নতুন বছরে চূড়ান্ত হতাশা কাটিয়ে চতুর্থ দিনে এসে অবশেষে পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনায় কিছুটা আগ্রহ দেখা গেল। তবে গত বছরের মাঝামাঝি বা সেপ্টেম্বরের সঙ্গে তুলনায় তা এখনও তলানিতেই। তার পরেও আগের তিন দিন দুই শ কোটি টাকার কমে লেনদেন হওয়ায় বুধবার তিন শ কোটির কাছাকাছি পৌঁছাটা কিছুটা হলেও স্বস্তির।
শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব, ইউক্রেনে রুশ হামলার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি আর পণ্যমূল্যে লাফের কারণে আমদানি ব্যয় বেড়ে গিয়ে রিজার্ভে চাপ, নতুন বছরে বিশ্বে মন্দার শঙ্কা, ইত্যাদি নানা ঘটনায় পুঁজিবাজার্ এখন নিষ্প্রাণ।
অর্ধেক কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস, বাকি অর্ধেকের শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা এক শতাংশ ইত্যাদি বাধায় বড় পতন ঠেকিয়ে রাখা গেছে। তবে যেসব শেয়ারের দাম কমা সম্ভব, সেগুলোর সিংহভাগের দর কমতে থাকায় সূচক কমছিল ক্রমাগত। সেই সঙ্গে লেনদেন কমতে কমতে করোনাকালের করুণ দশা ফিরে আসে।
নতুন বছরে নতুন যাত্রা- এমন আশার মধ্যে প্রথম দিন পুঁজিবাজারে দেখা যায় উল্টো দৌড়। সূচক হারায় কমই, কিন্তু লেনদেন নামে প্রায় আড়াই বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইতে হাতবদল হয় কেবল ১৭৮ কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার টাকায়।
দ্বিতীয় দিন তা আরও কমে। সেদিন হাতবদল হয় ১৪৬ কোটি ৫১ লাখ ৯ হাজার টাকা। তৃতীয় দিনে কিছুটা বেড়েও তা থাকে দুই শ কোটির নিচে। লেনদেন হয় ১৯৮ কোটি ৯০ লাখ ৩২ হাজার টাকা। গত সেপ্টেম্বরে যখন কিছু কোম্পানির শেয়ারদরের অস্বাভাবিক উত্থান দেখা যায়, সে সময় প্রতিদিনই শীর্ষে থাকা একটি কোম্পানিতেই এর চেয়ে বেশি লেনদেন দেখা গেছে।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর আতঙ্গে লেনদেন একেবারে তলানিতে নেমে আসার পর এই চিত্র আর দেখা যায়নি।
বুধবারও লেনদেনের খরা কাটেনি, তবে থমকে কিছু কিছু কোম্পানির চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। এমনকি অনাগ্রহের চূড়ান্তে থাকা মিউচ্যুয়াল ফান্ডেরও কিছু ইউনিট চলতে শুরু করেছে।
দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ২৯১ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার। সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১৭ পয়েন্ট।
লেনদেন কিছুটা বাড়লে কমেনি ভারসাম্যহীনতা। ১৭৩ কোটি ৩৭ রাখ ৩৬ হাজার টাকা হাতবদল হয়েছে কেবল ২০টি কোম্পানিতে। বাকি ৩৩৫ কোম্পানিতে লেনদেন হয় কেবল ১১৭ কোটি ৭৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।
আগের দিনের মতোই সূচক বাড়লেও দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির চেয়ে দরপতন হওয়া কোম্পানির সংখ্যা বেশি। তবে বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দরে লেনদেন হয়েছে সবচেয়ে বেশি কোম্পানির শেয়ার।
এদিন বেড়েছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারদর, কমেছে ৯০টির আর আগের দিনের দরে হাতবদল হয়েছে ১৮৮টি কোম্পানি। ৩৪টি কোম্পানির একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি।
তবে বন্ধ চাকা খোলার চেষ্টায় কিছু কোম্পানি। এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে এফবিএফআইএফের ইউনিটের। হাতবদল হয়েছে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৬৯টি ইউনিট। যদিও অভিহিত মূল্যের ৫০ শতাংশ কমে হাতবদল হয়েছে ৫ টাকায়।
গত ৭ সেপ্টেম্বরের পর প্রথমবারের মতো আগ্রহ দেখা গেল রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ডে। গত চার মাসে কোনো দিন একটি, কোনোদিন একটিও না, কোনোদিন ১০টি ইউনিট হাতবদল হতে দেখা গিয়েছিল। এই ফান্ডের ২ লাখ ১৯ হাাজর ৬৬৭টি ইউনিট হাতবদল হলো এক দিনেই।
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস উঠে যাওয়ার কারণে এখন এক শতাংশ দাম কমা সম্ভব। আর আগের দিন ইউনিট দর ছিল ১০ টাকা, ফলে ১০ পয়সা দাম কমতে পারত। শুরুতে কমেওছিল তা। তবে শেয়ার লেনদেন হতে থাকায় চাহিদা বেড়ে দিন শেষ করে ১০ পয়সা বেড়ে।
ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর ১০ টাকা ৮০ পয়সা থেকে কমে ১০ টাকায় নামার পর এই প্রথম বাড়ল এর ইউনিট দর।
পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘কুলিং পিরিয়ড’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের শীর্ষ নির্বাহী (সিইও) খন্দকার সাফফাত রেজা। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘লিকুইডিটি ক্রাইসিস, অর্থনৈতিক যেসব প্রেসার তৈরি হয়েছে সেটা আগেও আমরা দেখেছি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিত ধরতে পারেন একটা কুলিং পিরিয়ড। ব্যাংকের ইন্টারেস্ট লো, তার মানে কী? লোনের ডিমান্ড নাই।
‘এখন ৯ শতাংশ সুদে লোন দিচ্ছে, এক সময় ব্যবসায়ীরা তো ১৮ শতাংশ সুদেও লোন নিয়ে ব্যবসা করেছে। সো, ইটস অল অ্যাবাউট ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই। আমাদের মার্কেটের এখন কুলিং পিরিয়ড যাচ্ছে।’
বাজার পরিস্থিতি উত্তরণের ব্যাপারেও আশাবাদ প্রকাশ করেন এই ব্রোকার। তিনি বলেন, ‘আশা করা যায়, এরকম এক, দেড় মাস যেতে যেতে আবার লিকুইডিটি ফিরবে আসবে। সুনির্দিষ্ট সময় তো কেউ বলতে পারে না। আমরা রাইট টাইম প্রেডিক্ট করতে পারি না। সুতরাং ধৈর্য ধরতে হবে এই সময়টা।’
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে সি-পার্ল। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট।
ইউনিক হোটেল সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ২১ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে বসুন্ধরা পেপার, বিকন ফার্মা, ওরিয়ন ফার্মা, নাভানা ফার্মা, কোহিনূর কেমিক্যাল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও জেনেক্স ইনফোসিস।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১১ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট।
বিপরীতে কোনো কোম্পানিই ১ পয়েন্ট সূচক কমাতে পারেনি। সবচেয়ে বেশি শূন্য দশমিক ৭৫ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। কোম্পানির দর কমেছে ২ দশমিক ০৫ শতাংশ।
বেক্সিমকো সুকুকের দর শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ২৫ পয়েন্ট।
দেশ গার্মেন্টসের কারণে সূচক হারিয়েছে শূন্য দশমিক ১৭ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
এ ছাড়াও আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, অ্যাপেক্স ট্যানারি, প্রাণ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, ডমিনেজ স্টিল, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স ও ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১ দশমিক ৪১ পয়েন্ট।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ দর বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের। শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৪০ টাকা ৯০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৩৭ টাকা ২০ পয়সা।
এরপরেই ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ দর বেড়ে সি-পার্লের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০২ টাকা ৮০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ১৮৪ টাকা ৫০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল আরএসআরএম স্টিল। ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ১৭ টাকা ৯০ পয়সায়। আগের দিনে শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ১৬ টাকা ৩০ পয়সায়।
এ ছাড়া তালিকার চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে থাকা নাভানা ফার্মা ও সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি।
এ ছাড়া বসুন্ধরা পেপার, ইউনিক হোটেল, এডিএন টেলিকম, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও আমরা টেকনোলজিসের দর বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ দর কমেছে দেশ গার্মেন্টসের। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২৬ টাকা ৫০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ১৪০ টাকা ৫০ পয়সা।
এর পরেই ২ দশমিক ০৫ শতাংশ দর কমে প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯ টাকা ১০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ১৯ টাকা ৫০ পয়সা।
তৃতীয় স্থানে থাকা লিবরা ইনফিউশনের শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে ৮৩২ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিন দর ছিল ৮৪০ টাকা ৬০ পয়সা।
এ ছাড়া তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, অ্যাপেক্স স্পিনিং, রেনউইক যজ্ঞেশর, জুট স্পিনার্স, শ্যামপুর সুগার মিল, নিটল ইন্স্যুরেন্স ও রহিম টেক্সটাইল।
আরও পড়ুন:তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য