যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ব্যাংকের সাম্প্রতিক পতনের পরিপ্রেক্ষিতে এ খাতে অস্থিরতার মধ্যে সুদহার বাড়িয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ।
স্থানীয় সময় বুধবার ব্যাংকটি তাদের মৌল সুদের হার দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে বলেছে, ব্যাংকিং ব্যবস্থা ‘সুস্থ ও সহিষ্ণু’ রয়েছে।
ফেডারেল রিজার্ভ একই সঙ্গে সতর্ক করে বলেছে, ব্যাংকের পতন আগামী মাসগুলোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার বাড়ানোর মধ্য দিয়ে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল করতে চাইছে, তবে গত বছর থেকে সুদহারের চড়া বৃদ্ধি ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিং ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংকের পতন হয়। সুদহার চড়া হওয়াকে এ পতনের একটি কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, সুদহার বৃদ্ধির ফলে ব্যাংকের কাছে থাকা বন্ডগুলো নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ সুদহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ডগুলোর দাম কমে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোর পতনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়ে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষগুলো বলছে, আর্থিক স্থিতিশীলতার ওপর এর ব্যাপকতর প্রভাব পড়বে না।
এমন পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা থেকে সরে আসা উচিত বলেও মত দিয়েছে নিয়ন্ত্রকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় হেলেনের আঘাতে অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছেন।
ঝড়ে উঁচু ওক গাছ উপড়ে পড়ায় বাড়িঘর ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। উদ্ধারকর্মীরা বন্যার পানি থেকে মানুষকে বাঁচাতে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেছেন।
নিহত লোকজনের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের তিন কর্মীও আছেন।
এক নারী ও তার এক মাস বয়সী যমজ সন্তান এবং ৮৯ বছর বয়সী এক নারীর বাড়ি উপড়ে পড়া গাছের নিচে চাপা পড়েছে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) হিসাব অনুযায়ী, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, সাউথ ক্যারোলিনা ও ভার্জিনিয়ায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
ক্যাটাগরি ৪ মাত্রার হারিকেনটির আঘাতে জর্জিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
গভর্নর ব্রায়ান কেম্প বলেন, কর্তৃপক্ষকে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে এবং রাস্তা সচল করতে চেইনসো ব্যবহার করতে হয়েছিল।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে ফ্লোরিডার গ্রামীণ বিগ বেন্ড এলাকার একটি জনবহুল অঞ্চলে আঘাত হানার সময় বাতাসে ঝড়টির সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল (২২৫ কিলোমিটার)।
এ দুর্যোগে দেড় হাজার কোটি থেকে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের সম্পত্তির ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করছে মুডি’স অ্যানালিটিকস।
ধ্বংসযজ্ঞটি উত্তর-পূর্ব টেনেসি পর্যন্ত কয়েক শ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। এর ফলে ৫৪ জনকে ইউনিকোই কাউন্টি হাসপাতালের ছাদে নেয়ার পর সেখান থেকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং হাসপাতালে আর কাউকে রাখা হয়নি বলে জানিয়েছে ব্যালাড হেলথ।
নর্থ ক্যারোলাইনার ন্যাশ কাউন্টিসহ কয়েকটি এলাকায় টর্নেডো আঘাত হেনেছে, যাতে চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য প্রার্থনা করছেন। ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির প্রধান ওই এলাকায় যাচ্ছেন। সংস্থাটির দেড় হাজারের বেশি কর্মী মোতায়েন করেছে এবং তারা ৪০০ জনকে উদ্ধার করতে সহায়তা করেছেন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সহায়তা করতে ঢাকার সঙ্গে ওয়াশিংটন একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে চুরি হয়ে যাওয়া কোটি কোটি টাকা ফেরত আনার ক্ষেত্রে তারা সহায়তা করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সময় বৃহস্পতিবার একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বৈঠক করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বতর্মানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক সফরে রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভালো অংশীদার হতে চাই। আমরা বাংলাদেশের জন্য দ্রুত কাজ করব।’
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপরিসীম’ শ্রদ্ধা রয়েছে।
দেশের সংকটপূর্ণ সময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করায় ইউনূসের প্রশংসা করেন ব্লিঙ্কেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিয়েছে এবং তিনি বিশ্বব্যাংকের মতো বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সহায়তা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন:জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার করার বিষয় বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি।
বৈঠকের বিষয়ে এক বার্তায় উল্লেখ করা হয়, বৈঠককালে উভয় নেতা দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাকে আরও গভীর করার উপায়গুলো অন্বেষণ করেন এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে চলমান সংস্কার উদ্যোগের জন্য কানাডার সমর্থনের ওপর জোর দেন।
বৈঠকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
জোলি ক্রান্তিকালে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য কানাডার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত এবং মানবাধিকার, টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু অভিযোজনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক ইস্যুতে সহযোগিতা বাড়াতে তার সরকারের আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠকটি বাংলাদেশের এমন এক ক্রান্তিকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে প্রশাসন ও অর্থনৈতিক খাতে উল্লেখযোগ্য সংস্কার চলছে।
এসব সংস্কারের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন নিশ্চিত করতে কানাডার মতো গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যে আরও সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস।
স্থানীয় সয় মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের (ইউএনজিএ) ফাঁকে দুই নেতার সাক্ষাতের পর হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন দুই সরকারের মধ্যে আরও সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বাংলাদেশকে তার নতুন সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ায় অধ্যাপক ড. ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারত যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ৮ আগস্ট অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, শুধু দুজনের মধ্যেই বৈঠকটি হতে যাচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ গত কয়েক দশকে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের কোনো সরকারপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেননি।’
আগামী ২৩ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক সফর করবেন বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিউ ইয়র্ক সফর নিয়ে প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেয়ার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট বাইডেন আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি মোকাবিলা, বৈশ্বিক সমৃদ্ধি এগিয়ে নেয়া এবং মানবাধিকার রক্ষায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে স্থানীয় সময় সোমবার রাতে নিউ ইয়র্কে পোঁছাবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। সেখানে সাইড লাইনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা রয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আবদুল মুহিত এবং ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সিডিএ সালাহউদ্দিন মাহমুদ স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটায় বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে অক্টোবরে দ্বিতীয় বিতর্কে অংশ নিতে ডেমোক্রেটিক প্রার্থীর প্রার্থী কমলা হ্যারিসের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেছেন, এরই মধ্যে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে আগাম নির্বাচন চলছে। তাই দ্বিতীয় বিতর্কের জন্য সময়টা খুব দেরি হয়ে গেছে।
এর আগে কমলা হ্যারিসের প্রচারদলের পক্ষ থেকে বলা হয়, সংবাদমাধ্যম সিএনএনের পক্ষ থেকে ২৩ অক্টোবর একটি বিতর্কে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ তিনি গ্রহণ করেছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়,কমলা হ্যারিসের প্রচার দলের প্রধান জেন ও’ ম্যালি ডিলন এক বিবৃতিতে বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে দ্বিতীয় বিতর্ক দেখার সুযোগ আমেরিকান জনগণের প্রাপ্য।
কমলাও এক্সে পোস্ট করে বলেন, ‘আমি আশা করি (ট্রাম্প) আমার সাথে যোগ দেবেন।’
এমন বাস্তবতায় স্থানীয় সময় শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চলের সুইং স্টেট নর্থ ক্যারোলিনায় নির্বাচনি সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ‘এর (বিতর্ক) একটি ভালো বিনোদন মূল্য রয়েছে, কিন্তু এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। কারণ কিছু রাজ্যে আগাম ভোট শুরু হয়ে গেছে।’
উৎফুল্ল সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, জুনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তিনি যখন বিতর্ক করেছিলেন, সিএনএন তখন ন্যায্য অবস্থানে ছিল। এবার নাও থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) মধ্যে ‘দ্য ডেভেলপমেন্ট অবজেকটিভ গ্র্যান্ট এগ্রিমেন্ট’ নামের চুক্তির ষষ্ঠ সংশোধনী সই হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় রোববার এ সংশোধনীতে সই করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম শাহাবুদ্দিন ও ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর রিড জে এসচলিম্যান।
এর আগে ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ও ইউএসএআইডি নতুন করে ২০২১-২০২৬ মেয়াদে দ্য ডেভেলপমেন্ট অবজেকটিভ গ্র্যান্ট এগ্রিমেন্টে সই করে। এ চুক্তি বাস্তবায়নে ৯৫৪ মিলিয়ন ডলার দেবে ইউএসএআইডি।
পঞ্চম সংশোধনী পর্যন্ত ইউএসএআইডি ৪২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। ষষ্ঠ সংশোধনীর আওতায় সুশাসন, সামাজিক, মানবিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ এবং কঠিন অবস্থা থেকে উত্তরণ খাতে ২০২.২৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে ইউএসএআইডি।
১৯৭২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। ১৯৭৪ সালের ‘ইকোনমিক, টেকনিক্যাল অ্যান্ড রিলেটেড অ্যাসিস্ট্যান্স’ চুক্তির আওতায় গণতন্ত্র ও সুশাসন, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা করেছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র তার বেশির ভাগ উন্নয়ন সহায়তা ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি), যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) এবং আরও কিছু রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে করে থাকে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য