× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Garment exports to India surprise US slowdown
google_news print-icon

ভারতে পোশাক রপ্তানিতে চমক, যুক্তরাষ্ট্রে ধীরগতি

ভারতে-পোশাক-রপ্তানিতে-চমক-যুক্তরাষ্ট্রে-ধীরগতি
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের পর থেকেই বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। আগামী দিনগুলোতেও বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ ভারতে পোশাক রপ্তানির এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন সরকারের নীতিনির্ধারক, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা।

ভারতে পোশাক রপ্তানিতে চমক দেখিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ৫৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি।

গত ২০২১-২২ অর্থবছরের এ ছয় মাসে ৩৬ কোটি ৫৯ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল। অন্যদিকে একক দেশ হিসেবে পোশাক রপ্তানি থেকে সবচেয়ে বেশি বিদেশি মুদ্রা আসা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই ছয় মাসে বেড়েছে মাত্র ১ শতাংশ।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের পর থেকেই বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। আগামী দিনগুলোতেও বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ ভারতে পোশাক রপ্তানির এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন সরকারের নীতিনির্ধারক, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা।

তারা বলছেন, এমনিতেই ভারতে রপ্তানি বাড়ছিল। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গত অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন মাত্রা পেয়েছে। তার ফলেই রপ্তানি বাড়ছে।

অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ভারতে ১৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিলেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। আগস্টে তা বেড়ে ২২ কোটি ২৪ লাখ ডলারে ওঠে। সেপ্টেম্বরে তা আরও বেড়ে ২৪ কোটি ডলারে ওঠে। অক্টোবরে রপ্তানি হয়েছে ১৭ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য।

নভেম্বরে পণ্য রপ্তানি থেকে ১৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার আয় হয়েছে। সবশেষ ডিসেম্বরে ১৭ কোটি ১৭ লাখ ডলারের বিদেশি মুদ্রা দেশে এসেছে ভারতে পণ্য রপ্তানি থেকে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বৃহস্পতিবার দেশভিত্তিক পণ্য রপ্তানির হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) পণ্য রপ্তানি থেকে ২৭ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার আয় করে বাংলাদেশ। এ সংখ্যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি।

এ আয়ের মধ্যে ২৩ বিলিয়ন ডলার বা ৮৪ দশমিক ২০ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। ছয় মাসে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয় ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে সবচেয়ে বেশি

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা দেয়, জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ভারতে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এই ছয় মাসে ভারতে ১১৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আলোচ্য সময়ের মোট রপ্তানি আয়ের ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি।

ভারতে সার্বিক পণ্য রপ্তানিতে ৭ শতাংশের কিছু বেশি প্রবৃদ্ধি হলেও পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এ ছয় মাসে ভারতে রপ্তানি আয়ের অর্ধেকেরও বেশি ৫৫ কোটি ডলার এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। এর মধ্যে নিট পোশাক থেকে আসে ২৫ কোটি ৩১ লাখ ডলার; বেড়েছে ৫৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর ওভেন পোশাক রপ্তানি থেকে আসে ২৯ কোটি ৫৭ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি হয় ৪৪ দশমিক ৮০ শতাংশ।

অন্যান্য পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আসে ১১ কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার। গত অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে এসেছিল ১০ কোটি ৩৩ লাখ ডলার; বেড়েছে ১২ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আসে ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ৪ কোটি ২৩ লাখ ডলার।

কটন ও কটন প্রোডাক্টস থেকে এসেছে ১ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল এর চেয়ে একটু বেশি ২ কোটি ১২ লাখ ডলার। প্লাস্টিক পণ্য থেকে এসেছে ৩ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার ডলার। গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এসেছিল ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, একক দেশ হিসেবে পোশাক রপ্তানি থেকে সবচেয়ে বেশি বিদেশি মুদ্রা আসে যে দেশ থেকে, সেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ৪২৭ কোটি ৮৫ লাখ (৪ দশমিক ২৮ বিলিয়ন) ডলার আসে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১ দশমিক ১১ শতাংশ।

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে জার্মানিতে পোশাক রপ্তানি ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়ে ৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে ৷ স্পেন ও ফ্রান্সে রপ্তানি যথাক্রমে ১৭ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ৩৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার এবং ১ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়।

অন্যদিকে এ ছয় মাসে পোল্যান্ডে রপ্তানি ১৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে। যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় রপ্তানি যথাক্রমে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ২৮ দশমিক ৪২ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন এবং ৭৭ কোটি ৬১ লাখ ডলারে পৌঁছায়।

প্রচলিত বাজারগুলো ছাড়াও অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের মধ্যে ৩২ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে ৩ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জাপানে রপ্তানি ৪২ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়ে ৭৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলার হয়।

পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ কথা ঠিক যে, গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি রপ্তানি আয় দেশে এসেছে। এই দুই মাসে যে আয় এসেছে, সেগুলো কিন্তু আগের অর্ডারের। এখন কিন্তু অর্ডার অনেক কমে গেছে। আগামী দিনগুলোতেও অর্ডার বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’

তিনি বলেন, ‘ইপিবির তথ্যে দেখা যাচ্ছে, প্রধান দেশগুলোতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা গেলেও আগের মাসগুলোর তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে আগামী দিনগুলোতে প্রবৃদ্ধি আরও হ্রাস পেতে পারে। এমনকি কোনো কোনো বাজারে নেগেটিভ প্রবৃদ্ধিও দেখা দিতে পারে, তবে আশার কথা হচ্ছে, পাশের দেশ ভারতে আমাদের পোশাক রপ্তানিতে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।

‘এটা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি, তাহলে পোশাক শিল্পের জন্য খুবই ভালো হবে।’

গত দুই অর্থবছরে সব দেশেই বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে, তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভারতে।

অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে, যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ৫৫ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছিল প্রায় ৭২ কোটি ডলার (ওভেন ৪০ কোটি ও নিট ৩১ কোটি ৫৬ লাখ ডলার)।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে মাত্র তিনটি অর্থবছরে ভারতে পণ্য রপ্তানি ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলারের বেশি হয়েছে, তা-ও সেটা গত তিন বছরে। তার আগের বছরগুলোয় ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা ভারতে ১২৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেন, যা ছিল এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের চেয়ে এ আয় বেশি ছিল প্রায় ১৭ শতাংশ।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভারতের বাজারে ১২৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা কমে ১০৯ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার ডলারে নেমে আসে।

২০১১ সালে বাংলাদেশকে অস্ত্র ও মাদক বাদে সব পণ্যে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দেয় ভারত। যদিও সেই সুবিধা খুব বেশি কাজে লাগাতে পারছিলেন না বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। ২০১১ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশের বেশ কিছু কারখানার কাছ থেকে পোশাক নিয়ে টাকা দেয়নি ভারতীয় কোম্পানি লিলিপুট। সে জন্য বেশ কয়েক বছর পোশাক রপ্তানিতে ভাটা পড়ে, কিন্তু গত কয়েক বছরে ভারতের বিভিন্ন শহরে পোশাকের নামী বিদেশি অনেক ব্র্যান্ড বিক্রয়কেন্দ্র খোলায় তাতে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পায়।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এমনিতেই ভারতে আমাদের রপ্তানি বাড়ছিল। গত সেপ্টেম্বরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের মধ্য দিয়ে তা আরও বাড়ছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।

‘এটা আমাদের জন্য খুবই খুশির খবর। আশা করছি চলতি অর্থবছরে দেশটিতে আমাদের রপ্তানি তিন বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছাবে।’

গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্যের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই কাছাকাছি উৎস থেকে পণ্য সংগ্রহের দিকে মনোযোগ বাড়িয়েছে। আবার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অবকাঠামোগত যোগাযোগের উন্নতিও এ ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে।’

তিনি বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি আরও বাড়ানো সম্ভব। এর জন্য রপ্তানিকারকদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত মান পরিপালনের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে, তবে ভারতের বাজারে অনেক সময় অযৌক্তিকভাবে অশুল্ক বাধা আরোপ করা হয়।

‘এই বাধা দূর করার ক্ষেত্রে কূটনৈতিক যোগাযোগের পাশাপাশি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং রপ্তানিকারকদের নেগোসিয়েশন দক্ষতা বাড়াতে হবে।’

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের এ গবেষক আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ বর্তমানে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সেপা) স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

‘বাংলাদেশ যথাযথ নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে এ চুক্তি করলে ভারতে রপ্তানি আরও বাড়বে। একই সঙ্গে এ দেশে ভারতের বিনিয়োগ বাড়বে। ভারতের বিনিয়োগকারীদের উৎপাদিত পণ্য তাদের দেশে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে রপ্তানি হবে।’

আরও পড়ুন:
প্রত্যাশার চেয়েও রপ্তানি আয় বেশি আসছে: ফারুক
কঠিন সময়ে রপ্তানির চমক, রেকর্ড গড়ল ডিসেম্বর
পদ্মাপারের সবজি যাচ্ছে ইউরোপে
রপ্তানি শিল্পের কাঁচামাল: ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল
৫ মাসেই ভারতে রপ্তানি বিলিয়ন ডলার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Who does GM want top priority in controlling product prices?

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার চান জিএম কাদের

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার চান জিএম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ফাইল ছবি
জিএম কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করি। আমরা মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা বলেই যাব।’

সবার আগে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তিনি বলেন, একদিকে মূল্যস্ফীতির কারণে নিত্যপণ্য ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে, অন্যদিকে শতাধিক পণ্য ও সেবায় নতুন করে ভ্যাট আরোপ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।

এক বিবৃতিতে সোমবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন বা সংস্কার নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। মানুষের জীবন ও জীবিকা নিয়ে চিন্তা করার যেন কেউ নেই। টিসিবির ট্রাকের সামনে লাইন দিনে দিনে বড় হচ্ছে।

‘এখন প্যান্ট-শার্ট পড়েও স্বল্প দামে চাল-ডাল কিনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অসংখ্য মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছে। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম হওয়ায় অনেকেই ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে না পেরে একবুক কষ্ট নিয়ে খালি হাতে ঘরে ফিরছে।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কাছে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম কেনা দুঃস্বপ্নের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিভাবকরা সন্তান ও পরিজনের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছেন না। সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছেন না; কিনতে পারছেন না জীবন রক্ষাকারী ঔষধ।

‘এমন বাস্তবতায় সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা।’

জিএম কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করি। আমরা মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা বলেই যাব।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে সরকার দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।

আরও পড়ুন:
ক্রেতা হিসেবে নিজেও চাপে আছি: খাদ্য উপদেষ্টা 
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও আমাদের ধ্বংসের ষড়যন্ত্র থামেনি: জি এম কাদের
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা: উপদেষ্টা
‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিশেষ নজর রয়েছে’
শাসন ব্যবস্থাই সরকারকে দানবে পরিণত করে: জিএম কাদের

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Türkiye wants to increase the trade with Bangladesh to two billion dollars

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায় তুরস্ক

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায় তুরস্ক সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাতের সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাক্ষাৎ। ছবি: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাত বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি করে। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাত।

সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে এ সাক্ষাৎ হয়।

ওই সময় বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য দুই বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারে উন্নীত করার বিষয়ে আগ্রহের কথা জানান তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী।

সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের আকার বৃদ্ধি, বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগ সম্ভাবনা, হালাল ফুড সনদ প্রাপ্তি ও ইকোনমিক কমিশন গঠন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের জন্য ভাতৃপ্রতিম দেশ। বিভিন্ন খাতে দীর্ঘদিনের সহযোগিতার ইতিহাস রয়েছে বাংলাদেশ ও তুরস্কের। এর মধ্যে ব্যবসা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি অন্তর্ভুক্ত।

তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণকে উৎসাহিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তুরস্ককে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ হালাল রপ্তানিকারক দেশ উল্লেখ করে বাংলাদেশের হালাল খাবারের বাজার সম্প্রসারণে তুরস্কের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হালাল সনদ প্রাপ্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে তুরস্কের হালাল অ্যাক্রিডিটেশন অথরিটি ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের মধ্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হালাল সনদ প্রাপ্তি সহজ করবে। হালাল খাবার রপ্তানি দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করবে।

বাংলাদেশে বর্তমানে চমৎকার বিনিয়োগ পরিবেশ রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ এখন অনেক সহজ করা হয়েছে। বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধাও দিচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ওষুধ শিল্প, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, সেবা, নির্মাণশিল্প এবং তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

ওই সময় তিনি বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে তুরস্কের বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান।

তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাত বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি করে। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।

তিনি জানান, বর্তমানে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য মূলত টেক্সটাইল খাতকেন্দ্রিক। তুরস্ক বাংলাদেশে টেক্সটাইল খাতের বিভিন্ন যন্ত্র ও কেমিক্যাল রপ্তানি করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক তৈরি পোশাক আমদানি করে। তুরস্ক কেবল টেক্সটাইল খাতে সীমাবদ্ধ না থেকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বহুমুখীকরণ করতে চায়।

তিনি বাংলাদেশে রিনিউবল এনার্জি, গাড়ি নিমাণ শিল্প, ফার্মাসিটিক্যালস, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত, লজিসটিক্স ও নির্মাণ শিল্প খাতে তুরস্কের বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী মুস্তাফা তাজকু এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব ) মো. আবদুর রহিম খান।

আরও পড়ুন:
দি ইকোনমিস্টের ‘কান্ট্রি অফ দ্য ইয়ার’ বাংলাদেশ
একাত্তরের অমীমাংসিত সমস্যা মীমাংসা করুন: শাহবাজকে ড. ইউনূস
নির্বাচনি প্রস্তুতির অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত যুক্তরাষ্ট্রের
৬ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয় বাংলাদেশের
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বাইডেন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The first consignment of rice imported from India will reach Chittagong port on Thursday

ভারত থেকে আমদানিকৃত চালের প্রথম চালান চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে বৃহস্পতিবার

ভারত থেকে আমদানিকৃত চালের প্রথম চালান চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দরে ছড়িয়ে থাকা কনটেইনার। ছবি: বাসস
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হবে। এর প্রথম চালান আগামীকাল দেশে আসছে।

ভারত থেকে আমদানিকৃত ২৪ হাজার ৬৯০ টন সিদ্ধ চাল নিয়ে ‘এমভি তানাইস ড্রিম’ নামের জাহাজটি বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে।

এটি অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ভারত থেকে আমদানিকৃত চালের প্রথম চালান।

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হবে। এর প্রথম চালান আগামীকাল দেশে আসছে।

এরই মধ্যে আমদানিকৃত জাহাজ থেকে এসব চাল দ্রুত খালাসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানিয়েছে।

আরও পড়ুন:
ভারতকে ‘অসহযোগিতাকারী’ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করল যুক্তরাষ্ট্র
ভারতে আটক বাংলাদেশের ৬ জেলেকে বেনাপোলে হস্তান্তর
ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক মেঘ কেটে গেছে: রিজওয়ানা
র‍্যাবের অতীত অপরাধের জন্য ক্ষমা চাইলেন ডিজি, মানলেন আয়নাঘরের অস্তিত্ব
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে হাসিনার সমালোচনা সমর্থন করে না ভারত: বিক্রম মিশ্রি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Tax VAT exemption on edible oil to keep prices affordable at consumer level

দাম সহনীয় রাখতে ভোজ্যতেলে কর ও ভ্যাট অব্যাহতি

দাম সহনীয় রাখতে ভোজ্যতেলে কর 
ও ভ্যাট অব্যাহতি
এনবিআর জানায়, ভোজ্যতেল আমদানি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সম্পূর্ণ কর অব্যাহতির সুবিধা দেয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূসক ছাড়া অন্য কোনো শুল্ক-করাদি অবশিষ্ট নেই।

বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা এবং দাম সহনীয় পর্যায়ের রাখার লক্ষ্যে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানিতে বিদ্যমান সব আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি এবং অগ্রিম আয়কর অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সম্পূর্ণ কর অব্যাহতির এই সুবিধা দেয়া হয়েছে।

এনবিআর সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১৫ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত আলাদা তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এসব প্রজ্ঞাপনে সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা, সয়াবিন ও পামওয়েল বিক্রির ওপর স্থানীয় পর্যায়ে প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

এছাড়া এসব পণ্যের আমদানি পর্যায়ে প্রদেয় মূসক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূসক ছাড়া অন্য কোনো শুল্ক-করাদি অবশিষ্ট নেই। এ লক্ষ্যে সবশেষ তিনটি এসআরও জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এর আগে গত ১৭ অক্টোবর ও ১৯ নভেম্বর জারি করা শুল্ক-করাদি অব্যাহতির প্রজ্ঞাপন দুটি সয়াবিন ও পামওয়েলের ক্ষেত্রে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রযোজ্য ছিল। ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং ভোক্তাসাধারণের জন্য ভোজ্যতেলের মূল্য সহনীয় রাখার উদ্দেশ্যে সয়াবিন ও পামওয়েলের পাশাপাশি এবার অপরিশোধিত-পরিশোধিত সানফ্লাওয়ার তেল ও ক্যানোলা তেলের আমদানির ওপর বিদ্যমান শুল্ক-কর এবং মূসক কমানো হলো।

সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন ও পামওয়েলের ঊর্ধ্বমুখী দর বিবেচনায় নিয়ে রমজান মাসে পণ্যটির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে নতুন প্রজ্ঞাপন তিনটির মেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ রাখা হয়েছে।

সানফ্লাওয়ার তেল ও কেনোলা তেলের কাস্টমস ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি, আগাম কর ও অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় এবং মূল্য সংযোজন কর কমানোর কারণে এসব তেলের আমদানি ব্যয় লিটার প্রতি ৪০-৫০ টাকা কমবে।

এনবিআর আশা করছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নেয়া এসব পদক্ষেপে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে বাজার মূল্য সর্বসাধারণের জন্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।

আরও পড়ুন:
সাড়ে ৬ হাজার লিটার সয়াবিন জব্দ, জরিমানা
ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে সেই পুরোনো কৌশল
চেয়ারম্যানের ভাইয়ের দোকানে মিলল ‘ছিনতাইয়ের’ ৪৪ ড্রাম তেল
অবৈধ কারখানায় বোতলজাত করা হয় সয়াবিন
তেলের পুষ্টিগুণ নিশ্চিতের উদ্যোগ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
There was no choice but to import potatoes from India Trade Advisor

ভারত থেকে আলু আমদানি ছাড়া উপায় ছিল না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ভারত থেকে আলু আমদানি ছাড়া উপায় ছিল না: বাণিজ্য উপদেষ্টা বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন সোমবার সাভারের হরিণধরায় বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার পরিদর্শন করেন। ছবি: সংগৃহীত
শেখ বশির উদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশে ভারতের বাণিজ্য বিভিন্ন কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে আলুর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক। বর্তমানে দেশে পেঁয়াজ, সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমলেও চাল ও তেলের দাম বেড়েছে। অবশ্য বিশ্ববাজারেও নানা কারণে এসব পণ্যের দাম বেশি।’

কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী যে ঘাটতি ছিল, সেই ঘাটতি মোকাবিলা করতে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আলু আমদানি করা ছাড়া উপায় ছিল না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।

সোমবার সাভারের হরিণধরায় বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) পরিদর্শন শেষে ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তবে শুধু ভারত নয়, চীন ও পাকিস্তানসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকেও বাংলাদেশে পণ্য আমদানি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভারতের বাণিজ্য বিভিন্ন কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে আলুর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক। বর্তমানে দেশে পেঁয়াজ, সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমেছে। তবে চাল ও তেলের দাম বেড়েছে। শুধু দাম বাড়ছে- কথাটা সঠিক নয়, বিশ্ববাজারেও নানা কারণে এসব পণ্যের দাম বেশি।’

শেখ বশির উদ্দীন বলেন, ‘হাজারীবাগ থেকে যখন সাভারে ট্যানারি স্থানান্তর করা হয়, তখন থেকে (ট্যানারি) মালিকরা অনেক সমস্যায় ভুগছিলেন। কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের সুফল উদ্যোক্তারা ঠিকমতো পাননি। তাই আজ আমরা পরিদর্শন করে সমস্যা কোথায় কোথায় তা জানার চেষ্টা করেছি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে এবং আগামী কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ট্যানারির সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।’

শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাউদ্দিন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন খান, কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের (সিইটিপি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ নেওয়াজ, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আউয়াল নান্নু, বিটিএর সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহসহ আরও অনেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Sales of winter clothes have accumulated in Narayanganj

নারায়ণগঞ্জে জমে উঠেছে শীতবস্ত্র বিক্রি

নারায়ণগঞ্জে জমে উঠেছে শীতবস্ত্র বিক্রি নারায়ণগঞ্জের একটি ফুটপাতে শীতের কাপড় দেখছেন ক্রেতারা। ছবি: ইউএনবি
চাষাড়া হকার্স মার্কেট, সলিমুল্লাহ রোড, বঙ্গবন্ধু রোড, শায়েস্তা খাঁ রোডসহ নগরের বিভিন্ন প্রান্তে সড়কের পাশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পোশাকের পসরা বসিয়েছেন। 

নারায়ণগঞ্জে শীতের আমেজ বাড়তে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশার চাদরে ছেয়ে গেছে গ্রামাঞ্চলের পথঘাট।

জেলার শহরাঞ্চলে সকালের দিকে হালকা কুয়াশা দেখা যায়, তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বিলীন হয়ে যায়। রোদের দেখা মিললেও তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমে এসেছে। বাতাস শুষ্ক হয়ে উঠছে।

পরিবেশ ঠান্ডা হয়ে আসায় মানুষের পোশাক-আশাকেও আসছে পরিবর্তন। কানটুপি, হাত মোজা, সোয়েটার, জ্যাকেটসহ নানা রকম গা গরম রাখার কাপড় পরতে শুরু করেছেন অনেকেই। বাজারে বাড়তে শুরু করেছে শীতের পোশাকের চাহিদা।

নারায়ণগঞ্জে ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিপণি বিতানে ব্যবসায়ীরা শীতের পোশাক বিক্রি শুরু করেছেন।

চাষাড়া হকার্স মার্কেট, সলিমুল্লাহ রোড, বঙ্গবন্ধু রোড, শায়েস্তা খাঁ রোডসহ নগরের বিভিন্ন প্রান্তে সড়কের পাশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পোশাকের পসরা বসিয়েছেন।

শিশু, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধসহ প্রায় সব বয়সীদের জন্য মিলছে গা গরমের কাপড়। নতুন, পুরাতন উভয় ধরনের পোশাক মিলছে এখানে।

রঙিন সোয়েটার, ডেনিম-লেদার জ্যাকেট, উলের হাত মোজা, পায়ের মোজা, কানটুপি, শালসহ নানান পোশাক কিনছেন ক্রেতারা।

চাষাড়ায় হকার্স মার্কেটের সামনে বেশ কয়েকটি দোকানে শীতের পোশাক বিক্রি শুরু হয়েছে। দোকানগুলোতে ক্রেতারা ভিড় করছেন। বাছাই করে পছন্দের পোশাক কিনছেন তারা।

কেউ নিজের জন্য, কেউ সন্তানের জন্য অথবা কেউ বাবা-মায়ের জন্য পোশাক কিনছেন।

সকাল থেকে বেচাকেনা শুরু হয়। তবে সন্ধ্যার পর ক্রেতাদের ভিড় জমে যায় বলে জানান বিক্রেতারা।

তারা বলছেন, শীতের মৌসুম উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের পোশাক সংগ্রহ করা হয়েছে। ঠান্ডা পড়ায় মানুষের শীতের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় করেন দোকানগুলোতে।

দেশের নানা পোশাক কারখানা, চীন, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের পোশাক রয়েছে বিক্রেতাদের কাছে। মার্কেট, ফুটপাত উভয় জায়গাতেই শীতের গরম কাপড় বিক্রি শুরু হয়েছে।

মার্কেটগুলোতে কাপড়ের দাম বেশি থাকে। ফুটপাতে নতুন, পুরাতন বিভিন্ন রকমের কাপড় পাওয়া যায়। এসব দোকানে সাশ্রয়ী দামে বাছাই করে ভালো কাপড় নেওয়া যায়।

চাষাড়ায় দীপ হোসাইন ফাহিম নামের এক বিক্রেতা বলেন, ‘শীতের প্রথম থেকেই বেচাকেনার ধুম পড়ে। এ সময়টাতে ভালো বিক্রি হয়, শীতের শেষের দিকে পোশাক বিক্রি কম হতে থাকে। এবার চায়না, ফিলিপাইন থেকে ফুল স্লিভ ভেলভেট টি-শার্ট এনেছি। তরুণদের মধ্যে এর বেশ চাহিদা রয়েছে। তাই বিভিন্ন ডিজাইনের ভারী কাপড়ের টি-শার্ট সংগ্রহ করেছি। বেচাকেনা ইদানীং ভালো হচ্ছে।’

মো. সাইফুল ইসলাম নামে অপর এক বিক্রেতা বলেন, ‘শীত আসছে বলে সোয়েটার, জ্যাকেট, মোটা কাপড়ের ফুল স্লিভ টি-শার্টসহ নানা ধরনের শীতের পোশাক বিক্রি করছি। বিকাল চারটা থেকে এইখানে বসি রাত ১০টা পর্যন্ত। ‘আমাদের কাছে ছোট, বড় সব ধরনের সাইজের কাপড় আছে। বাচ্চা, নারী, পুরুষ সব বয়সের ও সব সাইজের কাপড় আছে। নিজের মতো করে ক্রেতাদের বেছে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘মার্কেট থেকে যে মোটা কাপড়ের গেঞ্জি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা রাখবে, সেটা আপনারা এইখানে ১০০ টাকায় পাবেন। বাইরের থেকে কাপড় এলে বেশির ভাগ কাপড় পাইকারিতে বিক্রি হয়। এ ছাড়াও আরেকটি অংশ ফুটপাতে বিক্রি হয়।’

মা ও মেয়েকে নিয়ে ফুটপাতে গরম কাপড় দেখছেন শিমু আক্তার। কাপড় দেখার মাঝে তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া অফিস থেকে বলেছে, এবার নাকি শীত বেশি পড়বে। তাই আমার মেয়ের জন্য শীতের পোশাক কিনব। সন্ধ্যায় আমার মা ও মেয়েকে নিয়ে বের হয়েছি। শীতের কাপড় ফুটপাত থেকে কেনা হয়। রিভারভিউ মার্কেট থেকেও কেনা হয়।

‘বড় বড় শপিং মলের চাইতে ফুটপাতেই কাপড় বেশি কেনা হয়। এখন চাষাড়ায় দোকানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছি। এইখানে কম দামে ভালো কাপড় পাওয়া যায়। দুটো দোকানে কাপড় দেখেছি। সামনে কয়েকটা দোকান দেখা বাকি।’

ফুটপাতের একটি স্টলে লেদার জ্যাকেট বাছাই করতে করতে জাহাঙ্গীর নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘জীবিকার তাগিদে আমি বহুদিন ধরে ইউরোপে বসবাস করছি। দেশে এসেছি কিছু দিন আগে। বিদেশে আবার ফিরতে হবে। সেখানে অনেক ঠান্ডা, তাই এখান থেকেই শীতের পোশাক নিয়ে নিচ্ছি।

‘আমি নিজ দেশের পোশাক পছন্দ করি, বিদেশি পোশাক খুব কম পরি। মূলত, আমাদের দেশের তৈরি পোশাকই বিদেশে যাচ্ছে। ব্র্যান্ডিং, সিল দিয়ে শুধু দাম বেড়ে যায়।’

লতা দেবনাথ নামে এক তরুণী বলেন, ‘শীত নেমেছে। তাই শীতের জন্য গরম কাপড়ের পোশাক কিনতে হবেই। বাবা-মায়ের জন্য পোশাক কেনাকাটা করতে হবে। তাই মাকে সঙ্গে নিয়ে কাপড় কিনতে এসেছি।

‘ফুটপাতে দামের তুলনায় ভালো শীতের কাপড়-চোপড় পাওয়া যায়। বেশ কয়েকটি কালেকশনও আছে। সময় নিয়ে বাছাই করে কাপড় নিতে হয়।’

তাসমিয়া আক্তার নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘শীত এসে পড়েছে, তাই বাচ্চাদের ও স্বজনদের জন্য গরম কাপড় কিনতে বেরিয়েছি। ফুটপাত ও শপিং মল দুই জায়গাতেই পোশাকের কেনাকাটা হয়। পছন্দমতো স্বল্প দামে ভালো কাপড় নেয়ার চেষ্টা করি। চাষাড়ায় ফুটপাতে দোকানগুলো দেখছি। ভালো কাপড় পেলে নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হককে খালাস
পোশাক শিল্প এখন স্থিতিশীল, ক্রেতার আস্থা ফিরছে: বিজিএমইএ
আশুলিয়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ৩০
শ্রমিক অসন্তোষ, আশুলিয়ায় শনিবারও বন্ধ ২২ কারখানা
পোশাক শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The government will buy essential commodities including edible oil LNG fertilizer

ভোজ্যতেল, এলএনজি, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনবে সরকার

ভোজ্যতেল, এলএনজি, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনবে সরকার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো ও চারটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। ছবি: ইউএনবি
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্ট বলেন, ‘আমরা তাড়াতাড়ি প্রসেস করে, যৌক্তিক যে জিনিসগুলো ক্রয় করা প্রয়োজন, সেগুলো অনুমোদন দিয়ে থাকি। আজকে আমরা বিভিন্ন ধরনের সার কেনার অনুমোদন দিয়েছি। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছি।’

স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে মসুর ডাল, খোলা সয়াবিন তেল, পাম অয়েল, এলএনজি, সার এবং ক্রুড ও পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম তেল কিনবে সরকার।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে বুধবার দুপুরে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত আলাদা তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক ছাপার অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্ট বলেন, ‘আমরা তাড়াতাড়ি প্রসেস করে, যৌক্তিক যে জিনিসগুলো ক্রয় করা প্রয়োজন, সেগুলো অনুমোদন দিয়ে থাকি। আজকে আমরা বিভিন্ন ধরনের সার কেনার অনুমোদন দিয়েছি। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে নবম, দশম শ্রেণির পাঠ্যবই মুদ্রণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পাঠ্যবই আমরা শিগগিরই চাচ্ছি। জানুয়ারির মধ্যে আমরা পাঠ্যবই করে ফেলতে বলেছি। চেষ্টা করবে, তবে জানুয়ারির মধ্যে হয়তো সবগুলো করে ফেলতে পারবে না।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, খোলাবাজারে বিক্রয় কর্মসূচির জন্য ১০ হাজার টন মসুর ডাল, ৩৮ লাখ ১০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল ও ১ লাখ ১০ হাজার লিটার পাম অয়েল কিনবে ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি)।

রাজশাহীর নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে টিসিবির জন্য ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯৫ টাকা ৯৭ পয়সা। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে সয়াবিন তেল কেনা হবে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ধরা হয়েছে ১৪০ টাকা। ৩৮ লাখ ১০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল কিনতে ব্যয় হবে ৫৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

টিসিবির জন্য পাম অয়েলও কেনা হবে এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকেই। ১ কোটি ১০ লাখ লিটার খোলা পাম অয়েলের প্রতি লিটার ১৩০ টাকা দরে মোট ব্যয় হবে ১৪৩ কোটি টাকা।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করবে বাংলাদেশ অয়েল গ্যাস অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)।

৭০৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রতিটি এমএমবিটিইউ ১৫.০২ ডলারে এলএনজি সরবরাহ করবে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড।

এ ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (এডিএনওসি) থেকে ৫ হাজার ২০৮ কোটি ৩৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬ লাখ টন মুরবান ক্রুড পেট্রোলিয়াম (এএলসি) আমদানি করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।

বৈঠকে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে।

ইউনিপেক সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড, ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, সিঙ্গাপুর অ্যান্ড কোং ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেড, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা পরিশোধিত পেট্রোলিয়ামের খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭০ কোটি ১৬৪ লাখ টাকা।

প্রস্তাবে পেট্রোলিয়ামের পরিমাণের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

সৌদি আরবের এসএবিআইসি এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ২২৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করবে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ১০৪ কোটি ৩১ লাখ টাকায় জেএসসি ফরিন ইকোনমিক করপোরেশন ‘প্রোডিন্টর্গ’ থেকে ৩০ হাজার টন এমওপি সার, মরক্কোর ওসিপি থেকে ২৮০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার এবং মরক্কো থেকে ২৫২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা মূল্যে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানি করবে।

এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের জন্য পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও সরবরাহের জন্য বিভিন্ন সরবরাহকারীকে চুক্তি প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

আরও পড়ুন:
প্রথমবারের মতো ভারত থেকে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে নারী ট্রাকচালক
‘রূপান্তর’ নাটক ইস্যুতে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ালটনের নোটিশ, চুক্তি বাতিল
সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ হিরো বাংলাদেশের
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এলো কল্লোল গ্রুপ
‘চোরাই পণ্যবাহী’ গাড়ির কারণে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক এখন মরণফাঁদ

মন্তব্য

p
উপরে