এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেড এবং শেলটেক গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা কুতুবউদ্দিন আহমেদ ২০২৩ সালের জন্য বৃহৎ শিল্প (উৎপাদন) বিভাগে সম্মানিত সিআইপি (বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন।
সোমবার এক অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন তার হাতে এই সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
এনভয় লিগ্যাসি দেশের তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী। অপরদিকে আবাসন খাতের ব্র্যান্ড শেলটেক গ্রুপ।
কুতুবউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে গত একযুগে শেলটেক আবাসন খাতের পাশাপাশি সিরামিকস, শেলটেক ব্রোকারেজ এবং সারা বিশ্বে কার্গো পরিবহনে এভিয়েশনসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে।
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ৩৭ বছরেরও বেশি সময় নিরলসভাবে অবদান রেখে যাচ্ছেন কুতুবউদ্দিন আহমেদ। ১৯৯১ সাল থেকে তিনি সিআইপির মর্যাদা লাভ করে আসছেন।
বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখায় স্পেন সরকারের সর্বোচ্চ বেসরকারী সম্মাননা অর্জন করেন তিনি।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) সভাপতি ছিলেন কুতুবউদ্দিন আহমেদ।
অভিনেত্রীর মিথিলার সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে প্রচার হওয়া সংবাদের ভিত্তি নেই বলে জানালেন ভারতীয় পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা নাম না উল্লেখ করে এই দম্পতির বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দেয়ার পর শনিবার অনেক সংবাদমাধ্যম এ নিয়ে সংবাদ প্রচার করে। এর পরদিন প্রতিক্রিয়া দিলেন সৃজিত।
সাংবাদিকরা সৃজিতের কাছে জানতে চাইলে তিনি খবরটিকে ভিত্তিহীন দাবি করেন বলে জানিয়েছে সংবাদ প্রতিদিন। সৃজিত আপাতত মধ্যপ্রদেশে ‘ব্যোমকেশ’-এর শুটিংয়ে ব্যস্ত। সেখান থেকেই প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
সৃজিত বলেন, মিথিলার সঙ্গে আমার সম্পর্ক নিয়ে যা কিছু রটছে, তার কোনোরকম ভিত্তি নেই। আপাতত মধ্যপ্রদেশে শুটিংয়ে ব্যস্ত। তাই এসবে মাথা ঘামাতে চাই না।
বিকেলে সেখান থেকে ছবি দিয়ে পরিচালক হ্যাশট্যাগে “নিজের শর্তে..” কথাটি ব্যবহার করেছেন। ক্যাপশনে লেখা- “টাইম ট্রাভেল শুরু।”
এর আগে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে নাম না উল্লেখ করে বলা হয়, পরিচালকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই নাকি ঘর ভাঙছে! এরপরই তোলপাড় শুরু হয় দুই বাংলায়। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমগুলোর কাছে মিথিলাও বলেছেন, এই খবরের ভিত্তি নাই।
অবশ্য এই প্রথমবার নয়, এর আগেও সৃজিত-মিথিলার বিয়েবিচ্ছেদের খবর শোনা গিয়েছিল। তবে সেসব জল্পনা উড়িয়ে দিব্যি বছর চারেক ধরে সংসার করছেন তারকা দম্পতি।
বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি বলিউডেও এখন একের পর এক কাজ করে চলেছেন সৃজিত। আর কাজের সূত্রেই মিথিলাকে অনেকটা সময় কাটাতে হয় বাংলাদেশে।
টলিপাড়ায় গুঞ্জন, পরিচালক নাকি বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন। আর সেই কারণেই তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ আসন্ন!
দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই (জানুয়ারি-মার্চ) বেড়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা।
গত বছরের মার্চে ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা।
ব্যাংক খাতে মোট ঋণের ৮ দশমিক ৮০ শতাংশই বর্তমানে খেলাপি। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে রয়েছে ৫৭ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা বা ১৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৫ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা বা ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
অন্যদিকে বিদেশি ব্যাংকগুলোর তিন হাজার ৪২ কোটি টাকা বা ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ ঋণ খেলাপি। আর সরকারি মালিকানাধীন বিশেষায়িত তিনটি ব্যাংকের মোট ঋণের ১২ দশমিক ৮০ শতাংশ বা ৪ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা বর্তমানে খেলাপি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকগুলো এখন নিজেরাই নিজেদের ঋণ পুনঃতফসিল করছে। ফলে ব্যাংক নিজেই খেলাপি ঋণ কমিয়ে দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। তাই খেলাপি ঋণের এ তথ্য প্রকৃত চিত্র নয়। বাস্তবে খেলাপি ঋণ আরও বেশি হতে পারে। অনেক ব্যাংক ঋণ আদায় করতে না পেরে তারল্য-সংকটে ভুগছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মার্চে খেলাপি ঋণ দেয়ায় অনেক ব্যাংক দেরি করেছে। বিশেষ করে খেলাপি ঋণ কমানোর ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো কাজ করছে। ফলে বাস্তবে খেলাপি ঋণ এর চেয়েও বেশি।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা হলেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে তা প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা। কারণ, আইএমএফ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করা ঋণ, সন্দেহজনক ঋণ ও আদালতের আদেশে খেলাপি স্থগিতাদেশ থাকা ঋণকেও খেলাপি দেখানোর পক্ষে।
সরকার আইএমএফের কাছে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য বাংলাদেশ সফর করে। তার অংশ হিসেবে আইএমএফের মিশন প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল খেলাপি ঋণ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে দেশের ব্যাংক খাত নিয়ে নানা পরামর্শ দেয় আইএমএফ। সে সময় খেলাপি ঋণকে ব্যাংক খাতের অন্যতম সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি না সে বিষয়েও জানতে চায় বহুজাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি। ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার তাগিদ দেয় আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘বিতরণ করা এসব ঋণের বেশিরভাগই অসৎ উপায় অবলম্বন করে দেয়া হয়েছে। এমন লোকদের ঋণ দেয়া হয়েছে, যারা পরবর্তী সময়ে এসব টাকা আর পরিশোধ করছে না।
‘আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ এসব ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে জড়িত থাকে। এসব ঋণ এখন আর ফেরত আসছে না। ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দিন দিন খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। আর্থিক খাত দুর্বল হওয়ার কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আর্থিক খাতে নানা রকম কেলেঙ্কারি সংঘটিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব খেলাপি ঋণের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। যেসব বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি, সেসব বিষয়ে তারা এড়িয়ে যায়।’
আহসান মনসুর বলেন, ‘যারা ভালো কাজ করে তাদেরকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শাস্তি দেয়। আর যারা খারাপ কাজ করে তাদের বিষয়ে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয় না।’
আরও পড়ুন:জাপান থেকে বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আনা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৪৭টি গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে।
আমদানির পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাড় না হওয়ায় মোংলা কাস্টম হাউস গাড়িগুলো বিক্রির জন্য নিলামে তুলছে। ৫ জুন নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হবে।
প্রতি মাসে নিলাম প্রক্রিয়ার নিয়ম থাকলেও নানা জটিলতায় চার মাস পর এই নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে বলে জানায় মোংলা কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।
মোংলা কাস্টম হাউস সূত্রে জানা যায়, গত চার মাস মোংলা বন্দরে গাড়ির নিলাম বন্ধ ছিল। গত বছরের নভেম্বরে নিলামকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়।
সর্বশেষ কাস্টমের নিয়োগকৃত নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ছিল ‘আল আমিন ট্রেডার্স’।
এরপর নিলামকারী প্রতিষ্ঠান খুঁজতে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি দরপত্র আহ্বান করা হয়। তখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তুলনামূলক কমমূল্য কমিশন দাখিল করে।
আবার ২৮ মার্চ দরপত্র আহ্বান করা হলে ছয়টি প্রতিষ্ঠান কমিশন দাখিল করে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের কে এম করপোরেশনকে কোম্পানি নিয়োগ দেয়া হয়। এরাই ৫ জুনের নিলামের আয়োজন করছে।
মোংলা কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা ছবি রাণী দত্ত জানান, মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা এসব গাড়ি ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করানোর নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা তা করেনি।
এরপর আমদানিকারকদের আরও ১০ কার্যদিবস সময় দেয়ার পরও গাড়ি ছাড় না করায় নিয়মানুযায়ী পর্যায়ক্রমে নিলামে ওঠানো হচ্ছে এসব গাড়ি।
নিলামে ওঠা এসব গাড়ির মধ্যে নিশান, পাজারো, এক্সিও হাইব্রিড, পিয়ার্স হাইব্রিড, টয়োটা ভিজ, প্রোবক্স, এ্যাকুয়া হাইব্রিড, টয়োটা হাইব্রিড, করোলা ফিল্টার, হাইয়েচ, মাইক্রো ও অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৪৭টি গাড়ি রয়েছে।
গাড়ির নিলামে অনলাইন থেকে বিড করা যাবে। এ ছাড়া নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশের পর গাড়িগুলো বিক্রি হবে।
নিলামে ওঠা গাড়ির মধ্যে ১৯৯৩, ৯৬, ৯৭, ৯৮, ৯৯, ২০০৬, ৭, ৮, ৯, ১১, ১৩, ১৭, ১৮. ১৯, ২০, ২১ ও ২২ সালের বিভিন্ন মডেলের গাড়ি রয়েছে।
৩১ মে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই নিলামের প্রস্তাবিত মূল্য গ্রহণ করা হবে।
মোংলা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, মোংলা কাস্টমের রাজস্ব আয়ের শতকরা ৫২ শতাংশ আসে আমদানি করা গাড়ির শুল্ক থেকে। দীর্ঘদিন আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকলে অন্যান্য পণ্য রাখায় সমস্যা তৈরি হয়। নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের সুবিাধার পাশাপাশি সঠিক সময় সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার মো. কুদরত আলী বলেন, ‘জাপান থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি শুরু হয় ২০০৯ সালের ৩ জুন। প্রথম চালানে এ বন্দর দিয়ে ২৫৫টি গাড়ি আমদানি করা হয়। সেই থেকে এ পর্যন্ত মোংলা বন্দর দিয়ে ২২ হাজার ৪৩৭টি গাড়ি আমদানি করা হয়। যা মোট আমদানি গাড়ির শতকরা ৬০ ভাগ।’
এদিকে এই নিলাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারবিডা) সভাপতি হাবিবুল্লা ডন।
তিনি বলেন, ‘একদিকে বৈশ্বিক মন্দা চলছে, সরকারি সংস্থা ও ব্যাংকগুলো গাড়ি কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোও এখন গাড়ি কিনছে না। এর মধ্যে নিলাম আমাদের আরেকটা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।’
আরও পড়ুন:দেশের বাজোরে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমেছে। ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬ হাজার ৬৯৫ টাকা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) রোববারের এ সিদ্ধান্ত সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
বাজুসের এক সদস্য নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এতদিন ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি ছিল ৯৭ হাজার ১৬১ টাকা। নতুন দাম অনুযাী এই স্বর্ণ বিক্রি হবে ৯৬ হাজার ৬৯৫ টাকা ভরি।
নতুন দর অনুযায়ী, ২১ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি ৯২ হাজার ৩২১ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৭৯ হাজার ১৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের ভরি ৫৬ হাজার ৯৬০ টাকা।
আগের হিসাবে ২১ ক্যারেট স্বর্ণে ভরি ৯৩ হাজার ৯৫৪, ১৮ ক্যারেট ৮০ হাজার ৫৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের ভরি ছিল ৬৭ হাজার ১২৬ টাকা।
স্থানীয় বাজারে পাকা স্বর্ণের দাম কিছুটা কমায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ হয়েছে বলে বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার দাম আগের মতই আছে। সোমবার থেকে হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট রুপার দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা বিক্রি হবে ১ হাজার ৫০ টাকায়।
এর আগে সর্বশেষ গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ২৮৩ টাকা বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন:
এশিয়া মার্কেটিং ডে-২০২৩ এবং আধুনিক মার্কেটিংয়ের জনক ফিলিপ কটলারের ৯২তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে শনিবার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১৭টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে এশিয়ান মার্কেটিং ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশে এই অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করে মার্কেটিং সোসাইটি অফ বাংলাদেশ।
মহতী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম ছিল কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (সিইউবি)।
বাংলাদেশের তরুণদের আরও ক্ষমতায়িত করা এবং স্মার্ট নাগরিকের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্য নিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মূল উপজীব্য ছিল ‘স্মার্ট জাতি ও স্মার্ট নাগরিক সৃষ্টিতে মার্কেটিংয়ের ভূমিকা’।
সেমিনারের লাইভ প্যানেলে প্রধান বক্তা হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন আধুনিক মার্কেটিংয়ের জনক ফিলিপ কটলার। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে মার্কেটিং দুনিয়ার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
সিইউবি অংশে অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র অধ্যাপক প্রফেসর মুহাম্মদ রিদওয়ানুল হক।
লাইভ প্যানেল সেশনের মেম্বার হিসেবে সিইউবি’র পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুল অফ বিজনেসের ডিন ড. জহুরুল আলম ও স্কুল অফ বিজনেসের প্রধান এস এম আরিফুজ্জামান।
সেমিনারে লাইভ প্যানেল সেশনের মেম্বার হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার ইনস্টিটিউট অফ মার্কেটিংয়ের অনারারি সেক্রেটারি হাসলিনা বিন্তি আযলান এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-এর মহাপরিচালক ও চিফ ইনোভেশন অফিসার ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন।
আরও পড়ুন:দেশের অর্থনীতি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে বলে জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২২-২৩: তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ শিরোনামে পর্যালোচনায় সিপিডি বিষয়টি জানিয়েছে।
ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে শনিবার বেলা সোয়া ১১টার পর থেকে পর্যালোচনাটি তুলে ধরেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
বাহ্যিক চ্যালেঞ্জ
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমরা দেখছি যে, আমাদের যে অর্থনীতি বর্তমানে এগোচ্ছে, সেখানে অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ প্রতিভাত হচ্ছে। আমরা কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এখন যে গতিধারাটা আমরা দেখছি, বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ কঠিন কিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। একটি হচ্ছে বাহ্যিক, আরেকটি হচ্ছে অন্তর্নিহিত বা ভেতরের।
‘বাহ্যিক যে কারণগুলো আমরা দেখি, আমরা শুরু করেছিলাম সেই কোভিডের সময় থেকে। ২০২০ সালে যখন কোভিড প্যানডেমিকের (করোনাভাইরাস মহামারি) প্রতিঘাত সেটি এবং সেটা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই আমরা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মুখোমুখি হই ২০২০-এর ফেব্রুয়ারি মাসে এবং এই ফ্যাক্টরগুলো, এই অনুঘটকগুলোর কারণে আমরা দেখছি যে, আন্তর্জাতিক বাজারে যে পণ্যের মূল্য, সেটি অত্যন্ত উচ্চ দিকে, ঊর্ধ্বগতির দিকে গিয়েছিল এবং তার ফলে আমদানি পণ্যমূল্য বেড়ে যায় এবং আমদানি যে মূল্যস্ফীতি, আমদানির মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতি সেটা এবং তা ছাড়া আমাদের সরবরাহ শৃঙ্খলে একটা ব্যাঘাত ঘটেছিল, সেটার কারণে কিন্তু এই মূল্যস্ফীতি, বিশেষ করে এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ আমাদের এখানে দেখা দিচ্ছে।’
অন্তর্নিহিত চ্যালেঞ্জ
ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আর অভ্যন্তরীণ যে কারণগুলো, সেগুলো তো আমরা দেখছি…আমাদের অন্তর্নিহিত যে কাঠামোগত দুর্বলতা, অর্থনীতিতে এবং নীতি নেয়ার ক্ষেত্রে একটা পূর্ণাঙ্গ নীতি না, কিছু কিছু সঠিক নীতিমালার একটা অভাব এবং যে নীতিগুলো নেয়া হয়, সেগুলো বাস্তবায়নেরও দুর্বলতা এবং তা ছাড়া সুশাসনের ঘাটতি এবং আমরা যে সমস্ত সংস্কারের কথা বলছি, সেই সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যর্থতার কারণেও কিন্তু আমরা অনেক সমস্যাগুলো এখন দেখছি, যেগুলো খুব গুরুতরভাবে প্রতিভাত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু ২০২২-এর জুলাই মাস থেকেই এই যে অর্থনীতির যে দুর্বলতাগুলি কোথায় এবং সেখানে প্রেশার পয়েন্টগুলো কোথায় এবং এগুলো যে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটা প্রভাব ফেলবে, সেগুলোর ব্যাপারে কিন্তু ক্রমাগতভাবে বলে এসেছি এবং ২০২৩ অর্থবছরের সামষ্টিক অর্থনীতির যে স্ট্রেসগুলো, অভিঘাতগুলো, সেগুলো যদি আমরা দেখি, সেগুলোর মূল মূল জায়গাগুলো কীভাবে প্রতিভাত হচ্ছে?
‘একটি হচ্ছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সঞ্চালন। সেখানে কিন্তু আহরণ কম এবং যার ফলে আমাদের রাজস্বের ক্ষেত্রে একটা স্বাধীনতা, ফিসকাল স্পেস, সেখানে কিন্তু একটা সংকোচন ঘটছে এবং তার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়াটা বাড়ছে সরকারের। সরকারের যে বাজেট ঘাটতি, সে ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার ব্যাপকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে এবং তা ছাড়া যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে, সেখানে আমরা দেখছি যে তারল্যের একটা নিম্নগতি এবং প্রাইসের কথা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতির কথা, লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি এবং সেটিও আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
বহিঃখাত
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘…আমাদের যে বহিঃখাত, সেই বহিঃখাতের যে ভারসাম্য, সেটার ক্ষেত্রে একটা অধোগতি, নিম্নগতি, এই ভারসাম্যের ক্ষেত্রে এবং তার পাশাপাশি আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে একটা নিম্নগতি দেখা যাচ্ছে এবং এর মধ্যে আমরা দেখছি যে, এই প্রেক্ষিতটার কারণেই, এই স্ট্রেসগুলোর কারণে আমরা দেখছি যে, আমরা এখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ঋণ নিয়েছি, যাতে কিনা আমাদের যে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা, সেটা আমরা ফিরে পাই।’
আরও পড়ুন:দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘উপায়’-এর ঈদুল ফিতর ক্যাম্পেইনের বিজয়ী চট্টগ্রাম অঞ্চলের এজেন্টদের পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মার্ট টিভিসহ বিভিন্ন পুরস্কার বিজয়ী এজেন্টদের হাতে তুলে দেন উপায়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও এটিএম তাহমিদুজ্জামান।
এপ্রিল মাসের শুরু থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত চলা ওই ঈদ ক্যাম্পেইনে দেশব্যাপী ১ হাজার ৭১৩ জন এজেন্ট বিজয়ী হন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপায়ের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার সৈয়দ মো. এনামুল কবির, চিফ বিজনেস অফিসার ইমন কল্যাণ দত্ত।
উপায়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও এটিএম তাহমিদুজ্জামান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের সারথী হিসেবে আমরা আমাদের গ্রাহকদের কম খরচে এবং নিরাপদ মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে জনগণকে আর্থিক অন্তুর্ভুক্তির চেষ্টা করে যাচ্ছি। উপায় গ্রাহকরা ইউসিবিএলের এটিএম ব্যবহার করে হাজারে আট টাকায় এবং এজেন্ট পয়েন্ট থেকে হাজারে ১৪ টাকায় ক্যাশ আউট করতে পারছেন, যা অন্য অনেকের থেকে কম।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপায় গ্রাহকরা সম্পূর্ণ ফ্রিতে যে কোনো পরিমাণ টাকা সেন্ড-মানি করতে পারছে। টেলিটক ছাড়া সব মোবাইল ফোন গ্রাহক *২৬৮# ডায়াল করে অতি সহজেই উপায় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছে।’
২০২১ সালের ১৭ মার্চ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি ‘উপায়’।
বর্তমানে উপায় বিস্তৃত পরিসরে এমএফএস সেবা দিচ্ছে ইউএসএসডি ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে।
উপায়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা সব ধরণের আর্থিক লেনদেন ক্যাশ-ইন, ক্যাশ-আউট, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, মার্চেন্ট ও ই-কমার্স পেমেন্ট, রেমিট্যান্স, বেতন ও সরকারি ভাতা গ্রহণ, মোবাইল রিচার্জ, সেতুর টোল প্রদান, ট্রাফিক ফাইন পেমেন্ট এবং ভারতীয় ভিসা ফি পেমেন্টের মতো সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য