রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বুধবার ডিসি সম্মেলনের চতুর্থ অধিবেশনে তিনি মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেন।
অধিবেশন শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অধিবেশনে ডিসিদের বলেছি, আপনারা সরকারের হাত। রমজান মাস সামনে। খেয়াল রাখবেন কেউ যাতে সুযোগ না নেয়। শক্ত ব্যবস্থা নেবেন। একই সঙ্গে বলেছি ভোক্তাদেরও অধিকার সচেতন করতে হবে।’
নিত্যপণ্যের বাজার তদারকি নিয়ে এক প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে ডিসিরা সতর্ক থাকবেন। সরকারের সব পদক্ষেপ তাদের বাস্তবায়ন করতে হয়।
‘বাণিজ্য প্রসারে ডিসিদের সহযোগিতার দরকার রয়েছে। মানুষ কোরবানির সময় পশুর চামড়ার দাম পায় না। সে সময়ও ডিসিরা সতর্ক থাকবেন, ব্যবস্থা নেবেন, যাতে চামড়ার দাম নিয়ে কোনো ছিনিমিনি খেলা না হয়।’
ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সয়াবিন ও পাল তেল আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশ এবং উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপিত সমুদয় মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব করা হয়।
সবশেষ চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল সয়াবিন তেল ও পাম তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছিল। বিশ্ববাজারে গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের মূল্য ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং আরবিডি পাম তেলের মূল্য ১৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধি না করে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।
শুল্ক অব্যাহতি দিলে ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধি না করে বিদ্যমান মূল্য বহাল থাকবে বলে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স এসোসিয়েশন জানিয়েছে। এর আগে তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মূল্য সমন্বয়ের আবেদন করে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে প্রস্তাব/সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে এনবিআর করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খানসহ ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। আগামীকাল বুধবার থেকে তা কার্যকর হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আলীম আখতার খান এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ব্যবসায়ীদের নির্ধারিত দামেই ডিম বিক্রি করতে হবে।
ডিজি আলীম আখতার খান মঙ্গলবার ডিম উৎপাদক ও সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেই উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়।
মহাপরিচালক বলেন, ‘বুধবার থেকে উৎপাদক পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় প্রতিটি ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে হিসাবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিম কিনতে খরচ হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।’
মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে ডিমের দাম বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডিমের বাজারে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না। এখন থেকে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি করতে হবে।’
এই বৈঠকের আগে গত দুদিন ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানের ভয়ে ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছেন তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির ব্যবসায়ীরা। এর ফলে ঢাকার বাজারে ডিমের সংকট তৈরির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সোমবার আড়তে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ডিম বিক্রি করেননি। এতে ডজন প্রতি ডিমের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা করে বেড়ে গেছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি করতে হলে তার চেয়ে কম দামে ডিম কিনতে হবে। কিন্তু সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে আড়তদারদের। সে কারণে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। এ পরিস্থিতিতে ভোক্তা অধিদপ্তর বাজার মনিটরিংয়ে এসে ব্যবসায়ীদের বাড়তি দাম নেয়ার জন্য জরিমানা করছে।
ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ বলেন, ‘ভোক্তা অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টির সুরাহা হয়েছে। আমরা আবার ডিম বিক্রি শুরু করছি।’
আরও পড়ুন:নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে সোমবার বিকেলে বাজার তদারকি করা হবে।
দেশজুড়ে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার) আতিয়া সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ডিম, ব্রয়লার মুরগি, সবজি,আলু, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে মাননীয় বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে আজ ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখ বিকাল ৫টায় ঢাকা মহানগরের কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটে বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
‘উক্ত বাজার তদারকি কার্যক্রমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব মো. আলীম আক্তার খানসহ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থাকবেন।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে চিনি আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বৈশ্বিক যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে বাংলাদেশি মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে শিশু খাদ্যসহ কতিপয় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণপূর্বক কর ছাড়ের মাধ্যমে চিনির বাজারদর সহনীয় ও স্থিতিশীল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান রেগুলেটরি ডিউটি ৩০% থেকে কমিয়ে ১৫% নির্ধারণ করেছে।
‘রেগুলেটরি ডিউটি ১৫% হ্রাসের মাধ্যমে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি অপরিশোধিত চিনির ওপর শুল্ক কর ১১.১৮ টাকা এবং পরিশোধিত চিনির ওপর শুল্ক কর ১৪.২৬ টাকা কমানো হয়েছে। এতে চিনির কেজিপ্রতি মূল্য কমপক্ষে শুল্ক হ্রাসের সমপরিমাণ কমে আসবে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মনে করে। তা ছাড়া উক্ত শুল্ক কর হ্রাসকরণের ফলে অবৈধ পথে চিনির চোরাচালান নিরুৎসাহিত হবে এবং বৈধ উপায়ে আমদানি বাড়বে বিধায় শুল্ক কর আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে মর্মে আশা করা যাচ্ছে।’
বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে দেশের সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে চার কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-১ শাখা।
ওই শাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশে প্রতিদিন প্রায় ৫ কোটি পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সীমিত সময়ের জন্য নিম্নবর্ণিত প্রতিষ্ঠানসমূহের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নামের পাশে বর্ণিত পরিমাণে ডিম আমদানির অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
‘এ আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১/১২/২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বহাল থাকবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ঢাকার দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর মেসার্স মিম এন্টারপ্রাইজকে এক কোটি পিস, যশোর চৌরাস্তা মোড়ের মেসার্স তাওসিন ট্রেডার্সকে এক কোটি পিস, সাতক্ষীরার লবশা এলাকার মেসার্স সুমন ট্রেডার্সকে ২০ লাখ পিস, রংপুরের ভগী এলাকার আলিফ ট্রেডার্সকে ৩০ লাখ পিস, রাজধানীর মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার হিমালয়কে এক কোটি পিস, শান্তিনগরের মেসার্স প্রাইম কেয়ার বাংলাদেশকে ৫০ লাখ পিস এবং তেজকুনিপাড়ার মেসার্স জামান ট্রেডার্সকে ৫০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে রোববার ঢাকার দুটি বাজারে অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুইটি টিম বাজার তদারকি করে। এ সময় তদারকি টিম সাত প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
‘আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর নিউ মার্কেট কাঁচাবাজার ও গুলশান কাঁচাবাজারে তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঢাকা নিউ মার্কেট কাঁচাবাজারে তদারকি টিমের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মেহেদী হাসান। এ সময় নিত্যপণ্যের মধ্যে চাল, ডাল, ডিম ও মুরগির বাজারে তদারকি করা হয়। টিমের সদস্যগণ মূল্য তালিকা টাঙানোসহ পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের রসিদ খতিয়ে দেখেন।
‘এ সময় মূল্য তালিকা সঠিকভাবে না টাঙানো ও যথাযথভাবে না লেখা ও সংরক্ষণ না করায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করার পাশাপাশি একজন মুরগি ব্যবসায়ীকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘…গুলশান কাঁচাবাজারে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্বে দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মানসুরীন খান চৌধুরী।
‘অভিযানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।’
আরও পড়ুন:দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আড়াই মাস পর ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়েছে।
মেসার্স প্রিয়ম এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠান আলু আমদানি করেছে।
দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বুধবার রাত ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, দেশের বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে ভারত থেকে আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা আলু আমদানি করেছেন।
এ ব্যবসায়ী জানান, বুধবার দুপুরে ভারত থেকে রাত আটটা পর্যন্ত পাঁচটি ট্রাকে ১০৮ টন আলু আমদানি করা হয়েছে।
টনপ্রতি আলু ১৮০ ডলারে আমদানি হচ্ছে, যা কেজি দরে ২১ দশমিক ৬ টাকা পড়েছে বলে জানান হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদ।
তিনি বলেন, ‘আমদানিকারকরা পাইকারি বাজারে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা কেজি ধরে আমদানি করা আলু বিক্রি করবেন।
খুচরা বাজারে এ আলু পরিবহন খরচসহ ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেই খুচরা ব্যবসায়ীদের পুষিয়ে যাবে।’
হিলি স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট পারভেজ হোসেন জানান, দেশে আলুর বাজারে উর্ধ্বগতি চলমান। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভারত থেকে আলু আমদানি করতে ব্যবসায়ীদের অনুমতি দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাজারে আমদানি বাড়লে আলুর বাজারদর নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। সে কারণেই ভারত থেকে ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ আড়াই মাস পর বুধবার পাঁচটি ট্রাকে এ আলু আমদানি করেছেন।
সর্বশেষ গত ৮ জুলাই ভারত থেকে আলু আমদানি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য