্যটন উদ্যোক্তা তৌহিদুল ইসলাম তোহা, ট্যুর অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, সহ-সভাপতি মিল্কি, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
5 thousand 308 crores loan disbursement among farmers in two months

কৃষকদের মধ্যে দুই মাসে ৫ হাজার ৩০৮ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ

কৃষকদের মধ্যে দুই মাসে ৫ হাজার ৩০৮ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ ফাইল ছবি
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষক ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতি করেন না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অপ্রত্যাশিত ক্ষতি ছাড়া ঋণের কিস্তি কৃষকের বকেয়া থাকে না। যার কারণে এ খাতে বিতরণ করা ঋণের খেলাপির হার অনেক কম, কিছু ক্ষেত্রে নেই বললেই চলে। যেখানে বৃহৎ শিল্প গ্রুপের বড় ঋণে খেলাপির হার কয়েক গুন বেশি।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ৫ হাজার ৩০৮ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। শস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি উৎপাদন খাতে বেশ ঋণ নিয়েছেন কৃষকরা। আলোচিত সময় কৃষকের ঋণ পরিশোধও সন্তোষজনক। এ সময় আগের নেয়া ঋণ কৃষক ফেরত দিয়েছেন ৫ হাজার ২৫১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের মা‌সিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষক ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতি করেন না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অপ্রত্যাশিত ক্ষতি ছাড়া ঋণের কিস্তি কৃষকের বকেয়া থাকে না। যার কারণে এ খাতে বিতরণ করা ঋণের খেলাপির হার অনেক কম, কিছু ক্ষেত্রে নেই বললেই চলে। যেখানে বৃহৎ শিল্প গ্রুপের বড় ঋণে খেলাপির হার কয়েক গুন বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত বিতরণ করা মোট কৃষিঋণের স্থিতি ৫৩ হাজার ২৩০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৮৭ কোটি টাকা বকেয়া। সার্বিকভাবে কৃষি খাতে ঋণখেলাপির হার ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৩ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে কৃষকদের সবচেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছে বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি)। এই দুই মাসে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৮৫৩ কোটি টাকা। এর পরই রয়েছে বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। ব্যাংকটি এ সময়ে বিতরণ করেছে ৪৮৮ কোটি টাকার ঋণ। এ ছাড়া বিদেশি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ৩৯৭ কোটি টাকা, ইসলামী ব্যাংক ৩৫৩ কোটি এবং ব্র্যাক ব্যাংক ২২৩ কোটি টাকা।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য ঠিক করেছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর কৃষিঋণের লক্ষ্য ছিল ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা।

কম সুদে কৃষকদের হাতে ঋণ পৌঁছাতে এবার ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থার (এমএফআই) ওপর বেসরকারি ব্যাংকের নির্ভরশীলতা আরও কমিয়ে আনা হচ্ছে। আর এ জন্য ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্তত ৫০ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা এতদিন ছিল ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া কৃষিঋণের কত অংশ কোন খাতে দিতে হবে, তাও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের জন্য প্রণীত কৃ‌ষিঋণ নীতিমালায় বলা হয়, ভবনের ছাদে বিভিন্ন কৃষি কাজ করা একটি নতুন ধারণা। বর্তমানে শহরাঞ্চলে যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত বাড়ির ছাদে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ফুল, ফল ও শাকসবজির যে বাগান গড়ে তোলা হয়, তা ছাদবাগান হিসেবে পরিচিত।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্ক (শাখা, উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং, দলবদ্ধ ঋণ বিতরণ) ও ব্যাংক-এমএফআই লিংকেজ ব্যবহার করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ হতে হবে। আগে তা ছিল ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া মৎস্য খাতে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১৩ শতাংশ ও প্রাণিসম্পদ খাতে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে বলা হ‌য়।

আরও পড়ুন:
অসময়ে শিম চাষে অধিক লাভবান কৃষকরা
রপ্তানি ঋণে সুদহার কমলো
নারী উদ্যোক্তাদের ঋণে প্রণোদনা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
সিন্ডিকেটের কারণে সরকারি গুদামে ধান দিতে পারছে না কৃষক
পদ্মা সেতুর ঋণের আরও ৩১৬ কোটি টাকা পরিশোধ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Walton is launching an all rounder refrigerator with one door

অলরাউন্ডার ফ্রিজ আনছে ওয়ালটন

অলরাউন্ডার ফ্রিজ আনছে ওয়ালটন ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ডিজাইনের সিঙ্গেল ডোরের অলরাউন্ডার মডেলের ফ্রিজ।
ছোট পরিবার থেকে শুরু করে ব্যাচেলর, ফার্মেসি, হাসপাতাল, হোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, দোকনে ব্যবহার উপযোগী হবে ওয়ালটনের এ মডেলের রেফ্রিজারেটরটি।

দেশের বাজারে এক দরজা-বিশিষ্ট (সিঙ্গেল ডোর) অলরাউন্ডার মডেলের রেফ্রিজারেটর (ফ্রিজ) আনতে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।

ছোট পরিবার থেকে শুরু করে ব্যাচেলর, ফার্মেসি, হাসপাতাল, হোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, দোকনে ব্যবহার উপযোগী হবে ওয়ালটনের এ মডেলের রেফ্রিজারেটরটি বলে জানিয়েছেন ওয়ালটনের কর্মকর্তারা।

ওয়ালট কর্তৃপক্ষ জানায়, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে অত্যাধুনিক রেফ্রিজারেটর ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে তৈরি করা হচ্ছে ৫০ লিটার থেকে ২২৫ লিটার পর্যন্ত বিভিন্ন ধারণক্ষমতার সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ।

অন্যান্য মডেলের তুলনায় এই ফ্রিজের ব্যবহারযোগ্য জায়গা অনেক বেশি। এই ফ্রিজে নরমাল অংশ রয়েছে ৯০ শতাংশ এবং ডিপ অংশ ১০ শতাংশ। একই সাইজের রেগুলার ফ্রিজের তুলনায় ওয়ালটনের এই ফ্রিজ ৩০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।

ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘মাল্টিপারপাজ ইউজারের কথা বিবেচনা করে এই ফ্রিজের মডেল উদ্ভাবন করেছে ওয়ালটন। ১ থেকে ৪ জনের একটি ছোট পরিবার সাশ্রয়ী খরচে ব্যবহার করতে পারবেন এই মডেলের ফ্রিজ। পাশাপাশি ফার্মেসিতে ব্যবহারের জন্য এই ফ্রিজ খুব উপযুক্ত। ওষুধ সংরক্ষণের জন্য ফার্মেসিতে এই মডেলের ফ্রিজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজের মার্কেট শেয়ার প্রায় ৭৫ শতাংশ। এ অঞ্চলের বাজারে ব্যাপক পরিমান সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ রপ্তানি করেছে ওয়ালটন। এটিকে বলা চলে ওয়ালটনের সর্বোচ্চ রপ্তানিকৃত ফ্রিজের মডেল। আমাদের প্রত্যাশা, স্থানীয় বাজারেও ক্রেতাদের কাছে হট কেকে পরিণত হবে ওয়ালটন সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ।’

ওয়ালটন ফ্রিজের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগের প্রধান আজমল ফেরদৌস বাপ্পী বলেন, ‘সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে সিলভার ক্লিন++ প্রযুক্তি। যা ফ্রিজের খাবারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া অনুপ্রবেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ করে। এই ফ্রিজের কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হচ্ছে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব জ৬০০ধ রেফ্রিজারেন্ট ও অপটিমাইজড কুলিং সার্কিট। ফলে এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় ব্যাপক।

‘এই মডেলটি বিশেষ ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে। ফ্রিজের বডি স্ট্যান্ডে রয়েছে অনিয়ন ট্রে। এতে পেঁয়াজ, আলু সহজেই সংরক্ষণ করা যাবে। ওয়ালটন সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজের আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে এটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ইউএল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। ইউএল সার্টিফিকেট দ্বারা ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সেফটি স্ট্যান্ডার্ড নিশ্চিত করা হয়।’

তিনি আরও জানান, বাজারে বর্তমানে ওয়ালটনের রয়েছে ৪টিরও বেশি বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের ১০টির অধিক মডেলের সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ। এসব ফ্রিজের দাম পড়বে ১৪ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টিসহ এই ফ্রিজের কম্প্রেসারে ১২ বছরের গ্যারান্টি সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতারা। আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্টর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজের গ্রাহকরা দেশব্যাপী ৮৩টি সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন:
সেই জুনায়েদের আকাশে ওড়ার স্বপ্ন পূরণ
ভারতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের নতুন দুয়ার খুলল ওয়ালটন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
World Cup tickets to Ad Money and Bill Payments from MasterCard to Cash

মাস্টারকার্ড থেকে নগদ-এ অ্যাড মানি ও বিল পেমেন্টে বিশ্বকাপ টিকিট

মাস্টারকার্ড থেকে নগদ-এ অ্যাড মানি ও বিল পেমেন্টে বিশ্বকাপ টিকিট
নগদ ও মাস্টারকার্ডের এই অফারের মাধ্যমে একজন গ্রাহক সহজেই জিতে নিতে পারেন আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ খেলা দেখার টিকিট। এর সাথে থাকছে প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ লেনদেনকারী গ্রাহকের জন্য ফ্ল্যাগ বিয়ারার প্রোগ্রাম ও মাস্টারকার্ড সোফা।

শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২৩। সারা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের আনন্দ বাড়িয়ে দিতে মাস্টারকার্ড ও নগদ নিয়ে এসেছে দারুণ অফার। মাস্টারকার্ড থেকে নগদ ওয়ালেটে ৩৪৫০ টাকা বা তার বেশি অ্যাড মানি বা ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্ট করে গ্রাহক জিতে নিতে পারেন আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ খেলা দেখার টিকিট।

নগদ ও মাস্টারকার্ডের এই অফারের মাধ্যমে একজন গ্রাহক সহজেই জিতে নিতে পারেন আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ খেলা দেখার টিকিট। এর সাথে থাকছে প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ লেনদেনকারী গ্রাহকের জন্য ফ্ল্যাগ বিয়ারার প্রোগ্রাম ও মাস্টারকার্ড সোফা।

এ ছাড়া ক্যাম্পেইন শেষে মাস্টারকার্ড অ্যাড মানিতে সর্বোচ্চ লেনদেনকারী একজন ও মাস্টারকার্ড ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্টে একজন পাবেন ম্যাচ ডে এক্সপেরিয়েন্স ও বিয়ন্ড দ্য বাউন্ডারি টিকিট।

পাশাপাশি ক্যাম্পেইন চলাকালে নগদের মাধ্যমে মাস্টার কার্ডে সর্বোচ্চ বিল পেমেন্টকারী পাবেন মাঠে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সাথে সেলফি তোলার সুযোগ। এ ছাড়া মাস্টার কার্ড থেকে নগদে সর্বোচ্চ অ্যাড মানি করা গ্রাহক প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের সাথে সেলফি তোলার সুযোগ পাবেন।

ক্যাম্পেইনের বিষয়ে নগদের চিফ মার্কেটিং অফিসার সাদাত আদনান আহমেদ বলেন, ‘ক্রিকেট বিশ্বকাপের উন্মাদনায় নগদ ও মাস্টারকার্ড তাদের গ্রাহকদের জন্য দারুণ এই অফার চালু করেছে। ক্রিকেটপ্রেমী গ্রাহকেরা সহজে এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখার সুযোগ পেতে পারেন।’

এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে একজন ফুল প্রোফাইল নগদ গ্রাহক হতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পেইনের শর্ত মেনে লেনদেন করতে হবে। ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে নগদের ফেইসবুক পেইজ বা ওয়েবসাইটে নজর রাখতে পারেন গ্রাহক। ক্যাম্পেইনটি ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত। ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নির্বাচন করা হবে দ্বৈবচয়ন ভিত্তিতে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

আরও পড়ুন:
ভিসা এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ জিতল নগদ
নগদের ক্যাম্পেইন থেকে আইফোন ১৫ জেতার সুযোগ
বাংলালিংক ব্যবহারকারীদের নগদ থেকে রিচার্জে স্মার্টফোন জেতার সুযোগ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of the dollar increased

আরও বাড়ল ডলারের দাম

আরও বাড়ল ডলারের দাম 
ফাইল ছবি
সোমবার থেকে ব্যাংকগুলো ১১০ টাকায় ডলার কিনে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করছে। রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ে ডলারের দর ৫০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা হয়েছে। আর আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।

আবারও ডলারের দর বাড়িয়েছে দেশের ব্যাংকগুলো। এবার সব ক্ষেত্রেই ৫০ পয়সা করে বাড়ানো হয়েছে ডলারের দর।

সোমবার থেকে নতুন এই বিনিময় হার কার্যকর হচ্ছে।

বিদেশি মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) এক সভায় ডলারের দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত হয়।

সোমবার থেকে ব্যাংকগুলো ১১০ টাকায় ডলার কিনে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করছে। রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ে ডলারের দর ৫০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা হয়েছে। আর আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।

নতুন হার অনুসারে রপ্তানিকারক ও রেমিট্যান্স পাঠানো ব্যক্তিরা প্রতি ডলারে ১১০ টাকা পাবেন। এ ছাড়াও ব্যাংকগুলো আমদানিকারকদের কাছ থেকে ডলারপ্রতি ১১০ টাকা ৫০ পয়সা নেবে। ডলারের আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার ধরা হয়েছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের তুলনায় আমদানি বিল বেশি হওয়ায় দেশের রিজার্ভ কমে গেছে। তাই গত দেড় বছর ধরে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েই চলছে। এর আগে গত ৩১ আগস্ট ডলারের দর বাড়ানো হয়। সেবার পণ্য বা সেবা রপ্তানি ও প্রবাসী আয় কেনায় ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা, আমদানির জন্য নির্ধারণ করা হয় ১১০ টাকা।

এদিকে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটেও ডলারের দর ঊর্ধ্বমুখী। সোমবার এই বাজারে ১১৭ টাকা দরে ডলার বিক্রি হয়েছে। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে ১১৭ টাকা থেকে ১১৮ টাকায় ডলার কেনাবেচা হচ্ছে।

রোববার দেশের পাঁচটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে গভর্নর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে ডলার বাজার বা বিদেশি মুদ্রার বাজার সম্পর্কে নীতিগত কোনো পরিবর্তন আনবে না বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন যেভাবে ডলার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে, সেভাবেই চলতে থাকবে। তবে সময়ে সময়ে ডলারের দামে যেভাবে পরিবর্তন আনা হচ্ছে, সেই ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।

সেই বৈঠকের পর আবার ডলারের দর বাড়ানো হলো।

গত বছরের মার্চে দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের যে সংকট শুরু হয়েছিল, তা এখনো কাটেনি। অনেক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, পণ্য আমদানিতে তারা চাহিদামতো ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছেন না।

কয়েক দিন আগে ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন। এ ছাড়া অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে সেবা দিয়ে যে আয় ও মুনাফা করেছে, তা-ও নিজ দেশে নিতে পারছে না।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়।

পরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এর পর থেকে এই দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে এই দুই সংগঠন।

তবে এবিবি ও বাফেদার এই সিদ্ধান্ত অনেক ক্ষেত্রেই মানেনি ব্যাংকগুলো। অনেক ব্যাংক এই দুই সংগঠনের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়েও বেশি দামে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করেছে। এজন্য কয়েক দফায় কয়েকটি ব্যাংককে সতর্ক করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আরও পড়ুন:
২২ দিনে রে‌মিট্যান্স এলো ১০৫ কোটি ডলার
আন্তব্যাংক লেনদেনে ডলারের দরে রেকর্ড
বেশি দামে ডলার কেনাবেচা, ১৩ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা তলব

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Free training of women ZSRM and possibilities

নারীদের বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ জেডএসআরএম ও সম্ভাবনার

নারীদের বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ জেডএসআরএম ও সম্ভাবনার প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের বিনা মূল্যে স্বল্পমেয়াদি হস্তশিল্প ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেবে সম্ভাবনা। ছবি: সংগৃহীত
সম্ভাবনার প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল ইসলাম প্রকল্প সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে তাই নারীর ভূমিকা অসামান্য। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখাতে এবং নারীর সমতা আনতে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জন্য বিনা মূল্যে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রকল্প পরিচালনা করছে জহির স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং মিলস (জেডএসআরএম) ও বেসরকারি সংস্থা সম্ভাবনা।

এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের বিনা মূল্যে স্বল্পমেয়াদি হস্তশিল্প ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেবে সম্ভাবনা।

মঙ্গলবার ওই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ এবং প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সহযোগী প্রতিষ্ঠান জেডএসআরএমের চেয়ারম্যান হাসান উদ্দিন আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম রাজন ও মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট সামিমা হক।

প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে জেডএসআরএমের সহযোগিতায় ঢাকার ৪০ জন এবং পাবনা জেলার ৪০ জনসহ মোট ৮০ জন নারীকে ব্লক-বাটিক এবং হস্তশিল্পবিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা তাদের অভিজ্ঞতা ও কাজের প্রয়োজনীয়তার কথা ব্যক্ত করেন।

এ প্রকল্প সম্পর্কে জেডএসআরএমের চেয়্যারম্যান হাসান উদ্দিন আহমেদ জানান, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে একসঙ্গে কাজ করলে এগিয়ে যাবে দেশ। তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের কাজের অগ্রগতিকে সাধুবাদ জানান এবং আরও উন্নতমানের ও বাণিজ্যিকভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ প্রকল্প সম্পর্কে জেডএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম রাজন বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করতে নারীদের অবদান অনস্বীকার্য। এখনকার নারীরা ঘরে-বাইরে সমান হারে কাজ করছে। জেডএসআরএম নারীদের এ অবদানকে সম্মান জানিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের অনুপ্রেরণা জোগাতে কাজ করে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি প্রকল্পে কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

সম্ভাবনার প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল ইসলাম এ প্রকল্প সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে তাই নারীর ভূমিকা অসামান্য। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখাতে এবং নারীর সমতা আনতে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

‘নারীদের স্বাবলম্বী করার মতো অলাভজনক, কিন্তু উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করায় জেডএসআরএমকে সাধুবাদ জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘নারীদের স্বাবলম্বী করতে ও নারী দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করে অনিন্দিত নারী দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র। সম্ভাবনার পরিচালনায় দেশের খ্যতিমান যুব প্রশিক্ষকদের অংশগ্রহণে ও দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় প্রতিষ্ঠানটি নারীদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।

‘বস্তিবাসী ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন, সেলাই প্রশিক্ষণ, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, শিশুর শিক্ষাবিষয়ক সচেতনতা প্রদান, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ সুবিধাবঞ্চিত নারীদের স্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কাজ করছে অনিন্দিত নারী।’

মন্তব্য

p
উপরে