সরকারি কোম্পানিগুলোর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত না হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। অনেক কোম্পানিই শর্ত পূরণ করতে পারে না। তালিকাভুক্ত হলে ব্যবস্থাপনায়ও পরিবর্তন আসে। যে কারণে অনেক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি চান না।
শুক্রবার অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩-এর একটি সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারের বিষয় ছিল ‘সরকারি মালিকানা কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তির বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’।
অর্থ ও বাণিজ্য বিষয়ক নিউজ পোর্টাল অর্থসূচক ডটকম পঞ্চমবারের মতো এই মেলার আয়োজন করেছে। বৃহস্পতিবার তিন দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শুক্রবারের সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম।
সেশন চেয়ার ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মাহমুদা আক্তার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইসিএমের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন।
সেমিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান ও প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি ফখরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি রুমানা ইসলাম বলেন, ‘পুঁজিবাজারে আসতে কোম্পানিগুলোর কিছু খরচ আছে। এটি একটি খুবই সেনসিটিভ বাজার। এসব কারণে সরকারি কোম্পানিগুলো বাজারে আসতে চায় না।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সব কিছুর প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়ে। করোনার মধ্যেও আমরা চাপ সামাল দিয়েছি। রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রভাব সামাল দিতে সবারই কষ্ট হচ্ছে। তবে এসব চাপ সামাল দিয়ে আমাদের পুঁজিবাজার অনেক ভালো হবে।’
বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোর অধিকাংশই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। এগুলো তালিকাভুক্ত হলে পুঁজিবাজারের এগিয়ে যাওয়ার পথ আরও মসৃণ হবে।’
মূল প্রবন্ধে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির বেহাল অবস্থার কথা তুলে ধরেন ড. নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে ১৯টি সরকারি কোম্পানি তালিকাভুক্ত। গত অর্থবছরে এর মধ্যে ছয়টি বা ৩২ শতাংশ কোম্পানি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।’
সরকারি কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে না আসার অনেক কারণ রয়েছে বলে জানান বিআইসিএমের এই গবেষক। তিনি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত হওয়ার আগের তিন বছর ধারাবাহিকভাবে লাভ করতে হবে। সরকারি অনেক কোম্পানিই লাভ করতে পারে না। তালিকাভুক্ত হলে ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসে। এসব কারণে অনেক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চান না যে তালিকাভুক্ত হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে বিএসইসির নিয়ম মেনে চলতে হয়। অনুযায়ী, বছরে চার বার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হয়। কিন্তু অনেক কোম্পানি রয়েছে, যারা নিয়মিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে না। অনেক কোম্পানি আয় কমিয়ে দেখায়। এডিবি, জাইকা ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ঋণ থাকলেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া যায় না। এসব কারণে সরকারি কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হতে চায় না।’
ড. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের হাতে ৫১ শতাংশের বেশি থাকা শেয়ারগুলো অফলোড করলে বাজারে শেয়ারের সংখ্যা বাড়বে। বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকার ব্যাংক ও বিদেশ থেকে ঋণ নেয়। এক্ষেত্রে পুঁজিবাজার ও গ্রীন বন্ড বিক্রি করে সরকার এসব অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। যেসব কোম্পানি ভালো করতে পারে না, তাদের জন্য ইন্টারন্যাশনাল কনসালট্যান্ট নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।’
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘কম পেইডআপ ক্যাপিটালের জন্য অনেক কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে পারে না। ২০১৮ সালে ১৭টি কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত হতে চিঠি দিয়েছিলাম। সরাসরি তালিকাভুক্ত হতে ১৭টি প্রতিষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। অর্থনৈতিক অবস্থা ও গুজবের কারণে এসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া অনেকে গত বছর লোকসানে ছিল। আগামীতে এসব সমস্যার সমাধান করে কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসবে।’
বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকেই শুনেছি, ২৭টি সরকারি কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসবে। একটি কোম্পানিতে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় জড়িত। এতে সমন্বয়ের বাধ্যবাধকতার কারণে তালিকাভুক্ত করানো যাচ্ছে না।’
সমস্যার সমাধান প্রসঙ্গে বিএমবিএ সভাপতি বলেন, ‘আইসিবির পক্ষে সরকারের সব প্রতিষ্ঠানকে সাপোর্ট দেয়া সম্ভব হয় না। তাই মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দিলে বাজারে গতি ফিরতে পারে।’
প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য শুধু আলোচনা হয়। এ বিষয়ে কোনো সমাধান আসে না। এখানে রাজনৈতিক সদিচ্ছার ঘাটতি রয়েছে।’
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য