জনশক্তি রপ্তানিতে রেকর্ড হলেও বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে বিদায়ী বছরে। সদ্য শেষ হওয়া ২০২২ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী সোয়া কোটি প্রবাসী ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সব মিলিয়ে ২ হাজার ১২৮ কোটি ৫৪ লাখ (২১.২৮ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এই অঙ্ক আগের বছরের চেয়ে ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ কম। ২০২১ সালে ২ হাজার ২০৭ কোটি ২৫ লাখ (২২.০৭ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
তবে অন্য একটি পরিসংখ্যান জাগিয়েছে হতাশা। এই ২০২২ সালে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে সাড়ে ১১ লাখ লোক কাজের জন্য বিভিন্ন দেশে গেছেন। যা আগের বছরের চেয়ে ৮৬ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। ২০২১ সালে জনশক্তি রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ জন।
অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ মানুষ বিদেশ গেলেও টাকা আসলো কম।
জনশক্তি রপ্তানিকারক, ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম বেশি হওয়ায় একটু বেশি টাকা পাওয়ায় প্রবাসীরা অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে অর্থ পাঠানোয় রেমিট্যান্স কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার রেমিট্যান্স প্রবাহের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স বেশ খানিকটা বেড়েছে। এই মাসে ১৭০ কোটি (১.৭০ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরের চেয়ে বেশি ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ।
আগের তিন মাস নভেম্বর, অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে এসেছিল যথাক্রমে ১৫৯ কোটি ৫২ লাখ, ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ এবং ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
তার আগের দুই মাসেই ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। জুলাই মাসে এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার; আগস্টে আসে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।
সব মিলিয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ১ হাজার ৪৯ কোটি ৩২ লাখ (১০.৪৯ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ১০ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা বাধা-বিপত্তির মধ্যেও জনশক্তি রপ্তানিতে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত জনশক্তি রপ্তানি তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, বছরের ১ মাস বাকি থাকতেই অর্থাৎ ১১ মাসে (জানুয়ারি-নভেম্বর) ১০ লাখ ২৯ হাজার ৫৪ জন লোককে কাজের জন্য বিভিন্ন দেশে গেছেন। এর আগে কোনো বছরেও এত লোক কাজের সন্ধানে বিদেশে যাননি।
ডিসেম্বর মাসের তথ্য যোগ হলে ২০২২ সালে মোট জনশক্তি রপ্তানির পরিমাণ সাড়ে ১১ লাখে গিয়ে পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সভাপতি আবুল বাশার।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এই যে আমরা সাড়ে ১১ লাখ লোককে বিদেশে পাঠালাম, এটি একটি বিশাল বড় ঘটনা। কিন্তু দুঃখজনক হলো জনশক্তি রপ্তানি বাড়লেও রেমিট্যান্স বাড়ছে না। এর প্রধান কারণ হচ্ছে হুন্ডি। করোনা মহামারির কারণে সব কিছু বন্ধ থাকায় বিশ্বব্যাপী অবৈধ হুন্ডি কর্মকাণ্ড বন্ধ ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকেই ফের হুন্ডি কর্মকাণ্ড চালু হয়েছে। ডলারের বাজারের অস্থিরতার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে তা আরও বেড়ে গেছে।
‘২০২২ সালে যারা বিভিন্ন দেশে গেছেন, তারা বেশিরভাগ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। বেতন পাচ্ছেন; দেশে পরিবার-পরিজনের কাছে টাকা পাঠাচ্ছেন। সে হিসাবে রেমিট্যান্সের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেটি হচ্ছে না। উল্টো কমছে। এটি একটি উদ্বেগের বিষয়। এই রেমিট্যান্স কমার কারণেই কিন্তু আমাদের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ কমে আসছে।’
আবুল বাশার বলেন, ‘এখানে প্রবাসী ভাই-বোনদের কোনো দোষ আমি দেখি না। তারা প্রতি ডলারে দুই-তিন টাকা বেশি পাচ্ছেন বলেই ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা না পাঠিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক হুন্ডি বন্ধে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।
‘এখানে সরকারের কাছে আমার একটা প্রস্তাব আছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে বা বৈধপথে টাকা পাঠালে সরকার এখন যে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে। তা বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করলে হুন্ডি বন্ধ হবে বলে আমি মনে করি।’
তবে ভিন্ন কথা বলেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রণোদনা দিয়ে রেমিট্যান্সের ইতিবাচক ধারা কখনই ধরে রাখা যাবে না। হুন্ডি বন্ধ করতেই তো সরকার প্রথমে ২ শতাংশ, পরে তা আরও বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করেছে। কিন্তু হুন্ডি তো বন্ধ হচ্ছে না; উল্টো আরও বাড়ছে। এখানে যে কাজটি করতে হবে, তা হলো, ডলারের বাজারকে স্থিতিশীল করতে হবে। কার্ব মার্কেট ও ব্যাংকের ডলারের দামের পার্থক্য কমিয়ে আনতে হবে। যত এই পার্থক্য বেশি থাকবে ততো দিন হুন্ডি বন্ধ হবে না।’
আহসান মনসুর বলেন, ‘খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলারের দর এখন ১১২ থেকে ১১৩ টাকা। ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে ১০৭ টাকা পাওয়া যায়। তার সঙ্গে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা যোগ হয়ে পাওয়া যায় ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। আর হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে, যার নামে পাঠান তিনি ১১৩ টাকা পর্যন্ত পাচ্ছেন। এ কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ বেড়ে গেছে।’
বিএমইটির তথ্যে দেখা যায় ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ জন লোক কাজের সন্ধানে বিভিন্ন দেশে গেছেন। তার আগের বছর ২০২০ সালে করোনার কারণে এই সংখ্যা ছিল একেবারেই কম; ২ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ জন।
অর্থবছরের হিসাবে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ২১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ কম।
২০২০-২১ অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। যা ছিল আগের বছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন:
গত বছর প্রিমিয়াম সংগ্রহে ৩৪.৪৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে চতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি জীবনবিমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের।
কোম্পানিটি ব্যবস্থাপনা খাতে আগের বছরের চেয়ে ২.৬৭ শতাংশ কম ব্যয় করেছে।
বীমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (আইডিআরএ) জেনিথের জমা দেয়া হিসাব থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফ মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে ৩০ কোটি ১৯ লাখ টাকা, যা ২০২১ সালে ছিল ২২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে গত বছর কোম্পানিটির প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বা ৩৪.৪৮ শতাংশ।
কোম্পানিটি এককালীন ও গ্রুপ বিমা ছাড়া প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে ১৮ কোটি ২ লাখ টাকার, যা আগের বছরে ছিল ১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০২২ সালে কোম্পানিটির প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বা ৩৩.৬৮ শতাংশ।
চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান আলিবাবার মালিকানাধীন অনলাইন বাণিজ্যিক প্ল্যাটফর্ম দারাজ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় ১১ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে।
দারাজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিয়ার্ক মিক্কেলসেনের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘বর্তমান বাজার বাস্তবতা’ বিবেচনায় দারাজের সিইও কর্মীদের ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের কথা সোমবার চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন । পরে তার লেখা সেই চিঠি প্ল্যাটফর্মটির ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়।
চিঠিতে মিক্কেলসেন ইউক্রেন যুদ্ধ, সরবরাহব্যবস্থায় বিঘ্নতা, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, উচ্চ কর এবং দারাজের আঞ্চলিক বাজারগুলোতে সরকারি ভর্তুকি প্রত্যাহারের মতো বিষয় কঠিন বাজার পরিস্থিতি তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দারাজের আঞ্চলিক প্রায় ৩ হাজার কর্মী রয়েছে। দারাজের এই সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশে কর্মরত অন্তত ১০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের মুখে পড়বেন বলে জানিয়েছেন বিয়ার্ক মিক্কেলসেন।
২০২১ সালে দারাজ জানায়, তাদের গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৫০ কোটি ও কর্মীর সংখ্যা ১০ হাজার। গত দুই বছরে কোম্পানিটি পাকিস্তান ও বাংলাদেশে ১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে।
বন্ধ হয়ে যাওয়া একটিসহ দেশের পাঁচ মোবাইল কোম্পানির কাছে সরকারের বকেয়ার পরিমাণ ১৩ হাজার ৪০৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
জাতীয় সংসদে কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহানের প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার এ তথ্য জানান মোস্তফা জব্বার। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের কাছ থেকে ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ১৩৫ টাকা, রবি আজিয়াটার কাছে ৭২৯ কোটি ২৩ লাখ ৯১ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা। বাংলালিংক ডিজিটালের কাছে ২০২১ সালের নিলামে বরাদ্দকৃত তরঙ্গের দ্বিতীয় কিস্তি এবং ২০২২ সালের তরঙ্গ নিলামের ডাউন পেমেন্ট বাবদ ২৭৩ কোটি ২৫ লাখ ৪১ হাজার ২৯২ টাকা।
রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে সরকারের পাওনা এক হাজার ৬৯৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, টেলিটকের কাছে পাওনা টাকার মধ্যে এক হাজার ৫৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা থ্রিজি স্পেকট্রাম অ্যাসাইনমেন্ট ফি বাবদ। স্পেকট্রাম চার্জ বাবদ ২৭ কোটি ১৫ লাখ, রেভিনিউ শেয়ার বাবদ ৩৩ কোটি ৭৯ লাখ ও এসওএফ বাবদ ৪৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানান সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা ১২৮ কোটি ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৩ টাকা পাওনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোহম্মদ হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডাক ও টেলিযোগ বিভাগের আওতাধীন বিটিআরসি কর্তৃক গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইস্যূকৃত বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা কলসেন্টার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটধারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৭৯টি। অপারেশনাল কল সেন্টারের সংখ্যা ৬৮ টি। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক কল সেন্টার ৪৫ টি, অভ্যন্তরীন কল সেন্টারের সংখ্যা ২৩ টি।
ডাক অধিদপ্তরের প্রচলিত অর্থে কোনো কল সেন্টার নেই বলে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের ডাকঘরসমূহকে কল সেন্টারে রূপান্তরের পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। সকল ডাকঘরে এ ধরনের কল সেন্টার তৈরির জন্য পর্যাপ্ত ও দক্ষ জনবল প্রয়োজন। এছাড়াও ডাক বিভাগের প্রতিটি ইউনিটের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তার নাম ও টেলিফোন নম্বর ওয়েবসাইটে দেয়া রয়েছে।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ভারতের সঙ্গে আইপি ট্রানজিট লিজ প্রদান সংক্রান্ত একটি চুক্তি ২০১৫ সালের ৬ জুন স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী দেশটির পূর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলির জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ বাংলাদেশ হতে লিজ প্রদান করা হয়। বিএসসিসিএল বর্তমানে ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি বিএসএনএলকে ত্রিপুরায়য় ২০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করছে।
আরও পড়ুন:রাজস্ব খাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণ করতে আগামী অর্থবছর থেকেই ধাপে ধাপে বাড়াতে হবে রাজস্ব আয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ৬৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করতে হবে।
আইএমএমের ঋণ কর্মসূচির সবশেষ বছর অর্থাৎ ২০২৫–২৬ অর্থবছরে এনবিআরকে বর্তমান লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অতিরিক্ত আরও ২ হাজার ৩৪০ বিলিয়ন টাকা বা ২ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)।
সোমবার পিআরআই কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। এ সময় রাজস্ব খাতে আইএমএফের শর্ত মেনে সরকারের যেসব সংস্কার করতে হবে, সে ব্যাপারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা পরিচালক এম এ রাজ্জাক।
পিআরআই বলছে, আইএমএফের ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে রাজস্ব আয় বাড়াতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এখনও সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা না পাওয়া গেলেও বাজেটের আগে ধাপে ধাপে তা আসবে। তবে আইএমএফের চাপে নয়; বরং নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতেই এই সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করে সংস্থাটি।
মূল প্রবন্ধে এম এ রাজ্জাক বলেন, আইএমএফ-এর শর্ত মেনে ২০২৪, ২০২৫ ও ২০২৬ অর্থবছরে বাজেটের মূল রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ২ হাজার ৩৪০ হাজার কোটি টাকা বা ২ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করতে হবে। এর মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এনবিআরকে বর্তমান লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ৬৫০ বিলিয়ন বা ৬৫ হাজার কোটি টাকা আয় করতে হবে।
এর পরের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের জুনে সমাপ্ত বছরে বর্তমান বছরের লক্ষ্যমাত্রা থেকে অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করতে হবে ১ হাজার ৩৮৩ বিলিয়ন টাকা বা ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
আইএমএমের ঋণ কর্মসূচির সর্বশেষ বছর অর্থাৎ ২০২৫–২৬ অর্থবছরে এনবিআরকে বর্তমান লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অতিরিক্ত আরও ২ হাজার ৩৪০ বিলিয়ন টাকা বা ২ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে।
উল্লেখ্য, চলতি ২০২২–২৩ অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরকে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে।
পিআরআই গবেষণা পরিচালক আরও বলেন, রাজস্ব খাতের ক্ষেত্রে আইএমএফের সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করা চ্যালেঞ্জের হবে। তবে এটা অসম্ভব নয়। এ জন্য সরকারের সদিচ্ছার পাশাপাশি রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিও বদলাতে হবে।
এম এ রাজ্জাক জানান, আইএমএফ বলেছে আমাদের এই মুহূর্তে ট্যাক্স জিডিপি রেশিও বাড়াতে হবে। বর্তমানে তাদের হিসাবে এটা ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। শর্ত অনুযায়ী জিডিপিতে করের অবদান সাত দশমিক ৮ থেকে ২০২৪ অর্থবছরে ৮ দশমিক তিন শতাংশ, ২০২৫ অর্থবছরে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২০২৬ অর্থবছরে ৯ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এটা ম্যানেজ করা টাফ।
গত ৩-৪ বছরে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ১০ থেকে ১৩ ভাগের মধ্যে থাকছে। এজন্য রাজস্ব আদায় ১৮ শতাংশ বাড়াতে হবে। এ বছরের বাজেটে সরকারের এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে। এটা কম হওয়ার ফলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা পর্যাপ্ত অর্থ ব্যয় করতে পারছি না।
আইএমএফ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি বন্ধের কথা বলেছে। এ বছর প্রবৃদ্ধির যে প্রাক্কলন করা হয়েছিল সেটা আইএমএফ কমিয়ে দিয়েছে।
এনবিআরের কাঠামোগত সংস্কার ও মানসিকতার বদল করা না গেলে আইএমএফের শর্ত মেনে রাজস্ব খাতের সংস্কার বাস্তবায়ন করা সরকারের জন্য কঠিন হবে বলে মনে করেন পিআরআই নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, ‘এই পরিমাণ রাজস্ব আদায় করা খুবই কঠিন। তবে এর কোনো বিকল্প নেই। বড় ধরনের সংস্কার সম্পন্ন না হলে আসন্ন কিস্তি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যা অতীতে হয়েছে। সংস্কার না হলে অর্জিত তো হবেই না বরং ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও কমে যেতে পারে। গত ৫ বছরে প্রতি বছর একটু একটু করে এটা কমেছে।’
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘অন্য দেশে কর হার বাড়িয়ে এটা আদায় সম্ভব। কিন্তু আমাদের দেশে কর হার এমনিতেই বেশি। এজন্য এটা আদায় করতে কষ্ট করতে হবে। এখানে সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।’
আরও পড়ুন:ভারতীয় শিল্পগ্রুপ আদানির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।
রোববার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সচিবালয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এ কথা জানিয়েছেন।
নসরুল হামিদ বলেন, আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কমিশনিং হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই, মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।
তিনি বলেন, আদানির বিদ্যুৎ নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই। আমরা প্রতিযোগিতামুলক বাজার দরেই বিদ্যুৎ পাব। এ নিয়ে কোনো সংশয়ের সুযোগ নেই। মার্চে প্রথম ইউনিট থেকে আসবে ৭৫০ মেগাওয়াট। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে এপ্রিল মাসে।
ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসার কথা আগামী ২৬ মার্চ। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে জানানোও হয়। তবে এখন প্রায় এক মাস এগিয়ে এনে ২৮ ফেব্রুয়ারি আনার কথা বলছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আসছে সেচ ও গীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আমাদের বেশকিছু কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। রামপাল এসেছে, এসএস পাওয়ার আসবে, বরিশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র আসবে। সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ নিয়েছি, সেচ মৌসুম নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
স্পর্ট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি শুরু হয়েছে। গ্যাস সরবরাহ বেড়ে যাবে। স্পর্ট মার্কেট থেকে ৮ কার্গো এলএনজি আমদানির পরিকল্পনার কথাও জানান প্রতিমন্ত্রী।
গ্যাসের নতুন দর ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর না করার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের দাবির বিষয়টি নাকচ করে দেন তিনি।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সারসংক্ষেপে বলা হয়, আদানি গ্রুপের গোড্ডা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদন (সিওডি বা কমার্শিয়াল অপারেশন ডেট) ২০২৩ সালের ২৬ মার্চ ঠিক করা হয়েছে।
এরই মধ্যে গত ২৪ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পুঁজিবাজার বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ আদানির শেয়ারবাজারে বাজারে কারসাজি এবং অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতির বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরে ওই তথ্যের ভিত্তিতে আদানি গ্রুপের শেয়ার মার্কেট থেকে ১১০ বিলিয়ন ডলার হারানোর তথ্য দেয় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
আরও পড়ুন:চূড়ান্ত হিসাবে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় কমে ২ হাজার ৭৯৩ ডলারে নেমে এসেছে। সাময়িক হিসাবে এই আয় ছিল ২ হাজার ৮২৪ ডলার। মাথাপিছু আয় কমার পাশাপাশি মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধিও কমে ৭ দশমিক ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। সাময়িক হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চূড়ান্ত এই হিসাব রোববার প্রকাশ করেছে। গত বছরের ১০ মে সাময়িক হিসাব প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০২১-২২ অর্থবছর শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ৩০ জুন। সাত মাসের বেশি সময় পার হওয়ার পর রোববার জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়সহ ওই অর্থবছরের অর্থনীতির অন্যান্য সূচকের চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করলো পরিসংখ্যান ব্যুরো।
মাথাপিছু আয় ও জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার কারণ জানতে চাইলে বিবিএসের মহাপরিচালক মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই বছরের করোনা মহামারির ধাক্কা কাটতে না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। গত অর্থবছরের শেষের চার মাসের বেশি সময় (২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ জুন) গেছে উত্তাল যুদ্ধের মধ্যে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও সেই যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। বিনিয়োগ কমেছে। সব মিলিয়েই জিডিপি প্রবৃদ্ধি খানিকটা কমেছে। এর ফলে মাথাপিছু আয়ও ৩১ ডলার কমে গেছে।’
তবে বর্তমান বিশ্ব পেক্ষাপটে এই প্রবৃদ্ধি ‘খুবই ভালো’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৭ দশমিক ১০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি এটাই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। জিডিপির এই তথ্য হিসাবের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের এদিক-সেদিক করা হয়নি। সারা দেশ থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে, সেটাই প্রকাশ করা হয়েছে।’
স্বনির্ভরতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোববার দুপুরে দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত জাতীয় রাজস্ব সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠন করেন। বর্তমানে রাজস্ব বোর্ড দেশের মোট রাজস্বের ৮৬ শতাংশের বেশি আহরণ করছে।
সরকারের লক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ি তুলতে চাই। আমাদের অর্থনীতি হবে স্মার্ট ইকনোমি। স্মার্ট ইকনোমি গঠনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ, এটাই আমাদের লক্ষ্য, যেটা ১৯৪১ সালে আমরা করতে চাই।
‘২০৪১ সালের মধ্যে আমরা এটা অর্জন করতে চাই। কাজেই সেই লক্ষ্য সামনে নিয়েই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।’
এনবিআরের নানা কার্যক্রম নিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি, চোরাচালান দমনের মতো কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানো এবং দেশীয় শিল্পের বিকাশ এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে নীতি প্রণয়নে সহায়তা প্রদানে ভূমিকা রাখছে বোর্ড।
উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়া বাংলাদেশের করণীয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। কাজেই এই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উত্তরণের প্রস্তুতি গ্রহণ, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা, স্থানীয় শিল্পের বিকাশ, বাণিজ্য সহজিকীকরণের মাধ্যমে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী ভারী শিল্প বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান (করতে হবে)।’
স্বনির্ভরতার ওপর জোর দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, “‘মেড ইন বাংলাদেশ’-এই স্লোগান সামনে নিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। কাজেই আমরা চাই আমাদের দেশটা এগিয়ে যাক এবং বাংলাদেশ কারও ওপর নির্ভরশীল থাকবে না; আত্মনির্ভরশীল হবে, আত্মমর্যাদাশীল হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের এটাই লক্ষ্য।”
আরও পড়ুন:
মন্তব্য