দেশের বাজোরে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমেছে। ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬ হাজার ৬৯৫ টাকা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) রোববারের এ সিদ্ধান্ত সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
বাজুসের এক সদস্য নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এতদিন ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি ছিল ৯৭ হাজার ১৬১ টাকা। নতুন দাম অনুযাী এই স্বর্ণ বিক্রি হবে ৯৬ হাজার ৬৯৫ টাকা ভরি।
নতুন দর অনুযায়ী, ২১ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি ৯২ হাজার ৩২১ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৭৯ হাজার ১৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের ভরি ৫৬ হাজার ৯৬০ টাকা।
আগের হিসাবে ২১ ক্যারেট স্বর্ণে ভরি ৯৩ হাজার ৯৫৪, ১৮ ক্যারেট ৮০ হাজার ৫৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের ভরি ছিল ৬৭ হাজার ১২৬ টাকা।
স্থানীয় বাজারে পাকা স্বর্ণের দাম কিছুটা কমায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ হয়েছে বলে বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার দাম আগের মতই আছে। সোমবার থেকে হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট রুপার দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা বিক্রি হবে ১ হাজার ৫০ টাকায়।
এর আগে সর্বশেষ গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ২৮৩ টাকা বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন:
দৃষ্টিসীমাজুড়ে নৈসর্গিক দৃশ্য। নদ-নদী, পাহাড়, বন-জঙ্গলের মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের কারণে সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে চীন।
বলা হয়ে থাকে চীনের বিভিন্ন প্রদেশে এক পাহাড়েই একসময়ে চার ঋতুর সমাহার ঘটে ও প্রতি পাঁচ কিলোমিটার পরপর আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা যায়। দেশটির অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এ পর্যটন শিল্প।
পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি চীনের গ্রেট ওয়াল বা মহাপ্রাচীর। চীনের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার ও বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টাওয়ার হলো সাংহাই টাওয়ার। এর বাইরে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, খাবার পর্যটকদের সহজেই আকৃষ্ট করে।
পর্যটকদের আকৃষ্ট করার সব উপাদানই রয়েছে চীনে। এ কারণে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও বড় ভূমিকা রাখছে পর্যটন শিল্প।
চায়না ট্যুরিজম অ্যাকাডেমির তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯-এর আগে ২০১৯ সালে পর্যটন খাত থেকে চীনের অভ্যন্তরীণ আয় ছিল ৬ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। এর মধ্যে বিদেশিদের চীনে ভ্রমণ থেকে আয় ৫ দশমিক ৭৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা ১৩১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের সমান।
২০২২ সালে চীনের পর্যটন থেকে আয় ছিল প্রায় দুই ট্রিলিয়ন ইউয়ান। ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে চীনের রাজস্ব প্রায় সম্পূর্ণরূপে অভ্যন্তরীণ পর্যটন থেকেই হবে বলে অনুমান করা হয়েছিল, কিন্তু ২০২০ সালে কোভিড এর কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয় তারা।
গত ১০ বছরের ডেটা বিশ্লেষেণে জানা যায়, ২০১২ সালে পর্যটন খাত থেকে চীনের রাজস্ব আয় হয়েছিল ২ হাজার ৫৯০ বিলিয়ন ইউয়ান। ২০১৪ সালে সেটা ৩ হাজারের ঘর অতিক্রম করে আয় হয় ৩ হাজার ৭৩০ বিলিয়ন ইউয়ান। এরপর প্রতি বছরে এ আয় বেড়েছে, তবে ২০১৯ সালে সেটা ৬ হাজার বিলিয়ন ছাড়িযে যায়। এরপর ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে কোভিডের কারণে বিদেশি পর্যটকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তারা। ওই সময় অভ্যন্তরীণ আয় হয় যথাক্রমে ২ হাজার ২৩০ বিলিয়ন ইউয়ান, ২ হাজার ৯১৯ বিলিয়ন ও ২ হাজার ৪৪ বিলিয়ন ইউয়ান।
বিশ্ব পর্যটন শিল্পে চীন
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন বিশ্বব্যাপী পর্যটন শিল্পের জিডিপিতে বার্ষিক পাঁচ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার যোগ করেছে।
জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান মানসহ চীনের পর্যটন শিল্প গত এক দশকে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। কোভিড-১৯ মহামারির ঠিক আগে চীনা পর্যটন শিল্প ২০১৯ সালে প্রায় ৫ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ইউয়ান আয় করে ১১ দশমিক ৭ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধি করেছে। চীনের পর্যটন শিল্প দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটন নিয়ে গঠিত। বেইজিং, সাংহাই ও গুয়াংজু চীনা পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় অভ্যন্তরীণ গন্তব্য। ২০১৯ সালে চীনে আসা বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ২০ লাখের কাছাকাছি।
করোনাভাইরাস মহামারি চীনের পর্যটনে বড় প্রভাব ফেলেছে। যদিও মাত্র কয়েকজন বিদেশি যাত্রীকে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। অভ্যন্তরীণ ভ্রমণকারীর সংখ্যাও ২০২০ সালে অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে। ২০২১ সালে ধীরে ধীরে আবার বাড়তে শুরু করেছে।
আন্তর্জাতিক পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালে চীনে ৬ কোটি ৫৭ লাখ বিদেশি দর্শনার্থী প্রবেশ করেন। মহামারি শুরুর পর নিজেদের আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে চীন। পরে বিভিন্ন দেশ পর্যায়ক্রমে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নিলেও চীন অনেক দিন ধরে তা বহাল রাখে।
এ নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করেছে দেশটির জনগণ। ২০২২ সালের শেষ থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার শুরু করে বেইজিং।
পর্যটন শিল্প: বাংলাদেশের চিত্র
অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাংলাদেশে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, ম্যানগ্রোভ বন বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন; আছে পাহাড়, পর্বত ও হাওর। এতকিছুর পরও এ দেশে দিন দিন কমছে বিদেশি পর্যটক। ফলে কমছে এ খাত থেকে আয়ও।
পাশের দেশগুলোতে জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান ১০ শতাংশের ওপরে থাকলেও দেশে মাত্র ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও দেশের পর্যটন শিল্প কীভাবে এগিয়ে যাবে, তার কোনো মহাপরিকল্পনা এখনও হয়নি।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পর্যটন শিল্পকে তাদের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে রূপান্তর করেছে, কিন্তু বাংলাদেশ সেই তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, পর্যটন স্পটগুলোয় প্রতি বছর ভ্রমণ করেন প্রায় দেড় কোটি পর্যটক। এর মধ্যে বিদেশি পর্যটক ৩ থেকে ৫ শতাংশ।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী জানান, দেশের পর্যটন সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রচার দরকার। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বিজ্ঞাপন দিতে হবে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে দেশে বিদেশি নাগরিক এসেছেন ৫ লাখ ৬৬৫ জন। এ ছাড়া ২০১৮ সালে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৩০ জন আসেন। ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ বিদেশি নাগরিক দেশে আসেন। এ সংখ্যা ৬ লাখ ২১ হাজার ১৩১।
করোনার সময় ২০২০ সালে বাংলাদেশে এসেছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৫১৮ জন। ২০২১ সালে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৬ জন আর ২০২২ সালে দেড় লাখ বিদেশি আসেন। ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত তা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার।
আরও পড়ুন:বাংলদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে। এক সপ্তাহ আগে তা ছিল ২১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন। সামষ্টিক অর্থনীতিবিদ ও নীতি-বিশ্লেষকরা এই রিজার্ভ কমে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করেছেন।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রিজার্ভ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বিলম্বিত পাওনা পরিশোধ, বিনিয়োগকারীদের বিদেশে এফডিআই মুনাফা গ্রহণের প্রবণতা, অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ হ্রাস, মূলধন উত্তোলন এবং মানি লন্ডারিং।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুধবার জানায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) রিজার্ভ গণনা পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মঙ্গলবার বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।
এক সপ্তাহ আগে ২১ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। কয়েক দিনের ব্যবধানে তা থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার কমে বর্তমান রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।
ম্যাক্রো-ইকোনমিস্ট ও পাবলিক পলিসি অ্যানালিস্ট ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, ‘জ্বালানি আমদানি-রপ্তানি বিলম্বিত হওয়া এবং পশ্চিমা বিনিয়োগকারীদের এফডিআই মুনাফা বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কারণে এটি ঘটেছে।
‘বিলম্বিত পাওনা পরিশোধ না করা হলে কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আমদানি, বিশেষ করে জ্বালানি সংগ্রহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কথা বিবেচনা করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও তাদের মুনাফা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চাপে রয়েছেন।’
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘রেমিট্যান্স আহরণ কমে যাওয়া এবং মানি লন্ডারিং বেড়ে যাওয়ার ফলে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।
‘অনিশ্চয়তা থাকায় আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে যদি একটি স্থিতিশীল সরকার গঠিত হয়, তাহলে আস্থার মাত্রা উন্নত হওয়ার কারণে অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, সেপ্টেম্বরের শুরুতে দেশের গ্রস রিজার্ভ (ইডিএফ তহবিল ও রিজার্ভ থেকে ঋণ অন্তর্ভুক্ত) ছিল ২৯ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। বুধবার শুরুতে তা কমে দাঁড়ায় ২৭ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে।
বর্তমানে গড় মাসিক আমদানি ব্যয় ৬ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে তিন মাসের আমদানি চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন হবে ১৮ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যয় ব্যবস্থার বাংলাদেশ ব্যাংক নীতির অধীনে তিন মাসের সামান্য বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যেতে পারে। আমদানিতে ব্যয় আরেকটু কমিয়ে আনলে সেক্ষেত্রে চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।
সূত্র জানায়, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় বাজারে ডলারের প্রবাহ কমে গেছে। এদিকে নতুন এলসি খুলতে হবে এবং আগের এলসির ঋণ পরিশোধ করতে হবে। পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণসহ অন্যান্য ঋণও পরিশোধ করতে হয়।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বকেয়া অর্থ পরিশোধ করতে হবে নভেম্বরের শুরুতে। এতে রিজার্ভ আরও কমে যেতে পারে।
আইএমএফ-এর ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ৪৮০ মিলিয়ন ডলার নভেম্বরে মওকুফ হতে পারে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কিছু ঋণও সে সময় ছাড় হতে পারে। তখন রিজার্ভ কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা আছে। আর বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এ সময় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি কামরুজ্জামান বিশ্বাস।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২০০টি ট্রাক বোঝাই পণ্য যায় ভারতে। অপরদিকে ৩০০ থেকে ৩৫০টি পণ্যবোঝাই ট্রাক ভারত থেকে আসে বাংলাদেশে।
ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যের ৮০ ভাগই আসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। এর মধ্যে রয়েছে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য।
বেনাপোল কাস্টমস ক্লিনিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটির কারণে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে বলে দুই দেশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পত্র বিনিময় হয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, বৃহস্পতিবার ছুটির কারণে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবদুল জলিল বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ছুটি থাকায় আজ দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। শনিবার থেকে আবার স্বাভাবিকভাবেই আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হবে।’
আরও পড়ুন:গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স (জিআইআই) তথা বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচক-২০২৩-এ আগের বছরের চেয়ে তিন ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ।
সূচকে বিশ্বের ১৩২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৫তম, যা আগের বছরে ছিল ১০২তম।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও) এ সূচক প্রকাশ করে।
ডব্লিউআইপিও বুধবার ১৬ বারের মতো সূচক প্রকাশ করে। বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে এ সূচক প্রকাশ করা হয়।
সূচক অনুযায়ী করা দেশগুলোর তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
ডব্লিউআইপিওর সূচকে ২০২২ সালে ১০২তম অবস্থানে আসার আগে ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ১১৬তম অবস্থানে ছিল।
১০০ পয়েন্টের ভিত্তিতে করা সূচকে ৬৭.৬ পয়েন্ট পেয়ে ১৩তম বারের মতো প্রথম স্থান দখল করেছে সুইজারল্যান্ড। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম হয়েছে সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুর।
২০.২ পয়েন্ট নিয়ে ৩৭টি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২২তম অবস্থানে রয়েছে। এর পাশাপাশি মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম অবস্থানে রয়েছে।
এ বছরের তালিকায় ভারতের অবস্থান ৪০তম, পাকিস্তানের অবস্থান ৮৮তম ও শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৯০তম।
মোট ৮০টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে দেশগুলোর তালিকা করা হয়।
কক্সবাজারে বিশ্ব পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। বালু দিয়ে নির্মিত ভাস্কর্য দুটির উচ্চতা ১৪ মিটার, প্রস্থ ১০ মিটার ও দৈর্ঘ্য ৭ ফুট।
বুধবার এই ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল আয়োজনের আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন এবং ব্র্যান্ডিং কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য ইশতিয়াক আহমদ জয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের একঝাঁক শিক্ষার্থী নিয়ে কামরুল হাসান শিপনের নেতৃত্বে ভাস্কর্য দুটি ৭ দিন ধরে তৈরি করা হয়।
ইশতিয়াক আহমদ জয় বলেন, ‘কক্সবাজারে যে উৎসব চলছে, তা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এই আয়োজন। এখানে দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটক বেড়াতে আসেন। বিশ্ব পর্যটন দিবসে পর্যটন মেলা উপভোগ করার জন্য প্রতিবারের চেয়ে এবার লোকজনের ভিড় বাড়ছে। তাদের হৃদয়ে যেন বঙ্গবন্ধু ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদর্শ গেঁথে থাকে, সেই উদ্দেশ্যে এই বালু ভাস্কর্যগুলো তৈরি করা।
‘২৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই ভাস্কর্য আরও বেশি পূর্ণতা পেয়েছে।’
ইয়ামিন হোসেন বলেন, ‘পর্যটন মেলাকে আরও বেশি সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছে এই বালু ভাস্কর্য। ভাস্কর্য দেখতে নানা বয়সের মানুষ আসছে এবং আরও আসবে। বালু ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে দেখে তারা ইতিহাস জানার চেষ্টা করবে; মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করবে।
‘সপ্তাহজুড়ে চলমান পর্যটনমেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ ও ছাড় রয়েছে। সারা দেশ থেকে পর্যটকরা কক্সবাজার এসে বিশ্বের দীর্ঘতম সাগর সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করবেন- এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা ঘিরে অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটকে মুখর হয়ে উঠেছে কক্সবাজার শহর। টানা তিন দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকের ভিড় এখন কক্সবাজার শহর ও কার্নিভালে।
বুধবার শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য এই কার্নিভাল চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত।
অনলাইন জুয়া ও হুন্ডির কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ হাজার ৭২৫টি মোবাইল হিসাব (মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস-এমএফএস) বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বন্ধ করে দেয়া হিসাবগুলোর বেশিরভাগই বিকাশ, নগদ ও রকেটের। ভবিষ্যতে এ ধরনের লেনদেনে জড়িত না হতে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কও করা হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
বিএফআইইউ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছরের ৯ মাসে ৩৭১টি অনলাইন গেমিং ও বেটিং লেনদেন, অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কিত ৯১টি লেনদেন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত ৪১৩টি লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ সব তথ্য বিশ্লেষণ করে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে পাঠানো হচ্ছে।
এ ছাড়া বিএফআইইউ অবৈধ হুন্ডি, গেমিং, বেটিং ও ক্রিপ্টোসংক্রান্ত ৮১৪টি ওয়েবসাইট, ১৫৯টি অ্যাপ ও ৪৪২টি সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ও লিংকের তালিকা আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে পাঠিয়েছে। বিএফআইইউ ২১টি মানি চেঞ্জার এবং তাদের ৩৯টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মানিলন্ডারিং বিরোধী কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বিএফআইইউ এসব তথ্য তুলে ধরে।
বিএফআইইউ-এর প্রধান কর্মকর্তা মো. মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সভায় বিএফআইইউ-এর উপপ্রধান কর্মকর্তা এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম, বিএফআইইউ পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. আরিফুজ্জামান, সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান ও উপপ্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণগ্রহণ করে বা নন-ফান্ডেড সুবিধাকে ফান্ডেড সুবিধায় রূপান্তর ও ফোর্সড লোন সৃষ্টি করে বিদেশে অর্থ পাচারসহ বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার, অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং, গেমিং, বেটিং, ডিজিটাল হুন্ডি, ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগসহ সমসাময়িক নানা ঝুঁকি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ ছাড়া ওয়েজ আর্নাররা যাতে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠান সে বিষয়ে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়।
সভায় বিএফআইইউ-এর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, ‘দুষ্কৃতকারী ও অর্থ পাচারকারীরা যাতে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে কোনো অপরাধ সংঘটিত করতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ‘বিএফআইইউ আর্থিক অপরাধের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেবে। যাদের পরিপালন ব্যবস্থায় দুর্বলতা পরিলক্ষিত হবে, তাদের বিষয়েই কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:স্মার্ট ব্লকচেইন নিবেদিত ও লুমিনাস গ্রুপ প্রযোজিত ‘থিংক আউট সাইড অব দ্য বক্স’-এর সপ্তম সিজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর টিসিবি অডিটোরিয়ামে ফিউচারাইজার্স বাংলাদেশের সৌজন্যে এই অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ফিউচারাইজার্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সিইও সাখাওয়াত উল্লাহ শান্ত। প্রধান অতিথি ছিলেন নাগরিক ঢাকার সভাপতি এম নাঈম হোসেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) এম এ আখের। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরাজী হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. আনোয়ার ফরাজী ইমন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাসিদা চৌধুরী নীলু, লুমিনাস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রাকিব হোসেন, দৈনিক কালবেলা অনলাইনের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার ও ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের প্রেসিডেন্ট মো. দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার মো. এরশাদ খান, নেক্সট প্রোডাক্ট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
কি-নোট স্পিকার ছিলেন নগদের হেড অব করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড পিআর সোলায়মান সুখন। স্পিকার ছিলেন দ্য মার্কেটিং ফ্যাক্টরি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী দৌলত মোহাম্মদ জাফরি, ফিউচার আইকন এর সিইও ইউসুফ ইফতি, প্রফেশনাল পাবলিক স্পিকার ফোরামের জেনারেল সেক্রেটারি মো. রফিকুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ার্স কমিউনিটি লিডার আল মামুন রাসেল, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ার্স কমিউনিটি লিডার হাসান মাহমুদ, নারী উদ্যোক্তা ও মোটিভেশনাল স্পিকার ঈশিতা আক্তার, মার্কেটিং কনসালটেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল মিডিয়া থট লিডার প্রলয় হাসান।
এ পর্যন্ত ১২০ বার রক্তদানের জন্য রক্তযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলামকে অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়।
ডিএমএফ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভবিষ্যতে কালবেলা ও ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম (ডিএমএফ) যৌথভাবে ফিউচারাইজার্স বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে। যেখানেই সুন্দর চিন্তা, সেখানেই আমরা আছি।’
সোলায়মান সুখন বলেন, ‘আমরা দেয়াল বানাব না, ব্রিজ বানাব; কানেক্ট হব, বলা এবং শোনার মাঝে আন্তঃযোগাযোগ করতে হবে। ভাষার দক্ষতা এবং কমিউনিকেশন সবার সঙ্গে রাখতে হবে। উদ্যোক্তাদের ওপর নির্ভর করে এখন বাংলাদেশ। আগে অভিজ্ঞতা না থাকলে ঠকার সম্ভাবনা বেশি। সময় না দিলে সফল বিজনেসম্যান হওয়া সম্ভব না। জীবনে শান্তি খুঁজতে হবে। ভালো হতে হবে, তাহলে ব্যবসা আপনাকে খুঁজে নেবে।’
ইউসুফ ইফতি বলেন, ‘সেলস মার্কেটিংয়ে কাজ করার সময় আমাদেরকে ২১টি সাইকোলজিকাল ট্রিগার মাথায় রাখতে হবে সবমসময়। যখন যা করবেন পুরো মনোযোগ দিয়ে করবেন। একসঙ্গে একাধিক না। যে সেক্টরে কাজ করবেন, সে সেক্টরে অলরাউন্ডার হন; সব সেক্টরে নয়।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এম নাঈম হোসেন বলেন, ‘থিংক আউট অব দ্য বক্স একটি সুন্দর চিন্তার সম্মেলন। চিন্তা অনুযায়ী কাজ করলে আমাদের এই সমাজ আরও দক্ষ ও সুন্দর হয়ে উঠবে।’
সভাপতি সাখাওয়াত উল্লাহ শান্ত বলেন, ‘একটু বক্সের বাইরে চিন্তা করলেই দেখবেন অন্যকে জিতিয়ে বা কাউকে না ঠকিয়েও বিজয়ী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ছাত্রজীবন থেকে ব্যক্তিগত জীবন এবং পেশাগত ও উদ্যোক্তা জীবনেও আমরা বক্সের বাইরে গিয়ে চিন্তা কম করি। তাই আমাদের জীবনটা বক্সের ভেতরেই রয়ে যাচ্ছে। যেই যে ইন্ড্রাস্ট্রিতে আছি, সে তার বাইরের ইন্ড্রাস্ট্রিতে কী হচ্ছে, সেটা নিয়েও চিন্তা করতে হবে। তাহলেই সফলতা আসবে।’
সবশেষে অংশগ্রহণকারী সবাইকে সার্টিফিকেট, গিফট ও সম্মাননা স্মারক প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্য