× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Raw materials for export industry Special fund of 10 thousand crore rupees
google_news print-icon

রপ্তানি শিল্পের কাঁচামাল: ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল

রপ্তানি-শিল্পের-কাঁচামাল-১০-হাজার-কোটি-টাকার-বিশেষ-তহবিল
এর নাম দেয়া হয়েছে রপ্তানি সহায়ক প্রাক-অর্থায়ন তহবিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে স্থানীয় রপ্তানিমুখী শিল্প-প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানি বা স্থানীয় সংগ্রহের বিপরীতে এই তহবিল থেকে প্রাক-অর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।

স্থানীয় রপ্তানিমুখী শিল্প-প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে সহায়তা করবে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো এ তহবিল থেকে দেড় শতাংশ সুদে ঋণ পাবে। গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত্র সার্কুলার জারি করে সব তফসিলী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, রপ্তানি খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তি। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার পাশাপাশি অর্থনতিক প্রবৃদ্ধি গতিশীল রাখার লক্ষ্যে রপ্তানি খাতকে সহায়তা করা প্রয়োজন।

করোনা মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক অভিঘাত ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর রপ্তানি কার্যক্রম বেগবান করার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও জোর দিচ্ছে সরকার।

রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর অভিঘাত সহনশীল করার পাশাপাশি দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পের বিকাশ ও প্রসারের চলমান ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে এ খাতের জন্য পর্যাপ্ত তারল্য নিশ্চিত করতেই সহজ শর্তে একটি রপ্তানি সহায়ক প্রাক অর্থায়ন তহবিল গঠন করার কথাও উল্লেখ আছে সার্কুলারে।

এর নাম দেয়া হয়েছে রপ্তানি সহায়ক প্রাক-অর্থায়ন তহবিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে স্থানীয় রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানি বা স্থানীয় সংগ্রহের বিপরীতে এই তহবিল থেকে প্রাক-অর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।

দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক এ তহবিল হতে ঋণ সুবিধা পাবে। প্রাক-অর্থায়ন গ্রহণে আগ্রহী ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) এর সঙ্গে আগামী ২২ জানুয়ারির মধ্যে একটি অংশগ্রহণকারী চুক্তি করতে হবে।

আবর্তনযোগ্য এ তহবিলের কার্যক্রম পুনঃনির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

রপ্তানি শিল্পের কাঁচামাল: ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল
২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা

গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা

রপ্তানিমুখী যে কোনো প্রতিষ্ঠান এবং প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারক এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবে। তহবিলের অর্থ রপ্তানিকারকের ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানির জন্য ব্যবহার করা যাবে।

ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণপত্রের বিপরীতে স্থানীয় উৎপাদনকারী-সরবরাহকারী কাঁচামাল আমদানির -জন্যও ঋণ সুবিধা পাবে।

কোনো খেলাপি গ্রাহক বা গ্রাহক প্রতিষ্ঠানকে এ তহবিলের ঋণ পাবে না। তহবিল থেকে ঋণ সুবিধাগ্রহণকারী কোনো গ্রাহক নির্ধারিত রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানিমূল্য অপ্রত্যাবাসিত থাকলে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারক এ তহবিলের আওতায় নতুনভাবে আর কোনো ঋণ সুবিধা পাবেন না।

নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে উক্ত রপ্তানিমূল্য যথাসময়ে প্রত্যাবাসিত না হলে আরও একবার সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা নতুন ঋণসুবিধা পাবেন। নতুন ঋণ সুবিধার ক্ষেত্রে ইতঃপূর্বে ইস্যুকৃত ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণপত্রের বিপরীতে সৃষ্ট দায়ের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ গ্রাহককে নগদে পরিশোধ করতে হবে।

গ্রাহক রপ্তানি ঋণপত্রের বিপরীতে কাঁচামাল আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কোনো তহবিল থেকে সুবিধা নিলে এ তহবিলের আওতায় কোনো ঋণ সুবিধা পাবে না।

ঋণের মেয়াদ

গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের মেয়াদ যা-ই হোক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বোচ্চ ১৮০ দিন বা ছয় মাস মেয়াদে প্রাক-অর্থায়ন সুবিধা দেবে, যা মেয়াদ শেষে সুদসহ এককালীন পরিশোধ করতে হবে।

তবে যৌক্তিক কারণে রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবাসন দেরি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদ বা নির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে মেয়াদ আরও ৯০ দিন বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রস্তাব পাঠানো যাবে। সেক্ষেত্রে কেস টু কেস ভিত্তিতে বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক অনাপত্তিপত্র দেবে।

ঋণের পরিমাণ

চূড়ান্ত রপ্তানির ক্ষেত্রে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, সুতা উৎপাদনকারী বিটিএমএ এর সদস্য মিল ব্যতীত বিটিএমএ সদস্য এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত টাইপ-বি ও টাইপ-সি প্রতিষ্ঠানগলো (বাল্ক পদ্ধতিতে আমদানিকারক সদস্য মিল ব্যতীত) কর্তৃক উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানির জন্য রপ্তানি ঋণপত্র বা নিশ্চিত রপ্তানি চুক্তির বিপরীতে প্রয়োজনীয় তথ্য দাখিল সাপেক্ষে উৎপাদনের কাঁচামাল মূল্যের সমপরিমাণ অথবা ২০০ কোটি টাকা (যেটি কম) প্রাক-অর্থায়ন পাবে।

অভ্যন্তরীণ ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণপত্রের আওতায় রপ্তানি তথা স্থানীয়ভাবে উৎপাদনকারী-রপ্তানিকারকদের নিকট সুতা/বস্ত্র সরবরাহের জন্য বিটিএমএ এর সদস্য মিলের জন্য তুলা ও অন্যান্য তন্তু আমদানির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিগত ১২ মাসে অভ্যন্তরীণ ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণপত্রের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রাপ্ত সরবরাহ মূল্যের বিপরীতে যে ঋণ সুবিধা মঞ্জুর করা হয়েছে উক্ত ঋণের সমপরিমাণ প্রাক-অর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।

ইয়ার্ন সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ ডাইড ইয়ার্ন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিওয়াইইএ) সদস্য প্রতিষ্ঠানের অপ্রক্রিয়াজাত ইয়ার্ন ও রাসায়নিক পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ১৫০ কোটি টাকার বেশি ঋণ দেয়া যাবে না।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) সদস্য প্রতিষ্ঠান এক্সেসরিজ কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে ২০ কোটি টাকার বেশি ঋণ সুবিধা পাবে না।

বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) সদস্য প্রতিষ্ঠান ১০ কোটি টাকার বেশি ঋণ সুবিধা পাবে না।

রপ্তানি শিল্পের কাঁচামাল: ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল
তৈরি পোশাকের মতো জুতা ও চামড়াজাত অন্যান্য পণ্যের রপ্তানিও বেড়েছে। ছবি: নিউজবাংলা

লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) বাংলাদেশ সিরামিক ওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিডব্লিউএমএ) এর সদস্য প্রতিষ্ঠান ঋণ পাবে সাত কোটি টাকা।

এছাড়াও অন্যান্য যে কোনো খাতের চূড়ান্ত রপ্তানিকারক তাদের বিগত ১২ মাসের রপ্তানিমূল্যের ভিত্তিতে কাঁচামাল আমদানির জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা প্রাক-অর্থায়ন সুবিধা পাবে।

গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণকৃত ঋণ আদায়ের সব দায়-দায়িত্ব ঋণ বিতরণকারী ব্যাংকগুলোর ওপর ন্যস্ত থাকবে।

যথাসময়ে ঋণ পরিশোধে গ্রাহক ব্যর্থ হলে তা বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী শ্রেণিকরণ করতে হবে এবং প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।

আরও পড়ুন:
রপ্তানি ট্রফি পেল ৭১ প্রতিষ্ঠান
রপ্তানি আয় নগদায়নে সনদ ইস্যু করতে পারবে এডি শাখা
রপ্তানি সক্ষমতা বাড়াতে ১২ খাত নিয়ে গবেষণা
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের পর রপ্তানি আরও বাড়ছে
সংকটের মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাকের দাপট

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Germany will give 100 million Euros to Bangladesh
নবায়নযোগ্য জ্বালানি

বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো সহায়তা দেবে জার্মানি


বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো সহায়তা দেবে জার্মানি বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টারের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: বাসস
উপদেষ্টা জানান, চলতি বছর ১৫ মিলিয়ন (দেড় কোটি) ইউরো পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে সহযোগিতা করতে জার্মানি আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ইউরো দেবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

উপদেষ্টা জানান, চলতি বছর ১৫ মিলিয়ন (দেড় কোটি) ইউরো পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টারের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এ খাতে উভয় দেশই বেসরকারি খাত, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, অ্যাকাডেমিয়া ও সুশীল সমাজের মতো নন স্টেট অ্যাক্টরদের সঙ্গে জ্ঞান বিনিময় এবং সহযোগিতার প্রচার করবে।’

সচিবালয়ে পরিবেশ উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এ সহযোগিতায় ক্ষুদ্র জাতিগত সংখ্যালঘু, নারী এবং যুবকদেরও সম্পৃক্ত করা হবে, যা বহু স্টেকহোল্ডার পদ্ধতিকে উৎসাহিত করবে।’

উপদেষ্টা পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে জার্মানির অব্যাহত সহায়তার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চ্যালেঞ্জ এবং টেকসই বন ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

রাষ্ট্রদূত ট্রস্টার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের সমর্থনে জার্মানির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং পরিবেশ রক্ষায় সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জার্মানির দক্ষতার কথাও তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের সবুজ জ্বালানি উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব দেন।

বৈঠকে উভয় পক্ষ নদী পরিষ্কার, পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প, সবুজ প্রযুক্তি গ্রহণ, পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্ভাব্য সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বৈঠকে প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য আরও উপায় অন্বেষণ করার জন্য একটি চুক্তি হয়।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বিস্তৃত আলোচনা অর্থবহ সম্পর্কের ভিত্তি
দেশ পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের বৈঠক
অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি-উন্নয়নে সহযোগিতা পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের
বাংলাদেশের জন্য সহজ হবে না ভারত সিরিজ: গাঙ্গুলী

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Gomra village of Kankrol

কাঁকরোলের গ্রাম ঝিনাইগাতীর ‘গোমড়া’

কাঁকরোলের গ্রাম ঝিনাইগাতীর ‘গোমড়া’ ঝিনাইগাতির গোমড়া গ্রাম জুড়ে কাঁকরোল বাগানের সবুজ সৌন্দর্য। ছবি: নিউজবাংলা
ভারতের মেঘালয় রাজ্যঘেঁষা গারো পাহাড়ের জেলা শেরপুর। এখানে ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের একটি গ্রাম ‘গোমড়া’। এই গ্রামের চারশ’ একর জমিতে প্রায় ১২শ’ কৃষক কাঁকরোল চাষকে তাদের জীবিকার অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

নানা ধরনের সবজির মধ্যে বিশেষ একটি জায়গা দখল করে আছে ‘কাঁকরোল’। আর ব্যাপকভাবে এই সবজির চাষ হচ্ছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পাহাড়ি গ্রাম গোমড়ায়। গ্রামটিতে বসবাসকারী সবাই বিভিন্ন সবজির আবাদ করেন, যার মধ্যে কাঁকরোল অন্যতম। তাই গোমড়া গ্রামটি এখন ‘কাঁকরোল গ্রাম’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

ভারতের মেঘালয় রাজ্যঘেঁষা গারো পাহাড়ের জেলা শেরপুর। এখানে ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের একটি গ্রাম ‘গোমড়া’। এই গ্রামের চারশ’ একর জমিতে প্রায় ১২শ’ কৃষক কাঁকরোল চাষকে তাদের জীবিকার অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

কাঁকরোলের গ্রাম ঝিনাইগাতীর ‘গোমড়া’

সরজমিনে জানা যায়, এই এলাকায় কয়েক বছর আগেও পানি ও বিদুতের অভাবে বহু জমি পতিত ছিলো। এখন এ দুটি সুবিধা পাওয়ায় আর পতিত পড়ে থাকছে না এসব জমি। কৃষি বিভাগের সহায়তা ও পরামর্শে গ্রামের প্রায় সবাই নিজের কিংবা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে মৌসুমী সবজি চাষ করছেন।

শরৎ ঋতুর এই সময়টাতে পুরো এলাকার সবজির ক্ষেত কাঁকরোলে ছেয়ে গেছে। যদিও এসব ক্ষেতে গরম ও শীতের আগাম সবজি বেশি আবাদ করেন স্থানীয়রা। এখানকার উৎপাদিত সবজির মান ভালো হওয়ায় স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। স্থানীয় বাজারে কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।

গোমড়া গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগে এই এলাকায় পানির জন্য প্রায় সব জমিই পতিত থাকতো। কিন্তু এখন বিদ্যুৎ আসায় পানি সমস্যার সমাধান হয়েছে। আবাদের আওতায় এসেছে অনেক জমি।

‘আমরা মৌসুমভিত্তিক সবজির আবাদ করে থাকি। আমরা এখন সবজির মধ্যে কাঁকরোল লাগিয়েছি। সবজি আবাদ করে এলাকার কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।’

কৃষক হরমুজ আলী বলেন, ‘এটা পাহাড়ি এলাকা। এই এলাকায় আমরা সবজির আবাদই করি। আমি ৫০ শতাংশ জমিতে কাঁকরোল লাগাইছি। আমি এবার কাঁকরোল বিক্রি করে অনেকটা লাভবান হয়েছি। পোলাপানের লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছি। পাঁচ সদস্যের সংসার চলছে এই সবজি আবাদ করেই।’

কাঁকরোলের গ্রাম ঝিনাইগাতীর ‘গোমড়া’

কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা পাহাড়ের মানুষ। আগে কী যে কষ্ট করছি! মানষের জমিতে সারাদিন কাম করে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পাইছি। কোনো কোনোদিন কামও পাইতাম না। এই টাকা নিয়া বাজার করবার গেলে কষ্ট হইছে। এখন বাড়ির পাশে রহমত ভাইয়ের জমিন বাগি (বর্গা) নিয়া শুরু করছি কাঁকরোলের চাষ। এখন আল্লাহর রহমতে নিজেরা ভালা আছি।’

তবে স্থানীয় চাষিদের অভিযোগ রয়েছে গ্রামের রাস্তা-ঘাট কাঁচা নিয়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় সবজির ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

কৃষক হারুন মিয়া বলেন, ‘আমাদের এদিকে কাঁচা রাস্তা হওয়ায় আমরা সবজি বাজারে তুলতে পারি না। নিলেও খরচ অনেক পড়ে যাওয়ায় লাভ কম হয়। সময়মতো বাজারে না নেয়ায় সঠিক দামও পাই না। আমরা কৃষকরা অবহেলিত।’

কৃষক খাইরুল বলেন, ‘এই এলাকার গ্রামীণ রাস্তাগুলো পাকা করলে আমাদের খুব উপকার হবে। আমরা কৃষকরা সবজি আবাদ করে দামটা বেশি পাইতাম। খারাপ রাস্তায় সব গাড়ি সহজে আসবার চায় না। আসলেও ভাড়া বেশি পইড়া যায়। এজন্য লাভটা কম হয়।’

যেভাবে চাষ

কাঁকরোলের বীজ কাঁকরোল গাছের নিচে হয়ে থাকে, যা দেখতে মিষ্টি আলুর মতো। মার্চ ও এপ্রিলে এই সবজির চাষ করা হয়। চারা গজানোর ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যেই এর ফলন পাওয়া সম্ভব। কাঁকরোল লতানো গাছ। স্ত্রী ফুল ও পুরুষ ফুল একই গাছে হয় না। তাই বাগানে দু’ধরনের গাছ না থাকলে পরাগায়ন ও ফলন কম হয়।

চাষে খরচ ও লাভ কেমন

কৃষকেরা বলছেন, কাঁকরোল চাষে বিঘাপ্রতি খরচ পড়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘায় খরচ লাখ টাকার উপরে লাভ হয়ে থাকে।

কাঁকরোলের উপকারিতা

কাঁকরোল অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি৷ এতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস, ক্যারোটিন, আমিষ, ভিটামিন এ, বি ও সি এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে৷ কাঁকরোলে ভিটামিন সি থাকায় শরীরের টক্সিন দূর করে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

কাঁকরোলে আছে বিটা ক্যারোটিন ও আলফা ক্যারোটিন, যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না; ত্বককে করে উজ্জ্বল। এছাড়া কাঁকরোলের ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।

কাঁকরোলের গ্রাম ঝিনাইগাতীর ‘গোমড়া’

ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার জানান, পাহাড়ের পাদদেশে কাঁকরোলের পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের সবজির আবাদ হয়ে থাকে। সবজি চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। এই সবজি কৃষক সরাসরি ঢাকার বাজারে পাঠাচ্ছে। সবজির মান ভালো হওয়ায় কৃষক দামও পাচ্ছে ভালো।

‘আমি মনে করি অন্যান্য কৃষি উদ্যোক্তা জমি ফেলে না রেখে মৌসুমভিত্তিক সবজি আবাদ করলে অবশ্যই লাভবান হবে। এ বছর এই উপজেলায় ৭০ হেক্টর জমিতে কাঁকরোলের আবাদ হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতসহ উফশী চার ধানে নতুন সম্ভাবনা
পেঁয়াজ কেন আমদানি করতে হয়, জানালেন কৃষিমন্ত্রী
তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টিতে পঞ্চগড়ে মরিচচাষীদের স্বপ্নভঙ্গের শঙ্কা
দাবদাহ বাড়াচ্ছে পানির সংকট, আম-লিচু চাষিদের মাথায় হাত
বোরো উৎসবে মেতেছে কুমিল্লা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Import export is closed in Benapole on the occasion of Eid Miladunnabi

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে পণ্যবাহী ট্রাক। ছবি: নিউজবাংলা
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ছুটি থাকায় আজ দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আবার স্বাভাবিকভাবেই আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হবে।’

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে এক দিনের সরকারি ছুটি থাকায় সোমবার বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক ওমর ফারুক মজুমদার।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ভারত থেকে পণ্যবোঝাই ৩০০ থেকে ৩৫০টি ট্রাক আসে। বাংলাদেশ থেকেও ২০০ ট্রাকেরও বেশি পণ্য যায় ভারতে।

শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য আসে এ বন্দর দিয়ে। ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যের ৮০ ভাগই আসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আজ সোমবার সরকারি ছুটির কারণে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে বলে দুই দেশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পত্র বিনিময় হয়েছে।’

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের পুলিশ পরিদর্শক ওমর ফারুক মজুমদার জানান, ছুটিতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক আছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ছুটি থাকায় আজ দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আবার স্বাভাবিকভাবেই আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হবে।’

আরও পড়ুন:
বেনাপোল দিয়ে তিন দিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
৫ অর্থবছর পর বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন
‘অতিরিক্ত শুল্ক আদায়’, বেনাপোলে আটকা পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক
বাংলাবান্ধায় ৭ দিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
ভাঙা কাঁচে কেটেছে হাত, বেনাপোলে যাত্রীদের পেটাল পুলিশ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
A disaster in hilsa extraction in the season of blowing sea

ফুঁসছে সাগর, ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণে বিপর্যয়

ফুঁসছে সাগর, ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণে বিপর্যয় সাগর উত্তাল থাকায় নিরাপদে আশ্রয় নিয়ে আছে মাছ ধরার ট্রলার। ছবি: নিউজবাংলা
শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, ছয় মাসের ইলিশ মৌসুমের তিন মাস চলে যায় নিষেধাজ্ঞায়। বাকি সময় দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাগর-নদীতে ঠিকমতো জাল ফেলা যায় না। ফলে একদিকে লোকসানের ঘানি টানতে টানতে মহাজনরা নিঃস্ব হচ্ছে। অন্যদিকে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত লাখ লাখ জেলে চরম সংকটে পতিত হচ্ছে।’

গভীর নিম্নচাপের কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে আশ্রয় নিয়েছে এক হাজারের বেশি ফিশিং ট্রলার। ফলে আপাতত সাগরে মাছ শিকার বন্ধ। এ অবস্থায় ভরা মৌসুমে ইলিশ আহরণে বিপর্যয় নেমে এসেছে।

ত্তাল সাগরে বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ায় সাগরে টিকতে না পারায় এসব ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালসহ বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি ঘাট, শরণখোলা, রায়েন্দা, মোংলা ও রামপাল ঘাটে এসে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

শনিবার দিনভর বাগেরহাটে ৫৭ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে মোংলা আবহাওয়া অফিস। বাগেরহাটে থেমে থেমে বৃষ্টির মধ্যে বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া।

সাগর উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বৈরী আবহাওয়া কারণে মোংলা বন্দরের জেটি ও পশুর চ্যানেলের আউটার বারে অবস্থানরত সব বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ‌উঠা-নামার কাজ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে মৎস্য আহরণে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা এখন মাছ ধরা নিয়ে সাগরে ব্যস্ত সময় কাটানোর কথা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর বড় বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ইলিশ আহরণে দেখা দিয়েছে চরম বিপর্যয়।

সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় ২৩ জুলাই। ওই সময় প্রথম সাগরে রওনা হয়েই টানা এক সপ্তাহের দুর্যোগের কবলে পড়তে হয়েছে জেলেদের।

গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে চলতি সপ্তাহে দু’দফা নিম্নচাপ ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে বঙ্গোপসাগর। উত্তাল ঢেউয়ে সাগরে কোনো ট্রলার নামতে পারছে না। ফের বন্ধ হয়ে গেছে ইলিশ আহরণ।

বর্তমানে বাগেরহাটের হাজারের বেশি ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনসহ উপকূলীয় বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। গত দেড় মাসে তিন দফা দুর্যোগে পড়ে কোটি কোটি টাকা লোকসানে পড়েছেন বাগেরহাটের শরণখোলাসহ উপকূলের মহাজন ও আড়ৎদাররা।

শনিবার দুপুরে শরণখোলার মৎস্য আড়ৎদাররা জানিয়েছেন, নিম্নচাপের কারণে গত রোববার থেকে টানা তিন দিন সাগরে জাল ফেলতে পারেনি জেলেরা। মাঝখানে দু’দিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক হলে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা ট্রলারগুলো সাগরে ছুটে যায়। কিন্তু এরই মধ্যে ফের হানা দিয়েছে গভীর নিম্নচাপ। ফলে শুক্রবার ভোর থেকে আবারও সব ফিশিং ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসে।

গভীর সাগর থেকে ফিরে আসা ট্রলারগুলো বর্তমানে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের মেহের আলীর চর এবং বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি ঘাট, শরণখোলা, রায়েন্দা, মোংলা ও রামপাল ঘাটে এসে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘একের পর এক দুর্যোগের কারণে সাগরে জাল ফেলা যাচ্ছে না। প্রতি ট্রিপে একেকটি ট্রলারে দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু মাছ না পাওয়ায় অধিকাংশ মালিক-মহাজনের চালান খোয়াতে হচ্ছে। এমনিতেই এ বছর প্রত্যেক আড়ৎদার ও মহাজন লাখ লাখ টাকা লোকসানে রয়েছে।’

আবুল হোসেন আরও বলেন, ‘ইলিশের যখন ভরা মৌসুম তখনই ৬৫ দিন থাকে নিষেধাজ্ঞা। এর পর আবার অক্টোবর মাসে শুরু হবে ইলিশের প্রজনন মাস। তখন ২২ দিন দেশের সব নদী ও সমুদ্রে সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

ফলে ছয় মাসের ইলিশ মৌসুমের তিন মাস চলে যায় নিষেধাজ্ঞায়। বাকি সময় দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাগর-নদীতে ঠিকমতো জাল ফেলা যায় না। ফলে একদিকে লোকসানের ঘানি টানতে টানতে মহাজনরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত লাখ লাখ জেলে চরম সংকটে পতিত হচ্ছে।’

আড়ৎদার, ট্রলার মালিক সর্বোপরি জেলেদের দুর্দশা বিবেচনা করে তাদের স্বার্থে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আর না দেয়ার দাবি জানান এই ফিশিং ট্রলার মালিক নেতা।

আরও পড়ুন:
সাগরে এক জালেই ১৩০ মণ ইলিশ: যা বলছেন বিশেষজ্ঞ
ভোলার ‍দুই অভয়াশ্রমে ইলিশ ধরা বন্ধ
মুন্সীগঞ্জে মাছের আড়তে অভিযান, ৩৫ মণ জাটকা জব্দ
বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপ
নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর উত্তাল

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Donald Lu has arrived in Dhaka

ডোনাল্ড লু ঢাকায় পৌঁছেছেন

ডোনাল্ড লু ঢাকায় পৌঁছেছেন ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটির এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বহুমাত্রিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে আলোচনার ফোকাস হবে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু তিনদিনের ভারত সফর শেষে আজ শনিবার বিকেলে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।

কূটনৈতিক সূত্র ‌এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের পরিচালক সামিয়া ইসরাত রনি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জা‌তিক বিমানবন্দরে ডোনাল্ড লু’কে স্বাগত জানান।

এর আগে শনিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ক সহকারী সচিব ব্রেন্ট নেইম্যান ঢাকায় আসেন।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এটিই ঢাকায় কোনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের প্রথম সফর।

যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটির এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বহুমাত্রিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে আলোচনার ফোকাস হবে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আগামীকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

পরে প্রতিনিধি দলটি পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। ওইদিন বিকেলে প্রতিনিধি দল প্রধান নেইম্যান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

নেইম্যানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে লু ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার (ইউএসএআইডি) উপ-সহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কর ও যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ রয়েছেন।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের প্রধান নেইম্যান ঢাকায় পৌঁছেছেন
লুর নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল আসছে আজ, আলোচনা হবে বহুমাত্রিক
বাংলাদেশের আর্থিক স্থিতিশীলতাকে প্রাধান্য দেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল
ইউনূসকে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি হুইপের সমর্থন
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Neiman the head of the US delegation arrived in Dhaka

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের প্রধান নেইম্যান ঢাকায় পৌঁছেছেন

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের প্রধান নেইম্যান ঢাকায় পৌঁছেছেন শনিবার সকালে ব্রেন্ট নেইম্যানকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম। ছবি: সংগৃহীত
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ক সহকারী সচিব ব্রেন্ট নেইম্যানকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলম।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ক সহকারী সচিব ব্রেন্ট নেইম্যান আজ শনিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন। তিনি ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনায় তার দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলম ব্রেন্ট নেইম্যানকে স্বাগত জানান।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানানোর জন্য ঢাকা একটি ব্যাপক ও বহুমুখী আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আজই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। তিনি বর্তমানে নয়াদিল্লি সফর করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও অন্যান্য আনুষ্ঠানিক বৈঠকে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন প্রতিনিধি দলের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

পররাষ্ট্র সচিব সফর প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আলোচনায় শুধু একটি বিষয় নয়, বিস্তৃত বিষয় থাকবে।’

যুক্তরাষ্ট্রর পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন অগ্রাধিকারে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হবে।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, এই সফরকালে সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল জুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আর্থিক স্থিতিশীলতা জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন। ঢাকায় লু অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বৈঠকের জন্য একটি আন্তঃসংস্থা প্রতিনিধি দলে যোগ দেবেন।

প্রতিনিধি দলে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ, ইউএসএআইডি ও দেশটির বাণিজ্য প্রতিনিধি অফিসের প্রতিনিধিরা থাকবেন।

আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র
র‍্যাবের বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে: লু
ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Labor unrest Production begins in most factories in Ashulia

শ্রমিক অসন্তোষ: আশুলিয়ার অধিকাংশ কারখানায় শুরু উৎপাদন

শ্রমিক অসন্তোষ: আশুলিয়ার অধিকাংশ কারখানায় শুরু উৎপাদন ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কর্মচাঞ্চল্য। ফাইল ছবি
শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম শনিবার সকালে জানান, শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা মোতাবেক বন্ধ থাকা ৮৬টি কারখানার মধ্যে ৫০টি খুলেছে। আর সাধারণ ছুটি ঘোষণা হওয়া বাকি ১৩৩টি কারখানার মধ্যে বেশির ভাগ কারখানাই আজ খোলা রয়েছে। শুধু ১৩টি কারখানায় এখনও সাধারণ ছুটি রয়েছে।

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় বন্ধ হওয়া দুই শতাধিক কারখানার বেশির ভাগে শনিবার উৎপাদন শুরু হয়েছে।

শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতিও অনেকটাই স্বাভাবিক বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।

শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম শনিবার সকালে এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, আজ শিল্পাঞ্চলের কোথাও কোনো সড়ক অবরোধসহ কারখানায় হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি অনেক স্বাভাবিক রয়েছে।

পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা মোতাবেক বন্ধ থাকা ৮৬টি কারখানার মধ্যে ৫০টি খুলেছে। আর সাধারণ ছুটি ঘোষণা হওয়া বাকি ১৩৩টি কারখানার মধ্যে বেশির ভাগ কারখানাই আজ খোলা রয়েছে। শুধু ১৩টি কারখানায় এখনও সাধারণ ছুটি রয়েছে।

তিনি আরও জানান, শিল্পাঞ্চলে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশের বাড়তি সদস্য। এ ছাড়া শিল্পাঞ্চলে যৌথ বাহিনীর টহল অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুন:
আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোয় জড়িত আরাফাত গ্রেপ্তার
বগুড়ায় অয়েল মিলে বিস্ফোরণে নিহত ৪, আহত ৩
আশুলিয়ায় উৎপাদন বন্ধ ২১৯ পোশাক কারখানায়
আশুলিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ২২ কারখানা, আটটিতে ছুটি
পোশাক শ্রমিকদের উসকানির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

মন্তব্য

p
উপরে