× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
The dollar crisis will not go away easily
google_news print-icon

‘ডলার সংকট সহজে কাটবে না’

ডলার-সংকট-সহজে-কাটবে-না
পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। ছবি: নিউজবাংলা
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির এখন প্রধান সমস্যা হচ্ছে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ ম্যানেজমেন্ট এবং ডলার সংকট। ডলার সংকটের কারণে রিজার্ভটার পতন হচ্ছে। কয়েক দিন আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ আরও কমে ৩২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। ডলারের যে সংকট চলছে, এটা সহজে যে যাবে তা আমার মনে হয় না। ২০২৩ সালজুড়েও ডলার সংকট থাকতে পারে। এটা সহজে দূর হবে না।’

গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও দীর্ঘদিন আইএমএফের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে আসা আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, অর্থনীতির প্রধান সমস্যা হচ্ছে রিজার্ভ ম্যানেজমেন্ট এবং ডলার সংকট। এ সংকটে রিজার্ভের পতন হচ্ছে। ডলারের যে সংকট চলছে, সেটি সহজে যাবে না। ২০২৩ সালজুড়ে ডলার সংকট থাকতে পারে। এটা সহজে দূর হবে না।

নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ শঙ্কার কথা জানিয়েছেন আহসান মনসুর। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নিউজবাংলার বিজনেস এডিটর আবদুর রহিম হারমাছি

দুই বছরের বেশি সময়ের করোনাভাইরাস মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় কেমন চলছে দেশের অর্থনীতি? ২০২২ কেমন গেল? ২০২৩ সাল কেমন যাবে?

২০২২ সাল অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীর কোনো দেশের জন্যই ভালো ছিল না। পৃথিবীর পরিস্থিতি ছিল টালমাটাল। বাংলাদেশ এটা থেকে দূরে থাকতে পারেনি। বিশ্বায়নের যুগে এককভাবে থাকা সম্ভব না। আমরাও থাকতে পারি না। আমাদের দেশের সঙ্গে সারা বিশ্বের মিল আছে। সারা বিশ্বে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে; আমাদের এখানেও বেড়েছিল। এখনও বেশি আছে।

ব্যালেন্স অফ পেমেন্টে (বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্য) বড় ঘাটতি আছে। এটাও পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আছে। বিশ্বের সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়াতে আমরা একটি বড় ধাক্কা খেয়েছি। তেল, চাল, ডালসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে। জাহাজের ভাড়া বেড়ে গেছে।

সব মিলিয়ে আমাদের ব্যালেন্স অফ পেমেন্টে ঘাটতি হওয়াতে আমরা একটা ধাক্কা খেলাম। সবচেয়ে বড় সংকট দেখা দিল এক্সচেঞ্জ রেটে (টাকা-ডলারের বিনিময় হার)। আমাদের এক্সচেঞ্জ রেটে হঠাৎ করে বড় পতন হলো। যদি ভারতের মতো আস্তে আস্তে পতন হতো, তাহলে এটিকে আমরা সহনীয়ভাবে বহন করতে পারতাম। যেহেতু একবারে বোঝাটা পড়েছে, আমাদের পিঠটা ভেঙে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে।

মোদ্দাকথা ইতোমধ্যে ডলারের বিপরীতে আমাদের টাকার ২৫ শতাংশ ডিভ্যালুয়েশন (অবমূল্যায়ন) হয়েছে; আরও কিছু হতে পারে বলা যায় না। এই আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে বিশ্ববাজারে ডলারের মূ্ল্যের যে বড় উল্লম্ফন, সেটা। দুটো মিলিয়ে শকটা বড় আকারের ছিল। ব্যালেন্স অফ পেমেন্টেও ছিল, মূল্যস্ফীতিতেও ছিল। আর সে জন্য আমাদের জনজীবন বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই দুই-আড়াই বছরে মানুষ খুবই কষ্ট পেয়েছে; এখনও কষ্ট পাচ্ছে। আরও কতদিন এই কষ্ট করে চলতে হবে, কেউ কিছু বলতে পারছে না।

অন্যদিকে সরকারের যে বাজেট ব্যবস্থাপনা, সেখানে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সরকার বাজেটে কাটছাঁট করছে। এর পরেও কাজ হচ্ছে না। বাজেটে ভর্তুকি ছিল ৮০ হাজার কোটি টাকা। সেটি বেড়ে এখন হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা।

এটি অকল্পনীয় একটি বোঝা। এত বড় ঘাটতি অনেক কঠিন! সরকার না পারছে বহন করতে, না পারছে জনগণের ওপর ফেলতে। এর ফলে বাজেট ব্যবস্থাপনায় সমস্যা হচ্ছে। অর্থনীতিতে সমস্যা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ২০২২ সালে সরকার ভালো অবস্থায় ছিল না। জনগণ ভালো অবস্থায় ছিল না। বিশ্বের কেউ ভালো অবস্থায় ছিল না।

এতসব সমস্যার মধ্যে স্বপ্নের পদ্মা সেতু বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেল চালু হয়েছে। এই দুটি বড় প্রকল্প দেশের অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আপনি মনে করেন?

এই দুটি আমাদের কাঙ্ক্ষিত প্রকল্প। পদ্মা সেতু অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে, তবে মেট্রোরেল তো আর সঙ্গে সঙ্গে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। এটার প্রভাব বোঝা যাবে ২ বছর পরে পুরোপুরি শেষ হলে, তবে বাংলাদেশে একটি আধুনিক যাতায়াত ব্যবস্থা হলো। বাংলাদেশও যে পারে, তা প্রমাণিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। এ কথা ঠিক যে, ২০২২ সালটা খুবই কঠিন বছর ছিল, সংকটের বছর ছিল, চাপের বছর ছিল। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে কেটেছে। একটার পর একটা বিপদ এসেছে। এসব সামাল দিতে সরকারকে হিমশিম খেতে হয়েছে। এখনও খেতে হচ্ছে। সরকার উদ্যোগ নিয়েছে, এখনও নিচ্ছে, কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতি অনুকূলে আসছে না।

এতকিছুর মধ্যেও পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল দেশের মানুষকে আশা জাগিয়েছে, যার ইতিবাচক ফল মানুষ পাচ্ছে। সরকারও সাহস পেয়েছে। মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হলে এই আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার পুরোপুরি সুফল পাবে মানুষ, তবে এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। সমস্যা থাকবে, সংকট থাকবে।

বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে, ২০২৩ সালটা আরও কঠিন যাবে। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে মন্দাও দেখা দিতে পারে। এর মধ্যেও আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে হবে। যেসব বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ আমরা শুরু করেছিলাম, অনেকটি শেষের দিকে, সেগুলো দ্রুত শেষ করে উৎপাদনে যেতে হবে। শুধু রাজধানীর ভেতরে নয়, আশপাশের জেলাগুলোর সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করতে মেট্রোরেল করতে হবে। এই যে শুরু হয়েছে, এটা অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলেই আমরা ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন এবং ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখছি, তা পূরণ করতে পারব।

দেশের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলো এখন কী অবস্থায় আছে?

আমাদের অর্থনীতির এখন প্রধান সমস্যা হচ্ছে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ ম্যানেজমেন্ট এবং ডলার সংকট। ডলার সংকটের কারণে রিজার্ভটার পতন হচ্ছে। কয়েক দিন আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ আরও কমে ৩২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। ডলারের যে সংকট চলছে, এটা সহজে যে যাবে, তা আমার মনে হয় না। ২০২৩ সালজুড়েও ডলার সংকট থাকতে পারে। এটা সহজে দূর হবে না।

কতগুলো বিষয় আছে, যেগুলো ২০২৩ সালজুড়েই থাকবে। এগুলো সহজে যাবে না। যেমন: ব্যক্তি খাতে যে ১৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ আছে, সেটা তো আমরা শোধ করতে পারিনি। সেটাকে আমরা সামনের দিকে ঠেলে দিয়েছি। আমরা এক বছর পিছিয়ে দিয়েছি। অনেক এলসি (ঋণপত্র) ডেফার করা হয়েছে, সেগুলোকে সামনে আমাদের পে করতে হবে। সামনের দিকে আমাদের পেমেন্টের ঝামেলাটা রয়ে গেল, শেষ হলো না। এই ডলারের টানাপোড়েন চলবে।

যতদিন পর্যন্ত না আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান দুই সূচক রপ্তানি আয় বাড়ে ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স না বাড়বে, ততদিন এই টানাপোড়েন চলবে। রেমিট্যান্সের ব্যাপারে একটু হতাশা আছে। প্রচুর লোক বিদেশ গিয়েছে। সেই দেশগুলোর কিন্তু এখন রমরমা অবস্থা। তেলের বাজার গরম। তাদের গরম অবস্থা।

গত বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১১ লাখ লোক কাজের জন্য বিভিন্ন দেশে গিয়েছে, কিন্তু সেই অনুযায়ী কিন্তু আমরা রেমিট্যান্সের প্রত্যাশিত প্রবাহটা পাচ্ছি না। আমরা দেখছি, সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্সের প্রবাহটা বাড়েনি; উল্টো কমে গেছে। রেমিট্যান্স বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই বৈপরীত্য কেন?

আমরা মনে করছি, অর্থ পাচারের কারণে সৌদি আরবের টাকা চলে যাচ্ছে। সে কারণে মধ্যপ্রাচ্যের টাকা আমরা পাচ্ছি না। আর যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্য থেকে টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে আসে। এখানে হুন্ডিটা থাকে না। এ ক্ষেত্রে আমরা পুরো ডলারটা পাচ্ছি; আমাদের দেশি ভাইরা যে টাকাটা পাঠাচ্ছেন। আর মধ্যপ্রাচ্যের ডলারটা পাচ্ছি না। টাকাটা তাদের পরিবারের কাছে চলে আসছে ঠিক; কিন্তু ডলারটা হারিয়ে যাচ্ছে, আমাদের সেন্ট্রাল ব্যাংকের কাছে আসছে না।

দ্বিতীয় যে জিনিসটা আমাদের ভাবতে হবে, রাজস্বের ক্ষেত্রে আমাদের একটি সমস্যা চলছে। গত বছরও ছিল; এ বছরও থাকবে। কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় হবে না। ২০২২ সালে কর জিডিপি রেশিও আরও কমেছে। আগে সাড়ে আটের মধ্যে ছিল, কিন্তু সেটা কমে কোথায় দাঁড়াবে আমরা জানি না, তবে এটা সাড়ে আটের নিচে হবে। এটা খুব দুঃখজনক। এটা আমাদের ব্যর্থতা। সরকারের সক্ষমতা থাকছে না।

সরকার দেশের বাইরে থেকে, দেশ থেকে ঋণ করছে। আরেকটা বিষয় না বললেই নয়, ব্যাংকিং খাতে আমরা ভালোর দিকে যেতে পারিনি। দিন যত যাচ্ছে, ব্যাংক খাতের অবস্থা ততই খারাপ হচ্ছে। খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে। ২০২২ সালে আমরা এখানে বিশাল কিছু কেলেঙ্কারি দেখলাম। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের টাকা সবচেয়ে বেশি ভাবিয়ে তুলেছে। কারণ এখানে অনেক ব্যাংকের মালিকানা একই ব্যাংকে আছে। আর ইসলামী ব্যাংক হচ্ছে ব্যক্তি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাংক। সেই ব্যাংকটার অবস্থা এখন খুবই খারাপ; পর্যুদস্ত অবস্থা। তাদের এখন ৮ শতাংশ সুদে টাকা ধার নিতে হচ্ছে। এটা তো চিন্তা করা যায় না। অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি দিচ্ছে। তার মানে কী? যারা বেশি দেয় তাদের দুরাবস্থার কারণেই বেশি দিতে হয়। তারা বাধ্য দিতে। এই ব্যাংকটার অবস্থা খারাপ। আমরা আশঙ্কা করছি এই ব্যাংকটির অবস্থা খারাপ কিন্তু কতখানি খারাপ সেটা বোঝা যাচ্ছে না।

সরকার কিছু বলছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে না, কিন্তু গুজব বেড়ে যাচ্ছে। ফলে তাদের তারল্য সংকটও বেড়ে যাচ্ছে। আরও কয়েকটি ব্যাংকের অবস্থা খারাপ। ২০২২ সালে ব্যাংকিং খাত নিয়ে একটি আস্থাহীনতা ছিল।

ব্যাংকের ডিপোজিটের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে নিচে ৮ শতাংশের কাছাকাছি নেমে এসেছে। এ রকম দেশে ১৪ থেকে ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার কথা। আমরা সেটা স্বাভাবিক পাচ্ছি না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ব্যাংকিং খাতে নিয়মিত খেলাপি ঋণ এখন লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। অবলোপন বা রাইট অফ এবং মামলার কারণে আটকে থাকা খেলাপি ঋণ যোগ করলে মোট অঙ্ক আড়াই লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তাহলে ২০২২ সালই কি ব্যাংকিং খাত বেশি খারাপ গেল?

ব্যাংকিং খাত ধারাবাহিকভাবেই খারাপ যাচ্ছিল। আমরা অনেকেই উদ্বিগ্ন। আমরা আশা করেছিলাম যে একটি ব্যাংকিং কমিশন হবে। সরকারও বলেছিল। সরকার সে কাজটি করেনি।

যে স্ক্যামগুলো (ঋণ অনিয়ম বা কেলেঙ্কারি) হলো, সেগুলোর একটিরও বিচার হয়নি। ইসলামী ব্যাংকগুলোর ব্যাপারে যে প্রশ্নগুলো উঠেছে, সেগুলোর কিন্তু কোনো উত্তর সরকারের কাছ থেকে আমরা পাইনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। তারা আশ্বস্ত করছে না।

সরকার বলুক যে, তারা ভালো আছে। সেটাও বলছে না। আবার খারাপ আছে, সেটাও বলছে না। আমরা শুনতে চাই, দেশবাসী শুনতে চায়, কিন্তু সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছুই বলছে না। আমি এখানে একটি দ্বিধা দেখছি, একটি শঙ্কা দেখছি। এখানে ট্রান্সপারেন্সি বাড়াতে হবে।

একটি গ্রুপের হাতে কয়েকটি ব্যাংকের মালিকানা। সেই ব্যাংকগুলোর অবস্থাই এখন খারাপের দিকে যাচ্ছে। এটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

এখানে দুটো বিষয় আছে। একটি হচ্ছে একজনের হাতে কয়েকটি ব্যাংকের মালিকানা। শেয়ারহোল্ডাররা একটি ব্যাংকের শেয়ারে থাকবে, কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে যে তারা কন্ট্রোলিং শেয়ারে থাকছে। এর ফলে ঝুঁকি একটু বেশি। এখানে যেহেতু একজন মালিক যদি একটি ব্যাংকের কিছু হয়, তাহলে অন্য ব্যাংকগুলোও সমস্যায় পড়ে যাবে। আস্থার যখন সংকট হয়, তখন সবাইকেই আস্থার সংকেটর মধ্যে ফেলে দেয়া হয়। এখান থেকে আমাদের বের হয়ে আসা উচিত।

দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে ঋণের কনসেনট্রেশন। কিছু ব্যক্তি বা পরিবার হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে। তারা আইন মেনে যদি নেন, সেটা এক কথা, কিন্তু নিজের ব্যাংক থেকে যদি ঋণ নেন নামে এবং বেনামে, সেটা কিন্তু আরেকটি সমস্যা। এ বিষয়ে সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক সুস্পষ্টভাবে কিছু করছে না। এ বিষয়ে আমাদের জানার অধিকার আছে; দেশের মানুষের জানার অধিকার আছে, কিন্তু আমরা কিছুই জানছি না। এসব কারণে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। এসব কারণে আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে।

আপনি অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলো নিয়ে বলছিলেন। তাতে হতাশার দিকই বেশি উঠে এসেছে। রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে চমকের পর চমক দেখিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। নভেম্বরের পর ডিসেম্বরেও পণ্য রপ্তানি থেকে বিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশি মুদ্রা দেশে এসেছে। আগামী দিনগুলো কেমন যাবে?

এটা খুশির খবর যে দুই-আড়াই বছরের করোনা মহামারির ধকল কাটতে না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় তছনছ হয়ে যাওয়া বিশ্ব অর্থনীতিতেও রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক ধারা আমরা অব্যাহত রাখতে পেরেছি। ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে ৫২ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছিল। এর মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকেই এসেছিল ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

শতাংশ হিসাবে মোট রপ্তানির ৮২ শতাংশই এসেছিল পোশাক খাত থেকে। আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ২৭ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি মুদ্রা দেশে এসেছে। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এ ছয় মাসে রপ্তানির ৮৪ শতাংশের বেশি এসেছে পোশাক থেকে।

বিস্ময়কর হলো এই কঠিন বিশ্ব পরিস্থিতিতে শেষ দুই মাসে অর্থাৎ নভেম্বর-ডিসেম্বর দুই মাসেই ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি আয় দেশে এসেছে। নভেম্বরে এসেছে ৫ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। আর ডিসেম্বরে এসেছে আরও বেশি ৫ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশে এর আগে কখনোই কোনো একক মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় আসেনি। সামগ্রিকভাবে বলা যায়, নানা বাধা-বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বিদায়ী ২০২২ সালে রপ্তানি ভালো হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও ভালো হয়েছে।

নভেম্বরে আমাদের রপ্তানি আয়ে রেকর্ড হয়। ডিসেম্বরে সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড হয়। গত বছর (২০২২ সাল) তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে ৪৫ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার, যেটা আগের বছর ছিল ৩৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি বেড়েছে এক বছরে।

এর কারণ আমরা করোনা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য অনেক কাজ করেছি; বিভিন্ন বাজারে গিয়েছি। আমাদের বড় বাজারগুলোতে গিয়েছি। এমার্জিং মার্কেটেও গিয়েছি, তবে এখানে ধোঁয়াশা আছে। রপ্তানির যে চাহিদা সেটা কিন্তু বাড়ছে না ব্যাপকভাবে। একই সময় আমাদের পণ্যের, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের চাহিদা কিন্তু বাড়ছে না।

আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের কারণেই হোক বা কোভিডের কারণে চীন থেকে অনেকে সরে আসছেন, অনেক বায়ার বাংলাদেশে আসছেন। সে কারণে আমাদের রপ্তানি হয়তো কিছুটা বাড়ছে। যতদিন পর্যন্ত এই ডাইভারশন থাকবে, আমাদের বাজার ভালো থাকবে।

আমার মনে হয়, আমাদের তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়বে, তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে, কোভিডের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আমাদের পোশাকের প্রধান বাজার আমেরিকা ও ইউরোপে মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে। ওই সব দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। পরিস্থিতি যদি আরও খারাপের দিকে যায়, তাহলে কিন্তু এখনকার রমরমা অবস্থা থাকবে না।

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে ব্যাংকঋণের সুদের হার বাড়ানোর কথা বলছেন অর্থনীতিবিদরা। তিন মাস ধরে নানা যুক্তি উপস্থাপন করে আপনি ঋণের সুদের হার বাড়ানোর কথা বলছেন, কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে কিছু বলবেন?

আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, আর দেরি না করে ব্যাংকঋণের সুদের হার এখনই বাড়ানো উচিত। বাজারব্যবস্থায় কোনো কিছুর মূল্য বেঁধে রাখা ঠিক না। সেটা তেলের মূল্য হোক, চালের মূল্য হোক বা সুদের হার হোক। কোনোটা ধরে রাখা সার্বিকভাবে ভালো না। নয়-ছয় সুদের হার পরিবর্তন না করে আমরা কী ধরনের রিস্কের মধ্যে পড়ছি। আমাদের দুইভাবে দেখতে হবে একটি হচ্ছে আমাদের কী ঝুঁকি আসবে। আমরা যদি ‍সুদের হারটাকে একটু বাড়াতাম। তাহলে কিন্তু আমাদের এক্সচেঞ্জ রেটের ওপর আমাদের চাপটা কমে আসত। সেটা কিন্তু আমরা করছি না। এখন কিন্তু এক্সচেঞ্জ রেটের ওপরে আমাদের চাপটা কমে আসত। এক্সচেঞ্জ রেটগুলো একীভূত করা হয়নি। বাজারে ডলারের যে সংকট সেটা কিন্তু চলছে। এই সংকট কাটছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই সমস্যায়।

ব্যাংকগুলো মার্কেট থেকে ডলার কিনছে বেশি দামে। সুদের হার যদি বাড়ানো যেত, তাহলে রিটার্ন অন টাকা বাড়ানো যেত। তাহলে সমস্যা কমত।

গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বিভিন্ন দাতা দেশ সংস্থার কাছ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ সহায়তা পেয়েছিল বাংলাদেশ। এখন তা অনেক কমে গেছে। কেন কমছে?

আমি দেখি যে বাংলাদেশের স্বাভাবিক যে লেভেলটা ছিল, সেটা ছিল ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছর বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি হয়েছিল। বিদেশিরা স্বাস্থ্য খাত উন্নত করতে আমাদের সাহায্য করেছে। এ কারণে গত বছর ২০২০-২১ অর্থবছরে আমাদের ঋণের অর্থপ্রবাহ ছিল ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি, সেটা কিন্তু এ বছর হবে না। এ বছর আমরা হয়তো আবার ৮ বিলিয়নে ফেরত চলে আসব। সরকার যেটা চাচ্ছে কিছু বাজেট সাপোর্ট দিয়ে এটাকে ১০ বিলিয়নের কাছাকাছি নিয়ে আসতে। আইএমএফ থেকে কিছু পাবে। আর বাজেট সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ অন্যান্য দাতা সংস্থার কাছ থেকে সবকিছু মিলিয়ে যদি এটা ১০-১১ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে আসা যায়, সেটা খুবই ভালো হবে। এই সংকটকালে কম সুদের ঋণ কাজে লাগবে।

আরও পড়ুন:
বস্তায় নয়, এখন ঘুষ লেনদেন ডলারে: হাইকোর্ট
রেমিট্যান্স পাঠাতে চার্জ লাগবে না প্রবাসীদের
ডলারসংকটে বিপাকে পোশাক রপ্তানিকারকরা
৪ মাসেই ৫ বিলিয়ন বিক্রি, তারপরও ডলার নেই ব্যাংকে
উচ্চ আয়ের প্রবাসীরাও পাবেন ডলারপ্রতি ১০৭ টাকা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Signature of Memorandum of Understanding and agreement between Dhaka Bejing

ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ৯ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ৯ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা। এর পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার দুই দেশের মধ্যে এ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও স্মারকগুলো স্বাক্ষর হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা। এর পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।

এগুলো হলো বিনিয়োগ আলোচনা শুরু করা, চীনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু, মোংলা বন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ, একটি রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং একটি কার্ডিয়াক সার্জারি গাড়ি অনুদান।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে তুলসি গ্যাবার্ডের বক্তব্যের প্রতিবাদ সরকারের
ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর
ভারতের অভ্যন্তরে ‌খাসিয়াদের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
ইরান থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়াবে চীন
ভারতে বিমানের ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ, যাত্রীরা অক্ষত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Positive response to reduce loan interest rates assured Chinas water resources management
ইউএনবিকে প্রেস সচিব

ঋণের সুদহার কমাতে ইতিবাচক সাড়া চীনের, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার আশ্বাস

ঋণের সুদহার কমাতে ইতিবাচক সাড়া চীনের, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। কোলাজ: নিউজবাংলা
ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠককে অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনা ঋণের সুদের হার কমানো ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশটির সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি ছিল।’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের উত্থাপিত বিষয়গুলো চীন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং।

স্থানীয় সময় শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট এ কথা জানান।

ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠককে অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনা ঋণের সুদের হার কমানো ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশটির সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি ছিল।’

তিনি বলেন, ‘বৈঠকে আলোচনা অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ, গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে।’

প্রেস সচিব বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার এটি ছিল প্রথম দ্বিপক্ষীয় বিদেশ সফর। এখন পর্যন্ত এটি একটি বড় সফলতা।’

প্রেসিডেন্ট শির বক্তব্যের বরাতে শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনে চীন তার দেশের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট শি ফুজিয়ান প্রদেশের গভর্নর থাকাকালীন দুইবার বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন। সে কথাও উল্লেখ করেছেন চীনের রাষ্ট্রপ্রধান।

প্রেসিডেন্ট শির উদ্বৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, তিনি বাংলাদেশি আম ও কাঁঠাল খেয়েছেন। এগুলো সুস্বাদু। আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশ আগামী মৌসুমে এ দুটি ফল চীনে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি করবে।

চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টা চীনের পিপলস গ্রেট হলে করা বৈঠকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

তারা দুই দেশের সম্পর্ককে জোরদার করা ও ঢাকা-বেইজিংয়ের পারস্পরিক ও কৌশলগত স্বার্থকে এক নতুন উচ্চতায় নেওয়ার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।

আরও পড়ুন:
২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ
সমৃদ্ধ এশিয়া গড়তে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার
স্টারলিংকের ইন্টারনেট বাণিজ্যিকভাবে চালু করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Rivo brings C12 electric bikes with state of the art technology in the country market

দেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক আনল রিভো

দেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক আনল রিভো সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। ছবি: রিভো
সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। বাইকটির ইকো মোডে গতি ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং একবার চার্জে এটি ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।

বাংলাদেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক এনেছে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড রিভো। অত্যাধুনিক ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার সম্পূর্ণ গ্রাফিন ব্যাটারি পরিচালিত এই ইলেকট্রিক বাইকের উদ্বোধন ঘোষণা করেন রিভো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ভেন নি।

ফিচার

সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। বাইকটির ইকো মোডে গতি ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং একবার চার্জে এটি ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।

অন্যদিকে স্পোর্ট মোডে সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং এক চার্জে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।

সি৩২ ইলেকট্রিক বাইকে উন্নত ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার গ্রাফিন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পাঁচ শতাধিক চার্জিং সাইকেল সাপোর্ট করে এবং প্রতিটি পূর্ণ চার্জে মাত্র ২.০৮ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে।

ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে ১০.৬ ঘণ্টা সময় নেয়, যা রাতে চার্জ দিয়ে দিনব্যাপী ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।

নিরাপত্তা এবং আরামকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে রিভো সি৩২। এতে রয়েছে সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক সিস্টেম, যা সর্বোচ্চ স্টপিং পাওয়ার নিশ্চিত করে।

ফ্রন্ট ও রিয়ার হাইড্রোলিক সাসপেনশন থাকার ফলে রাইডাররা মসৃণ ও আরামদায়ক রাইড উপভোগ করতে পারেন। এমনকি অপ্রশস্ত বা অসমান রাস্তাতেও।

রাতে নিরাপদ যাত্রার জন্য সি৩২-এ রয়েছে পূর্ণ এলইডি লাইটিং সিস্টেম, যার মধ্যে এলইডি হেডলাইট, টেইললাইট এবং টার্ন সিগন্যাল অন্তর্ভুক্ত।

রিভো সি৩২ শুধু শক্তিশালী পারফরম্যান্সই দেয় না, এটি ডিজাইনেও বেশ কার্যকর। ১৪০ কেজি ওজনের মজবুত অথচ হালকা ফ্রেম এবং সামনে ও পিছনে ৯০/৮০-১২'' ভ্যাকুয়াম টায়ার যুক্ত বাইকটি দুর্দান্ত গ্রিপ এবং স্থিতিশীলতা প্রদান করে।

২০৫ এমএম পর্যন্ত গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স থাকায় এটি যেকোনো ধরনের রাস্তার জন্য উপযোগী। সিট বাকেটে ২৪ লিটার স্টোরেজ স্পেস রয়েছে, যা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র বহনের জন্য আদর্শ।

ব্যবহারকারীবান্ধব ডিজাইন এবং আরামের সমন্বয়ে এটি শহরের যাতায়াতকারী এবং দূরপাল্লার রাইডারদের জন্য একটি পারফেক্ট পছন্দ।

এখন থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যে বাংলাদেশের সব শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে।

সি৩২ যাতায়াতকে সহজ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব করতে উন্নত প্রযুক্তি, শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করছে, যা প্রতিদিনের যাত্রীদের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতন রাইডারদের জন্য আদর্শ হতে পারে।

আরও পড়ুন:
মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলবে
পদ্মা সেতুতে বাইক এখনই নয়
‘মোগো ওপর দিয়া বাস চালাইয়া যাউক’
হানিফ ফ্লাইওভারে বাইক দুর্ঘটনায় তিতুমীর কলেজের ছাত্রী নিহত
মাস্টার চাবি বানিয়ে ৫০০ বাইক চুরি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Three tonnes of potatoes went to Nepal through Banglabandha

বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপালে গেল আরও ১০৫ টন আলু

বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপালে গেল আরও ১০৫ টন আলু আলুবোঝাই ট্রাক। ছবি: বাসস
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ১০৫ টন আলু নেপালে গেছে।

আলু রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। এ স্থলবন্দর দিয়ে নতুন করে আরও ১০৫ টন আলু গিয়েছে নেপালে।

এ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ৫৫৪ টন আলু নেপালে রপ্তানি করা হলো।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ১০৫ টন আলু নেপালে গেছে।

তিনি জানান, আলুগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এগুলো রপ্তানি করছে থিংকস টু সাপ্লাই ও ফাস্ট ডেলিভারি নামে দুটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে থিংকস টু সাপ্লাই ৪২ ও ফাস্ট ডেলিভারি ৬৩ টন রপ্তানি করে। এ ছাড়াও বন্দরটি দিয়ে হুসেন এন্টারপ্রাইজ, ক্রসেস এগ্রো, সুফলা মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং লোয়েড বন্ড লজিস্টিক নামের কয়েকটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানও নেপালে আলু রপ্তানি করছে।

উজ্জ্বল হোসেন বলেন, রপ্তানিকারকরা প্রয়োজনীয় নথিসহ অনলাইনে আবেদন করলে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। রপ্তানিকৃত আলুগুলো স্টারিজ এবং লেডিও রোজেটা জাতের।

আরও পড়ুন:
গজারিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, আলু পরিবহন বন্ধ
নেপালে সড়ক দুর্ঘটনায় আটজন নিহত
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ঢাকা-দিল্লি-কাঠমাণ্ডু চুক্তি সই
নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৩
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
AA 3 Pro Sales of Sale of A Apo

‌‘এ৫ প্রো’ বিক্রিতে রেকর্ডের কথা জানাল অপো

‌‘এ৫ প্রো’ বিক্রিতে রেকর্ডের কথা জানাল অপো ‘অপো এ৫ প্রো’ বিক্রয় প্রবৃদ্ধির পোস্টার। ছবি: অপো
ডিভাইসটির প্রথম দিনের বিক্রয়ের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে অপো বাংলাদেশ অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘এ সফলতা অপোর প্রতি বাংলাদেশি গ্রাহকদের আস্থা ও আগ্রহের বিষয়টিই সফলভাবে চিত্রিত করছে। তাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো অভিনব পণ্য উদ্ভাবন ও সেবা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

বাজারে নতুন আসা স্মার্টফোন ‘অপো এ৫ প্রো’ রেকর্ড গড়া পারফরম্যান্স করেছে বলে জানিয়েছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি অপো।

কোম্পানিটি শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগের জেনারেশনের ডিভাইসের তুলনায় নতুন স্মার্টফোনটি ৪৫০ শতাংশ বেশি বিক্রয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা বাংলাদেশের বাজারে অপোর ধারাবাহিক সফলতার নির্দেশক। তাৎপর্যপূর্ণ এ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের বাজারে অপোর ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি এবং ব্রান্ডটির প্রতি গ্রাহকদের গভীর আস্থা ও আনুগত্যের প্রতিফলন।

অপো প্রতিনিয়ত স্মার্টফোন প্রযুক্তির অভিনব উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানিটির ‘অপো এ৫ প্রো’ ডিভাইসের ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। ফোনটি নিত্যদিনের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণে ভোক্তাদের আধুনিক ও উন্নত সব ফিচার ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে।

কোম্পানির কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া

বিজ্ঞপ্তিতে অপো এ৫ প্রোর বিক্রয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা ও একাধিক গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছে অপো।

ডিভাইসটির প্রথম দিনের বিক্রয়ের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে অপো বাংলাদেশ অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘এ সফলতা অপোর প্রতি বাংলাদেশি গ্রাহকদের আস্থা ও আগ্রহের বিষয়টিই সফলভাবে চিত্রিত করছে। তাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো অভিনব পণ্য উদ্ভাবন ও সেবা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

একটি বেসরকারি প্রকৌশল কোম্পানিতে চাকরিরত তারেক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ অপোর নতুন ডিভাইস নিয়ে তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, ‘অপো এ৫ প্রোর ওয়াটারপ্রুফ, ডাস্টপ্রুফ এবং শকপ্রুফ ফিচার আমার সবচেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

‌‘আমি এ রকম একটি টেকসই ও সহনশীল স্মার্টফোনের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছিলাম এবং আমার অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। স্মার্টফোনটি কিনতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।’

আরেক গ্রাহক শারমিন আক্তার বলেন, “ঈদের আগে আমি একটি মোবাইল কেনার কথা ভাবছিলাম। এ ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের দারুণ ডিজাইন ও উন্নত ফিচারগুলো আমার অগ্রাধিকারে ছিল।

“আমার মতে, বাজারের একই ঘরনার ফোনগুলোর মধ্যে এ বিষয়গুলোতে ‘অপো এ৫ প্রো’ই সেরা। ফোনটি পছন্দ করতে পেরে মনে হচ্ছে আমি সঠিক মোবাইলটিই বেছে নিয়েছি।”

নতুন ডিভাইসের ফিচার

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অপো এ৫ প্রো’ বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন, যেটি আইপি৬৬, আইপি৬৮ এবং আইপি৬৯ রেটিং অর্জন করেছে। ডিভাইসটি পানি, ধুলা ও যেকোনো ধরনের শক থেকে সুরক্ষিত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোবাইলটির অনন্য স্থায়িত্ব।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মোবাইলটিতে সংযুক্ত আছে মিলিটারি গ্রেডের ইমপ্যাক্ট রেজিস্ট্যান্স প্রযুক্তি। পাশাপাশি ডিভাইসের মাদারবোর্ড থার্মাল কনডাকটিভিটি বৃদ্ধি করে এবং আগের জেনারেশনের স্মার্টফোনের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সক্ষমতা প্রদান করে। মোবাইলটি এক হাজার বেন্ডিং টেস্টও উতরে গেছে। অর্থাৎ প্রতিদিনের যেকোনো পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে এটি ব্যবহার উপযোগী।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্মার্টফোনটি নান্দনিক ফটোগ্রাফির জন্য অনন্য। এতে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই সংবলিত উন্নত ফিচার। ডিভাইসটিতে এআই ইরেজার ২.০ ব্যবহার করে সহজেই ছবিতে থেকে অপ্রয়োজনীয় বস্তু মুছে ফেলা যায়। এআই রিফ্লেকশন রিমুভার ব্যবহার করে অযাচিত রিফ্লেকশন সরিয়ে দেওয়া যায়।

এ ছাড়া এআই আনব্লার ফিচার ব্লারি বা অস্পষ্ট ছবিকে আরও স্পষ্ট করে তুলতে সাহায্য করে।

দাম

অপো জানায়, দেশজুড়ে রিটেইল স্টোর এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্মার্টফোনটি ২৩ হাজার ৯৯০ টাকায় ৮জিবি+২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে।

বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে অপোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে।

আরও পড়ুন:
ঈদ ঘিরে ‘অপো’র মেগা গিফট ক্যাম্পেইন
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘অপো এ৫ প্রো’ উন্মোচন
অপো এ৫ প্রোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন মেহেদী মিরাজ
আল্ট্রা ফোনের ধারণা ঘোষণা রিয়েলমির, যুক্ত করা যাবে ডিএসএলআর লেন্স
ক্যাশব্যাক ও স্মার্টফোন জেতার সুযোগ দিচ্ছে ইনফিনিক্স

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
India came to Chittagong port from Pakistan to 4000 tonnes of rice

ভারত, পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ৪৮ হাজার টন চাল

ভারত, পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ৪৮ হাজার টন চাল ভারতের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিম শুক্রবার কাফকো সংলগ্ন জেটিতে বার্থ করে। ছবি: বাসস
পাকিস্তান থেকে আসে ২৬ হাজার ২৫০ টন এবং ভারত থেকে আসে ২২ হাজার ৫০০ টন চাল।

চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তান থেকে চালবোঝাই আরও দুটি জাহাজ।

এক দিনের ব্যবধানে দুটি জাহাজ বন্দরে পৌঁছায়।

এবার এসেছে ৪৮ হাজার ৭৫০ টন আতপ ও সিদ্ধ চাল। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আসে ২৬ হাজার ২৫০ টন এবং ভারত থেকে আসে ২২ হাজার ৫০০ টন চাল।

চট্টগ্রাম বন্দরের সাইলো জেটি ও কাফকো-সংলগ্ন জেটিতে এই দুই জাহাজ নোঙর করে বলে শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেন খাদ্য অধিদপ্তরের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা।

পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজটি শুক্রবার চট্টগ্রাম সাইলো জেটিতে বার্থিং করেছে জানিয়ে তিনি জানান, জাহাজ এমভি মারিয়ম গত ১১ মার্চ ২৬ হাজার ২৫০ টন আতপ চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে।

অন্যদিকে ১২ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে ভারতের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিম। জাহাজটি শুক্রবার কাফকো সংলগ্ন জেটিতে বার্থ করে।

এ জাহাজ থেকে ২২ হাজার ৫০০ টন বাসমতি নয় এমন সিদ্ধ চাল আনা হয়েছে।

পাকিস্তানের জাহাজ এমভি মারিয়মে আসা চালের নমুনা সংগ্রহ শেষে ভৌত বিশ্লেষণ সম্পন্ন হয়েছে মন্তব্য করে জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা জানান, এ চালের খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আসা জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিমের চালগুলোর নমুনা সংগ্রহ করা শেষ হয়েছে।

এর আগে বুধবার ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১৭ হাজার ৮০০ টন আতপ চাল এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ২১ হাজার ৮০ টন সিদ্ধ চাল কেনা হয়েছে।

গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আরও ৬ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানি করা হয়।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় ভাই, বোনসহ তিনজন নিহত
বিনা মূল্যে ১০ কেজি চাল পাবে এক কোটি পরিবার
ইরানে বোমা হামলার দায় স্বীকার পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর
ভারতে বিমানের ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ, যাত্রীরা অক্ষত
পাকিস্তানে বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Eid ul Gift campaign surrounded the Eid

ঈদ ঘিরে ‘অপো’র মেগা গিফট ক্যাম্পেইন

ঈদ ঘিরে ‘অপো’র মেগা গিফট ক্যাম্পেইন অপোর ঈদ মেগা গিফট ক্যাম্পেইনের পোস্টার। ছবি: অপো
ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের চাহিদা উপযোগী দারুণ সব ডিল ও অফার উপভোগ করতে পারবেন।

জনপ্রিয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অপো’ পবিত্র রমজান মাসে গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ‘ঈদ মেগা গিফট ক্যাম্পেইন’ ঘোষণা করেছে।

১৩ মার্চ থেকে শুরু হয়ে সারা দেশে অপোর আউটলেটগুলোতে বিশেষ এ ক্যাম্পেইন চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।

ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের চাহিদা উপযোগী দারুণ সব ডিল ও অফার উপভোগ করতে পারবেন।

এ বছর অপো ভোক্তাদের জন্য ‘মেগা’ লটারি অফার ঘোষণা করেছে। এতে অংশ নিয়ে ক্রেতারা ১ লাখ টাকা সমমূল্যের গৃহস্থালি উপকরণ (হোম অ্যাপ্লায়েন্স), অপো প্যাড, অপো ওয়াচ অথবা ‘বাই ১, গেট ওয়ান ১’, ডিল উপভোগ করতে পারবেন।

এ ছাড়াও অপো সব ক্রেতার জন্যই বিশেষ ও নিশ্চিত উপহারের ঘোষণা দিয়েছে, যাতে করে সবাই এ আনন্দের ভাগিদার হতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু মডেলের স্মার্টেফোন কিনেও গ্রাহকরা উপহারের ভাগিদার হতে পারবেন। যেমন- ‘রেনো১২এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ হুডি, ‘রেনো১৩এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ ব্যাগ এবং নতুন বাজারে আসা ‘এ৫ প্রো’র সঙ্গে ‘অপো সুপার শিল্ড কার্ড’ পাবেন তারা।

অপো বাংলাদেশ, অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “আমাদের গ্রাহকদের সেরা সেবা দিতে অর্থাৎ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধিতে অপো প্রতিনিয়ত অভিনবভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোন উপভোগের মাধ্যমে এই ঈদে তারা অসাধারণ সব পুরস্কার জিতে নিতে পারবেন। ‘এ৫ প্রো’র উন্মোচন এবং মেগা গিফট ক্যাম্পেইনের এই ঘোষণা ভোক্তাদের রমজান উদযাপনে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। অপোভক্তদের সঙ্গে এই বিশেষ উপলক্ষ যুক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”

একটি অনলাইন লটারির মাধ্যমে মেগা গিফট লটারির বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে এবং তা অপো এ৩এক্স, এ৬০, রেনো সিরিজ এবং নতুন লঞ্চ হওয়া অপো এ৫ প্রোসহ বিভিন্ন ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

এ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্রেতাদের নিকটস্থ অপো আউটলেট পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

আকর্ষণীয় ঈদ অফার ও অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh এবং ওয়েবসাইটে website https://www.oppo.com/bd/।

আরও পড়ুন:
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘অপো এ৫ প্রো’ উন্মোচন
অপো এ৫ প্রোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন মেহেদী মিরাজ
আল্ট্রা ফোনের ধারণা ঘোষণা রিয়েলমির, যুক্ত করা যাবে ডিএসএলআর লেন্স
ক্যাশব্যাক ও স্মার্টফোন জেতার সুযোগ দিচ্ছে ইনফিনিক্স
নান্দনিকতা ও সৌন্দর্যের মিশেলে আসছে ‘অপো এ ফাইভ প্রো’

মন্তব্য

p
উপরে