বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনাময় দেশ উজবেকিস্তান। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি পোশাক খাতের কাচামালসহ তুলা আমদানির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জনশক্তি রপ্তানিরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে মধ্য এশিয়ার এই দেশটিতে।
এই সম্ভবনাকে কাজে লাগাতে প্রথমবারের মতো উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে দুই দেশের বেসরকারি পর্যায়ের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান বিজনেস সামিট অ্যান্ড বিটুবি’ আয়োজন করা হয়েছে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা তাদের নিজস্ব তৈরি পণ্য ও সেবা তুলে ধরতে পারবেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জানলিস্ট ফোরামের অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে অবস্থিত উজবেকিস্তানের সম্মানিয় কনস্যুলার ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. তাহের শাহ, বাংলাদেশ ট্রেড সেন্টার (বিটিসি)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জয়নাল আব্দীন, তুর্কি বিডি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ ট্রেড সেন্টার (বিটিসি) সহযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা ৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা এ সামিটের আয়োজন করছে। তাসখন্দের উইনধাম হোটেলে আগামী ২৬ ও ২৭ মে এ সামিট হবে। এ সামিটের মূল উদ্দেশ্য বিশ্বের বিভিন্নদেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো।
সংবাদ সম্মেলনে আরোও জানানো হয়, বাংলাদেশের তৈরি পোষাকসহ ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, বাইসাইকেল, সিরামিক পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, ফার্নিচার, হস্তশিল্প, কাপড়, পর্যটন, আইটি, আইটিএস, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্লাস্টিক, শিক্ষা সেবা, মানব সম্পদ ইত্যাদি পণ্য ও সেবার ভাল বাজার হতে পারে উজবেকিস্তান। এছাড়াও উজবেকিস্তান থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ একইসঙ্গে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য উজবেকিস্তান হতে পারে আদর্শ গন্তব্য। দেশটি বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য মধ্য এশিয়া তথা পূর্ব ইউরোপের প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত হবে।
মো. তাহের শাহ বলেন, উজবেকিস্তানের লোকজন যখন ইউরোপ আমেরিকা থেকে পোশাক পণ্য কেনেন তখন তারা দেখেন ট্যাগ লাগানো থাকে মেইড ইন বাংলাদেশ। তাই তাদের আগ্রহ বাড়ছে। পাশাপাশি ওই দেশের সরকারও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন। মাত্র ২ টাকা ইউনিতে বিদ্যুত, গ্যাস প্রায় ফ্রি, এছাড়া জায়গাও দিচ্ছে। এসব সুবিধা নিচ্ছে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। আমাদের দেশের উদ্যোক্তারাও এর সুযোগ নিতে পারেন। এজন্য আমাদের দুই দেশের যোগাযোগ বাড়ানো জরুরি। এমন সময় এ ধরণের সামিট ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর সহযোগতিা করবে বলে তিনি জানান।
বিটিসির প্রধান নির্বাহী জানান, বর্তমানে উজবেকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি কোনো বিমান যোগাযোগ নেই। অন্যদেশ হয়ে যেতে হয়। এতে করে দুই লাখ টাকার বেশি বিমান ভাড়া লাগে। এ খরচ কমাতে এখন দিল্লি হয়ে যেতে হয়।তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ উন্নতি করতে হলে সরাসরি বিমান ফ্লাইট জরুরি।
২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে মোট ৪ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের পণ্য অন্যদিকে উজবেকিস্তান থেকে ২ কোটি ১৪ লাখ ডলারের সমপরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে। মূলত বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য, পোশাক ও বস্ত্র খাতের পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। আর দেশটি থেকে মূলত সুতা ও বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানি হয়ে থাকে।
এশিয়া মার্কেটিং ডে-২০২৩ এবং আধুনিক মার্কেটিংয়ের জনক ফিলিপ কটলারের ৯২তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে শনিবার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১৭টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে এশিয়ান মার্কেটিং ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশে এই অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করে মার্কেটিং সোসাইটি অফ বাংলাদেশ।
মহতী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম ছিল কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (সিইউবি)।
বাংলাদেশের তরুণদের আরও ক্ষমতায়িত করা এবং স্মার্ট নাগরিকের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্য নিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মূল উপজীব্য ছিল ‘স্মার্ট জাতি ও স্মার্ট নাগরিক সৃষ্টিতে মার্কেটিংয়ের ভূমিকা’।
সেমিনারের লাইভ প্যানেলে প্রধান বক্তা হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন আধুনিক মার্কেটিংয়ের জনক ফিলিপ কটলার। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে মার্কেটিং দুনিয়ার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
সিইউবি অংশে অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র অধ্যাপক প্রফেসর মুহাম্মদ রিদওয়ানুল হক।
লাইভ প্যানেল সেশনের মেম্বার হিসেবে সিইউবি’র পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুল অফ বিজনেসের ডিন ড. জহুরুল আলম ও স্কুল অফ বিজনেসের প্রধান এস এম আরিফুজ্জামান।
সেমিনারে লাইভ প্যানেল সেশনের মেম্বার হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার ইনস্টিটিউট অফ মার্কেটিংয়ের অনারারি সেক্রেটারি হাসলিনা বিন্তি আযলান এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-এর মহাপরিচালক ও চিফ ইনোভেশন অফিসার ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন।
আরও পড়ুন:দেশের অর্থনীতি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে বলে জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২২-২৩: তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ শিরোনামে পর্যালোচনায় সিপিডি বিষয়টি জানিয়েছে।
ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে শনিবার বেলা সোয়া ১১টার পর থেকে পর্যালোচনাটি তুলে ধরেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
বাহ্যিক চ্যালেঞ্জ
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমরা দেখছি যে, আমাদের যে অর্থনীতি বর্তমানে এগোচ্ছে, সেখানে অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ প্রতিভাত হচ্ছে। আমরা কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এখন যে গতিধারাটা আমরা দেখছি, বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ কঠিন কিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। একটি হচ্ছে বাহ্যিক, আরেকটি হচ্ছে অন্তর্নিহিত বা ভেতরের।
‘বাহ্যিক যে কারণগুলো আমরা দেখি, আমরা শুরু করেছিলাম সেই কোভিডের সময় থেকে। ২০২০ সালে যখন কোভিড প্যানডেমিকের (করোনাভাইরাস মহামারি) প্রতিঘাত সেটি এবং সেটা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই আমরা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মুখোমুখি হই ২০২০-এর ফেব্রুয়ারি মাসে এবং এই ফ্যাক্টরগুলো, এই অনুঘটকগুলোর কারণে আমরা দেখছি যে, আন্তর্জাতিক বাজারে যে পণ্যের মূল্য, সেটি অত্যন্ত উচ্চ দিকে, ঊর্ধ্বগতির দিকে গিয়েছিল এবং তার ফলে আমদানি পণ্যমূল্য বেড়ে যায় এবং আমদানি যে মূল্যস্ফীতি, আমদানির মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতি সেটা এবং তা ছাড়া আমাদের সরবরাহ শৃঙ্খলে একটা ব্যাঘাত ঘটেছিল, সেটার কারণে কিন্তু এই মূল্যস্ফীতি, বিশেষ করে এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ আমাদের এখানে দেখা দিচ্ছে।’
অন্তর্নিহিত চ্যালেঞ্জ
ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আর অভ্যন্তরীণ যে কারণগুলো, সেগুলো তো আমরা দেখছি…আমাদের অন্তর্নিহিত যে কাঠামোগত দুর্বলতা, অর্থনীতিতে এবং নীতি নেয়ার ক্ষেত্রে একটা পূর্ণাঙ্গ নীতি না, কিছু কিছু সঠিক নীতিমালার একটা অভাব এবং যে নীতিগুলো নেয়া হয়, সেগুলো বাস্তবায়নেরও দুর্বলতা এবং তা ছাড়া সুশাসনের ঘাটতি এবং আমরা যে সমস্ত সংস্কারের কথা বলছি, সেই সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যর্থতার কারণেও কিন্তু আমরা অনেক সমস্যাগুলো এখন দেখছি, যেগুলো খুব গুরুতরভাবে প্রতিভাত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু ২০২২-এর জুলাই মাস থেকেই এই যে অর্থনীতির যে দুর্বলতাগুলি কোথায় এবং সেখানে প্রেশার পয়েন্টগুলো কোথায় এবং এগুলো যে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটা প্রভাব ফেলবে, সেগুলোর ব্যাপারে কিন্তু ক্রমাগতভাবে বলে এসেছি এবং ২০২৩ অর্থবছরের সামষ্টিক অর্থনীতির যে স্ট্রেসগুলো, অভিঘাতগুলো, সেগুলো যদি আমরা দেখি, সেগুলোর মূল মূল জায়গাগুলো কীভাবে প্রতিভাত হচ্ছে?
‘একটি হচ্ছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সঞ্চালন। সেখানে কিন্তু আহরণ কম এবং যার ফলে আমাদের রাজস্বের ক্ষেত্রে একটা স্বাধীনতা, ফিসকাল স্পেস, সেখানে কিন্তু একটা সংকোচন ঘটছে এবং তার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়াটা বাড়ছে সরকারের। সরকারের যে বাজেট ঘাটতি, সে ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার ব্যাপকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে এবং তা ছাড়া যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে, সেখানে আমরা দেখছি যে তারল্যের একটা নিম্নগতি এবং প্রাইসের কথা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতির কথা, লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি এবং সেটিও আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
বহিঃখাত
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘…আমাদের যে বহিঃখাত, সেই বহিঃখাতের যে ভারসাম্য, সেটার ক্ষেত্রে একটা অধোগতি, নিম্নগতি, এই ভারসাম্যের ক্ষেত্রে এবং তার পাশাপাশি আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে একটা নিম্নগতি দেখা যাচ্ছে এবং এর মধ্যে আমরা দেখছি যে, এই প্রেক্ষিতটার কারণেই, এই স্ট্রেসগুলোর কারণে আমরা দেখছি যে, আমরা এখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ঋণ নিয়েছি, যাতে কিনা আমাদের যে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা, সেটা আমরা ফিরে পাই।’
আরও পড়ুন:দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘উপায়’-এর ঈদুল ফিতর ক্যাম্পেইনের বিজয়ী চট্টগ্রাম অঞ্চলের এজেন্টদের পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মার্ট টিভিসহ বিভিন্ন পুরস্কার বিজয়ী এজেন্টদের হাতে তুলে দেন উপায়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও এটিএম তাহমিদুজ্জামান।
এপ্রিল মাসের শুরু থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত চলা ওই ঈদ ক্যাম্পেইনে দেশব্যাপী ১ হাজার ৭১৩ জন এজেন্ট বিজয়ী হন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপায়ের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার সৈয়দ মো. এনামুল কবির, চিফ বিজনেস অফিসার ইমন কল্যাণ দত্ত।
উপায়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও এটিএম তাহমিদুজ্জামান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের সারথী হিসেবে আমরা আমাদের গ্রাহকদের কম খরচে এবং নিরাপদ মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে জনগণকে আর্থিক অন্তুর্ভুক্তির চেষ্টা করে যাচ্ছি। উপায় গ্রাহকরা ইউসিবিএলের এটিএম ব্যবহার করে হাজারে আট টাকায় এবং এজেন্ট পয়েন্ট থেকে হাজারে ১৪ টাকায় ক্যাশ আউট করতে পারছেন, যা অন্য অনেকের থেকে কম।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপায় গ্রাহকরা সম্পূর্ণ ফ্রিতে যে কোনো পরিমাণ টাকা সেন্ড-মানি করতে পারছে। টেলিটক ছাড়া সব মোবাইল ফোন গ্রাহক *২৬৮# ডায়াল করে অতি সহজেই উপায় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছে।’
২০২১ সালের ১৭ মার্চ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি ‘উপায়’।
বর্তমানে উপায় বিস্তৃত পরিসরে এমএফএস সেবা দিচ্ছে ইউএসএসডি ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে।
উপায়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা সব ধরণের আর্থিক লেনদেন ক্যাশ-ইন, ক্যাশ-আউট, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, মার্চেন্ট ও ই-কমার্স পেমেন্ট, রেমিট্যান্স, বেতন ও সরকারি ভাতা গ্রহণ, মোবাইল রিচার্জ, সেতুর টোল প্রদান, ট্রাফিক ফাইন পেমেন্ট এবং ভারতীয় ভিসা ফি পেমেন্টের মতো সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
আরও পড়ুন:শিল্পখাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বেঙ্গল গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলুকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) ২০২১ সম্মাননা পদক দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
সোমবার ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে তার হাতে এ পদক তুলে দেয়া হয়। এবার ৯টি ক্যাটাগরি বিবেচনা করে ছয়টি ক্যাটাগরিতে ৪৪ জন ব্যক্তিকে এ পদক দেয়া হয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, ‘আজকে যারা পদক পেয়েছেন, তাদের অত্যন্ত সচেতনভাবে সততা নিয়ে নির্বাচিত করা হয়েছে। দেশের উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের বিশাল অবদান রয়েছে।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘আপনারা শিল্পোদ্যোক্তা। শিল্পবান্ধব পরিবেশ আপনারা চান। আমরাও চাই আপনাদের জন্য শিল্পবান্ধব পরিবেশ তৈরি করে দিতে। আজকে যারা পুরস্কার পেলেন, তারা দেশের উন্নয়নে বিশাল অবদান রেখেছেন।’
বেঙ্গল গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলু (সিআইপি) দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি।
তিনি মিডিয়া, পাওয়ার জেনারেশন, হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম, প্লাস্টিক, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ও গার্মেন্টসসহ বেশ কিছু সুপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে তার দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি লস এঞ্জেলস সিটি কলেজ ও ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিবিএ এবং এমবিএ সম্পন্ন করেন।
আরও পড়ুন:তিন জেলায় নতুন তিনটি শাখা চালু করল দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বিক্রয় ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্লাজা।
সম্প্রতি মাদারীপুরের শিবচর, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও কুষ্টিয়ার পোড়াদহে ওয়ালটন প্লাজার শাখাগুলো উদ্বোধন করা হয়।
ওয়ালটন প্লাজার এসব সেলস আউটলেটে সাশ্রয়ী দামে গ্রাহকরা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এলইডি ও স্মার্ট টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন, জেনারেটর, স্মার্টফোন ও ফ্যানসহ বিভিন্ন ধরণের পণ্য কিনতে পারবেন।
এ ছাড়া কিস্তিতে পণ্য কেনার সুযোগসহ ছয় মাস পর্যন্ত শূন্য শতাংশ ইন্টারেস্ট এবং কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষানীতির আওতায় দেয়া বিশেষ সুবিধা পাবেন।
সম্প্রতি পরপর তিনদিন তিন জেলায় ওয়ালটন প্লাজার নতুন তিন শাখার উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) হুমায়ুন কবীর এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিত্রনায়ক আমিন খান।
অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর, কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
শোরুম উদ্বোধন উপলক্ষে র্যাফেল ড্রর মাধ্যমে উপস্থিত দর্শক ১০ জন করে ৩০ জনকে পুরস্কৃত করে ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃপক্ষ।
শিবচরের পাচ্চর বাজারে ওয়ালটন প্লাজার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ওয়ালটন প্লাজার উদ্বোধনে ছিলেন দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদসহ ওয়ালটনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
পোড়াদহ ওয়ালটন প্লাজার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, ওয়ালটন প্লাজার চিফ ডিভিশনাল অফিসার কাজী আরিফ হোসেন, ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার ওবাইদুর রহমান তালুকদার, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার এম এস দ্বীন ইসলাম ও রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার আজিজুর রহমান।
ওয়ালটনের ডিএমডি হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘কিস্তিতে পণ্য কেনাসহ গ্রাহককে সারা বছরই বিভিন্ন ধরণের সুবিধা দিয়ে থাকে ওয়ালটন প্লাজা। ক্রেতা সুবিধা নিশ্চিতে বিশ্বে একমাত্র ওয়ালটন প্লাজার রয়েছে কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি। এর আওতায় কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা।’
তিনি আরও বলেন, ’পাশাপাশি দেশের হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জীবনবীমা, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা কার্ডধারীদের জন্য সর্বোচ্চ সেবা ও মূল্যছাড়সহ বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।’
চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, ‘ওয়ালটন প্লাজা বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টের সবৃবৃহৎ সেলস আউটলেট। বাংলাদেশে তৈরি আন্তর্জাতিকমানের ইলেকট্রনিক্স পণ্য সব মানুষের ঘরে পৌঁছে দিতে দেশব্যাপী নতুন শোরুম চালু করছে ওয়ালটন প্লাজা।’
তিনি আরও বলেন, ’এর মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে যেমন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে তেমনি ক্রেতারা হাতের নাগালেই পাচ্ছেন প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা। চলতি বছর আরও অন্তত ১০০টি নতুন প্লাজা চালুর লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’
আরও পড়ুন:তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ নিয়ে কাতারের সঙ্গে দ্রুত নতুন করে চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ।
দোহায় মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার আবাসস্থল র্যাফেলস টাওয়ারে সাক্ষাৎ করতে এলে কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা কাবিকে বাংলাদেশের এ অবস্থানের বিষয়টি জানানো হয়।
বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাতের সময় ভবিষ্যতে বাংলাদেশে অতিরিক্ত এলএনজি সরবরাহের বিষয়ে নতুন চুক্তি সইয়ের বিষয়টি আলোচনায় আসে।
কাতারের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের জানান, শেখ হাসিনা কাতার থেকে বৃহত্তর পরিমাণে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছেন।
তিনি জানান, কাতার থেকে এলএনজি আমদানির জন্য ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত বিদ্যমান ১৫ বছরের চুক্তিটি ২০৩২ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, তবে ২০২৫ সালের পরে বৃহত্তর পরিমাণে জ্বালানি পেতে নতুন করে চুক্তিতে সই করতে হবে।
আবদুল মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী দরদাম সংক্রান্ত সমস্যা ঠিকঠাক করে অবিলম্বে চুক্তিতে সই করতে বলেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বর্ণনা করে কাতার বলেছে, বাংলাদেশ দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। চুক্তি সইয়ের সময় কাতারের পক্ষে যত দূর সম্ভব সব ধরনের ছাড় দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক
কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে র্যাফেলস টাওয়ারে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল সানি।
ওই বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, কাতার বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, বৈঠকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চান তারা।
আবদুল মোমেন জানান, বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আনার জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ কাতার থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি কিনে। আমরা চাই আপনি জ্বালানি দিয়ে আমাদের সহায়তা করুন।’
জবাবে মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান জানান, তারা বাংলাদেশের জন্য যতটা সম্ভব করবেন।
২০২৩ সালের ফিফা বিশ্বকাপের পর কাতারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা সম্পর্কে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি কর্মীরা তাদের সম্পদ ও বন্ধু। কাতার যতটা সম্ভব দেশটিতে রাখবে তাদের।
আরও পড়ুন:সৌদি আরবে ওষুধ, পানীয় ও রিয়েল এস্টেট শিল্প স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির দুই মন্ত্রী।
কাতারের রাজধানী দোহায় মঙ্গলবার সফররত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ অনুরোধ করেন সৌদির বিনিয়োগবিষয়ক মন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিয়াহ এবং অর্থনীতি ও পরিকল্পনাবিষয়ক মন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম।
বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সৌদি আরব স্থিতিশীল সরকার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভালো রেকর্ড থাকায় বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বড় আকারের বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।
সৌদির দুই মন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
সৌদির এক মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিনিয়োগকারী হিসেবে আমরা খুব কম ইস্যু দেখি। প্রথমত, দেশের স্থিতিশীলতা, ব্যবসায়ীরা স্থিতিশীল কি না, বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ খুবই ভালো এবং সে কারণেই আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল উপস্থিত ছিলেন।
আবদুল মোমেন জানান, সৌদির মন্ত্রীরা ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
তাদের উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের নেতৃত্ব খুবই ভালো, দৃষ্টিভঙ্গি ভালো এবং তাদের প্রতিশ্রুতি খুবই ভালো। দেশে একটি স্থিতিশীল সরকার রয়েছে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খুবই ভালো।’
মন্ত্রী জানান, সৌদির মন্ত্রীরা কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন। তারা পতেঙ্গা বন্দরের জন্য কিছু করতে এবং এর পাশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করতে চান।
সৌদির মন্ত্রীদের উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরব বাংলাদেশকে তার ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কারণ দেশটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অবস্থিত।
‘আমরা যদি এটিকে আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলি, তাহলে আমরা ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং আরও অনেক দেশ কভার করতে পারব।’
দুই মন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশে পেট্রোকেমিক্যাল, ডিজেল, জেট ফুয়েল, সার এবং প্রধান বিতরণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি শিপিং লাইন করতে চান।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এরই মধ্যে অনুমতি দিয়েছেন এবং অবিলম্বে এগুলো চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ সহজ করতে কোনো বাধা থাকলে তা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
সৌদি আরবও পারস্পরিক সুবিধার জন্য কৃষির মতো বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে চায়।
হজ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার সময় উভয় মন্ত্রী সৌদি আরবে আবাসন ও হাসপাতাল নির্মাণে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেন।
সৌদি আরবের মন্ত্রীদ্বয় প্রধানমন্ত্রীকে দুই দেশের জনগণের সুবিধার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ওষুধ, পানীয় এবং রিয়েল এস্টেট শিল্প স্থাপনের অনুরোধ জানান।
সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী ও অর্থনীতিমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির ভিশন-২০৩০-এর লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
তারা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ বস্ত্র ও তৈরি পোশাকের দিক দিয়ে বিশ্বের রাজধানী হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য