× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Irans enthusiasm for Bangladesh India agreement to trade in its own currency
google_news print-icon

নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেনে বাংলাদেশ-ভারত মতৈক্যে ইরানের ‘উচ্ছ্বাস’

টাকা,রুপি
বাংলাদেশি টাকা ও ভারতীয় রুপি। ছবি: প্রেস টিভি
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রেস টিভি জানায়, বাংলাদেশে ২০০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি রুপিতে করবে ভারত। রপ্তানির বাকিটা ডলারে করবে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশটি। অন্যদিকে বাংলাদেশ তার রপ্তানির পুরোটাই রুপি ও টাকায় করবে।

আন্তসীমান্তে বাণিজ্যিক লেনদেনের অংশবিশেষ ডলারের পরিবর্তে টাকা ও রুপিতে করার বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মতৈক্যের বিষয়টি ফলাও করে প্রচার করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি।

স্থানীয় সময় সোমবার এ নিয়ে শীর্ষ সংবাদ প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি, যার শিরোনাম, ‘ডিমাইজ অফ ডলার: ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ জয়েন হ্যান্ডস টু ডিচ ইউএস কারেন্সি ইন ক্রস-বর্ডার ট্রেড’। এর অর্থ হলো ‘ডলারের মৃত্যু: আন্তসীমান্ত বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা বাদ দিতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ভারত, বাংলাদেশ’।

প্রতিবেদনে দৃশ্যত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলা হয়, অবশেষে নিজেদের মুদ্রা রুপি ও টাকায় বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তসীমান্ত বাণিজ্যে সম্মত হয়েছে ভারত। এর মধ্য দিয়ে লেনদেনে ডলার বাদ দেয়া ১৯তম দেশ হলো বাংলাদেশ।

এতে উল্লেখ করা হয়, কয়েক মাস ধরে নিবিড় আলোচনা ও বৈঠকের পর রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) ও স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করেছে। এতে আন্তসীমান্ত বাণিজ্য নিজস্ব মুদ্রায় করার পাশাপাশি প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে প্রেস টিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন চালুর অংশ হিসেবে ভারতের দুই আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া এবং আইসিআইসিআই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের। ভারতের দুটি ব্যাংকেরও বাংলাদেশের দুটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট চালুর কথা আছে।

বৈশ্বিক অ্যাকাউন্টিংয়ে এ ধরনের হিসাব বা অ্যাকাউন্টকে ভস্ত্রো ও নস্ত্রো অ্যাকাউন্ট বলা হয়। এ ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের দরকার হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রেস টিভি আরও জানায়, বাংলাদেশে ২০০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি রুপিতে করবে ভারত। রপ্তানির বাকিটা ডলারে করবে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশটি। অন্যদিকে বাংলাদেশ তার রপ্তানির পুরোটাই রুপি ও টাকায় করবে।

আরও পড়ুন:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিশ্বের অন্যতম কঠোর আইন: যুক্তরাষ্ট্র
বিয়েতে ফাঁকা গুলি ছুড়ে দৌড়ের ওপর কনে
ঝড়ে মন্দির এলাকায় নিমগাছ পড়ে নিহত ৭
মুশফিকের অর্ধশতকে মিরপুরে সহজ জয় বাংলাদেশের
‘বাংলাদেশ বিশ্বের জন্য মডেল হিসেবে কাজ করছে’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Floods 74 dead 89 missing in Myanmar

বন্যা: মিয়ানমারে ৭৪ মৃত্যু, নিখোঁজ ৮৯

বন্যা: মিয়ানমারে ৭৪ মৃত্যু, নিখোঁজ ৮৯ মিয়ানমারের সর্বশেষ বন্যায় প্লাবিত একটি অঞ্চল। ছবি: ইউএনবি
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমার রোববার এক প্রতিবেদনে জানায়, বন্যা কবলিত এলাকায় ২৪টি সেতু, ৩৭৫টি স্কুল, একটি মঠ, পাঁচটি বাঁধ, চারটি প্যাগোডা, ১৪টি ট্রান্সফরমার, ৪৫৬টি ল্যাম্পপোস্ট ও ৬৫ হাজার ৭৫৯টি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়।

টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ ‍দুর্যোগে দেশটিতে ৮৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমার রোববার এক প্রতিবেদনে জানায়, বন্যায় নাইপিদো, বাগো, মান্দালয় ও আইয়াওয়াদির ৬৪টি শহরতলীর ৪৬২টি গ্রাম ও ওয়ার্ড এবং মন, কায়িন ও শান প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এতে বলা হয়, বন্যা কবলিত এলাকায় ২৪টি সেতু, ৩৭৫টি স্কুল, একটি মঠ, পাঁচটি বাঁধ, চারটি প্যাগোডা, ১৪টি ট্রান্সফরমার, ৪৫৬টি ল্যাম্পপোস্ট ও ৬৫ হাজার ৭৫৯টি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুর্যোগ মোকাবিলায় নাইপিদোসহ বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চলগুলোতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, খাবার ও পানীয় জল সরবরাহের জন্য অস্থায়ী ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধারকর্মীরা তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী নোয়াখালীর ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ: অক্সফ্যাম
বন্যায় ফেনী-নোয়াখালীর ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বন্যা: ফেনীতে মৃত বেড়ে ২৮
বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৫৯, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ লাখের বেশি মানুষ
ফেনীতে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ২৩

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Donald Lu has arrived in Dhaka

ডোনাল্ড লু ঢাকায় পৌঁছেছেন

ডোনাল্ড লু ঢাকায় পৌঁছেছেন ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটির এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বহুমাত্রিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে আলোচনার ফোকাস হবে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু তিনদিনের ভারত সফর শেষে আজ শনিবার বিকেলে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।

কূটনৈতিক সূত্র ‌এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের পরিচালক সামিয়া ইসরাত রনি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জা‌তিক বিমানবন্দরে ডোনাল্ড লু’কে স্বাগত জানান।

এর আগে শনিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ক সহকারী সচিব ব্রেন্ট নেইম্যান ঢাকায় আসেন।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এটিই ঢাকায় কোনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের প্রথম সফর।

যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটির এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বহুমাত্রিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে আলোচনার ফোকাস হবে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আগামীকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

পরে প্রতিনিধি দলটি পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। ওইদিন বিকেলে প্রতিনিধি দল প্রধান নেইম্যান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

নেইম্যানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে লু ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার (ইউএসএআইডি) উপ-সহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কর ও যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ রয়েছেন।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের প্রধান নেইম্যান ঢাকায় পৌঁছেছেন
লুর নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল আসছে আজ, আলোচনা হবে বহুমাত্রিক
বাংলাদেশের আর্থিক স্থিতিশীলতাকে প্রাধান্য দেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল
ইউনূসকে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপের সমর্থন
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Led by Lu the US delegation arriving tomorrow will discuss multi dimensional issues

লুর নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল আসছে আজ, আলোচনা হবে বহুমাত্রিক

লুর নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল আসছে আজ, আলোচনা হবে বহুমাত্রিক যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ফাইল ছবি
পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র যে গুরুত্ব দেয়, প্রথম প্রতিনিধি দলের এই আগমন তার একটি বড় উদাহরণ। এ থেকে বোঝা যায় যে এই আলোচনা হবে বহুমাত্রিক। এটি শুধু একটি বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে আসছে। বাংলাদেশ তাদের স্বাগত জানানোর প্রস্তুতির পাশাপাশি বহুমাত্রিক আলোচনার জন্য অপেক্ষা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বর্তমানে ভারতের নয়াদিল্লি সফরে রয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটি আজ শনিবার ঢাকায় পৌঁছবে। তারা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবে।

পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

সফরের আগে পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র যে গুরুত্ব দেয়, (এই মেয়াদে) প্রথম প্রতিনিধি দলের আগমন তার একটি বড় উদাহরণ। এ থেকে বোঝা যায় যে এই আলোচনা হবে বহুমাত্রিক। এটি শুধু একটি বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। আলোচনায় শুধু একটি নয়, বিস্তৃত বিষয় থাকবে।’

যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র জানান, আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকারে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সফরকালে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন।

লু ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বৈঠকের জন্য একটি আন্তঃসংস্থা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।

প্রতিনিধি দলে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ, ইউএসএআইডি এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা থাকবেন। তাদের এই সফরে বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হবে।

আলোচনার সুনির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আলোচনা শুরুর আগে আমি কোনো ধরনের মন্তব্য করতে চাই না, যা আলোচনার স্বাভাবিকতাকে ক্ষুণ্ন করবে।’

তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের মানুষের আন্তর্জাতিক বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে। সফরে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লু আমাদের অংশীদারদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতার প্রচারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন।’

পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের যেকোনো সফর সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।’

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব ডিফেন্স লিন্ডসে ডব্লিউ ফোর্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি/অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফর ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স ব্রেন্ট নেইম্যান প্রতিনিধি দলে থাকবেন।

এই ভূমিকায়, ফোর্ড এই অঞ্চলের জন্য প্রতিরক্ষা কৌশল এবং পরিকল্পনার বিকাশ ও বাস্তবায়ন সম্পর্কিত সমস্ত নীতিগত বিষয়গুলোর জন্য প্রতিরক্ষা বিভাগের মধ্যে জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন।

তার দায়িত্বের ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান বাদে ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সুরক্ষা সম্পর্ক।

নেইম্যান যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের আন্তর্জাতিক অর্থের ডেপুটি-আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আরও পড়ুন:
জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ
আমিরাতে দণ্ডপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা
বাংলাদেশ শিগগিরই সমৃদ্ধির পথে ফিরবে, আশা চীনের
বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
চলতি মাসে ঢাকায় আসছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Typhoon Yagi Death toll rises to 233 in Vietnam hundreds missing

টাইফুন ইয়াগি: ভিয়েতনামে মৃত বেড়ে ২৩৩, নিখোঁজ শতাধিক

টাইফুন ইয়াগি: ভিয়েতনামে মৃত বেড়ে ২৩৩, নিখোঁজ শতাধিক সুপার টাইফুন ইয়াগিতে ভিয়েতনামে ক্ষতিগ্রস্ত একটি এলাকায় উদ্ধারকারীরা। ছবি: এপি/ইউএনবি
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানির উষ্ণতা বাড়তে থাকায় টাইফুন ইয়াগির মতো ঝড় আরও শক্তিশালী হচ্ছে, যার প্রভাবে তীব্র বাতাস এবং ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

ভিয়েতনামে সুপার টাইফুন ইয়াগি ও এর ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮০০ জনেরও বেশি। নিখোঁজ রয়েছেন ১০৩ জন।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শুক্রবার এসব তথ্য জানায়।

রাজধানী অঞ্চল হ্যানয়ের রেড নদীতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে, তবে এখনও অনেক এলাকা তলিয়ে আছে।

গত শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির স্থলভাগে আঘাত হানে টাইফুন ইয়াগি। এক সপ্তাহের ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে বিশেষ করে ভিয়েতনামের পার্বত্য উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস হয়।

বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

দেশটির লাও কাই প্রদেশে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়। গত মঙ্গলবার আকস্মিক বন্যায় প্রদেশটির লাং নু গ্রাম পুরো তলিয়ে যায়।

রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র ভিএনএক্সপ্রেস শুক্রবার জানায়, লাং নু থেকে ৪৮ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সেখানে নিখোঁজ আছেন ৩৯ জন।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, গ্রামটিতে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধারকাজ চালাতে ভারী সরঞ্জাম আনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রায় ৫০০ উদ্ধারকর্মী গ্রামটিতে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন বলেন, ‘আমরা নিখোঁজদের সন্ধানে পিছপা হব না।’

চীনের সীমান্তবর্তী আরেক উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ কাও বাংয়ে ভূমিধসের চার দিন পর শুক্রবার পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১০ জন।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ জানায়, টাইফুন ও এর ফলে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি ভিনফাস্ট, অ্যাপলের যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

টাইফুন ইয়াগিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অস্ট্রেলিয়া এরই মধ্যে ২০ লাখ ডলার সহায়তার অংশ হিসেবে ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ শুরু করেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়াও ২ মিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস শুক্রবার জানায়, ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বা ইউএসএআইডির মাধ্যমে ১০ লাখ ডলার সহায়তা দেয়া হবে।

কয়েক দশকের মধ্যে ভিয়েতনামে আঘাত হানা টাইফুনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ইয়াগি।

বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানির উষ্ণতা বাড়তে থাকায় টাইফুন ইয়াগির মতো ঝড় আরও শক্তিশালী হচ্ছে, যার প্রভাবে তীব্র বাতাস এবং ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
চীনের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধে নেই যুক্তরাষ্ট্র: বাইডেন
গুয়াম দ্বীপে সরাসরি আঘাত হানতে পারে টাইফুন মাওয়ার
বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বাণিজ্য ২ বিলিয়নে উন্নীত করা সম্ভব: ডিসিসিআই
টাইফুনে ব্যাহত জাপানের জনজীবন
ভিয়েতনামে বারে আগুন লেগে ১২ মৃত্যু

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Starting with a coffee shop Manjurul now owns 21 restaurants

কফি শপ দিয়ে শুরু করা মনজুরুল এখন ২১ রেস্তোরাঁর মালিক

কফি শপ দিয়ে শুরু করা মনজুরুল এখন ২১ রেস্তোরাঁর মালিক বারকোড গ্রুপের কর্ণধার মনজুরুল হক। ছবি: নিউজবাংলা
বর্তমানে মনজুরুলের মালিকানাধীন রেস্তোরাঁর সংখ্যা ২১টি, যার মধ্যে ১৫টি চট্টগ্রামে, পাঁচটি ঢাকায় এবং একটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)। তার মালিকানাধীন রেস্তোরাঁগুলোতে কাজ করছেন চার শতাধিক কর্মী।

চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বারকোড গ্রুপের কর্ণধার মনজুরুল হক। বাবা নুরুল হকের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সে সময় নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার পাশাপাশি নতুন কিছু করার তাগিদে কফি শপ শুরু করেন, যার নাম দেন ‘বারকোড’।

এ শপের সফলতার পর মনজুরুল সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রামের মুরাদপুরে আরেকটি রেস্তোরাঁ খোলার। নতুন রেস্তোরাঁটির নাম দিতে চেয়েছিলেন ‘বারকোড সি-ফুড’। প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে রেস্তোরাঁটির সজ্জা সম্পন্ন করেছিলেন। এর উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ।

বিধিবাম ছিল মনজুরুলের। উদ্বোধনের এক রাত আগে ২২ মার্চ রাতে ভয়াবহ আগুনে রেস্তোরাঁটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

ওই দুর্ঘটনায় মানসিকভাবে প্রচণ্ড আহত হলেও মনোবল নষ্ট হতে দেননি মনজুরুল। তিনি ফের রেস্তোরাঁ চালুর সিদ্ধান্ত নেন। রেস্তোরাঁর নতুন নাম দেন ‘বারকোড অন ফায়ার’।

বর্তমানে মনজুরুলের মালিকানাধীন রেস্তোরাঁর সংখ্যা ২১টি, যার মধ্যে ১৫টি চট্টগ্রামে, পাঁচটি ঢাকায় এবং একটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)। তার মালিকানাধীন রেস্তোরাঁগুলোতে কাজ করছেন চার শতাধিক কর্মী।

মনজুরুলের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইউএইতে। পড়াশোনা সিঙ্গাপুরের থেমস বিজনেস স্কুল থেকে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Childrens use of social media is banned in Australia

শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়

শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বলেছেন, এ বছরই তার সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ন্যূনতম বয়স প্রয়োগের উদ্দেশ্যে আইন প্রবর্তন করবে। এ ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৬ বছর।

শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। এ বিষয়ে যে আইন হতে যাচ্ছে তাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৬ বছর।

অ্যালবানিজ মঙ্গলবার এই পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেছেন, এ বছরই তার সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ন্যূনতম বয়স প্রয়োগের উদ্দেশ্যে আইন প্রবর্তন করবে।

তিনি বলেন, ‘সামাজিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং এটি শিশুদের প্রকৃত বন্ধু ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।’

গত আগস্টে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, ৬১ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ান ১৭ বছরের কম বয়সীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশাধিকার সীমিত করার পক্ষে মত দিয়েছেন।

একই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিষিদ্ধ করতে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার পিটার ম্যালিনাউসকাসের সাবেক ফেডারেল বিচারক রবার্ট ফ্রেঞ্চকে আইনি পথগুলো অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, আইনটির খসড়া তৈরির সময় ফেডারেল সরকার রবার্ট ফ্রেঞ্চের পর্যালোচনা বিবেচনা করবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Yunus is backed by the US Senate Majority Whip

ইউনূসকে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপের সমর্থন

ইউনূসকে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপের সমর্থন যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপ ডিক ডারবিন। ছবি: সংগৃহীত
ওয়াশিংটন ডিসিতে সোমবার সিনেটে ফ্লোর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপ ডিক ডারবিন বলেন, ‘আমি ড. ইউনুসকে চিনি। তিনি তার হৃদয়ে বাংলাদেশি জনগণের জন্য সর্বোত্তম কল্যাণ লালন করেন এবং এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।’

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপ ডিক ডারবিন।

মঙ্গলবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করে বাসস জানায়, হুইপ সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে সিনেটে ফ্লোর নিয়ে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে কয়েক দশক ধরে হয়রানির শিকার হওয়া ড. ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানান।

ডারবিন তার মন্তব্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ করে দেয়া ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির বিকাশে ড. ইউনূসের জীবনব্যাপী কাজ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেন।

তিনি ড. ইউনূসের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের লক্ষ্যে তার প্রথম বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করে বক্তব্য শুরু করেন।

ডিক ডারবিন বলেন, ‘আমি আজ তাকে (ড. ইউনূস) আমার পূর্ণ সমর্থন দিতে যাচ্ছি। আমি তাকে বিশ্বাস করি। আমি ২০ বছর আগেও করেছি এবং আজও করছি। আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকেও তাকে সমর্থন করার জন্য অনুরোধ করছি।

‘আমি ড. ইউনুসকে চিনি। তিনি তার হৃদয়ে বাংলাদেশি জনগণের জন্য সর্বোত্তম কল্যাণ লালন করেন এবং এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।’

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান এবং দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। তার ক্ষমতাচ্যুতির কয়েকদিন পর অধ্যাপক ড. ইউনূস নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বের শপথ নেন।

ডারবিন বলেন, ‘গত মাসে আমার বিস্ময়ের কথা কল্পনা করুন..., জনগণের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে হাসিনা অবশেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। যে ছাত্ররা বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছে তারা দাবি করে যে তাদের দেশের নেতা হবেন কেবলমাত্র ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই একই অর্থনীতির অধ্যাপক, যার সঙ্গে ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে আমার দেখা হয়েছিল।

’আমি তার সৌভাগ্যের কথা শুনে তাকে (ড. ইউনূস) ফোন করি। তিনি উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে দেশের মানুষ এখন এই ঐতিহাসিক সুযোগ কাজে লাগাতে প্রস্তুত।’

ডারবিন জুলাই মাসে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানির নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশে তিন সহকর্মীর নেতৃত্ব দেন। এতে তিনি তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ড. ইউনূসের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বন্ধ করতে এবং তার বিরুদ্ধে আনা সন্দেহজনক অভিযোগগুলো প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

ড. ইউনূসকে হয়রানি বন্ধ করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানিয়ে ডারবিন ও তার সহকর্মীদের একটি চিঠি পাঠানোর পর এই বিবৃতি দেয়া হয়।

এ গ্রীষ্মের শুরুতেও ডারবিন সিনেট ফ্লোরে এক বক্তব্যে ড. ইউনূসের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ ১০০ জনেরও বেশি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক প্রচারণার নিন্দা জানিয়েছেন।

ডারবিন ২০১০ সালে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ড. ইউনূসকে কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে একটি প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেন। পরে ২০১৩ সালে ইউনূসকে এই পদক প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের
ড. ইউনূসের প্রতি ১৯৭ বিশ্বনেতার দৃঢ় সমর্থন ও সহায়তার প্রতিশ্রুতি
ভারতে চুপ থাকতে হবে শেখ হাসিনাকে: পিটিআইকে ইউনূস
চলতি মাসে ঢাকায় আসছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল

মন্তব্য

p
উপরে