ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরীসহ জয় পেয়েছেন আওয়ামীপন্থি গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের ২৫ প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ রোববার এ ফল ঘোষণা করেন।
এই নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৪, ১১ ও ১৪ মার্চ ঢাকার বাইরের কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ হয়।
গত ১৮ মার্চ ঢাকায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। গণনা শেষে ১৯ মার্চ ফল ঘোষণা করা হয়।
ফেসবুকে মেয়ের নামে ভুয়া আইডি খুলে প্রতারণার মাধ্যমে ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) এক ছাত্রসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির সামনের সড়ক থেকে ওই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।
ওই ছাত্রের নাম সুজন সরকার। ২৩ বছর বয়সী সুজন হাবিপ্রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র।
অপর যুবক ৩০ বছর বয়সী ভগদীশ চন্দ্র রায় দিনাজপুর সদর উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হাবিপ্রবির ছাত্র সুজন সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘মোছা. জান্নাতুল নাহিমা (অচেনা পথিক)’ নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলেন।
ওই আইডি ব্যবহার করে নবাবগঞ্জ উপজেলার পারহরিণা গ্রামের ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বন্ধুত্ব করেন।
সুজন ফেসবুকে চ্যাটিং ও কলে মেয়েলি কন্ঠে কথা বলতেন। এক পর্যায়ে কৃষি প্রজেক্টে বিনিয়োগের কথা বলে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে ফরিদুলের কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
এরপর ৩ মে মামলা করেন রফিকুল ইসলাম।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, গ্রেপ্তারের সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সিমসহ একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফরিদুলের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন সুজন।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। পরীক্ষায় পাসের হার ৩২ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ফল প্রকাশ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২২ ও ২৩ মে একাধিক শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি বছর ‘ডি’ ইউনিটে এবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন ৩৯ হাজার ৭৭০ জন। পাস করেছেন ১৩ হাজার ৫৭ জন। আর ন্যূনতম ৪০ নম্বর না পেয়ে ফেল করেছেন ২৬ হাজার ৭১৩ জন শিক্ষার্থী।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ‘ডি’ ইউনিট ভর্তি কমিটির কো-অর্ডিনেটর ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘আমরা আজ (শনিবার) ফল প্রকাশ করেছি। মোট ৩৯ হাজার ৭৭০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৩ হাজার ৫৭ জন। পরীক্ষায় পাসের হার ৩২ দশমিক ৮৩ শতাংশ।’
চবির ‘ডি’ ইউনিটে বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান/গণিত/অর্থনীতি ও মানসিক দক্ষতার ওপর ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা হয়। জিপিএ’র ওপর আরও ২০ নম্বর হিসাব করে মোট ১২০ নম্বরের ওপর ফল তৈরি করা হয়।
প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা হয় দশমিক ২৫ নম্বর। পরীক্ষায় কোনো লিখিত অংশ ছিল না। দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কাটা হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে সোমবার। তিন দিনের এ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি ও পরীক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেয়া হয়।
অভিভাবকদের বসার স্থান
পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ১১টি ওয়াটারপ্রুফ টেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রতিটি টেন্টে অভিভাবকদের বসার জন্য ২০০টি করে চেয়ার থাকবে।
এ ছাড়া শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পরীক্ষাকক্ষের চারপাশে যাওয়ার চেষ্টা না করে এসব টেন্ট ও টিএসএসসিতে অপেক্ষা করতে পারবেন অভিভাবকেরা।
হেল্প ডেস্ক
বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেস্তারগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ১১টি হেল্পডেস্কের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগিতা দেবে।
এসব হেল্পডেস্কে খাবার পানির ব্যবস্থাও থাকবে।
পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্র খুঁজে পেতে, জরুরি সহায়তা, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং যে কোনো তথ্য জানতে এসব ডেস্কে এসে সহায়তা নিতে পারবেন।
ক্যাম্পাসের বন্ধ ও উন্মুক্ত সড়ক
ভর্তি পরীক্ষা সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রাবি প্রশাসন।
এসবের মধ্যে আছে সকাল ৮টার পর ক্যাম্পাসে কোনো ধরণের ভারী যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না।
ব্যক্তিগত গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহন কাজলা ও বিনোদপুর গেট দিয়ে প্রবেশ করে মেইন গেট দিয়ে বেরিয়ে যাবে।
কৃষি ও চারুকলা অনুষদে যাওয়ার ক্ষেত্রে মন্নুজান হল, বেগম খালেদা জিয়া হল, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন, তুঁত বাগান সংলগ্ন রাস্তাটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
তবে শারীরিক প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা সব রাস্তা ব্যবহার করতে পারবেন।
এ ছাড়া চারুকলা ও কৃষি অনুষদে যাবার জন্য শহর থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের অক্ট্রয়মোড় থেকে ওভারব্রিজ সংলগ্ন রাস্তা ও ভদ্রা গেট এবং কাটাখালীর দিক থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের ফল গবেষণা ও বিশ্ববিদ্যালয় ফায়ার সার্ভিসের পাশের রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়।
সকাল ৮টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনমুখী সংযোগ সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল এবং অটোরিকশাসহ কোনো ধরণের যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না।
পরীক্ষা সংক্রান্ত ও চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি এ নির্দেশের আওতামুক্ত থাকবে।
২৯ থেকে ৩১ মে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য সাবাস বাংলাদেশ মাঠ ব্যবহার করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়া আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবাসিক এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে শুধু কাজলা গেট ব্যবহার করবেন এবং বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্যারিস রোড হয়ে মেইন গেট এবং রোকেয়া হলের পেছনের রাস্তা (ফ্লাইওভার সংলগ্ন) ব্যবহার করতে পারবেন।
ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে ভর্তি-পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
শৌচাগার, মেডিকেল ও অন্যান্য
পরীক্ষা উপলক্ষে ৩টি মেডিকেল টিম, ৬টি অ্যাম্বুলেন্স, ১২ স্থানে শৌচাগার, ১১টি ওয়াটারপ্রুফ টেন্ট, ১১টি হেল্প ডেস্ক রাখা হয়েছে।
ভর্তি-পরীক্ষা চলাকালে রাবি চিকিৎসাকেন্দ্র পরিচালিত একটি মেডিকেল টিম কাজ করবে।
সার্বক্ষণিকভাবে চারটি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। এ ছাড়া কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন পরিচালিত দুই সদস্যের একটি মেডিকেল টিম এবং দুটি অ্যাম্বুলেন্স চিকিৎসা সহায়তা দেবে।
প্রতারক থেকে সাবধান
উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অসদুপায় অবলম্বন একটি আলোচিত বিষয়।’
‘এ বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে থাকি। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায় যে, কখনও কখনও অসাধুচক্র ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী কিংবা তাদের অভিভাবকের কাছ থেকে ভর্তির সুযোগ করে দেয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ নেয়। এজন্য তারা কখনও কখনও শিক্ষার্থীদের সনদ ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় কাগজপত্র জমাও রাখে এবং রেজাল্ট তালিকায় নাম দেখেই অর্থ দাবি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে সেসব ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী নিজ যোগ্যতায় ভর্তির সুযোগ পেয়েও প্রতারণার শিকার হয়। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এমন প্রতারণার খপ্পরে না পড়ার জন্য সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
ভর্তি-পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সব ধরণের প্রচারণামূলক লিফলেট বিতরণ নিষিদ্ধ থাকবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
ভবিষ্যতে চার বিভাগীয় শহরেও হবে পরীক্ষা
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি কমাতে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের চারটি বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানান উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার।
তিনি বলেন, ‘সারা দেশের চারটি বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের কথা আমরা ভাবছি। আমরা পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিল, ডিনস কমিটি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’
আরও পড়ুন:চাঁদা না পেয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকে অপহরণের অভিযোগে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার শেষে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তারা হলেন-জনি হাসান ও এস এম শফিক।
ঢাকা কলেজের উত্তর ছাত্রাবাস (নর্থ হল) থেকে শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগের ওই দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করে রাজধানীর নিউ মার্কেট থানা পুলিশ। শনিবার তাদেরকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন জানালে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল গনি সাবু বলেন, ‘একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তাকে অপহরণের মামলায় ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে পাঠালে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।’
এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অয়ন সিগমাইন্ড নামের সিসি ক্যামেরা স্থাপনের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসেবে কাজ করেন ভুক্তভোগী মো. মেহেদী হাসান। অভিযুক্তরা ঢাকা কলেজের ছাত্র পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করেন। বেশ কিছুদিন থেকে ভুক্তভোগী মেহেদীর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন তারা৷ কিন্তু তা না দেয়ায় গত ২৫ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা ব্রিজ এলাকা থেকে তারা প্রতিষ্ঠানটির লাগানো সিসি ক্যামেরাসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি খুলে নিয়ে যান।
রাতে সিয়াম ও রমজান মেহেদীকে ফোন করে বিষয়টি জানান এবং খুলে নিয়ে আসা ক্যামেরা ফেরত পেতে হলে তাদেরকে ঢাকা কলেজে যেতে বলেন। পরে তৌকির নামে এক কর্মচারীকে ঢাকা কলেজে পাঠান মেহেদী। এ সময় তৌকিরকে জিম্মি করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অভিযুক্তরা। এমনকি টাকা না পেলে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়৷
পরে ভুক্তভেগী মেহেদী ঢাকা কলেজের উত্তর ছাত্রাবাসে এলে তাকেও জিম্মি করা হয়। মেহেদী ও তৌকিরকে হলে আটকে রেখে নির্যাতন করেন তারা। এ সময় তাদের কাছে থাকা টাকা ও এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেন আসামিরা৷
রাতে মারধর করে তৌকিরকে ছেড়ে দিলেও মেহেদীকে রাতভর নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের কারণে মেহেদী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে নিউ মার্কেটের গাউছিয়া মোড়ে ফেলে রেখে যান তারা। খবর পেয়ে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেহেদী জনি হাসান ও এস এম শফিকসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই দুইজন ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গোলাপ হোসেন, মোহেরাব হোসেন সিয়াম, অর্ণব, রমজান, গোপাল, রাব্বী তালুকদার, বেল্লাল হোসেন, তারিফ, সালমান, রায়হান, মাসুম, ফাহিম ও শাহীন৷
আরও পড়ুন:গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা হয়।
শনিবার দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে।
এদিকে যানজটে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা জানান, বরাবরের মতোই আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার জন্য কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করেন। এবার ‘সি’ ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আবেদন করেছেন ১৫ হাজার ৯২১ জন শিক্ষার্থী। যা মোট ভর্তি পরীক্ষার্থীর প্রায় ৪০ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১২ হাজার ৮৪৩ জন এবং একটি উপকেন্দ্র উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজে ৩ হাজার ৭৮ জনে আসন বিন্যাস করা হয়।
যানজটে ভোগান্তি
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের চারপাশে বাস-ট্রাক-লেগুনা, রিকশার কারণে যানজটের ফলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌঁছাতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পাশের সড়কগুলোতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অবস্থান করায় স্বাভাবিক যান চলাচল বিঘ্ন হয়।
এতে সাধারণ যাত্রীরাও ভোগান্তির শিকার হন।
এদিকে দয়াগঞ্জ নতুন রাস্তার মোড়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেললাইনের কাজ চলমান থাকায় এক লেনেই সব ধরণের যানবাহন চলাচল করছে।
এতে যাত্রাবাড়ী ও এর আশপাশের এলাকা এবং ঢাকার বাইরে থেকে আসা যেসব শিক্ষার্থী ওই রুটে প্রবেশ করেছেন, তাদের দীর্ঘ যানজটে আটকা থাকতে হয়।
কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, আমাদের সন্তানরা যানজটের কারণে পরীক্ষার হলে ঢুকতে পারছে না। বাস-রিকশাসহ অনান্য যানবাহন একেবারে ফটকের কাছে থামায় নাজেহাল অবস্থা। প্রচণ্ড গরম, ভিড়, যানজটে হাঁসফাঁস অবস্থা।
পরীক্ষার্থী আসফিক মৃধা বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর চার ঘণ্টা আগে মোহাম্মদপুর থেকে রওনা দিয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পৌঁছে এই গরমে পরীক্ষা দিতে আর মনোবল থাকে না।’
এ বছর ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ৩৯ হাজার ৮৬৪ জন আবেদন করেন। আসন আছে ৩ হাজার ৩৩২টি। প্রতি আসনের বিপরীতে ১২ জন শিক্ষার্থী লড়েন।
৩ জুন বিজ্ঞান বিভাগের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার সকল তথ্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ১২ শিক্ষার্থী।
এ বছর ইউনিটটিতে ৩৯ হাজার ৮৬৪ জন আবেদন করেন। আসন রয়েছে ৩ হাজার ৩৩২টি।
ইউনিটটির পরীক্ষা শনিবার হবে। ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে ১টা পর্যন্ত চলবে।
শুক্রবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে জানান, ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে চারটি কেন্দ্রের একটি করে উপকেন্দ্র রয়েছে।
এগুলো হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি আরও জানান, সকাল ৯টা থেকেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। তবে নির্ধারিত কক্ষ খোলা হবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে।
কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।
পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘ইতিমধ্যেই সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা জানান, আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার জন্য কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করেছেন। এবার ‘সি’ ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আবেদন করেছেন ১৫ হাজার ৯২১ জন।
এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিবেন ১২ হাজার ৮৪৩ জন। একটি উপকেন্দ্র উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৩ হাজার ৭৮ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘নিরাপত্তা রক্ষার্থে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য কেন্দ্রে থাকবে। পাশাপাশি বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার ইউনিটের ৬৫ জন সদস্য শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবেন।’
আরও পড়ুন:রাজধানী ঢাকায় পথচারীদের নির্বিঘ্নে হাঁটাচলার সুবিধা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যানজটপূর্ণ ঢাকা শহরে সড়কগুলোতে পর্যাপ্ত সুবিধার অভাব পথচারীদের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে।
সাম্প্রতিতকালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের একটি বড় অংশ শিক্ষার্থী। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী দেশে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৬ হাজার ২৮৪ জনেরর মধ্যে ৮০৩ জনই শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই হেঁটে যাতায়াত করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকায় যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারিত না থাকা, অপর্যাপ্ত গতিরোধক, জেব্রাক্রসিং ও হেঁটে চলাচলের উপযোগী ফুটপাত না থাকাই এসব দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।
শুক্রবার সেন্টার ফর ল’ অ্যান্ড পলিসি অ্যাফেয়ার্সের (সিএলপি) উদ্যোগে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অব এনজিও’স ফর রোড সেফটি-এর সহযোগিতায় ঢাকার মোহাম্মদপুরের বেঙ্গল মিডিয়াম হাই স্কুল ও আজিজ খান রোডে অবস্থিত ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের সড়কে পথচারীদের নিরাপদে চলাচলের বিষয়ে একটি সচেতনতামূলক কার্যক্রমে বক্তার এ কথা বলেন।
ওই কার্যক্রমে দুই স্কুলের প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে সিএলপিএ-এর প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজার আমিনুল ইসলাম বকুল পথচারী নিরাপত্তা খসড়া প্রবিধানমালা, ২০২১ দ্রুত বাস্তাবায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বেঙ্গল মিডিয়াম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র দাস বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদে হেঁটে স্কুলে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হলো স্কুলের আশেপাশে ফুটপাতগুলোতে ময়লা আবর্জনা ও বিভিন্নভাবে দখল হয়ে যাওয়া।
‘স্কুলের আশেপাশে জেব্রা ক্রসিং, স্পিড ব্রেকার না থাকায় তারা ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে স্কুলে যাতায়াত করছে। তাছাড়া রাস্তায় প্রাইভেট গাড়ি পার্কিং করা ও প্রাইভেট গাড়ির আধিক্যের কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় নিজেদের নিরাপদ মনে করে না।’
সড়কে পথচারীদের নিরাপদ করতে হলে অবশ্যই এ বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি নিজেদেরও সচেতন হতে আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম এ মান্নান মনির বলেন, ‘ফুটপাতগুলোতে দোকনের সরঞ্জামাদি রাখার কারণে ছাত্র-শিক্ষক ও অবিভাবকরা নির্বিঘ্নে হাঁটাচলা করতে পারছেন না। তাছাড়া ফুটপাতগুলো মেইন রাস্তা থেকে তুলনামুলক উঁচু হওয়ায় বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও সাধারণ মানুষের চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়েছে।
‘স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিবর্গ যদি স্থানীয়ভাবে এসব সমস্যার বিষয়ে এগিয়ে আসেন, তবে এর সমাধান হবে। এক্ষেত্রে কমিউনিটির চাহিদা অনুযায়ী সমস্যার সমাধানে তারা নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ইতিবাচক ফল পাওয়া সম্ভব।’
তাছাড়া ট্রাফিক সিগন্যালও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলেন জানান তিনি।
শিক্ষার্থীরা জানায়, নিরাপদে সড়কে হেঁটে চলাচলের ক্ষেত্রে তারা প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সড়কে পর্যাপ্ত জেব্রা ক্রসিং ও স্পিড ব্রেকার না থাকা তারা নিজেদের অনিরাপদ মনে করে।
রাস্তায় যে ফুটপাত রয়েছে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হেঁটে চলাচলের অনুপযোগী। অনেক ফুটপাতে ভাঙ্গাচোরা জিনিস, ময়লা-আবর্জনা ও প্রাইভেট গাড়ি পার্কিং এবং বিভিন্ন দোকান-পাটের কারনে দখল হয়ে যাওয়ায় তারা হাঁটতে সাচ্ছন্ন বোধ করে না।
অনেক রাস্তায় ট্রাফিক থাকে না। ফুটপাতের পাশাপাশি রাস্তাও ময়লা আবর্জনায় নোংরা হয়ে থাকে। নিরাপদে হেঁটে স্কুলে আসতে তারা এ সকল বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে।
সিএলপিএ-এর পলিসি অ্যানালিস্ট আসরার হাবিব নিপু বলেন, ‘সড়কে প্রায় ৯৫ শতাংশ পথচারী। সড়ক দূর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সড়ক ব্যবস্থাপনার সংশ্লিষ্ট প্রসাশন ও সড়ক ব্যাবহারকারী দুই পক্ষকেই দ্বায়িত্ব নিতে হবে। সড়কে চলাচলে যে আইন রয়েছে, সবাইকে সে অনুযায়ী নিয়ম মেনে রাস্তা ব্যবহার করতে হবে।’
সিএলপিএ-এর পলিসি অ্যানালিস্ট কামরুন্নিছা মুন্না বলেন, ‘রাস্তায় হেঁটে চলাচলে অবকাঠামোগত সুবিধাগুলো যেমন নিশ্চিত করা প্রয়োজন, পাশাপাশি রাস্তায় যারা হেঁটে চলাচল করেন, তাদেরও সচেতন হতে হবে। রাস্তায় চলাচলে আমাদের অবশ্যই রাস্তার বাম পাশ দিয়ে হেঁটে চলাচল করতে হবে এবং জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করতে হবে।’
সচেতনতামূলক কার্যক্রমের বক্তরা প্রসাশনের কাছে রাস্তায় ফুটপাতে গাড়ি পার্কিং, ময়লা আবর্জনা ও দোকানপাট দ্বারা দখলমুক্ত রাখতে অভিযান, ফুটপাত উঁচু না রাখা, রাস্তায় পর্যাপ্ত জেব্রা ক্রসিং ও স্পিড ব্রেকারের ব্যাবস্থা করার সুপারিশ করেন।
পাশাপাশি সকলকে সড়কে নিয়ম মেনে চলাচলের আহবান জানান।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য