রাজধানীর পূর্বাচলে চলছে ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে চলা এই মেলায় অত্যাধুনিক ও টেকসই প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করছে ওয়ালটন।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়ালটনের স্মার্ট রেফ্রিজারেটর, স্মার্ট এয়ার কন্ডিশনার, স্মার্ট টেলিভিশন, হোম ও কিচেনের জন্য বিভিন্ন স্মার্ট অ্যাপ্লায়েন্স, মোস্ট সাইলেন্স ও ডিউর্যাবল রোবাস্ট কম্প্রেসর, সর্বাধুনিক ফিচারের ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন, ই-বাইক, লিফটসহ এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) নির্ভর নানা গৃহস্থালি পণ্য।
শিল্প প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
মেলায় ওয়ালটনের দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়নে প্রদর্শিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি। ‘ইনভার্না’ (এক্সট্রিম সেভার) সিরিজের ওয়ালটনের এই এসি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউটশন (বিএসটিআই) কর্তৃক ৫ দশমিক ৫ স্টার এনার্জি রেটিংপ্রাপ্ত।
বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরীক্ষায় দেখা গেছে, ইকো মুডে ১ টনের এই এসি ব্যবহারে ঘণ্টায় বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে মাত্র ২ দশমিক ১৯ টাকা। এই এসিতে আরও রয়েছে ফ্রস্ট ক্লিন, এয়ার প্লাজমা, থ্রি-ইন-ওয়ান কনভার্টার টেকনোলজি, স্মার্ট কন্ট্রোলসহ নানা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার।
বাণিজ্য মেলায় ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে ইনভার্না সিরিজের এসির এই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের বিষয়টি সরাসরি দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। এসির বিদ্যুৎ সংযোগের সঙ্গে স্থাপন করা হয়েছে একটি পাওয়ার মিটার। যেখানে প্রতি মিনিটে কত ওয়াট বিদ্যুৎ যাচ্ছে, কত ইউনিট বিল আসছে, সব কিছু তাৎক্ষণিক দেখা যাচ্ছে। মেলায় আগত দর্শনার্থীরাও এমন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি দেখে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
ওয়ালটন এসি রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ইনভার্না সিরিজের ১ টনের এই এসিটির ইনপুট পাওয়ার ৬৯০ ওয়াট। অর্থাৎ এসিটি চলতে সর্বোচ্চ ৬৯০ ওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে। প্রতিদিন ইকো মোডে ৮ ঘণ্টা করে চালালে মাসে এসিটিতে বিদ্যুৎ খরচ হবে মাত্র ১০৬ দশমিক ৮ ইউনিট।’
স্মার্ট কন্ট্রোল সুবিধা থাকায় স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে এই এসি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অ্যাপের মাধ্যমে এসির বিদ্যুৎ খরচ থেকে শুরু করে স্মার্টফোনেই গ্রাহকরা প্রয়োজনীয় তথ্য মনিটর করতে পারেন।
এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্টের পাশাপাশি ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে ১০ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। আন্তর্জাতিক মানের ওয়ালটন এসি ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
আরও পড়ুন:দাম বৃদ্ধির রেকর্ড করার পর স্বর্ণের দাম কিছুটা কমেছে। দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের ভরি ৯২ হাজার ২৬২ টাকায় নেমে এসেছে, যা ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। সে হিসাবে ভরিতে দাম কমেছে ১ হাজার ১৬৭ টাকা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস এই নতুন দর নির্ধারণ করে দিয়েছে। রোববার থেকেই সারা দেশে তা কার্যকর হবে। তবে রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়।
তাতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে দেশের বাজারে স্বর্ণের এই নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দর অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৮ হাজার ৬৩ টাকা করা হয়েছে। আর ১৮ ক্যারেটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ হাজার ৪৬৬ টাকা।
এছাড়া সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ হাজার ৮৬৯ টাকা। শনিবার পর্যন্ত ভালো মানের স্বর্ণের দাম ছিল ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা। ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি বিক্রি হয়েছে ৮৯ হাজার ১৭১ টাকা। ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ৭৬ হাজার ৪৫৮ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ছিল ৬৩ হাজার ৬৮৫ টাকা।
আরও পড়ুন:টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদী থেকে জেলের জালে ধরা পড়েছে ৫৫ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ। পরে স্থানীয় বাজারে মাছটি ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন বাবলু হালদার।
শনিবার দুপুরে উপজেলার গোবিন্দাসী বাজারে বাগাড় মাছটি বিক্রির জন্য আনেন বাবলু হালদার। এদিন সকালে সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি এলাকায় যমুনা নদী থেকে এক জেলের কাছ থেকে মাছটি কেনেন তিনি।
গোবিন্দাসী মাছ বাজার সমিতির সভাপতি বাবলু হালদার পরে গোবিন্দাসী বাজারে বাগাড় মাছটি ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। মাছটি কিনে নেন মধুপুর উপজেলার গারোবাজারের সুজন নামে এক ব্যক্তি।
ক্রেতা সুজন জানান, বিশাল আকৃতির বাগাড় মাছটি কিনে তারা কয়েকজন মিলে ভাগ করে নিয়েছেন।
বাবলু হালদার বলেন, ‘বেলকুচির যমুনা নদীতে এক জেলের জালে ধরা পড়ে মাছটি। বিক্রির উদ্দেশ্যেই সেখান থেকে মাছটি কিনে আনি আমি। পরে মাছটি ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।’
আদানি গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কেনার চুক্তিকে অদ্ভুত বলে উল্লেখ করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। এই বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ একইসঙ্গে বলেছেন, চুক্তিটি পর্যালোচনা করা দরকার।
শনিবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকনোমিক মডেলিংয়ের (সানেম) সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেছেন।
রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক ইন সেন্টারে শুরু হওয়া দুদিনব্যাপী এই সম্মেলন শেষ হবে রোববার।
সম্মেলন অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেন, ‘আদানির বিষয়টি আমি পত্রিকায় দেখেছি। যতটুকু মনে পড়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র করার কথা ছিল আদানির। আর সেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা আসার কথা ছিল ভারত থেকে।
‘ভারতে শিল্প গ্রুপটি পরে অস্ট্রেলিয়ায় কয়লার খনিতে বিনিয়োগ করে। কিন্তু সেটা ভাল বিনিয়োগ ছিল না। সেখানে তারা খারাপ করছিল। এখন অস্ট্রেলিয়ার সেই খনি থেকে কয়লা ভারতে আসবে। এখানে বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা বহনের দাম দিতে হচ্ছে। এটি একটি অদ্ভুত চুক্তি। আদানির বিদ্যুৎ আমদানিতে এই বাড়তি খরচ হচ্ছে কয়লার উৎসের কারণে। আমাদের চুক্তিটি নিয়ে আবার আলোচনা করা উচিত।’
ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসার কথা আগামী ২৬ মার্চ থেকে। কিন্তু আদানি গ্রুপ গোড্ডা কেন্দ্রের কয়লার দাম নিয়ে কারসাজি করেছে।
জাহাজ ভাড়াসহ গোড্ডায় ব্যবহৃত কয়লার দাম হওয়ার কথা আন্তর্জাতিক বাজারে ২০০ ডলার। অথচ তারা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে ৪০০ ডলারে বিক্রির জন্য চিঠি দিয়েছে। প্রকৃত দাম থেকে কারসাজি করে টনপ্রতি ২০০ ডলার বাড়তি নিতে চাইছে আদানি গ্রুপ।
কয়লার দাম বেশি কেন চাওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে পিডিবি আদানিকে চিঠি দিয়েছে। একইসঙ্গে পিডিবি আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) সংশোধন চেয়েছে।
এমন বাস্তবতায় শনিবার বাংলাদেশের এই বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আদানির সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে কথা বললেন।
সানেমের দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলন শনিবার সকাল ৯টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে। প্রথম দিন ১০টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠকটি ছিল ‘রোইং এগেইনস্ট দ্য টাইড’।
এই বৈঠকে মূল আলোচক ছিলেন অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান ও অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
রিজার্ভ কমা বড় সমস্যা নয়, প্রবণতাটাই বড় কথা: ওয়াহিদউদ্দিন
অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ তার বক্তব্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘রিজার্ভ নিচের দিকে নামতে থাকলে তা ঠেকানো কঠিন। দেশের রিজার্ভ একসময় ৩০০ কোটি ডলারও ছিল। তাই বলছি, পরিমাণ অনেক সময় বড় সমস্যা নয়, প্রবণতাটাই বড় কথা।’
সম্মেলনে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ঋণ দিতে এবার আইএমএফ বেশি শর্ত দেয়নি।’
তার এই বক্তব্য উদ্ধৃত করে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘অনেক দশক ধরে দেখেছি, কাগজে সই করলেই কি খেলাপি ঋণ কমে যাবে? এটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক ব্যাপার।’
‘খেলাপি ঋণ কমানোর শর্ত দেয়ার মাধ্যমে আইএমএফের আমলাতন্ত্র খুশি, আমরাও খুশি।’
সম্মেলনের শেষ দিন রোববার অনুষ্ঠিত হবে ১৩টি বৈঠক। সম্মেলনে দেশ-বিদেশের অর্থনীতিবিদরা অর্থনীতি ও বাণিজ্য নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করছেন।
আরও পড়ুন:ভারতের শীর্ষস্থানীয় ধনী ব্যবসায়ী গৌতম আদানির বাণিজ্যিক সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের এমপিরা এই অভিযোগের ব্যাপারে তদন্তের দাবি জানিয়ে সংসদের অধিবেশন শুক্রবারও দ্বিতীয় দিনের মতো ভণ্ডুল করে দিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা
অনেকের অভিযোগ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে গৌতম আদানি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিপুল ধন-সম্পদের মালিক হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিনডেনবার্গ রিসার্চ নামের গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে গত সপ্তাহে গৌতম আদানির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারসাজি ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়। এই অভিযোগ ওঠার পর থেকেই আদানি গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে।
অবশ্য আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংসদ লোকসভায় শুক্রবার সকালের অধিবেশনে বিরোধী নেতারা অভিযোগের তদন্ত দাবি করলে উভয় কক্ষের অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়।
আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি অথবা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে একটি প্যানেল গঠনের দাবি জানায় বিরোধীরা।
আরও পড়ুন:আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বহুল প্রতিক্ষিত ৪৭০ কোটি (৪.৭০ বিলিয়ন) ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম কিস্তির এই অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভে যোগ হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক। এর ফলে রিজার্ভ বেড়ে ৩২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার হয়েছে বলে জানান তিনি।
মেজবাউল হক বলেন, ‘আমরা আইএমএফ ঋণের প্রথম কিস্তি পেয়েছি। প্রথম বারে আমরা ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার পেয়েছি। এর পরের বাকি ৪২২ কোটি ৪০ লাখ ডলার আমরা সমান ছয়টি কিস্তিতে পাবো। প্রতি কিস্তিতে আসবে ৭০ কোটি ৪০ লাখ ডলার, তবে পরের কিস্তি কবে আসবে এখন সেটা বলা যাচ্ছে না।’
বিশ্ব আর্থিক খাতের অন্যতম প্রধান মোড়ল এই সংস্থার কাছ থেকে বাংলাদেশ যে পরিমাণ ঋণ চেয়েছিল, সবাইকে অবাক করে দিয়ে গত সোমবার সংস্থাটি তার চেয়েও বেশি ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দেয় আইএমএফ। প্রথম কিস্তির ঋণ যেকোনো মুহূর্তে ছাড় করা হবে বলে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি। মাত্র দুই দিনের মাথায় সেই ঋণের প্রথম কিস্তি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারে জমা হলো, বেড়ে গেলো বর্তমান বিশ্ব পেক্ষাপটে অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক রিজার্ভ।
দুই বছরের করোনা মহামারি ও এক বছরের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কার বড় চাপ সামাল দিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে বাংলাদেশ গত বছরের জুলাই মাসে ৪৫০ কোটি (৪.৫ বিলিয়ন) ডলার ঋণ চেয়েছিল, আইএমএম তার চেয়েও ২০ কোটি ডলার বেশি অর্থাৎ ৪৭০ কোটি (৪.৭০ বিলিয়ন) ডলার দেয়। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফের সদর দপ্তরে এই ঋণ অনুমোদন করে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদ।
গত মঙ্গলবার আইএমএফের ওয়েবসাইটে এই ঋণ অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার তাৎক্ষণিকভাবে ছাড় করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আইএমএফ। ২ দশমিক ২ শতাংশ সুদে নেয়া এই ঋণ আসবে সাত কিস্তিতে। শেষ কিস্তি আসবে ২০২৬ সালে।
৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ পেতে ও চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার কয়েক মাস ধরেই সংস্কার কর্মসূচি পরিচালনা করছে। চলতি জানুয়ারিতে যখন আইএমএফের ডিএমডি অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ বাংলাদেশ সফরে আসেন, তখন এসব সংস্কারে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। মৌলিক এসব সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতিও আইএমএফের ডিএমডি গুরুত্বারোপ করেন তখন।
আইএমএফও তাদের বিবৃতিতে বলেছে, করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল বাংলাদেশ, কিন্তু যুদ্ধের কারণে তা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তাতে বৈদেশিক বাণিজ্যে চলতি হিসাব ভারসাম্যে বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, টাকার মান কমে গেছে এবং বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছে। সাম্প্রতিক এই অর্থনৈতিক জটিলতাগুলো মোকাবিলায় বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ একগুচ্ছ সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার মনে করে, প্রবৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত করতে, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণে, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং জলবায়ু সহনশীলতা তৈরি করতে হলে তাতৎক্ষণিক এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সমস্যা এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিগুলোকেও আমলে নিতে হবে।
কক্সবাজারে আনন্দ ভ্রমণ করেছে ইস্টার্ন হাউজিং যুব কল্যাণ সমিতি।
ঢাকা থেকে কক্সবাজারে গিয়ে গত ২৬ থেকে ২৯ জানুয়ারি এ ভ্রমণ করেন সমিতির সদস্যরা।
আনন্দ ভ্রমণের আহ্বায়ক ছিলেন জহির স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের (জেডএসআরএম) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলহাজ মো. হুমায়ুন কবির।
আনন্দ ভ্রমণের সদস্য সচিব ছিলেন ইস্টার্ন হাউজিং যুব কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল সরকার।
মন্তব্য