বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রিতে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অস্থির ডলারের বাজার সুস্থির করতে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই (জুলাই-ডিসেম্বর) ৭৬৫ কোটি (৭.৬৫ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এর আগে ছয় মাসে রিজার্ভ থেকে এতো ডলার কখনই বিক্রি হয়নি।
মঙ্গলবারও রাষ্ট্রায়ত্ত কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ৮ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এর ফলে রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাড়ার পরও দু-একদিনের মধ্যেই রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে আসবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
অথচ গত ২০২১-২২ অর্থবছরের পুরো সময়ে (১২ মাস, ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন) রিজার্ভ থেকে ৭৬২ কোটি (৭.৬২ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তার আগে অর্থবছরে (২০২০-২১) ডলারের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বাজার থেকে উল্টো প্রায় ৮০০ কোটি (৮ বিলিয়ন) ডলার কিনেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ যে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল, তাতে বাজার থেকে ডলার কেনার অবদান ছিল বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর। আবার এখন যে রিজার্ভ কমছে, তাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন এই অর্থনীতিবিদ।
করোনা মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশে আমদানি বাড়তে শুরু করে; লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে অর্থনীতির এই সূচক। তাতে বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়, বাড়তে থাকে দাম। সেই চাহিদা মেটাতে ডলার বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০২১-২২ অর্থবছরের পুরো সময় ধরে চলে এই বিক্রি। রিজার্ভ থেকে ডলার বাজারে না ছাড়লে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম আরও বেড়ে যাবে-এ বিবেচনায় ডলার বিক্রি অব্যাহত রাখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। শেষ পর্যন্ত ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রির মধ্য দিয়ে অর্থবছর শেষ হয়।
গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরেও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত রাখে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে সব ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনীয় ডলার বিক্রি করলেও গত তিন মাস ধরে শুধু সরকারি কেনাকাটা ও জ্বালানি তেল, স্যারসহ অন্যান্য অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য এলসি বা ঋণপত্র খুলতে রাষ্ট্রায়ত্ত কয়েকটি ব্যাংকের কাছে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলো আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে ডলার কিনে আমদানি খরচ মেটাচ্ছে।
কিন্তু এরইমধ্যে ডলারের দাম ৮৫ টাকা থেকে বাড়তে বাড়তে ১০৫/১০৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শতকরা হিসাবে বেড়েছে ২৫ শতাংশের বেশি। খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলারের দর ১২০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এখনও ১১২/১১৩ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ক্যালেন্ডার বছরের হিসাবে বিদায়ী ২০২২ সালে রিাজার্ভ থেকে মোট ১২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এর বিপরীতে বাজার থেকে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। এতে অভ্যন্তরীণ তারল্যের ওপর চাপ বেড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন কারণে এমনিতেই সঞ্চয় প্রবণতা কমছে। ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের জালিয়াতির তথ্য জানাজানির পর কোনো কোনো ব্যাংকে নগদ টাকার সংকট তৈরি হয়েছে। টাকার সংকট মেটাতে আমানতের সুদহার বাড়াচ্ছে কোনো কোনো ব্যাংক। যদিও ঋণের সুদে ৯ শতাংশের সীমা রয়েছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রিজার্ভ থেকে ৭ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি জানুয়ারি মাসের তিন দিনে (১ থেকে ৩ জানুয়ারি) আরও ১৮ কোটি ডলারের মতো বিক্রি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) বিক্রির পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার।
এবার আকুর বিল ১.১২ বিলিয়ন
অব্যাহতভাবে ডলার বিক্রির ফলে রিজার্ভ কমছেই। মঙ্গলবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ছিল ৩৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের ৩ জানুয়ারি যা ছিল প্রায় ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছিল। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল গত বছরের আগস্টে।
রিজার্ভের এই চাপের মধ্যেই চলতি সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) নভেম্বর-ডিসেম্বর মেয়াদের ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে। এর ফলে বর্তমান বিশ্ব পেক্ষাপটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এই সূচক আরও কমে ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ এবং ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আকুর ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করা হবে। আগামী সপ্তাহে তা রিজার্ভ থেকে সমন্বয় করা হবে। তখন রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে আসবে।’
অবশ্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ মেনে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে রিজার্ভের হিসাব করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।
দুই মাস পর পর আকুর বিল পরিশোধ
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পরপর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। মহাসংকটে পড়ায় শ্রীলঙ্কা অবশ্য মাস দেড়েক আগে শ্রীলঙ্কা আকুর থেকে বেরিয়ে এসেছে।
এর আগে গত নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মেয়াদের ১ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারের আকুর বিল পরিশোধ করে বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা মজুত থাকতে হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ হিসাবে গত অক্টোবর মাসে মোট ৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। এ হিসাবে বর্তমানের রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি বিল মেটানো সম্ভব।
রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি এখন ১০০ টাকায়
রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির দর আরও ১ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার থেকে ১০০ টাকা দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এতদিন প্রতি ডলারের জন্য ৯৯ টাকা নেয়া হতো।
গত ৫ ডিসেম্বর থেকে প্রতি ডলার ৯৯ টাকায় বিক্রি করা শুরু করা হচ্ছিল। মঙ্গলবার থেকে তা ১ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রায়ত্ত কয়েকটি ব্যাংকের কাছে যে ৮ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়েছে তা ১০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে।
তবে সব ব্যাংক এই দরে ডলার পাচ্ছে না। সরকারের প্রয়োজনীয় আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য শুধুমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত কয়েকটি ব্যাংকের কাছে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অন্য ব্যাংকগুলোকে আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে ডলার কিনে আমদানি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের সর্বোচ্চ দর ছিল ১০৪ টাকা ৩৫ পয়সা, সর্বনিম্ন ১০৩ টাকা ৪৪ পয়সা।
সব ব্যাংকের চাহিদা অনুযায়ী ডলার বিক্রি করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সঞ্চিত রিজার্ভ আরও কমে যাবে। সেজন্য সরকারের প্রয়োজনেই শুধু রিজার্ভ থেকে ডলার ছাড়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, “রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির রেট বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারের সঙ্গে অ্যাডজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করছে। অর্থাৎ বর্তমানে আন্তব্যাংক লেনদেনের গড় দরের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘সেলিং রেট’ সমান করতে চাইছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সে জন্য এই দর বাড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সেলিং রেট আন্তব্যাংকের সঙ্গে এক দরে নিয়ে এলে সামস্টিক অর্থনীতির জন্য ভালো হবে বলে আমি মনে করি।”
আন্তব্যাংক ও গ্রাহক পর্যায়ে সব ব্যাংকেই বর্তমানে ভাসমান বিনিময় দর অনুসরণ করছে। তবে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির ক্ষেত্রে নিজেদের নির্ধারিত আলাদা ‘দর’ অনুসরণ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যাকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘সেলিং রেট’। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক যে দামে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করত সেটিকে ‘ইন্টারব্যাংক এক্সচেঞ্জ রেট’ বা ‘আন্তব্যাংক লেনদেন দর’ নামে অভিহিত করা হতো।
আরও পড়ুন:
ভারতের শীর্ষস্থানীয় ধনী ব্যবসায়ী গৌতম আদানির বাণিজ্যিক সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের এমপিরা এই অভিযোগের ব্যাপারে তদন্তের দাবি জানিয়ে সংসদের অধিবেশন শুক্রবারও দ্বিতীয় দিনের মতো ভণ্ডুল করে দিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা
অনেকের অভিযোগ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে গৌতম আদানি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিপুল ধন-সম্পদের মালিক হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিনডেনবার্গ রিসার্চ নামের গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে গত সপ্তাহে গৌতম আদানির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারসাজি ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়। এই অভিযোগ ওঠার পর থেকেই আদানি গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে।
অবশ্য আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংসদ লোকসভায় শুক্রবার সকালের অধিবেশনে বিরোধী নেতারা অভিযোগের তদন্ত দাবি করলে উভয় কক্ষের অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়।
আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি অথবা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে একটি প্যানেল গঠনের দাবি জানায় বিরোধীরা।
আরও পড়ুন:আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বহুল প্রতিক্ষিত ৪৭০ কোটি (৪.৭০ বিলিয়ন) ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম কিস্তির এই অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভে যোগ হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক। এর ফলে রিজার্ভ বেড়ে ৩২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার হয়েছে বলে জানান তিনি।
মেজবাউল হক বলেন, ‘আমরা আইএমএফ ঋণের প্রথম কিস্তি পেয়েছি। প্রথম বারে আমরা ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার পেয়েছি। এর পরের বাকি ৪২২ কোটি ৪০ লাখ ডলার আমরা সমান ছয়টি কিস্তিতে পাবো। প্রতি কিস্তিতে আসবে ৭০ কোটি ৪০ লাখ ডলার, তবে পরের কিস্তি কবে আসবে এখন সেটা বলা যাচ্ছে না।’
বিশ্ব আর্থিক খাতের অন্যতম প্রধান মোড়ল এই সংস্থার কাছ থেকে বাংলাদেশ যে পরিমাণ ঋণ চেয়েছিল, সবাইকে অবাক করে দিয়ে গত সোমবার সংস্থাটি তার চেয়েও বেশি ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দেয় আইএমএফ। প্রথম কিস্তির ঋণ যেকোনো মুহূর্তে ছাড় করা হবে বলে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি। মাত্র দুই দিনের মাথায় সেই ঋণের প্রথম কিস্তি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারে জমা হলো, বেড়ে গেলো বর্তমান বিশ্ব পেক্ষাপটে অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক রিজার্ভ।
দুই বছরের করোনা মহামারি ও এক বছরের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কার বড় চাপ সামাল দিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে বাংলাদেশ গত বছরের জুলাই মাসে ৪৫০ কোটি (৪.৫ বিলিয়ন) ডলার ঋণ চেয়েছিল, আইএমএম তার চেয়েও ২০ কোটি ডলার বেশি অর্থাৎ ৪৭০ কোটি (৪.৭০ বিলিয়ন) ডলার দেয়। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফের সদর দপ্তরে এই ঋণ অনুমোদন করে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদ।
গত মঙ্গলবার আইএমএফের ওয়েবসাইটে এই ঋণ অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার তাৎক্ষণিকভাবে ছাড় করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আইএমএফ। ২ দশমিক ২ শতাংশ সুদে নেয়া এই ঋণ আসবে সাত কিস্তিতে। শেষ কিস্তি আসবে ২০২৬ সালে।
৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ পেতে ও চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার কয়েক মাস ধরেই সংস্কার কর্মসূচি পরিচালনা করছে। চলতি জানুয়ারিতে যখন আইএমএফের ডিএমডি অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ বাংলাদেশ সফরে আসেন, তখন এসব সংস্কারে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। মৌলিক এসব সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতিও আইএমএফের ডিএমডি গুরুত্বারোপ করেন তখন।
আইএমএফও তাদের বিবৃতিতে বলেছে, করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল বাংলাদেশ, কিন্তু যুদ্ধের কারণে তা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তাতে বৈদেশিক বাণিজ্যে চলতি হিসাব ভারসাম্যে বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, টাকার মান কমে গেছে এবং বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছে। সাম্প্রতিক এই অর্থনৈতিক জটিলতাগুলো মোকাবিলায় বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ একগুচ্ছ সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার মনে করে, প্রবৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত করতে, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণে, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং জলবায়ু সহনশীলতা তৈরি করতে হলে তাতৎক্ষণিক এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সমস্যা এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিগুলোকেও আমলে নিতে হবে।
কক্সবাজারে আনন্দ ভ্রমণ করেছে ইস্টার্ন হাউজিং যুব কল্যাণ সমিতি।
ঢাকা থেকে কক্সবাজারে গিয়ে গত ২৬ থেকে ২৯ জানুয়ারি এ ভ্রমণ করেন সমিতির সদস্যরা।
আনন্দ ভ্রমণের আহ্বায়ক ছিলেন জহির স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের (জেডএসআরএম) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলহাজ মো. হুমায়ুন কবির।
আনন্দ ভ্রমণের সদস্য সচিব ছিলেন ইস্টার্ন হাউজিং যুব কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল সরকার।
রেমিট্যান্সের পালে জোর হাওয়া লেগেছে। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। এটা এক বছর আগে একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বুধবার প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ বলছে, সব মিলিয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ১ হাজার ২৪৫ কোটি ২১ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে তা ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ১৯৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রবাসীরা ১৭০ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন, যা ছিল চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৪ কোটি ডলার। অক্টোবর ও নভেম্বরে এসেছিল যথাক্রমে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ও ১৫৯ কোটি ৫২ লাখ ডলার। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে অবশ্য ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসে।
জানুয়ারিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪ কোটি ২২ লাখ ডলার। ৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৬৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। আর ৯টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭০ লাখ ৮০ লাখ ডলার।
ক্যালেন্ডার বছরের হিসাবে ২০২২ সালে ২ হাজার ১২৮ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল, যা ছিল আগের বছরের চেয়ে ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ কম। প্রবাসীরা ২০২১ সালে ২ হাজার ২০৭ কোটি ২৫ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন।
মার্চের শেষ দিকে রমজান মাস শুরু হবে। রোজা ও ঈদ সামনে রেখে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে বলে আশা করছেন জনশক্তি রপ্তানিকারক, ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম বেশি হওয়ায় এবং বেশি টাকা পাওয়ায় মাঝে কয়েক মাস প্রবাসীরা অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে অর্থ পাঠানোয় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমে গিয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক হুন্ডির বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করেছে।
অর্থনীতিতে চাপ সামাল দিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে বাংলাদেশ ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছিল। অবশ্য আইএমএফ তার চেয়েও ২০ কোটি ডলার বেশি দেবে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফের সদর দপ্তরে এই ঋণ অনুমোদন করেছে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদ। প্রথম কিস্তির ঋণ যেকোনো মুহূর্তে জমা হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারে।
আরও পড়ুন:শেষ হলো মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ‘ডিআইটিএফ’-এর ২৭তম আসর। বরাবরের মতো মেলার এই আসরেও দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল ওয়ালটনের দৃষ্টিনন্দন ও শৈল্পিক ডিজাইনের স্টল।
মেলায় অত্যাধুনিক ও উদ্ভাবনী ফিচারের পরিবেশবান্ধব টেকসই স্মার্ট প্রযুক্তিপণ্য প্রদর্শন করে সেরা ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছে ওয়ালটন। একই সঙ্গে এবারের বাণিজ্য মেলাতে ইলেকট্রনিক্স ক্যাটাগরিতে সেরা প্রিমিয়ার স্টলের পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশি সুপার ব্র্যান্ড ওয়ালটন।
২৭তম বাণিজ্য মেলায় ১৪টি ক্যাটাগরিতে ৪৭টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রথমবারের মতো এ বছর বাণিজ্য মেলায় ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড চালু করে আয়োজক সংস্থা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এ ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে ওয়ালটন।
মঙ্গলবার রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ডিআইটিএফ-২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে সেরা ইনোভেশন ও সেরা ইলেকট্রনিক্স স্টল ক্যাটাগরিতে ওয়ালটনকে প্রথম পুরস্কার দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অ্যান্ড কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ বাবু।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইপিবি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।
অতিথিদের কাছ থেকে সেরা ইনোভেশন এবং সেরা ইলেকট্রনিক্স স্টলের পুরস্কারের ক্রেস্ট ও সনদ গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা নিলু ও মো. হুমায়ুন কবীর।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় সেরার পুরস্কার পেয়েছে বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস্ লিমিটেড। প্যাভিলিয়ন ডিজাইনে আধুনিকতা ও নতুনত্বের জন্য এই পুরস্কার দেয়া হয়।
রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মঙ্গলবার ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে বেঙ্গল পলিমার কর্তৃপক্ষের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
বেঙ্গল গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ-এর পক্ষ থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন হেড অফ মার্কেটিং জোহেব আহমেদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ প্যাভিলিয়নগুলোর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ সুবিধা অনুমোদনের বিষয়টিকে অর্থনীতির জন্য স্বস্তিকর হিসেবে দেখছে ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তারকে উদ্ধৃত করে বুধবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আইএমএফের পক্ষ থেকে ঋণপ্রাপ্তির অনুমোদন বাংলাদেশের ঋণপ্রাপ্তির যোগ্যতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।’
তিনি বলেন, ‘আইএমএফ বাংলাদেশকে ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ও পলিসি সংস্কারের শর্তারোপ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আর্থিক খাত, নীতি কাঠামো, জ্বালানি খাত, সরকারি অর্থব্যবস্থা, স্থানীয় রাজস্ব বৃদ্ধি, জলবায়ু স্থিতিশীল করতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ইত্যাদি।’
আইএমএফের সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘কারণ এই ঋণ সুবিধা বাংলাদেশকে বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
‘এই ঋণপ্রাপ্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাবে, যা আমাদের অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরিয়ে আনবে। এমনকি সরকার আমদানির ক্ষেত্রে এলসি খোলার কঠোর শর্তাবলী প্রত্যাহারের বিষয়ে বিবেচনা করার সুযোগ পাবে। আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনা করে ঋণটি অবশ্যই ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দেবে।’
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করেছে। আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে কিছু প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকঘোষিত সাম্প্রতিক মুদ্রানীতিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুশাসন নিশ্চিত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি ঋণের সুদহারের সীমা শিথিল করা হয়েছে এবং বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা আনতে ক্রমান্বয়ে বাজারভিত্তিক এবং একক বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার চালু করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি নতুন আয়কর আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে, যার অন্যতম লক্ষ্য হলো করজাল বাড়ানো, যাতে করে দেশীয় রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি করা যায়। পাশাপাশি নতুন আয়কর আইন অটোমেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে, যার ফলে বিদেশি বিনিয়াগ আকৃষ্ট হবে।
বৈশ্বিক কারণে অর্থনীতিতে চাপ সামলাতে আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশ যে পরিমাণ ঋণ চেয়েছিল সংস্থাটি তার চেয়েও বেশি ঋণ দিচ্ছে।
সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ৪৫০ কোটি (৪.৫ বিলিয়ন) ডলার চেয়েছিল, আইএমএম তার চেয়ে ২০ কোটি ডলার বেশি অর্থাৎ ৪৭০ কোটি ডলার দেবে।
স্থানীয় সময় সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফের সদরদপ্তরে সংকটকালে বাংলাদেশের বহুল প্রত্যাশিত এই ঋণের প্রস্তাব অনুমোদন করে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদ। মঙ্গলবার দুপুরে আইএমএফের ওয়েবসাইটে ঋণ অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য