ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (হাব)।
রাজধানীর একটি হোটেলে বুধবার এই মতবিনিময় সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুল আউয়াল হাওলাদার, মো. মতিউল ইসলাম, যুগ্ম সচিব (পরিচালক হজ) মো. সাইফুল ইসলাম এবং হাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী ও মহাসচিব ফারুক আহমদ সরদার।
স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান। এ সময় ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস এবং ডেভেলপমেন্ট উইং প্রধান মো. মাকসুদুর রাহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. ফরিদুল হক খান বলেন, ইসলামী ব্যাংক প্রতিবছর হজ ক্যাম্পে হাজিদের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করে সাধারণ মানুষের হজের সংকল্প পূরণে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি অনেক সামাজিক দায়িত্ব পালন করছে। হজিদের সুষ্ঠুভাবে হজ পরিপালনে এজিন্স মালিকদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে এবং বিদেশের মাটিতে দেশের ভাব মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্য মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ইসলামী ব্যাংক দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ব্যাংকের হজ কার্ড ব্যবহার করে হাজিরা ও হজ এজেন্সিগুলো সব লেনদেন এবং নগদ উত্তোলন করতে পারবেন।
তিনি বলেন, হাজিদের সুবিধার জন্য, হাবের সদস্যদের জন্য ব্যাংকের বিশেষ সেবা চালু রয়েছে। সবাইকে ইসলামী ব্যাংকের হজ্জ অ্যাকাউন্ট সুবিধা নিতে তিনি আহ্বান জানান।
আয়কর রেফারেন্স মামলা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রপক্ষের সঙ্গে আইনি লড়াই চলছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৫ কোটি টাকা কর দাবি করা মামলা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ইউনূস সেন্টার।
শুক্রবার সকালে ফেসবুক পোস্টে সংস্থাটি জানায়, ড. ইউনূসের টাকা নিয়ে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে যে আলাপ চলছে, তার পুরোটাই প্রফেসর ইউনূসের উপার্জিত টাকা। এই টাকা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে কর বিভাগ অবহিত আছে। কারণ সব টাকার হিসাব তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ থাকে।
টাকার উৎস
ড. ইউনূসের অর্থ উপার্জনের উৎসের বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ড. ইউনূসের আয়ের প্রধান উৎস তার বক্তৃতার ওপর প্রাপ্ত ফি, বই বিক্রি ও পুরস্কারের টাকা। আয়ের প্রায় সম্পূর্ণ অর্থই বিদেশে অর্জিত ও বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আনা।
ট্রাস্ট গঠন
ড. মুহাম্মদ ইউনূস জীবনে কোনো সম্পদের মালিক হতে চাননি বলে জানায় সেন্টার। পোস্টে সংস্থাটি বলে, এত টাকা দিয়ে কী করবেন, সেটি ভাবছিলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী।
ইউনূস সেন্টারের ভাষ্য, ড. ইউনূস মালিকানামুক্ত থাকতে চান। কোথাও তার মালিকানায় কোনো সম্পদ (বাড়ি, গাড়ি, জমি, শেয়ার ইত্যাদি) নেই। সে কারণেই তিনি নিজের উপার্জনের টাকা দিয়ে ‘প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট’ ও ‘ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট’ নামে দুটি ট্রাস্ট গঠন করেন।
সংস্থাটি জানায়, উত্তরসূরিদের কল্যাণে মোট টাকার ৬ শতাংশ দিয়ে ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট গঠন করেন ড. ইউনূস। শুধু তাই নয়, তার পরবর্তী প্রজন্ম ছাড়া ফ্যামিলি ট্রাস্টের সম্পদ পরিবারের আর কোনো সদস্য বা পরবর্তী প্রজন্মগুলো ভোগ করতে পারবে না বলেও বিধান রাখেন তিনি। ফ্যামিলি ট্রাস্টের মূল দলিলে তিনি বিধান রাখেন, তার পরবর্তী এক প্রজন্ম পরে এই ট্রাস্টের অবশিষ্ট টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল ট্রাস্টে অর্থাৎ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্টে ফিরে যাবে।
ট্রাস্টের লক্ষ্য বাস্তবায়নে তার অবর্তমানে টাকাগুলো যাতে ট্রাস্টিদের তত্ত্বাবধানে নিরাপদে থাকে, সে কারণেই এমন বিধান বলে জানায় সংস্থাটি।
দানকর প্রসঙ্গে
ওই পোস্টে ইউনূস সেন্টার জানিয়েছে, নিজের টাকা নিজের কাছে রেখে দিলে ড. ইউনূসকে তুলনামূলক কম ট্যাক্স দিতে হতো। কারণ ব্যক্তিগত করের হার প্রতিষ্ঠানিক করের হারের চেয়ে কম।
এতে আরও বলা হয়, দানকরের প্রসঙ্গটি প্রথম তোলেন তার আইনজীবী। তিনি বলেন, ট্রাস্ট গঠন করলে তাকে দানকর দিতে হবে না। কারণ বড় ট্রাস্টটি জনকল্যাণের জন্য প্রতিষ্ঠিত। ফ্যামিলি ট্রাস্টের ব্যাপারে তিনি পরামর্শ দেন, এ ক্ষেত্রে (ড. ইউনূসের অবর্তমানে তার সম্পদের কী হবে, সে চিন্তায় যদি তিনি কোনো ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন) তাকে কোনো কর দিতে হবে না। কারণ এটা হবে তার অর্জিত টাকার একটি সুব্যবস্থা করে যাওয়া।
ইউনূস সেন্টারের ভাষ্য, আইনজীবীর পরামর্শেই টাকা ট্রাস্টে স্থানান্তর করার সময় ড. ইউনূস কোনো কর দেননি, কিন্তু আয়কর রিটার্ন জমার পর কর বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তাকে জানান, এ ক্ষেত্রে তাকে কর দিতে হবে। রিটার্নের যেখানে তিনি দানের তথ্যটি উল্লেখ করেছিলেন, সংশ্লিষ্ট কর কর্মকর্তা তার ওপর দানকর ধার্য করে দিলেন।
টাকার অঙ্কটা তিনি ‘রিটার্নস’-এ উল্লেখ করায় কর কর্মকর্তা তা দেখে কর আরোপ করেন।
আদালতের শরণাপন্ন
ইউনূস সেন্টারের ভাষ্য, আইনজীবীর পরামর্শের সঙ্গে কর বিভাগের কর্মকর্তার কথার মিল না থাকায় ড. ইউনূস এ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত চাইলে আদালত কর দেয়ার পক্ষে মত দেয়। এখানে তার কর ফাঁকি দেয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। কর দিতে হবে কি না, এ ব্যাপারে তিনিই আদালতের সিদ্ধান্ত জানতে চান। আদালতে সরকার পক্ষ নয়, অধ্যাপক ইউনূস গিয়েছেন।
ইউনূস সেন্টার জানায়, কর বিভাগ কোনো পর্যায়ে বলেনি যে, প্রফেসর ইউনূস কর ফাঁকি দিয়েছেন। এখানে কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। প্রশ্ন ছিল আইনের প্রয়োগযোগ্যতা নিয়ে। আদালতের সিদ্ধান্তের পর এখন অধ্যাপক ইউনূস বিবেচনা করবেন, তিনি কর পরিশোধ করবেন নাকি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত চাইবেন।
করের আইন যদি এ ক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য না হয়, তাহলে দাবিকৃত ওই টাকা তিনি জনহিতকর কাজে ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন।
ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য নয়, জনকল্যাণে টাকাটা খরচ করাই তার মূল উদ্দেশ্য বলে জানায় ইউনূস সেন্টার।
বিদেশ ভ্রমণ প্রসঙ্গে
ড. ইউনূস বিদেশ ভ্রমণে বিপুল অর্থ ব্যয় করেন বলে যে অভিযোগে উঠেছে, তা মোটেও সত্য নয় বলে দাবি করেছে ইউনূস সেন্টার।
সংস্থাটি জানায়, তার বিদেশ ভ্রমণের সব ব্যয় আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে। শুধু তাই নয়, প্রতিবার ভ্রমণের সময় সফরসঙ্গী হিসেবে একজন অতিরিক্ত ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার খরচও আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে থাকে।
ইউনূস সেন্টার জানায়, নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদের বিদেশ ভ্রমণ-সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যয় তার কোনো ট্রাস্টকে বা তাকে বহন করতে হয় না। এমনকি মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাইভেট বিমানও পাঠিয়ে দেয়া হয়।
আয়কর রেফারেন্স মামলা
আয়কর রেফারেন্স নিয়ে করা তিনটি মামলার শুনানি শেষে ৩১ মে এনবিআরের নোটিশের বৈধতা নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চ্যালেঞ্জ খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তাকে এনবিআরের দাবি করা ১৫ কোটি টাকা দানকর পরিশোধ করতে নির্দেশ দেয় আদালত।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় এনবিআর। একইভাবে ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা দানকর দাবি করে আরেকটি নোটিশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয়া হয়। দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন ড. ইউনূস। তার দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এই কর দাবি করতে পারে না।
এই মামলার শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালে খারিজ করে রায় দেয় কর আপিল ট্রাইব্যুনাল। এরপর হাইকোর্টে আলাদা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন ড. ইউনূস।
হাইকোর্ট তার মামলার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার রায় দেয় উচ্চ আদালত।
নিয়ম অনুযায়ী করের ১০ শতাংশ হারে ৩ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৮ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি ১২ কোটি টাকা ড. ইউনূসকে পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন:মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির (এমআইএসটি) শিক্ষার্থীরা সব ধরনের ফি মোবাইলে আর্থিক সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ‘উপায়’-এর মাধ্যমে দিতে পারবেন।
উপায়-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার জিয়াউর রহমান এবং এমআইএসটির জিএসও-১ (আইসিটি) লেফট্যানেন্ট কর্নেল সাঈদ হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই করেন।
চুক্তির মাধ্যমে এমআইএসটির প্রায় তিন হাজার ছাত্র-ছাত্রী মাসিক টিউশন ফিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ফি দিতে পারবেন। উপায় অ্যাপ অথবা ইউএসএসডি কোড *২৬৮# ডায়াল করে ফি পরিশোধ করা যাবে।
এমআইএসটির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মু. অহিদুল ইসলাম, এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি এবং উপায়-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এটিএম তাহমিদুজ্জামান চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমআইএসটির পরিচালক (গবেষণা ও উন্নয়ন) ব্রিগেডিয়ার মো. তৌহিদুল ইসলাম, পরিচালক (আইসিটি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহিদ হোসেন, কর্নেল স্টাফ কর্নেল মুহাম্মাদ রোমিও নওরীণ খান, পিএসসি এবং উপায়-এর পক্ষে হেড অব গভার্নমেন্ট সেল্স হাসান মো. জাহিদ ও সহকারী ব্যবস্থাপক মো. হান্নান খান।
২০২১ সালের ১৭ মার্চ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি ‘উপায়’।
বর্তমানে উপায় বিস্তৃত পরিসরে এমএফএস সেবা প্রদান করছে ইউএসএসডি এবং মোবাইল অ্যাপ উভয়ের মাধ্যমে।
উপায় এর মাধ্যমে গ্রাহকরা সব ধরনের আর্থিক লেনদেন ক্যাশ-ইন, ক্যাশ-আউট, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, মার্চেন্ট ও ই-কমার্স পেমেন্ট, রেমিট্যান্স, বেতন ও সরকারি ভাতা গ্রহণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি, মোবাইল রিচার্জ ছাড়াও সেতুর টোল প্রদান, ট্রাফিক ফাইন পেমেন্ট এবং ভারতীয় ভিসা ফি পেমেন্টের মতো সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
আরও পড়ুন:বগুড়ার কালিতলায় বেঙ্গল এক্সক্লুসিভ শপের ১১৫তম শো-রুম উদ্বোধন করা হয়েছে।
বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস্ লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার আমির দাউদ, ডিজিএম (মার্কেটিং) জোহেব আহমেদ, ডিজিএম (ফার্নিচার) হারুন অর রশিদ, ডিজিএম (হাউসওয়্যার্) ফজলে রাব্বী শপটির উদ্বোধন করেন।
প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল প্লাস্টিকসে্র উৎপাদিত আন্তর্জাতিক মানের নিত্যব্যবহার্য প্লাস্টিক গৃহসামগ্রী ও প্লাস্টিক ফার্নিচার দেশের সব স্তরের মানুষের দোরগোড়ায় সুলভ মূল্যে পৌঁছে দিতে শো-রুমটি চালু করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সমন্বয় করেন মার্কেটিং বিভাগের খায়রুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি, স্থানীয় পরিবেশক রাশেদুল ইসলাম ও বগুড়া শহরের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন কর আইন, ২০২৩ এই সপ্তাহে সংসদে উপস্থাপন করা হবে বলে আশা করা যায়। আইনটি অত্যন্ত সরল বাংলায় লেখা হয়েছে এবং আয়ের সব উৎসকে অধ্যায়ভিত্তিক একীভূত করা হয়েছে। এটি একজন ব্যবহারকারীকে একটি উৎস থেকে সমস্ত প্রাসঙ্গিক আয় এবং সেই অধ্যায় থেকে বিয়োজন খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে।
গাণিতিক সূত্রের ব্যবহার সবার জন্য কর নির্ধারণ সহজ করে দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বেতন থেকে আয় নির্ধারণ সহজ হবে। প্রতিটি অধ্যায়ের শেষে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে, যা খুব সহজভাবে অর্থ বুঝতে সাহায্য করবে। গ্রসিং-আপ কনসেপ্ট যে কাউকে বুঝতে সাহায্য করবে যে কীভাবে কোনো লেনদেন নেট ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করা হয় এবং ভিত্তিমূল্য গণনা করতে হয়।
আমরা যখন রিভিউ কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করেছি, তখন আমাদের উদ্দেশ্য ছিল নতুন আইনকে সহজতর করা, বাংলাদেশে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে কর কর্তৃপক্ষের অযৌক্তিক ক্ষমতা হ্রাস, ব্যবসায়ের খরচ কমানো এবং আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম অনুশীলনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা। ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডসের (আইএফআরএস) সঙ্গে দ্বন্দ্বটি পর্যাপ্তভাবে কমানো হয়েছে, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়জনিত লাভ/ক্ষতির প্রয়োগ, ধারণাগত পরিসম্পদের অনিষ্টজনিত ক্ষতি, সম্পদ ব্যবহারের অধিকারের প্রয়োগ, বিনিয়োগ সম্পত্তি পুনর্মূল্যায়নে লাভ ইত্যাদি।
ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডে (ডব্লিউপিপিএফ) অবদান এখন গ্রহণযোগ্য ব্যয়ের তালিকায় রয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু ব্যবসায়িক ব্যয়ের সীমা বাড়ানো হয়েছে, অ্যামোর্টাইজেশন সময়সূচিতে এমন ব্যয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা মূলধনের প্রকৃতির কারণে অনুমোদিত নয়।
মোটরযানের ব্যয়ের সীমা ৩০ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। কিছু অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছ সত্তা যথা: এসপিভির আয় করমুক্ত করা হয়েছে এমন সত্তার বিকাশের জন্য। উইথহোল্ডিং ট্যাক্স রিটার্নের সংখ্যা ২৯ থেকে কমিয়ে ১২টি করা হয়েছে।
বেশির ভাগ রিটার্ন সর্বজনীন স্বনির্ধারণ ভিত্তিতে জমার বিধান করা হয়েছে। সুতরাং খুব কম করদাতাকে নিরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে যদি না ফাইলটি নিরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়। অডিট প্রক্রিয়াও স্বচ্ছ করা হয়েছে। ডিজিটালাইজেশনের জন্য আলাদা অধ্যায় চালু করা হয়েছে, তবে বাস্তবায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যথাযথ বাজেটসহ একটি বিস্তৃত আইটি কৌশল বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত আমরা এর সুফল পেতে সক্ষম হব না।
পার্টনারশিপ ফার্ম, অ্যাসোসিয়েশন অব পারসনস, ২ কোটি টাকার বেশি টার্নওভারের একটি ফান্ডকে নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী জমা, ইটিআইএনের নিবন্ধন বাতিল এবং আরও ছয়টি সেবা বাধ্যতামূলকভাবে রিটার্ন জমার (পিএসআর) আওতায় আনা প্রকৃতপক্ষেই করের জাল তৈরি/বৃদ্ধি করবে।
আইনটি আন্তর্জাতিক সেরা অনুশীলনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। শেয়ারভিত্তিক পেমেন্ট, ডিমার্জার-সম্পর্কিত বিধান, থিন ক্যাপিটালাইজেশন এবং জেনারেল অ্যান্টি অ্যাভয়ডেন্স রুল (জিএএআর) চালু করা হয়েছে। তদুপরি, রিফান্ড প্রক্রিয়াটি আরও সহজ করা হয়েছে যা দেশে ব্যবসা করার সহজতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলবে এবং করদাতাদের তহবিল ফেরতকে ত্বরান্বিত করবে। এটি কেবল ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ের জন্য তারল্য বৃদ্ধি করবে না; বরং এটি কর ব্যবস্থার ওপর সামগ্রিক বিশ্বাসও বাড়াবে। এই বৈশিষ্ট্যগুলোর অন্তর্ভুক্তির ফলে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও ন্যায্যতার ওপর আইনের দৃষ্টিকে জোরদার করবে। করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহ দেবে।
এ পরিবর্তনগুলো, বিশেষত জিএএআর প্রবর্তন এবং থিন ক্যাপিটালাইজেশন রোধের পদক্ষেপগুলো কর ফাঁকি এবং কর এড়ানো প্রতিরোধের বৈশ্বিক প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে। ফলস্বরূপ আইনটি এখন ট্যাক্সের জন্য আরও বিস্তৃত, ন্যায্য এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি ও সামঞ্জস্যপূর্ণ কাঠামো সরবরাহ করবে।
অন্যদিকে টিডিএস হার কমানোর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, বরং এটি কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। এটি কোম্পানির ব্যয় বাড়িয়ে তুলবে। আমরা টিডিএস হারকে যৌক্তিক করার প্রস্তাব করেছি। কারণ এখন ডিজিটাল ভেরিফিকেশন সিস্টেমের (ডিভিএস) মাধ্যমে মুনাফা/বিক্রয় অনুপাত শনাক্ত করা সহজ। আবার এটিও সত্যিই যে, টিডিএসের ওপর সরকারের বিশাল নির্ভরতা রয়েছে। তাই এই কথা মাথায় রেখে টিডিএসে আমূল পরিবর্তন আশা করা যায় না।
বড় করপোরেট সংস্থাগুলো এখন নিজেরাই উৎপাদন করতে বাধ্য হয়। কারণ উচ্চ হারের টিডিএসের কারণে এসএমই থেকে সোর্সিংয়ের ব্যয় বেড়ে যায়। ন্যূনতম করের বিধানের ক্ষেত্রে, কার্বনেটেড পানীয়র ওপর ন্যূনতম কর ৮৩০ শতাংশ বৃদ্ধি সত্যিই বিস্ময়কর। এর জন্য এই শিল্পকে ন্যূনতম করের দায় নিষ্পত্তি করার জন্য তহবিল ধার করতে হবে।
প্রস্তাবিত আইনটিতে লোকসানে থাকা কোনো সংস্থার অন্যান্য আয়ের সঙ্গে তাদের ব্যবসায়িক ক্ষতি সমন্বয়ের বিধান নাই, যা লোকসান নির্ধারণের সাধারণ নীতি থেকে সরে যায়। বিলম্বিত রিটার্ন জমা একজন করদাতার জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে, যা একজন করদাতাকে নিরুৎসাহিত করতে পারে।
সরকারি সিকিউরিটিজ বিনিয়োগের ওপর হঠাৎ করে সীমা আরোপের বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ কোনো ব্যক্তির যোগ্য সিকিউরিটিজগুলোতে বিনিয়োগের জন্য সীমিত বিকল্প রয়েছে। শেয়ারে বিনিয়োগকে যেমন ছিল, তেমনই রাখার জন্য ধন্যবাদ, তবে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের সীমা প্রবর্তন করা উচিত নয়। কারণ আমরা আরও করপোরেট বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে অংশগ্রহণ দেখতে চাই।
আমরা এখনও নিশ্চিত নই যে নতুন কর আইনের বিধিগুলো কখন চালু করা হবে এবং কর আইনের ইংরেজি সংস্করণ কখন প্রকাশ হবে, যা আমাদের বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) অংশীদারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আমি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমার মতামত শেয়ার করছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই ধরনের প্রগতিশীল কর আইন অবশ্যই বাংলাদেশকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে, যদি উল্লিখিত প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করা যায়।
লেখক: পরিচালক, এসএমএসি অ্যাডভাইজারি সার্ভিসেস লিমিটেড
বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ফ্রিজ উৎপাদকের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন উন্মোচন করলো জায়ান্টটেক সিরিজের এআইওটি বেজড স্মার্ট নতুন তিন মডেলের রেফ্রিজারেটর। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম উৎপাদনকৃত ফোর-ডোর রেফ্রিজারেটর ও বিশ্বের প্রথম ৮ ইন ১ কনভার্টিবল সাইড বাই সাইড ডোর ফ্রিজ।
ওয়ালটনের জায়ান্টটেক সিরিজের এসব ফ্রিজের মধ্য দিয়ে হাই-টেক রেফ্রিজারেটর উৎপাদন ও বিপণনে নতুন যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। এতে সৃষ্টি হয়েছে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও সক্ষমতার অনন্য নজির।
ওয়ালটনের জায়ান্টটেক সিরিজের মধ্যে রয়েছে ৬৬০ লিটারের জিটি প্রো ম্যাক্স, ৬৪৬ লিটারের জিটি প্রো এবং ৬১৯ লিটারের জিটি মডেলের রেফ্রিজারেটর।
গ্রাহকেরা স্মার্টফোনে ওয়ালটন স্মার্ট অ্যাপ্লায়েন্সের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে এসব ফ্রিজ পরিচালনা করার পাশাপাশি অনলাইন শপিং ও ইউটিউবে কুকিং রেসিপি ব্রাউজ করতে পারবেন।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সর্বাধিক ফিচারসমৃদ্ধ ওয়ালটনের এসব ফ্রিজ বাড়িয়ে দেবে ঘরের আভিজাত্য।
নতুন এসব মডেলের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার কমপার্টমেন্টের জন্য রয়েছে টারবো ও ইকো ফিচারসমৃদ্ধ ডুয়ো কুলিং সেটিংস। এসব ফ্রিজের এমএসও (ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন) ইনভার্টার টেকনোলজি বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচে ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ কুলিং পারফরমেন্স নিশ্চিত করবে।
বিশ্বের সর্বোচ্চ কনভার্টিবল মুড-সমৃদ্ধ ওয়ালটনের জায়ান্টটেক রেফ্রিজারেটরের ফ্রিজ ও ফ্রিজার কম্পার্টমেন্টের কুলিং পারফরমেন্স গ্রাহক তার পছন্দমত সেট করতে পারবেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম। এসব ফ্রিজ নিশ্চিত করবে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত স্বাস্থ্যকর ফ্রেস খাবার।
ওয়ালটনের ফোর-ডোর জিটি প্রো ম্যাক্স ও সাইড বাই সাইড ডোর জিটি প্রো মডেলের বিশেষ ফিচারের মধ্যে রয়েছে ওয়াটার ডিসপেন্সার। এছাড়া জিটি প্রো ম্যাক্স মডেলে ২১.৫ ইঞ্চি ও জিটি মডেলে ১৫.৬ ইঞ্চির মাল্টিমিডিয়া এলসিডি ডিসপ্লে। এতে ইউটিউব ব্রাউজিং, অনলাইন গ্রোসারি শপিং, অফলাইন ভিডিও ও অডিও, কাউন্টডাউন ক্লক, অনলাইন রেসিপি, ক্লক, ক্যালেন্ডার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, সেলফি ক্যামেরা, ওয়েদার আপডেট ইত্যাদি ফিচার রয়েছে।
এছাড়া সাইড বাই সাইড জিটি প্রো মডেলে রয়েছে ডিজিটাল ডিসপ্লে। জিটি সিরিজের তিনটি মডেলেই স্মার্ট কন্ট্রোল ফিচার থাকায় উপরের দরজায় হাতের স্পর্শের মাধ্যমেই ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ জন্য ফ্রিজের দরজা খোলার প্রয়োজন পড়ে না। ফলে সর্বোচ্চ কুলিং পারফরম্যান্সের সঙ্গে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
বুধবার রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে জায়ান্টটেক সিরিজের নতুন মডেলের ফ্রিজের উদ্বোধন উপলক্ষে জমকালো এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ওয়ালটন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্বের সর্বাধুনিক ফ্রিজের উন্মোচন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও গোলাম মুর্শেদ ও ওয়ালটনের স্পোর্টস অ্যাম্বাসেডর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অল-রাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর শোয়েব হোসেন নোবেল, ওয়ালটন প্লাজা’র চিফ এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, এমদাদুল হক সরকার, মো. হুমায়ুন কবীর ও মো. ইউসুফ আলী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, আমিন খান, দিদারুল আলম খান (চিফ মার্কেটিং অফিসার), তোফায়েল আহমেদ (ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার), মো. ফিরোজ আলম, আজমল ফেরদৌস (হেড অব রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার), আনিসুর রহমান মল্লিক, মো. শাহজাদা সেলিম (ইনচার্জ পিআর, মিডিয়া অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং) প্রমুখ।
দ্য গ্র্যান্ড লঞ্চিং প্রোগ্রাম সঞ্চালনা করেন দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ওয়ালটন জায়ান্টটেক সিরিজের রেফ্রিজারেটগুলোর বিশেষ ফিচারের মধ্যে রয়েছে আয়োনাইজার, ওজোনাইজার ও ইউভি ফিচারসমৃদ্ধ ইন্টেলিজেন্ট জার্ম টার্মিনেটর (আইজিটি), ইলোকট্রনিক কন্ট্রোল ফিচার, ডোর ওপেনিং অ্যালার্ম, চাইল্ড লক, থ্রি লেয়ার ওডোর গার্ড, হিউম্যান ডিটেক্টর, ফিঙ্গার প্রিন্ট রেসিস্ট্যান্ট মেটাল ডোর, ইন্টার্নাল অটোমেটিক আইস মেকার, সিরামিক কোডেট প্রিমিয়াম গ্লাস এবং এলিগ্যান্ট কার্ভড ডিজাইন মেটাল ডোর ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘জায়ান্টটেক সিরিজের ফ্রিজের মডেল ডেভলমেন্টের জন্য ইউরোপ, আমেরিকা, কোরিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের বহুদেশের ফ্রিজ এক্সপার্টসদের নিয়ে কাজ করেছি। বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরএন্ডআই) সেন্টার ও প্রকৌশলী টিম গঠনে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে ওয়ালটন।
‘ওয়ালটনের শক্তিশালী আরঅ্যান্ডআই এর দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীগণসহ প্রোডাকশন, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টসহ সব বিভাগের সদস্যরা গত পাঁচ বছর ধরে জায়ান্টটেক সিরিজ ফ্রিজের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। এরই প্রতিফলন হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ফোর-ডোর ফ্রিজ উৎপাদনকারী দেশের মর্যাদা লাভ করলো বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বিশ্বের প্রথম ৮রহ১ কনভার্টিবল সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর উৎপাদন ও বাজারজাতকারী দেশে বাংলাদেশের আবির্ভাব হলো।’
এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ফ্রিজ উৎপাদনকারী দেশে বাংলাদেশের রপান্তর ঘটলো। ওয়ালটনের এ ধরনের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
ওয়ালটন ফ্রিজের সিবিও তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘জায়ান্টটেক সিরিজের রেফ্রিজারেটরে ব্যবহৃত হয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার। বিশ্বের সকল আধুনিক দেশগুলোর বেঞ্চমার্ক উপযোগী করে রেফ্রিজারেটরগুলো তৈরি করা হয়েছে। এসব ফ্রিজে গ্রাহকরা স্মার্ট সব প্রযুক্তি ও ফিচার পাবেন।’
ওয়ালটনের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার ইয়ুন মগ ইয়াং জানান, জায়ান্টটেক সিরিজের ফ্রিজে ব্যবহৃত হয়েছে থ্রি ডি এমএসও ইনভার্টার টেকনোলজি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বেজড এই প্রযুক্তি এনভায়রনমেন্ট টেম্পেরেচারের থ্রিডি ডাটা সংগ্রহের পাশাপাশি দরজা খোলা অবস্থায় ও ফ্রিজ কম্পার্টমেন্টের সঠিক টেম্পেরেচার অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্রিজের তাপমাত্রা সেট করে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ খরচে সর্বোচ্চ কুলিং পারফরমেন্স নিশ্চিত করবে।
এছাড়া, বিশ্বের সর্বোচ্চ কনভার্টিবল মুডসমৃদ্ধ ওয়ালটনের জায়ান্টটেক রেফ্রিজারেটরের ফ্রিজ ও ফ্রিজার কম্পার্টমেন্টের কুলিং পারফরমেন্স গ্রাহক তার পছন্দমত সেট করতে পারবেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম।
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর ডিজাইন অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ইতসুরো সুজুকি জানান, নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে আলোকরশ্মির মাধ্যমে ওয়ালটন ফ্রিজে সংরক্ষিত ফলমূল ও শাক-সবজি প্রকৃতির মতো সজীব রাখে। ফলে ওয়ালটন ফ্রিজে সংরক্ষিত ফল ও সবজির ভিটামিন, মিনারেলসহ অন্যান্য খাদ্যগুণ ও পুষ্টি অক্ষুণ্ণ থাকে। এসব ফ্রিজের ইউভি-সি টেকনোলজি বায়ুবাহিত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে ফ্রিজে রাখা খাবারকে সুরক্ষিত রাখে।
ইন্টেলিজেন্ট জার্ম টার্মিনেটর টেকনোলজি বায়ুবাহিত জীবাণু ধ্বংস করে। থ্রি-লেয়ার ওডোর সেফ গার্ড অনাকাক্ষিত গন্ধ দূর করে খাবারের স্বাদ রাখে অটুট। স্মার্ট কন্ট্রোল ফিচার থাকায় উপরের দরজায় হাতের স্পর্শের মাধ্যমেই ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এরজন্য ফ্রিজের দরজা খোলার প্রয়োজন পড়ে না।
চলতি মাসেই বাজারে আসবে ৬১৯ লিটার থেকে ৬৬০ লিটার ধারণক্ষমতার ওয়ালটনের জিটি সিরিজের রেফ্রিজারেটরগুলো। এই মডেলগুলোর দাম পড়বে ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে।
ওয়ালটনের এসব ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি এবং ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবার সুবিধা পাবেন ক্রেতারা।
এছাড়া রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত দেশব্যাপী বিস্তৃত ৭৯টি সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা।
আরও পড়ুন:বাজেটে পরিসংখ্যান নিয়ে খেলা হয়েছে বলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কোনো পরিসংখ্যানের বিষয় নয়, এটি রাজনৈতিক অভিলাষের বহিঃপ্রকাশ। এ বছর যে প্রবৃদ্ধি হার দেয়া হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, তা শুধু নির্বাচন উপলক্ষে উদ্দীপনা তৈরির জন্য দেয়া হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে সিপিডি আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ অসুবিধাগ্রস্ত মানুষেরা যা পেল’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘নির্বাচনের বছর উপলক্ষে যে জনতুষ্টিমূলক বাজেট দেয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। নির্বাচনী বাজেট বলা হলেও এটি নির্বাচনী বাজেট নয়। এখানে পরিসংখ্যান নিয়ে খেলা হয়েছে। ছলনা বললাম না। ভর্তুকি, কর রেয়াত- সব একসঙ্গে করে ফেলা হয়েছে, যাতে অঙ্কটা বড় দেখায়।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বাজেটে আমরা গৎবাঁধা সমালোচনা করি। কিন্তু আপনি একই রোগের জন্য ডাক্তারকে তো ভিন্ন ওষুধ দিতে বলতে পারবেন না। আমাদের সমস্যা তো একই।
‘২০০৬ সালে বাজেট প্রক্রিয়ায় ১০০টি দেশের মধ্যে আমরা ৩৮তম ছিলাম। আর এখন যদি দেখেন, দেখবেন আমরা ৯৫ নম্বরে চলে এসেছি। এই র্যাংকিং নির্ধারণ করা হয় বাজেট প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে। অর্থাৎ সঠিক সময়ে বাজেটের অর্থ পাওয়া গেল কি না, দলিল আছে কি না, জনগণের অংশগ্রহণ আছে কি না ইত্যাদি।’
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘যারা দাবি করেন, রাজনৈতিক কল্পকথা হিসেবে, আমরা যে বাজেট দিই, তা আমরা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করি, তথ্য-উপাত্ত তা সমর্থন করে না। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও বড় ফারাক থেকে যাচ্ছে। যেটুকু আমাদের উন্নতি হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে, তাও তুলনীয় দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে নিতান্তই কম।’
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কমছে, কিন্তু বৈষম্য বাড়ছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ আগামী দিনে এগিয়ে যেতে চায় কি না, এতে আমাদের প্রবৃদ্ধি টেকসই হবে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে।
‘২০২২ সালে সম্পদ নিয়ে যে জরিপ হয়েছে, তাতে বৈষম্যের ফল কিন্তু এখনো পাওয়া যায়নি। গ্রাম থেকে খাদ্য, নিরাপত্তা, উন্নয়নের জন্য মানুষ শহরে আসছে। এটি কি টেকসই উন্নয়ন হবে কি না, সেই প্রশ্ন আমাদের থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কর আহরণের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ হলো পরোক্ষ কর। এখানে নিম্নবিত্তরা যা কর দেয়, উচ্চবিত্তরাও একই হারে কর দেয়। তাহলে প্রত্যক্ষ কর কি বাড়ল? একই রকম ভ্যাটের ক্ষেত্রেও। বাংলাদেশে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ভ্যাট দিচ্ছে। এটি কোনোভাবেই আপনি আয়করের তুলনায় কমাতে পারলেন না। এটিকে মৌলিক বৈষম্যের একটি বড় অংশ হিসেবে দেখছি।
‘এখনো উন্নয়ন কাজের ৪০ শতাংশ বিদেশি সাহায্যে হয়। একদিকে বলা হচ্ছে, বিদেশি সাহায্য দরকার নেই, অন্যদিকে আমরা দেখি অনেক উচ্চমূল্যে বৈদেশিক ঋণ নিচ্ছি।’
সিপিডির এই ফেলো বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ে বিবিএস একধরনের কথা বলছে, অর্থ মন্ত্রণালয় দিচ্ছে আরেক পরিসংখ্যান। তাহলে কি ডান হাত-বাম হাত একসঙ্গে কাজ করছে না? এ রকম হলে কিন্তু বাজার বেত্তমিজি করবে। রপ্তানির ক্ষেত্রে গত বছর ২০ শতাংশ আপনি প্রাক্কলন করলেন, অথচ বাস্তবায়ন হলো ৭ দশমিক ১ শতাংশ। এ বছর আবার আপনি ১২ শতাংশ দিলেন। ডলার রেট আপনি প্রাক্কলন করছেন ১০৪ টাকা। অথচ এখনই বাজারে এটি ১০৮ টাকা হয়ে গেছে।’
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘অন্য সব মন্ত্রণালয়ের মতো জ্বালানি ও জলবায়ু নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দের সঙ্গে বাস্তবায়নের ফারাক থেকে যায়। আমরা বাজেট বিশ্লেষণের সময় বলেছি, বাজেট এমন এক সময়ে দেয়া হয়েছে, যখন আমরা আইএমএফের ঋণের আওতায় রয়েছি। সেই শর্ত অনুযায়ী, ১১টি খাতে সংস্কার করতে হবে। এর মধ্যে জলবায়ু খাতে সংস্কারের একটি শর্তও রয়েছে। কিন্তু, বাজেটে আমরা সেটির প্রতিফলন দেখতে পাইনি।’
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের যে সম্পদ আছে, সেটি বণ্টনে নায্যতা নিশ্চিত করা জরুরি। একটি কথা খেয়াল রাখতে হবে, এনবিআর কত টাকা আয় করতে পারল তা নিয়ে কথা বলি। একইভাবে কত টাকা সাশ্রয় করা যায়, তাও গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। আমাদের ১ হাজার ২৫০টির মতো প্রকল্প আছে, যার মধ্যে ৮৭৮টি ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করতে হবে। এর অধিকাংশই আগের প্রকল্প। এই যে ক্যারিওভার প্রকল্প, এগুলোর কারণেই সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে। কেবল বাজেট প্রণয়ন নয়, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও অনেক বৈসাদৃশ্য রয়ে গেছে। এগুলো এখন প্রতীয়মান হচ্ছে।’
ব্র্যাক শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রোগ্রাম হেড সমীর রঞ্জন নাথ বলেন, ‘শিক্ষার বাজেট বলতে আমরা যেটা বুঝি, তার মধ্যে এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যোগ করে একটি বড় অঙ্ক দেখানো হয়েছে। এর আগে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বাজেট যখন শিক্ষার ক্ষেত্রে জুড়ে দেয়া হয়, তা কিন্তু একটা বড় অঙ্কে দাঁড়িয়েছিল। ২২-২৩ অর্থবছরে ১০০ টাকার মধ্যে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমিয়ে বলা হচ্ছে, যা পরে দেখা যাবে।’
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে স্বাস্থ খাত নিয়ে ড. দিবালোক সিংহ ও সামাজিক সুরক্ষা খাত নিয়ে সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. তৌফিকুল হক আলোচনা করেন। এসময় ব্যক্তি খাতে বাজেটের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি ড. আসিফ ইব্রাহিম।
আরও পড়ুন:আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম। বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হবে ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকায়। ১০ দিনের ব্যবধানে ভরিতে এই মানের স্বর্ণের দাম বাড়ল ১ হাজার ৭৫০ টাকা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বুধবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর এই ঘোষণা দিয়েছে। অন্যান্য মানের স্বর্ণের দামও একই হারে বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়, নতুন এই দর কার্যকর হবে বৃহস্পতিবার থেকে।
দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের দামে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে টানা বাড়তে বাড়তে চলতি বছরের ১৮ মার্চ প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম উঠেছিল ৯৮ হাজার ৭৯৪ টাকায়। পরে অবশ্য দাম কিছুটা কমে ৯৭ হাজার থেকে ৯৮ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক ভূঁইয়া লিটন বলেন, বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হবে ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৯৫৪ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৮০ হাজার ৫৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম হবে ৬৭ হাজার ১২৬ টাকা।
এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম।
ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম (ভরি) ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১৪০০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১০৫০ টাকা।
সর্বশেষ ২৮ মে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৭৪৯ টাকা কমানো হয়েছিল। তা কার্যকর হয় ২৯ মে থেকে। ওই দাম অনুযায়ী বুধবার পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হয়েছৈ ৯৬ হাজার ৬৯৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ৩২১ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৭৯ হাজার ১৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকায় বিক্রি হয়ে আসছিল।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য