টানা পতনের পর দুই কর্মদিবসে উত্থান তো বটেই, শত কোটি টাকার বেশি লেনদেন বৃদ্ধিতে কিছুটা স্বস্তি মিলছে পুঁজিবাজারে। দরপতনের সংখ্যা কমে দর বৃদ্ধির কাছাকাছি চলে এসেছে। ফ্লোর প্রাইসে লেনদেনের সংখ্যা বেড়েছে মাত্র একটি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বৃহস্পতিবার। এদিন হাতবদল হয়েছে ৬৮৭ কোটি ১২ লাখ ২২ হাজার টাকার শেয়ার, যা আগের দিনের চেয়ে ১০৬ কোটি ৪৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৮০ কোটি ৬৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
২০২০ সালে করোনা মহামারির পর গত ডিসেম্বরে লেনদেন নেমে আসে ২ শ’ থেকে ৩ শ’ কোটির ঘরে। ৪ জানুয়ারি বাজার-সংশ্লিষ্টদের ডেকে বৈঠক করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বাজার ভালো করতে সব পক্ষকে নামতে বলার পর লেনদেন বাড়তে থাকে। ১৮ জানুয়ারি হাজার কোটি ছুঁই ছুঁই লেনদেন হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণায় বাজার ছোটে উল্টো পথে। পরের ১১ কর্মদিবসের ৯ দিনই লেনদেন হয় ৫ শ’ থেকে ৬ শ’ কোটির ঘরে।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবারের চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ২৫ জানুয়ারি। ওইদিন হাতবদল হয়েছিল ৭৩৪ কোটি ৬০ লাখ ৯ হাজার টাকা।
আগের দিন সূচক ও লেনদেন বাড়লেও দর বৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছিল ৩ গুণের বেশি। বৃহস্পতিবার দর বৃদ্ধির তুলনায় দরপতন বেশি ছিল ১২টি। তবে অপরিবর্তিত দরে লেনদেনের সংখ্যা বেশি ছিল, যার সবই ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করছে।
লেনদেন হয়নি ৫৬টি কোম্পানির। এর মধ্যে একটির লেনদেন বন্ধ ছিল রেকর্ড ডেট সংক্রান্ত কারণে। লেনদেন হওয়া ৩৩৫টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭৯টির। বিপরীতে দরপতন হয়েছে ৯১টির। এ ছাড়া আগের দিনের চেয়ে ১টি বেড়ে অপরিবর্তিত দরে বা ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হয়েছে ১৬৫টির।
সপ্তাহের প্রথম তিন কর্মদিবসে যতটুকু সূচক পড়েছিল, দুই দিনে তার কাছাকাছি ফিরে এসেছে। রবি, সোম ও মঙ্গলবার মিলিয়ে ২৯ পয়েন্ট সূচক পতনের পর দুই দিনে বাড়ল ২৭ পয়েন্ট। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ১৭ পয়েন্ট বেড়ে সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৯৪ পয়েন্টে, যা ২৬ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ। অর্থাৎ গত সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসের চেয়ে সূচক এখনও ২ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে।
লেনদেনের বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইস থেকে কোম্পানিগুলো বের হয়ে আসছে। তাছাড়া বাজারের সব কটি ইনডিকেটরই ভালো যাচ্ছে। আশা করছি, বাজার আরও ভালো হবে।’
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে মঙ্গলবার নামমাত্র লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, এদিন ৩৪৯ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বেশি। আর এই সামান্য লেনদেন বৃদ্ধিতেও আগের দিনের সূচকের সঙ্গে যোগ হয়েছে ১৮ দশমিক ৭২ পয়েন্ট। বর্তমানে ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ২২২ পয়েন্টে।
জানা গেছে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ২২০ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৫ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২৪টির।
অপর শেয়ারবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৮২ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৫৭টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১২টির এবং ৯৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে ১২ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো তাদের খেলাপি ঋণের হিসাব ঠিকমতো দেখাচ্ছে না। খেলাপি ঋণ হিসাবের আন্তর্জাতিক আইন মানা হলে ব্যাংকগুলোর সম্পদ আরও কম হতো। কিন্তু ব্যাংকগুলো সেই আইন না মেনে নিজেদের সম্পদ বাস্তবের চেয়ে বেশি দেখাচ্ছে।
ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) চেয়ারম্যান মো. হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা সোমবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
পুঁজিবাজারভিত্তিক সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিট্যাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) দেশের পুঁজিবাজার নিয়ে ‘সিএমজেএফ টক’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে।
হামিদ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশে আইএফআরএস মেনে হিসাব রাখার কথা। কিন্তু দেশের ব্যাংক খাতে আইএফআরএস ৯-এর নিয়ম মানা হচ্ছে না। বাংলাদেশে আইএফআরএস-এর সব আইন মানলে ব্যাংকের সম্পদ ৪০ শতাংশ অবলোপন করতে হবে বা কমে যাবে।
‘আইএফআরএস হচ্ছে হিসাব রক্ষণের আন্তর্জাতিক নিয়ম। এই নিয়মগুলো বিশ্বের সব দেশের কোম্পানি মেনে চলে, যাতে আর্থিক প্রতিবেদনগুলো স্বচ্ছ হয়।
‘আইএফআরএস-এর ৯ নম্বর আইনটিতে বলা আছে- কিভাবে একটি কোম্পানি তাদের আর্থিক দায় ও আর্থিক সম্পদের হিসাব রাখবে। ব্যাংক যে ঋণগুলো দেয় সেগুলো তাদের হিসাব বইয়ে আর্থিক সম্পদ হিসেবে থাকে। আন্তর্জাতিক মান ব্যবহার করলে এই ঋণ বা আর্থিক সম্পদ অনেক কম দেখাতে হতো।’
এফআরসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক প্রতিবেদনে জালিয়াতি ঠেকাতে ২০১৫ সালে গড়ে তোলা হয় ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি)। এখন যদি কোনো হিসাব নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আর্থিক প্রতিবেদনে জালিয়াতি করতে সাহায্য করে তাকে শাস্তির আওতায় আনা যায়।
‘এ মুহূর্তে আইএফআরএস-এর ৯ ধারা বাস্তবায়ন করা হলে ব্যাংকের সম্পদ ৪০ শতাংশ রাইট অফ (অবলোপন) করতে হবে। আমরা চাই এটি বাস্তবায়ন করা হোক। তাহলে ব্যাংকের প্রকৃত চিত্র উঠে আসবে।’
রাজধানীর পল্টনে সিএমজেএফ-এর নিজস্ব কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি জিয়াউর রহমান। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।
হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা বলেন, ‘খেলাপি ঋণ বছরের পর বছর টেনে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে। এই টাকা কি কখনো ফেরত পাওয়া যাবে? ব্যাংকগুলো যদি আদায় করতে সক্ষম হয় তাহলে সমস্যা নেই। তবে আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে দেখি খেলাপি ঋণ আদায় করা যায় না। বরং ২ শতাংশ জমা দিয়ে এগুলোকে আবার নিয়মিত ঋণে কনভার্ট করা হয়।
‘এ ২ শতাংশ দিয়ে তো ইন্টারেস্ট (সুদ আয়) আসে না। কারণ ইন্টারেস্ট তার চেয়ে অনেক বেশি। অথচ রি-সিডিউল করে রেগুলার করা হচ্ছে। আর ওই ঋণখেলাপি তখন আরেক ব্যাংকে গিয়ে লোন নিচ্ছে।’
হামিদ উল্লাহ বলেন, ‘আমি মনে করি আইএফআরএস-৯ বাস্তবায়ন করা হোক। ব্যাংকের সব ফিগার রিটার্ন অফ করে ব্যাংক একটি সেটেলড পজিশনে আসুক। কিন্তু সম্ভব না। আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এটা মেনেই নিচ্ছে না।’
এফআরসিতে নিবন্ধিত হতে হবে অডিটরদের
আগামী ৩০ মে-র মধ্যে অডিটরদের এফআরসিতে নিবন্ধিত হতে হবে। কোনো অডিটর নিবন্ধিত না হলে তিনি তালিকাভুক্ত কোম্পানিসহ জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান অডিট করতে পারবে না।
এফআরসি চেয়ারম্যান বলেন, কোনো কোম্পানির রাজস্ব ৫০ কোটি টাকা বা তার বেশি হলে, সেই কোম্পানি জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কোম্পানি হিসেবে বিবেচিত হবে।
এ ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে ৩ হাজার চার শ’র মতো। এর বাইরে আড়াই হাজারের মতো ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া প্রতিষ্ঠান আছে। এগুলোও জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হবে। সব মিলিয়ে সাড়ে ৫ হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট হিসেবে বিবেচিত হবে। কোনো অডিটর এফআরসিতে তালিকাভুক্ত না হলে এসব প্রতিষ্ঠান অডিট করতে পারবে না।
নিয়ম মানছে না বিমা কোম্পানি
হামিদ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘জীবন বিমা কোম্পানিগুলো কখনও প্রফিট অ্যান্ড লস অ্যাকাউন্ট করে না। তারা একটা অ্যাকাউন্ট করে, সেটি হলো রেভিনিউ অ্যাকাউন্ট। কিন্তু আইএএস ১-এ স্পষ্ট বলা আছে, আপনার কোম্পানির নেচার যাই হোক না কেন প্রফিট অ্যান্ড লস অ্যাকাউন্ট করতে হবে। কিন্তু এরা তা করে না। এমনকি আমরা চিঠি দিলে রেসপন্সও করে না।
‘অন্যান্য রেগুলেটর কিছুটা হলেও রেসপন্স করে। এই একটা সেক্টর, যেখান থেকে আমরা আজ পর্যন্ত কোনো রেসপন্স পাইনি।’
এফআরসিকে শক্তিশালী করা হচ্ছে
হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা বলেন, এফআরসিতে জনবল নিয়োগ দেয়ার পর আমি প্রথম হাত দেব ক্যাপিটাল মার্কেটে। আমি ক্যাপিটাল মার্কেটের কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতার অবস্থা দেখতে চাই। ক্যাপিটাল মার্কেটের কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনে যদি ম্যানিপুলেশন হয় তাহলে অনেক মার্জিনাল ইনভেস্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিনিয়োগ সীমার অনেক নিচে বা তুলনামূলক সক্ষমতার কম শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা ব্যাংকগুলোর ওপর কঠোর হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এলক্ষ্যে মঙ্গলবার থেকে চিঠি ইস্যু করা হবে।
শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের মাধ্যমে সহায়তার প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু ফেব্রুয়ারির তথ্য অনুযায়ী, অনেক ব্যাংকের বিনিয়োগ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সীমার তুলনায় কম। এই অবস্থায় ওইসব ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে আনার জন্য পদক্ষেপ নিতে চিঠি ইস্যু করা হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলো একক হিসাবে মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫% ও সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিতভাবে ৫০% শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেক ব্যাংক এর ধারে কাছেও নেই। অথচ ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজার থেকে নিয়মিত অর্থ উত্তোলন করে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে থাকে।
এবার তাতে অনীহা প্রকাশ করতে যাচ্ছে বিএসইসি।
বিএসইসির একটি সূত্রে জানা গেছে, শেয়াবাজার থেকে অর্থ নিয়ে ব্যাংকগুলো বড় হচ্ছে। কিন্তু শেয়ারবাজারে তাদের বিনিয়োগে অনীহা। তাই ওইসব প্রতিষ্ঠানের বন্ডেও অনীহা প্রকাশ করবে বিএসইসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কমিশন নিয়মিতভাবে ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের বিষয়টি তদারকি করে। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারির তথ্য অনুযায়ি অনেক ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতার বা বিনিয়োগ সীমার তুলনায় কম। কিন্তু শেয়ারবাজারের সহায়তায় ব্যাংকের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করা হয়। যে প্রত্যাশা পূরণে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে আনতে চিঠি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যেসব ব্যাংক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সীমার অনেক তলনাতি বা তুলনামূলক কম বিনিয়োগ, সেসব কোম্পানির পারপিচ্যুয়াল ও সাবঅর্ডিনেটেড বন্ডে অনুমোদনের ক্ষেত্রে ধীরগতি নীতি অনুসরন করা হবে। আর যেসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সীমার কাছাকাছি বিনিয়োগ, সেগুলোকে সুপার ফাস্ট (দ্রুত গতিতে) বন্ডের অনুমোদন দেওয়া হবে।
আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সোমবার বিএসইসির সহকারি পরিচালক মোসাভীর আল আশিকের সই করা এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, রমজানে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত দেশের দুই শেয়ারবাজার-ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হবে। আর ক্লোজিং সেশন থাকবে ১টা ২০ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
ওই চিঠিটি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে সিডিবিএল ও সিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিএমবিএ, ডিবিএ, এএএমসি এবং সিএমএসএফের চেয়ারম্যান কাছে পাঠানো হয়েছে। এর কপি বিএসইসির কমিশনার, পরিচালক ও চেয়ারম্যানের পিএসের কাছেও দেয়া হয়েছে।
স্বাভাবিক সময়ে শেয়ারবাজারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন অনুষ্ঠিত হয়।
কয়েক দিন ৫০০ কোটি, ৬০০ কোটি ও ৭০০ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার পুঁজিবাজারে লেনদেন কমে ফের নেমে এলো ৩০০ কোটি টাকার ঘরে।
লেনদেন কমার এ দিনে পতন হয়েছে মূল্যসূচকেরও।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি ৩২৬ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ২১৯ পয়েন্ট।
সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয় ৩৪৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫২ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিনের তুলনায় সোমবার ১০৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা কম লেনদেন হয়।
লেনদেন কমার পাশাপাশি আগের দিনের চেয়ে সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৬ হাজার ২০৪ পয়েন্টে।
ডিএসইতে ৩২০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।
আজ দর বাড়া কোম্পানির সংখ্যা ৫১টি। দর কমেছে ৩৫টির; অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩৪টি কোম্পানির।
অপর পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের নামমাত্র উত্থানে লেনদেন শেষ হয়।
সিএসইতে ৮ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে রোববার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। একইসঙ্গে কমেছে লেনদেনও।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২০৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৫২ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ২১৭ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩১৭ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ৮৫টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১৩টির।
ডিএসইতে ৪৫২ কোটি ২৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে রোববার, যা আগের কার্যদিবস থেকে ৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকা কম। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ৪৮৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার।
অপরদিকে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩২৩ পয়েন্ট।
সিএসইতে ১৩১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ১০টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৫টির। দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৬টির। সিএসইতে ২৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচক বেড়েছে। তবে দিন শেষে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে। অপরিবর্তিত রয়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর।
বৃহস্পতিবার ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২২০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৫৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ২১৮ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩১৪ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫০টির, দর কমেছে ৫৬টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৮টির।
এদিন ডিএসইতে ৪৮৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১২৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা কম। এর আগেরদিন লেনদেন হয়েছিল ৬০৭ কোটি ১৬ লাখ টাকার।
আরক শেয়ারবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৫২ পয়েন্টে।
সিএসইতে ১৪১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০টির দর বেড়েছে, কমেছে ৩১টির এবং ৯০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য