কঠিন বছর শেষে নতুন বছরে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর যে প্রত্যাশার কথা বলাবলি হচ্ছিল, ঘটছে তার উল্টো ঘটনা। শেয়ার কেনায় নেই একেবারেই আগ্রহ। বরং ২০২০ সালে করোনার আঘাতের পর পুঁজিবাজারে যে স্থবিরতা নেমে এসেছিল, সেই স্মৃতি ফিরেছে।
বছরের প্রথম দিন লেনদেনের খরা দ্বিতীয় দিনেও বজায় থাকার পর এটা স্পষ্ট হয়ে উঠে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানিক, সব বিনিয়োগকারীরাই শেয়ার না কিনে অপেক্ষায় থাকার নীতি নিয়েছে।
রোববার লেনদেন ছিল ১৭৮ কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। পরের দিন সেটি নামল আরও তলানিতে। টেনেটুনে পার করতে পারল না দেড় শ কোটি টাকাও।
সব মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে ১৪৬ কোটি ৫১ লাখ ৯ হাজার টাকা। কয়েক মাস আগে লেনদেনের শীর্ষে থাকা একটি কোম্পানিতেই এর চেয়ে দ্বিগুণ টাকার শেয়ার হাতবদল হতে দেখা যায়।
আবার এই দেড়শ কোটি টাকার মধ্যে ৯৪ কোটি ৩৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকাই হাতবদল হয়েছে টপ টোয়েন্টির ২০টি কোম্পানিতে। লেনদেন হওয়া বাকি ৩০৯টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ৫০ কোটি টাকার কিছু বেশি।
কেবল ২৬টি কোম্পানির লেনদেন এক কোটি টাকার সীমা অতিক্রম করতে পেরেছে আর ১০ লাখ টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে কেবল ৬৪টি কোম্পানিতে। সব মিলিয়ে এক লাখ টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে ১২৯টি কোম্পানিতে।
এর চেয়ে কম লেনদেন ছিল প্রায় আড়াই বছর আগে ২০২০ সালের ৭ জুলাই। সেদিন হাতবদল হয় ১৩৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
সে সময় দেশে চলছিল করোনাভারাসজনিত বিধিনিষেধ। ওই বছরের ৮ মার্চ ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার পর বাজারে নামে ধস। ২৫ মার্চ থেকে বিধিনিষেধে বন্ধ হয়ে যায় পুঁজিবাজার। এর আগেই সব শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস দিয়ে কৃত্রিমভাবে দর ধরে রাখা হয়।
মে মাসে বিধিনিষেধ শিথিলের পর পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু হয়। এরপর কোনো দিন এক শ কোটির নিচে, কোনো দিন এক শ কোটি ছাড়িয়ে লেনদেন চলতে থাকে।
করোনার আবার ফিরে আসার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে চীনের কারণে। সেখানে ব্যাপক সংক্রমণের কথা প্রচার হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধজনিত কারণে নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা। অর্থনৈতিক মন্দা আসছে, এ কথা বলাবলি হচ্ছে সারা বিশ্বেই।
যদি সত্যি সত্যি মন্দা আসে, তাহলে রপ্তানির কী হবে, দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি রেমিট্যান্সে এমনিতেই ভাটা, তা আরও কমে গেছে রিজার্ভের কী হবে- ইত্যাদি নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে চার দিকে। এর মধ্যে আবার নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বিরোধে আবার ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের পরিস্থিতি ফেরার আশঙ্কা।
সব মিলিয়ে পরিস্থিতি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য সুখকর নয়। আর এই পরিস্থিতিতে দেশে দেশেই পুঁজিবাজারে দরপতন দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশে অবশ্য দরপতন ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে কৃত্রিমভাবে।
৩৯২টি কোম্পানির মধ্যে প্রায় অর্ধেক কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বেঁধে দেয়া আছে। ১৬৮টি কোম্পানির সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হলেও দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা এক শতাংশে ঠিক করার কারণে বহু শেয়ারের দরপতন আসলে সম্ভব নয়, আর কমলও তা কমতে পারবে নগণ্য। কৃত্রিমভাবে দর ধরে রাখতে গিয়েই লেনদেনে খরা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শেয়ারদর পতনে বাধার কারণে ৭টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ১৫৮ কোম্পানির দরপতনের সূচক তেমন কমতে পারেনি। ১৬৪টি কোম্পানি হাতবদল হয়েছে আগের দিনের দরে। এর সবগুলোই ফ্লোর প্রাইসে রয়েছে।
এদিন ৬০টি কোম্পানির একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি।
যেসব কোম্পানির দর বেড়েছে, তার মধ্যে নতুন তালিকাভুক্ত ইসলামিক কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে লেনদেন শুরুর পর প্রতিদিনই সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হচ্ছে। ১০ টাকার শেয়ারদর বেড়ে হয়েছে ৩৩ টাকা ৯০ পয়সা।
বাকি ৬টি কোম্পানির মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২.৫৫ শতাংশ বেড়েছে বিডিওয়েল্ডিংয়ের দর। তৃতীয় অবস্থানে থাকা শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের দর ১.০৬ শতাংশ বেড়েছে। বাকি একটির দরও এক শতাংশ বাড়েনি।
সবচেয়ে বেশি দরপতন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবগুলোই ফ্লোর প্রাইসে। গত ৩১ জুলাই থেকে এগুলোর দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ছিল। দর হারাতে থাকলেও এখনও তা ফ্লোরের চেয়ে অনেক বেশি আছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭.৪৯ শতাংশ দর হারিয়েছে ফ্লোর আরোপের পর এক শ টাকা থেকে এক হাজার টাকায় উঠে যাওয়া ওরিয়ন ইনফিউশন। কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর থেকে ৫০ শতাংশ কমে এখন নেমে এসেছে ৪৯১ টাকায়।
ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ১৪৫ টাকা থেকে ৪৬৩ টাকায় উঠে যাওয়া মনোস্পুল পেপারের দর কমেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭.০৭ শতাংশ। দাম নেমে এসেছে ২৫৮ টাকায়।
এক শতাংশের বেশি দর হারানো সম্ভব এমন কোম্পানির মধ্যে আরও একটির দর ৬ শতাংশের বেশি, তিনটির দর ৫ শতাংশের বেশি, ৪টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ১০টির দর ২ শতাংশের বেশি এবং ১০টির দর কমেছে এক শতাংশের বেশি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের অবস্থান এখন ৬ হাজার ১৭৭ পয়েন্ট, যা গত ১৪ আগস্টের পর সর্বনিম্ন। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ১৭৫ পয়েন্ট। ২৮ জুলাই সূচক ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যাওয়ার পর ফ্লোর আরোপ হলে সে সময় শেয়ারদর এবং সূচক বাড়ছিল। এক পর্যায়ে ৬ হাজার ছয় শ পয়েন্ট ছুঁয়ে ফেলে। আবার উল্টো যাত্রা শুরু হয়েছে।
ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, 'নতুন আঙ্গিকে পুঁজিবাজার দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, এবং সবাই অপেক্ষাতেই আছে। ফাইনান্সিয়াল ক্রাইসিস বা লিকুইডিটি ক্রাইসিস এবং ফ্লোর তুলে নিলে কী হবে সেই ভাবনাটাও কিছুটা কাজ করছে।‘
ফ্লোর তুলে নিলে কী হবে এই ভাবনাও কাজ করছে বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, ‘তবে সেই ভাবনার চেয়ও বেশি সংকট ফান্ডের। কারণ, ২০২০ সালের করোনার মধ্যেও আমরা ফ্লোর প্রাইজ দেখেছি, সেই সময়টাতেও ফ্লোর থাকার পরেও ফান্ড ফ্লো এসেছিল, বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। কিন্তু এখন সেটা নেই। এখন ইস্যু হচ্ছে ক্যাশ ফ্লো বা মানি ফ্লো। মানি ফ্লো আসলেই যে কোনো পয়েন্ট থেকে মার্কেট ঘুরে দাঁড়াবে।’
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য