নতুন বছরে চূড়ান্ত হতাশা কাটিয়ে চতুর্থ দিনে এসে অবশেষে পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনায় কিছুটা আগ্রহ দেখা গেল। তবে গত বছরের মাঝামাঝি বা সেপ্টেম্বরের সঙ্গে তুলনায় তা এখনও তলানিতেই। তার পরেও আগের তিন দিন দুই শ কোটি টাকার কমে লেনদেন হওয়ায় বুধবার তিন শ কোটির কাছাকাছি পৌঁছাটা কিছুটা হলেও স্বস্তির।
শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব, ইউক্রেনে রুশ হামলার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি আর পণ্যমূল্যে লাফের কারণে আমদানি ব্যয় বেড়ে গিয়ে রিজার্ভে চাপ, নতুন বছরে বিশ্বে মন্দার শঙ্কা, ইত্যাদি নানা ঘটনায় পুঁজিবাজার্ এখন নিষ্প্রাণ।
অর্ধেক কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস, বাকি অর্ধেকের শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা এক শতাংশ ইত্যাদি বাধায় বড় পতন ঠেকিয়ে রাখা গেছে। তবে যেসব শেয়ারের দাম কমা সম্ভব, সেগুলোর সিংহভাগের দর কমতে থাকায় সূচক কমছিল ক্রমাগত। সেই সঙ্গে লেনদেন কমতে কমতে করোনাকালের করুণ দশা ফিরে আসে।
নতুন বছরে নতুন যাত্রা- এমন আশার মধ্যে প্রথম দিন পুঁজিবাজারে দেখা যায় উল্টো দৌড়। সূচক হারায় কমই, কিন্তু লেনদেন নামে প্রায় আড়াই বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইতে হাতবদল হয় কেবল ১৭৮ কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার টাকায়।
দ্বিতীয় দিন তা আরও কমে। সেদিন হাতবদল হয় ১৪৬ কোটি ৫১ লাখ ৯ হাজার টাকা। তৃতীয় দিনে কিছুটা বেড়েও তা থাকে দুই শ কোটির নিচে। লেনদেন হয় ১৯৮ কোটি ৯০ লাখ ৩২ হাজার টাকা। গত সেপ্টেম্বরে যখন কিছু কোম্পানির শেয়ারদরের অস্বাভাবিক উত্থান দেখা যায়, সে সময় প্রতিদিনই শীর্ষে থাকা একটি কোম্পানিতেই এর চেয়ে বেশি লেনদেন দেখা গেছে।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর আতঙ্গে লেনদেন একেবারে তলানিতে নেমে আসার পর এই চিত্র আর দেখা যায়নি।
বুধবারও লেনদেনের খরা কাটেনি, তবে থমকে কিছু কিছু কোম্পানির চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। এমনকি অনাগ্রহের চূড়ান্তে থাকা মিউচ্যুয়াল ফান্ডেরও কিছু ইউনিট চলতে শুরু করেছে।
দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ২৯১ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার। সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১৭ পয়েন্ট।
লেনদেন কিছুটা বাড়লে কমেনি ভারসাম্যহীনতা। ১৭৩ কোটি ৩৭ রাখ ৩৬ হাজার টাকা হাতবদল হয়েছে কেবল ২০টি কোম্পানিতে। বাকি ৩৩৫ কোম্পানিতে লেনদেন হয় কেবল ১১৭ কোটি ৭৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।
আগের দিনের মতোই সূচক বাড়লেও দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির চেয়ে দরপতন হওয়া কোম্পানির সংখ্যা বেশি। তবে বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দরে লেনদেন হয়েছে সবচেয়ে বেশি কোম্পানির শেয়ার।
এদিন বেড়েছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারদর, কমেছে ৯০টির আর আগের দিনের দরে হাতবদল হয়েছে ১৮৮টি কোম্পানি। ৩৪টি কোম্পানির একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি।
তবে বন্ধ চাকা খোলার চেষ্টায় কিছু কোম্পানি। এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে এফবিএফআইএফের ইউনিটের। হাতবদল হয়েছে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৬৯টি ইউনিট। যদিও অভিহিত মূল্যের ৫০ শতাংশ কমে হাতবদল হয়েছে ৫ টাকায়।
গত ৭ সেপ্টেম্বরের পর প্রথমবারের মতো আগ্রহ দেখা গেল রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ডে। গত চার মাসে কোনো দিন একটি, কোনোদিন একটিও না, কোনোদিন ১০টি ইউনিট হাতবদল হতে দেখা গিয়েছিল। এই ফান্ডের ২ লাখ ১৯ হাাজর ৬৬৭টি ইউনিট হাতবদল হলো এক দিনেই।
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস উঠে যাওয়ার কারণে এখন এক শতাংশ দাম কমা সম্ভব। আর আগের দিন ইউনিট দর ছিল ১০ টাকা, ফলে ১০ পয়সা দাম কমতে পারত। শুরুতে কমেওছিল তা। তবে শেয়ার লেনদেন হতে থাকায় চাহিদা বেড়ে দিন শেষ করে ১০ পয়সা বেড়ে।
ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর ১০ টাকা ৮০ পয়সা থেকে কমে ১০ টাকায় নামার পর এই প্রথম বাড়ল এর ইউনিট দর।
পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘কুলিং পিরিয়ড’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের শীর্ষ নির্বাহী (সিইও) খন্দকার সাফফাত রেজা। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘লিকুইডিটি ক্রাইসিস, অর্থনৈতিক যেসব প্রেসার তৈরি হয়েছে সেটা আগেও আমরা দেখেছি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিত ধরতে পারেন একটা কুলিং পিরিয়ড। ব্যাংকের ইন্টারেস্ট লো, তার মানে কী? লোনের ডিমান্ড নাই।
‘এখন ৯ শতাংশ সুদে লোন দিচ্ছে, এক সময় ব্যবসায়ীরা তো ১৮ শতাংশ সুদেও লোন নিয়ে ব্যবসা করেছে। সো, ইটস অল অ্যাবাউট ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই। আমাদের মার্কেটের এখন কুলিং পিরিয়ড যাচ্ছে।’
বাজার পরিস্থিতি উত্তরণের ব্যাপারেও আশাবাদ প্রকাশ করেন এই ব্রোকার। তিনি বলেন, ‘আশা করা যায়, এরকম এক, দেড় মাস যেতে যেতে আবার লিকুইডিটি ফিরবে আসবে। সুনির্দিষ্ট সময় তো কেউ বলতে পারে না। আমরা রাইট টাইম প্রেডিক্ট করতে পারি না। সুতরাং ধৈর্য ধরতে হবে এই সময়টা।’
সূচকে প্রভাব যাদের
সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে সি-পার্ল। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট।
ইউনিক হোটেল সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ২১ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে বসুন্ধরা পেপার, বিকন ফার্মা, ওরিয়ন ফার্মা, নাভানা ফার্মা, কোহিনূর কেমিক্যাল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও জেনেক্স ইনফোসিস।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১১ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট।
বিপরীতে কোনো কোম্পানিই ১ পয়েন্ট সূচক কমাতে পারেনি। সবচেয়ে বেশি শূন্য দশমিক ৭৫ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। কোম্পানির দর কমেছে ২ দশমিক ০৫ শতাংশ।
বেক্সিমকো সুকুকের দর শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ হ্রাসে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ২৫ পয়েন্ট।
দেশ গার্মেন্টসের কারণে সূচক হারিয়েছে শূন্য দশমিক ১৭ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
এ ছাড়াও আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, অ্যাপেক্স ট্যানারি, প্রাণ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, ডমিনেজ স্টিল, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স ও ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১ দশমিক ৪১ পয়েন্ট।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ দর বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের। শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৪০ টাকা ৯০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ৩৭ টাকা ২০ পয়সা।
এরপরেই ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ দর বেড়ে সি-পার্লের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০২ টাকা ৮০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ১৮৪ টাকা ৫০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল আরএসআরএম স্টিল। ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ১৭ টাকা ৯০ পয়সায়। আগের দিনে শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ১৬ টাকা ৩০ পয়সায়।
এ ছাড়া তালিকার চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে থাকা নাভানা ফার্মা ও সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি।
এ ছাড়া বসুন্ধরা পেপার, ইউনিক হোটেল, এডিএন টেলিকম, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও আমরা টেকনোলজিসের দর বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ দর কমেছে দেশ গার্মেন্টসের। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২৬ টাকা ৫০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ১৪০ টাকা ৫০ পয়সা।
এর পরেই ২ দশমিক ০৫ শতাংশ দর কমে প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯ টাকা ১০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ১৯ টাকা ৫০ পয়সা।
তৃতীয় স্থানে থাকা লিবরা ইনফিউশনের শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে ৮৩২ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিন দর ছিল ৮৪০ টাকা ৬০ পয়সা।
এ ছাড়া তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, অ্যাপেক্স স্পিনিং, রেনউইক যজ্ঞেশর, জুট স্পিনার্স, শ্যামপুর সুগার মিল, নিটল ইন্স্যুরেন্স ও রহিম টেক্সটাইল।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য