× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
The policy of export of agricultural products
google_news print-icon

কৃষিপণ্য রপ্তানির নীতিমালা হচ্ছে

কৃষিপণ্য-রপ্তানির-নীতিমালা-হচ্ছে
কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য বাছাই করছেন কয়েকজন কর্মী। ফাইল ছবি
‘কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করতে হলে অবশ্যই আমাদের একটি প্রসেসের মাধ্যমে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রক্রিয়াজাতকরণ যেন আধুনিক হয়, মানসম্মত হয়। সেজন্য একটা নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন।’

প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি করতে একটি নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার হওয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেখ হাসিনা এ নির্দেশ দেন।

পরে সচিবালয়ে বিস্তারিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কৃষি বিপণন নীতিমালা আছে। তবে কৃষিপণ্য রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণের কোন নীতিমালা নেই। সারা বিশ্বে এখন বাংলাদেশের কৃষিজাতপণ্যের বাজার তৈরি হয়েছে।

‘বিদেশে বাংলাদেশের কমিউনিটি যারা আছেন তারা কৃষিপণ্য ব্যবহারের সুযোগ পান না। বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনে অনেকে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এর ফলে দিন দিন একটা বাজার তৈরি হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করতে হলে অবশ্যই আমাদের একটি প্রসেসের মাধ্যমে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রক্রিয়াজাতকরণ যেন আধুনিক হয়, মানসম্মত হয়। সেজন্য একটা নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানির জন্য, মূলত রপ্তানিকে ফোকাস করেই এই নীতিমালা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ট্রাকে চাঁদাবাজি বন্ধ চান কৃষিমন্ত্রী
প্রযুক্তি, ভালো জাত আর দামে কৃষিতে সুদিন
কৃষিপণ্য রপ্তানিতে লক্ষ্য ২ বিলিয়ন ডলার
রপ্তানিতে নতুন আশা কৃষিপণ্য
কৃষিপণ্য রপ্তানিতে সরকারের গুরুত্ব

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Livestock advisor calls for egg to be declared essential food

ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য ঘোষণার আহ্বান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার

ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য ঘোষণার আহ্বান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) শুক্রবার দুপুরে বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৪ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: ইউএনবি
ডিমের উৎপাদন বাড়াতে গ্রামের নারীদের হাঁস-মুরগি পালনে উৎসাহিত করতে আহ্বান জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, ‘আগে গ্রামীণ নারীরা হাঁস-মুরগি পালন করতেন। গ্রামেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করতেন। এতে তারা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারতেন। ‘সেই অবস্থা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।’

ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ডিম সহজলভ্যতার দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ডিম প্রাপ্যতার কোনো বৈষম্য থাকবে না। সব শ্রেণি-বর্ণ নির্বিশেষে যাদের ডিম বেশি দরকার, তাদের জন্য তা সরবরাহ করতে হবে।

তিনি জানান, ডিমের মূল্য কমাতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) শুক্রবার দুপুরে বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৪ আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

ডিমের উৎপাদন বাড়াতে গ্রামের নারীদের হাঁস-মুরগি পালনে উৎসাহিত করতে আহ্বান জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, ‘আগে গ্রামীণ নারীরা হাঁস-মুরগি পালন করতেন। গ্রামেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করতেন। এতে তারা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারতেন। ‘সেই অবস্থা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বছরের আশ্বিন-কার্তিক মাসে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় ডিমের চাহিদা বাড়ে। ডিম সাধারণ খামারি থেকে কয়েক দফা হাত বদল হয়ে ভোক্তার কাছে যায়। এ কারণেই ডিমের দাম বেড়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘এ জন্য উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত সরাসরি কীভাবে ডিম পৌঁছানো যায়, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। এ ছাড়া রমজানে ডিমের ব্যবহার কমে যায়।

‘তাই মজুত নয়, চাহিদার আলোকে আমাদের কোল্ডস্টোরেজ করার চিন্তা করতে হবে। বন্যার কারণে দেশের অনেক খামার নষ্ট হয়েছে। এসব খামার উৎপাদনে যেতে কিছুটা সময় লাগছে। সব মিলিয়ে সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে।’

সিন্ডিকেটের কারণে ডিমের মূল্য বাড়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে সরকার। বাজারে নিয়মিত অভিযান চলছে। পাইকারিতে কিছুটা দাম কমেছে। দ্রুতই দাম নাগালে আসবে।’

আরও পড়ুন:
শেখ হা‌সিনা ভারতে না অন্য কোথাও, জানে না সরকার
পূজার নিরাপত্তা নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে উস্কানিমূলক খবর প্রচার হচ্ছে
সাত প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি
অংশীজনের পরামর্শের ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন: তথ্য উপদেষ্টা
সরকার বিদেশি অর্থায়নের প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Floods Crop loss of Rs 500 crore in Sherpur leaves farmers distraught

বন্যা: শেরপুরে ৫০০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি, দিশেহারা কৃষক

বন্যা: শেরপুরে ৫০০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি, দিশেহারা কৃষক শেরপুরে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া ফসলের মাঠ। ছবি: নিউজবাংলা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, ‘এবারের বন্যায় প্রায় দুই লাখ কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।  ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে তাদের সার-বীজ দেয়া হবে। এ ছাড়া কৃষকদের প্রণোদনা দেয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে।’

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় শেরপুরের পাঁচ উপজেলায় ৫০০ কোটি টাকার বেশি ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

জেলায় ফসল হারিয়ে দিশেহারা কৃষকরা। সরকারি সহযোগিতা ছাড়া ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।

প্রতি বছর শেরপুর জেলা খাদ্যে উদ্বৃত্ত হলেও এবার খাদ্য ঘাটতি হবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শেরপুরের মানুষ। এবারের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক, বাড়িঘর, প্রাণিসম্পদ ও ফসলি জমি, তবে এখনও পানিবন্দি রয়েছে নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার।

জেলায় দুর্ভোগে রয়েছেন পানিবন্দি এলাকার মানুষজন। খাদ্য উদ্বৃত্তের এ জেলার কৃষকরা এবার অর্ধেক ফসলও উৎপাদন করতে পারবে না।

অনেক কৃষকের দাবি, তার ঋণ নিয়ে আবাদ করেছেন। এখন সে ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

ঝিনাইগাতীর কৃষক আমনচাষি কবির বলেন, ‘ঋণ নিয়ে আবাদ করছি। এহন তো সব শেষ। ঋণই বা কেমনে দিমু আর এ বছর পোলাপান নিয়া চলমু কেমনে।’

ঝুলগাঁওয়ের আমিনুল বলেন, ‘আবাদ তো করছি কর্জ কইরা। এহন পানির বিল কেমনে দিমু? ধান বেইচ্চা দেয়ার কথা আছিল।’

দড়িকালীনগর গ্রামের রমিজ মিয়া বলেন, ‘চড়া সুদে ঋণ নিয়া ৫০ বিঘা জমিতে আবাদ করছিলাম। ৮৮ সালের পর এত ভয়াবহ বন্যা আমরা কখনো দেহি নাই।

‘সব ধান শেষ আমার। এক ছটাক ধান বাড়ি নিয়া যাবার পামু না। আর ঋণ তো এহন বোঝা। কেমনে কী করি, আল্লাহ জানে।’

জেলার প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির সবজির আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গরজরিপাড়ের হামিদুল বলেন, ‘অনেক স্বপ্ন নিয়া শিম লাগাইছিলাম। বানের পানি সব শেষ করে দিছে।’

ধার-কর্জের মূলধন সব হারিয়ে দিশেহারা বলে জানান তিনি।

ঝুলগাঁওয়ের সামাদ মিয়া বলেন, ‘লাউ লাগাইছিলাম ৪ কাঠা জমিনে। সব পানির নিচে। আমরা সরকারি সহযোগিতা চাই। তা না হলে আর বাঁচন নাই।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় এবার প্রায় ৯২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছিল। বন্যায় রোপা-আমন, সবজি ও আধা চাষে ৩২ হাজার ১৫৭ হেক্টর জমির আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এবার ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬ টন চাল। ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৯১০ টন ধানক্ষেতের। জেলায় সব মিলিয়ে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, ‘অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চলতি আমন আবাদের ৪৭ হাজার হেক্টর জমির আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সবজি আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার হেক্টর, তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা। বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণ সম্ভব হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এবারের বন্যায় প্রায় দুই লাখ কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে তাদের সার-বীজ দেয়া হবে। এ ছাড়া কৃষকদের প্রণোদনা দেয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে।’

আরও পড়ুন:
বন্যা: শেরপুরে গবাদি পশুর খাদ্য সংকট
বন্যা: শেরপুরে ভেসে গেছে ৭১ কোটি টাকার মাছ
শেরপুরে বন্যার্তদের পাশে সেনাবাহিনী
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ
বন্যা: শেরপুরে প্রাণহানি বেড়ে ৭, পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
In Meherpur 4 days of rain caused crop damage of about 5 thousand hectares 

মেহেরপুরে ৪ দিনের বৃষ্টিতে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি 

মেহেরপুরে ৪ দিনের বৃষ্টিতে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি  মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান মাঠে বৃষ্টিতে ফসলের অবস্থা। কোলাজ: নিউজবাংলা
গাংনী উপজেলার কৃষক মামুন আলী বলেন, ‘আমার চার বিঘা জমিতে মরিচের আবাদ ছিল। গাছগুলো থেকে কেবল সপ্তাহখানেক হবে মরিচ সংগ্রহ করা শুরু করেছি। এমন সময় টানা চার দিনের বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে গাছের গোড়া সব ডুবে গেছে।’

মেহেরপুরে টানা চার দিন বৃষ্টি শেষে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহওয়ায় দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়া মাঠের ফসল।

জেলায় অনেক ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। পানি কমে যাওয়ায় বতর্মানে দেখা মিলেছে জমিতে থাকা ফসলের, যার অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে।

বৃষ্টিতে জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উঠতি সবজির।

কৃষকরা জমি থেকে পানি বের করে, কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করে ফসল রক্ষার্থে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে তেমন একটা সুফল মিলছে না।

মেহেরপুরের তিনটি উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পানিতে নুয়ে পড়েছে ধানক্ষেত, ভেঙে পড়েছে কলা, পেঁপে, করলা, চিচিঙ্গা, শসা, ওল, লাউয়ের গাছ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কাঁচামরিচ, মাসকলাই ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের।

কৃষকদের ভাষ্য, উঠতি বাঁধাকপি, ফুলকপি, মরিচের ক্ষেত থেকে পানি নেমে গেলেও রোদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পচন ধরার আশঙ্কা রয়েছে। এ সবজিগুলো আর ঘরে উত্তোলন করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। এতে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

জমি থেকে পানি বের করে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করে ফসল বাঁচানোর চেষ্টা করছেন অধিকাংশ কৃষক। তারপরও চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালে।

কৃষকরা ফসল বাঁচাতে কতটুকু সফল হবেন, তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। আবার রয়েছে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা।

জেলা কৃষি বিভাগের প্রাথমিক ধারণা, মেহেরপুর জেলায় ৪২ হাজার হেক্টর ফসলি জমির মধ্যে চার হাজার ৮৭২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গাংনী উপজেলার কৃষক মামুন আলী বলেন, ‘আমার চার বিঘা জমিতে মরিচের আবাদ ছিল। গাছগুলো থেকে কেবল সপ্তাহখানেক হবে মরিচ সংগ্রহ করা শুরু করেছি। এমন সময় টানা চার দিনের বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে গাছের গোড়া সব ডুবে গেছে।

‘আর গত দুই দিন বৃষ্টি বন্ধ হয়েছে ঠিকই, তবে জমির অধিকাংশ গাছ মরে যেতে শুরু করেছে। এখন যে অবস্থা জমির তিন ভাগ গাছ মরে যাবে।’

আরেক কৃষক আবদুস সালাম বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে ফুলকপির চাষ করেছিলাম। সপ্তাহ দেড়েকের মধ‍্যেই কপি বাজারে তুলতে পারতাম। অথচ টানা বৃষ্টিতে কপির জমিতে পানি জমে যাওয়ায় সব গাছ নিস্তেজ হয়ে মরতে শুরু করেছে।’

কলাচাষি কামাল হোসেন বলেন, ‘আমার চাষিদের কাছ থেকে ২০ বিঘা কলার বাগান কেনা আছে। টানা চার দিনের বৃষ্টির সাথে বাতাস থাকায় গাছের গোড়া নরম হয়ে বাতাসে সব গাছ নুয়ে পড়েছে মাটিতে। ফলে এ বছর লোকসানে পড়তে হবে।’

ধানচাষি গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমি ধান কেটে জমিতেই সারিবদ্ধ করে রাখছিলাম। জমির অর্ধেক ধান কাটা হয়েছে। এমন সময় শুরু হয় বৃষ্টি, যা চলে টানা চার দিন।

‘জমিতে পানি জমায় সব ধান তলিয়ে যায়। এখন পানি নামলেও ধানের সব গাছ বের হয়ে গেছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মেহেরপুর জেলার উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, দুই-তিন দিন পর ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হবে।

জমি থেকে পানি বের করে দেয়ার পরামর্শের পাশাপাশি এ সময়ে ক্ষেতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ না করার পরামর্শ এ কর্মকর্তার।

এ অঞ্চলের আবহওয়ার তথ‍্য নির্ণয়কারী চুয়াডাঙ্গা আবহওয়া অফিসের কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘এ অঞ্চলে বিগত চার দিনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৩৮ মিলিমিটার, তবে আগামী দুই-এক দিনে আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।’

আরও পড়ুন:
দেশের কোথাও কোথাও অতি ভারি বৃষ্টির আভাস
বৃষ্টি: কক্সবাজারে তিন মরদেহ উদ্ধার, ৭০ জেলে নিখোঁজ
গাংনীতে সাপের দংশনে স্কুলছাত্রের মৃত্যু 
হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে সব বিভাগে
ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে ৬ বিভাগে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Gomra village of Kankrol

কাঁকরোলের গ্রাম ঝিনাইগাতীর ‘গোমড়া’

কাঁকরোলের গ্রাম ঝিনাইগাতীর ‘গোমড়া’ ঝিনাইগাতির গোমড়া গ্রাম জুড়ে কাঁকরোল বাগানের সবুজ সৌন্দর্য। ছবি: নিউজবাংলা
ভারতের মেঘালয় রাজ্যঘেঁষা গারো পাহাড়ের জেলা শেরপুর। এখানে ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের একটি গ্রাম ‘গোমড়া’। এই গ্রামের চারশ’ একর জমিতে প্রায় ১২শ’ কৃষক কাঁকরোল চাষকে তাদের জীবিকার অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

নানা ধরনের সবজির মধ্যে বিশেষ একটি জায়গা দখল করে আছে ‘কাঁকরোল’। আর ব্যাপকভাবে এই সবজির চাষ হচ্ছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পাহাড়ি গ্রাম গোমড়ায়। গ্রামটিতে বসবাসকারী সবাই বিভিন্ন সবজির আবাদ করেন, যার মধ্যে কাঁকরোল অন্যতম। তাই গোমড়া গ্রামটি এখন ‘কাঁকরোল গ্রাম’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

ভারতের মেঘালয় রাজ্যঘেঁষা গারো পাহাড়ের জেলা শেরপুর। এখানে ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের একটি গ্রাম ‘গোমড়া’। এই গ্রামের চারশ’ একর জমিতে প্রায় ১২শ’ কৃষক কাঁকরোল চাষকে তাদের জীবিকার অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

কাঁকরোলের গ্রাম ঝিনাইগাতীর ‘গোমড়া’

সরজমিনে জানা যায়, এই এলাকায় কয়েক বছর আগেও পানি ও বিদুতের অভাবে বহু জমি পতিত ছিলো। এখন এ দুটি সুবিধা পাওয়ায় আর পতিত পড়ে থাকছে না এসব জমি। কৃষি বিভাগের সহায়তা ও পরামর্শে গ্রামের প্রায় সবাই নিজের কিংবা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে মৌসুমী সবজি চাষ করছেন।

শরৎ ঋতুর এই সময়টাতে পুরো এলাকার সবজির ক্ষেত কাঁকরোলে ছেয়ে গেছে। যদিও এসব ক্ষেতে গরম ও শীতের আগাম সবজি বেশি আবাদ করেন স্থানীয়রা। এখানকার উৎপাদিত সবজির মান ভালো হওয়ায় স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। স্থানীয় বাজারে কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।

গোমড়া গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগে এই এলাকায় পানির জন্য প্রায় সব জমিই পতিত থাকতো। কিন্তু এখন বিদ্যুৎ আসায় পানি সমস্যার সমাধান হয়েছে। আবাদের আওতায় এসেছে অনেক জমি।

‘আমরা মৌসুমভিত্তিক সবজির আবাদ করে থাকি। আমরা এখন সবজির মধ্যে কাঁকরোল লাগিয়েছি। সবজি আবাদ করে এলাকার কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।’

কৃষক হরমুজ আলী বলেন, ‘এটা পাহাড়ি এলাকা। এই এলাকায় আমরা সবজির আবাদই করি। আমি ৫০ শতাংশ জমিতে কাঁকরোল লাগাইছি। আমি এবার কাঁকরোল বিক্রি করে অনেকটা লাভবান হয়েছি। পোলাপানের লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছি। পাঁচ সদস্যের সংসার চলছে এই সবজি আবাদ করেই।’

কাঁকরোলের গ্রাম ঝিনাইগাতীর ‘গোমড়া’

কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা পাহাড়ের মানুষ। আগে কী যে কষ্ট করছি! মানষের জমিতে সারাদিন কাম করে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পাইছি। কোনো কোনোদিন কামও পাইতাম না। এই টাকা নিয়া বাজার করবার গেলে কষ্ট হইছে। এখন বাড়ির পাশে রহমত ভাইয়ের জমিন বাগি (বর্গা) নিয়া শুরু করছি কাঁকরোলের চাষ। এখন আল্লাহর রহমতে নিজেরা ভালা আছি।’

তবে স্থানীয় চাষিদের অভিযোগ রয়েছে গ্রামের রাস্তা-ঘাট কাঁচা নিয়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় সবজির ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

কৃষক হারুন মিয়া বলেন, ‘আমাদের এদিকে কাঁচা রাস্তা হওয়ায় আমরা সবজি বাজারে তুলতে পারি না। নিলেও খরচ অনেক পড়ে যাওয়ায় লাভ কম হয়। সময়মতো বাজারে না নেয়ায় সঠিক দামও পাই না। আমরা কৃষকরা অবহেলিত।’

কৃষক খাইরুল বলেন, ‘এই এলাকার গ্রামীণ রাস্তাগুলো পাকা করলে আমাদের খুব উপকার হবে। আমরা কৃষকরা সবজি আবাদ করে দামটা বেশি পাইতাম। খারাপ রাস্তায় সব গাড়ি সহজে আসবার চায় না। আসলেও ভাড়া বেশি পইড়া যায়। এজন্য লাভটা কম হয়।’

যেভাবে চাষ

কাঁকরোলের বীজ কাঁকরোল গাছের নিচে হয়ে থাকে, যা দেখতে মিষ্টি আলুর মতো। মার্চ ও এপ্রিলে এই সবজির চাষ করা হয়। চারা গজানোর ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যেই এর ফলন পাওয়া সম্ভব। কাঁকরোল লতানো গাছ। স্ত্রী ফুল ও পুরুষ ফুল একই গাছে হয় না। তাই বাগানে দু’ধরনের গাছ না থাকলে পরাগায়ন ও ফলন কম হয়।

চাষে খরচ ও লাভ কেমন

কৃষকেরা বলছেন, কাঁকরোল চাষে বিঘাপ্রতি খরচ পড়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘায় খরচ লাখ টাকার উপরে লাভ হয়ে থাকে।

কাঁকরোলের উপকারিতা

কাঁকরোল অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি৷ এতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস, ক্যারোটিন, আমিষ, ভিটামিন এ, বি ও সি এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে৷ কাঁকরোলে ভিটামিন সি থাকায় শরীরের টক্সিন দূর করে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

কাঁকরোলে আছে বিটা ক্যারোটিন ও আলফা ক্যারোটিন, যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না; ত্বককে করে উজ্জ্বল। এছাড়া কাঁকরোলের ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।

কাঁকরোলের গ্রাম ঝিনাইগাতীর ‘গোমড়া’

ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার জানান, পাহাড়ের পাদদেশে কাঁকরোলের পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের সবজির আবাদ হয়ে থাকে। সবজি চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। এই সবজি কৃষক সরাসরি ঢাকার বাজারে পাঠাচ্ছে। সবজির মান ভালো হওয়ায় কৃষক দামও পাচ্ছে ভালো।

‘আমি মনে করি অন্যান্য কৃষি উদ্যোক্তা জমি ফেলে না রেখে মৌসুমভিত্তিক সবজি আবাদ করলে অবশ্যই লাভবান হবে। এ বছর এই উপজেলায় ৭০ হেক্টর জমিতে কাঁকরোলের আবাদ হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতসহ উফশী চার ধানে নতুন সম্ভাবনা
পেঁয়াজ কেন আমদানি করতে হয়, জানালেন কৃষিমন্ত্রী
তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টিতে পঞ্চগড়ে মরিচচাষীদের স্বপ্নভঙ্গের শঙ্কা
দাবদাহ বাড়াচ্ছে পানির সংকট, আম-লিচু চাষিদের মাথায় হাত
বোরো উৎসবে মেতেছে কুমিল্লা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Agriculture group admission test postponed

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত জবিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার একটি কেন্দ্র। ছবি: নিউজবাংলা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতক শ্রেণির আগামী ২০ জুলাই অনুষ্ঠেয় ভর্তি পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে।’

কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হলে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী সময়ে তা জানিয়ে দেয়া হবে।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে সোমবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতক শ্রেণির আগামী ২০ জুলাই অনুষ্ঠেয় ভর্তি পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে।’

এর আগে বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম লুৎফুল আহসানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির জুম সভায় পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ও সময়সূচি পরবর্তী সময়ে জানানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলমান থাকায় এ গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা পিছিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভর্তি সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম লুৎফুল আহসান বলেন, ‘প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে। এতে ক্লাস-পরীক্ষা, দাপ্তরিক এবং প্রশাসনিক সকল কাজই বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়।’

এর আগে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের কৃষি গুচ্ছের নেতৃত্ব দিয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)। এবার ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্ব দিচ্ছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়।

বিগত বছরগুলোতে আটটি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও এবার নতুন করে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর অনুমোদন পাওয়া একটি বিশ্ববিদ্যালয় এ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত হয়েছে।

কৃষি গুচ্ছে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও এনিম্যাল সাইন্স ইউনিভার্সিটি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নিচ্ছে। এতে মোট আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৭১৮টি। গত বছর আসন সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৫৪৮টি।

গত বছরের তুলনায় এবার আসন বেড়েছে ১৭০টি।

এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩৫টি, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৯৮টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৮টি, চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস ইউনিভার্সিটিতে ২৭০টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০টি আসন রয়েছে।

এর আগে ১৭ এপ্রিল কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছিল গত ২২ এপ্রিল। শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩০ মে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সেটি আরও ৬ দিন বাড়ানো হয়, যা শেষ হয় ৫ জুন।

এবারের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ২০০ টাকা। এবার কৃষি গুচ্ছে ৭০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৩ সালের এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী (ইংরেজি ১০, প্রাণিবিজ্ঞান ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞান ১৫, পদার্থবিজ্ঞান ২০, রসায়ন ২০ এবং গণিত ২০) ১০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। সারা দেশের মোট আটটি কেন্দ্রে কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী, ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ। কেন্দ্রগুলোতে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন:
১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ক্লাস শুরুর আশ্বাস জবি উপাচার্যের
গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় কুবিতে উপস্থিত ৮৭%
ফরিদপুরে পরীক্ষামূলক আঙুর চাষে সাফল্য
বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতসহ উফশী চার ধানে নতুন সম্ভাবনা
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটে উত্তীর্ণ ৩৬.৩৩ শতাংশ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Will export rice in future Food Minister 

ভবিষ্যতে চাল রপ্তানি করব: খাদ্যমন্ত্রী 

ভবিষ্যতে চাল রপ্তানি করব: খাদ্যমন্ত্রী  নওগাঁর সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রোববার রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি: নিউজবাংলা
মন্ত্রী বলেন, ‘বিগত দুই বছর সরকার চাল আমদানি করেনি। এবারও চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না।’ 

বাংলাদেশ থেকে ভবিষ্যতে চাল রপ্তানি করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

নওগাঁর সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রোববার রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আশার কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা চাল রপ্তানি করব।’

তিনি বলেন, ‘বিগত দুই বছর সরকার চাল আমদানি করেনি। এবারও চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না।’

কৃষি প্রণোদনা সরকারের পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি প্রণোদনা দিয়ে, ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কৃষিকে প্রযুক্তিবান্ধব করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

‘যে প্রণোদনা আজ বিতরণ করা হচ্ছে সেটা সঠিক ব্যবহার হলে বেশি জমিতে চাষাবাদ হবে আর উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।’

কৃষিপণ্যের মূল্য নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলা হচ্ছে, কিন্তু কৃষকের উৎপাদন খরচের খবর কেউ নিচ্ছে না।

‘দাম বাড়লে ভোক্তার সমস্যা আর পণ্যের দাম কমলে কৃষকের সমস্যা। উৎপাদন খরচ না উঠলে কৃষক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবেন।’

এর আগে মন্ত্রী সাপাহার উপজেলা পরিষদ চত্বরে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধনের পাশাপাশি স্টল পরিদর্শন করেন।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের দাবি নওগাঁর তরুণদের
নওগাঁয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মূত্রথলিতে পাথর রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ
৮০ কিলোমিটার সড়কে ৩ লাখ তালগাছ রোপণের দাবি বেলালের
কাফনের কাপড়ের সঙ্গে হত্যার হুমকির চিরকুট, অভিযোগ যুবলীগ নেতার
রাণীনগরে নতুন মুখ রাহিদ, আত্রাইয়ে পুনর্নির্বাচিত এবাদুর

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
22 people are getting AIP award in agriculture

কৃষি ক্ষেত্রে এআইপি সম্মাননা পাচ্ছেন ২২ জন

কৃষি ক্ষেত্রে এআইপি সম্মাননা পাচ্ছেন ২২ জন এআইপি সম্মাননার পোস্টার। ছবি: বাসস
আগামী ৭ জুলাই, রোববার সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২১ সালের এআইপি পুরস্কার প্রদান করা হবে। এতে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুস শহীদ প্রধান অতিথি এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। ২০২২ ও ২০২৩ সালের এআইপি নির্বাচনের কাজ চলমান।

কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা-২০২১ পাচ্ছেন ২২ জন।

বাসস জানায়, এআইপি নীতিমালা ২০১৯-এর আলোকে কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৫ ক্যাটাগরিতে তারা নির্বাচিত হয়েছেন।

কৃষি মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। তার আলোকে ২০২০ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে এ সম্মাননা। ২০২০ সালে এআইপি পেয়েছিলেন ১৩ জন।

আগামী ৭ জুলাই, রোববার সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২১ সালের এআইপি পুরস্কার প্রদান করা হবে। এতে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুস শহীদ প্রধান অতিথি এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। ২০২২ ও ২০২৩ সালের এআইপি নির্বাচনের কাজ চলমান।

স্বীকৃত বা সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত কৃষি সংগঠন শ্রেণিতে তিনজনকে এআইপি নির্বাচিত করা হয়েছে। তারা হলেন কৃষিবিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাইখ সিরাজ, পরিবেশবিষয়ক সংগঠক চট্টগ্রামভিত্তিক সংগঠন তিলোত্তমার প্রতিষ্ঠাতা সাহেলা আবেদীন ও সমবায় উদ্যোক্তা সাতক্ষীরার ধানদিয়া সিআইজি মহিলা সমবায় সমিতির সভাপতি শিখা রানী চক্রবর্তী।

জাত বা প্রযুক্তি উদ্ভাবন শ্রেণিতে নির্বাচিত ব্যক্তিরা হলেন এসিআই অ্যাগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট এ কে এম ফারায়েজুল হক আনসারী, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বিষমুক্ত নিরাপদ সবজির কৃষি উদ্যোক্তা এম এ মতিন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য চুয়াডাঙ্গার জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. ওলি উল্লাহ এবং জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের জন্য বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাশ।

কৃষি উৎপাদন, বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প শ্রেণিতে ১০ জন এআইপি হয়েছেন। তারা হলেন উন্নত জাতের ফল চাষের জন্য টাঙ্গাইলের মধুপুরের কৃষি উদ্যোক্তা ছানোয়ার হোসেন, পেঁয়াজবীজ চাষের জন্য ফরিদপুরের খান বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী শাহীদা বেগম, সাথী ফসল উৎপাদন করে জমির সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য খুলনার ডুমুরিয়ার কৃষি উদ্যোক্তা সুরেশ্বর মল্লিক, ফল চাষের জন্য চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের গ্রিন প্ল্যানেট অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী মো. রুহুল আমীন, জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করায় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার অ্যাগ্রো বেইজড সোশিও ইকোনমিক্যাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেসের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন, দুগ্ধ উৎপাদনে পাবনার ঈশ্বরদীর তন্ময় ডেইরি খামারের স্বত্বাধিকারী মো. আমিরুল ইসলাম, মাছ চাষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আল বারাকা মৎস্য খামার অ্যান্ড হ্যাচারির স্বত্বাধিকারী মাছুদুল হক চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মৌচাষি কৃষি উদ্যোক্তা মো. রফিকুল ইসলাম, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ফলচাষি সিরাজ, বহুমুখী খামারের স্বত্বাধিকারী মো. সিরাজুল ইসলাম ও শেরপুর সদর উপজেলার ফলচাষি মা-বাবার দোয়া ফ্রুট গার্ডেন নার্সারি অ্যান্ড অ্যাগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. হযরত আলী।

রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদন শ্রেণিতে দুজন এআইপির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। বৃক্ষরোপণ ও বনসাই নার্সারির জন্য গাজীপুর সদর উপজেলার লিভিং আর্ট গার্ডেনের পরিচালক কে এম সবুজ ও বারোমাসি আমচাষি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের কৃষি উদ্যোক্তা মোহা. রফিকুল ইসলাম।

বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শ্রেণিতে তিনজনকে এআইপি নির্বাচন করা হয়েছে। তারা হলেন জৈবসার ও কেঁচোসার উৎপাদক নীলফামারীর ডোমার উপজেলার অন্নপূর্ণা অ্যাগ্রো সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী রাম নিবাস আগরওয়ালা, বাণিজ্যিক কৃষি খামারি হিসেবে ঢাকার নবাবগঞ্জের অমিত ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মায়া রানী বাউল ও সফল বীজ উৎপাদকারী পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার কৃষি উদ্যোক্তা মো. আবদুল খালেক।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এআইপি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি বছর পাঁচটি বিভাগে এআইপি সম্মাননা দেয়া হয়ে থাকে। এআইপি কার্ডের মেয়াদকাল হচ্ছে এক বছর।

এআইপিরা সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পান। এর মধ্যে রয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রশংসাপত্র, সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাস, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ এবং বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার।

এ ছাড়া নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার সুবিধা পান এআইপিরা।

আরও পড়ুন:
কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ১৩ জন পাচ্ছেন এআইপি সম্মাননা

মন্তব্য

p
উপরে