× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
British American Tobacco Bangladesh 50th AGM
google_news print-icon

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের ৫০তম এজিএম

ব্রিটিশ-আমেরিকান-টোব্যাকো-বাংলাদেশের-৫০তম-এজিএম
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের ভার্চুয়ালি সভা। ছবি: সংগৃহীত
দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কোম্পানির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে বুধবার সকালে ভার্চুয়ালি এই এজিএম হয়। বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম মইন উদ্দীন এতে সভাপতিত্ব করেন।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের ৫০তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কোম্পানির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে বুধবার সকালে ভার্চুয়ালি এই এজিএম হয়। বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম মইন উদ্দীন এতে সভাপতিত্ব করেন।

বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডাররা সর্বসম্মতিক্রমে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে একমত পোষণ করেন। এর মধ্যে রয়েছে ২০২২ সালের আর্থিক বিবরণীর অনুমোদন, পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন, শেয়ার প্রতি ২০ টাকা (২০০%) নগদ লভ্যাংশ (১০ টাকা বা ১০০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ) অনুমোদন, সংবিধিবদ্ধ নিরীক্ষক নিয়োগ এবং করপোরেট গভর্ন্যান্স অডিটরদের নিয়োগ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক আফতাব উল ইসলাম, অ-নির্বাহী পরিচালক স্টুয়ার্ট কিড, অ-নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া সুলতানা, স্বতন্ত্র পরিচালক কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী, অ-নির্বাহী পরিচালক সিরাজুন নূর চৌধুরী, অ-নির্বাহী পরিচালক আবুল হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনীম, অর্থ পরিচালক আমান মুস্তাফিজ ও কোম্পানি সচিব মো. আজিজুর রহমান।

২০২২ সালে কোম্পানিটি মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং অন্যান্য কর হিসাবে জাতীয় কোষাগারে ২৯ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা রাজস্ব জমা করে যা বিএটি বাংলাদেশকে দেশের সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা প্রদান করেছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
In a span of 2 days the price of onion has decreased by Tk 40

২ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০ টাকা

২ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০ টাকা সোমবার থেকে সোনামসিজিদ স্থলবন্দর দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় পেয়াঁজ আসা শুরু হয়। ছবি: নিউজবাংলা
মো. পলাশ নামে এক মসলা ব্যবসায়ী জানান, দুদিন আগে ৯০-৯৫ টাকায় বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। গতকাল ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হলেও, আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় পেঁযাজ আমদানি শুরু হওয়ায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। দুদিনের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০ টাকা।

সোমবার বিকাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসিজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেয়াঁজবাহী ট্রাক আসা শুরু হয়। এ দিন ৫৬ ট্রাকে ১ হাজার ৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।

মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ১৩৩ ট্রাকে ২৭৭৭ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোনামসজিদ স্থল বন্দর কাস্টমের ডেপুটি কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ।

আজ সকাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায়। দুপুরে শহরের পুরাতন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে। দুদিন আগেও ৯০-৯৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া দেশি পেয়াঁজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা দরে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাঁদলাই এলাকার বাসিন্দা ও পুরাতন বাজারের পেঁয়াজের ব্যবসায়ী একরামুল হক জানান, তিনি রবিবার ৮৮ টাকা কেজি দরে ১ হাজার কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনেছিলেন, সেই পেঁয়াজ এখন লসে বিক্রি করছেন। কেজিতে তার লস হচ্ছে প্রায় ২৮-৩০ টাকা।

মো. পলাশ নামে আরেক মসলা ব্যবসায়ী জানান, দুদিন আগে ৯০-৯৫ টাকায় বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। গতকাল ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হলেও, আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়।

তারপরও বাজারে ক্রেতা নাই বললেই চলে বলে জানান তিনি।

পুরাতন বাজারের অন্যতম পেঁয়াজ আড়তের মালিক আনারুল ইসলাম জানান, তা মঙ্গলবার ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে আসায় পেয়াজের দাম কমেছে ৩০-৪০ টাকা। আগামীতে আরও কমবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
ভোমরা দিয়ে ঢুকল ৮ ট্রাক পেঁয়াজ, আসছে আরও
দেশে ঢুকল ভারতীয় পেঁয়াজের প্রথম চালান
পেঁয়াজের ঝাঁজ কমছে, কপাল ঘামছে মজুতদারদের

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The first shipment of Indian onions entered the country

দেশে ঢুকল ভারতীয় পেঁয়াজের প্রথম চালান

দেশে ঢুকল ভারতীয় পেঁয়াজের প্রথম চালান সোমবার রাত ৮ টার দিকে ৩টি ট্রাকে ৭৫ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। ছবি: নিউজবাংলা
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার তানভির আহমেদ বলেন, ‘প্রতি টন পেঁয়াজ ৩২০ ডলারের ওপর ডিউটি ও ১০ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়ছে ৩৮.৩৬ টাকা।’

২ মাস ২২ দিন বন্ধ থাকার পর যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সোমবার রাত ৮ টার দিকে ৩টি ট্রাকে ৭৫ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।

বন্ধের পর এই প্রথম বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৭৫ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে রাজধানী ঢাকার আমদানিকারক জারিফ ইন্টারন্যাশনাল।

এ বছরের ১৫ মার্চ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে এতদিন পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার তানভির আহমেদ বলেন, ‘আজ ভারত থেকে ৭৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। প্রতি টন পেঁয়াজ ২০০ ডলার (২১,৫৫০ টাকা প্রায়) মূল্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রতি টন পেঁয়াজ ৩২০ ডলারের ওপর ডিউটি ও ১০ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়ছে ৩৮.৩৬ টাকা।’

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, ‘২ মাস ২২ দিন পর বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস করতে পারেন, তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
পেঁয়াজের ঝাঁজ কমছে, কপাল ঘামছে মজুতদারদের
পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি সোমবার থেকে
কৃষকের ক্ষতি করে পেঁয়াজ আমদানি নয়: কৃষিমন্ত্রী

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Onion groves are shrinking the foreheads of the hoarders are sweating

পেঁয়াজের ঝাঁজ কমছে, কপাল ঘামছে মজুতদারদের

পেঁয়াজের ঝাঁজ কমছে, কপাল ঘামছে মজুতদারদের আমদানির খবরে বিপাকে পড়ে পাইকাররা রোববার ২০ টাকা ও সোমবার আরও ১০ টাকা দাম কমায়। ছবি: নিউজবাংলা
চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, ‘আমদানির অনুমতির খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই পাইকারি ক্রেতারা পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করে দেন। বিপাকে পড়ে পাইকাররা রোববার ২০ টাকা ও সোমবার আরও ১০ টাকা দাম কমায়।

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে সোমবার থেকে পণ্যটি আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আমদানির খবরেই পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী মজুতদাররা।

দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে সোমবার ৬০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে রোববার আমদানির ঘোষণার আগপর্যন্ত এ বাজারে পেঁয়াজের পাইকারি দর ছিল ৯০ টাকা। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির খবর ছড়িয়ে পড়লে রোববারই কেজিতে ২০ টাকা কমে যায়। একদিন পেরোতেই তা আরও ১০ টাকা কমে গিয়েছে।

চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, ‘আমদানির অনুমতির খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই পাইকারি ক্রেতারা পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করে দেন। বিপাকে পড়ে পাইকাররা রোববার ২০ টাকা ও সোমবার আরও ১০ টাকা দাম কমায়।

‘এখন ৬০ টাকা দরে পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও ক্রেতা নেই।’

সবাই আমদানির অপেক্ষা করছে বলে মনে করেন সমিতির সভাপতি।

পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য আমদানিকারকদের দুষলেন এ ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজ, আদাসহ সব পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য আমদানিকারকরাই দায়ী। তারা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন।’

আমদানির অনুমতি পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আইপি (অনুমতিপত্র) চট্টগ্রামে আসতে সময় লেগেছে। আমদানিকারকরা আইপি পেয়েছেন তিনটায়। আজ কিছু পেঁয়াজ ঢুকতে পারে। কাল থেকে পুরোদমে ঢুকবে।’

আমদানির পর পেঁয়াজের দাম আরও কমলে দেশের পেঁয়াজ চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘যারা অতিরিক্ত পেঁয়াজ মজুত করে রেখেছে, তারাও বিপদে পড়বে।’

এদিকে আমদানির খবরে খুচরা বাজারেও ১৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে ৮০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।

সোমবার নগরীর ২ নম্বর গেইট এলাকার কর্ণফুলী মার্কেটে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, আহমদীয়া ট্রেডার্সে ৮০ টাকা, এসএস মার্টে ৮৫ টাকা, কোয়ালিটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ৯৫ টাকা ও কর্ণফুলী ট্রেডার্সে ৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর অক্সিজেন এলাকার আনয়ার স্টোর ও পাঁচলাইশ এলাকার উৎসব সুপারশপে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি।

রমজানের পর থেকে দেশের বাজারে হুঁ হুঁ করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। কয়েক দফা বেড়ে ১০০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হতে থাকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ। ওই সময় পাইকারি বাজারে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা পর্যন্ত দাম ওঠে।

এর মধ্যে সম্প্রতি পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে কৃষি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এর প্রেক্ষিতে রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার থেকেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার কথা জানায় কৃষি মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের-শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সব ভোক্তার স্বার্থরক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

২০২২ সালে চাহিদার চেয়ে অধিক আমদানির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হন দেশের পেঁয়াজ চাষীরা। তাই চাষীদের পেঁয়াজ চাষে উৎসাহিত করতে এবার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখে সরকার।

আরও পড়ুন:
পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি সোমবার থেকে
কৃষকের ক্ষতি করে পেঁয়াজ আমদানি নয়: কৃষিমন্ত্রী

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
11 demands of Bajus including reduction of VAT on sale of gold ornaments
বাজেট প্রতিক্রিয়া

স্বর্ণালঙ্কার বি‌ক্রিতে ভ্যাট কমানোসহ ১১ দাবি বাজুসের

স্বর্ণালঙ্কার বি‌ক্রিতে ভ্যাট কমানোসহ ১১ দাবি বাজুসের সোমবার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে বাজুস কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাজুসের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন। ছবি: নিউজবাংলা
জাতীয় বাজেটে স্বর্ণালঙ্কার বি‌ক্রিতে প্রস্তাবিত ভ্যাট হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা এবং ব্যাগেজ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে স্বর্ণালঙ্কার আনার সর্বোচ্চ সীমা ৫০ গ্রাম করার দাবি জানিয়েছে দেশের জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে স্বর্ণালঙ্কার বি‌ক্রিতে প্রস্তাবিত ভ্যাট হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস। এছাড়া ব্যাগেজ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে স্বর্ণালঙ্কার আনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা ৫০ গ্রাম করাসহ ১১টি প্রস্তাব বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সোমবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে বাজুস কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাজুসের সহ-সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, সহ-সম্পাদক ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সমিত ঘোষ অপু, সদস্য সচিব পবন কুমার আগরওয়ালসহ অন্যরা।

লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাগেজ রুলস-এ সংশোধনী এনেছে সরকার। সংশোধিত ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন যাত্রী ১১৭ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের বার বাংলাদেশে আনতে পারবেন। আগে ২৩৪ গ্রাম ওজনের দুটি বার আনার সুযোগ ছিল।

সংশোধিত ব্যাগেজ রুলকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ জানিয়ে বাজুসের পক্ষ থেকে বলা হয়, এর মাধ্যমে দেশে স্বর্ণ চোরাচালান ও মুদ্রা পাচার অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। কারণ ব্যাগেজ রুলের সুবিধা নিয়ে এর আগে অবাধে সোনার বার বা পিণ্ড দেশে প্রবেশ করছে। আবার চোরাচালানের মাধ্যমে তা বিদেশে পাচার হয়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। একইসঙ্গে এই পদক্ষেপ বৈধভাবে স্বর্ণ আমদানিকে উৎসাহিত করবে।

স্বর্ণের বারের মতো ব্যাগেজ রুলের আওতায় অলংকার-গহনা আনার সীমা ১০০ গ্রাম থেকে কমিয়ে ৫০ গ্রাম করার প্রস্তাব করেছে বাজুস। স্থানীয় স্বর্ণ শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় জুয়েলারি শিল্পের দিকে ক্রেতাসাধারণকে আকৃষ্ট করতে এমন পদক্ষেপ দরকার বলে মনে করছে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৈধভাবে স্বর্ণের চাহিদা পূরণ করার ক্ষেত্রে বড় বাধা কাঁচামালের উচ্চ মূল্য, অতিরিক্ত উৎপাদন ব্যয়, শিল্প-সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির উচ্চ আমদানি শুল্ক। বর্তমানে জুয়েলারি শিল্পের প্রায় সব ধরনের পণ্য ও যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ। এটা স্থানীয় অন্যান্য শিল্পে আরোপিত শুল্কের চেয়ে অনেক বেশি। এতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে উচ্চ ভ্যাট হার ও অতিরিক্ত উৎপাদন খরচের কারণে ভোক্তা পর্যায়ে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে দামের পার্থক্য হচ্ছে। এতে ক্রেতা হারাচ্ছেন জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন জুয়েলারি খাতের ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা।

বলা হয়, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতায় সক্ষম করতে জুয়েলারি খাতে আরোপিত শুল্ক কর ও ভ্যাট হার কমানো এবং আর্থিক প্রণোদনা দেয়া দরকার। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১১টি প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি করছে বাজুস।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- স্বর্ণালঙ্কার, রুপা বা রুপার অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে আরোপিত ভ্যাট হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা; ইডিএফ মেশিন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে বসিয়ে কাউকে হয়রানি না করা; অপরিশোধিত আকরিক স্বর্ণে আরোপিত সিডি ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আমদানি শুল্ক শর্তসাপেক্ষে ১ শতাংশ নির্ধারণ করা; আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণের সিডি ১০ শতাংশের পরিবর্তে আইআরসিধারী ও ভ্যাট কমপ্লায়েন্ট শিল্পের জন্য শুল্ক হার ৫ শতাংশ করা।

দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- হীরা কাটিং ও প্রক্রিয়াজাতকরণের উদ্দেশ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান দ্বারা আমদানি করা রাফ ডায়মন্ডের নতুন শুল্ক হার নির্ধারণ; স্বর্ণ পরিশোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ।

স্বর্ণালঙ্কার প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে আমদানি করা কাঁচামাল ও মেশিনারিজের ক্ষেত্রে সব ধরনের শুল্ক কর অব্যাহতি দেয়াসহ ১০ বছরের জন্য কর অবকাঠামোর প্রস্তাব দিয়েছে বাজুস।

এছাড়া অস্বাভাবিক শুল্ক হার কমিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে শুল্ক হার সমন্বয়সহ এসআরও সুবিধা দেয়া ও চোরাচালান প্রতিরোধে কাস্টমসসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উদ্ধার করা মোট স্বর্ণের ২৫ শতাংশ সংস্থা সদস্যদের পুরস্কার হিসেবে প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি।

আরও পড়ুন:
‘বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি মার্চে উৎপাদনে যাবে’
সোনা চোরাচালান রোধে কাজ করতে চায় বাজুস
চোরাচালানে জব্দ সোনার ২৫ শতাংশ পুরস্কারের প্রস্তাব বাজুসের
বৈধ জুয়েলারি থেকে গহনা কেনার পরামর্শ বাজুসের
বাজুস সদস্য ছাড়া স্বর্ণালংকার না কেনার পরামর্শ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The country saw the highest inflation in an era

এক যুগে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখল দেশ

এক যুগে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখল দেশ
বিবিএসের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের মে মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে গড়ে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ২ শতাংশে উঠেছিল। এতদিন পর্যন্ত সেটিই ছিল সর্বোচ্চ।

চলতি অর্থবছরের মে মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে গড়ে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ২ শতাংশে উঠেছিল। এতদিন পর্যন্ত সেটিই ছিল সর্বোচ্চ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সোমবার মে মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমনটা জানিয়েছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মার্চ মাসে আবারও মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ হয়। এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসে। তখন সার্বিক বা সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ।

বিবিএসের তথ্যে বলা হয়েছে, মে মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ হয়েছে। এর আগের মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।

মূল্যস্ফীতির অর্থ হলো ২০২২ সালের মে মাসে দেশের মানুষ যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পেয়েছিল, এই বছরের মে মাসে তা কিনতে ১০৯ টাকা ৯৪ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। ফলে একই পরিমাণ পণ্য কিনতে তাদের লেগেছিল ১০৯ টাকা ২৪ পয়সা।

মার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ওই পণ্য বা সেবা পেতে ভোক্তার লেগেছিল ১০৯ টাকা ৩৩ পয়সা। ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ ধরে লেগেছিল ১০৮ টাকা ৭৮ পয়সা। আর বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ হওয়ায় ওই পরিমাণ পণ্য বা সেবা পেতে ভোক্তার খরচ হয় ১০৮ টাকা ৫৭ পয়সা।

বিবিএস-এর হালনাগাদ তথ্যে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি ও পরবর্তী সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে মূল্যস্ফীতির এমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। অর্থবছরের প্রথম থেকেই এ প্রবণতা চলছে, যদিও মাঝে কিছুটা নিম্নমুখিতা ছিল।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ঠিক এমন এক সময়ে গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ায়। এর পরপরই বাড়ানো হয় সব ধরনের পরিবহন ভাড়া। এই দুইয়ের প্রভাবে বেড়ে যায় প্রায় সব পণ্যের দাম। ফলে পরের মাস আগস্টে মূল্যস্ফীতি এক লাফে বেড়ে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠে যায়।

মাঝে কয়েকটা মাস বাড়ার প্রবণতায় লাগাম থাকলেও রোজাকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। এতে ফের বাড়তে থাকে মূল্যস্ফীতি।

বিবিএসের হিসাব অনুসারে, মে মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এপ্রিলে তা ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। মার্চেও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল একই।

আরও পড়ুন:
এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ৯.২৪%
‘মূল্যস্ফীতির জন্য যুদ্ধের পাশাপাশি দুর্বল বাজার ব্যবস্থাপনা দায়ী’
চার মাস ধরে কমছে মূল্যস্ফীতি
খাবারের দাম শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি
মূল্যস্ফীতির হিসাবে স্বস্তির আভাস

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price has increased but the charger fan does not match
দাবদাহে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং

দাম বেড়েছে চার্জার ফ্যানের, বেড়েছে সংকটও

দাম বেড়েছে চার্জার ফ্যানের, বেড়েছে সংকটও রোববার গুলিস্তানে সুন্দরবন মার্কেটে এক দোকানে চার্জার ফ্যানের জন্য ক্রেতার ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
দেশজুড়ে দাবদাহের মধ্যে চলছে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং। এ অবস্থায় চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেড়ে গেছে ব্যাপকভাবে। বেড়েছে এসি, আইপিএস, সোলার প্যানেল এবং ব্যাটারির বিক্রিও। চাহিদা বাড়ায় দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন দোকানিরা। তারপরও মিলছে না চার্জার ফ্যান। বলা হচ্ছে, সব বিক্রি হয়ে গেছে।

বেলাল উদ্দিন পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর শান্তিনগরে। চলমান দাবদাহে বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে রোববার সকালে গেলেন এলাকার ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে। উদ্দেশ্য, চার্জার ফ্যান কেনা। একে একে ৪-৫টি দোকান ঘুরেও কোন দোকানেই মিললো না চার্জার ফ্যান। দোকানিদের বক্তব্য, ক্রেতার চাপ বেশি। স্টকে থাকা সবই বিক্রি হয়ে গেছে।

বেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৪-৫ দোকান ঘুরে না পেয়ে অবশেষে তিনি যান ওয়াল্টনের শো-রুমে। শান্তিনগর মোড় থেকে মালিবাগের দিকে এগুতেই রাজিয়া মঞ্জিলে ওই শো-রুমে যাওয়ার পরও হতাশ হতে হলো। শো-রুমের এক কর্মী বললেন- গতকালই (শনিবার) আমাদের এখানে অন্তত একশ’ চার্জার ফ্যান বিক্রি হয়েছে। স্টক শেষ। কোম্পানিতে অর্ডার পাঠানো হয়েছে। দুই/তিন পর এল পেতে পারেন।’

‘তবে ওই বিক্রেতা ১২ ইঞ্চি চার্জার ফ্যানের দাম বললেন ৩ হাজার ৯৯০ টাকা। আর ১৪ ইঞ্চি আকারে ফ্যানের দাম ৪ হাজার ৩৯০ টাকা। এটা আমার কাছে বেশি মনে হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে লোডশেডিংয়ের সুযোগ নিয়ে বিক্রেতারা চার্জার ফ্যানের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।’

বাজার ঘুরে অবশ্য চার্জার ফ্যানের দাম নিয়ে বেলাল উদ্দিনের বক্তব্যের সত্যতা মিলেছে। কোম্পানিভেদে প্রতিটি চার্জার ফ্যানের দাম ১০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে।

গুলিস্তানের সুন্দরবন মার্কেটের পাইকারি ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বিক্রেতা রাজিব খানও দাম বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন।

রোববার দুপুরে রাজিবের ‘খান এন্টারপ্রাইজ’ নামের দোকানে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতার ভিড়। ওই মার্কেটের অন্য সব ইলেক্ট্রনিকসের দোকানেও ক্রেতার ব্যাপক আনাগোনা দেখা গেছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে অনেকেই এসেছেন তার দোকানে। সবার একটাই চাহিদা- চার্জার ফ্যান।

দাম বেড়েছে চার্জার ফ্যানের, বেড়েছে সংকটও

রাজিব খান বলেন, ‘গত ৪-৫ দিন ধরে চার্জার ফ্যানের চাহিদা অনেকটা বেড়ে গেছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়েছে। এগুলো আমদানি করা পণ্য। মার্কেটে সরবরাহে ক্রাইসিস দেখা দিলেই দাম বেড়ে যায়। আমদানিকারকরা যে পণ্য এক মাস ধরে বিক্রি করবেন, চাহিদা বাড়ায় সেই পণ্য ১-২ দিনেই শেষ হয়ে গেছে।

‘আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ানোর কারণে আমাদেরও দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরা বিক্রেতাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। গত ৪-৫ দিনে ফ্যানের সাইজ ও কোয়ালিটি ভেদে ১০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে গেছে।’

মহল্লার দোকানেও একই চিত্র

শনিবার রাত সাড়ে ১০টায়ও মোহাম্মদপুরের নুরজাহান রোডে ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানগুলোতে চার্জার ফ্যান কেনার হিড়িক দেখা যায়।

এখানে চার্জার ফ্যান কিনতে আসা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আমার বাসা মোহাম্মদপুর হাউজিং লিনটেডে। লোডশেডিংয়ের কারণে গরমে দিনে রুমে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কিছুক্ষণ পর পরই কারেন্ট চলে যায়। তাই চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছি। কিন্তু দোকানিরা দাম অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। যে ফ্যান আগে ৫ হাজার টাকায় কিনেছি, সেই ফ্যান এখন সাড়ে ৬ হাজার টাকা চাচ্ছে। দোকানি বলছে- ফ্যানের সাপ্লাই কম অনেক, তাই দাম বেশি।’

নোমানের মতো আরও বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার এই প্রতিবেদকের। তাদের কেউ চার্জার ফ্যান কিনেছেন, কেউবা কিনতে এসেছেন। সবার একটাই কথা, মনের মতো চার্জার ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে না। আর পেলেও দাম অনেক বেশি।

সোলার প্যানেল ও ব্যাটারির দাম বেড়েছে

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে চার্জার ফ্যানের চাহিদা সবচেয়ে বেশি হলেও এই মার্কেটে এসি, আইপিএস, সোলার প্যানেল এবং ব্যাটারির বিক্রি বেড়ে গেছে। প্রভাব পড়েছে দামেও।

এ অবস্থায় ঢাকার বাইরে থেকে আসা ক্রেতাদের এসব পণ্য কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

মার্কেটটির ফারহানা ইলেক্ট্রনিকসের বিক্রেতা রবিউল আলম বলেন, ‘সোলার আইটেমের সঙ্গে এসি/ডিসি লাইটের বিক্রিও খারাপ না। তবে সবচেয়ে বেশি চাহিদা চার্জার ফ্যানের। তবে সরাসরি বিদ্যুৎনির্ভর ফ্যানের চাহিদা নেই।’

কেরানীগঞ্জ থেকে আসা মো. সুমন বলেন, ‘গরম বেড়ে যাওয়ার কারণে সোলার আইটেম ও আইপিএসের চাহিদা বেড়েছে। দোকানের জন্য আজ মাল কিনতে এসে দেখি দাম অনেক বাড়তি।’

সুন্দরবন মার্কেটের দোতলায় ওয়ার্ল্ড পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেদের মালিক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গরমের কারণে আইপিএসের চাহিদা ও দাম দুই-ই বেড়েছে। সোলার প্যানেল ও ব্যাটারির বিক্রি বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে দামও। সোলার প্যানেলে প্রতি ওয়াটে দাম বেড়েছে ১০ টাকা করে। এছাড়া মানভেদে ব্যাটারির দাম বেড়েছে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, ‘ঢাকার বাইরের ব্যবসায়ীরা মাল কিনতে এসে দেখছেন দাম বেশি। তারাও মন খারাপ করছেন। আমাদের তো কিছু করার নেই। আমরা যেমন দামে কিনি তেমন দামে বিক্রি করি। তবে দাম বাড়লেও বিক্রি ভালো।’

দাম বেড়েছে চার্জার ফ্যানের, বেড়েছে সংকটও

বেড়েছে এসির চাহিদাও

নুরজাহান রোডের আরবি ইলেক্ট্রনিক্সের ইনচার্জ মঞ্জুর মোর্সেদ বলেন, ‘গত ৩-৪ দিনে এসির বিক্রি বেড়েছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৩-৪ গুণ বেশি এসি বিক্রি হচ্ছে এখন। তবে সমস্যা হচ্ছে এসির সাপ্লাই কম।’

মোহাম্মদপুরের সপ্তর্শী ইলেক্ট্রনিক্সের মালিক সুমন নন্দী বলেন, ‘রোজার ঈদের সময় গরমে এসি বিক্রি হয়েছিল অনেক। তবে গত কয়েক দিনের গরমেও এসির বিক্রি বেড়েছে, তবে রোজার ঈদের সময়ের চেয়ে একটু কম। এসি, কুলার, চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেশি। আমাদের সাধারণ দোকান। অন্য সময় দিনে ১-২টা এসি বিক্রি হলেও এখন ৫ থেকে ৭টা এসি বিক্রি হচ্ছে।’

এসির টেকনিশিয়ানের অভাব

এসির বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় দোকানিরা পড়েছেন আরেক সংকটে। স্বাভাবিকভাবে দিনে এক থেকে দুটি এসি বিক্রি হয়। সেই চাহিদা মাথায় রেখেই দোকানিরা এসি বাসা বা অফিসে নিয়ে সেট করে দিয়ে আসার জন্য টেকনিশিয়ান রাখেন।

বর্তমানে বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এসি নির্দিষ্ট সময়ে সেট করে দিয়ে আসার মতো টেকনিশিয়ান নেই অধিকাংশ দোকানে। এ অবস্থায় সার্বক্ষণিক ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে হাতেগোনা টেকনিশিয়ানদের। কোনো কোনো ক্রেতার বাসায় গভীর রাতে গিয়ে এসি সেট করে দিচ্ছেন তারা।

এসি কিনতে আসা ঢাকা মেডিক্যালের চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাসায় এয়ার কুলার আছে। কিন্ত এই গরমে তা দিয়ে কাজ হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে এসি কিনতে এসেছি। তবে সমস্যা হলো দোকানিরা বলছেন তাদের টেকনিশিয়ানের অভাব। এসি সেট করে দিতে একদিন দেরি হবে।’

মোহাম্মদপুরের এইচ এ ইলেক্ট্রনিক্সের বিক্রেতা ওহিদুর রহমান বলেন, ‘এসি টেকনিশিয়ানের অভাব। গরমের কারণে হুট করে এসির চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু টেকনিশিয়ান অর্থাৎ এসি বাসায় গিয়ে সেট করে দেয়ার জনবল তো বাড়েনি। তাই তাদের এখন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এসি বিক্রি করেও ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী সার্ভিস দিতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘মার্কেটে এয়ার কুলারের অভাব। সাপ্লাই থাকলে এখন প্রতিদিন অন্তত ২০টা এয়ার কুলার বিক্রি করতে পারতাম। এসিরও সাপ্লাই নেই। কারণ এলসি করতে পারছে না কোম্পানি।’

গরমে বেড়েছে রোগবালাই

একে তো ভয়াবহ গরম, তার ওপর চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। এ অবস্থায় গরমজনিত রোগবালাই বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ফলে ওষুধের দোকানে ভিড় বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা শিশুদের সর্দি-জ্বর, কাশির সিরাপ, ওরস্যালাইন ও গ্লকোজের।

বসিলার রিফাত মেডিক্যাল কেয়ারের মালিক মো. আজাদ বলেন, ‘গত ৪-৫ দিনে এলার্জি ট্যাবলেট, স্যালাইন, ঘামাচি পাউডার, গ্লুকোজ, টেস্টি স্যালাইন, জুস, কোমল পানীয় বিক্রি বেড়েছে। আর শিশুদের সর্দি-জ্বর ও কাশির ওষুধের বিক্রিও অনেকটা বেড়ে গেছে। তবে এসব ওষুধের সাপ্লাইয়ে কোনো ঘাটতি নেই।’

আরও পড়ুন:
গরম সহসাই কমছে না
গরমে নিয়মিত খাবেন যে ৭ খাবার
গরমে সুস্থ থাকতে যা করবেন
গরম একটু বাড়বে, হতে পারে বৃষ্টিও

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Export earnings increased by 529 over the previous month

রপ্তানি আয় আগের মাসের চেয়ে ২২.৫৯% বেড়েছে

রপ্তানি আয় আগের মাসের চেয়ে ২২.৫৯% বেড়েছে
তবে মে মাসে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ কম আয় দেশে এসেছে। এই মাসে ৫১২ কোটি (৫.১২ বিলিয়ন) ডলারের লক্ষ্য ধরা ছিল। গত বছরের মে মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ৩৮৩ কোটি (৩.৮৩ বিলিয়ন) ডলার।

রপ্তানি আয় ফের বাড়ছে। সবশেষ মে মাসে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৪৮৪ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার (৪.৮৫ বিলিয়ন) ডলার দেশে এনেছেন রপ্তানিকারকরা। এই অঙ্ক আগের মাস এপ্রিলের চেয়ে ২২ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। আর গত বছরের মে মাসের চেয়ে বেশি ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ।

তবে মে মাসে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ কম আয় দেশে এসেছে। এই মাসে ৫১২ কোটি (৫.১২ বিলিয়ন) ডলারের লক্ষ্য ধরা ছিল। গত বছরের মে মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ৩৮৩ কোটি (৩.৮৩ বিলিয়ন) ডলার।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রোববার রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, ৩০ জুন শেষ হওয়া বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করে ৫ হাজার ৫২ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার (৫০.৫৩ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকরা। যা গত ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ কম।

রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর ভর করেই এই প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। অন্য সব খাতের চিত্রই হতাশাজনক।

এই ১১ মাসে পোশাক রপ্তানি করে ৪২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছেন পোশাক রপ্তানিকারকরা। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।

এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, জুলাই-মে সময়ে মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ৩৭ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুলাই-মে সময়ে অর্থাৎ বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসেই রপ্তানি আয় গত ২০২১-২২ অর্থবছরের পুরো সময়ের (১২ মাস, জুলাই-জুন) কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। প্রবৃদ্ধির এই ধারা বজায় থাকলে জুন শেষে পণ্য রপ্তানি আয়ে রেকর্ড গড়তে চলেছে বাংলাদেশ। যদিও এর আগের দুই মাসে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি দুশ্চিন্তা তৈরি করেছিল।

টানা দুই মাস (মার্চ-এপ্রিল) পিছিয়ে থাকার পর মে মাসের রপ্তানিতে আবার উল্লম্ফন হয়েছে। মার্চ মাসে ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং এপ্রিলে ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ কমে যায় রপ্তানি। গতি ফিরেছে মে মাসে। প্রায় ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে এই মাসে।

ইপিবি মে মাসের রপ্তানির যে তথ্য প্রকাশ করে তাতে দেখা যায়, এই মাসে ৪৮৪ কোটি ৯৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানির এই পরিমাণ ২০২২ সালের মে মাসের রপ্তানি আয়ের (৩৮৩ কোটি ২ লাখ ডলার) চেয়ে ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।

মে মাস মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫২ কোটি ৭২ লাখ ডলার। এই সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। তার আগের অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৪ হাজার ৭১৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের পণ্য।

২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে রপ্তানি আয় প্রথমবারের মতো ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৩০৪ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু আয় হয় ৫ হাজার ২০৮ বিলিয়ন। সেই রেকর্ডে ভর করে চলতি অর্থবছরে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার।

বড় প্রবৃদ্ধি হলেও মে মাসের রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি। এ মাসে ৫১২ কোটি ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল সরকার। পরিকল্পনার চেয়ে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ পিছিয়ে আছে আয়।

গত নভেম্বর থেকে টানা তিন মাস ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য রপ্তানি করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে ডিসেম্বর মাসে ৫৩৬ কোটি ৫২ লাখ ডলার আয় হয় রপ্তানি থেকে, যা একক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

এরপর জানুয়ারিতে ৫১৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ৪৬৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। মোট অংক ডিসেম্বরের তুলনায় কমলেও ওই দুই মাসে প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল। কিন্তু মার্চ মাসে তাতে ছেদ পড়ে। আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ২.৪৯ শতাংশ কম আয় করে বাংলাদেশ। রপ্তানি হয় ৪৬৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলার।

এপ্রিলের ধাক্কা আরও বড় হয়। এই মাসে ৩৯৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। আগের অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় তা ছিল ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ কম।

আরও পড়ুন:
রেমিট্যান্সে উল্লম্ফন, রপ্তানি আয়ে ধীরগতি
রেমিট্যান্সের পর রপ্তানি আয়েও নিম্নগতি
বাংলাদেশের কচুর লতি-করলা গেল ভারতে

মন্তব্য

p
উপরে